এই সময়ের প্রতিটি নগরে কৃত্তিমতা জমে ওঠে
দীর্ঘশ্বাস ছাপিয়ে যখন স্বপ্নরা মৃতজন্মে
আস্তে আস্তে গড়ে জীবনের পরমায়ু;
হেঁটে চলা অনিশ্চয়তায় অবাধ্য দৃষ্টি,
বিষাক্ত নিলয়ের গভীরতা,
অনাহুত সম্পর্কের বুনট আর
স্থবির কিছু সন্দেহ।
অক্ষমের শেষ হাতিয়ার নাকি গালি। কোন শালা এই কথা বলছে আমার জানা নাই কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ নিজেকে অক্ষম রূপে আবিস্কার করি। তখন গালি দিলে মনটা শান্ত হয়। ঠান্ডা মাথায় কিছু যুক্তির অবতারনা করা বরাবরই কঠিন বলে মনে হয়। নিজেকে প্রবোধ দেয়ার জন্য, অবস্থান সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারনার জন্য, ঘটনা পরম্পরা বিশ্লেষনের জন্য, সর্বোপরি নিজের সংকীর্ণতা যাচাইয়ের জন্য কিছু পুরনো কাসুন্দি ঘাটতে চাই। আপনার ইতিহাস ভীতি বা গন্ধভীত
মূল - আইজাক আজিমভ
সচলত্ব প্রাপ্তির পর প্রথম লেখা
সচল শুভশীষদা'র লেখা ছয় শব্দের গল্প পড়ে হেমিংওয়ের বিখ্যাত ছয় শব্দের গল্পের(For sale: baby shoes, never worn) সাথে পরিচিত হই। সেই সাথে গল্পের এই ধারা মাথায় গেঁথে যায়। ফেসবুক যুগে যখন সাম্প্রতিক ঘটনা কিছু ঘটলেই মাথায় ফেসবুক স্ট্যাটাসের মকশো করতাম, সেটা কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে মাথায় ঘুরতে থাকে ছয় শব্দের বাক্যগুলো। সেরকমই কয়েকটা নিয়ে ষড়ল গল্প লেখার এই প্রথম চেষ্টা। নামকরণ ষড়ল গল্পটাও শুভাশীষদা'রই করা।
শীতার্ত হৃদয়
(কাপুরুষ)
শীতের কাঁপনে ঝড়ছে পাতা, নেই তো ফুলের তাজ,
রুগ্ন বলে করছ হেলা, চাওনা ফিরে আজ।
বসন্ত যখন আসবে ফিরে, ভরবে পাতায় ডাল,
আসবে নিতে ফুলের সুবাস, ভুলতে মনের কাল ।
[justify]
বুবুনের ঘরের জানালা দিয়ে একটা পাহাড় দেখা যায়।
একটা গোলগাল নীলচে মতো কাঠখোট্টা পাহাড়। শীতের বেলায় পুরো পাহাড়টা ঘোলাটে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে।
দুপুরে মা ভাতঘুমে কাবু হয়ে পড়েন, বুবুন দখিনের ব্যালকনিতে পুরোনো ইজিচেয়ারটার হাতলে বসে দাদাভাইকে খবরের কাগজ পড়ে শোনায়।
বার বার ওর চোখ চলে যায় পাহাড়টার দিকে....
রোদ-রং মাখা বিতিকিচ্ছিরি একটা পাহাড়, কেমন গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সারাক্ষণ..