এসো কোয়ান্টামের রাজ্যে-৪ (অথবা, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৯/২০১৩ - ১:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
বহুদিন পর আবার বিজ্ঞানের গল্প- আজকে পরমাণুর হাঁড়ির খবর দেব। নাম দেখে আবার ভেবে বসবেন না যে পরমাণু বুঝি তারেকাণুর খালাত ভাই। এই লোকের হাঁড়ির খবর রাখা সম্ভব না। এই দেখি এভারেস্ট তো ঐ কুমেরুতে। আজ পম্পেইয়ে মৌজ করে তো কাল এক্সট্রা টিকেট নিয়ে সাম্বা দেখতে যায়। কখনও আবার নাৎসি ক্যাম্পে ঘুরে এসে মনটা খারাপ করে দেয়। এত অ-স্থির মানুষের খবর রাখা আমার কাজ না। ঘুরে ফিরে তাই কাঠখোট্টা বিজ্ঞানই ভরসা। বিজ্ঞানের গল্পগুলো অবশ্য কম মজার না। সত্যপীরের বিক্রম যেমন খালি হাতে বাঘের চোখ উপড়ে বেড়ায়, বিজ্ঞানীরা তেমনি প্রকৃতির কাছা খুলে দিতে উদ্বাহু হয়ে বসে থাকেন। কি সুবিশাল ছায়াপথের ওপার, কি ছোট্ট পরমাণুর গভীরে- কোথাও তার লুকোবার জায়গাটি নেই। আর বিজ্ঞান তো আর অকাট-নিশ্চল ঐশীবাণী নয়। সে হল একেবারে আফ্রোদিতির মত চঞ্চলা। আজ ওমুক বিজ্ঞানীর সাথে খাতির তো কাল তমুক, পরশু থমুক- এমন। যখনই বিজ্ঞান দেখে যে আগের বিজ্ঞানীর তত্ত্বের সাথে তার আর বনছে না, ওমনি সে নতুন কোন বিজ্ঞানীর মাথা থেকে নতুন রূপে বের হয়। পরমাণুর হাঁড়ির খবর তাই দিনে দিনে কেবলই বদলেছে।

২।
বিজ্ঞানীরা সব পদার্থের একটা করে রোল নাম্বার ঠিক করে দিয়েছেন। ৬৬ শুনলে আমাদের রক্ত গরম হয়ে যায়, ভাবি নির্ঘাত ছয় দফা। আর বিজ্ঞানীরা গম্ভীর মুখে বলেন- ডিসপ্রোসিয়াম। ৮০ শুনলে চশমা পড়া গোলগাপ্পা আতেল ছাত্ররা লাফিয়ে ঊঠে ভাবে বুঝি এ+, বিজ্ঞানীরা হতাশ ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে বলবেন- হয়নি, ফেল। ওটা হবে এইচ জি অর্থাৎ পারদ। ৩ শুনলেই তারেকাণু’দার মত মিষ্টি লোকেরা দুষ্টুমনে ভাবে নিশ্চয় পম্পেই। আর বিজ্ঞানীরা নিরাসক্ত ভঙ্গিতে ভাবেন- ও আচ্ছা, লিথিয়াম। এখন এই রোল নাম্বার টা এল কোথা থেকে? সেই গল্পটাই শুনি আগে। আমাদের কেটেকুটে টুকরা করলে কি পাওয়া যাবে? কয়েক কেজি মাংস, কিছু হাড্ডি, লিটার কয়েক রক্ত, এইই। তেমনি একটা পরমাণুকে কেটে কুচিকুচি করতে গেলে পাব তিনটে জিনিস- ইলেকট্রন, প্রোটন আর নিউট্রন। এর মধ্যে ইলেকট্রন এক্কেবারে হালকা। ইলেকট্রন একটা হামিংবার্ডের মত হলে প্রোটন বা নিউট্রন হবে ম্যামথের সমান। এখন একটা পরমাণুতে যতগুলো প্রোটন থাকে, ঠিক ততগুলোই ইলেকট্রন থাকে (মাঝে মধ্যে দুয়েকটা ছুটে যায় বটে, সে অন্য হিসাব)। আদতে এই সঙ্খ্যাটাই হল পরমাণুর রোল নাম্বার বা “পারমাণবিক সংখ্যা”। লুতেশিয়ামের পারমানবিক সংখ্যা ৭১ মানে তাতে ঠিক ৭১ খানা প্রোটন আছে। কিংবা উল্টোভাবে দেখলে- নাইট্রোজেনে ৭ খানা প্রোটন আছে, অর্থাৎ, তার পারমাণবিক সংখ্যা হবে ৭, ব্যাপারটা এমন। এখন ফরহাদের যেমন শিরি, মজনুর যেমন লাইলী, হয়রানের যেমন স্যাম, প্রোটনের তেমনই ইলেকট্রন। কি বুঝলেন? এখন ইলেকট্রন আর প্রোটন (এবং কাবাব মে হাড্ডি- নিউট্রন) পরমাণুতে কিভাবে পেম-ভালুবাসা করে সেটাই পরমাণুর হাঁড়ির খবর। যেই খবরটাই একেক বিজ্ঞানী একেক সময়ে দিয়ে গেছেন, বিভিন্নভাবে।

৩।
অনেক কাল আগের কথা, যখন মানুষ কেবল ইলেকট্রন আর প্রোটন চিনেছে- সেসময় মানুষের ধারণা ছিল এক রকম। তখন টমসন নামে এক বিজ্ঞানী প্রথম ধারণা করার চেষ্টা করলেন- “পরমানু হল তরমুজের মত”। প্রোটন গুলো হল তরমুজের শাঁস, আর তার মাঝে ছড়িয়ে থাকা ইলেকট্রন গুলো তার বিচি। বিজ্ঞানীরা নাম দিতে পটু, এর একটা গাল ভরা নামও দেয়া হলঃ “টমসনের প্লাম-পুডিং মডেল”, বাংলায় বলতে গেলে কিসমিস-পিঠা মডেল আরকি। কিন্তু টিনটিনের মানিকজোড়ের কথা যেমন কখনওই ঠিক হতনা, দুর্ভাগ্যক্রমে বিজ্ঞানী টমসনের টাও হলনা। তাঁর মডেলে তরমুজ আর তার বিচি মিলে-মিশে একাকার ছিল, এটা বিজ্ঞানী রাদারফোর্ডের মোটেই পছন্দ হলনা। সত্যপীরের গপ্পের নিষ্ঠুর রাজা-রাজড়ারা যেমন আঙ্গুলের ইশারায় বন্দীদের বিচি আলগা করে দিতেন, রাদারফোর্ডও তাঁর তত্ত্বের এক গুঁতোয় তরমুজের বিচি আলগা করে দিলেন। তবে রাজাদের অস্ত্র ছিল তরবারী, আর রাদারফোর্ডের ল্যাবরেটরী। সেই থেকে মনের দুঃখে পরমাণুতে ইলেকট্রন আর প্রোটন মিলে-মিশে থাকে বটে, তবে ভাই-বোনের মত।

৪।
টেনিস বল দিয়ে বাউন্স-বাউন্স ক্যাচ-ক্যাচ খেলেননি এমন মানুষ বোধহয় ফুটোস্কোপ দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যাবেনা। সঙ্গী না থাকলেও কুছ পরোয়া নেহি, দেয়াল (হুমায়ুন আহমেদেরটা না, ইটের) হলেই চলে। বল ছুড়ে দাও, ড্রপ খেয়ে ফিরে এলে ধরে ফেলো, এই তো খেলা। এখন সামনে যদি শক্ত নিরেট দেয়াল না থেকে বাঁশের বেড়া কিংবা তারের জাল থাকে, তখন? (ধরে নিচ্ছি বেড়ার ফাঁক কিংবা জালের ফুটো বলের চেয়ে বড়।) দেখা যাবে প্রায় সময়েই বল কিন্তু আর বাউন্স করে ফিরে আসছে না, ফাঁক গলে পেছনে চলে যাচ্ছে, ম্যালা হ্যাপা। এখন যদি এমন হয় যে- পর্দাঘেরা একটা নিরেট দেয়াল আর একটা বেড়া পাশাপাশি আছে। কাছে যাওয়া নিষেধ, তবে ঢিলাঢিলি করার অনুমতি আছে- তাহলে? কিছুক্ষন ঢিল ছুঁড়লেই কিন্তু আন্দাজ পাওয়া যাবে কোনটা দেয়াল আর কোনটা বেড়া। চিকন বুদ্ধির লোকজন থাকলে দেখা যাবে অনেকগুলো ঢিল ছুঁড়ে ঠিক কোথায় কোথায় বাঁশ, আর কোথায় কোথায় ফাঁক সেটাও বের করে ফেলেছে, কাছে না গিয়েও। ঠিক এই কাজটাই রাদারফোর্ড করেন- খালি বাঁশের বেড়ার বদলে ছিল সোনা (ইয়ে, চাটগাঁর চৌধুরী সাহেবের সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই, দুষ্ট লোকেরা তফাৎ যাও)। আর টেনিস বলের বদলে নিয়েছিলেন হিলিয়াম নামের এক জাতের পদার্থের নেংটুপুটু পরমাণু।

৫।
বিজ্ঞানীদের রোলকলের খাতায় হিলিয়াম হল সেকেন্ডবয় বা সেকেন্ডগার্ল (আদতে অবশ্য সে নিরাসক্ত, নির্লিঙ্গ)। অর্থাৎ, তার ভান্ডারে আছে ২ টা ইলেকট্রন আর ২ টা প্রোটন এবং কাকতালীয় ভাবে ঠিক ২ টা নিউট্রন। এখন তা থেকে গুঁতোগুঁতি করে ২ খানা ইলেকট্রন যদি ঝেড়ে ফেলে দেয়া যায়, তখন বাকিটুকুর নাম হয় “আলফা কণা”। এতে থাকে ২ খানা প্রোটন আর ২ খানা নিউট্রন। এই নেংটুপুটু হিলিয়াম বা আলফা কণাই হল রাদারফোর্ডের টেনিস বল। এজন্য তাঁকে অবশ্য জোরপুর্বক হিলিয়ামকে নেংটু করতে হয়নি। সমাজে হেলিকপ্টার বাবার মত কিছু লুলপুরুষ আছেন না, নিজের মা কিংবা বোনের ছায়াটা দেখলেই এঁদের আধহাত জিভখানা বেরিয়ে এসে অঝোর ধারায় লালা পড়তে থাকে। (সম্পুর্ণ সজ্ঞানে দুনিয়ার বাদবাকী নারীসমাজকে আপাতত উনাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে রাখলাম।) তেমনি প্রকৃতিতেও কিছু লুলপরমাণু আছে। দিন নাই রাত নাই এদের থেকে লালার মত অঝোর ধারায় আলফা কণা বেরুচ্ছে তো বেরুচ্ছেই। এই জাতের লুল পদার্থদের সাহায্য নিয়েই রাদারফোর্ড তাঁর এই ঐতিহাসিক গবেষণাটি করেন। তিনি দেখেন অধিকাংশ আলফা কণাই সটান সোনা ফুঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, অল্প কিছু ডাইনে-বাঁয়ে বেঁকে যাচ্ছে, আর তার থেকেও অল্প কয়েকটি ধাক্কা খেয়ে উল্টো দিকে ফিরে আসছে। অর্থাৎ পরমাণু মোটেই দেয়ালের মত নিরেট না, বেড়ার মত ফাঁকযুক্ত। এই থেকে রাদারফোর্ড সিদ্ধান্তে আসলেন পরমাণুর ছোট্ট একটু কেন্দ্রে নিউট্রন-প্রোটন গলাগলি করে থাকে, আর মনের দুঃখে ইলেকট্রন তার চারপাশে বিশাল জায়গা নিয়ে কেবলি ঘুরপাক খায়। অর্থাৎ তার মাঝে অধিকাংশ জায়গাই ফাঁকা। ব্রুণো বা গ্যালিলিওর যুগ তখন বাসী হয়ে গেছে, কোপার্নিকাসের সৌরকেন্দ্রিক সৌরজগতের মডেল ততদিনে প্রতিষ্ঠিত। রাদারফোর্ডের মাথায়ও তাই কেন জানি সৌরজগতের ছবিটাই ভেসে উঠল। তিনি বললেন সৌরজগতের কেন্দ্র যেমন সূর্য, পরমাণুর এক্টুসখানি কেন্দ্র তেমন তার নিউট্রন আর প্রোটন। সুর্যের চারপাশে গ্রহগুলো যেমন যার যার কক্ষপথে পাক খায়, পরমাণুর চারপাশে ইলেক্ট্রনগুলিও ঠিক তাই করে। এটার গালভরা একটা নামও দেয়া হলঃ “রাদারফোর্ডের সোলার মডেল”।

৬।
আগেই বলেছিলাম বোধহয়- বিজ্ঞান সুনির্দিষ্ট কথামালার কোনও অচলায়তন নয়, বরং নিত্য-নতুন জ্ঞানে ঋদ্ধ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এক সচলায়তন। সেই নিয়মে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলও বেশি দিন টিকল না। (রাগ করলেন বুঝি? অচল জিনিসের গপ্প গছাতে এসেছি? আরে পাকিস্তান দেশটাও তো টেকেনি, অচল মাল, তা বলে পাকিস্তানপর্ব বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসটুকু একবার শোনান দেখি। কি আর করা? সবই পরম্পরা।) যাহোক, সেকালে নিউটন আর ম্যাক্সওয়েল নামে মস্ত বড় দুই বিজ্ঞানী ছিলেন। এর মাঝে নিউটনের হিসাবপত্র দিয়ে সেকালে নড়াচড়া আর গুঁতোগুঁতির যাবতীয় মাপজোখ করে ফেলা যেত। কাকে কত জোরে গুঁতো দিলে কয়টার সময় কোথায় গিয়ে পড়বে- একেবারে নিঁখুতভাবে বের করে ফেলা যেত। আর ম্যাক্সওয়েলের হিসাবপত্র ছিল বিদ্যুৎ আর চুম্বক নিয়ে। বিদ্যুৎ বসে থাকলে কি হয়, দৌড়ালে কি হয়, চুম্বক বসে থাকলে কি হয়, দৌড়ালে কি হয় এই যাবতীয় ঘটনা তিনি মাত্র চার লাইনে বলে দিয়েছিলেন। এখনও পদার্থবিজ্ঞান কিংবা তড়িৎকৌশলের ছাত্রছাত্রীদের “ম্যাক্সওয়েল ইকুয়েশন” নামের এই বিন্দুর মাঝে মহাসিন্ধু হজম করতে হয়। যাহোক, এই জাঁদরেল বিজ্ঞানীর কথামত, ইলেকট্রন যদি গোল রাস্তায় দৌড়াতে থাকে তাহলে অবশ্যই তার শক্তি কমতে থাকতে হবে। অর্থাৎ, তার শক্তি কমলে ঘুরপাক খাবার রাস্তাটাও ধীরে ধীরে ছোট হতে থাকবে। এমন চলতে থাকলে ছোট হতে... হতে... হতে... ধুম। কি হল? ইলেকট্রন কেন্দ্রে প্রোটনের উপরে ক্রাশল্যান্ড করল। কিন্তু এভাবে মশার কয়েলের মত পাক খেতে খেতে ইলেকট্রন আর প্রোটনের মিলন ঘটলে তো মহা ট্র্যাজেডি- তখন যে পরমাণুই টেকে না। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল তাই টিকল না। তবে তা একটি গুরুত্বপুর্ণ ধারণা দিয়ে গেল যে পরমাণুর বেশির ভাগটাই ফাঁকা- যেখানে ইলেকট্রন মনের সুখে চরে বেড়ায়। পরের প্রশ্ন এল কিভাবে? ঠিক সেখানেই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের শুরু। তবে সেই গল্প পরেরদিন।

৭।
রাদারফোর্ডের মডেল কিন্তু মোটেই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কোনও অংশ না। ভাবছেন বুঝি, শিরোনামে মুর্গি দেখিয়ে এখন ডাল খাওয়াচ্ছি? কিন্তু মুশকিল হল পরমাণুর হাঁড়ির খবর দিতে গেলে এটুকু এড়িয়ে যাবার উপায় নেই, তাহলে একতলা-দোতালা বাদ রেখে পাঁচতলা বাড়ি বানাতে হবে। ঐযে মানুষের মত দেখতে কিছু প্রাণী জোরগলায় বলে নাঃ “আসুন, অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যাই।” ইতিহাসের কেপি টেস্ট করতে গেলে অ্যাঁ অ্যাঁ করে বলে- ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস, সেই থেকে আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। ভাবখানা এমন যে বাংলাদেশটা বুঝি একেবারে রেডিমেড অবস্থায় আদম-ইভ আর সেই আধ-খাওয়া আপেলটার সঙ্গে টুপ করে স্বর্গ থেকে এসে পড়েছে। তার আগে ১৪ ডিসেম্বর নাই, ২৫ মার্চ তো ছিলই না। কয়দিন আগে ৯০ বছরের একটা অবলা বুড়োর জন্য এরা চোখের পানি-নাকের পানি-মুখের লালা সব একাকার করে ফেলেছিল। আজকে যখন ৯২ বচ্ছরের নাৎসি সর্দার ধরা পড়ে, তখন এরা টুঁ শব্দটিও করে না। এদের জন্য গদামের উপর ওষুধ নাই। মনে রাখবেন, চুদিরভাইও ভাই, দুলাভাইও ভাই। তাই সময় থাকতে লাইনে আসুন। এরা মুখে হাসি দিয়ে “ভাই” বলে ডাকতে এলে কষে গদাম দিন, আর দুলাভাইদের বুকে টেনে নিন। যাকগে, রাদারফোর্ডের মডেলের ইলেকট্রনের মত ঘুরপাক খেতে খেতে বেলাইনে চলে গেছি। যা বলছিলাম, পরমাণুর হাঁড়ির খবর দিতে গেলে আসলে এটুকু পিছিয়ে না গেলে উপায় নেই। শেষমেশ বিজ্ঞানের গল্পই তো, জোকারের লেকচার তো আর না। যাই চা খেয়ে আসি, পরের পর্বে পরমাণুর বেডরুমের খবর নিয়ে আসছি এ-এ-এ-নশাল্লাহ। চোখ টিপি


মন্তব্য

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি

লেখার ভঙ্গীটাই এমুন, যে পড়ার সময় এট্টা হাত দিয়া প্যাট চাইপা ধইরা পড়তে অয়। তয়, এতো ত্যানা প্যাঁচাইলে বিজ্ঞান হারাইয়া যাইবো না তু? খুব খেয়াল কৈরা।

-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

নাহ, আজকে আসলেই বেশি পেচিয়ে ফেলেছি মন খারাপ

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- (দিলেন তো মিয়া অণু'দার ইটার বারোটা বাজায়া গড়াগড়ি দিয়া হাসি )

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি

আর অণুদার ইটা!! পায়ের তলায় শর্ষে নিয়ে হিল্লি-দিল্লি করে বেড়ায় রাত-বেরাতে; ইটা রাখলে তো উস্টা খাইবো!!

-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি
অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

নিজের ইটা সঙ্গে রাখুন। এখানে ওখানে ফেলে রাখবেন না। চাল্লু

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পম্পেইয়ের ইটা নাকি? খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

আহাহা, পম্পেইয়ের ছবি দেখে ধু গো বলেছিলেন নাইন সাম, মানে কিনা যদি হয় সুজন তেতুল পাতায় নজন! খ্যা খ্যা খ্যা -

লেখা জব্বর!

আর আমার ইটার বারো বাজায়ে পরমাণু কে বানাইছে ! তারে গ্রাফাইটের প্রোটনের মত হাপিশ করে হীরে বানিয়ে সিস্টেম করতে হবে

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি

সমিস্্যা নাই। হীরা হইলে- জায়গা বেজায়গায় লকেট-মকেট হইয়া ঝুইলা থাকুম।

-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

শয়তানী হাসি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

পাপাই ভার্সাস তারেকাণু ... হৈ হৈ পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি

আম্নে লু্ক্টা পপ্পন খাইবাইন আমরারে দেহাইয়া দেহাইয়া?
আর আঁই অণুদার লগে। ফাগল ফাইছেন নি আঁরে? অণুদা আমি কিছু কই নাই।
আর সাক্ষী মশায়ের লেখাটার- ইঞ্জিনে বগির মতো কমেন্টের ত্যানা প্যাঁচতাছে তো প্যাঁচতেই আছে।
আমি ইস্টপ।

-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ক্যা? অণু'দা কি ব্লু-টো নাকি?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি

আশেপাশে পালং ক্ষেত নাই। আর, জলপাই গাছ একটা আমার জানলার কাছেই আছে।

-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

১। আপনি প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো ভালো লেখেন। "সাক্ষী সত্যানন্দ' না হয়ে "সাক্ষাৎ সত্যানন্দীনী' হইলে আপনার সঙ্গে একটা যৌথ ব্লগ খোলার পরিকল্পনা করতাম! আফসোস, আজকাল আর লুল ফেলার মতো বিজ্ঞান বালিকা পাওয়া যায়না মন খারাপ

২। মাঝে মাঝে আপনার "চটুলতা' লেখা থেকে দূরে নিয়ে যায়। ব্যক্তিগতভাবে এইটা আমাকে বিরক্ত করে। যেমন ধরুন যখন যখন রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল কল্পনায় দেখার চেষ্টা করছি ঠিক তখনই আপনি কথা প্রসঙ্গে একঝলক পাকিস্তান দেখিয়ে দিলেন। সেই মুহূর্তে একই সঙ্গে পাকিস্তান এবং আপনার উপর বিরক্ত হলাম। কিন্তু আবার আপনার রূপক পড়তে ভালো লাগে। দুইটা কেমনে "ম্যানেজ' করবেন আমার জানা নাই। আমি পাঠক হিসেবে পাত্তা দেয়ার মতো কেউ না। আমার বিরক্তি পাত্তা না দিলেও তাই সমস্যা নেই।

৩। আপনি লিখতেই থাকুন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। ক্যান? সাক্ষী সত্যানন্দের পেমে পড়তে ( শয়তানী হাসি ) অসুবিধা কুথায়? হুয়াটস দি পোবলেম?

২। অনার্যদা, থাকি এমন এক জায়গায় যেখানে ৯৯% জামাতী আর ১% আমরা মন খারাপ( ব্লগটাই একমাত্র জায়গা যেখানে মন খুলে এই কথাগুলো শেয়ার করা যায়... তাই রুদ্ধ প্রাণের আবেগ... কাউকে এটা বিরক্ত করে ফেললে দুঃখিত... তবে খুব তাড়াতাড়ি এ থেকে বেরুতে পারব সে কথা দিতে পারছি না

৩। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- অবশ্যই, মুখ তো বন্ধ, বাঁচতে হলে লিখতে হবে দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সমস্যা আছে। প্রুষলোক আমার দুইচক্ষের বিষ! যাউক, আপনি লিখতে থাকেন। বালিকারা আপাতত মুড়ি খাইতে থাকুক।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চিন্তিত

মায়াপ্রুষের মোলাকাত হয়েছিল বুঝি? শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মইনুল রাজু এর ছবি

চলুক

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্বপ্নহীন এর ছবি

আপনার লেখার জবাব নেই !!

অসাধারণ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

তারমানে প্রশ্ন আছে বলছেন? চিন্তিত করে ফেলুন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রায়হান আবীর এর ছবি

অসাধারণ বিজ্ঞান 'ব্লগ'!

ইতি,
প্রোটন দেঁতো হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ইতি,
(আপাতত) নিউট্রন মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

যেমন আপনি লেখেন - সুন্দর বিশ্লেষণ, ঝরঝরে লেখা। বিজ্ঞান, ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজ এ লেখায় একে অপরকে ধরে রেখেছে - অসাধারণ ভাবে , সাক্ষী সত্যানন্দর নিজস্ব ঢং-এ। খুব ভাল লাগল পড়তে।
- একলহমা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

Joltorongo এর ছবি

চলুক গুল্লি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

রাসিক রেজা নাহিয়েন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আইলসা  এর ছবি

অসাধারন ব্লগ। বস বারবার বলতাছি বই লেখেন, কথাটা কানে নিতাছেন না, ধুম কইরা কিন্তু হরতাল দিয়া দিমু।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কইসিনা, আন্নের নিক্টারে ভালু পাই দেঁতো হাসি চ্যাতেন ক্যা? খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

টিউলিপ এর ছবি

আপনার লেখা দেখলেই পড়ি, অলস বলে লগ ইন করে কমেন্ট করি না, আজ বাধ্য হলাম। অনেকদিন পরে স্কুলের ফিজিক্স মনে পড়ছিল, আমার সবচেয়ে প্রিয় সাবজেক্ট। আর আপনার লেখাও জ্ঞান আর হিউমারের সেইরকম কম্বিনেশন।

অফ টপিকঃ দুলাভাইয়ের কথায় মনে পড়লো, সব দুলাভাইকে বুকে টেনে নিতে নেই। যেমন আমাদের জাতীয় দুলাভাই, টুইটারে, ফেসবুকে, ব্লগে যিনি খালি মানবাধিকার দিল না, বুড়াটাকে দয়া করলো না, সঠিক বিচার হলো না ইত্যাদি ম্যাৎকার ছড়িয়ে থাকেন।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কম্বিনেশন আর কই? জ্ঞানগুলা তো সব কৌস্তভ'দা আর অনার্য'দার বুকপকেটে, হিউমারগুলা হিমুভাই আর উদাস'দার ব্যাকপকেটে... আমাদের জন্য খালি প্যান্ডোরার বাক্স... ব্লগে যখনই আসবেন একটা দাগ-দুগ রেখে যাবেন... ভাল থাকবেন হাসি

অফটপিকঃ উনি দুলাভাই কোন দুঃখে? পই পই করে কইলাম যে ভাই দুই প্রকার... যার কথা বলছেন উনি মোটেই দুই নম্বুরি ভাই নন, খাঁটি এক নম্বুরি মাল খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

টিউলিপ এর ছবি

আহা, এক নম্বুর মাঝে মাঝে দুই নম্বুরের ছাল পড়ে আসে না? উনারা তো জামাই শ্বশুর মিলে দুই কূল রক্ষা করে চলেন।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক, পড়ছি।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

স্কুল জীবনে আমাকে কোন বিজ্ঞান শিক্ষক বিজ্ঞানের দিকে আকৃষ্ট করাতে পারেননি।
আর সে কারনেই বিজ্ঞান আমাকে টানেনা আর আমি অমন লেখা পড়া থেকে শত হাত দূরে থাকি।
কিন্তু আপনার লেখা আমাকে বিজ্ঞানের জটিল ধাঁধায় ঢুকতে উৎসাহিত করতে পারছে। আজ বেশ খানিকটা বুঝতেও পারলাম! অ্যাঁ
পরমাণুর ড্রইংরুমে বসে ভালোই লাগলো। পরের পর্বে বেডরুমে ঢুকলে কেমন জমবে ভেবে উৎসাহিত হচ্ছি (বিজ্ঞান শেখার ব্যাপারে আর-কি?)।
'আপনি প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো ভালো লেখেন।' - অনার্য সঙ্গীত এর এই মন্তব্যের সঙ্গে সহমত।
ভালো থাকবেন সত্যানন্দ।

--------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সমগ্র পুরুষজাতি লাইন ধইরা আমার প্রেমে পরতাছে ক্যান? ওঁয়া ওঁয়া

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও অনার্য সঙ্গীতের সাথে একটা বিষয়ে একমত, খুব মনোযোগ দিয়ে যখন পরমানুর হাঁড়ির খবর জানার চেষ্টা করছি, তখন বজ্জাত গোআ কিংবা বখিল চুদুরি এবং তাদের সাঙাতদের বারংবার উপষ্থিতি অত্যন্ত বিরক্তিকর। পরমানুর বেডরুমের দৃশ্য অবলোকনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

আব্দুল্লাহ এ এম

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

উপরে জবাব দিয়েছি... তবে সবাই যখন আপত্তি জানাচ্ছে... এরপর থেকে মাথায় রাখব... এবারের মত ক্ষমা প্রার্থনীয় হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

নাহ, আমার ভালো লেগেছে এমন তুলনা, উপমা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ভাষার ব্যাপারে আমি অনার্য সঙ্গীতের সাথে কিঞ্চিত একমত। যে কোন বিষয়ে বিস্তারিত লেখার সময় চটুল উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, ভাষা রসালো হতে পারে তবে ট্র্যাক বদলানোটা সমর্থন করতে পারছি না। ট্র্যাক বদলে যে বিষয়গুলো নিয়ে বলতে চাচ্ছেন সেগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই সেগুলো নিয়ে নাহয় আলাদা পোস্ট লিখুন। বিজ্ঞান নিয়ে লেখেন বলে জীবনের অন্যসব বিষয় নিয়ে লিখতে পারবেন না যে তাতো নয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বিজ্ঞান নিয়ে লেখেন বলে জীবনের অন্যসব বিষয় নিয়ে লিখতে পারবেন না যে তাতো নয়।

ধন্যবাদ, পাণ্ডব'দা। অনুপ্রাণিত হলাম। আলাদা পোস্টের ব্যাপারটা মাথায় রাখলাম। (যদিও আমার আশঙ্কা, সরাসরি গোলামাজম কে নিয়ে লিখলে তাতে উদাহরণ দিতে গিয়ে একগাদা বিজ্ঞান ঢুকিয়ে ফেলব)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চমৎকার লেখেন আপনি সেটা তো আগেই বলেছি। আজকেও বললাম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লেখা, আপনার লেখা সবসময় প্রিয় হাততালি । পরের পোস্টটা তাড়াতাড়ি দিয়েন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
ইসরাত

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তমসা এর ছবি

স্কুলের বিজ্ঞান টেক্সটগুলো আপনাকে দিয়ে লেখালে কি হতো তাই ভাবছি।ট্র্যাক মাঝে মাঝে চেঞ্জ হলেও রসের খাতিরে মাফ করা যায়। আরে আমরাও তো পরীক্ষার গ্যাপে বইখাতার নীচে গল্পের বই লুকিয়ে পড়েছি। এইচ,এস,সির সময় ধরা পড়ে মায়ের হাতে কষে একটা চড়ও খেয়েছি।কিন্তু বোঝাতে পারিনি, প্রেশারাইজড ব্রেনের জন্যে রিলিফ কতটা প্রয়োজন।এই রিলিফটুকু আপনার সিগনেচার স্টাইল।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ধুরমিয়া... পুরান কথা মনে করায়া দিলেন... ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষার আগে আম্মা যখন কড়া নজরদারী শুরু করেন তখন বই পড়তাম হাগাঘরে, বালতি পেতে... আর এস এস সির সামাজিক বিজ্ঞানের লাস্ট রিভিশন ছিল একখানা আস্ত মাসুদ্রানা... কোনটা মনে পড়ে না

এখন হাগাঘরে যাইতে হয়না, কিন্তুক বই পড়ালাগে নিশিরাইতে, সব্বাই ঘুমাইলে মন খারাপ চারদিকে কেবলই অন্ধকার... আর ভাল লাগে না ওঁয়া ওঁয়া

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সুন্দর, সাওলেই সুন্দর। রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল স্কুলে বুঝতে খুব বেশি সমস্যা হয় নি, তবে যাদের বিজ্ঞানভীতি আছে- তাদের জন্যে মনে হয় এই লেখাটা অবশ্যপাঠ্য একটা উদাহরণ হতে পারে- কত সহজে বিজ্ঞাব বোঝানো যায়, সেটার।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সুহানের কি-বোর্ডে কে আক্রমণ করছে?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কাজ হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সাওলেই ডা ক্যাডা?? চিন্তিত

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

হাততালি
মারাত্মক
অনার্যের কথায় কান দিয়েন না সাক্ষী বৌদি , এমনে করেই লিখে যান, আমি অনার্যত্তে বেশী বুজি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

ভাই অথবা বৌদি সত্যানন্দ, আপনার যে জিনিষটা এক নম্বর তা হলো লেখা নিয়ে আপনার এক্সপেরিমেন্ট করার সাহস. আপনি যেটা ভাবছেন তাই লিখছেন, লেখা পড়ার সময় মনে হয় আপনি সামনেই বসে ঘ্যানঘ্যান করছেন. এইটা একটা দুর্দান্ত গুন, কথা বলার মত করে লেখা সহজ নয়. অন্যায্যদার কথা অতি ন্যায্য, কিন্তু স্টাইল রাতারাতি পাল্টে ফেলবেন না যেন. লেখতে থাকেন এরকমই হাত খুলে. কিপ ইওর আর্মস ওপেন এন্ড ফাটায়া রাইট.

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরাপুরি একমত। চলুক
- একলহমা

তারেক অণু এর ছবি

সহমত

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি

কিপ ইওর আর্মস ওপেন এন্ড ফাটায়া রাইট.

অইত্যান্ত সুপরামর্শ, পীরবাবার নছিহত মাইনা চললেই বালা।

-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে... বালা মানে কি? মুছিবত নিহি? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি

কিপ ইওর পুংটামি অফ এন্ড ফাটাইয়া রাইট।।

-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এসব কি বুইলছে গো? পোংটামি আবার কিডা অন কইরেছে ??

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুবোধ অবোধ  এর ছবি

আর্মসe] কিপ ইওর ওপেন এন্ড ফাটায়া রাইট

আর্মস >মেশিন >……… খাইছে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

খাইছে
মেশিন দিয়া লেহুম... আঁই কি আদম??

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১।
পীরবাবা, সেই পুরাকালে, ছাত্রজীবনে একদা অন্নসংস্থানের নিমিত্তে পিচ্চি-পাচ্চা পড়াইতাম... অধিকাংশ ক্ষেত্রেই "মাস্টার" না হয়ে "ট্রেনার" হতে হত... অল্প কিছু ক্ষেত্রে মাস্টারি করা লাগত... লেখার সময় আসলেই সেই "অল্প কিছু" ছাত্র-ছাত্রী দের বোঝাচ্ছি ভেবেই লিখতে থাকি

২।
মহাগাড্ডায় পড়ে গেলাম দেখি, জাতীয় নির্বাচন টা যাক... তারপর গণভোট দিমুনি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা এর ছবি

খুব ভালো হচ্ছে এই লেখাগুলো। চমৎকার। চলুক

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুবোধ অবোধ  এর ছবি

আপনার লেখনি সেইরাম!!! উপমা গুলোও আমার কাছে ভাল লাগে । চলুক ...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখার স্টাইলটা আসলেই খুব সুন্দর। আপনি যেভাবে লিখেন, সেই জন্যই এই কাঠখোট্টা বিষয়টা এতো আগ্রহ নিয়ে পড়ি, কঠিন বিষয় আর কঠিন লাগে না। এভাবেই লিখতে থাকুন, অন্ততপক্ষে আমাদের মতো আমজনতার বুঝতে সুবিধা হবে।

-নিয়াজ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- অনেক সুন্দর বিজ্ঞান ব্লগ পড়লাম।

রঙধনু

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার এই সিরিজ আগে পড়া হয়নি। বিজ্ঞান নিয়ে আরেকজন মজারু লেখিয়ে পেয়ে গেলাম আমরা। চার হাতে লিখতে থাকেন, তবে যদি কোনদিন সুযোগ হয় একটা বইপত্র বের করে বিজ্ঞানের ছাত্রদের হাড়ের জ্বলুনি কমাবেন। বাংলাদেশে বিজ্ঞান পড়ানো হয় বড় খটোমটো পদ্ধতিতে। সচলে অনার্যের পর আরেকজনকে পেলাম রসের বিজ্ঞানে। চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

এত গুঁতাগুঁতি করলে সত্যি সত্যি বই লিখে ফেলব কিন্তু শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

বন্দনা এর ছবি

এত হিউমার নিয়ে ঘুমান কেম্নে আপনি। চলুক চলুক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ঘুমাইনা তো, দেখেন না রাত দেড়টার পোস্ট খাইছে

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

বিজ্ঞানের গল্প - বিজ্ঞানের রসালো গল্প বলাই বেশী যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে।
হিউমার আনতে গিয়ে বেলাইনে গেলে ক্ষতি নেই, আবার লাইনে ফির এলেই তো হলো! তবে সে ক্ষেত্রে বেলাইনে যাওয়ার জন্য যে সময়টুকু নষ্ট করেছেন তা পুষিয়ে দিতে হবে বেশী লিখে।
অট: প্রতি পর্বে অথবা বলে যে হেডিংটা দিচ্ছেন তার মাজেজা কী?

____________________________

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হু, উদাস'দা থাকলে বলত রসময় গল্প খাইছে

লাইনে আছি, লেখারাও লাইনে আছে হাসি

অটঃ কখনও আস্ত বই করার সুযোগ পেলে ওগুলোই চ্যাপ্টার হেডিং হবে, প্রতিটিতেই আলোচ্য বিষয়ের সাথে দূর সম্পর্কের আত্মীয়তা রাখবার চেষ্টা করেছি।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মেঘলা আকাশ এর ছবি

দাদা সাক্ষী সত্যানন্দ, ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের এমন ঝরঝরে লেখাগুলি দিয়ে একটা বই ছাপাতে হবে। এই অধমের আর্জি, নিজের জন্য নয়, বাচ্চাদের জন্য। তারা আপনার লেখার হিউমার না বুঝুক, বিজ্ঞানের সহজ ব্যাখ্যাটা বুঝলেই অনেক প্রশ্নের উত্তর থেকে বেঁচে যাই ।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আমার কিন্তু আসলেই বাচ্চাদের জন্য বিজ্ঞানের বই লেখবার ইচ্ছা আছে, একজন দয়ালু প্রকাশক যোগাড় করে দিন খালি, আমি চার হাতে না- একেবারে বিশ আঙ্গুলে খাড়া হাসি

একসময় অনেক পিচ্চিপাচ্চা পড়াইতাম... এরাই আমার লেখার প্রথম অনুপ্রেরণা...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মেঘলা আকাশ এর ছবি

অবশ্যই প্রকাশক খুঁজবো ,আমার দৌড়তো মসজিদ পর্যন্ত। তবে বাক্তিগত ভাবে আমি সাধ্যমতো contribute করতে আগ্রহী।
আপনার সেইসব পিচ্চিপাচ্চাদের কাছে ঋণী, নতুন বিজ্ঞান লেখকের জন্য।
কি যে যন্ত্রণায় আছি! আমার আট বছরের বাচ্চাকে ডাকতে হয় 'ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী মহামান্য ……………………..’ নইলে জবাব দেয় না। আর হাজারো প্রশ্নের কথা নাইবা বললাম।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি

পিচ্চির জন্য অনেক অনেক আদর, এমন পিচ্চি ঘরে ঘরে জন্মাক দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ছায়াবৃত্ত এর ছবি

অসাধারন।
রাদারফোর্ডের মডেলের এত চমৎকার এবং সহজবোধ্য ব্যাখ্যা মনে হয় এই প্রথম পড়লাম।
পূর্বে যারা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য বই লিখতে বলেছেন, তাদের সাথে সহমত।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রাদারফোর্ডের মডেল আসলে আনার ইচ্ছে ছিল না, কিন্ত এনাকে বাদ দিয়ে বোরের মডেলে যেতেও পারছিলাম না... তাই

প্রকাশক খুঁজে দিন খালি, আমি রেডি হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

প্রকাশকের ব্যবস্থা হবে। সিরিজটা আরেকটু বড় হোক। কী বিষয়ে কতটা কী কীভাবে লিখতে চান সেই হিসবেটাও মনে মনে ঠিক করে ফেলেন হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...
হায় হায়, কি কন এইসব? তামশা করতাছিলাম তো।

(যাই হিসাব করিগা দেঁতো হাসি )

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্পর্শ এর ছবি

সবাই যা বলার বলে দিয়েছে। আমি শুধু বলি চলুক চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ও আপনাকে বই লিখতে অনুরোধ করতাম, কিন্তু বাংলাদেশে তো অনুভূতিওয়ালা মানুষজন বেশি কিংবা সেইসব অনুভূতিওয়লাদের ক্ষ্যামতা ও আবার বেশি। তাই আপনার এইসব লেখা অপরিবর্তনীয় ভাবে কখনো ছাপানো যাবে না, আর ছাপালেও তসলিমা নাসরিনের মতো সৌভাগ্যবান হতে পারবেন না যে তারা আপনাকে বিদেশ পাঠিয়ে দিয়ে আপসুসের আগুনে পুড়বে , ইস কেন স্বর্গে যাওয়ার টিকেট টা কাটলাম না একজন নাস্তিককে হত্যা করে রেগে টং । বড়জোর খুব ভাগ্যবান হলে হুমায়ুন আজাদ স্যারের মতো চুরি দিয়ে তারা আপনাকে বরণ করবে। এসো এসো চুরির তলে এসো হে হো হো হো

আমি তাই সচলের নিয়ম ভেঙ্গে লেখাগুলো কপিপেষ্ট করে নিজেই প্রিন্ট দেই, আর পড়ি। আমার ছোট দুইজন খালাতো ভাই আছে স্কুলে বিজ্ঞানের ছাত্র, তাদের কে দিয়েছিলাম আপনার এই লেখা। ওরা হিউমার গুলো ঠিক মতো বুঝতে না পারলেও বিজ্ঞানটুকু বুঝেছে, কারন বিজ্ঞানকে তো এর আপনার চেয়ে সহজ করে কেউ লেখতে পারবেনা কিংবা ভাঙ্গতে পারবে না। (আপনার অনুমতি নেইনি বলে খুব বেশি লজ্জিত না, ভালো কিছু সৃষ্টিকারীকে তার সৃষ্টি ছড়িয়ে দিতে অনুমতির বোধহয় খুব একটা প্রয়োজন হয় না গড়াগড়ি দিয়া হাসি আপনার মতো হিউমার দিতে গেলাম আর হয়ে গেল সস্তা যুক্তি অ্যাঁ , আসেন আমরা সেই মানুষটার মতো বলি আমি সব্বাইকে ক্ষ্যামা করে দিয়েছি )

আপনার হিউমারগুলোই বোধহয় বিজ্ঞানকে এতো আকর্ষনীয় করে ফেলেছে। এতো রস যদি স্কুল কলেজের রসায়নে থাকতো, তাহলে আপনি বোধহয় পদার্থ না পড়ে রসায়ন পড়তেন, ভাগ্যিস রস ছিলোনা। আপনি আপনার মতোই লিখুন, আপনাকে এভাবেই বোধহয় সুশ্রী লাগে।যেখানে যান শেষ পর্যন্ত ইলেকট্রনের মতো পরমানুর কেন্দ্রে(লেখার মূল বিষয়ে) তো আসেন কিছু শক্তি হারিয়ে। আর বই ছাপাতে হলে অনুভূতিগুলোকে না হয় মুফতি হান্নাদের চুরি দিয়ে একটু কাটছাট করে ফেলতে হবে আর কি, এইটুকু ছাড় দেওয়া যায় ছাত্রদের কাছে বিজ্ঞানকে সহজ আনন্দদায়ক পাঠ করতে পারবেন বলে। ভেবে দেখবেন তাই বই প্রকাশের কথা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১।
কখনও প্রকাশ করতে চাইলে অনেক কিছু উদাস'দার মেশিনে সেন্সর করতে হবে মন খারাপ

২।
দেয়ার আগে একটু দেখে দিয়েন, ভুল্ভাল আছে কিনা

৩।
নাহ, আমার আগে থেকেই পদার্থবিজ্ঞান পছন্দ...রসায়নের নামটাই খালি রসালো... আসল রসের আধার হল পদার্থবিজ্ঞান

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।