এক.
:"কীরে সজীব, ক্লাসে যাবি না।"
:"মামা, আকাশের রং দেখছোস, "পুরা আকাশ কালো, মেঘ কালো"-অবস্থা। ঝুম বৃষ্টি নামবো। লহ্ বৃষ্টিতে ভিজি।
:" আর ক্লাস করবো কে?
: "ধুর ব্যাট্যা মফিজ। ক্লাস কইরা কী আর জজ-ব্যারিস্টার হবি। হবি তো ঘুসখোর আমলা আর নাইলে বিদেশে ডি.সি। লহ্ ।"
দুই.
কল্পনা করুন একদিন ঘুম ভেঙে আবিষ্কার করলেন আপনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না, চলতে পারছেন না। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানা গেল আপনি চিরতরে চলনক্ষমতা হারিয়েছেন। বাকি জীবন হুইলচেয়ারে বসেই যাপন করতে হবে আপনাকে। চলাফেরার জন্য অন্য কারুর সহায়তা তো লাগবেই, সেই সাথে আপনার বিচরণের ক্ষেত্রও সীমিত হয়ে আসতে বাধ্য। খুব জরুরি না হলে পাবলিক প্লেসে যাওয়া বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে এড়াতে চাওয়ার প্রবণতা শুরু
আমি যে কবি হব সেটা আমি টের পেয়েছিলাম একেবারে ন্যাদাবেলায়। তখনও মুখের কথা ফুটেছে, কি ফোটেনি, তখন থেকেই নাকি আমার সব কিছুতে এক অদ্ভুত ছন্দ। একবার কান্নার সুর উঠলে, সেই সুরে শুধু বাড়ির মানুষ না, একেবারে পাড়া-প্রতিবেশী সহ সবাইকে মাতিয়ে তুলতাম। সে নাকি এক এলাহি কাণ্ড। এরকম কথা ছোট বেলা থেকেই শুনে শুনে বড় হওয়া। তাই যখন স্কুলেই ভর্তি হয়েছি কি হইনি, হলেও বড়জোর কেজি ক্লাস বা এক-ক্লাসে পড়ি, তখন এক
এক দেশে ছিলো এক যাদুকরী। সে নানা যাদু তো জানতোই, আর জানতো নানা বনৌষধির গুণাগুণ। সেই সব বুনো লতাপাতা থেকে সে নানারকম ওষুধবিষুধ তৈরী করতে পারতো।
সাদা চামড়ার ভিনদেশী মানেই সুপিরিওর বা প্রভু না
আমার বয়স তোমাদের চাইতে অনেক কম! কিন্তু আমার এই ছয় মাসের জীবনে আমি যা দেখেছি তোমাদের অনেকে এখনও তা কল্পনাই করতে পারবে না। গত দুইদিন ধরে এমনিই বসে আছি। কোন কাজ নাই। এই একঘেঁয়ে বৃষ্টির দিনে ভাবলাম ডায়েরীর কিছু পাতা তোমাদের সাথে শেয়ার করি।
১৭ . ১২ . ২০১১
হঠাৎ পথে বৃষ্টি শুরু
সংগে তো নাই ছাতা,
আকাশ কালো, মেঘ যে বড়
কেমনে বাঁচাই মাথা।।
রিক্সা কোথায়, মরছি খুঁজে
নাই যে কোনও খালি,
নাইছে সাথে, কেবল কেনা
ডিম যে কয়েক হালি।।
এমন দিনে-১
সারারাত ধরে বৃষ্টির গান। একই তালে, একই লয়ে। এতটুকু বিরক্তি আসে না। রাতের নিশ্ছিদ্র ঘুমের জন্য বর্ষা সঙ্গীতের চেয়ে ভালো কিছু নেই। বর্ষার গানে কিছু একটা আছে, কী যেন এক অপার্থিব সুর বাজতে বাজতে প্রবল ঘুম ডেকে আনে, চোখ মুদে আসে বালিশে মাথা রাখামাত্রই। ঘুমের অতলে ডুবে যেতে যেতেও সেই সুরের রেশ কাটে না।
আজ দুলু মামার বিয়ে। আর তাকেই নাকি এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ! এখন বাজে সকাল ৯টা । ১০ টায় বরযাত্রী রওনা হবার কথা। প্রায় ৫০ কিমি দূরে আমাদের হবু মামীবাড়ি। রাস্তার অবস্থা বেশ নাজুক। রাস্তাটা একে তো সরু তার উপর প্রচণ্ড আঁকাবাঁকা।এক একটা বাঁক যেন মরণ-ফাঁদ। তাই একটু আগেভাগে রওনা হবার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরেই।