জগাখিচুড়ি সচলজীবন

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৭/২০১২ - ১২:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরে নাহ, শিরোনাম দেখে যা ভাবছেন তা নয়। জীবন এখনো খিচুড়ি পাকায়নি, সচলজীবন তো নয়ই। তাহলে এরকম নামকরণ কেন? শানে নুযূল খুলে বলি। (তার আগে ফাইন প্রিন্ট, জগাখিচুড়ি কচিদের পড়া বারণ। আপনার দেহ, মন বা ইয়ে আরকি যে কোন কিছুর বয়স ১৮ এর নিচে হলে এখানেই থামুন। আর আপনি যদি কচি নাও হয়ে থাকেন তবুও জেনে রাখুন জগাখিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। সুতরাং সামনে এগুনোর আগে সাবধান! )

আগেই বলেছিলাম বাংলা সাহিত্যকে কিছুটা হলেও ল্যাদাভার মুক্ত করার জন্য দশ বছর আগে লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এরপরে বছর দশেক লেখালেখি বন্ধ করে পরিপূর্ণ পাঠক হয়ে গেলাম। অনলাইন অফলাইনে যাই পাই পড়ে ফেলি। ব্লগে ব্লগে ঘুরে বেড়াই। সে যাই হোক এতবছর পাঠকের জীবন কাটানোর পর হটাত কোন এক কুক্ষণে কি মনে করে গত বছরের এই দিনে জগাখিচুড়ি লিখে আবার শুরু করলাম লেখালেখি। সেই লেখক পুনর্জন্মের এক বছর পূর্তিতে ঠিক করেছিলাম আবারও একখানা জগাখিচুড়ি লিখব। আবার কয়দিন আগে দেখি কার কোন কুবুদ্ধিতে হতভাগা কোন মডু যেন কি কারণে আমাকে পূর্ণ সচল বানিয়ে দিয়েছে। ভাবলাম এইবার পেয়েছি। একেবারে দৈনিকদার কয়েক কাঠি উপরে ঘণ্টিকদা হয়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় পদ্য পোস্ট করে নীড়পাতা ভাসিয়ে দেই। যেন এরপর আর কাউকে সচল করার আগে কর্তা ব্যক্তিগণ তার এফবিআই রিপোর্ট দেখে নিশ্চিত হয়ে নেয় তার কাছে কোন WMD(Weapon of Mass Destruction) বা PMD (Poem of Mass Destruction) নেই। সে যাই হোক, সচল হবার পরে সেটা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়া উচিৎ। তাই ভাবলাম দুটো মিলিয়ে ঘোঁট পাকিয়ে লিখে ফেলবো জগাখিচুড়ি সচল। এরই মাঝে আবার ঘটনার ঘনঘটা পূর্ণ সচলাড্ডা হয়ে গেল। এইবারে ভাবলাম তিন উপলক্ষকে একসাথে মিলিয়ে গিট্টু মেরে লিখে ফেলি জগাখিচুড়ি সচলজীবন। লেখার উদ্দেশ্য পাবলিককে ঈর্ষান্বিত করা নয়, বরাবরের মতো বিনোদন দেয়া। খানিকটা জ্বালা পোড়া হতে পারে। মেজাজ খারাপ হতে পারে এই দেখে যে এক ক্ষুদে সচলাড্ডা নিয়ে একের পর এক লোক এসে ত্যানা পেঁচিয়ে যাচ্ছে দেখে। কেউ ছবি দিয়ে, কেউ অক্ষর দিয়ে নানাভাবে লোকজনকে উত্যক্ত করে যাচ্ছে। কিন্তু সচল পাঠকদের প্রতি আমার অগাধ আস্থা আছে। তারেক অণুকে যদি দিনের পর দিন সহ্য করতে পারেন, তাহলে আমার এই সামান্য পোস্ট আর এমন কি।

সুতরাং এ লেখা আমার সচলে জগাখিচুড়ি লেখার বর্ষপূর্তি, সদ্য সচল হওয়া আর প্রথম সচলাড্ডায় অংশগ্রহণ করে পিপীলিকার পাখা গজানো উপলক্ষে এক জগাখিচুড়ি ব্লগরব্লগর লেখা। এক বছর ব্লগিং করে একবার মনে হল কি লাভ ব্লগিং করে। পেশাদার লেখক হয়ে পেটের ভাত জুটানো সম্ভব হলেও ব্লগিং করে সেটা সম্ভব কিনা সেটা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ আছে। সন্দেহ দূর করে দিয়ে বলছি, শুধু ভাতই নয় ডাল, তরকারী, মাংস, কাবাব, এমনকি কাচ্চি বিরিয়ানি পর্যন্ত জুটানো সম্ভব। সত্য যুগে মুফতে দাওয়াত খাবার ক্যান্ডিডেট ছিল ব্রাহ্মণ আর মসজিদের হুজুর গণ। আমাকে ছোটবেলা যেই হুজুর পড়াত, তিনি বাসায় এসে মাঝে মাঝে ফিরিস্তি দিতেন। অমুকের বাসায় দাওয়াত দিয়ে কি খাওয়াল, তমুকের বাসায় কবজি ডুবিয়ে কিভাবে পায়েস খেলেন ইত্যাদি। লজ্জায় পড়ে আম্মা তাকে তড়িঘড়ি বাসায় দাওয়াত দিতেন। হুজুর খেয়ে এমন একটা মোনাজাত ধরতেন যে আমি নিশ্চিত হয়ে যেতাম, জান্নাতুল ফেরদৌসে এর ডিসিতে না হলেও রেয়ার স্টলে অন্তত আমার একটা জায়গা বুকিং হয়ে গেল। কলিযুগের মুফতে দাওয়াত খাবার ক্যান্ডিডেট হচ্ছে লেখক বা ব্লগার। দুই চার লাইন লেখার কারণেই না ভক্ত পাঠক পাঠিকা আর সহব্লগারদের কাছ থেকে কলাটা মুলোটা জুটে। এক বছর ব্লগিং করে আমার সেরা প্রাপ্তি দেশ বিদেশের আনাচে কানাচে বিভিন্ন পাঠক ও সহব্লগারদের কাছ থেকে দাওয়াত জুটিয়ে ফেলা। লোকজন আমাকে মেসেজ দেয়,
- ও ভাই, আপনার লেখা পড়লাম, বড় ভালো লাগলো।
- বলছেন?
-অবশ্যই।
-তাইলে আর কি । এক বেলা খাওয়ায়ে দিয়েন।
এভাবে ব্যবসা চালাতে থাকলে একসময় দুনিয়ার যে কোনাতেই থাকি না কেন, অন্নসংস্থান নিয়ে চিন্তা করতে হবে না অন্তত। কিছুদিন আগে এরকমই আড্ডার উসিলায় ছালা খুলে দাওয়াত খেয়ে আসা হল জুবায়ের ভাবী, উচ্ছলা আর সাফির বাসায়। শুধু খাওয়া দাওয়া নয়, ব্লগার হলে উপহারও জুটে। উপহার দেয়া নেয়ার ক্ষেত্রে আমার নীতি সহজ। গিফট দেয়া হারাম, নেয়া ওয়াজিব। তাই সচলাড্ডায় লোকে আমাকে চকলেট, বই, এটা সেটা গিফট করলো। আমি গ্রহণ করে নিজের জন্য কিছু নেকি অর্জন করলাম।

বাবা মা আস্ত একটা নধর রামছাগল থুক্কু বড় ছাগল জবাই দিয়ে ছেলের নাম রেখেছিলো চরম উদাস। সেই নাম নিয়ে লোকে ছেলেখেলা করে কখনো গরম উদাস, কখনো শরম/নরম উদাস, কখনো চ.উ.দা ( লা হাওলা) বলে ডাকে। আর লেট করে সবখানে যাই অপবাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত কিনা নাম হল লেটুদাস বা লেটুস! যেসব লোকে আমাকে চেনে (দুষ্ট লোক ব্যতীত) তারা সবাই জানে প্রয়োজনে আমি লম্পট, দুশ্চরিত্র, বদমাশ, এমনকি তারেক অণু হতে পারি তবে লেট লতিফ কক্ষনো না। তারপরেও লেট করে সচলাড্ডায় হাজির হবার অপরাধে আমাকে নিয়ে প্রভূত মশকরা করা হল। মিয়ার ব্যটা কান কাটা রমজানকে হুঙ্কার দিয়ে বলেছিল, আমি সব সহ্য করতে পারি কিন্তু দেরী সহ্য করতে পারি না। কানকাটা রমজানের মতো আমাকেও কাঁচুমাচু গলায় বলতে হচ্ছে, আমি একটু হইয়া আসি কিনা তাই মাঝে মাঝে দেরী হয়ে যায়।

এখন প্রশ্ন কোথা থেকে হইয়া আসি। আমার বন্ধু মিনহাজের কথা বলি। ওরও এরকম কেবলই দেরী হয়ে যেত নানা জায়গা থেকে হইয়া আসত বলে। ধরা যাক বিকেল বেলা ওর সাথে আমরা বেড়িয়েছি চা পুরির দোকানে যাবো বলে। সে বাসা থেকে লুঙ্গী পরে আনমনে হাওয়া খেতে বের হয়েই দেখা যেত বাসার সামনের জুনিয়র ছেলে মেয়েদের (যারা কিনা তার পাড়া-মেট কাম ছাত্র কাম শিষ্য ) জ্ঞান দিতো কিছুক্ষণ। এভাবে দুই কদম যায় আর জ্ঞান বিলায়, যায় আর জ্ঞান বিলায়। কাউকে ফিজিক্স, কাউকে কেমিস্ট্রি, কাউকে জীবনদর্শন আবার কাউকে বা লুচ্চামি করা শিখিয়ে দেয়। আমারও ইদানীং প্রয়োজনের তুলনায় জ্ঞানের পরিমাণ বেশ খানিকটা বেড়ে যাওয়াতে আজকাল সেটা নানা জায়গায় ডাম্প করতে হচ্ছে। তাই জনসেবা করতে করতে একটু দেরী হয়ে যায় আরকি মাঝে মাঝে। তবে এবারের ঘটনা ভিন্ন। সচল আড্ডায় পীরবাবা ছাড়াও আরও কয়েকজন বাইরে থেকে আসবে আশা করেছিলাম। সেইজন্য বাসার কাছেই হোটেলে একখানা রুম ঠিক করা ছিল। ( মূলত তারেক অণুকে হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় অস্ত্র(!) সহ ধৃত, ডালাস মর্নিং নিউজে এরকম একটা হেডলাইন নিউজ বানানোর মাস্টার প্ল্যান ছিল) । এয়ারপোর্ট থেকে পীর বাবাকে নিয়ে প্রথমে সেখানে গেলাম। ওইদিকে পীরবাবা ডালাস আসা নিয়ে পরিবারের তরফ থেকে বিশাল ক্যাচালে ছিল। তাঁর স্ত্রীর ধারণা চরম উদাস আসলে সুন্দরী কোন ললনা। (কথা হয়তো মিছা না, আমি আপাতত বোরখা নিয়ে ছদ্মবেশে আছি। যথাসময়ে প্রকাশিত হব। আমার পুরা নাম চরম তসমস উদাস এটা আমার ঘনিষ্ঠ ছাড়া কেউ জানে না)। আবার এইদিকে আমার স্ত্রীর ধারণা সত্যপীর আসলে একজন রমণী। যুক্তি হচ্ছে, একমাত্র মেয়ে মানুষই এতো সহজে পুরুষ মানুষদের (সিরাজ, আওরঙ্গ ইত্যাদি) প্যান্ট খুলে দিতে পারে। হোক না তারা মোগল পুরুষ, কিন্তু পুরুষ তো। যাহোক, এই হোটেলে উঠা নিয়ে নানা কু কথা উঠতে লাগলো। আমার স্ত্রী চোখ সরু করে বলে, কার সাথে হোটেলে গিয়ে উঠলা? আমি যতই বলি উনি একজন পুরুষ, তাও আবার যেনতেন পুরুষ নয় মহাপুরুষ, বিশিষ্ট পীর সাহেব। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তারপরে পীরবাবাকে সামনা সামনি দেখার পরও চিন্তা যায়না। চোখ সরু করে আমাকে বলে, তুমি মিলিটারি স্কুলের ছাত্র ছিলা না? আমি প্রাণপণে বুঝাই সকল ক্ষারক যেমন ক্ষার নয়, সকল উদাস যেমন চরম নয়, সকল দত্ত যেমন তনুশ্রী নয়, সকল পাণ্ডেরা যেমন পুনম নয়, সকল বালেরা যেমন মহাকবি ইকবাল নয়, তেমনি সকল মিলিটারি আর মাদ্রাসারাও ইয়ে নয়। এসব গ্যাঞ্জাম মিটাতে খানিকটা সময় লাগেনা নাকি? সে যাই হোক, আমি ডালাসে থাকলেও মোটামুটি প্রায় সাত সমুদ্র তের নদী পারি দিয়ে, বহু ঝামেলা করে সচলাড্ডায় আসতে হয়েছে আমাকেও। সুদূর (আসলে অত দূর না) নিউ মেক্সিকোতে তেল খোঁজার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এই বড় একখানা পিকাপ ট্রাক নিয়ে পাহাড় জঙ্গল দাপিয়ে বেড়িয়েছি (শ্রীমান সাফি সাক্ষী) শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। সেই রোমহর্ষক এডভেঞ্চার এর গল্প না হয় অন্য কখনো বলা যাবে। এমনিতে আমি ভীষণ ফর্সা মানুষ। সেই এক সপ্তাহ রোদে রোদে ঘুরে দুধে-আলকাতরা রঙ থেকে দুধটুকু উড়ে গিয়ে শুধু আলকাতরা টুকু পরে আছে। এই পরিশ্রান্ত দেহমন নিয়ে নড়াচড়া করতে একটু দেরী তো হতেই পারে। একবার ভাবলাম এয়ারপোর্ট থেকে পীরবাবাকে আনতে যাবার সময় নিজে গাড়ী না চালিয়ে স্ত্রীকে বলি। আমার স্ত্রী দুর্ধর্ষ ড্রাইভার, ঘণ্টায় শত মাইল বেগে চালাতে পারে। তবে সমস্যা একটাই ডান বাম গুলিয়ে ফেলে। নানা ভাবে শেখানোর চেষ্টা করেছি। যেমন আমি ডানপাশের প্যাসেঞ্জার সিটে বসে থাকি। বলি, মনে রাখবা Husband is always right । কাজ হয়না। এর পরে বললাম হাতের আংটি দেখে ডান বাম চিনতে। ফলাফল হল, রাস্তায় নেমে যখন বলি এবার রাইট টার্ন নাও। উত্তর আসে, আমার কোন হাতে আংটি? ডান হাত না বাম? সর্বশেষ অবস্থা হচ্ছে, গতকাল এক জাংশনে এসে যখন বললাম ডানের রাস্তা নিতে, স্টিয়ারিং হুইল থেকে দুই হাত ছেড়ে দুইদিকে ছড়িয়ে দিয়ে বলে,
-তাড়াতাড়ি বল, এইদিকে যাবো না ওইদিকে।
- ওই দিকে।
-ওই দিক মানে কোন দিক?
-ডান দিক।
ডান দিক কি এই দিকে?
- না না ওই দিকে।
স্ত্রীর ড্রাইভিং নিয়ে এতো বদনাম করি বলেই হয়তো নিজেই আকাজ করে বসলাম। পীরবাবা কে নিয়ে লেট হবার ভয়ে হন্তদন্ত হয়ে গাড়ী ছুটিয়ে দিব্যি সামনের এক গাড়ীর পুটু মেরে দিলাম। সামনের গাড়ীর চৈনিক ভদ্রলোক অবশ্য বের হয়ে এসে বললেন, একটুও ব্যথা পাইনি। তাই তেমন ঝামেলা হলনা।

তবে সচলাড্ডায় সবচেয়ে বেশী আতঙ্কে ছিলাম এই ভেবে লোকজন কখন আমাকে জোকস বলতে বলে বসে এই নিয়ে। রসিক হিসেবে দুর্নাম কামানোর পর এই হচ্ছে সমস্যা। ফেসবুকে পাবলিক গুঁতা দিয়ে বলে, ভাই মনডা বড় খারাপ আজকে, একটা জোক বলেন। মন উদাস করে ভাবি, আমি কি তবে গোপাল ভাঁড়? ভাগ্য ভালো এখানে কেউ জোকস বলতে বলেনি। মনে মনে রেডি ছিলাম। কেউ জোকস বলতে বলা মাত্র "এই রিকশা যাবে? যাও" টাইপের কয়েকটা ভয়ঙ্কর রসিকতা শুনিয়ে দিতাম। খুশী মনে দেখলাম সেরকমটি হলনা। বরং অন্য সবাইকে আমার কাছে নিজের চেয়ে অনেক বেশী রসিক মনে হল। ভরা মজলিশে রসিকতা করার সাহস সবার হয়না। কারো কচি(!) মনে আঘাত না দিয়ে, আপেক্ষিক অশ্লীলতার সীমা না ছাড়িয়ে সকলের জন্য উপযোগী রসিকতা কঠিন কাজ। আমাদের বুয়েটের প্রথম পিকনিকে এক রসিক বন্ধু এক রসিকতা করে ধরা খেয়েছিল। আমার কাছে অন্তত আপাত নিরীহ রসিকতা -

এক পুচকা ছেলে হন্তদন্ত হয়ে ফার্মেসীতে এসে কনডম চাইছে। দোকানদার একটু ইতস্তত করে দিয়েই দিলো। ভাবল ছোকরা বেলুন বানিয়ে খেলবে। একটু পর আবার এসে আরেকটা চায়, বলে আগেরটা ফেটে গেছে। দোকানী বিরক্ত হয়ে দিয়ে দিলো আরেকটা। এরপর আরও দুইবার এসে একই কথা বলে আরও চাইল। ঘটনা কি দেখার জন্য এইবার পুচকার পেছন পেছন গিয়ে দেখে ছোকরা গলির কোনায় গিয়ে সেইটা মাথায় পরার চেষ্টা করছে। ঘটনা কি জানতে চাইলে সে উত্তর জানায়, স্কুলে যেমন খুশী তেমন সাজ প্রতিযোগিতা হচ্ছে। সেখানে সে পুরুষাঙ্গ সাজার চেষ্টা করছে।

রসিকতা শুনে লোকজন পুরা দুইভাগ হয়ে গেল। সকল মেয়ে এবং মেয়ে-বান্ধব পুরুষগণ চোখমুখ কঠোর করে বসে রইল। আমরা বাকিরা নির্লজ্জের মতো গড়াগড়ি দিয়ে হাসলাম। আরেকবার এক বন্ধু রসিকতা করলো, হুজুর আর খেজুর এর মধ্যে পার্থক্য কি? পার্থক্য হচ্ছে, খেজুরের যেই জিনিস একটা থাকে হুজুরের সেটা দুইটা। নিম্নমানের রসিকতা। কিন্তু ভরা মাহফিলে রসিকতা খুব জমে গেল। পাবলিক ঠাঠা করে হাসল। আমি মুখ ভোতা করে বসে রইলাম, "এইডা কিছু হইলো" ভেবে। আরেক সেমি-হুজুর বন্ধু চরম ক্ষেপে গেল এইখানে হুজুরদের অপমান করা হয়েছে বলে। সে রাগের চোটে তোতলাতে তোতলাতে বলে, এইটার মানে কি? হুজুরদেরই কি খালি দুইটা? বাকিদের কি চারটা করে? এইখানে হুজুর টানার যুক্তিটা কি আমাকে বল?

যাহোক, আমাদের সচলাড্ডায় কারো মনে কষ্ট না দিয়ে হাসি ঠাট্টা রসিকতা সবই হল। অতিথি লেখিকা নীলকমলিনী বললেন চরম একটি জোক। আসলে ঠিক জোক নয়, ফ্যাক্ট। তিনি নাকি কলকাতায় দেখেছেন লোকজন বেশ বাবু সেজে মিছিল করছে "এই আইন মানছিনে, মানছিনে" বলে। এতে হাসির কি হল? ব্যাখ্যা করতে পারবোনা। কিন্তু যতবার মনে মনে কল্পনা করি এক দল লোক, হাতখানা ঠিক যতটুকু না উঠালেই নয় ততটুকু উঠিয়ে মৃদু গলায় "এই আইন মানছিনে, মানছিনে" বলে মিছিল করে যাচ্ছে ততবার কেন যেন হাসি আসে। সারাজীবন ঢাকায় জ্বালাও পোড়াও মিছিল দেখেছি, জ্বালো জ্বালো আগুন টাইপ মিছিল দেখেছি। এজন্য এরকম মৃদুমন্দ শ্লোগান শুনে হাসি আসতেই পারে। আসলে আমরা মিলিটারি স্কুলে বাজেবাজে শ্লোগান দিতাম। সবচেয়ে কমন ছিল "ইয়ে মার" শ্লোগান। ( ইয়ে এর জায়গাতে "কটিদেশ এবং দুই পায়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত উদগত মাংসল অংশবিশেষ" এর উপযুক্ত প্রতিশব্দ বসতো )। শ্লোগান উঠত, অমুকের পুটুতে বাঁশ ঢুকায়ে ইয়ে মার। সবাই চেঁচিয়ে বলতো, হোহ হো। আরেকটা ছিল আতে পাতে (মানে কি কে জানে)। শ্লোগান উঠত, আতে পাতে অমুকের পুটু তে। সবাই চেঁচিয়ে বলতো, দে। আবারও শ্লোগান, পুটুতে। সবাই চেঁচিয়ে, দে। এখানে কবি কি দেয়ার কথা বলছে তা উহ্য। যথেষ্ট যন্ত্রণা উদ্রেককারী যে কোন কিছু দিলেই হবে। সেইসাথে সেই যুগে মতিকণ্ঠও ছিল না। তাই পুটুর মতো মিষ্টি শব্দও তৈরি হয়নি। ওখানে যথারীতি আরও বাজে কোন প্রতিশব্দ ছিল। বাংলা এমনিতেই বড় বিপদজনক ভাষা। জগা খিচুড়িতে বারবার সেকথাই বলেছি। বুঝে শুনে কথা না বললে এরকম চা-টা খাওয়া বা দু দু বার করে বলার মতো বিপদ হতে পারে। সেদিন যেমন একজন একটা বই পড়েছি কিনা জিজ্ঞেস করায় বললাম, পড়া হয়নি। আমাকে যেন ইমেইল করে বইটা দেয়। উত্তরে বলে, আমার তো হার্ড বুক, সফট না, কিভাবে পাঠাবো। শুনে আমার মনের ভেতরের শয়তান ঠা ঠা করিয়ে হেসে কু ডাক দেয়।

সে যাই হোক, কুকথা রেখে আবার সচলজীবনে ফিরে আসি। অবশ্য সচলজীবন নিয়ে নতুন করে আর কি বলব। সচল হবার পর একবার ভাবলাম বেশ একটা তেলতেলে লেখা দেই সচলায়তন এর বন্দনা করে। হে সচল, তুমি আমার মরু জীবনে এক ফোঁটা বৃষ্টি টাইপের। পরে মনে হল তেল কোম্পানিতে কাজ করলেও তেলটা ঠিক আসে না আমার। আর তাছাড়া সচল আমার জীবনে শান্তির চেয়ে অশান্তিই ডেকে এনেছে বেশী। কি সুন্দর পাঠক ছিলাম, এখন লোকজনের দুই চারটা হাততালির লোভে হয়ে গেলাম লেখক। তবে কথা দিচ্ছি এইরকম অবস্থা হবার আগেই লেখক জীবন থেকে অবসর নিব।

যেই চিড়ে চ্যাপ্টা টুথপেস্ট টিউবটা দেখছেন ওইটা লেখক। আর তাকে চিপি দিয়ে শেষ পেস্টটুকু বের করে নিচ্ছে ধান্ধাবাজ প্রকাশক আর পীর-পূজারী পাঠক। পেস্ট শেষ হয়ে গেলেও শান্তি নেই, সবাই চিপতেই থাকবে, চিপতেই থাকবে মৃত্যু পর্যন্ত। এমনকি মরার পরেও। আমরা কেউই হুমায়ূন আহমেদ নই, হতে পারবোনা, হতে চাওয়ার প্রয়োজনও নেই। আমি নিজে বরং মোহাম্মদ জুবায়ের হতে চাই। জনমানুষের ঈশ্বরে পরিণত হবার হ্যাপা অনেক। ঈশ্বরের কানে কখনো সাধারণ আদম সন্তানের ফিডব্যাক পৌছায় না। তিনি হয়তো বুঝতেও পারেন না, তার ডায়পার পাল্টানোর সময় হয়ে গেছে। তারচেয়ে বরং জুবায়ের ভাইয়ের মতো একজন রক্ত মাংসের ব্লগার হয়ে থাকি। লেখা ভালো লাগলে পাবলিক কানে কানে এসে বলবে, মনটা ছুঁয়ে গেল। খারাপ লাগলে মুখের উপর বলে দিবে, বালের লেখা লিখেছেন। এই করতে করতেই খুশী মনে একদিন জুবায়ের ভাইয়ের মতো হাসিমুখে ফ্রেমে ঝুলে যাব। আপনজনেরা আমার বাসায় এসে আমার ছবির পাশে ছবি তুলে আড়ালে গিয়ে চোখ মুছবে। সামনে এসে হাসিমুখে বলবে, ব্যাটা ছিল বটে একখান পোঙটা লোক। আর যদি দেখি মরার আগে খুব বেশী বিখ্যাত হয়ে গেছি, তাহলে প্রিয়জনদের কানেকানে বলে যাবো দূরে থাকতে। বাকি সবার জন্য কফিনে টাইম বোমা লাগানো থাকবে। যারা যারা ভালোবাসা জানাতে আসবে (বিশেষ করে ক্যামেরা সহ) তাঁদের এক সাথে নিয়ে যাবার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। অতই যদি আমাকে ভালবাসেন তাইলে চলে আসেন আমার সাথে, একযোগে পরলোকে গিয়ে গ্যাঁজাই। আর বোমা খেয়ে কিছু সুন্দরী মহিলাও যেন আমার সাথে পগার পার হয় সেই ব্যবস্থা থাকবে। মরে গিয়ে পরে যদি দেখি কোন হুর পরী নাই তখন তো বিরাট ধরা। ব্যাকআপ হিসেবে তখন এরা সাথে থাকবে।

একবছরের সচল জীবনের শেষ মাসে এসে বাঘা বাঘা সব সচলদের সাথে দেখা হয়ে গেল। সাফিকে দেখে আমার মতোই আরামপ্রিয় সুখী মানুষ মনে হল। তবে প্রফেসর এর হাত থেকে বন্দী পুটু ছাড়াতে গিয়ে মাঝেমাঝে হিমশিম খেতে হচ্ছে বেচারাকে। তাসনীম ভাই আমোদ প্রিয় মানুষ। অনেক চিন্তা করেও বদনাম করার মত কিছু খুঁজে পেলাম না। তবে প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাওয়া মাত্রই ঢেঁড়া পিটিয়ে সবাইকে জানিয়ে যাব। উচ্ছলা যে আসলে গম্ভীরা বেগম সে কথা তো তাসনীম ভাই আগেই বলে দিয়েছেন। তবে আমার কাছে উচ্ছলাকে খুবই বিপদজনক একটা মেয়ে মনে হয়েছে। ওর কাছে যেন কি একটা যন্ত্র আছে সেটা দিয়ে সব কিছু গোলগোল বানিয়ে ফেলে। সারাজীবন তরমুজ, বাঙ্গী এদেরকে দেখেছি একরকম। উচ্ছলার বাসায় গিয়ে দেখি এরা সবাই গোলগোল। আমি লম্বা শুকনা পাতলা লোক ওর বাসায় ঢুকলাম, বের হলাম গোল একটা পেট নিয়ে। যাই হোক, এই সেই ফল-নির্যাতনকারী উচ্ছলার ভিক্টিমেরা -

পীরবাবা ডালাসে পাণিপ্রার্থী হয়ে না আসলেও তাকে এক গ্যালন পানি কিনে দিয়েছিলাম পান করার জন্য। তিনি সেটা পান না করে সেটা পড়ে আমাকে পরদিন সকালে ফেরত দিয়েছেন। সেই গ্যালন ভর্তি পানি-পড়া যত্ন করে রেখে দিয়েছি। এই সেই বিখ্যাত পানি-পড়া যাহা পান করলে অর্শ-ভগন্দর, চর্ম-যৌন থেকে শুরু করে কর্কট রোগ পর্যন্ত রোগ নিরাময় হয়। আগ্রহীরা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। নীলকমলিনী ভাবীকে ক্ষমতা থাকলে ডক্টরেট ইন সচলায়তন দিয়ে দিতাম। সচলের যে কোন লেখা উনি গড়গড় করে মুখস্থ বলে যেতে পারেন। পরেরবার দেখা হলে উনাকে বলবো, ডরাইলেই ডর কাব্যগ্রন্থটি কমেন্ট সহ আমাদের আবৃত্তি করে শুনাতে। আর সবার উপরে অদৃশ্য জুবায়ের ভাই আর ভাবী তো আছেনই পরম ভালোবাসা নিয়ে সবাইকে ঘিরে।
[এই প্যারাটা লিখে কয়েকবার পড়ে মনে হল, আমি আমার সারাজীবন মিলেও এতো ভালো ভালো কথা কখনো বলিনি মানুষজনের সম্পর্কে। কি আর করা। নুন খেয়ে একটু গুন তো গাইতেই হয়।]

যাহোক, এবারকার জগাখিচুড়ি টাইপ জগাখিচুড়ি শেষ করি। কখনো আড্ডার কথা, কখনো ব্লগরব্লগর, কখনো ব্যক্তি-কথন যা ইচ্ছে হয়েছে ঠুসে দিলাম। জিনিসটার নামই যখন জগাখিচুড়ি, এই যাচ্ছেতাই মিক্সচার তো সহ্য করতেই হবে এখানে।

শেষ কথা হচ্ছে চারিদিকে লোকজন হুমায়ূন আহমেদ এর স্মৃতিচারণ করে যাচ্ছে। যাকে উনি কিছু কখনো বলেও যাননি সেও বলছে, উনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন। মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলেন, বাবা মন দিয়ে পড়ালেখা করিস। পেটটা ভরে ভাত খাইস। একজন দেখি স্মৃতিচারণ করছে, আমরা একসাথে রিকশা করে ওখানে গিয়েছিলাম। উনি আমার রিকশা ভাড়া দিয়ে দিলেন। ইত্যাদি ইত্যাদি। দেখেশুনে মনে হল, এই বেলা আমার স্মৃতিটুকুও শেয়ার করা উচিৎ। তিনি আমাকে বলেছিলেন (মুখে না কিন্তু রীতিমতো লিখিত প্রমাণ আছে কইলাম) ... কি জানি বলেছিলেন এখন মনে পড়ছেনা। মনে পড়লেই এসে আবার বলে যাবো। এতকাল পর নতুন করে হাবিজাবি লেখালেখি শুরু করে মাঝেমাঝেই কৈশোর এর এই নায়ক হুমায়ূন আহমেদ এর কথা মনে পরে। মনে পড়ে লেন্স ক্লুজেনার এর কথা। মনে পড়ে ৯৯ এর ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সেমিফাইনাল এর কথা। দাঁত কিড়মিড় করে চিল্লাচ্ছিলাম, ব্যাটা ষোল বলে একত্রিশ রান নিতে পারলি, চারটা চার একটা ছয় মারতে পারলি আর একটা খালি রান নিতে পারলিনা? আউট হয়ে গেলি? এতো এতো জনপ্রিয়তা হাতে নিয়ে একজন লোক এভাবে অকালে চলে গেল? যাবার আগে যে সকল তরুণেরা হলুদ পাঞ্জাবী পরে ভাঁড়ামি করে তাঁদের কানে কানে বলে যেতে পারলেন না জলিল সাহেবের পিটিশনের কাজে নামতে? রাতের বেলা লোলুপ দৃষ্টিতে পর্ণ দেখে পরদিন সকালে খালি পেয়ে দুই কদম হেঁটে যারা হিমু হইয়েছি ভেবে খুশীতে বাকবাকুম তাঁদের কান বরাবর একটা চটকানা দিয়ে বলে যেতে পারলেন না, খালি পায়ে হাঁটলে পেটে ক্রিমি হয় দেশের কোন বালোৎপাটন হয়না। যারা এক "তুই রাজাকার" ডায়লগ দিয়েই তাকে রাজাকারদের বিরুদ্ধে প্রথম বলিষ্ঠ প্রতিবাদকারী হিসেবে দাড় করিয়ে ফেলেছে তাঁদের জন্য আরেকটু ভালো কিছু দিয়ে যেতে পারলেন না।বাকের ভাইয়ের মৃত্যুতে যারা কেঁদে আকুল হয়, তাঁর কুলখানি করে তাঁদের একবার জোর গলায় বলতে পারলেন না, ওহে বেঈমান দেশের বেঈমান মানুষ তোমাদের ৩০ লাখ পিতা যে মরে গেল, কত লাখ মাতাকে ধর্ষণ করে ফেলে গেল তাঁদের কুলখানি করেছ? তাঁদের বিচার চেয়েছ?

হুমায়ূন আহমেদ চলে যাবার সাথে সাথে বাংলা সাহিত্যের আলোকিত একটি অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। হয়তো বড় বেশী আলোকিত ছিল এই অধ্যায়টি। যেই অধ্যায় এ নায়িকারা সব রূপার মতো পরমা সুন্দরী, পুরুষেরা মিসির আলীর মতো ভীষণ বুদ্ধিমান, হিমুর মতো মহাপুরুষ , পাক সেনারা সামান্য হলেও হৃদয়বান। এখন বুঝি নতুন অধ্যায় শুরু হবে নতুনদের হাত দিয়ে। আমার প্রার্থনা এবারের অধ্যায়টি যেন আলোকিত না হয়ে খানিকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। কেউ একজন অন্ধকারের গল্প বলুক। কেউ একজন পচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন বীরাঙ্গনাদের কথা বলুক। কেউ একজন পশুদের গল্পগুলি পশুত্বের আক্রোশ দিয়ে বলুক। জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক।


মন্তব্য

মেঘা এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... এখন পড়ি দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অরফিয়াস এর ছবি

রেগে টং আমার আগেই রাখলেন কেমনে ??!!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মেঘা এর ছবি

হাহাহাহা ভাইয়া আমি পোষ্ট দেখেই ছুট লাগিয়েছিলাম ইটা রাখার জন্য হো হো হো

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

ওরে, ইটা নিয়া মারামারি করে নারে

রিয়েল ডেমোন এর ছবি

ইটা কি উদাসদার মাথায় মারলা নাকি? শয়তানী হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

[ইটা আগেই রাখছি, এবার কমেন্ট করি-]

কলেজের এক ম্যাডাম একদিন ক্লাসের দুষ্টু ছেলেদের "দু দু" বার করে রাসায়নিক বিক্রিয়া বুঝিয়েছিলেন, দুষ্টু ছেলেদের হাসি দেখে তার ঠিক সামনের বেঞ্চে কোনমতে হাসি চেপে বসে থাকা আমার মতো অবোধ ছেলেটিকে বলেছিলেন "এরা হাসে কেন?" !!

আরও কিছু বলবো ভেবেছিলাম কিন্ত-

হুমায়ূন আহমেদ চলে যাবার সাথে সাথে বাংলা সাহিত্যের আলোকিত একটি অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। হয়তো বড় বেশী আলোকিত ছিল এই অধ্যায়টি। যেই অধ্যায় এ নায়িকারা সব রূপার মতো পরমা সুন্দরী, পুরুষেরা মিসির আলীর মতো ভীষণ বুদ্ধিমান, হিমুর মতো মহাপুরুষ , পাক সেনারা সামান্য হলেও হৃদয়বান। এখন বুঝি নতুন অধ্যায় শুরু হবে নতুনদের হাত দিয়ে। আমার প্রার্থনা এবারের অধ্যায়টি যেন আলোকিত না হয়ে খানিকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। কেউ একজন অন্ধকারের গল্প বলুক। কেউ একজন পচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন বীরাঙ্গনাদের কথা বলুক। কেউ একজন পশুদের গল্পগুলি পশুত্বের আক্রোশ দিয়ে বলুক। জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক।

আপাতত এই কথাটাই থাক।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
লোকজন বড়ই দুষ্টু, সবাই কি আর আমার আপনার মতো সরল সোজা??

সত্যপীর এর ছবি

আহা হাত পা ছড়ায়া উদাস দাদার সৌজন্যে রাজকীয় স্যুইটে কি ঘুমটাই না দিসিলাম। তারেকাণু মিস কর্লেন মিয়া।

এই সেই বিখ্যাত পানি-পড়া যাহা পান করলে অর্শ-ভগন্দর, চর্ম-যৌন থেকে শুরু করে কর্কট রোগ পর্যন্ত রোগ নিরাময় হয়। আগ্রহীরা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

দুষ্টলোকের কথায় প্রতারিত হৈবেন না। তালেবে এলেম মাত্রই জানেন ফুঁ দেওয়া পানি ৩২ ঘন্টা পর কার্যকারীতা হারায়। অর্শ, ভগন্দর, যৌন, কর্কট ও হাঁপানি রোগের নিরাময়ে ক্রেডিট কার্ড নাম্বার ও এক্সপায়ারী ডেট সহ সরাসরি যোগাযোগ করুন। পেপ্যাল গ্রহন করা হয়।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

এহহে, ডিজিটাল মাজার খুলে ফেললেন দেখি। আমারেও কিছু বখরা দিয়েন।

কল্যাণ এর ছবি

কমু না

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

রিসালাত বারী এর ছবি

কেউ একজন বীরাঙ্গনাদের কথা বলুক। কেউ একজন পশুদের গল্পগুলি পশুত্বের আক্রোশ দিয়ে বলুক। জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক।

চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

গুল্লি

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

জগাখিচুড়িকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা! দেঁতো হাসি

লেখার কথা আর কি বলবো! হাসতে হাসতে পেটে খিল। গড়াগড়ি দিয়া হাসি আর শেষের প্যারাটায় গুরু গুরু

- ওয়াহিদ

চরম উদাস এর ছবি

হ, আমার বাড্ডে আর জগার বাড্ডে কাছাকাছি।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আমি প্রায় প্রায় অবাক হই কিছু কিছু মানুষের সাথে আমার চিন্তা ভাবনার এত মিল কিভাবে হয়। পুরাই কাকতালিয়। জননীদের গল্প গুলা যে বার বার উপেক্ষিত এই বিষয় গুলা নিয়ে লেখার কেউ নেই
হেটস অফ উদা ভাই

চরম উদাস এর ছবি

আমার সাথে তো দুষ্টু লোকের চিন্তাভাবনা মিলে, আপনি কি আমার মতো দুষ্ট লোক নাকি?? খাইছে

মেঘা এর ছবি

উদাসিনী ভাবীর কথা পড়ে অনেকক্ষণ খুব হাসলাম। বেচারা ডান বাম চিনে না হো হো হো অনেকটা আমার মতো। আমি কিছুতেই উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম চিনি না ইয়ে, মানে...

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

উপর আর নীচ চিনেন তো নাকি ওইটাও গুলায়ে যায়??

কালো কাক এর ছবি

আমিও ডান বাম চিনতাম না, পরে হাত দুইটা চিনে নেয়ায় সুবিধা হইসে। ডান বললে ডান হাত কোনটা দেখি, তারপর অইদিকে আক্ষরিক অর্থেই হাত বাড়িয়ে সেইদিকে যাই। খাইছে
উত্তরদক্ষিণপূর্বপশ্চিম চিনিনা মন খারাপ

লেখা অন্যসবগুলোর মতই। হাসির মধ্যে ধপ করে হাসি থামিয়ে দিলেন।

মেঘা এর ছবি

ছোটবেলায় আমি নিজের যেই হাতে ঘড়ি পরতাম সেটা বাম হাত সেটা দেখে ডান হাত চিনতাম ইয়ে, মানে... কী যে অবস্থা! তবে এখন ঠিক আছে। আমি ডান বাম চিনি কিন্তু ওই যে বললাম বাকী সমস্যা তো জীবন ভর থেকেই যাবে মনে হয়!

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

কিন্তু কোন হাতে ঘড়ি পরছেন সেইটা কে মনে করায়ে দিতো?

মেঘা এর ছবি

ঘড়ি পরা হাতটা যে বাম হাত আমি নিজেই নিজেকে বলি সব সময়। এখন ঘড়ি পরি না তাও বলি ঘড়ি পরা হাত আর ডান হাত ইয়ে, মানে...

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

টিউলিপ এর ছবি

হে হে, আমিও ডান বাম মনে রাখতে পারি না। উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম তো চিনিই না, ডান বাম বের করার জন্য একটা চিট কোড আছে আমার, ডান হাতের তালুতে অনামিকায় একটা তিল আছে। কেউ ডান বাম বললে আমি চট করে তালু উলটে তিল দেখে নেই। কিন্তু প্রথমদিকে ড্রাইভিং-এর সময় তো ঐটা করার টাইম পেতাম না, পল্লবকে কড়া ইন্সট্রাকশন দেওয়া ছিল, মুখে বলবি না, হাত বাড়ায় দেখাবি এইদিকে যা! নইলে গাড়ির কিছু হলে আমি জানি না।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

চরম উদাস এর ছবি

আমি প্রস্তাব দিছিলাম ডানে যেতে হলে ডান গালে থাবড় দিবো আর বামে যেতে হলে বাম গালে। প্রস্তাব সংসদে পাশ হয় নাই ইয়ে, মানে...

শাব্দিক এর ছবি

আমার মত এই সমস্যায় এত মানুষ ভোগে জেনে খুবই আপ্লুত। দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

উত্তরদক্ষিণপূর্বপশ্চিম চেনা অবশ্য অত সহজ না। তবে সুয্যি মামাকে একটু খেয়াল করলে বোঝা যায়।
হাসি থামাব কেন? চাইলে হাসিমুখেই সব করা যায়, তেল দেয়া থেকে শুরু করে গাল দেয়া পর্যন্ত

মেঘা এর ছবি

সূর্য দেখে না হয় দিনের বেলা বোঝা গেলো কিন্তু রাতে কি হবে ওঁয়া ওঁয়া

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

মেঘা এর ছবি

না উপর নীচ চিনি ইয়ে, মানে... ওইটা গুলায় না হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

নিটোল এর ছবি

স্যালুট!

_________________
[খোমাখাতা]

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ক্রেসিডা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সেইরকম হইছে উদাস ভাই!! সব লেখা থেকে এইটা আমার কাছে সেরা আপনার লেখাগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত চলুক

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু অংশের জন্য গড়াগড়ি দিয়া হাসি আর কিছু অংশের জন্য গুরু গুরু

হিল্লোল

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

সুমাদ্রী এর ছবি

দেঁতো হাসি

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

Kazi এর ছবি

as usual লা জওয়াব। কিন্তু জনাব, ৩ টা লেখাকে ১ টা তে নামাই আনার জন্য আমরা যারা মুলত পাঠক তারা যে ২ টা লেখা মিস করলাম সেটার বিচার কে করবে?

শেষ ২ প‌্যারায় গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

পাঠকের উপর অত্যাচার কমাতেই তো তিনটার বদলে একটা লিখা দিলাম।

তারেক অণু এর ছবি

জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক। চলুক

আসলেই জুগাখিচুড়ি হয়েছে কিন্তুক মানে ব্যাপক জিনিসের সমাগম, সেই সাথে কড়া পাকের মশলা।।

আরে ভাই, আমি আছি মহাসাগরের অন্য পারে ( ডানে না হয় বামে) খামোখা আমারে টানাটানি ক্যান! তয় সামনে আড্ডায় দেখা হইতেও পারে।

চরম উদাস এর ছবি

চলে আসেন, নির্ভয়ে দেঁতো হাসি

ক্লোন৯৯ এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি দেঁতো হাসি ওঁয়া ওঁয়া (এইটা হাসতে হাসতে চউখ্খে পানি আসার জন্য)
সবশেষে গুরু গুরু

যতবারই আড্ডার লেখা পড়ি ততবারই মনে হয় বড্ড মিস হয়ে গেল। নেক্সট টাইম আশারাখি দেখা হবে আপনাদের সবার সাথে।

চরম উদাস এর ছবি

চলে আসেন পরের বার। কি আছে জীবনে।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

অসাধারণ...

চরম উদাস এর ছবি

আরে নাহ, সাধারণ ব্লগর ব্লগর প্যাঁচাল।

স্যাম এর ছবি

হো হো হো

চলুক

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাবেকা এর ছবি

মজাই পাচ্ছিলাম পড়ে কিন্তু শেষটায় এসে অন্য রকম অনুভূতি হল । চমৎকার বলেছেন কথাগুলো । হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

অমি_বন্যা এর ছবি

পুরোটাই একবারে না পড়ে উপায় নেই তা সে যত বড়ই হোক । এটাই আপনার লেখার সবচেয়ে বড় বৈশিসট। এবারের লেখায় পুরোটাই হাসি ছড়িয়ে ছিল সেই সাথে শেষের প্যারাটা ছিল কিছু আবেগের সংমিশ্রণও ।
হ্যাটস অফ উদাস ভাই । উদাস করার মতই লেখেন আপনি।
এই নিন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম (গুড়) উত্তম জাঝা! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

হ, লেখা মনে হয় এট্টু বড় হয়ে গেছে। তবে আমার লেখাগুলি ইদানিং কেমন জানি বড় হয়ে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মনে হয় কথা বেশী বলার প্রবনতা চলে আসতেছে খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

বয়স এর কারণেই হয়তো বড় লেখাই পড়তে ভালো লাগলো .. আর আপনার লেখা ভালো না লেগে কই যায় .. নিজের অজান্তেই জোরে জোরে হাসছিলাম কিছু কিছু জায়গা পড়ার সময় ... আমার প্রায়ই এমন হয় সচল এর প্রিয় লেখকদের লেখা পড়ার সময় .. এই আড্ডা সংক্রান্ত সব গুলো পোস্টই দারুন .. কেবল মাত্র উচ্ছলা এর পোস্ট ই ফটো পেলাম .. আরো কিছু ফটো কি পোস্টাবেন?
বর্ষ পূর্তিতে শুভেচ্ছা রইলো ..

-------------------------------------
একাকী আমি

তাসনীম এর ছবি

কেউ একজন অন্ধকারের গল্প বলুক। কেউ একজন পচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন বীরাঙ্গনাদের কথা বলুক। কেউ একজন পশুদের গল্পগুলি পশুত্বের আক্রোশ দিয়ে বলুক। জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক।

গুরু গুরু

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

শেষ প্যারাটার জন্যে গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
আর সচল হওয়ার অভিনন্দন হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনার ফেইনম্যান নিয়ে লেখাটা ঠিক করেছিলাম পড়ব, পরে মনে হয় নানা ঝামেলায় ভুলে গেছি। যাই, এই বেলা পড়ে আসি।

বন্দনা এর ছবি

লেখা মজারু হইছেগো উদাসদা, ভাবতেসি আপ্নারে খোমাখাতায় এডায়ে মন খারাপ হলেই গুতা দিয়ে কমু একটা জোক্স শোনান তো। আসলেই মনটা খারাপ ছিল ভীষণ, লেখা পড়ে সাতসকালে হিহি করে হেসে ফেললাম।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
ব্যাপারনা, রিকশা জোক্স রেডি আছে

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদ আপনাকে কী বলেছিলেন আমার মনে আছে। উনি আপনাকে (বৃষ্টি রুমালীর খুব প্রিয়' গল্পের লেখককে) গদ্যের কঠিন ভূমিতে স্বাগত জানিয়েছিলেন!

ইদানিং সচলে সেরকম সময় দেয়া হয় না! এই লেখাটা তাও পড়ে গেলাম। আপনি যেমন লেখেন সেরকমই হয়েছে। ইনিয়ে বিনিয়ে বলার মত কিছু পাচ্ছি না...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...
তোমার জীবাণুরা তোমাকে মিস করছে, লেখালেখি কমিয়ে দিয়েছ দেখি ইদানিং।

তিথীডোর এর ছবি

আমার স্ত্রী দুর্ধর্ষ ড্রাইভার, ঘণ্টায় শত মাইল বেগে চালাতে পারে। তবে সমস্যা একটাই ডান বাম গুলিয়ে ফেলে। নানা ভাবে শেখানোর চেষ্টা করেছি। যেমন আমি ডানপাশের প্যাসেঞ্জার সিটে বসে থাকি। বলি, মনে রাখবা Husband is always right।

হো হো হো

আমার প্রার্থনা এবারের অধ্যায়টি যেন আলোকিত না হয়ে খানিকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। কেউ একজন অন্ধকারের গল্প বলুক। কেউ একজন পচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন বীরাঙ্গনাদের কথা বলুক। কেউ একজন পশুদের গল্পগুলি পশুত্বের আক্রোশ দিয়ে বলুক। জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক

গুরু গুরু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

উফ আর পারি না !!! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

উত্তম জাঝা!
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম উদাসী ভাবি আজ বাড়িতে থাকতে দিবে তো?

যদি দেয়, তাহলে মহিয়সী নারীদের লিস্টে আর এক জনের নাম নতুন করে যোগ করতে হবে।

ডালাসে এক দিন আড্ডা দিয়ে আপনারা যেভাবে খাদ্যানুভূতি, আড্ডানুভূতি আর ঘোরাঘুরিনুভূতিতে আঘাত করছেন, কাজটা কি ঠিক হচ্ছে?

ঢাকার সচলরা যেদিন শীতগ্রীষ্মবর্ষানিদ্রা ছেড়ে উঠবে, সেদিন এখানেও সচল্ড্ডা হবে। আড্ডা হবে নয়া পল্টনে। সব টিভি চ্যানেল লাইভ টেলিকাস্ট করবে। একটু অয়েট করেন। সেই দিন আমরাও জগাবিরিয়ানী রেঁধে পুরো সচলায়তন বিলিয়ে বেড়াবো।

দেইখেন.. একদিন আমরাও... :/

যাই হোক, কমেন্ট না করে করে আপনি বহুত বেড়েছেন। আজ আর ছাড়ছিনা।

লেখা চরম হৈছে।

--সাদাচোখ
(খাদ্যানুভূতি, আড্ডানুভূতি আর ঘোরাঘুরিনুভূতিতে আঘাত লাগায় চোখ এখন লাল হয়ে গেছে।x()

চরম উদাস এর ছবি

আমি ভাবছিলাম গতকাল বাসায় ফেরার পর ঝাঁটার বাড়ি জুটবে কপালে। তার বদলে জুটল এই জিনিস (এত্ত বড় স্যামন মাছের পেটি) দেঁতো হাসি
IMG_2022[1]
আমার মনে করেন রাজকপাল দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

কে বলছে কলিযুগে মহিয়সী নারীরা বিলুপ্ত হইছে? কেউ উদাহরন চাইলেই উদাসী ভাবির কথা বলব।
হাসি

--সাদাচোখ

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে আবার জিগায়। নিতান্ত মহিয়সী না হইলে কি আর আমার মতো বদ লোকের সাথে কারো পক্ষে বাস করা সম্ভব?

Kazi এর ছবি

নাহ। আপনি তো মশাই আসলেই লুক খারাপ। আবারও খাদ্যানুভূতিেত আঘাত দিলেন! মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

ওসিরিস এর ছবি

জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক। চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

CannonCarnegy এর ছবি

সেইরকম চউদাসদা। মন ভাল করে দেও‌য়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

মাইন্ড ব্লোয়িং।

অচেনা আগন্তুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অমি_বন্যা এর ছবি

বরাবরের মতই একেবারে শেষ না করে ওঠা যায় না আপনার লেখা পড়ার সময় তা সে যত বড়ই হোক না কেন। আমার কাছে এটাই সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য আপনার লেখায়। সবগুলো প্যারায় একেবারে গড়াগড়ি খেয়ে ফাসি দেয়ার মত অবস্থা। তবে শেষের প্যারাটা আমাকে কাছে খুব বেশী ছুয়ে গেছে । রসিকতার ছলে আবেগকে এত সুন্দর করে মিশিয়ে একাকার করে গেলেন । আসেন কোলাকুলি

ভালো থাকবেন উদাস ভাই ।

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হে হে, মজাই!!!

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

যুমার এর ছবি

জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ধন্যবাদ বস, বহুতদিন ধরে একখান জগা খিচুড়ি পড়ার ইচ্ছা ছিল। পেট পুড়ে খেলাম!!!

যথারীতি শেষে এসে সিরিকাস কথা বললেনঃ

হুমায়ূন আহমেদ চলে যাবার সাথে সাথে বাংলা সাহিত্যের আলোকিত একটি অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। হয়তো বড় বেশী আলোকিত ছিল এই অধ্যায়টি। যেই অধ্যায় এ নায়িকারা সব রূপার মতো পরমা সুন্দরী, পুরুষেরা মিসির আলীর মতো ভীষণ বুদ্ধিমান, হিমুর মতো মহাপুরুষ , পাক সেনারা সামান্য হলেও হৃদয়বান। এখন বুঝি নতুন অধ্যায় শুরু হবে নতুনদের হাত দিয়ে। আমার প্রার্থনা এবারের অধ্যায়টি যেন আলোকিত না হয়ে খানিকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। কেউ একজন অন্ধকারের গল্প বলুক। কেউ একজন পচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন বীরাঙ্গনাদের কথা বলুক। কেউ একজন পশুদের গল্পগুলি পশুত্বের আক্রোশ দিয়ে বলুক। জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক। চলুক চলুক

দেশেত আসেন..................


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

ডিসেম্বর এ আসবো হয়তো, আসলে দাওয়াত খাওায়বেন তো ?? দেঁতো হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

কত দাওয়াত চান, সব হবে.............. দেঁতো হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

সাফি এর ছবি

আঁই কিচ্চি?

চরম উদাস এর ছবি

আপনে আবার কি করবেন, গরিবরে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াইছেন। তাই চারিদিকে আপনার এড করে যাচ্ছি যেন এরপর থেকে যারাই নিউ মেক্সিকো যায় আপনার বাসায় ঢু মেরে যায় খাইছে

সাফি এর ছবি

মিয়া দাওয়াত কইয়া এমনে অপমান কইরেন না, আবার আসতেছেন কবে, আওয়াজ দিয়েন।

কানা বাবা এর ছবি

বাহ, আমার ইউটিউব প্রোফাইল থেকে ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করা হয়েছে দেখে বড়ই আহল্লাদিত হইলাম।

/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।

চরম উদাস এর ছবি

ও আচ্ছা, ওইটা আপনার শেয়ার দেয়া নাকি। আমি গুগল করে পাইছিলাম। সংসপ্তক এর কপি তো মনে হয়না কারো কাছে আছে। খালি এই কয়টা ক্লিপই ভরসা।

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

লেখাটা গতকাল-ই পড়েছিলাম।

দারুণ, যথারীতি

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু, যথারীতি খাইছে

আপনার কিন্তু ৩ মাস ১৭ দিন হয়ে গেল, ফাঁকিবাজের তালিকা থেকে নাম কাটাবেন না??
(হে হে, আমি আমার হিসাব খাতায় সবার হিসেব রাখি দেঁতো হাসি )

উচ্ছলা এর ছবি

লেখা বরাবরের মতই ধুমধাড়াক্কা মজা, হৃদয়ছোঁয়া, সুলিখিত। - (ইতি আপনার গুনমুগ্ধ উচ্ছলা ) হাসি

আর যে যন্ত্রটি দিয়ে পেঁপে, তরমুজ, বাঙ্গী, ক্যান্টালোপ, হানি ডিউ ইত্যাদি অব্যর্থভাবে গোল গোল করে বলস্ বানানো যায়, তার নাম 'মেলন বলার'। প্রতিবেশী আন্টি মাস খানেক আগে গিফট করেছেন।

চাঁন রাইতের সস্ত্রীক দাওয়াত রইল।

চরম উদাস এর ছবি

কাজের যন্ত্র। যত্ন করে শান দিয়ে রাইখেন, তারেক অণু আসলে একদম পারফেক্ট গোল গোল অণু পিস বানিয়ে গরীব দুঃখীদের মধ্যে বিলায়ে দিবো দেঁতো হাসি

তারানা_শব্দ এর ছবি

টুথপেস্টের চিবি দেওয়া আমার পছন্দ হইসে! আমি এইটা এপ্লাই করবো! চাল্লু
লিকা ভালাইছে! হাততালি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

চরম উদাস এর ছবি

কারে চিবি দিবেন??

অতিথি লেখক এর ছবি

হাততালি
দারুন হৈসে!
"হোজামাল হো"।।।।।। আমরা ওই শ্লোগান এর সাথে এইটা বলতাম!

_ক্রান্তিবৃত্ত

চরম উদাস এর ছবি

আমরাও দেঁতো হাসি

কল্যাণ এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

খিক্ক খিক্ক খিক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

মন মাঝি এর ছবি

চলুক
জগাখিচুড়ি না, পেঁয়াজ-মরিচ-কাসুন্দি-ঘুগনি দেয়া দারুন মজার ঝালমুড়ির মত খেয়ে ফেললাম। আরও খেতে ইচ্ছা করছে!

****************************************

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
এহহে ঘুগনির কথা বলে মনটা দিলেন উদাস কইরা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুবই উপভোগ্য একটা লেখা। বরাবরের মতোই। দৌড়ের উপর থাকায় দুইবারে শেষ করলাম। একদিন সময় করে বসে আপনার পুরাতন না-পড়া লেখাগুলো পড়ে ফেলতে হবে। হাসি

চরম উদাস এর ছবি

হাসি
হুম, আমিও সময় পেলেই লোকজনের পুরান লেখা রিভাইজ দেই

jaltorongo এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সচলাভিনন্দন! শীতনিদ্রায় যাবার কথা বললাম না, কারণ এই রোগে আজকাল বিপুল সংখ্যক সচল আক্রান্ত।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

চরম উদাস এর ছবি

হ্যা, ঘুমাতইতে যাবার সব আয়োজন সম্পন্ন খাইছে
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রু এর ছবি

বাঙালির জন্য ডান বাম চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় ভাত খাওয়া। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি খুব কাজে দেয়।
সংসপ্তকএর গল্পটা মনে আছে (পড়িনি, নাটক দেখেছি শুধু ), কিছু ডায়লগও মনে আছে, কিন্তু এখন বুঝলাম যে অনেক বড় একটা জিনিস মিস করেছি।

চরম উদাস এর ছবি

হুম , বিটিভির লোকজনের নাকি এটা আর্কাইভে রাখে নাই। মাস্টারপিস ছিলো একখান

দ্রোহী এর ছবি

সচলাড্ডা করে একলা একলাই খাইবেন আপনেরা? আমাগোরে ভাগ দিবেন না?

আপনে লোকটা কম খারাপ না!

চরম উদাস এর ছবি

দিব দিব, চলে আসেন পরেরবার

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনার লেখার লেজে আজকাল কেবলই হুল থাকে!

চরম উদাস এর ছবি

আরে কি বলেন, এত কস্ট করে হুলের আগায় তুলো জড়িয়ে নেই তো

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

আমার মতো নাদান কে খেয়াল রাখসেন দেইখা, যারপনাই বিস্মিত চিন্তিত

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

চরম উদাস এর ছবি

আরে নাহ, আপনার গল্পের হাত দারুণ। এজন্য অপেক্ষা করি।

রায়হান আবীর এর ছবি

পীর বাবার সাথে এক হোটেলে ছিলেন তাইলে? খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

উত্তম জাঝা!

"বাকের ভাইয়ের মৃত্যুতে যারা কেঁদে আকুল হয়, তাঁর কুলখানি করে তাঁদের একবার জোর গলায় বলতে পারলেন না, ওহে বেঈমান দেশের বেঈমান মানুষ তোমাদের ৩০ লাখ পিতা যে মরে গেল, কত লাখ মাতাকে ধর্ষণ করে ফেলে গেল তাঁদের কুলখানি করেছ? তাঁদের বিচার চেয়েছ?" চলুক

সৌরভ কবীর

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

কেউ একজন পচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলুক। কেউ একজন বীরাঙ্গনাদের কথা বলুক।

আপনিই না হয় শুরু করেন।

চরম উদাস এর ছবি

পারলে কখনো চেস্টা করবো

দেবজিত এর ছবি

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

Fahim_bd এর ছবি

vaia, ami age kokhono kono blog a kono lekha pori nai..ajk hotat gutaguti krte krte jokhichuri-7 lekhata peye gelm..oita porar por bakigula(jogakhichuri) porar lov shamlate parlam nah....shobcheye valo laglo ei lekha ta...r ei lekha'r last'r pera ta,ek kothay....oshadahron.

mone hoy beshi boke fellam খাইছে

valo thakben হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

জোছনার গল্প অনেক হল, এবার কেউ জননীর গল্পগুলা বলুক।

দামী কথা, মনে থাকবে

- মুকুল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।