এসো নিজে করি ১১ - কিভাবে গুজব তৈরি করবেন / How to cook rumor

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বুধ, ২১/০৮/২০১৩ - ১:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখা শুরু করি অভিযোগ জানিয়ে। আমি দুর্ধর্ষ একজন লেখক। বিদ্যুৎ গতিতে আমি লিখে যাই। দিনে মিনিমাম কয়েকশত গদ্য, পদ্য। সচলায়তনে আমার মোট দুই লাখ ছেচল্লিশটা লেখা ছিল। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি দুইলাখ লেখা গুম! ছিল দুইলাখ ছেচল্লিশটা লেখা, এখন গুনে দেখি আছে মাত্র ছেচল্লিশটা। বাকি দুইলাখ লেখা (যার বেশিরভাগই প্রেমের পদ্য ছিল অবশ্য) রাতের বেলা ট্রাকে করে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হয়েছে । অথবা হয়তো ইলেকট্রিক চুল্লিতে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে সেই ছাই দিয়ে সচলের মডুরা দাঁত মেজে ফেলেছে । যাই হোক, অভিযোগ করা শেষ। আমার দুই লাখ লেখার গায়েবানা জানাজা করে এবারে টিউটোরিয়াল শুরু।

জব চারপ্রকার আ, গ, গু আর ব্লো। আজব আর গজব দুটাই উপরওয়ালার তামাশা। তিনি খুশী হলে আজব কাণ্ডকারখানা দেখান, আর ক্ষেপে গেলে নাজিল করেন গজব। সাভারে হাজার লোকের মৃত্যু তার গজব, আর সতেরদিন পর একজনের বেঁচে ফেরা তার আজব কুদরতি কাণ্ড ( আজব কুদরতি কাণ্ড সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এসো নিজে করি ২ - কিভাবে কুদরতের প্রচার করবেন পড়ুন) । কোন বিচিত্র কারণে সবসময় গজবগুলা সুনামি, সিডর বা সাভারের মত ভয়ঙ্কর হয়। আর আজবগুলা বিড়ালের গায়ে তাঁর নাম বা শূন্যে পাথর ভাসার মতো হাল্কা সুমিষ্ট হয়।

পরের দুই জব সৃষ্টিশীল মানুষের সৃষ্টি। এবারের এসো নিজে করি গুজব ছড়ানো নিয়ে। গুজব নামটার শুরুই গু দিয়ে। সুতরাং জিনিস আর কতই ভালো হবে বলেন? গু দিয়ে যেই জব , সেটাই গুজব। একই ভাবে ফুঁ দিয়ে যেই জব, না মানে কিছুনা, লাইনে থাকি। চতুর্থ জব নিয়ে কিছু না বলি, বুঝেনই তো! যাই হোক, অনেক লোকে গু নিয়ে খেলা করে আনন্দ পায়। তাদের জন্যই আজকের এই টিউটোরিয়াল।

কেন গুজব বানাবেন

উদ্দেশ্য হতে পারে দুইটা রাজনৈতিক ফায়দা লুটা অথবা ব্যক্তিগত আনন্দ। গুজব হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। লোকে যেমন সাইন্স ফিকশন পছন্দ করে তেমনি গুজবও পছন্দ করে। আমরা ছোটবেলা থেকে গুজব শুনে শুনে বড় হয়েছি। ঢাকায় একবার ঢোল কলমির পোকা নিয়ে মহা হুল্লোড় শুরু হল। ৮৭ সালের কথা। ঢাকার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা নিরীহ দর্শন এই গাছে এক ধরণের পোকা তৈরি হওয়া শুরু হল। সেই পোকার কামড় খেয়ে শতশত মানুষ টপাটপ মরতে লাগলো প্রতিদিন। অমুকের বড় ভাইয়ের শালির বান্ধবীর জামাইয়ের মামার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মরে আজ, তো তমুকের সমুন্ধির ফুপার নাত জামাইয়ের কলিগের ছোটবোনের ক্লাসফ্রেন্ডের খালা মরে কাল। যেভাবে প্রতিদিন মানুষ মরার খবর শোনা যেত বাতাসে, তা ঠিক হলে ঢোল-কলমির পোকার কামড়ে দেশের অর্ধেক লোক মরে যাবার কথা। লোক না মরে ঢাকার অধিকাংশ ঢোল কলমির গাছ মরল মানুষের কোপে। বাল্যকালে এই গাছ পাড়ার আনাচে কানাচে দেখা যেত। এখন মনে হয়না হারিকেন দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যাবে।
আমার গেঁদা-কালে আরেকবার শুরু হল, ঝিনঝিনা রোগের গুজব। আচমকা সারা হাতপা ঝিনঝিন করতে করতে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। খিঁচুনি শুরু হয়। প্রতিনিরোধ কনে আঙ্গুলে কালো সুতা বেঁধে রাখা, প্রতিকার ঠাণ্ডা পানিয়ে নিয়ে চুবানো। আম্মা আমার কড়ে আঙ্গুলে কালো সুতা বেঁধে দিয়েছিলেন সেই সময় এখনো মনে আছে। আর আমার চোখের সামনে একদিন ছোট খালাকে ঝিনঝিনা রোগে আক্রান্ত হয়ে খিঁচুনি উঠতে এবং পুকুরে চুবানি খেতে দেখলাম সেটাও বেশ মনে আছে। একইভাবে আরেকবার সবাই কোরআন শরীফ খুলে নবীর দাড়ি বা চুল পেতে শুরু করলো নব্বই এর দশকে। একই সময়ে অনেক জায়গা থেকে কোরআন অবমাননা করার কারণে অনেকে মাছ হয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যেতে লাগলো। যাহোক এরকম অনেক অবস্থায় আজব আর গুজব এক হয়ে যায়। সুতরাং আজবের প্রচার করতেও গুজব তৈরি করবেন।

আবার জনৈক অকালকুষ্মাণ্ড বলেছেন, সবলের বিরুদ্ধে গুজব দুর্বলের অস্ত্র। হক কথা। আপনি যদি দুব্বল হন তবে সবল হবার জন্য গুজব বানাবেন। দুব্বল হেফাজত যেমন লাখে লাখে সৈন্য মরে গুজবে সবল হয়েছে। দুব্বল জামাত যেমন চাঁদে সাঈদীর গুজব দিয়ে সবল হয়ে নিজেরাও মরেছে শত্রুকেও মেরেছে। ফটিকছড়ির দুব্বল লোকজন যেমন মাইকে ইমাম হত্যার গুজব শুনে সবল হয়ে দুষ্টের দমন করেছিল। রামুতে যেমন ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে বৌদ্ধ শত্রু দমন করা হয়েছিল। গুজব অস্ত্র বটেই। দুর্বলের না সবলের তা জানিনা। তবে ঠিকমতো ব্যাবহার করতে পারলে মারণাস্ত্র এই ব্যাপারে সন্দেহ নেই।

কিভাবে গুজব বানাবেন ও ছড়াবেন

গুজব বানায় শেয়াল, বিলায় বলদ। গুজবের মা বাপ থাকেনা কথাটি সত্য। গুজবেরা জারজ হয়। যেই শেয়াল গুজব বানায় সে গুজব প্রসব করে মানে মানে কেটে পড়ে। এরপর গুজব ভরণপোষণ লালনপালন এর কাজ করে আপামর বলদ জনগোষ্ঠী।
গুজব সৃষ্টির জন্য সবার আগে আপনাকে একটা শব্দ খুব ভালো করে শিখতে হবে ...আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। টিউটোরিয়াল এর শুরুতে দশবার আগে জপ করুন ... আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।
এইবার ঘটনা খুলে বলছি। আমরা দীর্ঘদিনের ব্রিটিশ শাসিত জাতি। আমাদের অভ্যন্তরীণ কোন কিছুর উপর আমাদের কোন বিশ্বাস নেই। রাজাকার এর বিচারের জন্য আমরা আম্রিকা মামা কি বলছে কান পেতে শুনি, পাতলা পায়খানা হলে সুচিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড ব্যাংককে ছুটি, কোন কলকব্জা বিগড়ে গেলে আমরা বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ ধরে আনি। সকল কাজে যেমন বিদেশীদের সাদা হাত না থাকলে আমরা ভরসা পাইনা তেমনি সকল অকাজেও বিদেশীদের কালো হাত জড়িত না থাকলে আমরা শান্তি পাইনা। ম্যারাডোনা ড্রাগ খেয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হলে আমরা শয়তান জার্মানির ষড়যন্ত্রের কালো হাত দেখি। অন্যের দোষ দিয়ে লাভ নেই, নব্বই এর বিশ্বকাপের সময় স্কুল-পড়ুয়া আমিও বিশ্বাস করতাম, ম্যারাডোনা মতো মহানায়ক ড্রাগ নিতে পারে না। দুনিয়াটা যে একটা নন লিনিয়ার প্যারাবলিক কমপ্লেক্স ইকুয়েশন সেটা বোঝার মতো আঁক শেখা হয়ে ওঠেনি তখনও। পাড়ার মোড়ে মোড়ে ভিউকার্ড, পোস্টার বেচা হত। ছোট নিষ্পাপ ম্যারাডোনা অতিকায় ডিফেন্ডারের ল্যাং খেয়ে পড়ে আছে, নিচে লিখা "ওরা আমাকে এত মারে কেন"। অথবা কাঁদতে কাঁদতে ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিচ্ছে, নিচে লিখা "এই চক্রান্ত মানিনা"। একইভাবে কচি আশরাফুল পয়সা খেয়ে স্পট ফিক্সিং করলে সেখানে আমরা বুড়া বদমাইশ ইন্ডিয়ার চক্রান্ত দেখি, স্টেরয়েড নেয়ার কারণে বেন জনসনের পদক বাতিল হলে মাথা নেড়ে বলি, কার্ল লুইসকে জেতানোর জন্য এ সবই আমেরিকান ষড়যন্ত্র।

সে যাই হোক,গুজব তৈরির পদ্ধতিতে ফিরে আসি। নিচের সহজ ফ্লোচার্ট অনুসরণ করতে পারেন গুজব তৈরির জন্য। আপনার কাজ শুধু বীজ পোতা আর খানিক জল বাতাস দেয়া। এরপর বাকি জনগন হুমড়ি খেয়ে পড়ে দেখতে না দেখতেই চারাগাছকে বটবৃক্ষ বানিয়ে ফেলবে।

How to create rumor

চিত্র - গুজব গাছ

কিভাবে গুজবের রেফারেন্স দিবেন

গুজব সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে উপযুক্ত রেফারেন্স। কিছু কিছু লোকের রেফারেন্স লাগেনা। যে যাই বলে তাই বিশ্বাস করে। আপনি এদের গিয়ে যদি বলেন, খবর শুনলাম তুই নাকি মৃত। তাহলেই এরা হিক্কা দিয়ে কাঁদা শুরু করবে, ওরে আমি মরে গেছি রে। আমারে মেরে ফেলছে রে।

যাদের মাথায় ব্রেনের পরিমাণ দুই গ্রামের কম (যেটা কিনা পেঁচার থেকে সামান্য কম তবে গোল্ড ফিশ বা ব্যাঙ থেকে অনেকটা বেশী) তাদের জন্য এই Whispering টেকনিকেই কাজ হবে বেশ। গলার স্বর খানিকটা নিচু করে ফিসফিস করে, ঘটনা শুনছিস নাকি বলে যা বলার বলে দিলেই হবে। যাদের মাথায় দুই গ্রামের বেশী কিন্তু একশ গ্রামের কম ব্রেন ... হিসেবে সেটা কুমীর বা বিড়াল থেকে অনেক বেশী তবে বেবুন থেকে সামান্য কম। সুবিধার জন্য বরং নিচে সকলের ব্রেনের গড় ওজন কেমন সেটা বরং গ্রাফ একে দেখিয়ে দেই (তথ্যসূত্র - Blinkov, S.M. and Glezer, I.I. The Human Brain in Figures and Tables. A Quantitative Handbook, New York: Plenum Press, 1968.)

Brain Weight

তো বলছিলাম আপনার ব্রেন যদি বেবুন থেকে সামান্য কম হয় ... এখন আবার মন খারাপ করে আমাকে গালিগালাজ করবেন না কিন্তু। থিঙ্ক পজিটিভ। একটা ব্যাঙ এর ব্রেন এক গ্রামের থেকেও অনেক কম। সেই তুলনায় আপনি কিন্তু একটা ব্যাঙ থেকে কয়েকশ গুণ বুদ্ধিমান। (অবশ্য Brain-to-body mass ratio হিসেবে অতো বেশী নয়, হে হে হে হে)। তা যা বলছিলাম। ব্রেন যদি বেবুন থেকে সামান্য কম হয় তবে রেফারেন্স এর জন্য মোজাম্মেল পদ্ধতি ব্যাবহার করুন। মোজাম্মেল এর ঘটনা খুলে বলি। সেইদিন একজন বিশিষ্ট জ্ঞানী আমাকে বললেন, যেই সাঈদীর ফাঁসির হুকুম হইছে সে আর রাজাকার সাঈদী এক লোক না। সাঈদী নামে অন্য এক রাজাকার ছিল যার দাড়ি লাল না, এমনকি দাড়িই ছিলনা। তার মেশিন ও কি ছিলনা এইটা জিজ্ঞেস করার পর ভদ্রলোক কটমট করে তাকালেন। সে যাই হোক। আদালতে এই ঘটনা ফাঁস হবার পর উক্ত সাক্ষীকে মেরে গুম করে ফেলা হয়েছে। মেরে লাশের ধড় ইন্ডিয়াতে আর কল্লা আমেরিকাতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। চেপে ধরলাম উনি উনি কিভাবে জানেন। বললেন, উনাকে মোজাম্মেল বলেছে। মোজাম্মেল নাকি ভীষণ ভালো লোক, জীবনে মিথ্যা বলে নাই। তাই মোজাম্মেল এর কথা অবিশ্বাস এর কারণ নেই। আমার ব্রেনের পরিমাণ যেহেতু একশ গ্রামের কম, আমি ভয়ের চোটে মোজাম্মেলটা কে সেটা আর জিজ্ঞেস করলাম না। পাছে অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়ে যায়। সেইদিন হটাত খেয়াল করলাম দেশের নতুন রাষ্ট্রপতির নামই জানিনা। সুতরাং মোজাম্মেল রাষ্ট্রপতি না হলেও গুরুত্বপূর্ণ কেউ না কেউ হবেন নিশ্চয়ই। যাই হোক এই ফাঁকে রেফারেন্স দেয়ার নতুন কায়দা শিখিয়ে দিলাম। পাবলিককে যা কিছু একটা বাল ছাল বলে হুঙ্কার দিয়ে বলবেন, এইটা মোজাম্মেল বলেছে। যদি ঠিকমতো জোর গলায় হুঙ্কার দিতে পারেন তবে পাবলিক ভয়ে আর মোজাম্মেল কে সেটা জানতে চাবে না।

আবার অনেকে আছে এরকম গায়েবী রেফারেন্স পছন্দ করে না। এদের ব্রেনের পরিমাণ বেবুনের থেকেও বেশী তবে গরুর থেকে একটু কম। এদের জন্য রেফারেন্স দিতে হবে আত্মীয় স্বজন টেনে। যেমন কিছুদিন আগে আবার একজনের কাছে জানলাম ইমরান সরকার মোট বারোটা খুন করছে। খুনের পর যথারীতি লাশ গুম করে ফেলছে। বরিশাল না কোন মেডিক্যালের সবাই নাকি ঘটনা জানে। আর আমাকে যে বলছে উনি জানেন উনার ফুফাতো ভাইয়ের বন্ধুর আব্বার খালাতো ভাইয়ের সূত্রে। তার এই কথা অবিশ্বাস করা মানে তার পরিবারকে অবিশ্বাস করা!

রেফারেন্স দেয়ার সবচেয়ে আধুনিক কায়দা হল - গোল গোল রেফারেন্স দেয়া। এ দিয়ে মোটামুটি হাজার গ্রামের উপরের ব্রেইনকেও বিভ্রান্ত করে ফেলা যায়। যাহোক, পদ্ধতি খুলে বলি। অনেকটা সার্কুলার রিজনিং এর মতো ব্যাপার সেপার আরকি।

আম্লিগ দেশের অনেক উন্নতি করছে কারণ আম্লিগ বিলবোর্ডে বলছে আম্লিগ দেশের অনেক উন্নতি করছে।
অথবা
সরকার বলেছে এই সরকারের আমলে অনেক উন্নতি হয়েছে কারণ সরকার বলেছে।
অথবা
এই ছবির মতো ঘটনা ...

969935_190280557793403_473280289_n

কি বুঝলেন?? এর পরেও কি মনে সন্দেহ থাকবে গোলাম আজম যে ভাষা সৈনিক ছিলেন? রেফারেন্স তো দিয়ে দিলাম। ছবি সহ প্রমাণ, সাথে ভাষা সৈনিক এর পদক। সুতরাং এই হচ্ছে রেফারেন্স দেয়ার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি। ডিমের চরিত্রের সার্টিফিকেট দিবেন মুরগীকে দিয়ে, আবার মুরগীর চরিত্রের সার্টিফিকেট দিবেন ডিম কে দিয়ে। এখন কিছু কিছু ডিম আছে যেগুলোকে দেখলেই বুঝবেন মুরগী কেডা। আমার দেশ, দিগন্ত যে কোন মুরগীর ডিম সেইটা আমাদের আব্দুল মতিনও জানে। প্রথম আলো কোন মুরগীর ডিম সেটা বুঝতে খানিক বেশী সময় লাগে। আবার কিছু কিছু বেজন্মা ডিম এর মুরগী পরিচয় অত সহজে বের করা সম্ভব না। ওইসব ডিম বেশি বেশী করে কাজে লাগান মুরগীকে সার্টিফাই করতে।

কিভাবে সংখ্যা নিয়ে খেলবেন

লাখে লাখে হেফাজত মরে, কাতারে কাতার
গুনিয়া দেখি মাত্র তিন কি চার

ভানুর কৌতুকে ছিল বাঘ মারার গল্প। প্রথমে বলে এমন বিরাট বাঘ ছিল, লেজটাই মনে করে করেন পঞ্চাশ হাত। পাশে বসা বউ গলা খাঁকারি দেয় বাড়িয়ে কথা বলার বদভ্যাস আটকাতে। এবারে ভানু বলে, পঞ্চাশ হাত না হইলেই মনে করেন ত্রিশ হাত তো হইবোই। আবারো বউয়ের গলা খাঁকারি। এবারে কমিয়ে ত্রিশ থেকে বিশ হাত হয়ে, দশ হাতে নেমে আসে। তাও বউ কাশে। তখন ক্ষেপে গিয়ে বলে, তুমি কাশতে কাশতে মইরা গেলেও আমি দশ হাতের নিচে নামুম না।

সংখ্যা নিয়ে খেলা গুজবের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। কোন ঘটনা ঘটলে শুরু করবেন মিনিমাম লাখ থেকে। ওরে লাখ লোক মরে গেছেরে বলে কান্নাকাটি। কেউ ঝাড়ি দিলে কষ্টে সৃষ্টে হাজারে নেমে আসবেন। এরপরেও লোকে গলা খাঁকারি দিলে অফেন্স ইজ দ্যা বেস্ট ডিফেন্স। মানবতার দেখানোর সবচেয়ে কার্যকরী ক্লাসিকাল লাইন, মৃত্যু মৃত্যুই। এক জন মরলেও মৃত্যু, এক লাখ মরলেও মৃত্যু। প্রতিটি মৃত্যুই সমান কষ্টের। সুতরাং কতজন মরেছে এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ছোটলোকি। উপরের কবিতাখানা ( লাখে লাখে হেফাজত মরে ...) লিখে আমি ঝাড়ি খেয়েছি। একজন ভানুর মতোই তেড়েফুঁড়ে প্রথমে বলল হাজার-খানেক হেফাজতের মৃত্যুর কথা। আমি গাইগুই করাতে শখানেকে নামলো অনেক কষ্টে। তারপরেও আমি গলা খাঁকারি দেয়াতে ক্লাসিক মানবতা লাইন দিয়ে ঝাড়ি, যদি এমনকি তিন চারজন মরে সেটা কি মৃত্যু না?

অবশ্যই মৃত্যু। অবশ্যই কষ্টের। কিন্তু লাশের রাজনীতি বড় খারাপ জিনিস। তিন চারটা লাশের বীজ ঠিকমতো পুঁততে পারলে সেটা দিয়ে আরও তিন চার হাজার লাশ নামানো সম্ভব সেটাও কিন্তু সত্য। হেফাজত গুজবে প্রথমে শোনা গেল এই গণহত্যা একাত্তর এর পঁচিশে মার্চের গণহত্যা ছাড়িয়ে গেছে। কয়েক লাখ মৃত্যু। একটু গলা খাঁকারি দেয়ার পর বলা হল মারা গেছে মোট টোটাল পঁচিশ হাজারের মতো। লাশ ইলেক্ট্রনিক চুল্লিতে পুড়িয়ে গুম করে ফেলা হয়েছে। কিছু ফেলা হয়েছে তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীতে। আর বাকিগুলা আমেরিকা এসে নিয়ে গেছে। মারল কে ? পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবির সাথে ইন্ডিয়ান বাহিনী এসে যোগ দিয়েছে। আরেকটু জোরে কাশাকাশির পর লাশ কয়েক হাজারে নামল। বেরসিক অধিকারের আদিল এক টানে সেটাকে ৬১ তে নিয়ে আসলো। ততোধিক বেরসিক সরকার মাহমুদুর রহমান আর আদিলের মতো মানবতার কাণ্ডারিকে জেলে পুরে ফেলল। ওই যে উপরে মুরগী আর ডিমের কাহিনী বলেছিলাম। মাঝেমাঝে কিছু ডিমে হাত দিলে লাভ আর কিছু হোক না হোক চারপাশ থেকে বেশ কিছু মুরগীর কক্ক কক্ক শুনে কোন ডিম কোন মুরগীর সেটা বেশ ঠাহর করা যায়।

ডিজিটাল গুজব

এযুগের গুজব তৈরির বড় অস্ত্র এখন ডিজিটাল দুনিয়া। ফটোশপ জানলে ভালো, না জানলে পেইন্ট দিয়েও কাজ চলবে। কিভাবে ডিজিটাল গুজব ছড়াতে হয় সেটা নিয়ে বেশী কথা বলার প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যে বাঁশের কেল্লা এবং ওড়নাচটিমুমিন পেজগুলো সেটা সাফল্যের সাথে করে দেখিয়েছে এবং দেখাচ্ছে। এদের ফলো করলেই কাজ হবে। উত্তম বড়ুয়া কেসে রামুতে তাণ্ডব চালান থেকে শুরু করে চাঁদে সাঈদীকে দেখা যাওয়া নিয়ে গুজব ও তাণ্ডবের নমুনার ইতিহাস অনুসরণ করলেই হবে। মাঝেমাঝে ভাবি ফটোশপ করে যে সাঈদীকে চাঁদে বসিয়েছিল সেই মানুষটিকে কি খুঁজে বের করা একেবারেই অসম্ভব? মনে হয়না, এই ডিজিটাল দুনিয়াতে সবকিছুরই ট্র্যাক থেকে যায়। তাই সদিচ্ছা থাকলে খজে বের করা মোটেও অসম্ভব নয়।

টুইটারে কিভাবে দ্রুত গুজব ছড়ায় তার কিছু উদাহরণ এখানে পাবেন - How riot rumours spread on Twitter

একটা নিয়ে কথা বলি। জনৈক শেয়াল ফেক ছবিসহ টুইট করলো, "হায় খুদা, লন্ডন আইতে আগুন লাগছে রে!" লন্ডন আই আমাদের দেশের শিশুপার্কের নাগরদোলার মতোই একখানা জিনিস। সাইজে অতিকায়, আর উঠতে হলে হুদাই বিশ পাউন্ড গচ্ছা যায়, এই আরকি। এরপর শুরু হল লোকজনের প্রতিক্রিয়া। বলদের দল আগা মাথা না ভেবে সেটা রিটুইট শুরু করলো। কেউবা আরও এক ধাপ এগিয়ে এইটা নিশ্চয়ই মুসলমান সন্ত্রাসীদের কাজ বলে আরও এক ধাপ এগিয়ে টুইট করতে লাগলো।এরা সব সবুজ দল। একটু চালাক চতুর যারা তারা ফট করে বিশ্বাস না করে প্রশ্ন তুলল, রেফারেন্স জানতে চাইল। এরা কমলা দল। আর আরেকদল আরেকটু খোঁজখবর নিয়ে সরাসরি প্রতিবাদ করলো, এই খবর ভুয়া বলে। এরা লাল দল। পুরো ঘটনার সময়কাল চব্বিশ ঘণ্টারও কম। গুজব শুরু থেকে আস্তে আস্তে কিভাবে সবুজের পরিমাণ বাড়ে তারপর আস্তে আস্তে কমলা আর লাল দিয়ে সবুজ কোণঠাসা হয়ে পরে তার একটা চিত্র নিচের গ্রাফগুলোতে পাওয়া যাবে।

London_Riot6
London_Riot1
London_Riot2
London_Riot3
London_Riot4
London_Riot5

কিন্তু বাস্তবে এরকম শুভ পরিণতি সব গুজবের ক্ষেত্রে ঘটে না। অনেক সময়েই সবুজ দলের হাতে লাল দলের পরাজয় ঘটে। আবার অনেক সময় সবুজ আর লাল দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় অনন্তকালের জন্য। কিছু লোক গুজবকেই সত্যি জেনে বা সত্যি মেনে জীবন শেষ করে। এইজন্যই এই লেখায় লেখক বলেছেন,

Rumour is a pipe blown by surmises, jealousies, conjectures, wrote Shakespeare. In the age of Twitter we can now add: and by the ease of clicking "retweet".

রিটুইট, শেয়ার আর লাইক। এই তিনটি কাজ করে এই ডিজিটাল দুনিয়াতে মিথ্যাকে সত্য বানানো যায়, সত্যের সাথে মিথ্যাকে সুন্দরভাবে মিশিয়ে দেয়া যায়। আমি ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাই না। কিন্তু যারা ঘামায় তাদের নিশ্চয়ই জানার কথা। আমার স্কুল মসজিদের দেয়ালে ঝুলানো এই কোরআনের আয়াত এখনো একেবারে মাথায় গেঁথে আছে। সিলেট ক্যাডেট কলেজের মসজিদে ঠিক ইমাম যেখানে দাড়ায় তার পাশে এখনো হয়তো আয়াত লেখা বোর্ডটি ঝুলে আছে -
তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন করো না। (সূরা আল-বাকারাহ্, আয়াত ৪২)

শেষকথা

গুজরাটের রায়টে অফিসিয়াল হিসেবে ৭৯০ মুসলমান আর ২৫৪ হিন্দু মারা গিয়েছিল। সহজভাবে বলা যায়, ১০৪৪ মানুষ মারা গিয়েছিল। সত্যিকারের মৃত্যু সংখ্যা হাজার তিনের উপর বলে অনেকেই মনে করেন। রায়ট শুরু হয় প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে, তাতে হাওয়া দিয়েছিল গুজব। অমুক জায়গায় লাখ লাখ হিন্দুকে মেরে ফেলছে এই খবরে তমুক জায়গায় শতশত মুসলমান মারা যায়, আবার তমুক জায়গায় লাখ লাখ মুসলমান মেরে ফেলছে এই গুজবে অমুক জায়গায় শতশত হিন্দু মারা যায়। আর্মেনিয়ার গণহত্যা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদী হত্যা থেকে শুরু করে রুয়ান্ডার গণহত্যা পর্যন্ত যে কোন হলকাস্টে বা দাঙ্গাতেই গুজবের কম বেশী ভূমিকা থাকে। অমুক খবর পায় তমুককে মেরে ফেলেছে আর তমুক খবর পায় অমুককে মেরে ফেলেছে। তারপর অমুক আর তমুক দুজনেই মরে। আমাদের দেশে গত কয়েক বছরের মধ্যেই সাতক্ষীরা, রামু, ফটিকছড়ি থেকে শুরু করে চাঁদের সাঈদিকে নিয়ে সারা দেশে তাণ্ডব হয়েছে গুজবের সহায়তায়। মাঝেমাঝে মনে হয় আমেরিকার ৯/১১ এর মতো একটা ঘটনা আমাদের দেশে ঘটলে আমরা কি করতাম? আমাদের অতো আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নেই যে উড়ে গিয়ে অন্য দেশ আক্রমণ করে ঝাল মেটাবো। তবে রাতারাতি দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ আর খ্রিস্টান মেরে শেষ করার মতো সাহস আর ক্ষমতা আমাদের আছে বেশ। হয়তো তাই করতাম।

ঢোল কলমি দিয়ে শুরু করেছিলাম, ঢোল কলমিকে দিয়েই শেষ করি। ঢোল কলমির কারণে একজন মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে এমন প্রমাণ কি কেউ দেখাতে পারবেন? তবে মানুষের কারণে শত সহস্র ঢোল কলমির মৃত্যু হয়েছে এই প্রমাণ আমি দেখাতে পারবো। আমি নিজ চোখেই আমাদের বাসার সামনের ঢোল কলমির জংলা পরিষ্কার করা দেখেছি। নিজেও হয়তো দুচারখানা কেটেছি। গুজবে কি হয়? গুজবে ঢোল কলমির অলীক পোকা যত না মরে তারচেয়ে অনেক বেশী পরিমাণে ঢোল কলমিরা মারা পড়ে। এখন হয়তো এই উপসংহার পড়ে অনেকে বিরক্ত মুখে ভাবছেন, অপ্রয়োজনীয় ঢোল কলমির মৃত্যুতে কি আসে যায়? আপাতত তেমন কিছুই আসে যায় না। তবে একদিন হয়তো অপ্রয়োজনীয় জঙ্গল ভেবে কেউ না কেউ আপনাকে বা আপনার প্রিয়জনকে হৈ হৈ রৈ রৈ করতে করতে এসে ঢোল কলমির মতোই কচুকাটা করবে। তখন বোধহয় কিছু আসবে যাবে।


চিত্র - কচুকাটা হবার অপেক্ষায় ঢোল কলমি


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম !!!

র.নাহিয়েন

চরম উদাস এর ছবি

চোখ টিপি

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

আগে ইটা রাখি, ধুর ছাতা বাংলাবিলাই এর নেটে ইটা ইমোই লোড হয় না,

ভাই ইটা রাইখা পড়তে গেলাম। ব্লো পর্যন্ত পড়ছি চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

ইডা গুম হইছে

সবজান্তা এর ছবি

গুজবের গাছ গজানোর অংশটা ফাটাফাটি লাগলো, বিশেষ করে বলদ বন্ধু দিয়ে সার দেওয়ানোর অ্যানালজিটা দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

চক্ষের সামনে এইরকম সার দিতে দেখতেছি তো দিনরাত।

তারেক অণু এর ছবি
^_^ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

হাসিব এর ছবি

পিষে ফেল মিজান!

চরম উদাস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
অনেকদিন পর এই Phrase টা মনে করায়ে দিলেন

কানা বাবা এর ছবি

এই মিজানডা আবার কেঠা?

/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম উদাস! চরম লেখা !

-দিহান

চরম উদাস এর ছবি

আপনে ম্যাজিকাল জার্নির দিহান না ?? কই ডুব দিলেন?? চিন্তিত

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

দিহানাপা তো হাচল হইছিলেন, এরপর তার আর দেখা পাই নাই। একটা গুজব ছড়াই দিমু নাকি? খাইছে

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

চরম উদাস এর ছবি

দেন দেহি

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

আহারে! এরকম একজন অসাধারণ লেখকের দুই লাখ লেখা সচলায়তন থেকে যারা গুম করে দিয়েছে তারা কত নীচ! এই খবর জানার পর দুই চোখের পানি আটকায়া রাখতে পারলাম না!

[আপনার লেখা একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে গুরু গুরু ]

চরম উদাস এর ছবি

হ, মনে পরলে আমারও চুক্ষে পানি আসে খালি।

রওনক এর ছবি

বরাবরের মত-ই অনন্য সাধারন একটি লেখা।

এরপর রিলাটেড আরেকটা টপিক, 'কিভাবে কন্সপিরেসি থিওরী বানাবেন', নিয়ে লেখার অপেক্ষা করছি।

চরম উদাস এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

মুকুল চৌধুরী এর ছবি

উদাস ,
যথারীতি ভাল লাগলো, কিন্তু রস একটু কম দিলেন এইবার।

হাততালি
মুকুল চৌধুরী

চরম উদাস এর ছবি

অর্ধেক রস মনে হয় গুম হইছে, দিছিলাম তো ঠিকমতোই।

রওনক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

রাগাদ এর ছবি

হাততালি চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ লেগেছে। অনেকদিন পর ব্লগে এসে ভালো একটা লেখা পড়লাম। না পড়লে মিস হত।

চরম উদাস এর ছবি

নাম কই??

Fallen Leaf এর ছবি

চরম হৈসে। কেমনে লিখেন এইসব? লেখা -গুড়- হয়েছে ইটা রাইখ্যা গেলাম... ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!! গুরু গুরু উত্তম জাঝা!

চরম উদাস এর ছবি

এমনে এম্নেই লিখি, এইভাবে গুম না করলে তো আরও কত কত লিখতাম

Fallen Leaf এর ছবি

অফটপিক প্রশ্নঃ প্রো পিকে কি আপনারা দুইটা নাকি আপনাদের দুইটা কে দেখা যায়?
টপিক প্রশ্নঃ এই লিখার উদাহরনে ব্যাবহারের জন্যে আপনিই নাকি ওই রাতে দেড় লাখ রিয়েল ফায়ার গুল্লি সহ শাপলা ফুলের মধ্যে থেকে বাহির হইসিলেন? গুল্লি কোপাও মামা...

কিরন শেখর এর ছবি

ভাই এইডা তো আইনস্টাইনের থিওরির ব্যাখ্যা আপনি কপি পেস্ট মারছেন।

চরম উদাস এর ছবি

কার কি কপি মারলাম গো ... খুলে বলেন। PhD এর থিসিস বাদে আর জীবনে আর কুথাও কপি পেস্ট মারি নাই গো , কসমসে।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

এইরকম লোকসম্মুখেই আপনে খুলতে কন!!! "দুস্টামির একটা সীমা আছে " -মতি

চরম উদাস এর ছবি

চোখ টিপি

শিশিরকণা এর ছবি

প্রত্যেকটা লাইন কোট করার মত।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

শাহরিয়ার (২০০৬-২০১২) এর ছবি

অফ টপিক কোশ্চেন, আপনে সিলেটের এক্স ক্যাডেট???

চরম উদাস এর ছবি

হ, এক্কেরে ট্রিপল এক্স ।

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক হ, 'গু'জব বৃক্ষে সার দেওয়া বলদগো জ্বালায় ফিনল্যান্ডে থাকাও দায় হইয়া পড়ছে।
...লেখা ভাল হয়েছে বরাবরের মত।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

চরম উদাস এর ছবি

তারকাণু আর আপনি মিলে ফিনল্যান্ডের ঘরে ঘরে আন্দোলন গড়ে তুলেন খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই,চিপায় চাপায় অথবা কনা কাঞ্চিতে আমারেও সাথে রাইখেন।
শাকিল অরিত

শাহরিয়ার (২০০৬-২০১২) এর ছবি

বস লিখচুইন বস। আউট হইছুন কেবা?

চরম উদাস এর ছবি

এ তো মমিসিঙ্গা লোক দেখি ...

আমি জানি না এর ছবি

ঢোল-কলমি পানি প্রিয় উদ্ভিদ, ডোবা-নালা কমে যাওয়ার কারণে মফস্বল এলাকাগুলো তে ঢোল-কলমি আর দেখা যায় না। তবে বর্ষাকলে হাওড় এলাকাতে এখনও চোখে পরে।

ঢোল-কলমির গুজবের কথা আমারও মনে আছে, তখন ক্লাশ থ্রি/ফোরে পড়তাম মনে হয়। আমাদের এলাকাতে ঢোল-কলমি এখন আর নাই।

আমি জানি না

চরম উদাস এর ছবি

আমাদের এলাকাতেও এখন আর ঢোল কলমি দেখা যায়না।

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আমি গুজব ছড়াই না। সো, নো কমেন্টজব?

একজন শিক্ষিত মানুষের সাথে কথা হচ্ছে আমার

চাঁদে সাঈদী সাহেবের চেহারা দেখা গেছে এইটা শুনলে আপ্নাদের এত লাগে কেন?
না লাগার কি কোন কারণ আছে? চাঁদে কি কোন মানুষ দেখা সম্ভব?
কেন সম্ভব না? উনি ভালো মানুষ, পরহেজগার মানুষ উনারে তো দেখা যাইতেই পারে।
ভেরি গুড, আর কোন কোন পরহেজগার মানুষ্রে চাঁদে দেখা গেছে সো ফার?
তা তো আমি জানি না, তবে সাঈদী সাহেব্রে দেখা গেছে এইটা সত্য।
ঠিক আছে, বুঝলাম সত্য, কিন্তু এতদিন কেন দেখা যায় নাই? তার ফাঁসির রায়ের পরদিনই কেন দেখা গেল?
এইটা আপ্নে বুঝবেন না। উনার ফাঁসির রায় উপরওলার পছন্দ হয় নাই, তাই উনি চাঁদে দেখা দিছেন।
হুমম, এইটা বুঝার মত খমতা আমার নাই। যাউজ্ঞা, একটা কথা বলেন, আপনি কি দেখছেন?
না, আমি দেখি নাই, তবে ছবি দেখছি। একেবার আসল ছবি। একজন তুলে ফেসবুকে দিছে।
সে নিজের হাতে তুলছে? নিজের ক্যাম্রা দিয়া?
তা জিগেস করি নাই, তবে সে ভালো মানুশ, কখনো মিথ্যা বলে না।
তার কি এসেলার ক্যাম্রা আর জুম লেন্স আছে? নাকি মোবাইল ক্যাম্রা দিয়া তুলছে?
মনে হয় মোবাইল দিয়া তুলছে।
(আমার চোয়াল মাটিতে, চোখ কপালে) কন কি? মোবাইল দিয়াই এত ক্লোজ ছবি তুল্ল? আমি তো আমার ২০০ মিমি এল সিরিজের লেন্স দিয়াও চাঁদের ভাল ছবি তুলতারি না।
আপ্নে ছবি তুলতারেন না সেইটা কন। পারলে মোবাইল দিয়াও তুলতারতেন।

এরপর আর কোন কথা চলে না। আমি ইজ্জত নিয়ে প্রস্থান করি, এবং তাকে আমার ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বিতাড়ন করি।

গুজবের এতই পাওয়ার। আর আপ্নে মিয়া গুজব নিয়া টিউটোরিয়াল বানান।

বিঃদ্রঃ গুজব শুনলাম আপ্নে নাকি এডমন্টনের দিকে আসছিলেন? কথা কি সত্য? নাকি এইটা পুরাই গুজব?

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

হ, আসছিলাম, গুজব না।
এই সপ্তাহে অত্র এলাকায় আবার আসতেছি। ক্যালগারি টু ভ্যাঙ্কুবার রোড ট্রিপ মারতে।

রেজওয়ান এর ছবি

আমি শিক্ষামন্ত্রী হলে, এই লেখাটা পাঠ্য-পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতাম। সরকার বাধা দিলে, পদত্যাগ করতেও দ্বিধা করতাম না।

চরম উদাস এর ছবি

আচ্ছা, আপনে মন্ত্রী হলে খবর দিয়েন খাইছে

তাসনীম এর ছবি

বুলস আই লেখা

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার আ, গ,গু ,ফুঁ সবধরনের লেখাই হা করে গিলি আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলি ।

শাকিল অরিত

একটা কথা অন্যভাবে নিয়েন না , যদিও একশ ভাগ প্রসঙ্গত,তারপরও গোলাম----------ছাওয়ালের ছবিটার
জন্য মাঝে মাঝে চুনা ঢেকুর আসছে ।

চরম উদাস এর ছবি

কথা সত্য, আমার নিজেরও ছবিটা দেখলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু একসময় হয়তো এই ছবিই দেখবেন রেফারেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে।

তানভীর এর ছবি

আসলেই, আপনার বাকি ২ লাখ পোস্ট গেল কৈ? ছলিম আমারে কইল করিম নাকি আপনার ২ লাখ পোস্ট গুণছে।

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

বিষন্ন বর্ষা এর ছবি

ঢোল কলমির কথা মনে পরে। তখন চট্টগ্রামে থাকতাম।বাংগালীকে "হুজুগে" জাতি না বলে "গুজবে" জাতি বলাই শ্রেয়।

চরম উদাস এর ছবি

গুজবুকের (কপিরাইট হিমু) দল সব

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

তীরের নাহান লেখা হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

অতিথি লেখক এর ছবি

এবং গুজবুকদের জন্য টিউটোরিয়াল... গুল্লি

সিরাম বস...

কড়িকাঠুরে

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

এজ ইউজুয়াল স্যাটায়ার। তবে ভাসা সৌনিক গুয়ার শিবিরগেলমান কর্তৃক পুরষ্কৃত হওয়ার ছবিটা দেইখা সবচেয়ে বেশি বিনোদিত হইছি।

চরম উদাস এর ছবি

বিনোদন এর পাশাপাশি মেজাজও খারাপ হয় ছবিটা দেখলে

ফরহাদ হোসেন মাসুম এর ছবি

চরম উদাস (বিশেষ্য নহে, বিশেষণ) হইয়া গেলাম লেখাটা পড়ে। আমাদের অবস্থা আসলেই অনেক খারাপ। হুজুগে বাঙ্গালী, হুদাই হুজুগ টোকায়। হুজুগ হইসে বাতাস, সামনে পাইলেই হলো, দে ফুঁ !!

Fallen Leaf এর ছবি

ফু জবে তো মাথার চুল সব উড়ে উড়ে যাবে চলে ওপাড়ে ।।।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

রায়হান রশিদ এর ছবি
চরম উদাস এর ছবি

আপনার কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগলো হাসি

অর্ক বিশ্বাস এর ছবি

১৭ই জুলাই থেকে অপেক্ষা করছিলাম। অনবদ্য যথারীতি।

চরম উদাস এর ছবি

১৭ই জুলাই এর মাজেজা কি?? চিন্তিত

অর্ক বিশ্বাস এর ছবি

১৭ই জুলাই আপনার লাস্ট লেখা পেয়েছিলাম। তারপর আবার এতদিন পরে। যাইহোক পরবর্তী গোলাটার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

এর মধ্যে আরও কত কত লেখা লেখলাম, গুম করে ফেললে আমার কি দোষ??

আশরাফ সুমন এর ছবি

চমৎকার লিখা, ভাই গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

স্পর্শ এর ছবি

দারুণ! উত্তম জাঝা!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

তিথীডোর এর ছবি

আপনি অমানুষ।
কথা শেষ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

চরম উদাস এর ছবি

অমানুষ অমানুষের জন্য ... একটু সহানুভূতি কি... পেতে পারে না ...

Tareq Hasan এর ছবি

অসাধারন লেখা ।

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

এই ধরণের ছেঞ্ছেতিব লেখা লিখেন ক্ষতি নাই, কিন্তু চরম উদাসী ভঙ্গিতে কেন? আপনে কুব কারাপ!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

মালাকাইটের ঝাপি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আমারে বাচাও। হাস্তে হাস্তে মরি গেলাম ।
ডোল কলমি কে আমাদের এলাকায় বলে কোকরা / জয়বাংলা । কলমির লতা বলে কিন্তু অনেক কম, ডোল কলমি প্রথম বার শুনলাম ।
আপনি কি করে লিখেন ? আজিব ।

চরম উদাস এর ছবি

ঢোল কলমির নাম জয় বাংলা খাইছে ... এই জন্যই মনে হয় এরে এরশাদ আমলে কচুকাটা করতে লাগছিল লোকজন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমগো এলাকায় বলে 'মিলিটারি গাছ'! এই মিলিটারি গাছের পোকায় যখন কামড়ায়া সমগ্র বাংলাদেশের পাঁচ টন, আই মিন হাজারে বিজারে মানুষ মাইরা ফেলতেছিলো তখন পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে বইসা আক্রমদ্দী প্রধান কে-টু সিগারেটে একটা লম্বা টান দিয়া কইছিলেন, 'গাছের নামডা যেমন মিলিটারি, গাছের পোকটার কাজকামও সেইরম'।

দীপু  এর ছবি

খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে ।ভাই কেমনে পারেন এরকম লেখা লিখতে? আসাধরন। কিন্তু অনেকদিন পরে আপনের লেখা পাইলাম। এর পরের লেখাটা দ্রুত দেওয়ার জন্য আনুরধ করছি । ' কিভাবে বাংলাদেশের উন্নতি হবে/এখনকার অবস্থার থেকে মুক্তি পাব' নাকি আদৌ সম্ভব না এর উপর একখানা লেখা চাই আপনের কাছ থেকে। ভাল থাকবেন।

আমি তারিখ: শুক্র, ০৫/০৭/২০১৩ - ৩:৪৫অপরাহ্ন সময়ে এসো নিজে করি ০৩ - কিভাবে গবেষণা করবেন/ How to do research তে মন্তব্য করেছিলাম যা ছিল শেষ মন্তব্য ওই লেখার। চরম উদাস ভাই আপনার মন্তব্য প্রার্থনা করছি এসো নিজে করি ০৩ - কিভাবে গবেষণা করবেন/ How to do research লেখাটিতে ।

চরম উদাস এর ছবি

নিয়মিত লেখার চেষ্টা করি তো, কিন্তু বড় লেখাগুলো শেষ করতে করতে দেরী হয়ে যায় মাঝে মাঝে।

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

আপনি লুক ভালো না।দিলেন তো গু জব রে খাল পার কইরা।

চরম উদাস এর ছবি

শয়তানী হাসি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

একটা গুজব ছড়ায়ে দেই - চরম উদাসের এই লেখাটা একটা আমেরিকান (কানাডিয়ানও হতে পারে) পত্রিকা থেকে টুকলিফাই করা!! রেফারেন্স চরম উদাস দাদা নিজেই দিসে। বিশ্বাস ন হলে জিগাই লন।

---লেখা সেই রকম।

____________________________

চরম উদাস এর ছবি

আমেরিকান কানাডিয়ান বললে হালে পানি পাবেনা বেশী। বলেন বিখ্যাত আফ্রিকান রম্য পত্রিকা 'ইয়া কালা ক্যালকেলা' থেকে সব লেখা কপি মারছে।

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

প্রতিবছর সিলেটে একটা গুজব রটে , যে ছেলেধরারা ছেলে ধরে ধরে নিয়ে গলা কেটে ব্রিজের তলায় দেয় ।

পদ্মা সেতুতেও এমন গুজব ছড়াইসিলো যে এতোগুলো মাথা লাগবে।

এইটা অলটাইম গুজব। এইটা মিস করলেন কেম্নে চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

হ, এটা ভুলে গেছিলাম। ব্রিজ আর পুকুর এইগুলা নাকি রক্ত না পাইলে ডেভেলপ হয়না।

পৃথ্বী এর ছবি

গুজব ছড়াতে গিয়ে আজ পর্যন্ত্য কাউকে ব্যর্থ হতে দেখি নাই। কারণটা খুব সম্ভবত,

He had no accomplice, except the credulity of other men.


Big Brother is watching you.

Goodreads shelf

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

কৌস্তুভ এর ছবি

চরম উদাস এর ছবি

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন হয়েছে ভাই,মুগ্ধ হওয়ার মতো।এ যেন আমাদের সমাজের বাস্তব একটা চিত্র।চিত্রকরের মতো দৃশ্যের পর দৃশ্য একে দিয়ে আমাদের দেখিয়ে দিলেন আমাদের দেশের সমসাময়িক ঘটনাগুলো।এই ঘটে যাওয়া দৃশ্যগুলো আমরা সবাই জানি,তবে আপনার লিখা সেই জানাকে আরো সহজ করে দিলো।আপনার এই সহজ ব্যাখ্যামূলক লেখা পড়ে আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম।ভালোথাকবেন ভাই,গুজব থেকে আমরা যেন মুক্তি পাই।

মাসুদ সজীব

চরম উদাস এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বিস্তারিত কমেন্টের জন্য

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এত কিছু শিখলেন কোত্থেকে? বাঁশের কেল্লা ভাইদের কাছ থেকে নিশ্চয়?

আব্দুল্লাহ এ এম

চরম উদাস এর ছবি

আবার জিগায় খাইছে

areefin  এর ছবি

উদাস চরম,মিয়া আপনি কি আমার চাইতে বেশি জানেন?ধুন ফুন কথা বাদ দেন,লেখলে ঠিক মতন লেখবেন,আমি নিজে সাইদিরে সানি লিওনের লগে চাদে দেকছি,আমার কাছে ভিডু আছে,আপনি মিয়া মলা নলে কাচকি বজরি মাছ খাওয়া মনে হয় ছারান দিছেন?এর লইগা লেহা কমজুরি,আগের মতন মাছ খাওয়া শুরু করেন

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

হ, বেশী করে মলা ঢেলা খাইতে হবে

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন হয়েছে লিখাটা।যেন চিত্রকরের মতো দৃশ্যের পর দৃশ্য দেখিয়ে গেলেন চোখর সামনে।আপনার এই সহজ কিন্তু অনেক চিন্তামূলক লেখা পড়ে আপনার বাকী দুই লক্ষ লেখা পড়তে পারবো না বলে চরম ভাবে ব্যাথিত।তবে যে ৪৬টা আছে বললেন সেগুলো খুজে খুজে পড়ার গভীর আগ্রহ বোধ করছি।ভালোথাকবেন

মাসুদ সজীব

চরম উদাস এর ছবি

হ, দুইলাখ তো গুম, বাকি ছেচল্লিশটাই পড়েন আরকি

অতিথি লেখক এর ছবি

নতুন লেখা কই? কতদিন হলো লেখা পাচ্ছি না।

মাসুদ সজীব

তারানা_শব্দ এর ছবি

২ লাখ লেখা পড়তাম চাই! ইটা রাইখ্যা গেলাম...

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

চরম উদাস এর ছবি

আমিও চাই মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লেখা।

স্বয়ম

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাইদ এর ছবি

কনে গেল আন্নের ২ লাখ লেখা, কনে গেল, জাফর ইকবার জবাব চাই।

চরম উদাস এর ছবি

জবাব চাই ... জবাব চাই

রিয়াজ এর ছবি

উদাসদার জন্য

নজরানা

চরম উদাস এর ছবি

নজরানা কই ???

nafis.iftekhar এর ছবি

আমার লেখাটা এভাবে কপি করে দিলেন দাদা??
সাধে কি আর বলে রাজার হস্ত করে সমস্ত ............... মন খারাপ

http://www.somewhereinblog.net/blog/Nafis_Iftekhar/28925782

২০০৯ এর শুরুটা ছিলো ব্যাপক ঘটনাময়। আর এ সময়কালেই আমরা লক্ষ্য করেছি আমাদের ব্লগীয় গুজবকারীদের উত্থান, যেন গুজবের গজব নেমে এসেছিলো ব্লগে। আসুন দেখে নেই এক নজরে কি কি করলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল পেশাদার ব্লগীয় গুলবাজ। B-)

১. প্রথম কথা ঘটনা/দুর্যোগ যাই হোক না কেন প্রথম থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করুন ও তারপরে পোস্ট দিন। পোস্ট দিতে হবে মোক্ষম সুযোগ দেখে। আপনার জন্য কাজটা আরো সহজ করে দেবে আপনার সতীর্থ ব্লগীয় গুলবাজ ভাইয়েরা। অনেকগুলো গুজবসমৃদ্দ পোস্টের মাঝে আপনার পোস্টটিকে এমনভাবে মিশিয়ে ফেলুন যাতে পাবলিক তাব্দা খেয়ে যায় ও সত্য-মিথ্যা বিচার করতে না পারে।

২. পোস্টের শিরোনামের ব্যাপারে বলি - পোস্টের শিরোনাম হতে হবে ভয়, আতঙ্ক, দুশ্চিন্তা ও দ্বিধা মন্ডিত। পোস্টের শিরোনামে আপনার পোস্টের মূল বক্তব্যের (হোক না তা নেহায়েতই গুজব) সারমর্ম বা প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেতে পারে। নিম্নে উদাহরণস্বরূপ এমনই কিছু শিরোনাম দেয়া হলো -

হায় আল্লাহ এখন কি হবে!!!

দেশে মহাদুর্যোগ আসতে যাচ্ছে!!

আজ রাতেই কিছু হয়ে যেতে পারে!

বিশ্বাস করতে চাইনা তবুও করতে হচ্ছে.......

আমরা কোনদিকে এগোচ্ছি?

জাতি কোনদিকে যাচ্ছে?

এ কি শুনলাম?

৩. পোস্টের ভাষা হবে সুচতুর, দৃপ্ত, দ্বিধা-দ্বন্দ সৃষ্টিকারী, বিভ্রান্তিকর কিন্তু একই সাথে যা বলছেন তাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার সকল উপাদান মজুদ থাকতে হবে। আপনার পোস্ট দেখে যেন মনে হয় আপনি নিজেই সন্দেহের দোলাচালে মত্ত আছেন - এতে করে পাবলিক সহজে গুজবটাকে পৃথক করতে পারবে না।

৪. এবার আসুন ঘটনার সূত্রের ব্যাপারে। সূত্রের ব্যাপারটি পোস্টে উল্লেখ করা বা না করা ইচ্ছের ব্যাপার। তবে কেউ জানতে চাইলে অবশ্যই বলবেন। সূত্র হিসেবে দূরসম্পর্কের মামাতো-খালাতো-চাচাতো-ফুফাতো ভাই, কলিগের বন্ধু, বন্ধুর বন্ধু, বেয়াই, শালা, কাজের ছেলে/বুয়া এরা অগ্রগণ্য। পোস্টে এসব সূত্রকে উপস্থাপন করতে হবে চাতুর্য্যের সাথে। যেমন:

আমার এক অতি ঘনিষ্ঠ দূরসম্পর্কের চাচাতো ভাই যশোর ক্যান্টনমেন্টে আছে। সে জানালো সেখান থেকে নাকি আধাঘন্টা আগে ৮০টার মতো ট্যাঙ্ক দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রওয়ানা দিসে..........

উপরের কথাটার সাথে সম্পূরক কিছু কথা জুড়ে দিতে পারেন। যেমন:

.........আপনারা কেউ কিছু জানেন এ ব্যাপারে?

........কেউ কি খবরটা একটু কনফার্ম করবেন প্লিজ?

..........কেউ কি ওখানে আছেন? থাকলে খবরটা একটু কনফার্ম করবেন প্লিজ?

.........জানি না কতোটুকু সত্য। সত্য মিথ্যা বিচারের ভার আপনাদের উপরে ছেড়ে দিলাম।

৫. পোস্টের মাঝে, ফাঁক-ফোকরে নিম্নরূপ কথাবার্তা জুড়ে দিয়ে গুজবকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তুলুন:

প্লিজ! আপনারা কেউ এ ব্যাপারে নিশ্চিৎ না হয়ে কোন পোস্ট দেবেন না.........

এটা শুধুই শোনা কথা। তাই এতে আতঙ্কিত না হবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি........

অনেক গুজবই বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে কিন্তু এটা খুবই বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া খবর তাই অবিশ্বাস করতে পারলাম না.........

৬. কেউ আপনার তথ্য উৎসের বা গুজবের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাকে নিম্নরূপ বাক্যবাণে বিদ্ধ করুন:

আপনি এতোটা নিশ্চিৎ হচ্ছেন কিভাবে?

হুমমম.......হতে পারে। তবে এ মূহুর্তে কোন সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। আপনাকে ধন্যবাদ!

আপনি কি নিজ চোখে দেখেছেন? আমার কাজিন দেখে দৌড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে এসে আমাকে বললো। সে নিশ্চয়ই মিথ্যা বলবে না।

আমি বলছি না যে ঘটনা এমনটাই ঘটেছে। কিন্তু ঘটেনি এমন তথ্যই বা আপনি পাচ্ছেন কোথা থেকে?

৭. নিজের সামাজিক/পেশাগত অবস্থানকে কাজে লাগান। যেমন:

একজন সাংবাদিক হিসেবে অনেক খবরই আমাদের কানে আসে কিন্তু পেশাগত কারনেই তা আমরা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি না........

একজন এক্স ক্যাডেট হিসেবে বলতে পারি.......

ইত্যাদি ইত্যাদি.......

৮. সূত্র হিসেবে পত্রপত্রিকা বা সংবাদ প্রকাশনা সংস্থার সূত্র প্রয়োজন হলে নূরানী-ইরানী-তেলেসমাতি কিছু সংবাদ সংস্থা ও নাম না জানা কিছু পত্রপত্রিকার সহায়তা নিন। ইন্টারনেটে এরকম অনেক ওয়েবসাইটও আপনি পেয়ে যাবেন যেখানে গুজব ফলাও করে প্রচার করা হয় - সেগুলোর সদ্ব্যবহার করুন। যেমন: দৈনিক দাউদকান্দি দিশারী, দৈনিক গাইবান্ধা সমাচার, দৈনিক উথাল-পাথাল, দৈনিক স্বচ্ছতা, রেডিও আল-হিকমা প্রভৃতি।

আশা করা যায় উপরোক্ত বিষয়াদি মেনে চললে অচিরেই আপনি হয়ে উঠবেন একজন সফল ব্লগীয় গুলবাজ/গুজবকারী/রটনাকারী। B-)

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো
দারুণ লাগলো আপনার লেখাটা ।

সাধে কি আর বলে রাজার হস্ত করে সমস্ত ...............

প্রথম কথা ... আমি রাজা বা প্যান্থার কোনটাই নই ইয়ে, মানে...
দ্বিতীয় কথা ... আমার হস্ত কোন কাঙালের ধন তো দূরের কথা কোন বড়োলোকের ধনও স্পর্শ করে নাই (কসমসে ইয়ে, মানে... ) ।
আপনার কি নিশ্চিত আপনার ধন চুরি গেছে ?

ধ্রুবনীল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মূল লেখা বরাবরের মতই লেখা -গুড়- হয়েছে

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনে বস লুক এইটা তো জানা কথা কিন্তু এইবারেই লেখা পুরাই গুল্লির মত গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি
ইসরাত

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

রিপন মজুমদার এর ছবি

কোয়ালিটিতে আপনি নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

বন্দনা এর ছবি

সবি ঠিক আছে, কেবল ভাষাসৈনিকের ছবি দেখে মাথাটা একটু গরম হয়ে গেল।

চরম উদাস এর ছবি

যতবার দেখি আমার নিজেরও গরম হয়। তবে এই গরম হয়াটা মনে হয় দরকার আছে।

আরেফিন এর ছবি

ভাই প্রতিবার আপানি যা দেন না! ক্যামনে ভাই ক্যামনে। বরাবরের মত অস্থির হইসে।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

রাত-প্রহরী এর ছবি

মনে অনেক আনন্দ নিয়ে পড়তে বসেছিলাম। কিন্তু ভাষা সৈনিক বাঞ্চুদ এর ছবি দেখে বমি চলে এলো। রেগে টং
এতো গ্রাফ/ছবি কোথায় পান বস? আপনার লেখার মজাই এটা। গুরু গুরু
কিন্তু একটা ফিসফিসানি শুনলাম যে, আপনাকে নাকি কে বা কারা লেখা ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে? একবার তাদের নাম প্রকাশ করুন, গুজব ছড়িয়ে ঢোল-কলমী বানিয়ে ফেলবো তাদের।
ঢোল কলমী কাটার অভিজ্ঞতা আমার আছে। শয়তানী হাসি

----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

চরম উদাস এর ছবি

বমি আসারই কথা ...

হ, দিনরাত খালি হুমকি পাই। আমাকে মেরে ফেলবে , কল্লা নামায়ে ফেলবে ইত্যাদি। সবই যদিও স্ত্রী আর বন্ধুদের কাছ থেকে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক গুল্লি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ সাক্ষী বৌদি খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি
- একলহমা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ধুর্মিয়া, কোনকিছুই কি আপনার চোখ এড়ায় না? মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রোবোট  এর ছবি

২ লাখ ৫৫ হাজার ডিলিট কমেন্ট দিয়ে চর্মুদাস (চরম যে উদাস) এর ২ লাখ লেখা গায়েবের নিন্দা জানাই।
লেখায় গড়াগড়ি দিয়া হাসি চলুক
নাফিস ইফতেখারের কমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ সংযুক্তি। নাফিস ইফতেখার আর চরম উদাস যৌথভাবে কিছু ইয়ে (মন পরিস্কার রাখেন, রম্য মিন করেছি) জন্ম দিলে বেশ হতো।

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু খাইছে

আসিফ এর ছবি

আপনার এই লেখা পড়ে সামুতে নাফিস ইফতেখারের একটা লেখার কথা মনে পড়ছিল। মন্তব্যে দেখলাম নাফিস নিজেই এসে সে লেখার রেফারেন্স দিয়ে গিয়েছেন। যাই হোক দুইটার স্বাদ দুই রকম।

চলুক চলুক

চরম উদাস এর ছবি

পড়লাম লেখাটা, মজার হো হো হো

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

কিভাবে পারেন? চলুক গুরু গুরু

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

চরম উদাস এর ছবি

এমনে এমনেই

কেউ একজন এর ছবি

খুবই পরিশ্রমী লেখা। আন্ডারলাইং মেসেজটা ভাল লাগল লাগল। ধন্যবাদ এবং সাধুবাদ।

কিন্তু একটা 'কিন্তু' থেকে যাচ্ছে। দি কিন্তু ইজ স্টেটেড বাই দা ফলোইং-
একজন ধর্মহীন, নাস্তিক লোক যখন শুধুমাত্র শেয়ার, লাইক, জনপ্রিয়তার লোভে কোরআনের আয়াত লেখায় তুলে দেখায় সেটা একই সাথে দৃষ্টিকটু, সাংঘর্ষিক আর স্থূল মনে হয়।
ফর গড (ইফ একজিস্ট!) সেক এখন বইলেন না যে আপনিও আস্তিক, ধর্মকারী(!)

হিমু এর ছবি

কোরআনের আয়াত খালি আস্তিক ধর্মকারীরাই নিজেদের লেখায় তুলে দেখাতে পারবে?

তাহলে আস্তিক ধর্মকারীদের কি উচিত নাস্তিকদের তৈরি করা উইন্ডোজ বা ম্যাক ওএস বা লিনাক্স বা ফেসবুক ব্যবহার করে কোথাও কমেন্ট করা? দৃষ্টিকটু, সাংঘর্ষিক বা স্থূল হয়ে যায় না কাজটা?

চরম উদাস এর ছবি

দুনিয়ার সব আবিষ্কারের মূলনীতিই মুসলিম বিজ্ঞানীরা দিয়ে গেছেন ... কখন কই ক্যামনে কিভাবে তা জানিনা। তবে দিয়ে গেছে (মোজাম্মেল বলছে)। সুতরাং উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স (বিজয় ছাড়া, বিজয় একমাত্র কাগুর সম্পত্তি) সবই মুসলমানদের সম্পত্তি।

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু।
কিন্তুর ব্যাপারে উত্তর দেই এবার ...

প্রথমত ... আমি ধর্মহীন নাকি নাস্তিক নাকি আস্তিক নাকি ধর্মকারী সেটা আমি কোথাও ডিফাইন করিনি, করার প্রয়োজনও নেই। আমি হচ্ছি ডিফাইন না করার স্বাধীনতা থাকায় বিশ্বাসবাদী। (সুবিধাবাদীও বলতে পারেন)।

দ্বিতীয়ত ... আয়াতটা আমার নিজের জন্য না, আমি বিশ্বাস করি কি না করি সেটা বিষয় না। তবে যে ধার্মিক তার এটা বিশ্বাস করার কথা। ব্যাপারটা অনেকটা আপনে কোন আকাজ করলে আপনাকে থাপ্পর দেয়ার আগে আপনার আব্বা যে বলছে এটা অন্যায় সেটা মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা। অথবা আমার কোম্পানিতে এসে আপনি কোন ফাতরামি করলে আপনার কোম্পানির ম্যানুয়েল দেখিয়ে দেয়া ঐটা অনুসারে আপনার কি করার কথা ছিল।

তৃতীয়ত ... জনপ্রিয়তার ঠ্যালায় এমনেই মিয়া হিমশিম খাইতেছি। ( ঘণ্টায় ঘণ্টায় খালি ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আর প্রেমপত্র আসে, সেইগুলা আবার মেয়েদের না ৯৯% ছেলের কাছ থেকে ইয়ে, মানে... )। এখন কি আমি আয়াত দিয়া কাকরাইল আর মগবাজার থেকে সুরমা দেয়া পাঠক আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতেছি বলতে চান?

চতুর্থত ... আমি একজন হাজী। আম্নে আমাত্তে বেশী বুজেন??

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

এত কুলু দিলে তো বুইজ্জালাইব ইয়ে, মানে...

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

কেউ একজন এর ছবি

আপনার এই কমেন্টটা হৈল একটা ত‌্যালানি, বুঝছেন। চরম উদাসের কাছে একটা প্রশ্ন/কনফিউশান উপস্থাপন করা হয়েছে। উনি সুন্দর করে উনার যুক্তি দিয়ে উত্তরও দিয়েছেন। কিন্তু আপনার কমেন্টের সাথে একদল লোকেরই মিল পাওয়া যাচ্ছে, মোসাহেব। আর সচলে এইপ্রকার কমেন্ট যদি ইন্টারাকশানেরই নামান্তর হয় তাইলে বলতেই হবে 'ইন্টারাকশানের মা** বা*'।

হিমু এর ছবি

নিরেট ছাগু না হলে ঐ প্রশ্ন বা কনফিউশন কারো মনে আসারই কথা না। আর ছাগুদের তো সচলায়তনে ইন্টারঅ্যাকশনের সুযোগ নাই। তারা নাম লুকিয়ে এসে দুই চারটা স্মার্ট কথা বলার চেষ্টা করে সচলায়তনের লেখক পাঠকদের হাতে অপদস্থ হয়ে চলে যাবে। ঐটাই ছাগুদের ইন্টারঅ্যাকশনের পরিসীমা। পছন্দ না হলে অন্যত্র গিয়ে বাল ফেলুন।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

"পছন্দ না হলে অন্যত্র গিয়ে বাল ফেলুন।"

হা হা হা হা

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

কি দিয়া কি হইল বুঝতারলাম না। যাউজ্ঞা, কেউ একজন ভাই আমারে মনে হয় কিছু একটা কইলেন। কইছেন ভাল করছেন। মনের কথা মনে চাপাইয়া রাখতে নাই, এম্নিতেই আপ্নেরা বহুত চাপের মইধ্যে আছেন।

কোনটা মোসাহেবী, কোনটা ইন্টার‍্যাকশান, আর কোনটা ছাগু ডিটেকশন এইটা যদি বুঝতেন তাইলে পোন্দানী খাওয়ার ভয়ে আর ফিরত আসতেন না। এখন ভাল বুদ্ধি দেই, তিন ঠ্যাং দিয়া দৌড়াইয়া পালান। আরেক ঠ্যাং কি করবেন? ওইটা দিয়া পাছা গার্ড দেন। হয়ত জানেন না, সচলের লেখক আর পাঠকরা কোন রকম মায়া মহব্বত ছাড়াই ছাগু পোন্দাইয়া থাকে।
আমি ভদ্রলোক, ভদ্রভাবে কইলাম, এইখানে কিন্তু প্রচুর দুষ্ট ছেলেপেলে থাকে। তাড়াতাড়ি ভাগেন, নাইলে পোন্দানী তো খাইবেনই, ইজ্জতও হারাইবেন আর ফাউয়ের উপর কানবেন।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

তারেক অণু এর ছবি

আমি ভদ্রলোক, ভদ্রভাবে কইলাম, এইখানে কিন্তু প্রচুর দুষ্ট ছেলেপেলে থাকে। তাড়াতাড়ি ভাগেন, নাইলে পোন্দানী তো খাইবেনই, ইজ্জতও হারাইবেন আর ফাউয়ের উপর কানবেন। গুল্লি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার এই "কিন্তুটি" চরম উদাস-এর এই সিরিজ-এর ৮নং লেখা "কিভাবে ত্যানা প্যাঁচাবেন" মনে পড়িয়ে দিল। চরম যে কত সঠিক আর ওর এই সিরিজ-টা যে কি অসাধারণভাবে সার্থক, আরো একবার প্রমাণ পেলাম।
- একলহমা

কেউ একজন এর ছবি

মানে কি? একটা লেখার ৯৯% অংশের সাথে একমত হওয়া যাবে কিন্তু একটা লাইনে আপত্তি জানালেই ত্যানাপ্যাঁচানি! ফান্ডামেন্টালিজমেরও একটা সীমা আছে।

হিমু এর ছবি

ঐ সীমাটা কি আপনার গোয়ার ভিতর দিয়ে পার হয়েছে? আপনার এক রান সীমাটার এইপারে, আরেক রান অন্য পারে?

অতিথি লেখক এর ছবি

হ। ফান্ডামেন্টাল ব্যাপারগুলা বড়ই খতরা। ৯৯% অংশে চুলকাইলে ব‌্যাপার না। আর ঐ তেমন তেমন বাকি ১%-এ চুলকাইলে কি আর কমু ওঁয়া ওঁয়া । যেমন কইরাই বসেন ধরা খাইতেই হইব!
- একলহমা

সুবোধ অবোধ এর ছবি

'কিন্তু' এর জবাব তো পেয়েই গেছেন এবার আমি আপনার ৯৯% সহমত ১% দ্বিমত আর ফান্ডামেন্টালিজমের ব্যাপারে বলি।
আপনি যদি ৯৯ টা গোলাপের তোড়ার ভিতর একটা বোমা নিয়া আসেন, সেইটা হল ফান্ডামেন্টালিজম! কেন জানেন?
কারণ আপনার ওয়াশড ব্রেইন ওই এক ধারণা থেকেই বের হতে পারছে না! আর আপনি যে 'কিন্তু ' এর উল্লেখ করেছেন তাতে ওটা আর শুধুই একটি কিন্তু নেই, ওটা একটা বিশেষ প্রজাতির ছাগুরাম সুলভ 'ন্যাজ' হিসেবে প্রকাশিত!!!

সুবোধ অবোধ এর ছবি

আল্লামা হাজী উদাস ভাই, লেখা সেইরাম হইছে!!
তিন দিন আগেও আমার ভাই এর সাথে কথা বলছিলাম -"লুকটা লেখালুখা দিচ্ছে না, কই উধাও হইল!? "

চরম উদাস এর ছবি

আল্লামা হাজী উদাস চাল্লু

মৃষৎ এর ছবি

আরেকটা বিষয় হলো কুরান তো একটা গ্রন্থ/বুক তাই না? সুতরাং একটা গ্রন্থ থেকে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য কোন এক বাক্য কেন উদ্ধৃত করতে পারবো না?

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলা সাহিত্যে চরম উদাসের এই "এসো নিজে করি" সিরিজ শ্লেষের চাবুকে সামাজিক সত্য উদ্ঘাটনের ধারায় এক অনবদ্য সংযোজন। আপন বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। অন্তরের অভিবাদন।
(এ লেখা আমি কোনদিন স্বপ্নেও লিখে ওঠার সাধ্য রাখি না।) এই লেখায় এসে আমার আর কিছু মন্তব্য করতে ইচ্ছা করে না, শুধু পড়ে যেতে ইচ্ছা করে - মূল লেখা আর একের পর এক কমেন্ট।
- একলহমা

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

Arif Al Haque এর ছবি

বড়ই দুষ্ট পাবলিক ।

চরম উদাস এর ছবি

শয়তানী হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

গুল্লি


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাহি এর ছবি

যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বলতে গেলে আব্বু প্রায়ই একটা ঘটনা বলেন,
মুক্তিযুদ্ধের সময় নাকি একটা গুজব খুব প্রচলিত ছিল যে কোন পীর সাহেবকে পাকিরা বেত্রাঘাত করার পর তার পিঠে যেরকম লাল রঙ এর ঘাঁ হয়েছিল সেরকম লাল বর্নের চিহ্ন নাকি পরদিন দেশের অনেক কচু গাছের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। এই গুজব টা নাকি বেশ অনেকদিন যাবত বাজারে ছিল।

সাঈদীও হয়ত এই ঘটনায় অনেক আগেই অনুপ্রানিত হয়ে প্ল্যান প্রোগ্রাম করে রাখছিল। খাইছে

লিখা বরাবরের মতই আজব থুক্কু উড়ুক্কু হইছে। হাসি

চরম উদাস এর ছবি

প্ল্যান তো অবশ্যই এবং সেই প্ল্যান ১০০% সফল। আমরা ইন্টারনেটে বসে যতই গলা ফাটিয়ে চিৎকার করিনা কেন, যতই যুক্তি প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করিনা কেন সেটা একটা বিশাল অংশের কান পর্যন্ত গিয়ে ঢুকবে না।

তাপস শর্মা এর ছবি

আপনার লেখা জমিয়ে রেখে চুপচাপ একা একা বসে পড়তে হয়, কারণ সেইটা উপভোগ করতে হলে আশেপাশে কোন ডিস্টার্ব ভাল লাগেনা হাসি

কাল থেকে জমায়া রাইখা আজ পড়লাম। অসাধারণ। তয় পরিচিত উদাসীয় সেই স্যাটায়ায় এখানে খানিকটা অনুপস্থিত

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

এনালিস্ট এর ছবি

মোজাম্মেলের কাছে শুনলাম, তার কাছে নাকি তথ্য আছে, কোন এক বিশেষ সবুজ রঙের ব্লগ নাকি তাদের ১৪৪ দিন পরের ঈদ মোবারক উপলক্ষে চউদার কাছ থেকে ধর্মীয়ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণমাহাত্মসমৃদ্ধমাধুরীমিশ্রিত একখানি লেখা নিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

তাদের প্রস্তাব এর বিনিময়ে তারা চউদার হাত সোনা দিয়ে বাধিয়ে দেবে। চউদার পালটা প্রস্তাব, সোনাটুকু তাঁকে হিসাব করে দিয়ে দেয়া হোক এবং তিনি নিজেই হাত দিয়ে সোনা...............

চরম উদাস এর ছবি

কথা সত্য, মোজাম্মেল আমাকেও বলছে। শোনা নিয়ে দরাদরি চলতেছে আপাতত।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

গোয়েবলস আর ইরাকের তারিক আজিজের কথা মনে পরল।
আহা, গুজবের দুনিয়ার দুই দিকপাল ছিলেন এঁনারা।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

কে এম ফজলে আজীম বাবু  এর ছবি

ভাই .. কিভাবে পারেন আপনি .. হাসতে হাসতে দম বন্ধ হয়ে আসছে .. ইনহেলার নিতে হইছে । মানুষকে হাসানো অনেক কঠিন আর সেই কঠিন কাজটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে আপনি যেভাবে করেন .. আপনি পুরাই অদ্ভুত । আরো লিখবেন অনেক অনেক লিখবেন । আপনার জন্য শুভ কামনা চলুক

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

হাসান এর ছবি

গুডজব

চরম উদাস এর ছবি

চোখ টিপি

karim.akm50@gail.com এর ছবি

চ্রমুদাস বাই, চ্রম হইসে কইলাম।

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অকম্মা আবদুল এর ছবি

চ্রমুদাস বাই, চ্রম হইসে কইলাম।

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

jupiter_joyprakash এর ছবি

আহারে! একদা আমি নিজেকে নিয়ে কতই না গুজব রটাতাম। সামুতে সেসবের কিছু কিছু এখনও রয়ে গেছে। মন ভালো করতে মাঝে মাঝে পড়ে আসি।

আপনার লেখাতে মন্তব্য করতে এসে একটা ব্যাপার দেখলাম, নামের তলায় ইমেলের ঘরে কিছুতেই ইংরাজী লেখা গেল না। বার বার বাংলা আসছে। এইটার রেফারেন্স দিয়ে আপনি যদি পোস্ট দ্যান যে আজকাল বাংলায় ইমেল বানানো চালু হয়ে গেছে তাহলে সেটাও পপুলার গুজব হতে পারবে।

আপনার প্রশংসা করতে পারলাম না বলে দুঃখিত। কারণ আমার ব্যাপারে যেসব গুজব আছে তার একটাও যদি সত্যি প্রমাণ হয়ে যায় (অন্য কোনো গুজবের রেফারেন্সে) তবে আপনার সমস্যা আছে। তাই, লেখাটা যাচ্ছেতাই হয়েছে বলে গেলাম।

চরম উদাস এর ছবি

বরং গুজব ছড়ায়ে দেন আম্লিগ ইন্টারনেট থেকে আরবি বাদ দিয়ে দিছে ... ইন্টারনেট ভর্তি এখন খালি ইংরিজি আর ইংরিজি ... অনেকটা এই ব্যাটার মতো করে ...
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আযান বন্ধ হয়ে যাবে

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

তুমি কাশতে কাশতে মইরা গেলেও আমি দশ হাতের নিচে নামুম না।

চলুক

আপনি পারেনও দেঁতো হাসি

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সুবোধ অবোধ এর ছবি

যতই নিজেরে হাজী দাবি করেন আর আয়াত ঝারেন না কেন 'পাটিকা ' রা সব তার্কাণু দা'র !!!
চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনি লুক্টা খুব খ্রাপ, মাথার ভিত্রে খালি আজেবাজে আইডিয়া ঢুকায় দেন খাইছে

লেখা যথারীতি গুল্লি গুল্লি

সেই সময়ে ঢোল কলমি নিধনে আমার দুইহাত জাগ্রত ছিল কয়েক মাস, দেখামাত্র কোপাইছি, তখন অবশ্য কোপাকুপির যন্ত্রপাতি হাতের কাছেই থাকতো সবসময় শয়তানী হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি
সবাই দেখছি ঢোল কলমি কোপাইছে ছোটবেলায়। আমি আর লেখার সময় ভাবতেছিলাম, পাবলিক বোধহয় এই ঢোল কলমির ইতিহাস ভুলে গেছে।

মহামান্য শয়তান এর ছবি

লেখা টা আগেও কয়েকবার পড়ে গেছি এখন একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে কমেন্ট করতে আসছিলাম তো যাই হোক সে উদ্দেশ্য পূরন হয়ে গেছে কিন্তু নেট বিল পুড়িয়ে ঢুকেই যখন পড়েছি একটা কমেন্ট করেই যাই খাইছে

লেখা কিন্তু বরাবরের মতই চ্রম হইছে

চরম উদাস এর ছবি

উদ্দেশ্যটা ছিল কি শুনি?? চিন্তিত

তানিম এহসান এর ছবি

গুল্লি গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু তানিম ভাই

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

(ফিসফিস স্বরে) ভাই, কাউকে বইলেন না যেন- খালি আপনারেই বললাম- চরম উদাস লোকটা না- রম্য লেক্তেই পারে না !!

চরম উদাস এর ছবি

সত্যভাষণের পুরষ্কার হিসেবে আপনাকে একটি মা দিলাম

তারেক অণু এর ছবি

গুজব শুনলাম তেলের খনি পেয়েই গেছেন ! তা যা রটে, তার কিছুটা তো বটে , নাকি? এইবার এভারেস্টের স্পন্সর করেন, বুদ্ধমুরতির সাথে সাথে আপনার ডাবল ওরাংওটানের ছবি সহ ফুডু খিচুম

চরম উদাস এর ছবি

হ, গুপনে আবার কানাডা গিয়ে আরও কয়খান তেলখনি পাইছি। এভারেস্টে রউনা দেন, টেকাটুকা কোন বিষয় না।

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ছি আগেই, ভালো লাগা জানাতে আবার ঢুকলাম। সত্যি দারুন।

স্বয়ম

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভ্যঙ্কুভার তো আসতেছেন, আপনের পায়ের ধুলা নেওয়ার চান্স এইবার আর মিস নাই বস।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

ঝড়ের গতিতে এসে আবার চলে গেছি ... তার মধ্যে আবার নাই টেলিফুন নাইরে পিওন অবস্থা ।। এইবার তাই আপনাদের কারোর পদধূলি নিতে পারলাম না মন খারাপ

নিলয় নন্দী এর ছবি

আগেই পড়ে চলে গেছিলাম।
পরে মনে হলো, আপনার জন্য বরাদ্দ কাঁচকলাটা দিয়েই যাই।
চলুক

চরম উদাস এর ছবি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আহা, আমি কখনো বুয়েট ছাত্রের কাঁচকলা দেখি নাই খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

জব্বর লেখা। সময়ে চোখে পড়েনি। অসাধারণ লেগেছে ভাইয়া। অবশ্য আপনার সব লেখাই অসাধারণ।

-নিয়াজ

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্যাম এর ছবি

চউদার লেখা পরে পড়ার লস ১- এরকম লেখা সবার পরে পড়া মন খারাপ
চউদার লেখা পরে পড়ার লস ২- সবব্রকম মন্তব্য হয়ে যাওয়া মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

চোখ টিপি

ফায়ারফক্স এর ছবি

আপনে একটা অমানুষ
যাইহোক বইয়ের বুকিং দিয়া গেলাম আমি ৫টা বই নিব। কিছু কিছু লোক আছে মুরুব্বি ডাইরেক্ট কিছু কইতে পারিনা
আত্মীয় না মাগার বয়সের কারণে কিছু কইবার পারিনা তাগোর ৪ জনরে আপনের বই দিমু আর একটা আমার জন্য
বিশেষ কইরা ত্যানা প্যাঁচানো আর স্বর্গে যাওয়া পর্ব আন্ডার লাইন কইরা দিমু ............
আচ্ছা বইয়ের পিছে বিবিলোগ্রাফির মত কমেন্টগুলোও যোগ করা যায় না ??

তনুজা এর ছবি

মুগ্ধ হাসি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দুর্দান্ত একটা লেখা। খুব ভালো লাগলো পড়ে। একটা কথা জানার ইচ্ছা হচ্ছে। গুজবে বিশ্বাস করে এমন মানুষের সংখ্যা কি অঞ্চল ভিত্তিক বিভিন্ন হতে পারে? আমি বলতে চাচ্ছি আমেরিকা লোকজন এর তুলনায় এশিয়ান লোকজন গুজব এ বেশি বিশ্বাস করে। এরকম কোনো পরিসংখ্যান কি আছে কারো কাছে?অথবা ইউরোপ এর তুলনায় আফ্রিকার মানুষ গুজব বিশ্বাসী বেশি হতে পারে। এরকম কোনো তথ্য। গুজব কি মানুষের শিক্ষা আর সচেতনতার অভাব কে কাজে লাগানোর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়? প্রশ্ন গুলো মাথায় আসল লেখাটা পড়ে।

শিশির অশ্রু

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ হাততালি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।