সালেক খোকন
বৈশাখ মাস। প্রচন্ড রোদ। তবুও চারপাশে শীতল অনুভূতি। বড় বড় আমগাছ। সংখ্যায় দুই হাজারের মতো। অধিকাংশই শতবর্ষী। দিনময় এখানে চলে পাখিদের কোলাহল। ছায়াঘেরা পাখিডাকা আম্রকানন এটি। খরতাপও এখানে কুর্নিশ নোয়ায়। প্রচন্ড গরমে তাই আগতরা আশ্রয় নেয় আম্রকাননের শীতলতায়।
আমি তখন ছোট, সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছি। আজকালকার ত্যাদর বাচ্চাদের মতন আমি মোটেও ত্যাদরামি করতাম না। আমার এখনো মনে আছে প্রথম দিন স্কুলে যাওয়া নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত ছিলাম। নতুন স্কুল জামা পরে আপুদের মতন স্কুলে যেতে পারছি- এই আনন্দে আমি ছিলাম আত্মহারা। প্লে-গ্রুপে আমার ক্রমিক নং ছিল ৭৩, সেকশন বি, কেজিতে উঠে হয় ১২, সেকশন এ। তখন শিশু মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো এ সেকশনে ‘ভালো’রা আর বি তে ‘মাঝারী’রা আর
'শিক্ষা' একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক উদ্যোগ।
গ্রাম এবং মফস্বলের স্কুল কলেজগুলোর স্বল্পসুবিধাপ্রাপ্ত ছেলেমেয়েদের কাছে প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় করে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি গ্রামের বা মফস্বলের তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা একজন স্টুডেন্টকে মেইনস্ট্রিমের একটা স্টুডেন্ট যেসব সুযোগ সুবিধা পায় সেগুলোর সাথে পরিচিত করে তোলাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
রাতের দীর্ঘ রাস্তা। ঠিকরে পড়েছে নিয়নের আলো। বসন্তোৎসব থেমে গেছে চুপিচুপি। দুরের গির্জার ঘণ্টার শব্দটাই এখন একমাত্র শব্দ। বহুক্ষন ধরে বেজে চলেছে সে ছন্দময় মদোন্মত্ততা। বসন্ত মরুৎ এখানে আর আসবে না আজ। আমি নিষেধ করে দিয়েছি।
বিজ্ঞানী বিষ্ণুপদ বাঁড়ুজ্জের সাথে পরিচয় আমার বিশ বছর আগে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে। আমি তখন ছাত্র। তিনি কেবল জয়েন করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিম্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন 'বিগব্যাং ও মহাবিশ্বের' প্রসারণ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে। সেমিনারের আয়োজক আমরা, অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ। তাঁর বক্তব্য আমার মনে এতোটাই দাগ কাটল, সেমিনার শেষে তাঁর সা
[justify]আমার কিচ্ছু হৈত না…… এইডা কি হুদাই আবেগের বশে বলা ? উঁহুঁ। আমি জানি যে আমার কিছুই হৈত না। বলা নাই কওয়া না এই ছোট্ট জীবনডাতেই যত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়া ফেলছি এগুলি শোধ্রাইতেই বাকি জীবন শ্যাষ হয়া যাইব।
গতকাল থেকে দুটো গল্প মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যে ঠিক কোনটাকে লিখে ফেলব সেই সিদ্ধান্ত নিতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। প্রথম গল্পের নায়ক হচ্ছেন পূর্ব রামপুরার এরিক ভাই। এরিক ভাইয়ের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয় নেই। তবে তার পাগলামির অনেক গল্প লোকেমুখে শুনেছি। উদাহরণ স্বরূপ, এরিক ভাই একবার কুরবানীর দিন সকাল বেলা কুরবানীর ছাগলটাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন। কিছুতেই ছাগলটাকে তিনি জবাই
সেদিন দুনিয়া কাঁপানো সাইরেনটা যারা শুনেছেন তাদের বলছি ছোট্ট ঘটনাটা।
লোকের কথায় কান না দিয়ে সে নিজেকে নিজেই বড় মনে করতে শুরু করলো। সময় হলে সে তার ল্যাপটপ নিয়ে বসে যায়, সাথে একটা অপটিক্যাল মাউস, ছোট্ট মোবাইল সেট, আর অতি অবশ্যই সানগ্লাস। ল্যাপটপ চালাতে সানগ্লাস কেন লাগে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগতে পারে আপনার। আমার চোখে চশমা আছে বলে সহজে বুঝেছি ব্যাপার।