মাকে…

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: শুক্র, ২২/১০/২০১০ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাগো, তোমার মনে আছে যেবার আমি দেশ ছেড়ে দেশান্তরী হ’লাম? ডিসেম্বরের তিরিশ তারিখ সন্ধ্যায় তোমার পা ছুঁয়ে বিদায় নিয়ে এয়ারপোর্টে এসে জানলাম কুয়াশার জন্য দিল্লি থেকে প্নেন আসেনি । বাড়তি চব্বিশ ঘন্টা পেয়ে গেলাম তোমার সঙ্গে থাকার জন্য । চব্বিশ ঘন্টা, আরো একটা রাত…তোমার পাটি বিছানো বিছানা,…তোমার আর আমার ঘরে (অন্য বাড়ীর বাসিন্দা হওয়ার আগ পর্যন্ত তোমার আর আমার একটাই ঘর ছিল) দু’টো জানালা…পশ্চিমের জানালা দিয়ে আমার লাগানো বড় কৃষ্ণচুড়া গাছে থোকা থোকা লাল ফুল, দক্ষিনের জানালা দিয়ে দোতলা বাড়ীঘেষা নিচু জমিটায় জমে থাকা পানিতে চান্নি পসর রাতের জ্যোছনা…আর তোমার নরোম কোমল গা…মায়েদের শরীর এত নরোম, কোমল হয় কেন, মা? মায়ায় ভরা থাকে বলে? মা হয়ে গেলেই কি মায়া এসে জুড়ে বসে সারা গায়ে? জন্মের আগে যে গর্ভে বেড়ে উঠে মানব শিশু সেখানকার কোন স্মৃতি কি রয়ে যায় নিওরনের কোথাও, তাই কারনে অকারনে মাকে ছুঁয়ে দেয় মানুষ? মাগো, তোমাকে না ছুঁয়ে শুলে তো আমার ঘুম হ’ত না…তাই যখন বাড়ী বদলে গেল আমার, তখন যে কত অসংখ্য রাত কেটেছে নির্ঘুম ।

“পড়ে পাওয়া” সেই রাতে তোমার পাশে শুয়ে মনে হয়েছিল যদি কোন অসম্ভবের দুয়ার খুলে যেত, আমাকে না যেতে হ’ত তোমাকে ছেড়ে…কিন্তু পৃথিবীর নিয়মে সেই চব্বিশ ঘন্টা শেষ হ’ল । আবার তোমার, আব্বার পা ছুঁয়ে এয়ারপোর্টে এলাম । তোমরা দু’জন দাঁড়িয়ে রইলে, আব্বা বাসার গেইটের সামনে, তুমি দোতলার বারান্দার গ্রীল ধরে,…নির্বাক…দু’চোখে কোন অভিযোগ নেই…শুধু সন্তানের মঙ্গল কামনা…কী যে অসহায় সেই মুহুর্তগুলো…বুকের মধ্যে অপরাধবোধের বোঝা নিয়ে পাড়ি দিলাম হাজার হাজার মাইল…

ইমিগ্রেশন শেষ করে প্নেনে ওঠার ঠিক আগে একটা ফোন, “মা, যাচ্ছি…”
ওপার থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে মায়াঝরা কন্ঠ, “আল্লাহর হাতে সোপর্দ…সহি সালামতে নাও, আল্লাহ । লন্ডন পৌঁছে আবার ফোন করিস ।”
“করব, মা । খোদা হাফেজ ।”
“খোদা হাফেজ ।”
লন্ডনে পৌঁছেই তোমাকে ফোন । ঢাকায় তখন গভীর রাত, কিন্তু একবার রিং হতেই ওপাশে তোমার ভেজা গলা, “হ্যালো” । হোটেল দিয়েছিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ । খুব চেষ্টা করছিলাম দেশের কথা মনে করব না, কিছুতেই মন খারাপ করব না । কিন্তু পারলাম না, মাগো । হঠাৎ করে আমার একূল ওকূল দু’কূল ছাপিয়ে বানের জলের মত ভেসে এল … তোমার মুখ…তোমার নাকের ওপরের কালো ছোট্ট জরুল,…নাকের দু’পাশে চশমার দাগ…অজু, গোসলের পরে তোমার ভেজা মুখ…তোমার কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের আবৃত্তি “একলা আমি বাহির হ’লেম তোমার অভিসারে,/সাথে সাথে কে চলে মোর নিরব অন্ধকারে…”আমি বিছানার ওপর উপুড় হয়ে কাঁদতে থাকলাম…কেন আমি আমার মাকে ছেড়ে এতদূর চলে এসেছি…চাইলেইতো আমি মার কাছে যেতে পারব না…সে যে অনেক দূর…

টরেন্টোতে যখন এসে নামলাম, তখন নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে । জানুয়ারীর এক তারিখ । যারা এয়ারপোর্টে নিতে এসেছিল, তাদেরকে প্রথম প্রশ্নই করেছিলাম, ঢাকায় কীভাবে কল করা যায় ? ফোনের ওধারে তোমার কন্ঠ, “পৌঁছেছিস ? শোকর আলহামদুলিল্লাহ ।” আমি তখন আর কোন কথাই বলিনি, মনে আছে পুরো আধা ঘন্টা ফোন ধরে রেখে আমি শুধু কাঁদছিলাম । তারপর দিন যেতে লাগল…একদিন, দু’দিন,…টরেন্টোতে বাসের ট্রান্সফারে বছরের কততম দিন তা লেখা থাকত…বছরের বয়স যতদিন আমার নির্বাসন ততদিনের…একদিন বাসের ট্রান্সফার হাতে নিয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেললাম, একমাস হয়ে গেছে আমি মাকে দেখিনা…কেমন করে বেঁচে আছি আমি?...যেই মাকে দেখার জন্য ছুতা নাতা করে ছূটে ছূটে গেছি, সেই মাকে দেখি না এক মাস?...এক মাস আমি ভাত খেয়ে মার আঁচলে মুখ মুছি না?...এক মাস মার পাশে শুয়ে কোন বই পড়ি না?... এক সঙ্গে আব্দুল আলীমের কন্ঠে “আর কতকাল ভাসব আমি দুঃখের সারি গাইয়া” শুনি না?…

তারপর জীবনের নিয়মে দিন গেছে, মাস গেছে, বছর গেছে,…আমি দেশে গেছি…আবার ফিরে এসেছি । যতবার দেশে গেছি, দেখা হলে তোমার প্রথম প্রশ্নই ছিল, “ছুটি কতদিনের?”
বলতাম, “মাত্র এসেছি, এক্ষুনি যাওয়ার কথা কেন?”
তোমার জবাব ছিল, “গোনার দিন দেখতে দেখতে ফুরিয়ে যায়, তাই জানতে চাওয়া । অপেক্ষার দিনগুলো শুধু ফুরায় না…”
ছুটির ক’টা দিন যে পক্ষীরাজের ঘোড়ায় চড়ে ফুরিয়ে যাবে সে আমিও জানতাম, তবু তা মনে করতে চাইতাম না । যত সেই দিন কাছে এগিয়ে আসত, তত তাকে দু’হাতে ঠেলে সরাতে চাইতাম । আর তুমি? যতদিন শরীরে শক্তি ছিল, রান্নাঘরে সব প্রিয় পদ তৈরী করতে বসে যেতে । যখন আর পারনি, বিছানায় বসে থেকেই বলে বলে রান্না করাতে । ফেরার সময় ঘনিয়ে এলে এটা সেটা কত কিছু বের হ’ত ভাড়ার থেকে । কোন একটা জিনিষ আনতে না চাইলেই অভিমানে মুখ ভার ।

এগার বছরের দেশান্তরী জীবনে যত বার দেশ থেকে ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছে ভেতরে একটা কলজে ছেড়া কষ্ট দখল করে নিয়েছে…নিজের সঙ্গে একটা প্রানপন যুদ্ধ করতে হয়েছে…প্রতিবার ফেরার সময় তোমার একটাই কথা, “আর কি দেখা হবে?”…আব্বা শুনে বলতেন, “আর দেখা হবে না ধরে নিয়েই বিদায় দাও…” কী যে ভয়ংকর অপরাধী মনে হ’ত নিজেকে…তারপরতো আব্বাও তোমাকে রেখে চলে গেল…তুমি একদম একা হয়ে গেলে…একেবারে একটা ছোট্ট শিশু হয়ে গেলে…তোমার চোখ দু’টো কেমন নজরুলের শেষ বয়সের চোখের মত, যেন একফোটা টলটলে শিশির, এক্ষুনি গড়িয়ে পড়বে পাতা থেকে টুপ করে…যে তুমি ছোটবেলার কবিতা নির্ভুল বলে যেতে “পার হয়ে কত নদী কত যে সাগর/ এই পারে এলি তুই শিশু যাদুকর”, সেই তুমি সব ভূলে যাও…ছোট’পার কাছে শোনা যেত তুমি একদম খেতে চাও না…ঔষধ লুকিয়ে ফেলে দাও…অকারনেই অভিমান কর…মানুষ চিনতে পার না সব সময়…কখনো কখনো ফিরে যাও তোমার শৈশবের দিনগুলোতে…

শেষবার যখন বিদায় নিলাম, তোমাকে বিছানায় বসিয়ে রেখে এলাম, “মা, যাচ্ছি ।” তোমার হাত আমার হাতে ধরা । তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে থেকে দূর্বল শরীরে একরত্তি শক্তি নেই, অথচ হাতের সবটুকু শক্তি দিয়ে যেন বলতে চা’চ্ছ, “যেতেই হবে?” তোমার দু’চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, “এইতো মাত্র ক’টা মাস । এখন জুলাই যাচ্ছে, ইনশাল্লাহ ডিসেম্বরে নির্ঝরকে নিয়ে আসব ।” খুব আশা নিয়ে শুধু তাকালে একবার, সেই টলটলে শিশিরের মত চোখ…সেই প্রথম বারান্দায় এলে না…গাড়ী থেকে পেছন ফিরে আমি তোমাকে দেখতে পেলাম না…

কথা দিয়েছিলাম ডিসেম্বরে যাব । তার আগেই দেশে গেলাম …তোমার বিছানা…চেয়ারের ওপর জায়নামাজ…বালিশের নীচে তোমার তসবীহ…কোরান শরীফের মাঝখানে পড়ার চিহ্ন…শেলফ ভর্তি তোমার বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে আমার লেখা ই-মেইলের কপি…কোত্থাও তুমি নেই…। মিরপুর কবরস্থানে গেলাম…আব্বার কবরের গায়ে তোমাদের দু’জনের নাম লেখা…সবুজ ঘাসের জমিন…কী সর্বগ্রাসী নিরবতা, মাগো, আমার কষ্ট হয়…কেউ জানতে চাইল না, ছুটি কতদিনের?...

আজ আবার একুশে অক্টোবর । ক্যালেন্ডারের হিসেবে এক বছর…সোহেল গতকাল ফোন করে সেই ছেলেবেলার মত কাঁদছিল, “মার জন্য কিচ্ছু করা হয়নি…” সোহেলটা বরাবরই তোমার বোকা ছেলে, মার জন্য কি কিছু করা হয়? কবে কোন সন্তান মার জন্য কিছু করতে পেরেছে? না, কোন মা তার পরোয়া করেছে? মাতো শুধু সন্তানের হাসি মুখটি দেখতে চায় । প্রকৃতির এ এক অদ্ভুত রহস্য । সন্তান মনে রাখে গর্ভের স্মৃতি, মা মনে রাখে সন্তানের শৈশবের অপার্থিব হাসি…সেই কবে শৈশবে তোমাকে কোন আধোবোলের কথায় মুগ্ধ করেছি, তাতেই তুমি সারাজীবন শুধু “মা” হয়ে রইলে…যে কোন পরীক্ষার সময় দীর্ঘ মোনাজাত কর…অসুস্থ হলে গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়ে আরোগ্য করে দাও…পথের বিরতিতে যখন যেখান থেকে যে সময়েই ফোন করি, প্রথম রিংয়েই তুমি কথা বল…অর্ধেক পৃথিবী দূরে থেকেও ঠিক টের পাও কখন কেমন আছি…অসময়ে ফোনে গলা শুনেই ঠিক বুঝে যাও কষ্টে আছি…এই পৃথিবীর যেখানে যত আঘাত পাই খুব সহজে তার ভার নিয়ে নাও…রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, ঝঞ্ঝায় নিরাপদ আশ্রয় হয়ে যাও…

মাগো, দাঁড়িয়ে আছি অফিসের চারতলায় এলিভেটরের সামনে । পড়ন্ত বিকেলের এই সময়টা একটু নিশ্চুপ…সামনের বড় কাঁচের জানালার ওপারে আকাশের গায়ে কালো মেঘের দল উড়ে যাচ্ছে, মেঘের ফাঁক দিয়ে শেষ বিকেলের সুর্য্যালোকের রশ্মি মেঘের গায়ে রেখার মত ছড়িয়ে পড়ছে…ঝরে পড়া পাতার স্তুপের ওপর গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে…বাতাসে মাঝে মাঝে ঝরা পাতারা উড়ে যাচ্ছে পার্কিংলটের এপার থেকে ওপারে…যে গাছগুলোতে এখনো কিছু পাতা আছে তারাও এই অক্টোবরের হিমেল বাতাসে কেঁপে কেঁপে উঠছে…রাস্তায় বাস, গাড়িতে ঘরে ফেরা মানুষের তাড়া…এই পৃথিবীর কোথাও কিছু বদলায় নি…শুধু আমার পৃথিবীটা বদলে গেছে…কোথাও আর তোমার দেখা পাওয়া যাবে না…কত অজস্রবার মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ফোন তুলে নেই হাতে…তারপর নামিয়ে রাখি…যেখানে গেছ সেখানে কোন যোগাযোগ করা যাবে না…না ফোন, না ই-মেইল, না চিঠি, কিচ্ছু না…এই পৃথিবীর কোথাও আর আমার সেই কুয়োটা নেই যেখানে সব কষ্ট রাখা যায়, কখনো ফিরে আসে না…

এই পৃথিবী আগের মতই আছে, শুধু বদলে গেছে আমার পৃথিবী । এই এক বছর ধরে কোথাও কোন সবুজ দেখিনি আমি…পথ হাঁটছি শুধু ধূ-ধূ মরুভূমির ওপর…কোথাও কোন ছায়া নেই…

২১ শে অক্টোবর, ২০১০
অটোয়া


মন্তব্য

মাসুম এর ছবি

ভাই ঝাপসা চোখে কিছু লিখা যাচ্ছে নাহ , আর আপনাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা ও আমার জানা নাই। ভালো থাকবেন।

Alimul Razi এর ছবি

chokh amar o jhapsa hoye gese. ma jiboner somosto bhul truti khoma koro. tor allar duhai lage. ma tor 2 ta pa dhore maf chai tore anek kasta diesi.

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে [অতিথি] এর ছবি

চোখ ভিজিয়ে দিলেন..
অনাবীল ভালবাসায় ভরা অসাধারন সুন্দর একটা লেখা ।

আপনার জন্য ভালবাসা এবং আপনার মা এর জন্য দোয়া রইল ।

ভাল থাকুন, অনেক ভাল ।সবসময় ।

দূরের কেউ এর ছবি

অনেক দিন পর কোনও লেখা পড়ে কাদলাম, হ্যা চোখের পানি আটকে রাখা মাঝে মাঝে এত কঠিন কেন?

রানা মেহের এর ছবি

এটা কী লিখলেন জোহরা?
কেন লিখলেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

বরফ এর ছবি

অফিসের ভেতর চোখে পানি আনার জন্য আপনাকে মাইনাস। ইচ্ছে করছে এখনই ছুটে চলে যাই। ধ্যাত।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনার বর্ননায় যেন নিজের ভবিষ্যত দেখলাম, চাইনা এমন ভবিষ্যত কিন্তু জানি এড়াতে পারব একটা অক্ষরও, প্রাবাসী জীবনের এই এক জ্বালা, মাঝে মাঝে মন খুব খারাপ হয়, তারপর আবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠি, মাঝে মাঝে সেই শক্তিই খুজে পাইনা যখন আপনার মত এমন করে কেউ লিখেন ইয়ে, মানে...

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তারানা_শব্দ এর ছবি

কোন মন্তব্য নেই...

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

আম্মা প্রায়ই বলেন যে এতো পয়সা খরচ করে রোজ রোজ ফোন করা কেনো? অথচ আমি জানি (তাদের সময়) রাত ৯টা বাজার সাথে সাথে তার অপেক্ষা শুরু হয়ে যায়, কখন ফোন আসবে। আম্মা আর রাফিনের মাঝে ঝগড়া শুরু হয় কে আগে কথা বলবে তাই নিয়ে। আর স্ত্রী সেই ঝগড়ায় রেফারির ভুমিকায় অবতীর্ন হয়।

আপনার লেখাটা পড়ে মনে একটা ভয় ঢুকে গেলো। যদিও আমি প্রতি ২ মাস পরপর বাড়ি যাই, প্রতিদিন কথা বলি, তা ও মনে হয় আম্মাকে যেন কতযুগ ধরে দেখিনা। আমি জানি আম্মাও আমাকে একইভাবে মিস করেন।

আপনার অনুভূতিকে অনেক শ্রদ্ধা।

রাতঃস্মরণীয়

রেশনুভা এর ছবি
তাসনীম এর ছবি

কী অসাধারণ স্মৃতিচারণ করেছেন...বলার আর কিছুই নেই।

গত কয়েকদিন আগে স্মৃতির শহরের একটা পর্ব লিখেছিলাম আমার মাকে নিয়ে। সেটা আজ দিয়েছি...তারপর হঠাৎই চোখে পড়ল আপনার এই অসাধারণ লেখাটা।

মার জন্য কি কিছু করা হয়? কবে কোন সন্তান মার জন্য কিছু করতে পেরেছে? না, কোন মা তার পরোয়া করেছে?

খুবই সত্য...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

চোখ ভেজানো একটা লেখা....
আর কিছু বলার নেই।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বইখাতা এর ছবি

অসম্ভব ভাল লেগেছে। এরপর আর কিচ্ছু বলার নাই। মাকে ভালবাসি সবচেয়ে বেশি।

সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] এর ছবি

মায়ের জন্য কখনো কিছুই করা হয় না। মাই কেবল আজীবন করে করে যান।
এমন লেখা পড়ে চোখের জল কী আর আটকানো যায়!

বালক এর ছবি

....................

********************************************************************************
"কেউ বেশি খায় কারো খিদে পায় না, কেউ সস্তার কিছুই খেতে চায় না... আমি চিনি এমন অনেক যারা সারাদিনে কিছুই খেতে পায় না!"

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

সাইফ শহীদ এর ছবি

জোহরা,

শনিবারের সকালে উঠে তোমার এই লেখাটা পড়ে অভিভূত হয়ে গেছি (তুমি বলাতে আশা করি বেশী কিছু মনে করবে না)।

চাইনি - তবু দেখলাম লেখাটা পড়া শেষ করার আগেই টপ টপ করে চোখ থেকে পানি পড়ছে।

খুঁজে খুঁজে মাকে নিয়ে লেখা তোমার আগের লেখা গুলি পড়লাম। তোমার মায়ের জীবন সার্থক - তোমাদের মত সন্তানদের জন্ম দেবার জন্যে।

শুভেচ্ছা রইল।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

মাসুম  এর ছবি

এইসব কেন লেখেন? এভাবে কেন লেখেন? পরিবেশের হিউমিডিটি বেড়ে যায়।নিজেকে অনেক শক্ত মানুষ ভাবতাম।একমাস হল দেশ ছেড়েছি।দেশ ছাড়ার পর প্রথম উপলব্ধি। আমি শক্ত মনের মানুষ নই।চোখের পানি গড়িয়ে পড়াটা ঠেকাতে পারি।কিন্তু চোখের পাপড়িগুলা কথা শুনেনা।অকারনেই ভিজে যায়।

মাহবুব এর ছবি

অসাধারন লেখা। পড়ে কষ্ট লাগলো। লেখা পরে বাপ্যারটা আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করলাম।

বাউলিয়ানা এর ছবি

মায়েদের থেকে দূরে গেলেই তাঁদের অভাবটা ভাল ভাবে বোঝা যায়। এমন কষ্ট নিংড়ানো একটা লেখার জন্য আপনার নিশ্চয়ই হাত কেঁপেছে, বুকে দ্রিম দ্রিম শব্দ হয়েছে। জেনে রাখুন পড়বার সময় আমাদের চোখও ভিজে উঠেছে।

আপনার মা যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন।

বিলাশ [অতিথি] এর ছবি

কেউ কোনো সিনেমা/নাটক দেখে কিংবা লেখা পড়ে/গান শুনে মন খারাপ করলে বা কান্নাকাটি করলে আমার ন্যাকামো লাগে, কিন্তু আপনার এই লেখাটা পড়ে চোখের পানি সত্যিই আটকাতে পারলামনা।

আমার মায়ের চেয়ে প্রিয় কিছু এই পৃথিবীতে নাই আমার কাছে।

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

মা। আসলেই মায়ের জন্য কিছু কি করতে পারলাম এই জীবনে?

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

প্রিয় মাসুম, বিষন্ন বাউন্ডুলে, দূরের কেউ, রানা মেহের, বরফ, সাইফ তাহসিন, তারানা-শব্দ, রাতঃস্মরনীয়, রেশনুভা, তাসনীম, তিথীডোর, বইখাতা, সুমিমা ইয়াসমিন, বালক, সাইফ শহীদ, মাসুম, মাহবুব, বাউলিয়ানা, বিলাশ,

আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরী করে মন্তব্যের জবাব লেখার জন্য । মা চলে যাওয়ার পরে এমন কোন দিন নেই যে তাঁকে মনে পড়েনি, সবচেয়ে আনন্দের মুহুর্তেও তাঁকে মনে পড়ে, সবচেয়ে কষ্টের মধ্যেও তাঁকেই মনে পড়ে । তারপরেও অক্টোবর মাসটা আসার পর থেকে আমার সবকিছু এত আচ্ছন্য হয়ে আছে…কিছুই ঠিক মত করতে পারছি না ।

আমার মা চলে যাওয়ার পরের ভীষন বেদনার সময়টাতেও আমি তাঁকে নিয়ে লিখেছিলাম । তখন এবং এখন । মাকে নিয়ে লেখার পুরো অভিজ্ঞতা অসম্ভব বেদনাদায়ক…কিন্তু গৌরবেরও…এই যে লেখার শক্তি, অনুপ্রেরনা সেও আমার মায়েরই শিক্ষা ।

আপনাদের সবাইকে এক সঙ্গে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । মা হারানো এক ভীষন কষ্ট । দেশ থেকে দূরে যারাই থাকেন সব সময় এই এক ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন…কখন যেন সেই দূঃসময় এসে কড়া নাড়ে…আর প্রবাসে মা/বাবা হারানোর স্মৃতির বেদনায় একাকী কাঁদা বড় ভয়ানক । আপনারা আমার সেই ভার অনেক কমিয়ে দিয়েছেন ।

যাঁরাই প্রবাসে আছেন, সবার জন্য এই প্রার্থনা করি যেন, সেই দূঃসময়ে অন্ততঃ তাঁদের পাশে থাকার সৌভাগ্য হয় । আপনাদের যাঁদের বাবা/মা বেঁচে আছেন, তাঁদের সকলের বাবা/মাকে আমার সালাম। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার মায়ের মত হই । আমার মায়ের নাম ছিল “নুরজাহান”, আসলেই মা আমার আলোকের ঝর্ণাধারা ছিল ।

তাসনীম, আপনার মাকে নিয়ে স্মৃতির শহরটি অবশ্যই পড়ব । ভাল থাকবেন ।

সাইফ ভাই, আপনি আমাকে ছোট বোনের মত তুমি করে বলেছেন, আমি তাতে খুবই খুশী হয়েছি । আমি আপনার অলখ আমেরিকার কয়েকটি পর্ব পড়েছিঃ “যেন ভাল মা হতে পারি” পড়ে আমিও চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি । আর পিজ্জা ড্রাইভারের পর্বটা আমার কিছু বন্ধুদেরকে পড়তে দিয়েছিলাম । দোয়া করবেন । শুভেচ্ছা ।

……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

নোবেল [অতিথি] এর ছবি

কান্না চেপে রাখতে গিয়ে গলার কাছে কি জেন দলা দলা মত আটকে যাচ্ছিল--ওটা কান্না না...কী বলব বুঝতে পারছি না

পথহীন পথিক [অতিথি] এর ছবি

প্রায় ৮ বছর হতে চলল আমি বাড়ি থেকে, মা থেকে দূরে। এখনো বছরে ৫ থেকে ৬ বার বাড়িতে যাই।তারপরও ফিরে আসার সময় মায়ের দিকে তাকালে দেখি কেমন যেন একটা চাওয়া, বাবা আবার তাড়াতাড়ি বাড়ি আসিস। ফিরতি পথে বাসে কারও সাথে কথা বলতে ভাল লাগে না, একটা টান যেন আমাকে উলটা দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই।কিন্তু চাইলেই কি আর হয়। ফিরতে হয়, আবারো ক্লাস, পরীক্ষা, পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত হতে হয় আর মাঝে মাঝে মায়ের সাথে ফোনে কথা বলা হয়। মায়ের সেই একই কথা কবে আসবি আবার, ছুটি পড়লেই চলে আসিস, ভালভাবে খাওয়া দাওয়া করিস। আর কিছু দিন পর হয়তো দেশেই থাকব না। তখন কি করব?

এই লেখাটা তো আমাকে আমার ভবিষ্যৎ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

রাফি এর ছবি

অনলাইনে পড়া সেরা লেখাগুলোর একটি।। এসব কেন লিখেন??

ভালো থাকুন।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

মর্ম এর ছবি

খুব ভাবতে ইচ্ছে করছে স্রষ্টা আপনার মায়ের কাছে আপনার কথাগুলো পৌঁছে দিয়েছেন আর তিনি আঁচলে চোখ মুছে ভাবছেন-"পাগলী মেয়ে আমার!"

আবার পড়ার কথা চিন্তা করছিলাম, আপাততঃ সাহস পাচ্ছিনা।

আপনি ভালো থাকুন, আপনার মা যেখানেই আছেন ভালো থাকুন,
পৃথিবীর সকল মা ভালো থাকুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

সৈকত  [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ ...কি বলবো? কি লিখবো , যাতে বুঝাতে পারি কি অসাধারণ একটা লেখা লিখেসেন ? আমি ভাগ্যবান আমার মা , বাবা এখনো আছেন , মা এর মুখ দেখে সারাদিন কেটে যায় , কিন্তু আপনার লেখা পড়ে , চোখ ভিজে গেল , আপনার অসহনীয় কষ্টের কিছুটা অনুভব করে ...ভালো থাকবেন , আপনার অনুমতি ছাড়াই ফেসবুক এ লেখাটা দিলাম |

স্বপ্নাহত এর ছবি

এরকম লেখা পড়লে নিজেকে ভীষণ অপরাধী মনে হয়।
খুব ছোটবেলায় যখন ঘর ছেড়েছিলাম তখন আমার একপাশে কোলবালিশ আর এক পাশে আম্মা না থাকলে রাতে ঘুম হতোনা। তারপর দেখতে দেখতে অনেকদিন কেটে গেছে। কোলবালিশ কিংবা আম্মা - কোনটাই এখন আর রাতের ঘুমের সময় পাশে থাকেনা।
আর এখন মাঝে মাঝে আম্মাকে ফোন দিতে ভুলে যাই। ওপাশ থেকে আম্মা অভিমান করে। তখন নিজেকে অপরাধী মনে হয়। তারপর আবার ভুলে যাই।

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পুরোটা পড়তে পারলাম না, চোখ ঝাপসা হয়ে এল। বলার কিছুই নাই। শুধু কষ্ট।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

এরকম লেখাগুলো পড়ার পরে আসলে আর কিছুই বলার থাকে না! মন খারাপ

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রইলো আপু। দিন শেষে আমাদের এটুকুই যা সম্বল!

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মাহমুদ ফয়সাল [অতিথি] এর ছবি

লেখাটা পড়ে চোখে পানি ধরে আসছিলো।

এই 'মা' আমাদের সবার জীবনের একটা অদ্ভূত ভালোবাসার জিনিস, এক অসম্ভব অকল্পনীয় ভালোবাসার প্রকাশ--- তাই বোধকরি কিছু সত্য অনুভূতি, হৃদয় নিঃসৃত এই ভালোবাসার কথাগুলো, কিছু না করতে পারার কষ্টগুলো বয়স--স্থান--পাত্র নির্বিশেষে সবাইকে অশ্রুসিক্ত করেছে।

আল্লাহ আমাদের মা'দেরকে অনেক অনেক অনেক শান্তি দান করুন অনন্ত জগতে। আমরা শুধু প্রার্থনা ছাড়া আর কীইবা করতে পারি!

ব্লগার জোহরা ফেরদৌসীকে শুধু এতটুকু জানাতে কমেন্টটা করতে এলাম-- আপনার এই অনুভূতির প্রকাশটা অনেক অনেক জনের মাঝে 'মায়ের প্রতি ভালোবাসা' জিনিসটা ঝাঁকি দিয়ে আরেকবার অনুভব করিয়েছে। ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, যার সারসংক্ষেপ আমার এই মন্তব্যের মাঝেই আছে।

শুভকামনা আপনার মায়ের জন্য, পৃথিবীর সকল মায়েদের জন্য। তাদের জন্য আমরা কখনই কিছু করতে পারিনা!

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশী বেশী বেশী ভালো, কি আর বলব?
এরকম অনুভব হয়ত করা যায়, কিন্তু লেখায় ফটিয়ে তোলা আসলেও কঠিন।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ধুর মিয়া!
দিলেন তো মনটা খারাপ করে...
এইরকম করে লিইখেন না রে ভাই...

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

Shawon [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ হইছে ! মা এর জন্য মনটা খারাপ করে দিলেন! মা'র কাছ থেকে দুরে আছিই বলেই হয়ত মনটা এত খারাপ লাগছে.

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অনেক সময় নিয়ে, শক্তি সঞ্চয় করে নানিকে নিয়ে এই লেখাটা পড়লাম। মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। কত স্মৃতি আমাকেই আচ্ছন্ন করে রাখে! কী বলবো আর, বলো? ভাষা খুঁজে পাই না...

রিফাত [অতিথি] এর ছবি

সেই ২০০৫ সালে আব্বু ফোন করে বলতেছে কি খবর। একটু বাড়ি আসতে পারবি।অনেকদিন হয়ে গেলো বাড়ি আসিস নাই।আমি কিছুই বুঝি নাই। বাড়ি গিয়ে দেখলাম মা খুব অসুস্থ ।ঠিক ১ মাসের মধ্যে মা সুস্থ হয়ে গেলো but বাবা মারা গেলো। কিন্তু এখন বুঝি ওই সময় মা মারা গেলে আসলে পৃথিবী টা অন্য রকম হয়ে যেত কারন মা কখনও বাবার কষ্ট বুঝতে দেয় নি।

অসাধারণ লিখেছেন আপু।কাদিয়ে ছাড়লেন...

স্বাধীন এর ছবি

নিজেকে অনেক শক্ত মনের মানুষ বলেই জানতাম। প্রথমে ক্যাডেট কলেজের জীবন, তারপর বুয়েটের হলের জীবন। কখনো বাবা-মাকে সেভাবে অনুভব করিনি। কিন্তু বিদেশে আসার পর যে অনুভূতিটি জীবনে প্রথমবারের মত অনুভব করলাম সেটির তুলনা কেবল হিমশীতল মৃত্যুর সাথেই হতে পারে। এই অনুভূতিটি হয় যখন হঠাৎ করে মনে হয় যে ইচ্ছে করলেই আমি আর তাঁদেরকে ছুঁতে পারবো না। এই ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটে ভিডিও আলাপ করা হলেও তাঁদেরকে ছুঁয়ে দেখার যে ব্যাকুলতা সেটা দূর হয় না। আর কষ্ট লাগে যখন মনে হয় দূরত্বটা এত বেশি যে চাইলেই যাওয়া যায় না। আগে ঢাকায় থাকার সময় অন্তত এটা জানতাম যে ছয় ঘন্টার ব্যবধানেই চাইলে চলে যেতে পারছি যে কোন সময়।

আপনার লেখাটি পড়ে মনটা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেল। এই লেখাগুলো বিদেশে বসবাসরত সবাইকে বেশি কষ্টই দেয়, ভালো লাগার বদলে। তারপরেও লেখাটি অসাধারণ স্বীকার করি।

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

ক'দিন আগেই দেশ থেকে ঘুরে আসলাম। কিন্তু এখনই আবার যেতে ইচ্ছে করছে খুব। আধ-পৃথিবী দূরত্ব পেরিয়ে আবার কবে যে মাকে দেখতে যাব জানিনা। জীবনের প্রয়োজনের কাছে বাধা পড়ে আছি। খুব কষ্ট লাগে।

ভাল থাকবেন আপনি।

Sumon Dhrubo (সুমন ধ্রুব)  এর ছবি

আপু, কস্টটা বাড়িয়ে দিলেন.....................।।

সুমন ধ্রুব

কেলৌনা,

nijhum এর ছবি

onek kosto pelam lekhata pore...office thekeo kanna thekate parlamna...3/4 bar theme theme lekhata pora sesh korlam...proti mash e akbar abbu,ammur kase jai,tatei ferar somoy kante hoy...baire gie kivabe thakbo apnar lekha pore asholei akhon seriously vabte hobe...thanx apu atto valo akta lekhar joone...Allah inshallah apnar ma ke valo rakhben...

অতিথি লেখক এর ছবি

গত দুই দিন ধরে লেখাটা বের করে এলোমেলো দুই একটা লাইন, কমেন্ট পড়ে চলে যাই। সাহস করে পুরোটা পড়তে পারি না। মা নিয়ে কারো কোন লেখা আমি পড়তে চাই না! কিন্তু না পড়েও থাকতে পারলাম না!

কমল

Saima Manjura এর ছবি

ki bolbo r?? za bolte chacchilam seta sobai bole diyeche.....lekha pore chokher pani goriye porchilo....tarpor nicher sobar comment gulo porlam. dekhlam sobar aki obostha......aita theke akta kotha poriskar...amra sobai Ma k khub valobashi abong akhono onno manush er koshto amader k kadai..........

বিটকেল এর ছবি

কালকে দুটো পরীক্ষা, আর এখন রাত ২টার সময় আপনার লেখা পড়ে চুপচাপ বসে আছি। সবকিছু অর্থহীন মনে হয় এরকম লেখা পড়লে। একবছরের প্রবাস জীবনে ইতিমধ্যে বাবা, দাদা আর নানাকে হারিয়েছি। জানিনা আর কত হারাতে হবে। আপনি আজ ব্যস্ততার নীচে চাপা দেয়া সব কষ্টগুলোকে বেরিয়ে আসার পথ করে দিলেন।
মা'রা এমনই। পড়তে পড়তে মনে হলো আপনি যেনো সব সন্তানের হয়েই তাঁদের মায়েদের কথা বলে দিলেন। এমন সুন্দর করে সবাই বলতে পারেনা, যদিও সবার ভিতরেই মায়ের জন্য এমনই অনুভূতি। আপনাকে ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

সাইদুর এর ছবি

আমি এই মুহূর্তে পাকিস্তানের মত একটা কঠিন জায়গায় ত্রানের কাজ করছি, জানি না কবে দেশে ফিরবো আমার মাকে দেখবো। লেখাটা পড়ে চোখের পানি কোনভাবেই ধরে রাখতে পারলাম না। কেন এমন একটা লেখা লিখলেন? আর আপনাকে স্বান্তনা দেওয়ার ভাষাও আমার জানা নেই............

কাঠপুতুল এর ছবি

মাকে কতটা ভালোবাসি তা বুঝতে পারি যখন আমার জন্য মার ছোট হবার আশংকা থাকে। নিজের কথা ভাবতে পারি না, শুধু মনে হয়, আমার জন্য মা ছোট হবে? ছোট হবে? কৈশোরে এই ভাবনার ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকি সবসময়।
শুভেচ্ছা নেবেন জোহরা আপা। মা শব্দের কোন ব্যাখ্যা হয় না।

লুপু এর ছবি

মনে হচ্ছে,লিখা দিয়ে টাইম মেশিন এ চড়িয়ে নিয়ে আসলেন ভবিষ্যত থেকে......এরকম লিখা খুব খারাপ।মানুষের সব মানসিক শক্তি আর চিন্তা চেতনা লোপ পায়...।

অপছন্দনীয় [অতিথি] এর ছবি

আপনার এই লেখাটা আমি মনে হয় মোট চার দিনে চার বার পড়লাম, চারবার মন্তব্য লিখে পোস্ট না করে চলে গিয়েছি। আমি দুঃখিত এই লেখায় মন্তব্য করার মত ক্ষমতা আমার নেই।

ভালো থাকবেন।

Ahsan এর ছবি

Amar chok vige gelo. Ami ekhon PhD korchi. Sobai bole USA te theke jete PhD korar por. But ami jani ami jodi Mar khache fire jai tahole hoyto USA er life pabo na but Ma ke to pabo. MA r jonno na hoy kichu kom pelam. Amar ei chaya jeno atul thake ei amar chaoya Allah r kacche.

ৃুবাবু এর ছবি

আমার মা এখনো বেচে আছেন। আলতস হাইমার এ ভুগছেন। পুরনো সব কিছু মনে করে বিড়বিড় করেন। হাসেন। আমরা ও হাসি। কাদেন। আমরাও কান্না রাখতে পারিনা।

সমস্যাটা হলো উনি recent কোন ঘটনায় react করেন না। এখন অনেক সুখ কিনে দিবার কথা ছিল। সামর্থ ও হয়েছে। কিন্তু মাকে সুখী করতে পারছিনা। এ জ্বালা অন্যরকম।

জাহাঙ্গীর [অতিথি] এর ছবি

এজন্যই আমি বিদেশে যেতে চাই না। এজন্য অবশ্য আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়। আমি নাকি নিজের ভালো বুঝিনা...। দরকার নেই আমার নিজের ভালো বোঝার, আমি আপনার মতো এতো কষ্ট সহ্য করতে পারব না। আপনার প্রতি সালাম আর আপনার আব্বা আম্মার প্রতি অনেক অনেক দোয়া।

তাসমীয়া এর ছবি

প্রথমেই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য। পড়তে চোখ ঝাপসা হয়ে উঠল, তারপর দেখলাম চোখের সেই নোনা পানি টপটপ কোরে গাল বেয়ে পরছে, একটু থেমে আবার পরেছি। সেই ছোটবেলায় মা হারিয়েছি, তাই মা হারানোর কষ্ট আমি বুঝি। যখনই মাকে নিয়ে কোন লেখা চোখে পরে সাথেসাথেই পড়ে ফেলি। তাই আপনার অসাধারণ লেখাটিও আমার পড়তে ভুল হয়নি। আর প্রতিটি লাইনে লাইনে মনে হয়েছে আপনি আমার মনের কথাগুলো বলছেন....
আপনি আরো বলেছেন যে...
দেশ থেকে দূরে যারাই থাকেন সব সময় এই এক ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন… কখন যেন সেই দূঃসময় এসে কড়া নাড়ে...
সত্যি সত্যি সেই দূঃসময় এসে আমার দরজায় কড়া নাড়ে গত তিন মাস আগে বাবা চলে যাওয়ার দূঃসংবাদ দিয়ে.... কত স্মৃতি আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে এখন! সকল বাবা,মায়েদের জন্য আমার শ্রদ্ধা রইল...

আর প্রবাসে মা/বাবা হারানোর স্মৃতির বেদনায় একাকী কাঁদা বড় ভয়ানক।
আপনার সাথে একমত

আসিফ [অতিথি] এর ছবি

অসাধারন, আপনার মায়ের জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করি। আল্লাহ ওনাকে বেহেস্থ নাসিব করুন। তবে নিজের মায়ের কথা খুব মনে পরে গেল। আমরা ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে মায়ের সব কষ্ট ভুলে যাই, নিজের সুখই সব থেকে বড় হয়ে যায়।।।।।আফসোস।।।।।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

প্রিয় পাঠক,

আপনাদের প্রত্যেককে আমার নাম ধরে ডাকতে ইচ্ছে করছে…আপনাদের প্রত্যেকের হাত ধরে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে…

সচলায়তনে আমি একদমই নিয়মিত না । হতে পারি না, জীবন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় । আজকে দু’দিন পড়ে একটু সময় পেয়ে সচলের নীড়পাতায় এসে আপনাদের মন্তব্যগুলো পড়ে আপ্লুত হলাম ।

এই লেখাটা যখন লিখছিলাম, একবারও ভাবিনি, মনের মধ্যে কোন ছক কাটিনি । আমি শুধু আমার মায়ের কাছে একটা চিঠি লিখেছিলাম । এই জীবনে মাকে অনেক চিঠি লিখেছি । এক সময়ে হাতে লিখতাম, হাতের লেখাও মার কাছেই শেখা (কোন জিনিষটা না? যা কিছু শিখেছি সবইতো তাঁর কাছেই শেখা ।) …তারপর ই-মেইলে লিখতাম । গত এক বছরে মার সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই…এ এক অসম্ভব কষ্ট । আমার বোন মাঝে মাঝেই বলে, “ভীষন অন্যায় । কোনভাবেই আর কথা বলতে পারি না…” বলতে বলতেই ওর গলা বুজে আসে । আমি জানি ওর বুকের মধ্যে কষ্টগুলো পাথরের মত ভারী হয়ে চেপে বসে থাকে নিথর ।

আমি যখন লিখছিলাম, দু’চোখের জলে আমি কোন বাঁধ দেইনি । সাধ্যও ছিলনা । আমার সেই কান্না আপনাদের সবাইকে ছূঁয়ে গেছে…আমার মত অতি সাধারন মানুষের বেদনার সঙ্গী হয়েছেন…আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করছি । আপনাদের যাঁদের বাবা-মা বেঁচে আছেন, সকল বাবা-মায়ের প্রতি আমার সালাম রইল । আর যাঁরা আমারই মত মাথার ওপরের সেই ছায়াটি হারিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের সকলের বাবা-মায়ের মঙ্গল প্রার্থনা করছি ।

দেশে ও প্রবাসে যেখানেই থাকি না কেন একটা সময় বাবা-মাকে হারিয়ে ফেলার ভয়টা আমাদের পেয়ে বসে । প্রবাসে সেই ভয়ের সঙ্গে যোগ হয় অসহায়ত্ব, অপরাধবোধ,…কিন্তু কেউই আমরা মাকে ভূলে থাকি না । আপনাদের মন্তব্যগুলো পড়েই বুঝা যায়, মা আমাদের বুকের কোথায় বাস করেন । শেষতক আমরা মার সন্তান হয়েই পৃথিবীর পথে হাঁটি…

দোয়া করবেন, আমি যেন আমার মার যোগ্য সন্তান হই । তাঁর রেখে যাওয়া আলোকের শিখাটি ধারন করি জীবনের পথ চলায় ।

সবার মঙ্গল কামনা করছি ।

……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

তাসু এর ছবি

মার জন্য কি কিছু করা হয়? কবে কোন সন্তান মার জন্য কিছু করতে পেরেছে? না, কোন মা তার পরোয়া করেছে?

মন খারাপ করে দিলে আপু।

তাসু এর ছবি

আমারই মা, মা জননী,
আমারই সূখের ঠিকানা।
কান্নাকে হায়, আঁচলে লুকায়
দু:খকে হায়, শুধু ভুলে যায়
সাজাতে আমার আঙ্গিনা।

জয়ন্ত এর ছবি

কাদলাম না...একে বারেই না...দেখিয়ে দিলাম...যে আমিও না কেদে থাকতে পারি...কিন্তু জানেন আমার কি কষ্ট হচ্ছে সেই কান্না তা আটকাতে...নিশ্চিত জানি একটু পরেই কাদব......রাতে ঘুমানর সময় প্রায় ই কাদি...আমার সাথে মা ঘুমাতে চাইত না ছোটবেলায়...আমার হাত নাকি অনেক গরম...বড় হএ আমিও মাকে জড়িয়ে কম ঘুমিয়েছি...কিন্তু মা আমার ভেতরে এম্ন এক্তা জায়গায় থাকে আমি খুব শান্তিতে ঘুমাই...ঢাকা থেকে বাসায় যাই কদাচিত...কিন্তু যতবার চলে আসার দিন আসে মা এক্তা কথা বল্বে...কালকে না গেলে হয় না......থেকে যেতে ইচ্ছে করে............পারলাম না আর...জল গুলি চোখ থেকে বের হয়ে গেল...মা এমন কেন?

সামিয়া নওশীন এর ছবি

কিছু বলার নাই, পড়তে পড়তে হাউমাউ করে কাদলাম।
এখন খুব ই মাথা বেথা করসে।
দেশে এখন রাতের শেষ প্রহর।
অপেক্ষা করসি কখন আম্মুদের সকাল হবে। আমি ফোন করব। আম্মুর সাথে কথা বলার জন্য জানটা বের হয়ে যাছছে।

কাজী মামুন এর ছবি

চোখ ভিঁজে উঠেছে! কি লিখবো বুঝতে পারছি না।
ভালো থাকুন।

লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করলাম।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক [অতিথি] এর ছবি

আছি দেশে। খেয়ে পড়ে সংসার চলছে। বিদ্যা হয়তো ততোটা হয়নি। বাবা মার পাশেই আছি। ঝগড়া, মান-অভিমান, ভালবাসা সবই চলছে সমান তালে। ফোন, ই-মেইল এ কি মন ভরে। কেও বাবা-মা কে ছেড়ে দুরে যেতে বাধ্য না। বাবা-মা কে দেশে রেখে দুর দেশে তখনই যাব যখন আরও বেশি কিছু পাবার আশা থাকবে। একটা মিনিট বেশি সান্নিধ্য পাওয়াই আমার কাছে সব চেয়ে বেশি মুল্যবান। অন্যথায় চরম মুল্য দিতে হবে।

নির্বাসন এ একা  [অতিথি] এর ছবি

অসাধারন একটি লেখা।

কি নামে অভিহিত করা যায় এ লেখাকে? -

মায়ের স্মৃতিচারন?
মত মায়ের কাছে লিখা চিঠি?
নাকি মা হারানোর কান্না?

যাই হোক না কেন, আমি মুগ্ধ, অভিভূত সর্বোপরি অত্যন্ত ইমোশনাল হায়ে গিয়েছিলাম লেখাটি পড়তে পড়তে।

এই সাইটটি আমার অজানা ছিল, ফেসবুক এর এক বান্ধবীর দেয়া লিংক থেকে এ লেখাটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার, সেজন্য ফারহানা সাকী কে আমার অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

লেখিকা জোহরা ফেরদৌসী আপুকে আমার ধন্যবাদ দেয়ার কিছু নাই, কারন যিনি মাকে নিয়ে এমন একটা মরমস্পরশী লেখা লিখতে পারেন তার আসলে ধন্যবাদের প্রয়োজন হয় না। তিনি লেখক হিসেবে অনেক উপরে স্তরে নিজেকে অধিস্ঠিত করে ফেলেছেন। আমি শুধু অন্তর থেকে ওনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তার এই লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

প্রথম দিনে এটা আমার প্রথম কমেন্ট এই সাইটে।

লেখা পরে আমার শুধুই হ্রদয়ে একটি গানই গুনগুন করছে -

মাকে মনে পড়ে আমার
মাকে এ মনে পড়ে।

প্রায় আধাঘন্টা লাগিয়ে আমি শুধু ওনার লেখাটা পরিনি বরং প্রত্যেকের দেয়া কমেন্টগুলোও পড়েছি। আমার মনে হয়েছে এই ফোরাম একদল সুস্থ মানুষের সুস্থ চিন্তা চেতনায় গড়া ফোরাম। এবং আমার মত অভাজন এই ফোরামে কিছু মন্তব্য করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

ভালো থেকেন সবাই।

নিরবাসন এ একা
অতিথি লেখক

|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| এর ছবি

পোস্ট পড়ে কমেন্ট দেবার অভ্যাস অনেক আগেই নাই হয়ে গিয়েছে, এই পোস্ট টা পড়ে কমেন্ট দেবার জন্য এসে, ঝাপসা চোখে ভাবলাম - এই পোষ্টে কি কমেন্ট দেবো?

মায়েদের জন্য ভালোবাসা।

তায়েফ আহমাদ [অতিথি] এর ছবি

এই লেখায় কমেন্ট করা অসম্ভব।

Dino এর ছবি

লেখাটি পরেই মা'কে ফোন দিলাম।

অসাধারণ লিখেছেন আপু, অনেক শুভকামনা রইলো আপনার আর আপনার মা'র জন্য। ভালো থাকেবন সবসময়।

Al-Emran Ahmed এর ছবি

কাদিয়ে ছাড়লেন......Matro 1 month holo European scholarship nea Masters er jonno aslam. Ghum theke uthe ai lekha ta porlam. Akhon mone hosshe shob ee britha.....Ar parshi nah...........

S. Mursalin এর ছবি

Apu, likhata pore chockher pani kono ber e atkatey parene r perbo o naa...Apner maa er jibon sharthok...Etto oshadharon ekta likha...Maa je ki jinish eta keo konodin explain kore ses korte parene and perbe naa...7 years probashi jibon Canada te...Khob bhoi e thaki sob somoi...apner baba maa er jonno roilo oshes dua...valo thakben....

মাহবুব এর ছবি

সত্যি অনেক সুন্দর লেখা। এই প্রবাস জীবনে প্রায়ই পড়া হয়, আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা লিখার জন্য।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

গুরু গুরু
কোন মন্তব্য করার সাহস নাই আপুনি ......
বুকের কোন গভীরে নাড়া দিয়ে গেল জাননা, ভালো থেক কেমন।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।