[ সাবধান, ভেতরে দর্শন আছে কিন্তু !]
…
রাজনীতি এবং প্রশাসন একদম বিপরীতধর্মী দুইটি আর্ট।
একটির মূলে আছে গণসংযোগ, আরেকটির জননিয়ন্ত্রণ। একটিতে ক্ষমতাহীন অনেক মানুষ মিলে, অনেক শ্রমের বিনিময়ে, সমাজকে অনেক জোরে নাড়া দিয়ে ছোট্ট একটু পরিবর্তন ঘটায়। অন্যটিতে খুব সীমিত কিছু মানুষের সিদ্ধান্তে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে, স্বল্পতম প্রয়াসে অনেক বড় পরিবর্তন ঘটানো হয়। একটি মেঘের মতো বিশাল ও গম্ভীর, অন্যটি বজ্রপাতের মতো তীব্র ও ধারালো।
বিগত কয়েকবছরের ধারাবাহিকতায় এইবারের র্যাগ প্রোগ্রামটিও বিশৃংখল ঘটনা থেকে মুক্ত থাকতে পারল না। র্যাগ কনসার্টের পূর্বে প্রানজুড়ানো বৃষ্টিতে সবার যেখানে মাথা শীতল হওয়ার কথা, সেখানে ঝামেলা পাকিয়ে বসল প্রথমবর্ষের একছাত্র। ইঁচড়েপাকা জুনিয়র প্রপোজ করে বসল র্যাগব্যাচের এক ছাত্রীকে। তাও আবার একা নয়, যৌথভাবে। ছাত্রীর ভাষায় এবং অভিযুক্তদের পরবর্তী স্বীকারোক্তিতে যেটা ইভটিজিং হিসেবে গণ্য হয়েছে। এই ঘটনারই আরো বিস্তারিতে যাবার আগে আলোচনার সুবিধার্থে কিছু বিষয় অবতারণার প্রয়াস পাচ্ছি।
[justify]
একটা বিশেষ দিনের ঘটনা দিয়ে শুরু করি-
৭ই জুন, ২০১২
[justify]
শুরুতেই সদ্য সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ভিত্তিক কিছু তথ্য দেখা যাকঃ
বরিশাল বিভাগঃ
মোট ভোটার ২,১১,২৫৭। ভোট প্রদত্ত হয়েছে ১,৫০,৪৯২। ভোট প্রদানের হার ৭১% । ভোট প্রদান করেন নি ২৯% ভোটার।
প্রদত্ত ভোটের বিপরীতে, জয়ী বিএনপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের হার ৫৬% , বিজিত আওয়ামী প্রার্থীর ভোটের হার ৪৪%।
ঋতুপর্ণ ঘোষের নাম প্রথম শুনি চোখের বালি বের হবার পর। ক্লাসের ছেলেরা ঐশ্বরিয়ার পিঠ দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত ছিল মনে আছে। তখনো আমার সেই সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। ধরেই নিয়েছিলাম ঐশ্বরিয়ার রূপ দেখিয়ে সিনেমার হিট করার তালিকায় আরেকটা সিনেমা যোগ হল। আমি কখনই খুব সিনেমা বা টিভি দেখার পোকা ছিলাম না। কাজেই এরপর কয়েকবছর আর তাঁর কোন সিনেমা উপভোগ করা হয় নাই।
"দ্যাখেন আম্মু, এই লোকটার সাথে আমার অনেক মিল"... শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখা পার্থিব পড়তে পড়তে, বইটার একটা চরিত্র কৃষ্ণজীবনের ব্যাপারে আম্মুকে বললাম।
আম্মুর তেমন কোন আগ্রহ নেই বই-টইয়ের দিকে, তাও জিজ্ঞেস করলেন, "কেমন মিল?"
আমি ধর্মগ্রন্থের কিংবা আকাশের ঈশ্বরকে দেখিনি।
তিনি দেখতে কেমন কিংবা আছেন কি নেই তা আমি নিশ্চিতভাবে জানিনা!
তবুও, আমার একজন ঈশ্বর আছেন!
প্রতিটি মুহূর্ত তার উপস্থিতি-তার ভালবাসা আমি আমার সমগ্র অস্তিত্ব দিয়ে অনুভব করি।
আমার শরীরের প্রতিটি রক্তকণা, প্রতিটি অণু-পরমাণু প্রতিটি ন্যানো-পিকো সেকেন্ডে তার প্রতি ষোড়শাঙ্গে শ্রদ্ধা-কৃতজ্ঞতা-ভালবাসা জানায়!
দিন পনের আগের কথা । হঠাত মাথায় ঢুকল একটা নেটবুক লাগবে । হোস্টেলে ডেস্কটপ আছে একটা , কোনরকম ভাবে কাজ চালিয়ে নেয়া যায় ! কিন্তু একটা নেটবুক হলে যে অনেক সুবিধা , টুকটাক অনেক কিছুই করা যাবে ! আবদার টা ছিল আমার আম্মার কাছে ! আম্মা সেটা রেফার করে আব্বার কাছে পাঠিয়ে দিলেন ! আমি কাচুমাচু মুখ নিয়ে আব্বার কাছে নেটবুকের কথা বললাম !আব্বু প্রথমে একটু ভ্রূ কচকালেন, তারপর বললেন