অনেকদিন ধরে বুয়েটে মৌলবাদী রাজনীতিরে আগ্রাসনের উপর একটা তথ্যনিষ্ঠ লেখা লিখবো বলে ভাবছিলাম। কিন্তু দেশের বাইরে থেকে বুয়েটের তথ্য জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু আজকের এই সংবাদটা দেখে একটা ছোট আকারের সাধারণ অবজারভেশন না লিখে পারলাম না।
গল্পটা শুরু হোক ভারতীয় আলোকচিত্রী রঘুবীর সিং কে দিয়ে। বলা হয়ে থাকে রঘুবীর সিং পশ্চিমা কোনো দেশে জন্ম নিলে রঙিন আলোকচিত্রের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো।
তো সেই রঘুবীর সিং হাইস্কুলে পড়ার সময়ে কোনো এক অলস দুপুরে পারিবারিক লাইব্রেরীতে আবিষ্কার করেন অঁরি কার্তিয়ে ব্রেসোর “বিউটিফুল জয়পুর” নামের বইটি। এই বইটিই পরবর্তিতে রঘুবীর সিং-এর ভবিষ্যত যাত্রাপথ নির্ধারন করে দেয়। তারও একযুগ পরে একদিন বিকেলে রঘুবীর তাঁর সদ্য প্রকাশিত দুটি আলোকচিত্রের বই বগলদাবা করে হাজির হলেন তার প্রিয় আলোকচিত্রী কার্তিয়ে ব্রেসোর ভিলায়। ততোদিনে রঘুবীর নিজেও প্যারিসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন।
[justify]লেখার শিরোনামের যে কথাটা সেটা কিন্তু আমাদের অনেকেরই মনে অনেক বার করেই আসে। দেশটা চালায় কে?
[justify]
জুন পনেরো ২০১৩, শনিবার- দেশের আরো তিনটি সিটি কর্পোরেশনের সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ও মেয়র এবং ওয়ার্ড সমুহের কাউন্সিলর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের অন্যসব অঞ্চলের মতো সিলেটের মানুষ ও নির্বাচনপ্রিয়, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আর সব আন্দোলনের ইস্যু আপাততঃ চাপা পড়ে গেছে।
তিন পুরুষ ধরে শহুরে মার্জিত, কেতাদুরস্ত ডাক্তার প্রসঙ্গক্রমে বলছেন- ' নারী স্বাধীনতা ফালতু কথা, সংসার একটা যুদ্ধেক্ষেত্র, এখানে পুরুষের একক কর্তৃত্ব থাকতে হবে; তা না হলে বিপদ অনিবার্য। আর একটা কথা মনে রাখবেন, সংসার ঠিক রাখতে হলে কর্তার রোজগার কর্ত্রীর চেয়ে একটু বেশি থাকা উচিত।'
তুমি জানো, তোমার নাম একটা হঠাৎ উচু জায়গা?
সামনে পড়লেই অপ্রস্তুত, হোচট্ খেতে হয়
তোমার নামটা - শহর, বাড়ি, জন্জালের মধ্যে
আচমকা গাঢ় সবুজ!
থমকে যেতে হয়
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
এই লেখাটি যে খুব ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করবে অতোটা আস্থা রাখতে পারছি না। কিন্তু ভবিষ্যতের কাছে আমাদের যে দায় রয়েছে সেই দায় খানিকটা হলেও পূরণের চেষ্টা করতে এই লেখাটি লিখছি। বলতে ভালো লাগছে, দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে এই লেখাটি আপনাকে লিখতে পারছি। স্বাচ্ছন্দ্যের কারণ আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ। সেজন্য এই লেখাটিতে শিক্ষা কী, তা আপনাকে আলাদা করে বুঝিয়ে বলতে হবে না। আমি যে দেশের নাগরিক, যে দেশে আমি বেড়ে উঠেছি, কোনো অশিক্ষিত সামরিক শাসক অথবা অন্য কোনো অশিক্ষিত ব্যক্তি সেই দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছে না, সেটা নিঃসন্দেহে দারুণ একটা অনুভূতি।
আজকাল মাঝে মাঝেই নিজেকে খুব অসহায় লাগে। জাপটে ধরে নিরাপত্তাহীনতা। মনে হয় দিন দিন যেন বেঁচে থাকাটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন শুনতে হয় এদিক-ওদিক, খুচরো-বড়, চেনা-অল্প চেনা- অচেনা মৃত্যুর অথবা জীবনের বিপন্নতার খবর। ছোটবেলায় গাছপালা, পশুপাখি, দাদু-দিদা মিলিয়ে মিশিয়ে প্রাণের যে বি-শা-ল বৃত্ত ছিল, তা যেন ছোট হতে হতে আমাকে ফাঁস হয়ে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলছে। কি জানি হয়তো তখনও চারপাশটা এরকমই ছিল, শুধু আমার চোখে ছিল রঙ-চশমা।
আমাদের সময়ে পরীক্ষায় এ, বি, সি, ডি না দিয়ে নাম্বার দেবার নিয়ম ছিলো। বোর্ডের পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিভিন্ন বিষয়ের এসব নাম্বার যোগ করে একটা মেধাতালিকা করা হতো। সেই তালিকার প্রথম ২০ জনকে বলা হতো, ওরা স্ট্যান্ড করেছে। তো তেমনই এক ফলাফল ঘোষণার দিনে আমার এক বন্ধুর বাড়ীতে থম থমে অবস্থা। চুলায় হাঁড়ি চড়ছে না। বেচারা নাকি কয়েক মার্ক্সের জন্য প্রথম হতে পারেনি। শুধু বাড়ির লোকই না, এলাকাবাসীও হতাশ। ওদিক
বইটার নাম খুব গালভারী। দ্যা শক ডক্টরিন: দ্যা রাইজ অভ দ্যা ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম। গুডরিডসে প্রায় সাড়ে বারো হাজার লোক গড়ে ৪.২২ রেটিং দিয়েছে। সেখানকার হিসেবে অনেক উঁচু রেটিং। আগ্রহী হয়ে পড়া শুরু করলাম।