Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কিশোর (১০ বছর বা তদুর্দ্ধ)

মুভি রিভিউঃ লুপার

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: রবি, ৩০/০৯/২০১২ - ৪:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক এই সময়ের সায়েন্স ফিকশন মুভিগুলার দুটা ভিন্ন রূপ খুব দেখা যাচ্ছে। প্রথম রূপটায় অসাধারণ গ্রাফিক্সের সাথে দুর্দান্ত এ্যাকশন থাকছে কিন্তু অনেক সময়ই গল্প খোঁড়া হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু যে ভালো গল্প থাকছে না, তা নয়। তবে অধিকাংশ সময়ই চাকচিক্যের সাথে গল্পের গভীরতার সরল রৈখিক সম্পর্ক দেখা যায় না। অন্যদিকে আরেকটা রূপ দেখা যাচ্ছে যেখানে গল্পই মুভির মূল উপজীব্য। মুভিকে চাকচিক্য দিয়ে সাজানোর দিকে পরিচালকের নজর তেমন একটা থাকে না। “ডিসস্ট্রিক্ট নাইন”-এর কথা হয়তো মনে আছে অনেকের। এরপর এসেছে “মুন”, “সোর্স কোড”, “সুপার এইট” কিম্বা একদম নূতন “লুপার”। এই মুভিগুলোতে সায়েন্স ফিকশনের মাধ্যমে শুধুই চাকচিক্য দেখানোর পরিবর্তে মানবিক আবেদনকে একটা বড় ফ্রেমে বাঁধিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।


মগডালের ভূত অথবা চুয়াডাঙ্গার হায়েনা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০১২ - ১২:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক অনেক দিন কথা। চুয়াডাঙ্গার আপেলদ্দি ডাক্তারের তখন বেশ নামডাক। হাসপাতাল আর চেম্বারে তো রোগি দেখেনই, প্রয়োজনে মুমূর্ষূ রোগিকে বাঁচাতে ছুটে যান দূর-দূরান্তে। একদিন এমনই এক রোগির চিকিৎসা করতে গেলেন চুয়াডাঙ্গা থেকে বিশ মাইল দূরে জীবননগরে। রোগির অবস্থা তেমন সুবিধার নয়। তাই আপেলদ্দি ডাক্তার বেশ সময় নিয়ে রোগির চিকিৎসা করতে লাগলেন। কখন যে দুপুর গড়িয়ে গেছে ডাক্তার সাহেব তা খেয়ালই করেননি।
তখনকার দিনে এত ঝকঝকে রাস্তাঘাটও ছিল না, এত এত বাস-মোটর গাড়িও ছিল না। ওদিকে রোগির চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তার সাহেব চুয়াডাঙ্গাগামী শেষ বাসটাও মিস করলেন। অথচ যে করেই হোক সন্ধ্যার আগেই তাঁকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছতে হবে- কে জানে কতজন রোগি তাঁর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে!
তখন চুয়াডাঙ্গা আর জীবননগরের মাঝে শুধু বন আর বন। মাঝে মাঝে খাপছাড়া দু-একটা গ্রাম। কেন্দুয়া বাঘ, ভালুক, হায়েনা আর বুনো শুকরদের অবাধ বিচরণ সেই বনে। ডাক্তার সাহেব তো পড়লেন মহা মুসিবতে। এখন বাড়ি ফিরবেন কীভাবে? একট গরূ কিংবা ঘোড়ার গাড়ি টাড়িও চোখে পড়ছে না। ঠিক সেই সময় একজন লোক সেই পথ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তার পাশে ডাক্তার সাহেবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে লোকটা সাইকেল থামিয়ে বলল, ‘আরে ডাক্তার সাহেব! আপনি এখানে দাঁড়িয়ে কেন?’


হাড়িচাঁছা শিয়াল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৬/০৯/২০১২ - ১:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাড়িচাঁছা শিয়াল ভারী বুদ্ধিমান। শিয়ালরা এমনিতেই বুদ্ধিমান হয়। কিন্তু হাড়িচাঁছার বুদ্ধি সবার চেয়ে বেশি। তবে তার দুঃখও কম নয়। কারণ তাঁর নাম হাড়িচাঁছা কিনা। এই নাম তো তার বাবা-মা দেয়নি। দিয়েছে মাঠের দুষ্টু পশুরা। তাঁর গলায় যতদিন রসের হাড়ির কান্দাটা


শয়তান আছর করছিল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০৯/২০১২ - ২:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সালেক খোকন


শুধু থাকুক অন্ধকার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩১/০৮/২০১২ - ১১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাকে ঘিরে জটলাটা ক্রমশ বাড়ছে। নানান বয়সী দর্শকের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু আমি। ৩/৪ জন ছাড়া বাকিরা অবশ্য খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে। তাদের চোখমুখ ঠিকরে যেভাবে ঘৃণা উপচে পড়ছে তা দেখে আমার এ অবস্থায়ও কেমন আমোদ বোধ হয়। ভাগ্যিস কেউ কোমল চোখে তাকিয়ে নেই। ঘৃণার ভাষায় এতো অভ্যস্ত হয়ে গেছি, মমতায় আর্দ্র দৃষ্টিতে ইদানীং গা চিড়বিড়িয়ে ওঠে।


বিভ্রমের নিশিডাক তথা সন্দীপনের ডায়েরী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৮/২০১২ - ৫:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার জাগরণগুলি স্বপ্নের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে কমজোরি তথা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে।
-সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়


সানশাইন স্টেইটঃ সেইন্ট অগাস্টিন

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: রবি, ২৬/০৮/২০১২ - ৬:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সলোমন আইল্যান্ডের স্টলের সামনে এক বিশাল দেহী রাজার ছবি রাখা, তার সামনে দাঁড়িয়ে এক সলোমন আইল্যান্ডার সেই রাজার গুণগান করে যাচ্ছে। তার বর্ণনার শেষ দিকে উচ্ছাস কমে এসে দূরবর্তী বিষাদের ছোঁয়া, সারমর্ম করলে দাঁড়ায়, "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম"। তারপর? "দেন দ্যা ইউরোপিয়ান কেইম, এন্ড মেসড এভরিথিং"। আমার সাথে অ্যামেরিকান রেড ইন্ডিয়ান কারো সাথে দেখা হয়নি কখনো, তবে আন্দাজ করতে পারি, এই বিষয়ে তাদের কী বলার থাকতে পারে।


সহযাত্রী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০৮/২০১২ - ৩:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুড়িগঙ্গার কালচে পানি, হকারদের অবিরত ডাক আর এঞ্জিনের বিরক্তিকর শব্দ ছাপিয়ে মিষ্টি কণ্ঠটা নাহিদের কানে অনুরনন সৃষ্টি করল।
'একটু হেল্প করবেন প্লিজ।'
চাঁদপুরগামী স্টীমার ঈগলের স্টার্ন সাইডের রেলিংএ একা একা দাঁড়িয়ে ছিল নাহিদ। বর্ষাকাল দেখে স্টীমারে স্বাভাবিকের থেকে লোকজনের সমাগম কম। খোলা আকাশ আর উন্মুক্ত বাতাসের সংস্পর্শ
অনেকদিন পরে আনমনা করে দিচ্ছিল সবকিছু। তখনি এই আহবান।


ডি (১)

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: বুধ, ০৮/০৮/২০১২ - ২:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

দাঁতে দাঁত চেপে দশটি বছর অপেক্ষা করেছে সে ছয় বাই আট ফুটের এই অন্ধকারাছন্ন সেলে। ছোট্ট একটা ছিদ্রের মতো জানালাটা দুই ধাপে শক্ত লোহার শিক দিয়ে আটকানো। আর তার ফাঁক গলে যতটুকু রোদের আলো সেলে ঢোকে তাতে জমাট বাঁধা অন্ধকারটা যেনো আরও ঘনীভূত হয়। প্রতিটি দিন নয়, প্রতিটি মুহূর্ত যেনো এক একটা বছরের সমান দৈর্ঘ্য নিয়ে কেটেছে। প্রথম প্রথম যখন এখানে আসে সে, ধারণা ছিলো না কতোটা নিষ্ঠুরতা অপেক্ষা করছে তার জন্য। কিন্তু প্রথম সপ্তাহেই একটা ঝামেলায় জড়িয়ে যখন সাত দিনের সলিটারি কনফাইনমেন্ট এ থাকতে হলো, তখন বুঝলো জীবন কতোটা শক্ত।


আমার ববি রায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৮/২০১২ - ৮:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই খেলার মাঠ, দুপুরের তপ্ত রোদেও এমন ধূসর কেন? চারিদিক ঝাপসা, কেমন ধোঁয়াটে। একটুপর চোখে পড়ল এক কিশোরী। মুখটা যে বড় চেনা! ব্যাকুল হয়ে কার জন্য অপেক্ষা করছে? অপেক্ষার যেন শেষ নেই, দাঁড়িয়ে আছে তো আছেই। ওকি কাঁদছে?