মুহম্মদ জুবায়ের: পেয়েছি ছুটি

সন্দেশ এর ছবি
লিখেছেন সন্দেশ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৯/২০০৯ - ৭:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(মুহম্মদ জুবায়েরের মৃত্যুর পর তাঁর ল্যাপটপে এই লেখাটি পাওয়া যায়।)


রোগের নাম Pulmonary Fibrosis। ফুসফুসের ক্ষত, যার প্রতিক্রিয়ায় টিস্যুগুলি ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। লক্ষণগুলি সবই আছে পুরোমাত্রায় – শ্বাসকষ্ট, দমকা কাশি এবং ক্লান্তিবোধ। এক্সরে এবং সিটি-স্ক্যান করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই আমার রোগ।

উপশম আবিষ্কৃত হয়নি, যেহেতু আজও পর্যন্ত নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি মানুষ কেন এই রোগে আক্রান্ত হয়। কোনো বিশেষ কেমিক্যালের সংস্পর্শে এলে অথবা রেডিয়েশন থেকে এর উৎপত্তি হতে পারে বলে অনুমান করা হয়, তবে তার কোনো নিশ্চিত তথ্য-প্রমাণ নেই। ধূমপানের সঙ্গেও এর সম্পর্ক আবিষ্কারের চেষ্টা হয়েছে, তা-ও অপ্রমাণিত।

আরোগ্য যেহেতু নেই, সাময়িক কিছু উপশমের ব্যবস্থা ছাড়া চিকিৎসকদের করণীয় খুব বেশি কিছু নেই। ফুসফুসের ক্ষত সারানোর উপায় নেই বলে রোগীর অবস্থার ক্রমাবনতি হতেই থাকবে। রোগটি মারাত্মক, আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর অবশিষ্ট গড় আয়ু বড়োজোর পাঁচ বছর।

যেতে হবে, সবাইকেই হয়। আমার তা নিয়ে বিশেষ ভাবনা, দুশ্চিন্তা, ভয় কিছুই নেই। জানার পর থেকে একটি বিষয়ে নিজেকে সংকটাপন্ন মনে হচ্ছে – বাড়ির সবাইকে, বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের কাছে, কীভাবে খবরটা প্রকাশ করবো? অনেকটা যেন দিনতারিখ বলে দেওয়া, কবে যাবো!

আজ সন্ধ্যায় বলে ফেলবো ভাবছিলাম। হয়নি। তখন বাড়িতে ছোটোখাটো একটা আনন্দের আবহ। ডোরা-অর্ণব তাদের মায়ের সঙ্গে মলে গিয়েছিলো বিকেলে। আমার জন্যে পারফিউম-আফটার শেভ ইত্যাদির একটা সেট কিনে এনেছে। নটিকা। আমার পছন্দ হয়েছে জেনে খুব খুশি তারা। দুই ছেলেমেয়েকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলাম। ওরা জানে না, আমি জানি, এই ভাগ্য আর খুব বেশিদিন আমার হবে না। তবু এই মুহূর্তটা স্থায়ী হোক, যতোটা সম্ভব।

দু’দিন আগে ডোরা তার মায়ের জন্যে গোপনে ডায়মন্ডের একজোড়া কানের দুল কিনে আমার কাছে গচ্ছিত রেখেছিলো, তা বের করে দেওয়া হলো। কী এক আনন্দময় সময়, আমি ভেতরে ভেতরে নিদারুণ ও ভয়ংকর একটা গোপন কথা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। এখন বলা যায় না, এই মুহূর্তটি থাক, দীর্ঘায়িত হোক। আমি তো আর কালই যাচ্ছি না!

তবু একসময় বলতে হবে। কীভাবে জানি না। কতো অসমাপ্ত কাজ আছে, থেকে যাবে। সেগুলি তেমন মনেও পড়ে না। কতো যে সাধ ছিলো, অপূর্ণ থেকে যাবে। থাক, কিছু এসে যায় না। শুধু ছেলেমেয়ে দুটির মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকি, আমার ভেতরটা ভেঙে পড়তে চায়।

নভেম্বর ১৭, ২০০৭


আজ বিকেলে সবাই যখন বাইরে ছিলো, আমি আমার যাবতীয় লেখালেখির ফাইলগুলো এক ফ্ল্যাশ ড্রাইভ থেকে অন্য একটাতে স্থানান্তর করছিলাম। কীভাবে কী হলো জানি না, সবগুলো ফাইল উধাও। ক্ষয়ক্ষতি খুব বেশি না হলেও খুব কমও নয়। প্রকাশিত লেখাগুলির ব্যাকআপ কপিগুলি আছে, বেশিরভাগই ব্লগে তোলা আছে। যা হারালো তা খুব সাম্প্রতিক কিছু লেখা আর টুকে রাখা সব ভাবনা, পরিকল্পনার নোটগুলি।

প্রতীকী মনে হলো খুব। আমি নিজে অস্তমিত হয়ে যাচ্ছি, লেখাগুলি হারালে কী আর এমন ক্ষতি?

নভেম্বর ১৭, ২০০৭


দুপুরে অফিসের নির্ধারিত ধূমপানের জায়গায় গিয়ে দেখি জটলা অন্যদিনের তুলনায় কিছু কমই। তবু বড়ো বেশি কোলাহলময় মনে হলো। এক ভদ্রমহিলা উচ্চকণ্ঠে তার কাহিনী শোনাচ্ছে কয়েকজন সহকর্মীকে। কী নিয়ে কথা, মনোযোগ দিয়ে শুনিনি। খুব বিরক্ত লাগছিলো। উচ্চকণ্ঠের কথা আমার কোনো কালে ভালো লাগে না, কান এবং মন দুই-ই খুব পীড়িত হয়। হঠাৎ মনে হলো, কিছু দিন পরে মানুষের কণ্ঠস্বর আর আমার কানে পৌঁছবে না। তখন শুধু চিরনৈঃশব্দ, ক্রমশ, তার নিকটবর্তী হচ্ছি!

নভেম্বর ১৯, ২০০৭


* লেখায় রেটিং না দেয়ার অনুরোধ রইলো।


মন্তব্য

নিঘাত তিথি এর ছবি

.............................................
সব জেনেও এমন নীরবতা.....
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

শ্রদ্ধা

অনেক সময় নিরবতাই বলে দেয় অনেক কথা @ তিথি ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

......................

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

_প্রজাপতি এর ছবি

---------------------------------------------
-------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

তানভীর এর ছবি

মনে হলো অনেক দিন পর জুবায়ের ভাই পোস্ট দিলেন। মাঝে শুধু সাময়িক বিরতি ছিল।

ধূমপানের সঙ্গেও এর সম্পর্ক আবিষ্কারের চেষ্টা হয়েছে, তা-ও অপ্রমাণিত।

ধূমপান থেকেই যে তাঁর এ রোগ হয়েছে এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। অসুস্থ হবার আগে আমি জুবায়ের ভাইয়ের সাথে একদিন ঘণ্টা দেড়েক ছিলাম। ওইটুকু সময়ে সারাক্ষণ তাঁর হাতে সিগারেট ধরা ছিল। ক'টা খেয়েছেন গুনে দেখিনি, তবে বাড়াবাড়ি রকমের ধূমপায়ী ছিলেন- এটুকু খেয়াল করেছি। এখন মনে পড়ছে ধূমপানে যাতে সুবিধা হয় এজন্য আমাকে নিয়ে তিনি স্টারবাকসের বাইরে খোলা জায়গায় বসেছিলেন। ইস, তখন কী আর জানতাম!

রেনেট এর ছবি

আর কত কাঁদাবেন, জুবায়ের ভাই?

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

...............................

---------------------
আমার ফ্লিকার

দ্রোহী এর ছবি

..................

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

উনার মৃত্যু হয়নি, হবেনা।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি দুবছর ধুমপায়ী ছিলাম। শুধু ততটুকুতেই যা ক্ষতি হবার হয়ে গিয়েছে। সেদিন ব্রেথ টেস্ট দিতে গিয়ে বুঝতে পারলাম কতটা খারাপ জিনিসটা। জুবায়ের ভাইয়ের মত বুদ্ধিমান মানুষ যে কেন ধুমপান ছেড়ে দিতে পারেননি সেটা ভেবে রাগ হয় তার উপর মাঝে মাঝে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধুমপায়ীরা একটা অজুহাত দেয় মাঝে মাঝে: ৫০ বছরের জায়গায় নাহয় ৪৫ বছর বাঁচব, তাতে কি এমন ক্ষতি হবে? আসলে আমাদের জীবনটাই তো একটা লীজ নেয়া জমি। বিভিন্ন কায়দায় সেই লীজ যত বাড়ানো যায় প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে ততটুকুই বেশী থাকা যাবে। এইটাই লাভ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

যা হারালো তা খুব সাম্প্রতিক কিছু লেখা আর টুকে রাখা সব ভাবনা, পরিকল্পনার নোটগুলি।

প্রতীকী মনে হলো খুব। আমি নিজে অস্তমিত হয়ে যাচ্ছি, লেখাগুলি হারালে কী আর এমন ক্ষতি?

ইশ ! কী অসাধারণ করে বললেন ...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

পলাশ দত্ত এর ছবি

জেনেও এইভাবে চেপে রাখা। সবাই পারে না। সবাই পারে না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অরুণ চৌধুরী, ঢাকা এর ছবি

আমি জানি না, কিভাবে, কার কাছ থেকে, কেমন করে অনুমোদন নিতে হবে।
ল্যাপ টপে রাখা জুবায়েরের শেষ তিন স্লিপ লেখা পড়ে একটা ভিডিও-ছবি তৈরি করতে ইচ্ছে হচ্ছে । বন্ধুটা আমাদের অনেক কষ্ট দিলো। এই অসাধারণ মেধাবী মানুষটির ব্লগে ছড়িয়ে দেয়া কষ্টগুলো আরো সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

প্রথমটুকুর পরে আর পড়তে পারলাম না।
কী অসহায় আমরা! কী ভয়ংকর অসহায়!!

অতিথি লেখক এর ছবি

বিনম্র শ্রদ্ধা।

রেনেসাঁ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হায় জুবায়ের ভাই... ঠিক নিজের মতো করেই লিখে গেলেন অমোঘ সত্যগুলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

লেখাটা পড়ে শেষ করতে পারলাম না একবারও... কয়েকবার চেষ্টা করে এবার ক্ষান্ত দিলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রায়হান আবীর এর ছবি

আমারও মনে হলো জুবায়ের ভাইয়ের নতুন লেখা পড়ছি ...


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

...

রণদীপম বসু এর ছবি

ভয়ঙ্কর ব্যাপার !
মৃত্যুর পরোয়ানা হাতে নিয়ে একটা লোক এমন সাবলীল লেখা লিখে যায় কী করে !

জুবায়ের ভাই কোন সাধারণ লোক ছিলেন না ! অন্য কিছু, অন্য কেউ !

আমার কলমটা নতজানু থাক তাঁর অমর অক্ষরগুলোর প্রতি.....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

........

স্বাধীন এর ছবি

তখন শুধু চিরনৈঃশব্দ, ক্রমশ, তার নিকটবর্তী হচ্ছি!

আমরা সকলেই সে'দিকে ধাবিত হচ্ছি, কেউ কিছুটা আগে আর কেউ কিছুটা পরে।

অন্তিম প্রয়াণকে সকলেই সহজে গ্রহন করতে পারে না। রণ'দার সাথে আমি বলবো জুবায়ের ভাই কোন সাধারন ব্যক্তি ছিলেন না। এই মানুষগুলো পৃথিবীতে জন্ম নেয় বলেই সভ্যতা এগিয়ে যায়। উনার প্রতি রইল সব সময়ের জন্য অশেষ শ্রদ্ধা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি নূতন, কিন্ত আপনাদের মত আমারও চোখ ঝাপসা আসে।

দলছুট।

অতিথি লেখক এর ছবি

কলেজে বাংলা ক্লাসে এসে স্যার এসে প্রথম যে কথাটি জিজ্ঞেস করলেন সেটা হল"আখতারুজ্জামান ইলিয়াস" কে , কে কে চেন? সেই প্রথম শুনেছিলাম তার নাম তারপর পড়া হয়েছিল তার বই তার লেখা, সচলে এসে আজকে জানলাম জুবায়ের ভাই ও বগুড়ার। কিছু লেখা ও পড়লাম ভাল লাগল। কাছের মানুষগুলো লাছ তথাকলে বোঝা যায় না তারা আসলে কত বড়। যখন জানলাম জুবায়ের ভাইকে তখন অনেক দূরে চলে গেছেন, যোগাযোগের জন্য এখন শুধু তার লেখাগুলোই আমার কাছে আছে...

গরীব
সাউথ কোরিয়া

সুধীর এর ছবি

প্রাণদন্ডপ্রাপ্ত আসামী আর মৃত্যুবার্তাপ্রাপ্ত রোগী, দুজনই এক দিক দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন। তাঁরা যাত্রার জন্য প্রস্তুত হতে পারেন। আমাদের অধিকাংশকে হয়তো যা-তা ভাবে অগোছালো সংসার রেখে চলে যেতে হবে।

জাহানারা ইমাম একাত্তুরের দিনগুলিতে যেমন নির্মোহ, নিরাসক্ত সহজ প্রকাশভঙ্গী দিয়েও অন্তরের অন্তঃস্থলে চলে গেছেন, মুহাম্মদ জুবায়েরের এই লেখাও তেমনি আশ্চর্য সরলতার সাথে সোজাসুজি আমাদের হৃদয়ে প্রবিষ্ট হয়।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমি তাঁর বিষয়ে বিশদ জানি না। তবে বুঝা যাচ্ছে তিনি ভালো লিখতেন। তিনি কি এখানে ব্লগিং করতেন? তার লেখা অন্তর্জালে পাওয়া যাবে?

শান্তিতে থাকুক মন্মৃয়।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

রানা মেহের এর ছবি

-----------------------------
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ভাবছি। এই লাইনগুলো যখন তিনি লিখছিলেন, সে সময়ের কথা। কী ভয়াবহ বিষণ্ণ!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সৌরভ এর ছবি

এইসব লেখায় কমেন্ট করার সাহস নেই। যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, জুবায়ের ভাই।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

থার্ড আই এর ছবি

অগ্রজ লেখক জুবায়ের ভাইয়ের জন্য শ্রদ্ধা ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

তানবীরা এর ছবি

------------------------------------
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অনিকেত এর ছবি

--------

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

মন খারাপ
বড় বেশি নিষ্ঠুরতর, মরণোত্তর এইসব পরিচয়!

হায়!

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

Shahidul Mamun এর ছবি

I came late into Sachalayatan. It is very wonderful to see how a man like Jubaer enkindled many of the fellow men of his time. It is not easy to bore hole into other people's minds. I wonder whether such welter of emotions expressed by his admirers would have been approved by the man who seems to have had an apparently dispassionate life. I also do not understand why his tragic-looking face should appear on the top of the blog.

What I feel is that some of his representative writing should be collected in a single link page or even in a PDF file and should be made easily accessible to the readers. It is not enough to reminisce about the man you love and admire. It is also important to recognize how you evaluate his works. Reminiscence is personal; evaluation [criticism] is public.

When I read his latest diary entries, I felt that he was an exceptionally emotional man - just that his emotions have many layers before it would be fully revealed to an unwary reader. I felt rather strong after seeing how he struggled with himself while still keeping a veneer of "all is alright". It was heroic.

I particularly liked his November 19 entry. There is a possibility that he had a feeling that death brings a total annihilation of being. Was he an agnostic? His fear of the uproar from the news of his illness would cause among others only makes Jubaer appear more human. We all have our own personal moments of greatness - Jubaer was no exception.

মাহবুবুল হক এর ছবি

হায় জীবন এত ছোট কেনে এ ভুবনে ।

.................................................................................................
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

... ... ... ... ... মন খারাপ

-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

...
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

বিপ্লব রহমান এর ছবি

জুবায়ের ভাইকে শ্রদ্ধা ।। শ্রদ্ধা


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কম্পিউটারের পুরনো ফোল্ডারে চোখ বুলাচ্ছিলাম। সচলায়তনের একটা প্রিন্টস্ক্রিণে চোখ আঁটকে গেলো, সম্ভবতঃ ১২/১৩ অগাস্ট -২০০৮, অভ্র ইনস্টল করলে সচলায়তন কেমন দেখায় সেটা কোনো বন্ধুকে মেইলে পাঠাচ্ছিলাম।
আজ ছবিটির "অনলাইনে যারা" কলামে চোখ পড়লো।
এমনটি আর কখনোই হবে না...

MZ

s-s এর ছবি

জুবায়ের ভাইয়ের লেখাগুলো, তাঁর মতই জীবন্ত।
বীতস্পৃহ কিন্তু জীবন্ত।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

কি লিখবো বুঝতে পারছি না। অদ্ভুত একটা কষ্ট হচ্ছে। কিছু অনুভুতি ভাষার সীমার বাহিরে থাকে। অন্তত ভাষায় তাকে প্রকাশ করা যায় না মন খারাপ

মুশফিকা মুমু এর ছবি

মন খারাপ ...................................

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কীর্তিনাশা এর ছবি

...........

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা আগেই দেখেছি।পড়ার সাহস হয়নি।আজ শেষ থেকে পড়লাম।আমি নুতন।আমারও পড়তে ভীষণ কষ্ট হল, বারবার চোখ ঝাপসা হল।

জুবায়ের ভাইয়ের জন্য শ্রদ্ধা।

নৈশী।

আসমানী-মডু এর ছবি

নীড়পাতার বৈচিত্র্য রক্ষায় স্টিকি সরানো হলেও জুবায়ের ভাইয়ের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকবে সারাজীবন। জুবায়ের ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

মানুষের কাজ মানুষকে হারাতে দেয় না। উনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।

--------------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

নাশতারান এর ছবি

শ্রদ্ধা

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্যি বলতে ব্লগ জিনিসটা যে কি , তা বোঝার জন্য খুব বেশি সময় পাই নি । মুহম্মদ জুবায়ের, ওনার আর কোন ব্লগ পড়ার সুযোগ হয় নি । কিন্তু , এই লেখা ... কি অসাধারন শক্তিশালী শব্দরাজি ... আর কি বিষন্নতা ছেয়ে গেল পুরো মন জুড়ে !

আপনাকে চেনার সুযোগ হল না। কিন্তু আমি আপনাকে মিস করব, এতে কোন সন্দেহ নেই । আমার দীর্ঘশ্বাস, আমার বিষন্নতা আপনাকে উৎসর্গ করলাম । যেখানেই থাকুন , ভাল থাকুন । শ্রদ্ধা নিন এই নবীনের ।

অন্যদের প্রতিঃ আসুন ধূমপান ত্যাগ করি।

সপ্তম

_i@7

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

...

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।