১৭৫০ খ্রীষ্টসালের বসন্তের শুরুর একটা দিন। গ্রামটা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার উপকূল থেকে আরও চার দিনের উজানে, নাম জাফুরে। এমন একটা দিনে মা বিন্তা কিন্তে আর বাবা ওমোরোর ঘর আলো করে একটা শিশু ভূমিষ্ঠ হলো। ঠিক মায়ের মতোই কুচকুচে কালো, বলিষ্ঠ তরুনী মা বিন্তার জরায়ু থেকে তারই রক্তে মাখা শিশুটা ঠিক যেনো এক ঝটকায় পিছলে বেরিয়ে আসলো। গলার রগ ছেঁড়া চিৎকারে কেঁদে উঠে সে দুনিয়াকে জানান দিলো ওর আগমনবার্তা। দুই ধাই, নিও বোতো বুড়ি আর বাচ্চার দাদি ইয়াইসা উৎসুক চোখে যেইনা দেখলো যে ওটা একটা ছেলেশিশু, আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে দুজনেই হেসে উঠলো। পূর্বপুরুষদের বিশ্বাস মতে সংসারের প্রথম শিশু ছেলে হলে সে শুধু তার মা-বাবার জন্যেই না, গোটা পরিবারের জন্যে আল্লাহর অসীম করুনা বয়ে আনে এবং এই শিশুর কারণে কিন্তের নাম আভিজাত্যের সারিতে স্থান পাবে।
বিশ্বকাপ এসে গেল, আমার লেখাও চলে এল। ফুটবলের বিশ্বকাপ নিয়ে আমি যতটা মাথা ঘামাই, এ নিয়ে আমি তার কানাকড়িও না। সত্যি বলতে, ক্রিকেটপাগল এক দেশে না জন্মালে আমি এই সাড়ে সাত ঘন্টার খেলা দেখার মানুষ হতামই না। তবে বলে নেওয়া ভাল, ছোটবেলায় যে ক্রিকেট খেলা দেখতাম, তার তুলনায় এখন অনেক ভাল। তখন পাঁচদিনের ভার্সান দেখাই যেত না, একদিনের ভার্সান প্রায়ই একঘেয়ে হয়ে যেত। এখনও মাঝে মাঝেই একদিনের খেলা একঘেয়ে হয়ে যায়, কি
আমাদের কৈশোরে বিচিত্রায় একটা কভারস্টোরী করেছিলো অঙ্গুলিশিল্পের মহানায়ক ফখরুল ইসলাম ওরফে ফেকু ওস্তাদের উপর। হ্যাঁ, তিনি অঙ্গুলিশিল্পের একজন কিংবদন্তী; যাকে আমরা বলে থাকি পকেটমারের সর্দার। আমি এই ৪০ বছরের জীবনে আর কখোনো দেখিনি বা শুনিনি যে কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পত্রিকায় একজন পকেটমারের উপর কভারস্টোরী করেছে। তার এবং আমার বাড়ি খুলনা শহরের একই পাড়ায়। খুলনায় তার নাম ফকু কিন্তু বাংলাদেশের অন্যত্র, ইনডি
[justify](সাবধানঃ এই ‘লেখা’টা মূলত ‘অবমুক্ত চিন্তারেখ’। তিনখান আলাদা চিন্তাধারা। একেবারেই না পোষানোর সম্ভাবনা সমুহ।)
১
‘ফ্রিডম’ পড়ছিলাম। এরকম কিছু বই আছে, এই জনরাঁটাকে কি লিটারারি নভেলই বলে; ‘ব্লু হাইওয়েস’-ও এই ঘরানার ছিল।
"ওই, তোরা আরেকটু পা চালায় আগা।"
"কুদ্দুস, তোর লাইগা সবতে বামে হাটতেছে, আরে আরে রহিম, করছ কি? চউক্ষের মাথা খাইছছ? আমাগরে মারবি নি তুই?"
"হ, ওস্তাদ, উপরে থাইকা এইসব কওন খুব সস্তা, এইদিকে আমগোর জানে পানি নাই।"
"হ, এম্নেই এত্তবড় একডা ওজইন্যা জিনিস লইসেন, তার উপর কই আমাদের লগে ধরবেন, তা না খালি উপ্রে থাইকা ফাল পারতাছেন।"
"বাপরে, তগো লাইগাই তো সব, এইডাও বুঝস না! আর উপরে তো কাউরে না কাউরে থাকন ই লাগব, নইলে আর এইটা লইয়া যাওন লাগত না তগো। "
"কেন বাকি লোকগুলারে লইয়া আইলে কি হইতো, খালি আমাগোর উপর দিয়া সবতে খাইব ক্যান?"
১
ধরুন, আমি দেখালাম আমার কোন পুর্বপুরুষ তার প্রিয়তমাকে লিখা চিঠিতে "গীতাঞ্জলি" শব্দটি ব্যবহার করেছেন এবং সেটা রবীন্দ্রনাথের "গীতাঞ্জলি" কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের আগেই করেছেন। এখন যদি আমি দাবি করি রবীন্দ্রনাথের আগেই যেহেতু আমার পুর্বপুরুষ "গীতাঞ্জলি" লিখে গেছেন, তাহলে আসলে আমার পুর্বপুরুষের নোবেল পাওয়া উচিত। এই যুক্তিটি শোনার পর আপনি নিশ্চয়ই আমার মানুষিক সুস্থ্যতা নিয়ে ভাবছেন। ...
আসুন আমরা প্রায় পনের বছর আগের একটা গল্প শুনি। গল্পের নায়ক ফরহাদ- বয়স সাতাশ, ছয়ফুট লম্বা, শ্যাম বর্ণের পেটানো শরীর এবং যে কিনা টুকটাক ফুটবলও খেলে। ফরহাদ একজন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অপারেটর। আমাদের এই গল্পটা যে জায়গাতে শুরু তার সম্পর্কে একটু না বললেই নয়। রাজধানী ঢাকা থেকে আরও চারশ কিলোমিটার দক্ষিনের একটা সীমান্তবর্তী মফস্বল শহর, যেখানে তখনও ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ হয়নি, আছে একটা ...
বিমান বাংলাদেশ ওয়েব সাইট
---------------------------------
(বাংলাদেশ বিমান, দেশে নতুন এয়ারপোর্ট তৈরীর (অ)যৌক্তিকতা, ট্রাঞ্জিট বিকাশ ইত্যাদি নিয়ে কয়েক পর্বে লিখার ইচ্ছা, আর এর প্রথম প্রয়াশ-বিমানের ওয়েব সাইট)
----------------------------------
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রতি ছোট্টবেলা থেকেই আমার দারুন দুর্বলতা। একেতো নিজের দেশের এয়ারলাইন্স বলে কথা, তদুপরি বিমানের লাইভেরী ও লোগো আমার ভীষণ প্রিয়।হতে পারে দেশ দরিদ্র, ...
বড় একটা দম নিয়ে কীবোর্ডে ‘এন্টার’ চাপ দিয়ে আমি চোখ বুজঁলাম। বুকের মধ্যে হৃৎপিন্ডটা এত জোরে লাফাচ্ছে যে আমাকে বা হাতে বুকটা চেপে ধরতে হল। অথচ আমি নিশ্চিত জানি, বিফল হবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। একটু আগে সেই সম্ভাবনাও আমি হিসাব করে নিয়েছি, কম্প্যুটার দেখিয়েছে ০.০০০০০২ শতাংশ।
চোখ খুলে মনিটরের দিকে তাকিয়ে আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি আমি। কম্প্যুটার দেখাচ্ছে,
The Next Prime Number –
নিচে কোটি কোটি ...
আমাদের পুরানো বাড়ি, তার চারপাশে টানা চিকন বারান্দা। পাশের বিল্ডিংগুলো খুব গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকায় আমাদের বাড়িতে কোনো গ্রিল নেই। বারান্দায় থাকা রয়েল বেঙ্গল টাইগারটাকে একবেলা করে খেতে দেয়া হচ্ছিল অনেকদিন ধরে। খেতে বসে মা কথাটা জানায়। দুপুরে যে তাকে খাবার দেয়া হয় না খেয়াল পর্যন্ত করিনি। বেশ কয়েক টুকরা রান্না করা মাংস আর এক বাটি ভাত নিয়ে বারান্দায় এসে টাইগারকে ডাকি। তার বদলে দেখ ...