যখন পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলাম, তখন আমরা বাঙালী শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর একুশেকে কেন্দ্র করে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম। আমাদের বাংলাদেশী ছাত্র সংগঠনের বাৎসরিক কর্যক্রমের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হতো সেটাই, ভার্সিটির বড় অডিটোরিয়াম ভাড়া করে এবং সবার জন্য উন্মুক্ত করে। যতদুর জানি আজও পার্ডুতে এটা অব্যাহত আছে। এখনকার কথা জানি না, তবে আমাদের সময় অনুষ্ঠানটার মৌলিক কাঠামো ছিল অনেকটা এরকমঃ
নাসিরনগরের কথা মনে আছে?
ভুসুকপাদের লজ্জা
চর্যাপদের কবি ভুসুকপাদ। এখনো যেমন কেউ কবিতা-টবিতা তেমন একটা কিনে পড়ে না, বারোশো বছর আগেও কেউ কিনে পড়তো না। পেটের দায়ে তাই ভুসুকপাদকে পাড়ি দিতে হয় দূর-দূরান্তে, পিছনে রেখে যেতে হয় বউকে। ফিরে এসে ভুসুকপাদ দেখতে পান তাঁর বউ আর তাঁর নেই, অবস্থাসম্পন্ন কোন চণ্ডালের হাত ধরে সে চলে গেছে। অনেক লজ্জা আর খেদ নিয়ে ভুসুক লিখেন,
আজি ভুসুক বঙ্গালী ভইলি
নিঅ ঘরিণী চণ্ডালে লেলি
চিঠিটা সবার জন্য নয়, কিন্তু সিংহভাগ মার্কিন প্রবাসী বাঙালী মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য
আমার প্রবাসী "মডারেট" ভাই বোনেরা,
“কাল রাতে না খুব বাজে একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছিলাম।“
বিছানায় চোখ আধবোজা অবস্থায় শুয়েছিল শাহেদ। অফিসে থেকে ফিরেছে কিছুক্ষন আগে। শুনে ড্রেসিং টেবিলের দিকে তাকালো, যেখানে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মীরা চুল আঁচড়াচ্ছে। আজ তার অফিসে বিকেলে ডিউটি পড়েছে, একটু পরে বেরোবে, তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
“তাই?”
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জগতে ধ্রুবতারার মত আবির্ভাব হয়েছিল সালমান শাহের। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ছবিতে মৌসুমির বিপরীতে অভিষেক করার পর থেকেই একের পর এক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করে নব্বই দশকের শীর্ষস্থানীয় নায়ক, ফ্যাশন আইকন এবং হার্টথ্রব হিসেবে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন তিনি। ১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর মাত্র পঁচিশ বছরে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করা সালমান শাহ তিন বছরের ক্যারিয়ারে