ডিসক্লেইমারঃ এই পোস্টের কোন ছবি কোন রকম পোস্ট প্রসেসিং করা হয়নাই।
পায়ের তলায় সর্ষে অলা এক পর্যটকের ভয়ে আজকাল সচলে ভ্রমণ ব্লগ দিতে কলিজা লাগে, ডুপ্লিকেট পোস্ট হয়ে যায় কিনা এই আশংকায়। অনেকদিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরে ধারণা হইল, উনার পাসপোর্টে সীল ছাপ্পরের বহর দেখে আম্রিকান সরকার নির্ঘাৎ তেনারে সন্ত্রাসী ঠাউরেছে, এখনো এই ভু-খন্ডে পা দিতে পারেন নাই। উনি পোস্ট দেবার সুযোগ পাবার আগেই তাই একখানা পোস্ট ঠুকে দেই এই বেলা ভেবে লেখার সাহস করলাম।
নাচুঁনে বুড়ি আমি আগেই ছিলাম। বহু কষ্টে নিজেকে গৃহবন্দী করে রেখেছিলাম গত ৪টা বছর। কিন্তু তারেক অণু-র ঢোলের বাড়িতে আর সাম্লাতে পারলাম না নিজেকে। তাই তেহজীব যখন বলল যে বলেন কই যাবেন, সব খরচ আমার তখন আর না করতে পারলাম না। অনেক বার ঠিক করার পরেও বিরিশিরি যাওয়া হয়ে উঠেনি এর আগে। তাই গত ১ ডিসেম্বর ২০১১ সকাল বেলা রওনা হয়ে গেলাম ক্যামেরা হাতে। এটি সেই এলোমেলো ভ্রমণেরই গল্প।
সিটটা ফোনেই বুকিং দেওয়া ছিল। পাশের সিটে কে বসবে জানি না। হবে কেউ একজন। পড়ে পড়ে নাক ডেকে ঘুমাবে। মাঝে মাঝে ঝাঁকি খেয়ে আমার গায়ের উপর এসে পড়বে। এ আর নতুন কী? আগুনে হাওয়ার আদর অতীষ্ট করে তুলবে সারাদিন। টানা দশ ঘণ্টা একা একা বোকার মত বসে থাকা নিজেকে শাস্তি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। সাথে আছে আজকের প্রথম আলো। জার্নিটা তাই বোরিং না হওয়ার কোন কারণই নেই।
ইদানীং একজন গুরুত্বপূর্ণ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার হিসেবে দুদ্দাড় বেড়াবার পোস্ট দেই না। বেড়াই না এইটা বলা ঠিক না, ঐটা টুকটাক হয়েই যায়। ঈদের ছুটিতে অবশ্য দূরে যাবার কথা ছিল, সৈয়দপুর, দিনাজপুর দিয়ে একটা মিনি ট্যুর... বাতিল করতে হলো। ফ্লু-তে না ভুগলে আরেকটু ভালো ঈদ কাটানো যেত, কিন্তু কপালে নাই আরকি। হয়না হয়না করেও আজকে ব্যাপক টো-টো করে ফেললাম।
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
আমাদের শহরে আজকাল আর বৃষ্টি হয় না।
গত বছর ঠিক কত মিলি বৃষ্টি হয়েছে তার খবর খুঁজতে ইচ্ছা করছে না, শুধু জানি হাতে গোনা পাঁচদিন বা তারো কম ঝমঝমিয়ে রাস্তা-ঘাট ভিজিয়ে দেয়া দাবদাহে ক্লান্ত মানুষকে এক পশলা শান্তির হাওয়ায় ভিজিয়ে দিয়ে গিয়েছিল বারিধারা।
রাস্তা আজকে তুলনামূলক ফাঁকা তাই দৌড় দেয়া যায় বসুন্ধরা সিটির দিকে, এই ভেবেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পড়িমরি করে বের হয়ে যাই। তাও বেলা পড়ে এসেছে, অনেক্ষণ ধরে অপেক্ষারত নূপুরাপুর সাথে দেখা করতে পৌঁছুতে পৌঁছুতে ৫টা বাজে। সিলেটের টিপু ভাই এদিকে ঢাকা এসেছেন, তাঁর কাছে শুনলাম অপু ভাইও নাকি ঢাকায়, আজকে একব
[সারি ভ্রমণ ফটোব্লগের প্রথম গল্পটা এখানে]
সারি নদী ধরে প্রায় দেড় ঘন্টার নৌপথ পাড়ি দিয়ে লালাখাল টি-এস্টের ঘাটে আমরা যখন নামলাম তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। দশমীর ছুটি ছিল, পূজো উপলক্ষে বন্ধ লালাখাল টি-এস্টেটের ফ্যাক্টরি আর অফিস।
মধ্য অক্টোবরের এই ছুটিটা কাজে লাগিয়ে দুষ্ট বালিকা, মনামী, অনিন্দ্য, পলাশ,
নজরুলভাই-নূপুরাপু-নিধি আর আমি হুট করেই সিলেট চলে এসেছি। সকালে অপু (আলবা ...
সকালটা যে পরিমাণ হাসি আনন্দ আর ঘটনাবহুল ছিল তার প্রেক্ষিতে গরম আর ঝাঁ চকচকে রোদ্দুরটা ঠিক মানানসই ছিল না তা বলা যায় না হয়ত। শীতের মিঠে রোদ বাদে এমনিতে কি রৌদ্র কারো ভালো লাগে? সেতো গরম আর আর কেমন ঝলসানো না? আর বিশেষত বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে ঘামে ভিজে চটচটে ভ্যাপসা একদম! অবশ্য তাতে কিচ্ছু যায় আসে না যদি কিছু জিনিস সাথে থাকে, যেমন- ছুটির দিন, গাড়ি ভর্তি আলাপ করবার মতোন কিছু মানুষ, ...
[একটা প্রায় গুবলেট প্ল্যান: সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কোন একদিন কাজের মাঝে হাবুডুবু খেতে খেতে ফেসবুকে একটু ঢুঁ মারতেই ইনবক্সে নূপুরাপুর মেসেজটা চোখে পড়ল পূজোর ছুটির সাথে রেশমি হাওয়ার খোঁজ নিয়ে। আরেকবার সিলেট যাবার জন্যে যখন মনটা আঁকুপাঁকু করতে শুরু করেছে ঠিক এমন সময়ে সিলেট যেতে চাই কিনা জানতে চায়। ঠিক পূজোর ছুটিতে না পারলেও তারপরে ২/৩দিনের ছুটি ম্যানেজ করে নেয়া যায় এটুকু ভেবে ...