শিল্পকলার বিমানবিকরন বইটির ভূমিকায় হুমায়ুন আজাদ নিজেই লিখেছেন, যে বইটি ওর্তেগা ই গাসেতের ভাবানুবাদ। অনুবাদকর্মকে কুম্ভলকবৃত্তি, চোর্জবৃত্তি, প্লেইজারিজম বলা যায় কি? উত্তর হচ্ছেঃ না। তাই বইটি নিয়ে খুব বেশী লেখার আপাতত কোনও দরকার দেখছি না, তবে কিছু আলোচনার দরকার আছে।
শিবলি আজাদ লিখেছিলেন,
সিন্ডারেলার জুতো
যার পায়ে জুতোখানা লাগবে সেই হবে রাজকুমারী, বলল বাদকটি।
শ’য়ে শ’য়ে মেয়েরা ছুটল রাজপ্রাসাদের দিকে।
জনৈক শিবলি আজাদ দাবী করেছেন, হুমায়ুন আজাদের বইগুলো নাকি বিদেশি বইয়ের নকল। তার দাবীর প্রেক্ষিতে আমরা সবাই প্রমাণ চাইলেও তিনি প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তার অনেকগুলো দাবীর মাঝে একটা দাবী ছিলঃ
"আজাদের লেখা প্রবাদ ও প্রবচন যে আসলে ফরাসী দার্শনিক লা রশফুকোর “ম্যাক্সিম” থেকে নেয়া বইদুটো পাশাপাশি পড়লেই তা বোঝা যায়।"
১
বাবা মা চলে গেলে কিচ্ছু ভাল্লাগেনা বৈশাখীর। কত করে বলল, ভালো হয়ে থাকবে। তাও ওরা শুনলো না? তিনতলার জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। চারদিক কি সুন্দর হালকা ছাইরঙে ছেয়ে আছে , গাছের পাতাগুলো নড়ছেনা একদম। এমন একটা দিনে ঘরে থাকা যায়?
সে ভেবেছিল ঘুম ভাঙ্গার পরেও আরো একটু গড়িয়ে নেবে। কিন্তু জানালা দিয়ে আসা সকালের কড়া রোদ মুখে এসে লাগতেই মাহবুব চোখ খুলে উঠে বসে। বিশ্রী এই রোদের তেজ তার ঘুম তাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কাল সে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিল। ঘুম আসে না, কী করবে? কত রাত পর্যন্ত কত কথা হলো তার ছোটবেলা নিয়ে!
গান তোলা শেষ? সানিয়া মুনিয়াদের রেসপন্স কি? কর্ড পরিবর্তনের সময় আঙুল আটকে যাচ্ছে বলে বাঁকা ঠোঁটে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে উঠে চলে গিয়েছে? আপনার হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে? ঘাবড়াবেন না। এসে গেল আরও কিছু ফিঙ্গার এক্সারসাইজ। যেসব ফিঙ্গার এক্সারসাইজ করলে আপনি পারবেন আটকে যাওয়ামুক্ত কর্ড পরিবর্তনের ক্ষমতা।
কেমন আছেন সবাই? ভালো তো। দেরি হয়ে গেল বলে দুঃখিত। চলুন কাজে লেগে যাই-
গত বছর এইচএসসি পাশ করে বের হয়েছিল প্রায় পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭০ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী। মেধা তালিকা অনুসারে পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চাইলেও প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারতোনা। প্রতি বছর যে পরিমান শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বের হয় তার প্রায় ৪০ ভাগ ভর্তি হবার সুযোগ পায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর বা
শহর জুড়ে রাত্রি আসে নিয়নে
চাঁদের চিঠি ভুল ঘরে দেয় পিয়নে
অনেক দূরে কমলাপুরে ট্রেনের বাঁশি
বাস ডিপোতে বৃদ্ধ বাসের হঠাৎ কাশি
নিঝুম শহর কারফিউ দেয় পাহারা
শহরটা কি মরুভূমি সাহারা?
ছোট্ট খোকা স্বপ্ন বোনে কোন খেয়ালে
কি যেন কি হচ্ছে লেখা দেয়ালে
ঘুমায় তারা প্রাণের সাড়া বিহনে
মরণ কাঠি শরীর ছোঁয়াও জিয়নে।
এই পর্বে গপ্পগুজব কম। এমনকি আগামী কয়েক পর্বেও তাই। কারণ আগামী বেশ কয়েকটী পর্ব ফিঙ্গার এক্সারসাইজ নিয়েই হবে। যে এক্সারসাইজগুলো আঙুলের জন্য দেয়া হয়েছে, হচ্ছে, হবে তার প্রত্যেকটি-ই গিটার বাজানোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই লেসনগুলো ঠিকঠাক মতো করলে পরবর্তিতে গিটারের কর্ড ধরতে, লিড বাজাতে সুবিধা হবে। জীবনটা যেহেতু হিন্দি সিনেমা না আর আমি আপনিও শাহরুখ খান না, তাই গিটার হাতে নিয়ে টুং টাং করলেই “তুঝে দেখা
“স্কুলশিশুকে ধর্ষণের দায়ে স্কুল শিক্ষকের যাবজ্জীবন” এই শিরোনামের একটি সংবাদ [১] থেকে এই লেখার সূত্রপাত।সংবাদটি থেকে যা যা জানতে পারলাম তা হল-- ক) অপরাধের ঘটনাস্থল, কাল, অপরাধীর নাম, বয়স, শিশুটির বয়স, খ) আদালতের অভিমত এবং রায়, আর গ) মামলার পূর্বের অপরাধীর এক সময়ের বাসস্থানের ঠিকানা (স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে জেলা এবং মামলার পূর্বের যেখানে বাস করত সেই এলাকার নাম)। একটু পর মাথায় এলোমেলো কিছু ভাবনা এল,শিশুটি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেলেও, যৌন অপরাধী সম্পর্কে তেমন পরিষ্কার কিছু জানতে পারলাম না।