অন্ধের হঠাৎ দেখার সাধ হলো—এক বাক্য ফার্সি না জেনেও অনুবাদ করতে বসে গেলাম খৈয়ামি রুবাই। ‘খৈয়ামের’ রুবাই না, ‘খৈয়ামি’ রুবাই। স্বামী গোবিন্দ তীর্থ ১০৬৯টি খৈয়ামি (বা ওমরীয়) রুবাই মূল ফার্সি থেকে প্রথমে মারাঠি (‘গুরু করুণামৃত’) এবং পরে ইংরেজিতে (‘দ্য নেক্টার অফ গ্রেইস’) অনুবাদ করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে স্বয়ং ওমর খৈয়ামের লেখা রুবাই ৭২ টা
গতবছর অমর একুশে নিয়ে বাণিজ্য এবং তা কতটুকু কুরুচিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়ে সচলে লিখেছিলাম (এখানে)। আমার ধারনা ছিল আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের ভাবগাম্ভীর্যতা যথাযথভাবে বজায় না রেখে সেটাকে বোধহীনভাবে পুঁজি করে ব্যাবসা করার প্রচলনটা সাম্প্রতিক। আজ আমার কাছে থাকা সংবাদপত্রের ই-আর্কাইভের একটা খবর দেখে ভুলটা ভাঙলো। নীচে সেই খবরের স্ক্র
"ছিঃ ছিঃ ছিঃ, আরে ভাই বিচার চাইতে হবে ভালো কথা, কিন্তু তাই বলে চার পাঁচ বছরের শিশুদের হাতে 'ফাঁসি চাই' পোস্টার দিয়ে নিয়ে আসতে হবে কেন? ওরা কারা, যারা কোমলমতি শিশুদের মনে এভাবে ঘৃণার চাষ করছে?"
"দেখ ভাই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমিও চাই, তবে সেটা তো স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক মানের এবং সবার গ্রহণযোগ্য হতে হবে, তাই না? এই আইসিটি না ফাইসিটি তো কোন জাতেরই কিছু হচ্ছে না।"
একাত্তরের ১০ ডিসেম্বরের পর থেকেই নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ যুদ্ধ বন্ধের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করে দেয়। মার্কিন হস্তক্ষেপের জন্য পাকিস্তানের এই প্রচেষ্টা অবমুক্ত করা মার্কিন নথিতে পাওয়া যায়। ১৪ ডিসেম্বরে (১৯৭১) পাঠানো বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল স্পিভাকের টেলিগ্রামে (নং ৫৬২৭) জানতে পারি তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মালিক এবং জেনারেল ফরমান আলী স্পিভাকের সাথে যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
আজ (১০ নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার) প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী শিল্প সাহিত্য পাতায় অদিতি ফাল্গুনীর যে ছোটগল্পটি ছাপা হয়েছে "[url=http://www.prothom-alo.com/art-and-literature/article/1362201/%E0%A6%AA%...
গতকাল ৪ঠা নভেম্বর ছিল ৪৬-তম সংবিধান দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশর সংসদে সংবিধানটি গৃহীত হয়, কার্যকর করা হয় প্রথম বিজয় দিবস, ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭২, থেকে। সংবিধান নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেনঃ
এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।
দৈনিক প্রথম আলোর ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় সম্পাদক মতিউর রহমান লিখেছেন "প্রথম আলো সাহসের ১৯ বছর" সেখানে প্রথম আলোর ১৯ বছরের চেয়ে বাংলাদেশের দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস নিয়েই তিনি আলোচনা করেছেন। ১৯৬২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ইতিহাস তুলে ধরেছেন। প্রথম আমলে তিনি নিজে ছিলেন ছাত্র রাজনীতির অংশ, বর্তমানে সম্পাদক রাজনীতির। সেই অভিজ্ঞতাই লিখেছেন। পড়ছিলাম লেখাটা। এক পর্যায়ে এসে চমকে গ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ঈদ ছিল ১৯৭২ সালের ঈদুল আজহা। তারিখটা ছিল ২৭শে জানুয়ারি। দেশ দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছে তার মাত্র পাঁচ সপ্তাহ আগে। বঙ্গবন্ধু স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে এক যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের হাল ধরেছে মোটে দু সপ্তাহ হলো। এর মাঝে দেশে ঈদ উদযাপনটা কি রকম ছিল, তা জানার একটা কৌতূহল ছিল। ভাবলাম বিস্তারিত না জানতে পারলেও আর্কাইভ ঘেঁটে ঈদের আগের দি
আমাদের পরিকল্পনা ছিল খুব সাদামাঠা- লুইসকে বল দাও।সে কখনোই পেছপা হবে না।– ডেজা ভ্যু।এইরকম কথাটা যেন কাকে নিয়ে শুনেছিলাম-লিওনেল মেসি!হ্যা,মেসিই।কিন্তু এই লুইস কি মেসি?
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের সামরিক ঘটনাগুলো নিয়ে সকলের আগ্রহ। অনেক রহস্যে আবৃত থাকলেও এ সম্পর্কে তবু কিছুটা লেখালেখি হয়েছে। অনেকের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ, গবেষণার মাধ্যমে সময়টাকে এখন অনেকটা বোধের নাগালে আনা গেছে। চরিত্রগুলোকে চেনা গেছে।