[justify]সেই বয়সটা, যখন কারণ ছাড়া কান্না পেত, মার সাথে ভীষণ ঝগড়া হত, আবার সারাদিনের সব কথা মাকে না বললে অস্বস্তি, অস্বস্তি। নতুন বিল্ডিং উঠবে দেখে কলেজের লাল-জবা গাছটা যখন কেটে ফেলল, ম্যাগাজিনের কাজ করতে গিয়ে, আমার আর সিস্টার শিখা, দুজনেরই চোখ ছলছল। তারপর কাটা পড়ল লাইব্রেরির মাধবীলতার ঝাড়, আর ওড়াউড়ি বাদ দিয়ে আস্তে আস্তে মাটিতে পা রেখে হাঁটা শিখলাম, সে আরেক গল্প।
সবগুলো কবিতাই ২০০১-২০০২...
কত্ত দিনের
কত্ত কথা
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
নানানরকম স্বর্ণস্মৃতি,
একটু হাসি, একটু প্রীতি,
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
হাজার রকম কাজের ভীড়ে,
গল্প কতো, দেখছি ফিরে;
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
ভবিষ্যতের নানান আশা,
'যাচ্ছি' ভেবে সেই হতাশা,
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
যাই যেখানেই স্রোতের টানে,
মন তোমাদের বন্ধু জানে,
মানছি মনে, যাবার ক্ষণে।
রইবে সবাই মনের মাঝে,
উঠবে জেগে নানান কাজে,
ভাবছি মন...
দুপুরের নদী ছুঁয়ে একপাল হাঁস সাঁতরায়
একঝাঁক গাংচিল উড়ে উড়ে খেলে কানামাছি
বিষখালি নদী এসে কেঁপে যায়
পাহাড়ের ঘিরে থাকা শাড়ির আঁচলে।
আঁচলের গল্পে যে কে বাঁধা,
জল কি তা জানো?
চোখের কোণার অশ্রু শৈশবের কোন মেলা খোঁজে--
পিতামহী-শাদা শাড়ি বিষখালি উজানে হারায়,
বৃক্ষের আশ্রয় ছেড়ে শিমূল তুলারা চলে
বেহালার বালিশের খোঁজে-
একমাঠ সবুজের অস্তিনে ঘুম
নিভে যাওয়া কবেকার স্বপ্নক্লান্ত চোখে!
...
ইয়ে হাত মুঝে দে দে হ্যাকার!
ইয়ে হাত মুঝে দে দে হ্যাকার!!
জব্বর সিং ডাকু, কোন চাক্কির পিসা হুয়া আটা দিয়ে রোটি খায় পাবলিক, এখনও বুঝতে পারো নাই।
নাচনকুদনে কোনো ফায়দা নাই। পাও চালাইলেও তোতা মৃত্যুবরণ করিবেক। তোতার বয়স হইছে।
আজ অনেক দিনের পর-
রাত্রিজাগা প্রহর শেষে
চক্ষেতে ঘুমঘোর।
আঁধারমাখা আবছা আলোয়
সূয্যিমামার খুনসুটি,
আর এক দুটা কাক,
অলস সুরে গান-
আনন্দেরই ঝর্ণাধারায়
ভাসুক আজ এই প্রাণ।
আজকে আমার হৃদয় নাহয়
থাকুক আমার মতো,
দুঃখের শেষে উঠুক হেসে
মিলাক ব্যথা যতো,
হৃদমাঝারে উঠুক সুখের
কালবোশেখী ঝড়-
আজকে আমার দুচোখেতে
দেখবেনা কেউ জল,
হঠাত্ উদাস মন অকারণ
করবেনা ছলছল,
অভিমানের আজকে ছুটি;
মনের আ...
লিখতে লিখতেই তাদের মাঝে প্রেম হয়ে গেল। প্রেম বললে হয়ত ভুল বলা হবে। একটা ভাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং বলা যায়। সোহেল আর দীপা একে অপরকে বুঝতে পারে। এই উত্তরাধুনিক সময়ে সেই বা কম কী? দুজন মানুষ – একজন অপরজনকে বুঝতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। প্রেম সে তুলনায় এমন হাতিঘোড়া কিছু নয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, তারা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে লিখে না। সেই প্রচলিত ধারার চিঠি, চিরকুট, মেসেজ কিংবা ইমেইল এগুলো ...
ইদানিং ভারী ভারী সব বিষয়ে মাথা ভার হয়ে থাকে। সমাজ-সংসার, দেশ-জাতি ছাপিয়ে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের নানা টুকিটাকি নিয়ে হাজারো ভাবনা মনের মধ্যে কুটুস কুটুস করে কামড়ায়। জীবনে সুখের উপাদানের কোনো অভাব না থাকলেও অজানা-অচেনা সব বিষণ্ণতা যখন তখন আচমকা আক্রমণে ধরাশায়ী করে ফেলে। এগুলোকে আবার দুঃখবিলাসের তকমা লাগিয়ে চাইলেই ঝেড়ে ফেলা যায় না। অথচ অপেক্ষাকৃত বাজে অবস্থায় থেকেও চারদিকে কত সুখী ...
পাগল মন
১.
চোখ মেলেই দেখি নীল আকাশ। আহা, কতদিন এরকম আকাশ দেখি না। শহুরে মেকি ব্যস্ততায় ফুরসতই মেলে না মাথাটা উপরে দিকে করার। সারাক্ষনই সবাই ব্যস্ততার ভান করছে।
শুয়ে ছিলাম, উঠে বসলাম। চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখি কোনই গাছপালা নেই শুধুই ধু-ধু মাঠ। আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। কিছুই মনে পড়লো না, কিভাবে, কেন আমি এখানে। এটা কোন জায়গা সেটাও বুঝতে পারলাম না। তবে শুধুই মনে হল, ...
গল্পের মাঝে লোডশেডিং।
নতুন নয় কিছুই, কিন্তু এসির আওয়াজটা বন্ধ হতেই
বাইরের শব্দগুলো হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়ল যেন,
দরজা খুলে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই গরম হাওয়া এসে জড়িয়ে ধরল,
বলল, পালিয়ে ছিলে? কিন্তু পারলে নাতো? দেখেছ, কেমন লোডশেডিং করিয়ে দিলেম?
ঝগড়া করবার মন ছিল না, ক্লান্ত আমি ঘুমুতে চাইছিলাম
পাত্তা দিলাম না ওদের কথায়, না শোনার ভান করলাম…
আরেকটা নতুন বছর শুরু হচ্ছে। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের মতো হারিকেন হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে জনতা। কিন্তু তবুও মুখে হাসি থাকুক, গান থাকুক।
শুভ নববর্ষ।