পৃথিবী এক কালে খুব সহজ, স্বাভাবিক একটা জায়গা ছিলো। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মুষ্টিমেয় কিছু বিজ্ঞানী এর বিভিন্ন গোপন রহস্য প্রকাশ করতেন। সেই তথ্যের বিস্তারও ছিলো একমাত্রিক -- বিশেষজ্ঞ কেউ আবিষ্কার করতেন, বাকিরা প্রচারমাধ্যম থেকে সেই সংবাদ জানতেন। আজ পৃথিবী অনেক বদলেছে।
সিগারেটের ধোঁয়া কি বিষাদ কমায়?
খুব জানতে ইচ্ছা করছে হঠাৎ করে। গতকাল ঢাকা’র শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ব্যাটিং-এর হতাশাজনক প্রদর্শনীর পরে হঠাৎ করেই গ্যালারী প্রায় ফাঁকা হয়ে এলো। হাতের প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পানির বোতল, খেলোয়ারদের উৎসাহ দেবার জন্য তালে তালে শব্দ করার প্লাস্টিকের হাওয়া ভরা পাইপ মাঠের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে অনেকে মাঠ ছাড়লেন থমথমে মুখ নিয়ে।
গতকাল আমরা খুব লজ্জাজনক ভাবে হেরে গেছি। আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারার কথা বলছি না, আমরা হেরেছি স্পোর্টসম্যানশিপের কাছে, আমরা হেরেছি শুভবুদ্ধির কাছে, আমরা হেরে গেছি সারা পৃথিবীর কাছে!
প্রিয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ,
বাংলাদেশের আজ বড় দুঃখের দিন।
ঢাকা শহরটা এই মুহুর্তে বড় নীরব, থমথমে। ইলিয়াস সাহেবের ম্লান,মনোরম,মনোটোনাস ঢাকা এখন মৃত। পথঘাটে মানুষের চলাচল বিস্ময়করভাবে কম বলে মনে হচ্ছে। পাশের গলিতে ছেলেরা দল বেঁধে ক্রিকেট খেলে বিকালে। সেই গলিতে ব্যাটবলের আওয়াজ পাওয়া যায়নি আজ। কেনো ??
“আমরা সবাই জেতার সুখে আজকে পাগলপারা,
জেতার মত দেশ কি আছে আমার এ দেশ ছাড়া?
নিজের দিনে কাউরে এখন আর করিনা ভয়-
ঠিক ‘ধরে দেই’; দিনের শেষে আমরা করি জয়!!
***************************************************
‘পরিসংখ্যান একটা গাধা’- কথাটা ক্রিকেট রিপোর্টে অনেকবার পড়েছি এবং সন্দেহাতীতভাবেই আরো অনেকবার নিশ্চিতভাবে পড়তে হবে। কিন্তু তাতে করে এর আবেদন একটুখানি কমেনি আর মনে হয় না সহসাই কমবে।
বিশ্বকাপ খেলা শুরুর পর থেকেই খুব অবাক হয়ে লক্ষ করলাম পত্রিকান্তরে বিভিন্নভাবে সাংবাদিকরা বিভ্রান্তকর রিপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে এক প্রকার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এই রিপোর্টগুলো মন দিয়ে পড়লে দেখা যায় প্রতিটা লেখার কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যেমন -
১। আশরাফুল লেহন
২। সাকিব এর বিরুদ্ধে বিষাদগার
৩। সিডন্সের বিরুদ্ধে বিষাদগার
৪। দলীয় কোন্দল সৃষ্টি ইত্যাদি
কে যেন জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে। চিনি কি তাকে ? নাতো। বিজয়ের আনন্দ কি আপন পর ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেয় ? আলিঙ্গন যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতেই ভুভুজেলার আওয়াজে কান ঝালাপালা। আর ঢাকের শব্দে উন্মাতাল জনসমুদ্র। "আমরা জিতে গেছি ভাই।" কান ফাটিয়ে চিল্লায় পাশের জন। জানি তো। এতক্ষনতো পাশে বসেই খেলা দেখলাম। মানুষকি পাগল হয়ে গেছে? এরাই কি সেই জনতা যারা পুরা দলকে একসাথে গালাগালি করেছে বিপর্যস্ত হতাশায়?
আমি দৈনিক প্রথম আলোর একজন নিয়মিত পাঠক। আমার বাসায় নিয়মিত এই পত্রিকাটি রাখা হয় এবং খুব আগ্রহ নিয়েই আমি পত্রিকাটি পড়ি। বিভিন্ন সময়ে নানান অসঙ্গতি চোখে পড়লেও সেগুলো স্বাভাবিক ভেবে উপেক্ষা করার চেষ্টা করি। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছি, বাংলাদেশের দল নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে একের পর এক বিভ্রান্তিকর, মনগড়া এবং ভিত্তিহীন প্রতিবেদন ছাপা হয়ে চলেছে। নিঃসন্দেহে এসব প্রতিব
(এই বিষয় নিয়ে যখন লেখা শুরু করি তখনও সচলায়তনে এই বিষয়ে কোন পোস্ট পড়েনি, অথচ এখন পোস্ট করতে এসে দেখি এরই মধ্যে এই বিষয়ে দু'দুটি পোস্ট হয়ে গিয়েছে। তারপরও নিজের লেখাটি প্রকাশ না করার লোভ সামলাতে পারলামনা। কারো বিরক্তির উদ্রেক করে থাকলে আগেভাগেই ক্ষমা চাচ্ছি।)