'১২ বছরের একটা মেয়ে, আমার ছোট্ট মা। চোখে স্বপ্ন, দিগন্ত ছাড়িয়ে যায় মাঝে মাঝে। অনেক কিছুই তার বোধশক্তিতে আসেনি এখনো অথচ এই ছোট্ট মা আমার স্কুলে প্রতিদিন যাওয়া-আসার মাঝে বাজে ইঙ্গিত আর বাজে কথার (ভদ্রলোকেরা এইটারে বলে “ইভ টিজিং”) মুখোমুখি হচ্ছে হারামিদের কাছ থেকে। এই হারামিদের কোন শাস্তি হয় না, এরা প্রতিনিয়ত এই ছোট্ট মায়ের স্বপ্নে দানব হয়ে আসছে, এদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারি না, ভ ...
চা-আড্ডা শেষে, আমি আর ইকো, দুজন নদীর পাশ ধরে হাঁটতে হাঁটতে গেলাম শিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে, ইকো’রা যেখানে পড়ছে। গল্প আর আড্ডার বিষয়বস্তু সম্পর্কে কেউ কেউ জানতে চাচ্ছিলেন, মূল বিষয়বস্তু চীন, বাংলাদেশ, কোরিয়া, ভ্রমন, ভালো লাগা, মন্দ লাগার মতো সাধারণ বিষয়গুলোও।
মাঝখানে কিছুক্ষন চললো ভাষা শেখার এবং শেখানোর চেষ্টা। আমি ‘শুভ সকাল’, ‘কেমন আছেন?’ ইত্যাদি প্রাথমিক কিছু বাংলা শেখালাম, শি ...
১
আপনি একটা মাঝারি চাকরি করেন।
আপনাকে আমি বললাম, যে হে পাঠক/পাঠিকা, আসো আজকে আমার ফার্মে যোগদান করো, বেতন পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিবো।
আপনি খুশি। আসবো।
*
পরেরদিন কিভাবে কি করে যেন আপনার বস আপনাকে বললো, হ্যালো পাঠক/পাঠিকা, তোমার ভাল পারফরমেন্সের রেকগনিশন হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিসি তোমার বেতন দশ হাজার টাকা বাড়াবো।
আপনি সেইরকম খুশি। ইশ, আমার কি দাম!
*
তার পরেরদিন আপনার এক ক ...
[justify]
সাতজন ছিলাম আমরা,
এক, দুই,তিন..... ছয়, সাত!
লজিক বা যুক্তি খুবই জটিল জিনিস। আমরা নিজেদের যুক্তিবাদি ভাবতে ভালবাসি। কথায় কথায় আমরা যুক্তি দেই, নিজেদের যুক্তিবাদী বলে দাবি করি। অনেক সময় একটা কথা বলে ভাবি "আহ্ কি যুক্তিটাই না দিলাম.. এইবার?"
কিন্তু সমস্যা হলো এইসব "মোক্ষম" যুক্তির অনেকগুলিই ফ্যালাসির দোষে দুষ্ট। হয়তো দেখে নিরীহ মনে হয় বলে অথবা আমরা এইসব "যুক্তি" দেখে এতই অভ্যস্ত যে দেখে ভাবি আসলেই "কড়া" যুক্তি। আমার চারপাশে ...
মানুষ খোলা বাজারে চাল কেনার ডেসপারেশন নিয়ে বইমেলায় হুমায়ুন আহমেদের বই কিনছিল।উনি বসে। চারপাশে দাঁড়িয়ে হলুদ হিমুদল।
হুমায়ুন আহমেদ কতক্ষণ থাকবেন।ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হিমুরা মনে মনে বদদোয়া দেয় প্রকাশককে।উনি চেষ্টা করেন লেখককে বেশীক্ষণ রাখতে।
এক প্রাক তরুণী টিভি সাংবাদিক মাইক্রোফোন বাড়িয়ে দেয়, স্যার একটা বাইট।
স্যার ঘাবড়ে যান।ভ্যাম্পায়ার নাকি কাম ...
বিবমিষা ১৯৭৯
ভদ্রলোকের নিখুঁত ডায়েরি রাখার অভ্যাসকে প্রশংসা করতে হয়। সেখানে কোনো দিনের উল্লেখ বাদ নাই। ফলে তার বমির শুরু আর শেষ হবার সঠিক দিনক্ষণ বলতে তার অসুবিধা হয় না। বমি শুরু জুন চার ১৯৭৯(পরিষ্কার আকাশ), শেষ জুলাই চৌদ্দ ১৯৭৯ (মেঘলা দিন)। এই আঁকিয়ে তরুণ ভদ্রলোক পত্রিকায় আমার একটা গল্পের অলঙ্করণ করেছিলেন। তখন থেকে তার সাথে আমার পরিচয়।
বয়সে আমার কয়েক বছরের ছোটো। আমরা পুরানো ...
বীরভূম জেলার রায়পুরের সিংহপরিবারের সঙ্গে দেবেন্দ্রনাথের বিশেষ বন্ধুতা ছিল। সেখানে একবার নিমন্ত্রণ রক্ষায় গেলেন। যেতে যেতে ভুবনডাঙার মাঠে রাত হয়ে গেল। আকাশে অদ্ভুত জ্যোৎস্না উঠেছে। একটি ছাতিমগাছ মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে। তাকে ঘিরে আছে আনৈসর্গিক শূন্যতা। এই শূন্যতা তার প্রাণ ছুঁয়ে গেল। সেখানে মাঝে মাঝে তাবু ফেলে মাঝে মাঝে দিন কাটাতেন। ১৮৬৩ ...
এক দেশে ছিলো এক রাজা... মস্ত সে রাজা। একদিন তিনি পাইক বরকন্দাজ নিয়ে গেলেন শিকারে। কচি কচি হরিণ মেরে মেরে আহ্লাদে খেতে খেতে দেখেন চারপাশে অনেক বুনো ফুল, দারুণ সুন্দর কিছু ফুল, রাজবাগানেও নেই এমন সুন্দর ফুল। কিন্তু ফুলগুলোর দোষ একটাই, বড্ড ভুলভাবে বেড়ে উঠেছে ওগুলো। পাতাগুলো কেউ ছাঁটে না, গোড়ায় গলদের মতো বিস্তর ঘাস... বুনোফুল যে! তাই দেখে রাজার মন তা তা থৈ থৈ মম চিত্ত।
রাজা বললেন এই বা ...
খেয়াল করেছেন আজকাল সচলে জন্মদিন বিষয়ক পোস্ট তেমন একটা দেখা যায় না। তা কারণ টা জানেন? না জানলে হাত-পা গুটিয়ে আরাম করে বসেন, গল্পটা শুনেন। এ গল্পের শুরু অনেক অনেক কাল আগে যখন নজু ভাইয়ের বয়স ছিল পঁচিশ। সেই সময় যখন সন্ধ্যা নেমে আসত তখন কতিপয় ছন্নছাড়া বালক মাশ্রুম খাওয়ার লোভে কোঞ্চিপা নামক এক হতচ্ছাড়া জায়গায় হাজির হত প্রতিদিন। সেই জায়গায় মাশ্রুম খেতে খেতে হতচ্ছাড়া বালকেরা প্রতিদিন ...