Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

রান্নাবান্না

চলুন ঘুরে আসি মেরকাদো দেল পুয়ের্তো

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৮/২০১৩ - ১০:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বাংলা অনুবাদে ‘বন্দরের বাজার’ বললেই তো মনটা উল্লসিত হয়ে ঊঠে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অনেক নৌবন্দরে ভুরিভোজের আনন্দময় অভিজ্ঞতা আছে। গোয়ালন্দ ঘাটের সেই ঝুপড়ি হোটেলে মধ্যরাতে ইলিশ মাছের ঝোলে মাখা মোটা চালের ভাত আর মাওয়া ঘাটের টমেটো মেশানো কাতল মাছের পেটি খাওয়ার সুখস্মৃতি দুই দশক পেরিয়ে গেলেও তো ভুলতে পারিনি আজও। মাছেভাতে এক বাঙালির জন্মভুমি থেকে সাত সমুদ্র আর তের নদী পেরিয়ে সুদূর মন্তেভিদেওতে গ্রীষ্মের এক মধ্যাহ্নভোজের অভিজ্ঞতা নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
Mercado del Puerto মানে পোর্ট মার্কেট। অবস্থান একেবারে উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদেওর নৌবন্দরের মূল ফটকের উল্টোদিকে। কলোনিয়াল স্থাপত্যশৈলীর এই ভবনটি স্প্যানিশরা প্রায় দুই শতক আগে বানিয়েছিল প্রাতাহিক বাজার হিসেবেই। মাছ, মাংস, ফল, সবজি সবই কেনাবাচা হত সেইসময়। কালের বিবর্তনে এই ভবন আজ রূপান্তরিত হয়েছে নিরামিষীদের নরকে! ১০০% মেছো বাঙ্গালীও খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না এখানে গিয়ে! এই দুই শ্রেণীর বাইরে যারা আছে তারা সাদরে আমন্ত্রিত সপ্তাহের প্রতিটি দিন মধ্যাহ্নভোজের স্বর্গীয় সুখের অন্বেষণে!


আর্জেন্টিনার দাদাগিরি আর আসল চাপ নাম্বার ওয়ানের দেশ উরুগুয়ে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৬/২০১৩ - ১১:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বঙ্গদেশের ইবনে বতুতা আমাদের সবার প্রিয় তারেক অনু ভাই কাজকাম ফেলে রেখে ঘুরে বেড়ায় দেশ-বিদেশ। মজার মজার আইটেম খায় আর তার বর্ণনা লিখে লাখো বাঙালির হৃদয়ে হিংসার আগুন জ্বালিয়ে দেয়। গরুর মাংস নিয়ে তো হালে শুরু করেছেন এক নতুন সিরিজ, ব্রাজিলে গিয়ে খেলেন চুরাস্কো, আর্জেন্টিনার চাপকে তো দিয়েই দিলেন নাম্বার ওয়ান সার্টিফিকেট! কথা সত্য হতেও পারে, তবে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে যা বলার জন্যই এই পোষ্ট।


চাপ নাম্বার ওয়ান

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৬/২০১৩ - ৮:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_7860

সতর্কীকরণ— গোমাংসে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা এবং নিরামিষভোজীরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।


চুরাস্কোর গল্প

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ২৯/০৫/২০১৩ - ৬:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতর্কীকরণ – নিরামিষভোজীদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।

রিও মহানগরীতে পা দেবার পরপরই ইসাইয়াস সেরণা বলল যেহেতু এটা আমাদের একসাথে ভ্রমণের শেষ গন্তব্য, আমাদের অবশ্যই উচিৎ হবে রিও সৈকতে আচ্ছাসে গড়াগড়ি করার পাশাপাশি একদিনের জন্য হলেও চুরাস্কোতে যাওয়া।

চুরাস্কো ? সে কী আচানক বস্তু? খায় না মাথায় দেয়?


বাঙালির রসনায় কলম্বাস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৫/০৩/২০১৩ - ১:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বন্ধুর কাছ থেকে ধার করা একটি ছোট্ট চুটকি দিয়ে শুরু করা যাক। ক্রিস্টোফার কলম্বাস বাঙালি হলে কোনদিন আমেরিকা মহাদেশ যাত্রার সমুদ্রপথ আবিষ্কার করতে পারতেন না। সদর দরজা দিয়ে বেরুতে না বেরুতেই তো গিন্নির হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে হতো; কোথায় যাচ্ছ? কেন যাচ্ছ? দুনিয়াতে এত মানুষ থাকতে তোমাকেই কেন যেতে হবে? রাতে এসে খাবে তো?


কাঁঠালপাতা শর্ট পড়লে কী করবেন? রেসিপি!

স্বপ্নহারা এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নহারা (তারিখ: বুধ, ১৩/০২/২০১৩ - ৫:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শাহবাগবিরোধী ভাইরা নিশ্চয়ই গত কয়দিন ধরে ভয়ে প্যান্ট ভিজায়ে ফেলতেছেন। আপনার বুক ধড়ধড় করছে, প্রেসার হাই, চোখে কালসিটে পড়ে গেছে। গত কয়দিনে অনেক খাঁটুনি গেছে- আপনি কোন গ্রীন দেখতে পাচ্ছেন না। যদিও সবাই আপনাকে প্রচুর পুষ্টিকর কাঁঠালপাতা দিয়ে গেছে তবু কাঁঠালপাতার শর্ট পড়ে গেছে! এই অবস্থায় কী করবেন?

১- যেকোন ব্রাউজার এ একটি নতুন উইন্ডো বা ট্যাব খুলুন
২- টাইপ করুনঃ google.com


নুরুর বালিশ

নিলয় নন্দী এর ছবি
লিখেছেন নিলয় নন্দী [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৪/১১/২০১২ - ১২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হরেন ডাক্তার বেঞ্চিতে বসে পা দোলাচ্ছিল। তার ময়লা ধুতির খুঁটটা গড়ায় মাটির মেঝেতে। নুরু গ্লাস ধুতে ধুতে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। একটা লোক পা দোলাতে দোলাতে কান চুলকায় কিভাবে? ডান কান চুলকানো শেষ। হরেন ডাক্তার পাখির পালকটা বাম হাতে নেয়, তারপর আবার পা দোলায় আর কান চুলকায়। নুরু এগিয়ে গিয়ে চায়ের কাপটা হরেন ডাক্তারের সামনের টেবিলে রাখে, ‘বিস্কুট দিতাম?’


আমার রান্নার হাতেখড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৯/১০/২০১২ - ১০:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম দুইদিন ভয়ে চুলাই জ্বালাইনি | দুধ, সিরিয়াল, পাওরুটি আর ফলমূল খেয়েছিলাম | সাথে আসিফ চিকেন নাগেটস ভেজেছিল | তৃতীয় দিনেই আমাদের বাঙালি মন ভাতের চাহিদা জানান দিল | আমার তখনো সময় ব্যবধানের সাথে ঘুমের সামঞ্জস্য হয়নি | বাংলাদেশের সকালের সময়ে (আমেরিকার রাতে) ঘুম থেকে উঠে দেখি আসিফ ভাত, বেগুন ভাজা আর ডিম অমলেট তৈরী করে খেতে ডাকছে | চোখে পানি চলে আসল, যাক ! ও কথা রেখেছে | পেট ভরে ভাত খেয়ে ভাবলাম আগামীকাল আমিও রান্নায় যোগ দিব | পরের দিনের দুজনে একসাথে চিংড়ি রান্না করলাম | লবণ বেশি হয়ে গেল, বাসায় বেল পেপারস (ক্যাপসিকাম) ছিল, মিলিয়ে দিলাম তাতেও কাজ হলো না | বেশিক্ষণ ধরে রান্না করার কারণে চিংড়ি কেমন যেন শক্ত হয়ে গেল | নিজের প্রথম রান্না করা খাবার খেতে আমি ব্যর্থ হলাম | পরে চিংড়ির প্যাকেট এ লেখা দেখেছিলাম এগুলো লবণ দিয়ে সিদ্ধ করাই ছিল | ইশ ! আগে যদি জানতাম !


ডাকাডাকি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৬/২০১২ - ১০:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখনও দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি । ঘুম থেকে বিকাল ৪’টার সময় উঠলে সন্ধ্যা ৭’টায় দ্বিতীয়বার উদরপূর্তি না হওয়াটা অস্বাভাবিক না । অবশ্য যখন লিখতে বসলাম পাকস্থলী বাবাজি কে শান্ত করেই বসলাম । বৃষ্টি আসব আসব করে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে । এখন সন্ধ্যা হলেও আমি ফিরে গেছি দুপুরবেলায়, আজ থেকে বার-তের বছর আগে ।


মিষ্টি মুখ -০২

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৫/২০১২ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখালেখি শুরু করলেই এক মহা মুশকিল। বিভিন্ন জিনিস মাথায় এসে উঁকি দেয়, এ বলে আমায় লেখ, ও বলে আমায়। আর লেখা শুরু করলে তখন সবাই আবার হারিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ডজন খানেক আধা খ্যাচড়া লেখা পড়ে থাকে, কোনটাই শেষ হয়না। ইদানীং আবার লেখাগুলি হয় হস্তি-সম। তাই আরও গোটাকয়েক এসো নিজে করি ঝুলে আছে, শেষ হবো হবো করেও শেষ হচ্ছে না। লাইনে আছে ফাতরা কিছু অণুগল্প, লাইনে আছে জগা মিয়া , ঝুলে আছে সাহিত্যিক। অ