আমার এক বন্ধু রহিম (অবশ্যই রহিম হচ্ছে ছদ্মনাম। কারণ, এখানে তার আসল নাম প্রকাশের অনুমতি সে আমাকে দেয়নি বিধায় এই ছদ্মনামের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।) দেশের বাইরে চলে যায় আমাদের মধ্যে সর্বপ্রথম। রহিম প্রায়ই আমাদের ফোন করে বিভিন্ন বিষয় নিয়...
বই পড়ার খুব ভীষণ একটা মজা আছে।
ছোটবেলায়... কিন্ডারগার্টেন ইশকুলে পড়ি তখন। ক্লাশ থ্রিতে পড়ার সময় থেকেই কিভাবে যেন গল্পের বই পড়াটা নেশা হয়ে যায়। আর অবাক হয়ে খেয়াল করি যে আমার যারা বন্ধু... তারা কেবল তাদের বাবা, মা, ভাই, বোন, বন্ধু, আত্ম...
সবজান্তার পোস্ট -একুশের কোপাকুপি- পড়ে অনেক পুরনো কথা মাথার ভেতরে ভীড় করে এলো।
ঢা-বির ছাত্র হবার পর পর মনের ভেতর বেশ জোশ নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। কার্জন হলে আমাদের ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের অফিসে নাম রেজিস্ট্রি করতে ...
শরৎচন্দ্র রচিত ছোট গল্প ‘মহেশ’ এর মৃত্যু নিয়ে এই গল্প নয়। এই গল্প আমার প্রথম গাড়ি মহেশের মৃত্যু নিয়ে।আমার এই দুঃখের কাহিনী আমি কিভাবে বলব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা।যাই হোক, কথা বাড়ালেই বাড়বে, তার চাইতে আমি মূল কাহিনীতে চলে আসি।
সেদ...
প্রতীক্ষার প্রহর অনেক দিনের। চাইলেই আবেগগুলোর বল্গা ছেড়ে দেওয়া যেত। মুখোমুখি হতেই তবু দেওয়ালগুলো দাঁড়িয়ে গেল কীভাবে যেন। দুষ্টুমিভরা বাঁকা হাসি মুখে নিয়ে বললাম, পঞ্চাশ হওয়ার আগেই আশি হয়ে গেলে দেখছি। কথাটা আমার মাকে বলা। ভুলল...
মুমিতের সঙ্গে মাঝে-মধ্যে আমার কৃত্রিম ঝগড়া হত। কৃত্রিম ঝগড়ার ক্ষেত্রে বিষয় তেমন একটা গুরুত্ব পায় না। তাই আমাদের বিষয় ছিল একটা মেয়ে। ক্যাডেট কলেজে- গেমস টাইমে কিংবা ডিনার থেকে একাডেমিক ব্লকে আসার সময় আমরা সেই মেয়েকে নিয়ে আলোচনা করতাম। মুমিত তার বাচ্চা বাচ্চা হাসিটা নিয়ে আমাকে বলত-
- মহিব, এসব ছাড়। বুঝলি?
[ অচল লেখক হিসাবে কলেজ লাইফের কাহিনী দিয়াই শুরু করলাম]
২০০০ সালের কথা।
স্কুলের গন্ডি পার হবার দুর্দান্ত আকাঙ্ক্ষা, সেই সাথে কলেজ নামক জিনিসটার প্রতি কোকেন টান আর এস এস সি-র ফলাফলের অপেক্ষায় দুরুদুরু দিন নিপাত।
কপাল ভালো।তাই রে...
কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে থাকাকালীন ধানমন্ডির ললিয়ঁস ফঁসেজ এ আমার দেখা প্রথম ছবি লাস্ট ট্যাঙ্গো ইন প্যারিস। ছবিটিতে এক কলেজপড়ুয়ার মাথায় আটকে থাকার মত অনেক কিছুই ছিল। আর উপরি হিসাবে নতুন নতুন শেখা ফরা...
একবার বলা কওয়া ছাড়া হঠাৎ করে চাকরী হারাই একদিন। তখন কিছুদিন এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে অস্থায়ী একটি কাজ করতে হয়েছিলো। সেই কাজটি করতে গিয়ে পরিচয় হয় আরেক বাঙালির সাথে। সে কলকাতার, নাম সঞ্জয়, বয়স সাতাশ-আটাশ। খুব হাসি খুশী, আন্তর...
মেঘবালিকার নাম মেঘবালিকা নয়। একটা ডাকনাম আর আরও একটা পোষাকী নামও আছে মেঘবালিকার। একটা নাম সে নিজেও দিয়েছে তাকে। নিজেকে সে নিজের দেওয়া নামেই ডাকে। নিজের সাথে কথা বলে, নিজেকে চিঠি লেখে মেঘবালিকা। সেই সব চিঠিতে সে তার স্বপ্নের ক...