রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনা আমাদের মনে একটি স্থায়ী ছাপ ফেলে রেখে গেলেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে আমাদের প্রতিক্রিয়া কী আর কেমন হবে, তা নিয়ে এখনই নীতিনির্ধারকদের জরুরি ভিত্তিতে হোমওয়ার্ক করা প্রয়োজন। আর এ ব্যাপারে উদ্ধারকাজে জড়িত পেশাদার ও স্বেচ্ছাসেবীদের ডেকে একটি গণশুনানি করা হলে তারা উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা আর অভাবের মুখোমুখি হয়েছেন, সেগুলোও সমন্বিত হবে।
বাংলাদেশের দেক্ষিনে বঙ্গপসাগর অবস্থিত। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সমূদ্র সীমানা আছে। আর এ নিয়ে বাংলাদেশের বিরোধ ছিল দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সাথে। ভারত চাইতো তারা যেন বেশি সংখ্যক জায়গা তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকে। অপর দিকে মিয়ানমার চাইতো তারা যেন বেশি জায়গা পায়। আর এ নিয়ে দুদেশের সাথে বাংলাদেশের বিরোধ লেগে ছিল। স্বাধীনতার পর যে বিরোধের সূচনা তার কিছুটা হয়তো নিস্পত্তি হয়েছে। বাংলাদেশ যে
বাংলার পল্লী গাঁয়ে সিঁদেল চোরদের নাম বেশ শোনা যায়। রাতের অন্ধকারে চুপি চুপি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সিঁদকাটি (এক ধরনের ছোট শাবল বিশেষ) দিয়ে মাটি কেটে গর্ত করে ঘরে ঢুকে সব সাবার করে দেয় এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ঘরের মানুষজন কেউ কিছুই টের পায় না। এ এক কঠিন শিল্প বটে!
এক।
পনের কোটি মানুষের একটা দেশে একটা জি পি আর (গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং র্যাডার) নেই!
[justify]দেশে থাকতে আমি একটা নামী ঔষধ কোম্পানিতে প্রোডাকশন ফার্মাসিস্ট হিসাবে চাকরি করতাম। দেশের সব ঔষধ কোম্পানিগুলো প্রোডাকশনে মেয়ে অফিসার নেয়না কারন মেয়েরা ওয়ার্কার (তাদের ভাষায়) দের সামলাতে পারবেনা। আমি যেখানে কাজ করতাম তাদের অল্প কিছু মেয়ে অফিসার ছিলেন প্রোডাকশনে, তাদের একজন ছিলাম আমি। যখন ভার্সিটিতে পড়তাম ইচ্ছে ছিল পাশ করে মার্কেটিং এ চাকরি করার। ইচ্ছেটা খুব তীব্র ছিল কিন্তু এই তীব্র ইচ্ছেটাও বদলে ছিল ইন প্লান্ট ট্রেনিং এ গিয়ে।
সীমাহীন শান্ত ও ধৈর্য সম্পন্ন মানুষের দেশ বাংলাদেশ। পেটে ভাত নাই, পরনে কাপড় নাই- কিন্তু হৃদয়টা এত কোমল যে পাশের একটা মানুষের কষ্ট দেখলে সহ্য করতে পারি না। বাংলাদেশের মানুষের এত অসীম সহনশক্তি, যে বার বার এক জাতীয় খচ্চরদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনি, প্রতিবার আশায় বুক বাধি- হয়ত এইবার তাদের ঘুম ভাঙবে, তারা গরিব মানুষের মূল্যায়ন করতে শিখবে। তারা আগের বারের রেকর্ড ভেঙ্গে তারা বৃহত্তর খচ্চর হয়, আর দা
আজকে আমার একজন জার্মান বান্ধবী জুলি, যে স্থানীয় রাজনীতির অত্যন্ত প্রভাবশালী সদস্য হঠাৎ করেই সাভার ভবনধ্বস সম্পর্কে জানতে চাইল এবং কোন কোন জার্মান কোম্পানি এই কারখানা থেকে পোশাক কিনেছে তার একটা লিস্ট দেখালো। তারা ওই কোম্পানিগুলোর কাছে জানতে চেয়েছে, যে কারখানার মালিক তাদের শ্রমিক এবং ফ্যাক্টরির প্রতি এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন, তাদের কাছ থেকে কেন পোশাক কেনা হয় এবং অনুরোধ করেছে এমন মালিকের কাছ থেকে আর
এ এক অসহনীয় অবস্থা! হাজার মেইল দূরে বসে কিছু করতেও পারছি না, সাভারের এক একটি ছবি দেখে, সংবাদ পড়ে সহ্য করতে পারছি না এত কষ্ট, আবার এইসব সংবাদ থেকে নিজেকে স্বার্থপরের মত দূরে সরিয়ে রাখতেও পারছি না। কেবল মনে হচ্ছে মস্তিষ্কে চিরকালের মত গভীর দাগ পড়ে যাচ্ছে, ঐ নূপুর পড়া পায়ের ছবি, ঐ মৃত যুগলের ছবি জীবনে আমি মাথা থেকে মুছতে পারব না। গোল্ডফিশের মত ২ সপ্তাহ বাদে রানা প্লাজার নাম ভুলে গেলেও বহু বছর বাদেও দুঃস্বপ্নে ওরা এসে ঠিক ঠিক হানা দিয়ে যাবে। হয়তো কিছুটা মনুষ্যত্ব এখনো ধরে রেখেছি বলেই এই ভোগান্তি। রাজনীতির নানারকম গদিতে বসে থাকা অবিশ্বাস্য রকমের পিশাচ হলে হয়ত এই যন্ত্রনা হতো না।
পুরাতন দুষ্টচক্র, নতুন দুর্ঘটনা। ধ্বসে গিয়েছে আরও একটি বহুতল ভবন, কেড়ে নিয়েছে শ’য়ে শ’য়ে তাজা প্রাণ। আবারও ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠেছে কিছু জানোয়ার, নিজের মুর্খামি আর লোভের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে অসহায় শ্রমিকদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার এবং দলের ‘দোষ’ আড়াল করবার হাস্যকর চেষ্টায় যতখানি ব্যস্ত, উদ্ধারকাজে এবং দুর্গতদের চিকিৎসায় রাষ্ট্রযন্ত্রের ততখানিই অবহেলা। আব