গত পরশু দেখলাম ‘লা মিজারেবল’, অনেকটা দেরি-ই হয়ে গ্যালো দেখতে তারপরেও তো দ্যাখা হয়েছে এটাই মূল ব্যাপার।
১৫ বছর ধরে আমার মা ঢাকার একটি পরিচিত দৈনিক কাজ করতেন। ওই দৈনিকের প্রাসাদে প্রায়ই লেখা নিয়ে আড্ডা দিতে আসতেন একজন বয়স্ক মানুষ। হাতে একটা ছড়ি থাকতো, তাতে নিজেকে বেশ ভারি ও সম্ভ্রান্ত লাগতো মনে করে তিনি আত্মতৃপ্তি বোধ করতেন। পত্রিকার সাহিত্য-সাময়িকী বিভাগের লোকজন ও সম্পাদক তাঁকে খুব পছন্দ করতেন, তা নয়। কিন্তু তিনি একজন সাবেক আমলা, প্রাক্তন সিএসপি (এই তিনটি অক্ষরের প্রতি কোনো কিম্ভুত কারণে বাঙাল
জীবন গড়তে, নতুন কিছু শিখাতে খরচ কতটুকু?
৬ পয়সা।
নাহ, এটা ৬ কোটি না, ৬ লাখ না, ৬ ডলার না, বরং মাথাপিছু ৬ পয়সা মাত্র!
শিক্ষক.কম প্রজেক্টের পিছনে মোট আর্থিক খরচ কতটুকু, সেটা যখন কাউকে বলি, দেশি বিদেশি নির্বিশেষে সবাই প্রথমেই এক চোট হেসে নেয়, ধরে নেয় আমি তাকে আবুল পেয়ে ঠাট্টা করছি। তার পর যখন হিসাবটা করে দেখাই, তখন হা হয়ে যায় প্রায় সবাইই।
যখন একটি বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় তখন দুটি ভিন্ন লিঙ্গের অবিবাহিত মানুষ (অধুনা অবশ্য কোথাও কোথাও সম লিঙ্গের মাঝেও এমনটি ঘটছে) বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নুতন পরিচয়ে পরিচিত হয়, যার নাম ‘বিবাহিত’; পাশ্চাত্যে এমন রীতির চল না থাকেলও আমাদের এই অঞ্চলে উক্ত বিশেষ প্রক্রিয়াটি সংঘটিত করতে ক্ষেত্রবিশেষে একজন তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন পড়ে, যাকে আমরা ঘটক বলে জানি। এই ‘ঘটক’ ব্যক্তিটি
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রাথমিক পর্যায়ে কওমী মাদ্রাসায় ছাত্র ভর্তির হার সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ২য়-৩য় শ্রেণিতে এবং ষষ্ঠ শ্রেনিতে। এসএসসি পাশ করে কেউ কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে এমন নজির খুব একটা পাওয়া যায়না। কওমী মাদ্রাসাকে মূল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে এক করার মতো বিতর্কে যাবার মতো পরিপক্কতা আমার এখনও আসেনি। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু সমন্বয় নিয়ে লিখতে আগ্রহী।
শেলফের একটা বড় অংশ জুড়ে আধিপত্য বিরাজ করে আছে ধর্ম শিক্ষা, ইসলামের ঐতিহ্য, ইসলামি মুল্যবোধ, দীনের আলো মার্কা বিভিন্ন বই । টিউবলাইটের এই মৃদু আলোতেও তাদের সোনালী / রুপালী রং এর জলে খোদাই করা আরবী অক্ষরগুলো যেন দম্ভ সহকারে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। । এদের উপরেই ভাতৃত্ব্যসুলভ সৌহার্দে অবস্থান করছে হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল আর আনিসুলেরা । শেলফের একেবারে নিচের তাকে, টিভি স্ট্যান্ডের আড়ালে প্রায় ঢাকা পড়ে যাওয়া অংশ থেকে ধুলো বালি আর অযত্নের অত্যাচার সয়ে লাজুক ভাবে উকি দিচ্ছে হুমায়ুন আজাদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর গোটাকতক কবিতার বই । এই রাম রাজত্বে এরা যেন অনাকাংক্ষিত অসুর । লুকিয়ে থাকতে হয় অন্ধকারে ।
‘হেফাজতি’ হরতালের কয়েকটা খবর শুনে মন খারাপ হয়ে গেল! শুধু মন খারাপ না সাথে অসহায় ক্ষোভ ও জন্ম নিল মনে! একটা খবর চিটাগাঙ এর আরেকটা সিলেটের।
“চিটাগাঙ এ এক হিন্দু দম্পতীকে রিক্সা থেকে নামিয়ে তাদের বিয়ের সনদ দেখতে চাওয়া!!!”
“সিলেটে রিক্সা থামিয়ে জনে জনে ধর্ম জিজ্ঞেস করা,কালেমা জিজ্ঞেস করা!!!”
বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে সংখ্যার দিক থেকে সংখ্যালঘু বলা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নেতা সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর দেশব্যাপী এই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। গত এক মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের ১৮৭টি বাড়িঘর ও ১৬২টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১০৮টি মন্দিরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং ১১৩টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।