সপ্তাহান্তে হাতে কিছু সময় পেলে যে কয়টা জিনিস করতে পছন্দ করি, তার মধ্যে সবার ওপরে থাকে নতুন খাবারদাবার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট। বলাবাহুল্য, তার মধ্যে অনেকগুলোই ফ্লপ হয়, দ্বিতীয়বার আর কখনোই করা হয় না। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু কিছু খাবার বের হয়ে আসে, যেগুলো পাকাপাকিভাবে আমাদের প্রিয় রান্নার তালিকায় ঢুকে যায়, তার চমৎকার স্বাদের গুণে বা সহজ রান্না-পদ্ধতির গুণে। আজকে সেরকমই একটা রান্না হাজির করছি--মোরগ মোসাল্লাম।
মুখবন্ধ: ইহা কোন সাহিত্যকর্ম নয়। ইহা জীবনে প্রথমবারের মত একটি রেসিপি লেখার চেষ্টা মাত্র।
এই কিলিনিকে রুগী আসে কতকগুলান এক্সটেনশন লয়া, তার মইধ্যে .NEF-ই বেশি। তয় অনেক .JPEG-ও আসে মাগার এট্টু কম আরকি! আরে ভাই, একেকজনের একেক পরবলেম, কেউ লাইট লয়া গিয়াঞ্জামে পড়ছে, কেউ দল-বল লয়া মিল্লা-মিশ্যা একটা HDR হইতে চায় আবার কারু কারু শরিল্লের রঙ সব উদাম কইরা ব্লিচ মাইরা সাদা-কালু করতে চায়। এইসব লয়া মহা ফ্যাসাদে আছে এই কিলিনিকের ডাগদর-এ-আলা। তয় আইজ নিকি এক রুগীর উড়পে কামরুপকামাক্ষা থিকা আগত নয়া একটা চাক্কু-মাক্কু অপারেশন হইবো। এই বুলুগে হেইটা এখন আমরা লাইভ পড়ুম!!! কি মজা ... কি মজা ...
হলে থাকতে প্রতি মিলেই কমন আইটেম ছিলো মুরগি- একটুকরো মাংস, একটুকরো আলু, আর কিছুটা ঝোল। ঝোল মানে হলুদ গোলানো পানি আরকি। বছরের পর বছর সেই মুরগি খেতে খেতে আরেকটু হলেই আমার মুরগির মত পাখনা গজিয়ে যাচ্ছিলো। তবে সে যাত্রা রক্ষা হয়েছে। পাখনা গজায়নি। কিন্তু শেষ রক্ষাও হয়নি পুরোপুরি। বাসায় বলুন, চাঙ্খারপুলের রেস্তোরাতেই বলুন, বা অন্য কোথাও- মুরগির মাংসের সেই হলুদগোলানো ঝোলের সাথে আদা, জিরা আর বিভিন্ন গরম মশল
সুপ্রিয়া দেবী যেমন "ডাটা" গুঁড়ো মশলার বিজ্ঞাপনের শুরুতে জবজবে গলায় বলেন "সব বৌমাদের বলছি" আমি তাঁকে অনুসরণ করে বলি "যাঁরা দীর্ঘদিন ঘরছাড়া, ডিমের ভুজিয়া, ম্যাগি, ম্যাকডোনাল্ড আর ট্যাকো বেল-এ খেয়ে খেয়ে যাঁরা ভাবছেন এ জীবন লইয়া কি করিব সেই সব হতভাগ্যদের উদ্দেশ্যে এই সহজ রেসিপি নিবেদিত হল।" কারণ তাঁরা মরিয়া এবং অকুতোভয় (এ দুই-এর কম্বো ছাড়া ঝট করে কোন আনাড়ী রাঁধুনী মাছ রাঁধবেন কি?) তাই মা ...
উনুন থেকেই বলছি। সব অর্থেই। অফিসে বস জ্বালায়, রাস্তায় ট্র্যাফিক, বাসায় ইলেকট্রিসিটি।
আমি সচরাচর রেগে উঠি না। কিন্তু যখন রাগি তখন সেই অভাবটুকু পুরোদমে পুষিয়ে দেই। রাগটা আসে এক ঝলক বিদ্যুৎতরঙ্গের মতো। এলো আর গেলো। কিন্তু মাঝখান দিয়ে মেরামতের অযোগ্য কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। আসা-যাওয়ার মাঝের সময়টা সামাল দিতে পারলেই কেল্লা ফতে।
সেজন্য যেকোনো উপায়ে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করতে হবে। মু ...
আজ রাতেই করলাম কলিজা ভুনা। গরুর কলিজা। একটু আগে সবাই মিলে খেয়ে-দেয়ে এই রেসিপি ব্লগ লিখতে বসেছি। সঙ্গে আছে তিলের খাজা। ভিয়েতনামি। তেমন স্বাদ না। দুয়েক কামড় দিচ্ছি আর লিখছি। তবে পাঠক, ভয়ের কিছু নেই। কলিজা ভুনা করা দারুণ সহজ। রীতিমত ‘আনাড়িবান্ধব’!
আমরা আনাড়িরা রান্নার সময় একটা জিনিশে ভয় পেয়ে যাই। ভাবি মশলা-পাতি কী না কী দেব। কোনটা বেশি হবে কোনটা কম হবে সব মিলিয়ে সর্বনাশ! এবং কোন ...
রিম বেগমের হেঁসেল থেকেঃ মচমচে বেগুন ভাজা!
এর চেয়ে সহজ রান্না দুনিয়াতে আর নাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন অলস মানুষ। অনেক ধৈর্য আর সময় নিয়ে রান্না করা আমার ধাতে নেই। তাই চটজলদি আইটেমের দিকে ব্যাপক ঝোঁক। আমার মত অলস মানুষদের উদ্দেশ্যে এই রেসিপিটা দেয়া। তবে নন-অলসদেরও রেসিপি ট্রাই করতে বাধা নাই।
যা করতে হবেঃ
১। একটা বেগুন গোল গোল করে কাটতে হবে। স্লাইসগুলি যেন খুব বেশি মোট...
সেদিন হঠাৎ নজু ভাইয়ের ফোন, " ওই কাউয়া, রিটন ভাইয়ের জন্মদিন। অফিস শেষ কইরা গলায় ক্যামেরা লইয়া আইসা পরেন। মিস কইরেন না। "
কেম্নে মিস করি? ছোটবেলার প্রিয় ছড়াকারের জন্মদিন পালন করব এক সাথে, আবার অনেকদিন পর সচলাড্ডা। পেট টা ভইরা গেলো খুশিতে।
কোনোমতে অফিস শেষেই জ্যাম ঠেলে বাসা থেকে ক্যামেরা নিয়া দিলাম দৌড় নজু ভাইয়ের বাসায়।
গিয়ে দেখি অনেকেই চলে এসেছেন। আড্ডাও জমে গেছে বেশ। তার পর আর ...
প্রিয় খাবারের কথা এলে বাঙালীরা সবার আগে যেমন ইলিশের কথা বলে,তেমনি মণিপুরীদের প্রিয় খাবারের তালিকায় যে নামটি সর্বাগ্রে আসবে তা হলো য়ংচাক বা লনচাক। পার্থক্যটি হলো ইলিশ থাকে নদীতে আর য়ংচাক ধরে গাছে! মণিপুরী মুসলিমদের কথা বাদ দিলে মণিপুরীদের অধিকাংশই ভেজিটেরিয়ান এবং সেমি ভেজিটেরিয়ান (মাছ খায়, কিন্তু মাংস খায়না)। অষ্টাদশ শতকে মণিপুরীরা গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের বলয়ে আসার পর খাবার দাবা...