এবার কই নাও ভেড়াবো? ২

প্রবাসিনী এর ছবি
লিখেছেন প্রবাসিনী [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০৯/২০০৯ - ১১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব

মোজাম্বিকে ছিলাম সব মিলিয়ে ২ বছর। প্রথম যেদিন মোজাম্বিকে গেলাম আমার ভালো লাগেনি। কেনিয়া থেকে সাউথ আফ্রিকান এয়ারলাইনের ফ্লাইট ছিল, মাঝে ট্রানসিট ছিল জোহানেসবার্গে। সাউথ আফ্রিকার বিমান বন্দরের তুলনায় মাপুতু (মোজাম্বিকের রাজধানী) বিমান বন্দরের অবস্থা ছিল হতাশাজনক - অন্ধকার অন্ধকার, নোংরা, কেমন যেন। ওহ আর ওইখানে কেউ ইংরেজি জানে না, জানলেও বলতে চায় না (দোকানিরা ছাড়া), বিমান বন্দরেও না। মোজাম্বিক ছিল পর্তুগীজ কলোনী, তাই ওখানকার ভাষা পর্তুগীজ।

১৯৭৫ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও, পর্তুগীজদের প্রভাব আর ক্ষমতা (এটা একটা colony of settlement ছিল vs. colony of rule। ভারতে বৃটিশ উপনিবেশ ছিল colony of rule) এখনো সব খানেই দেখা যায়। বেশীরভাগ ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট পর্তুগীজদের। দেশে নানদসের যে খাবারের দোকান আছে ওইটা কিন্তু পর্তুগীজ খাবার পরিবেশন করে। আমি প্রায় ৫-৬ টা দেশে নানদস খাবার খেয়েছি, কিন্তু মোজাম্বিকের নানদস ওয়াস বাই ফার দ্যা বেস্ট! যাই হোক, যে কথা বলছিলামঃ মাপুতুতে যাওয়া আমাদের সবার জন্য বেশ কঠিন ছিল - ভাষার কারণে। পাপা আর ভাইয়ের অত সমস্যা হয়নি। পাপা আগে আঙগোলায় কাজ করতো, সেই সুবাদে সে পর্তুগীজ জানত আর ভাই ছিল বেশ ছোট আর খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলল।

মোজাম্বিক আমার প্রথমে ভাল লাগেনি।আমাদের যে রেস্ট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওইটার অবস্থা খুবই বাজে ছিল (আমাদের বাসায় তখন মেইন্টেন্সের কাজ চলছিল) প্রথমদিনই আমি চোখের পানি ফেললাম (আমি চোখের পানি খুব ইসিলি ফেলতে পারি )। চারদিকে ভিন দেশের মানুষ, ভিন্ন ভাষা। ওইখানে প্রচুর গুজরাটিও ছিল, তারা প্রায় ৩-৪ জেনেরেশান ধরে ওইখানে। কিন্তু পরিচয় দেবার সময় অনেকই নিজেদের পর্তুগীজ বলে পরিচয় দিত! মোজাম্বিকানরা ইন্ডিয়ানদের তেমন পছন্দ করতো না, কারণ ইন্ডিয়ানরা ইকোনমি কন্ট্রোল করে। পর্তুগীজরাও করে। মোজাম্বিকানদের অধিকাংশই বেশ গরীব।

মোজাম্বিকে আমি ওইখানকার মাপুতু ইন্টারনাশনাল স্কুলে ভর্তি হলাম। ওইখান থেকেই ও-লেভেল দিলাম। বেশ ভাল স্কুল, টিচাররাও খুব ভাল। কোচিং ছাড়াও পড়াশোনা করা যায় আরে রেসাল্ট ভাল করা যায়! এই স্কুলে আমার পরিচয় হ্য় এডেনের সাথে, ছোট খাট একটা ইথোপিয়ান মেয়ে, আমার খুবই ভাল বন্ধু। আমরা পরে একই বোর্ডিং স্কুলে যাই সওয়াজিল্যান্ডে, আর আমেরিকাতেও আমরা একই ইউনিভার্সিটিতে যাই। প্রায় ৮ বছরের বন্ধুত্ব আমাদের, এরমাঝে ৬ বছর আমরা একই জায়গায় ছিলাম (মাক্সিমাম ১০ মিনিট দূরে)। এখন আমরা ২ জন ২ দেশে, ভাল লাগে না।

মোজাম্বিকের পাশেই সাউথ আফ্রিকা আর সওয়াজিল্যান্ড। ওই দেশগুলাতেও আমরা চলে অনেক ঘুরেছি।ওগুলো অন্য পোস্টে থাকবে। আমার সব থেকে প্রিয় কিছু জায়গার মাঝে একটা জায়গা মোজাম্বিকে, নাম ভিলাংকুলো, একটা coastal town. মাপুতু থেকে বেশ দূরে, আমরা প্রায় ৮ ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা প্রায় ১ সপ্তাহ থাকলাম একটা বাঙ্গলোতে-সমুদ্রের সাথে লাগোয়া। বাড়ির পেছনে পাটিও (patio), পাটিও পেরুলেই সমুদ্র-সৈকত। উফ এতো সুন্দর! ঘুম ভাংগে সমুদ্রের আওয়াজে। ওইখানকার বালিগুলা সাদা, খুব পরিষ্কার বীচ, টুরিস্টও নাই বললেই চলে। কিছুক্ষণ ওই বীচ ধরে হাটলে মনে হবে সারা জীবন ওইখানেই কাটায় দেই।

মোজাম্বিকের খাওয়া দাওয়াও বেশ মজার ছিল। ওইখানে বারবিকিউ (ব্রাই/braai: Africaans word) পিরি-পিরি চিকেন (piri piri chicken: বেশ ঝাল) আর সামুদ্রিক মাছ খুব জনপ্রিয়। মাপুতুর বেশির ভাগ রেস্টুরান্টে গেলে প্রথমে বান (পর্তুগীজ রোল) আর মাখন সার্ভ করা হত। তাজা সামুদ্রিক মাছ, বিশেষ করে কালামারি খুবই জনপ্রিয়। ওদের প্রধান খাবার (মানে আমরা যে ভাবে ভাত খাই) হল মেইজ/কর্নমিল (ভুট্টার গুড়া)। ওইটা পানির সাথে মিশিয়ে ওরা পরিজের মত রান্না করে খায়। মেইজ অখবা মিলি মিল (mealie meal) আমি ভালোবাসতে শিখি সওয়াজিল্যান্ড গিয়ে।

মোজাম্বিক নিয়ে আর তেমন কিছু লেখার খুজে পাচ্ছিনা। মোজাম্বিকের পর যাই সওয়াজিল্যান্ডে।

(চলবে)


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

দ্বিতীয় পর্বটা আরো জমাটি হয়েছে---

আরো আসতে থাকুক--

লেখা ভাল হচ্ছে কিন্তু---

নিবিড় এর ছবি

চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মাহবুবুল হক এর ছবি

লিখতে থাকুন ভালো লাগছে। তবে আমার বিশেষ একটা আব্দার আছে, মোজাম্বিকের বিশেষ কোন খাবারের প্রস্তুতপ্রণালী জানা থাকলে একটু লিখবেন যাতে আমরা বাংলাদেশে বসে সেটা চেখে দেখতে পারি। আর খাবারটির উপাদান যেন সহজলভ্য হয় মনে রাখবেন। এই বাড়তি কাজটুকু পরের লেখাগুলোতেও চাই।

[/i]দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা
[i]

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

সিরাত এর ছবি

সাবাশ। ভাল লাগলো।

ভ্যানকুভার পর্যন্ত যেন যায়! চোখ টিপি

প্রবাসিনী এর ছবি

দোয়া রাখবেন ভাইয়া।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সিরাত এর ছবি

প্রথমে রেটিং দিয়েছিলাম চার, পাল্টে পাঁচ বানালাম। শেখা হল অনেক, তাই। হাসি

প্রবাসিনী এর ছবি

হাসি :-) হাসি
________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

চলুক

সমুদ্র এর ছবি

"নানদস" নামটা নাকি "ফার্নান্দেজ" থেকে আসছে? আসল উচ্চারণটা কী হবে জানার ইচ্ছা রাখি। পেরি-পেরি চিকেনের নাম শুনতেছি আজকাল, খাওয়া হয় নাই এখনো।
মাস্টার্সে আমাদের সাথে মোজাম্বিকের তিনটা ছেলে আর একটা মেয়ে পড়তো। মেয়েটা হাফ ইন্ডিয়ান, বেশ মিশুক আর পড়াশোনাতেও ছিলো ভালো। ছেলেদের মধ্যে একজন ছিলো মুসলমান, কিন্তু শুধু নামেই। বলতো মোজাম্বিকে নাকি মুসলিমরাও কনফেশান টাইপ কি একটা করে, তাতেই সব পাপমোচন হয়ে যায়। আর সে ব্যাটা দেশে গার্লফ্রেন্ড রেখে এসেছিলো, মাস ছয়েক পর দেশ থেকে খবর আসলো সে বাবা হইছে! পরে দেশে গিয়ে বিয়ে করে আসলো। বউ-বাচ্চা রেখে এসেও আবার সে অনেক কাণ্ড করছে। জানি একজনকে দিয়ে বিচার করা যায় না, তাও আমার কাছে মোজাম্বিকের লোকেদের ইথিকাল ইমেজটা অনেক লো।

"Life happens while we are busy planning it"

মুস্তাফিজ এর ছবি

"নানদস" নামটা নাকি "ফার্নান্দেজ" থেকে আসছে?

আপনার ধারনা সঠিক, অন্ততপক্ষে ঢাকার নান্দুজের পরিচালকদের কথানুযায়ী।

...........................
Every Picture Tells a Story

দুর্দান্ত এর ছবি

কথা সত্য, প্রতিষ্ঠাতার একজনের নাম ফের্নান্দোস।

কীর্তিনাশা এর ছবি

চলুক চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রেশনুভা এর ছবি

ফাট্টাফাট্টি। সোয়াজিল্যান্ড কখন যাব? আমি একপায়ে খাড়ায় রইছি। দেঁতো হাসি
একটু ফুটু দিলে আরো ভালো হইত...মানে এডেনের ছবি-টবি নাই? খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

ফেসবুকে দেখেন এডেনের ছবি, লাভ নাই...

রেজওয়ান এর ছবি
ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

বাহ! এটা আরও ভালো লাগলো।
চলুক।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

বইখাতা এর ছবি

দুই পর্বই একসাথে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। আফ্রিকা (আর মিশর) আমার প্রবল আগ্রহের আর আকর্ষণের দেশ - একারণে। কোনোদিনই হয়তো যাওয়ার সুযোগ হবে না ! মন খারাপ

লেখা ভালো লেগেছে।

পরী [অতিথি] এর ছবি

ভালো লাগছে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বাহ্। লেখা ভালো লাগল। নিয়মিত চলুক। থামবেন না কিন্তু। সাথে ছবি দিলে আরো ভালো লাগত অবশ্য।

'নান্দোজ'-এ এখনও খাওয়া হয়নি। গুলশানে নতুন একটা শাখা খুলেছে ওরা। দেখি সময় করে একদিন যেতে হবে।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

লেখা পড়ে 'নান্দোজ'খাওয়ার লোভ হচ্ছে, যেকোন সময় যাব। সম্ভব হলে সাথে ছবি দিন।

আহমেদুর রশীদ [অতিথি] এর ছবি

নান্দুস কি মোজাম্বিকান খাবার?

ভালো লাগছে রেখা পড়ে। আরেকটু দম ফেলে যদি লেখেন, পাঠকের জন্য ভালো হয়। মানে আরো বর্ণনা দিয়ে।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এত দৌড়ে গেলে তো হবে না।
কোনো একটা বিষয়ের দীর্ঘ বর্ণনা দিন।
যেমন বললেন সমুদ্র সৈকতে নামলে মনে হয় সারাটা জীবন ওইখানে কাটিয়ে দেই। তো তার একটা মনগ্রাহী বর্ণনা তো দিবেন। শুধু বালি সাদা বললেই তো হবে না। জলের রং কেমন? কতটা স্বচ্ছ? কতদূর হেঁটে যাওয়া যায়। স্থলভাগে কী কী রকমের গাছ আছে। ঢেউগুলো কত বড়। কোন ঋতুতে সূর্যের আলোটা সহ্য করা যায়। বাতাস কত জোরে বয়। মানুষের ভিড় কেমন? সমুদ্রের জলে কি কোকাকোলার ক্যান ভাসে নাকি পাকা নারিকেল।
মানুষ কি বড় বড় ছাতা টাঙিয়ে তার নীচে রোদ পোহায়। নাকি গাছে গাছে ঝুল-বিছানা টাঙিয়ে তাতে শুয়ে থাকে।
ওখানে কি ফেরিওয়ালারা চকলেট সিগারেট নিয়ে ঘোরে নাকি দূরে ছোট টং-দোকানে সরষের তেল মেখে নারকেলের টুকরা খেতে দেয়।

একটা সমুদ্র সৈকত নিয়ে কতকিছুই তো বর্ণনা দেয়ার আছে। আপনি যদি আরেকটু ভালবেসে আরেকটু স্মৃতি হাঁতড়ে বিষয়গুলো, দৃশ্যগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরেন তখন আপনাকে আর বলতে হবে না, আমরাই বলবো - আহা এমন জায়গায় সারাটা জীবন ঠায় বসে কাটিয়ে দেয়া যায়।

আমরা পাঠকরা কেউ ওখানে ছিলাম না, শুধু আপনার বর্ণনা দিয়েই আমরা দৃশ্যটাকে চোখের সামনে সাজিয়ে তুলবো। সুতরাং আরো বিশদ করে লিখুন।

মন্তব্য দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। সিরিজটা শুরু করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার কাছে লেখার যাবতীয় মাল-মসলা আছে, শুধু প্রচুর লেখার চর্চাটা দরকার।
শুভেচ্ছা।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

লেখাটা পড়ার সময় বর্ণনার ঘাটতিটা একটু পীড়া দিচ্ছিল আমাকেও। কিন্তু আপনি খুব গুছিয়ে ব্যপারটা ধরিয়ে দিলেন। খুব ভাল আর কার্যকর একটা পরামর্শ মনে হল। কাজে লাগানর চেষ্টা করব লেখার সময়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অসাধারন মন্তব্য শোমচৌদা, তাই রইল উত্তম জাঝা!

আর সাজিয়া এত সুন্দর গঠনমুলক সমালোচনা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, আশাকরি পরের পর্ব আরো সুন্দর করে লিখবে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

_প্রজাপতি এর ছবি

তোমার লেখা দিয়ে আফ্রিকা ঘুরে বেড়াতে মজাই লাগছে।
পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

---------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শোহেইল ভাইয়ের মন্তব্যটা অসামান্য। হোমওয়ার্ক হিসেবে এই লেখারই ফাঁকফোঁকরগুলো পূরণ করে একটা মন্তব্য ছাড়ো তো দেখি! চোখ টিপি

আমার রুমমেট শোভন ভাই আফ্রিকায় ছিলেন অনেক বছর। উগান্ডায়। তাঁর কাছে আফ্রিকার এত এত গল্প শুনেছি, যে আফ্রিকা যাওয়া মোটামুটি নফল ইবাদত পর্যায়ে পড়ে আমার কাছে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ইশতি তোমার রুমমেটের ভালো নাম কি? বা তার বাবা-মার নাম? জিগেস করলাম কারন আমার আর আমার ছোট ভাইয়ের জন্মও উগান্ডায়। আমার যদিও তেমন কিছু মনে নেই, আব্বা-আম্মার সবই মনে আছে। ডালাসে থাকার সময় এই রকম হঠাত করে আরেকজনকে পেয়েছিলাম, যাকে ২০ বছর আগে কাম্পালায় চিনতাম বিপুল ভাই নামে!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

বাঙালি আইয়ুব খান, না পাকি?

প্রবাসিনী এর ছবি

ভাইয়া, বাংলায় ডেস্ক্রিপ্তিভ লেখা খুবই কঠিন আমার জন্য, এই পোস্টের ২য় পার্ট করা যেতে পারে (যদি সময় পাই আর মন চায়) ।

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

অতিথি লেখক এর ছবি

বিদেশ নিয়ে আমার জ্ঞান কম। তবে আপনার লেখা পড়ে মনে হলো দেশ থেকে একবার অন্যদেশে না গেলে পৃথিবীটা অচেনা থেকে যাবে। আপনার লেখার স্টাইলের কারণে ভালো লাগছে। চলুক।

দলছুট
==================
বন্ধু হবো, যদি হাত বাড়াও।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভালই লেগেছে। বর্ণনা আরেকটু জমাটি হলে আরো জমতো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

তানবীরা এর ছবি

চলুক
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দুর্দান্ত এর ছবি

খুব ভাল লাগলো। সোয়াজিল্যান্ডে যাইতে মঞ্চায়।

শাহান এর ছবি

ভাল লাগলো।
যেহেতু আফ্রিকা ছিলেন অনেকদিন, তাই জিজ্ঞেস করি- ভিক্টোরিয়া ফলস দেখার সুযোগ হয়েছিল? দেখে থাকলে ভাল করে ছবিসহ বর্ণনা দিয়েন।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আপু সিরিজটা শেষ করেন। আরো পড়তে চাই। ভাল লাগছে।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

প্রবাসিনী এর ছবি

করবো, করবো! ক্লাস শুরু হয়ে গেছে, সময় পাই না।

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।