লেখাখেলা ... ০১

সাইফুল আকবর খান এর ছবি
লিখেছেন সাইফুল আকবর খান (তারিখ: বুধ, ০৩/০২/২০১০ - ১০:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার লেখাই তেমন পড়ে না লোকে, তার মধ্যে আবার বলে পড়বে সেই লেখা নিয়ে লেখা! নিজের লেখালিখির গল্প মানুষ করে শরীর আর লেখনী দুই-ই যথেষ্ট বয়োজ্যেষ্ঠ হ'লে। আমি এখনও এমন কোনোকিছুই ক'রে দেখাইনি বা লিখে পড়াইনি, আরো ঠিক জায়গায় গিয়ে বললে আমি আসোলেই এমন কোনোকিছু হয়েই উঠিনি, কিলিয়ে বা পুড়িয়ে এমন কিছুই পাকাইওনি, যে আমার হয়ে ওঠার গল্প, বা আরো নির্দিষ্ট ক'রে আমার লেখার গল্প মানুষ বা পাঠকের চোখে তেমন রুচবে। হ্যাঁ, এটাও এমন কোনো তথ্য না, যা আপনার জানাবোঝা ছিলো না বা যা আমি বিশেষ জাদুকরি নৈপূণ্যে আপনাদের সামনে এইমাত্র উন্মোচন করলাম! হুম্, এই অংশটা ডিসক্লোজার না, অবশ্যই ডিসক্লেইমার।

বলতে কি, এই পুচকে হাতেই হাতের গল্প লিখতে এই সময়টাতে ইচ্ছে করছে বেশ, আতেলা মাথার ভেতরই একটা পোকা ঢুকেছে মাথার কথা বলিয়ে নেবে ব'লে। সেটা কেন, তা যদি আপনি প্রথম-দ্বিতীয় কিংবা ষষ্ঠ-সপ্তম যেকোনো ইন্দ্রিয়েরই কল্যাণে ইতিমধ্যে বুঝে গিয়ে থাকেন তো বুঝলেনই; তবে অন্য কেউ বা আপনিই যদি এখনও না বুঝে থাকেন, তো আর আকালের কালে অ্যালজাব্রা বোঝানোর মতো কষ্ট না করি বা আপনাকেও না দিই। তারচে' বরং এই সিগন্যালটা জ্ব'লে থাকতে থাকতে গল্পপথের জেব্রা ক্রসিংটা পার হই। আমার সাথে যে যে যাবেন চলুন, আসুন। আর না-গেলে, ভালো থাকবেন, পরে এক না একদিন নিশ্চয়ই আবার দেখা হয়ে যাবে তেপ্পান্ন হাজার গলির এই ছোট্ট শহরের কোথাও না কোথাও। তবে, নিজের ভালোর জন্য, রাগ না ক'রে সুস্থির মাথায় সুচিন্তিত পায়ে, সাবধানে যেয়েন।

আমি হবো পাইলট,
বিমান করবে কটকট।
আমার খেলা হ'লো শেষ,
তোমার কথা সুন্দর বেশ।
সুন্দর কথা শুনে ভাই-
ধন্যবাদ দেবে সবাই।

হ্যাঁ, শুরুটা হয়েছিলো এমনই গল্পপ্রতিম বিরল প্রতিভার এক বিকট স্ফূরণ দিয়ে! আপনি যেমন এখন এই ছড়া(!)/কবিতা(!) প'ড়ে তাচ্ছিল্যের সাথে হাসছেন নিজে নিজে, হাসির ধারা প্রায় তেমনটাই ঝরেছিলো আমার বাড়ির লোকেদেরও। তবে, নিজেদের ছেলের নিজঘরবদ্ধ কাণ্ড ব'লে তাচ্ছিল্যের বদলে স্নেহ-প্রশ্রয়ের ভাগ বুঝিবা একটু বেশিই ছিলো তাদের সেই ঠোঁট গোল করা হাসির রাশিতে।

ঘটনার কাল আমার ক্লাস ওয়ান, সাল ১৯৮৪। আমার তত্কালীন নার্সারি-কেজি-হীন শহরে ক্লাস ওয়ান-ই অবশ্য শুরু করেছিলাম সাড়ে পাঁচ বছর বয়সে। আর, অনুঘটকও না, বরং ঘটকই বলা উচিত, আমার বড়মামা। আমার মাতুলগোষ্ঠীর রক্তে কর্কটের নিয়মিত হানায়, আমার দেখা জ্যান্ত মানুষগুলোর মধ্যে বড়মামাই প্রথম বিদায় নেয় এই হেঁয়ালির পৃথিবী থেকে, আমার নানারও আগে। কিন্তু, আমার লেখাখেলার গল্প বলছি আর আমার বড়মামা আজকের জন্যও বেঁচে উঠে আসবে না- এমনটি কোনোভাবেই হওয়ার নয়। লালচে আলোর সেই ক্ষীণ মফস্বলে সেই সেকালেও মামা নিজের গরজে খরচে, দিনের পর দিন নিজেই গতর খেটে, বন্ধু-অনুজদেরকে উত্সাহ-সাহস-রসদের সহযোগিতায় ঠেলে খেদিয়ে, লিখিয়ে আর নিজেও লিখে লিখে, বের করতো ছোট ছোট সাহিত্য পত্রিকা; তার চ'লে যাওয়ার এতকাল পরে রাজধানীর বাজারে যার গ্ল্যামারাস নাম শুনলাম এসে 'লিট্ল ম্যাগ' ব'লে।

মামার ভীষণ আগ্রহ ছিলো আনআইডেন্টিফাইড ফ্লায়িং অবজেক্টস (ইউফো), সসার জাতীয় শব্দ আর প্রসঙ্গ-অনুসঙ্গে। তার বের করা প্রথম ছোটকাগজের নামও ছিলো 'ইউফো'। হাতের কড়ের সব হিসাবের বাইরের কথাবার্তা শুনে মামাকে পাগল মনে হ'তো মাঝেমধ্যেই, আমাদের দেখা বা প্রত্যক্ষ জানার গণ্ডি তখন আরো ভয়াবহ ছোট ছিলো ব'লেই নিশ্চয়ই। আকাশের চাঁদ-তারা-বিমান-ধূমকেতুতে হা-মুখ অবাক হয়ে, জ্বলে জ্বলে ওঠা আলো-আকাশের আসক্তিতে সেই ছোট্ট ঘাড়ে ব্যথা করতে করতে আমরা দু'ভাই বড়মামাকেই প্রশ্ন করতাম একের পর এক। এক ফুট অন্ধকারকেও বিপদ মনে করতে করতে গা-ছমছম ভয় নিয়ে তার কাছেই আমরা প্রথম শুনি ড্রাকুলা'র কথা। ইরানি সংস্কৃতির 'নিউজলেটার' আর রুশ সংস্কৃতির 'উদয়ন' তাকেই প্রথম পড়তে দেখেছি। নেত্রকোণায় বুঝিবা মামা একাই গ্রাহক ছিলো ওইসব বড়দের খাবারের, কে জানে! পরে, পাঁচ বছর বয়সেই বাবাকে হারানো তার (মামার) বড় ছেলেটা আরো একটু কম বয়স থেকেই তার নিজের বুদ্ধিতেই নিজের জীবনের লক্ষ্য ধ'রে নিয়েছিলো ট্রাক ড্রাইভার হওয়াটাকে, কারণ ট্রাকের ভেতর ইঞ্জিন আছে, সেখানে মোটরও আছে, আর এমন সব যন্ত্রকৌশল তার জানতেই হবে যেকোনো মূল্যে। এখন অবশ্য সেই ছেলে ক্যাডেট কলেজে পড়ছে, আর চিন্তা করছে পড়া শেষে অবশ্যই এয়ারফোর্সে ঢুকবে, কমিশনড পাইলট-ই হবে।

পাইলট হওয়া আমার হয়নি। কিন্তু, ওই যে বলছিলাম সেই ১৯৮৪ সালের গল্প, সেই "আমি হবো পাইলট, বিমান করবে কটকট"টা আমার হয়েছিলো সেই মামার কারণেই। আমার আম্মা নাকি ক্লাস ফোর-এ পড়া অবস্থায় কোনো ব্যাকরণ না শুনেই নিজে হারমোনিয়াম টিপে টিপে গানের সুর তুলে ফেলতেন! এমনকি, ক্লাস ফাইভে থাকতে নাকি একটা 'উপন্যাস'এর পাণ্ডুলিপিও লিখে ফেলেছিলেন! এ গল্প শুনেছি আমরা একটু ক'রে বড় হ'তে হ'তে আম্মার নিজেরই লজ্জারাঙা মুখের বয়ানে, তবে নানাভাইয়ের নগদ সাক্ষাত সত্যায়ন-সহ। নানাভাইও কথায় কথায় কাঁচাপাকা ছড়া কাটতেন অনেক বেলাই অবলীলায়। অবশ্য, নানাভাই কিংবা আম্মা ওইসব পোকা আগে ঢোকাননি আমাদের সেই ছোটবেলার পড়ার মাথায়।

ঢুকে গিয়েছিলো বড়মামা, নিজেই পোকা হয়ে। মামা আমাদের দু'ভাইকে তার শিশু-উপযোগী লেখা কিছু তখনই প'ড়ে শোনাতো অল্পবিস্তর। আমরা মজা পেতাম, তার অন্যান্য আরো বিষয়ের মতো এই লেখালিখির বিষয়েও। তো, একদিন উল্টো আমাকেই ধরলো মামা। আমি তো বোকা হয়ে গেলাম, লজ্জায় পুরো কাঁই হয়ে গেলাম। মামা খুব ক'রে বললো আমাকে, বারবার লোভ দেখিয়ে বুঝালো- "তোমার বুদ্ধি আছে, তুমি পারবা, দ্যাখো তো, এই নাও কাগজ-কলম, নিজের মতো ক'রে একটা কিছু লেখো, যা তোমার মনে আসে ..."। হ্যাঁ, আমার মনে তখনকার সেই সত্যি ইচ্ছেটাই এসেছিলো, যেটা কিছুক্ষণের চেষ্টায় অমন সরল বিশ্বাসে সরলতর শব্দপ্রয়োগে সরলতম বোকামিতে সেদিন সেই কাগজে নামিয়েই ছেড়েছিলাম। মনে আছে এখনও- 'কটকট' পর্যন্ত ওই প্রথম দু'লাইন আরামে মিলে চ'লে এসেছিলো মনের ইচ্ছে থেকেই, স্বপ্ন-চিন্তার স্বতস্ফূর্ত ভাষারূপ হিসেবেই। কিন্তু, ওইটুকুতেই ছেড়ে দেয়াটা নিজের কাছেই একটা লজ্জাজনক পরাজয় মনে হচ্ছিলো, তাই কিছুক্ষণের কষ্টকল্পনায়, কাঁচাহাতেও দর্জিগিরি ভাবনার ছাপ ফুটিয়ে কোনোমতে গাছে-মাছে মিলিয়ে নিয়েছিলাম সেই বিখ্যাত বিশেষ প্রথম কবি-তা'র শেষ চারটি পা-ও। তো, কাজের মধ্যে কাজ হ'লো- সেই থেকে সেই 'কটকট' আর আমার থামলো না। ...


[তাই, এই পোস্ট-ও এখানেই থামছে না। অন্তত আরো কয়েকটা পোস্ট সিরিজ আকারে চলবে।]


মন্তব্য

কনফুসিয়াস এর ছবি

এরকম গল্প শুনতে খুব ভাল লাগে। সিরিজ চলতে থাকুক। হাসি

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হাসি

অনেক ধন্যবাদ কনফুসিয়াস।
হ্যাঁ, চালানোর আশা করছি। দেখা যাক। সাথে আছেন জানলাম।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

থ্যাংকস বস! হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

বাউলিয়ানা এর ছবি

সিরিজ চলুক হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

চলবে, আমি আশাবাদী। দেঁতো হাসি
অনেক ধন্যবাদ।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নাশতারান এর ছবি

চলতে থাকুক।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

থাকবে। মানে, চলতে থাকবে।
ধন্যবাদ বুনোহাস। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আশরাফুল আলম রাসেল এর ছবি

অসম্ভব ভালো লাগলো। বলা ভালো অসম্ভবকে ভালো লাগলো। কারণ, বর্ণনার এই ধার আমার নেই। লিখতে চেষ্টা করেও ফিরতে হয়েছে বার বার। আমি কলেজ পেরিয়ে গেলেও চেষ্টাটাকে ফেলে এসেছি সেই বয়সেই। এখনও সেটা অসম্ভবই আমার কাছে। পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

আমি অতিথি তোমার দেশে.....

আমি অতিথি তোমার দেশে.....

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হাসি চেষ্টা পুনর্চালু দাও। ধার আসছে, আসবে, সংগ্রাম চলবে চলবে।
অনেক ধন্যবাদ, এই খোলা শংসার জন্য।
অপেক্ষায় থাকা কি আর আমাদের সম্ভব হয়, বলো! আমাদের কি আর কাজ থাকে না?! দেঁতো হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

ভাগ্যিস "কটকট" টুকু থামেনি ... হাসি
পোস্ট পড়তে গিয়ে আমার প্রথম কটকটানির কথাও মনে পড়ে গেল -

ছোট বোন মৌলি
চায় শুধু তৌলি
গোছলের উৎপাত
খায় শুধু দুধভাত

কিন্তু যাকে ঘিরে কিছুমিছুটা সৃষ্টি হল, তাকে শোনানোর পর তিনি গাল ফুলিয়ে, কপাল কুচকে বললেন -
দিদিভাই ছড়া ভুল, আমি দুধভাত খাইনা মন খারাপ
দুধে সেই ছোট্টবেলা থেকে আজ অবধি উনার চ্রম বিরক্তি।

আপনার বর্ণনার ধরণ বেশ লাগে।
সিরিজটি যেন হুটহাট থেমে না যায়, এটুকু প্রত্যাশা রইলো।

------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

কমপ্লিমেন্টের জন্য তো বটেই, মোক্ষম উপলক্ষটাতে আপনার কটকটানিটাও শেয়ার করেছেন ব'লেও অসংখ্য ধন্যবাদ মউ। মজা পেলাম আপনারটাতেও।

আমার স্কুলের বেস্ট-ফ্রেন্ডের-টাও শোনেন তবে।

আমার নাম রুবাই,
যাবো আমি দুবাই।
আমার বোন মুক্তি,
তার সাথেই যুক্তি।

দেঁতো হাসি

হুটহাট থেমে না যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আমার। আর আপনারা তো আছেনই। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মৃত্তিকা এর ছবি

লেখাটা ভীষণ ভালো লাগলো। পুরোনো আমলের একটা গন্ধ পাওয়া যায়.......মানে পুরোনো দিনের ছবি ভেসে ওঠে আর কি।
পরেরগুলোও আশা করি এমন হবে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অনেক সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ মৃত্তিকা।
হুউম্। আমিও লিখতে লিখতে সেই ছোটবেলার বড় তীক্ষ্ন তীব্র গন্ধগুলো পাচ্ছিলাম।
হবে হবে, আপনারাও সাথে থাকলে না হয়ে যাবে কই? হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

উরে ... পড়ে বেশ মজা লাগতাসে। আরো দুয়েক পর্ব দ্যান্না। মামা-কাহিনী শুনি আরো...

_________________________________________

সেরিওজা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

'মামা-কাহিনী' কথাটা ভালো বলেছো, কিন্তু আমার মামা-টা বেঁচে নেই রে সুহান।
ধন্যবাদ, মজা-লাগা জানিয়ে যাওয়ার জন্য।

হ্যাঁ, দেবো আরো। মোটামুটি কামিং সুন! হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বেশ তো, লেখক হয়ে ওঠার একটা পটভূমি জানা গেলো! পরের পর্বে নিশ্চয় কোনো বালিকা আসবে! হাসি সিরিজ চলুক!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

তোমার যে বিয়ের বয়স হয়েছে, এটা আর কী কী ব'লে সবাইকে মনে করাতে চাও, বলো! খাইছে

বালিকা আসবে না তেমন বলছি না। তবে, একদম পরবর্তী পর্বেই হয়তো না, আরেকটু অপেক্ষা করতে হ'তে পারে তোমার। হাসি তবু, স্টে টিউনড!

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ঠিক্কাছে!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

দুর্দান্ত এর ছবি

লালচে আলো, ইউফো, উদয়ন, ঠিক ঠিক মিলে যাচ্ছে। মনে হয় আশির দশকের গোড়ার দিকের চেনা সাইনবোর্ড এগুলো। সেসময় মামাদের মাথার পোকা থাকতো বলেই তারা আমাদের জীবনের এত বড় মানুষ। একালের পিচকিদের মামারা পোকা পাবে কোথায়? সোভিয়েত দেশটাই তো নেই।
--
আপনার লেখাটা মাশায় সকালে উঠে দুই কিলো জগিং এর মত। ঘিলুটা একটু ঘামে, কিন্তু ফিলিংটা হয় ঝরঝরে, বেশ কিছুক্ষন তার মজাদার ঝিমটা রয়ে যায়। আফশোস, আমার ঘিলুটা রক্ত পাম্প করে না। তা না হলে বলতাম প্রতিদিন এরকম লেখা এমন করে লিখুন, যেন পড়তে আধ ঘন্টা লাগে।
--
সিরিজের ফ্যানক্লাবে নাম ওঠালাম।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আপনিও ভাই বলেন কিন্তু সেরাম ক'রে! যেই উপমা দিলেন, আমি তো অবাক হয়ে ওবামা হয়ে গ্যালাম! দেঁতো হাসি

অনেক দুর্দান্ত ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দুর্দান্ত একটা লেখার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছ ভূমিকা দিয়ে
ওই আলগা বিনয়যুক্ত ভূমিকাটা ডিলিট করে লেখাটাকে স্বতন্ত্র আর স্বাবলম্বী হতে দাও

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বস! তবু, ভাগ্যে, কতোকাল পরে আপনাকে দেখলাম আমার পোস্টে! বারোটা বাজলেও ভাল্লাগতেছে এই কারণে, যে আপনি এসে এইটুক বললেন! হাসি
অনেক সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ আর ঋণীবাদ জানাইলাম।

ওইটারে বিনয় বলেন আর যা-ই বলেন, আমার সম্বলই তো ওইটুকু, বস!
কিছু মনে কইরেন না প্লিজ, এইটার যেহেতু বারোটা বেজেই গ্যাছে, এইটার টাইম আর না পেছাই। নেক্সট টাইম থেকে এই ব্যাপারটাও অবশ্যই মাথায় রাখার চেষ্টা করবো।

না বস, একটুও হালকা দেখি নাই। সিরিয়াস লেসন হিসেবেই নিলাম আপনার রিমার্ক। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

শংসা প্রকাশের বাক্যে টান পড়ে যায়, তাই কখনোই সেভাবে ভাব প্রকাশ হয়ে উঠে না।

লীলেন্দা'র কথাটা মানতে পারেন চাইলে।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না, অনুচ্চারণ থেকেও আমি বুঝে নিয়েছি আমার শংসা।
অনেক ধন্যবাদ।
আর, লীলেন ভাইয়ের কথার ব্যাপারে আমার সবিনয় উত্তর দ্রষ্টব্য। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুমন সুপান্থ এর ছবি

তোমার লেখাটা খুব ভালো লাগলো সাইফুল । আমি এইরকম লেখার খুব ভক্ত। সিরিজটা চলুক ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বেশ সম্মানিত বোধ করলাম দাদা। সত্যি।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
জ্বি, চলবে। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কটকট থামে নাই ভাগ্যিস... হাসি

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হাসি
থ্যাংক ইউ মিস!

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

সিরিজ চলুক। ভাল লাগছে পড়তে হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ধন্যবাদ আনন্দী। আনন্দ লাগছে, জেনে। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

ওডিন এর ছবি

লেখা নিয়ে লেখা পড়তে তো ভালোই লাগছে। হাসি

'উদয়ন' আমার মামারাও পড়তেন। আমার মনে আছে উদয়নে একবার ইউএফও নিয়ে একটা বিশেষ সংখ্যা বের করেছিলো। অ্যাপারেন্টলি ঝাপ্সা ঝাপ্সা পিরিচ আর সিলিন্ডার আকৃতির কিছু জিনিসপত্রের ছবি ছিলো সেইটাতে।

'ত্রিধা' পড়া শুরু করলাম। এখনো ত্রিধাবিভক্ত আছি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ওডিন।
হুউম, আমিও এদিকে অপেক্ষায় আছি- ত্রিধা-গ্রস্ততার শেষ অধঃক্ষেপটা কি থাকে শুনতে। মন খুলে ব'লেন প'ড়ে, কেমন লাগলো। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।