ইয়ে, মানে একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করি, শেষ কবে ঘুষ দিয়েছিলেন? মানে ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় কিঞ্চিত তেলপানি দেয়া লেগেছিল? পাসপোর্ট করার সময়? বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল সামলানোর জন্য? কলেজের সার্টিফিকেট ইংরেজী করার সময়? বাড়ি সংক্রান্ত কোন কাজে রাজউকে? নাকি বছরশেষে ইনকাম ট্যাক্সের ঝামেলা ভদ্রলোকের মত মেটানোর জন্য আপনার ট্যাক্স লইয়ার আপনাকে বলেছিল আপনার ট্যাক্স এত টাকা, আমার ফী এত টাকা আর এই টাকার ভেতরে জান ছুটানোর জন্য ট্যাক্স অফিসের খরচ এত টাকা?
যাঁরা জানেন না, তাঁদের অনেকেরই মনে চিন্তা খেলা করে, এই লোকগুলো নিজেরা লিনাক্স ব্যবহার করে ভাল কথা, কিন্তু আমাদের পিছে লাগছে ক্যান? এঁদের স্বার্থ কী? এদের কি মহাপুরুষ রোগে ধরছে? কাউরে ইমপ্রেস করতে চায়? নাকি কেউ কি এঁদের টাকা দেয়?: দেয় মনে হয়, অবশ্যই দেয় ….
"....there were shops selling robes, shops selling telescopes and strange silver instruments Harry had never seen before, windows stacked with barrels of bat spleens and eels' eyes, tottering piles of spell books, quills, and rolls of parchment, potion bottles, globes of the moon...."
-'Harry Potter and the Philosopher's Stone'
শিরোনাম:: 'হিরণ্ময়'
মনন:: আবহমান বাংলা।
লিখিত:: ১৭ মে ২০১১।
--- কবি মৃত্যুময়
সোনালি স্রোত রূপোলি আলোয় সোনাঝরা
বিকেলের রঙে হৃদয়ে রক্তসূর্য আঁকে- দেখি অপলক!
দীঘল জীবনজালে সুবর্ণ শরীরে এঁকেবেঁকে
স্বচ্ছ সলিলে মীণগণ অধরা অস্থির তবু আশা জাগে
জেলের মুমূর্ষু পালে বৈরাগী হাওয়া লাগে- দেখি সহাস্য তারে!
প্রাণহীন তরী সোনালি স্রোতে এলে অনন্ত যৌবনা, দিকহারা
[justify]দূর থেকে দেখলে হঠাৎ হঠাৎ অপূর্ব লাগে, আপন প্রতিচ্ছবির প্রতিফলনে জ্বলতে থাকে সূর্যের পরিষ্কার আলোতে। মনে হয় কোনো অমূল্য রতন হয়তোবা। কিংবা নাগরিক বর্জ্যস্বরূপ বাস্তুহারা মানুষের মতো শৈল্পিক, বিত্তের ছোঁয়ায় বেড়ে ওঠা সুকোমল চিত্তের কল্পনায়। কিন্তু কাছে যাওয়া যায়না। কাছে গেলে স্বপ্নটা কুৎসিত হয়ে ওঠে, গা ঘিনঘিন করে। কোনোমতে চোখ ফিরিয়ে, দাঁতে দাঁত চেপে এবং নাক বন্ধ করে সরে যেতে হয়, সুসজ্জিত, সুরক্ষিত, সুবাসিত প্রাডো কিংবা পাজেরোর মধ্যে থাকলেও। ডানলপ কিংবা ব্রিজস্টোন প্রাণপণে চক্কর খেয়ে অবাঞ্ছিত কদাকার উপস্থিতি পিষে সামনে এগিয়ে যায়। সামনে কোনো ডুপ্লেক্সের খোলামাঠে খেলা করে শুভ্রমেঘে পরিবেষ্টিত নীলাকাশ। অন্যদিকে সে অনেকটা ওইরকম উদ্বাস্তু কোনো টোকাই এর মতো; স্বাধীন, ভবঘুরে, চিন্তাহীন, অমূল্য ইত্যাদি ইত্যাদি। দূরে থেকে দেখলে সেও জ্বলে, তাকে ঘিরে লক্ষ্য রাখা মানুষগুলোর কল্পনাও জ্বলে। কারও কারও কাছে সে কিংবা তার উপস্থিতি পরম আরাধ্য, শুষ্ক নির্জীব এই শহরের মধ্যে।
[justify]
ছেলেবেলায় ছোড়দার নেশা ছিল ডাক টিকেটে।
বড়মামা তখন বিলেতে থাকতেন। কী যেন পড়তেন সেখানে, আফিসিফিয়াস--বলতে গিয়ে আমি গুলিয়ে ফেলতাম।
সতর্কতা: কিছু ছবি আর লেখা বাচ্চা কিংবা দুর্বল চিত্তের লোকদের দেখা কিংবা পড়া ঠিক হবে না।
-----------------------------------------------------------------------------------------
ডারবানে পৌঁছে এয়ারপোর্ট থেকে নেমেই সোজা আমার ডিপার্টমেন্টে চলে গেলাম। সব সময়ের মত ওখানেও আমি লেইট, ক্লাশ শুরু হয়ে গেছে এক সপ্তাহ আগেই। আমার ভিসা অফিসার কুম্ভকর্ণের মত দ্রুতগতিসম্পন্ন হওয়ায় আমার প্লেনে চাপতেও দেরি হয়ে গেলো।
ইউনি-র কোন একটা হল-এ থাকবো আমি। জানা আছে আগেই, কিন্তু তার আগে ডিপার্টমেন্টে গিয়ে কাগজ পত্রের ফর্মালিটি সারতে হবে।
অফিসের করণিক মহিলা হাসিমুখে আমাকে একটা ফরম দিলো, সেই ফরম পূরণ করতে গিয়েই লাগলো প্রথম গোলযোগ। নাম-ধাম ঠিকানা পরিচয়ের পরে একটা ঘর আছে সেখানে, এথনিসিটি। পৃথিবীর আর কোন দেশে এই অদ্ভুতুড়ে তথ্য জানতে চায় কি না জানি না, কিন্তু ওদের ওখানে এটাই স্বাভাবিক।
অপশান মাত্র চারটা। সাদা, কালো, কালারড এবং ইন্ডিয়ান।
তার সঙ্গে আমার অনেক মিল ছিলো।
১.
দিনটা ছিল বোশেখের এক রৌদ্রতপ্ত দুপুর, এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে। খাওয়ার সময় দুদন্ড জিরিয়ে নেওয়ার আগে আলগোছে হাতে তুলে নিয়েছিলাম বইটি। এরপরের ঘন্টাখানেক আমি আক্ষরিক অর্থেই বুঁদ হয়ে ছিলাম, মুহুর্তের জন্যও চোখ সরাইনি(বা বলা ভাল সরাতে পারিনি) বইয়ের পাতা থেকে । চোখের কোনায় পানি চকচক করেছিল কিনা মনে নেই, তবে পড়া শেষে ভেতরটা ভীষণরকম কুঁকড়ে গিয়েছিল, সেটা দিব্যি দিয়েই বলা যায়। রাশেদের সাথে আমার পয়লা মোলাকাত হল এভাবেই, আর প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের আমার বন্ধু রাশেদ চলে গেল প্রিয় বইগুলোর ছোট্ট তালিকার কাতারে।