আমরা আবার উত্তেজিত হয়ে উঠেছি । এবার আমরা হারিয়েছি আমাদের এমন দু জন বুদ্ধিজীবী কে যাদের স্থান অপূরণীয় । আমাদের এই উত্তেজনা কিছুদিন চলবে তারপর আমরা আবার ঝিমিয়ে পরবো। আমাদের আসলে কিছুই করার নেই। এমন করে এক একটি ঘটনা ঘটবে আমরা উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করবো । তারপর কিছু দিন পর উত্তেজনা প্রশমিত হলে নিজের কাজে বাস্ত হয়ে পরব । আবার কিছু ঘটবে আবার চেঁচাব । আমন করে আবার, আবার বারবার । আমাদের চোখের সামন
জাফর ইকবাল স্যার প্রায়ই বলেন যে তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় হচ্ছে যখন তাঁর বাচ্চারা ছোট ছিল। আমার বন্ধু শিবাজীর বাচ্চা হওয়ার পর থেকে সে জীবনের সার্থকতা নিয়ে রেগুলার নতুন নতুন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছে। আমাকে আমার ওয়াইফ এখনো মাঝে মাঝে বলে, “বাবুর জন্ম হওয়ার আগ পর্যন্ততো তুমি সহজে কাউকে বলতে চাইতে না। মনে হয় লজ্জা পেতে। কিন্তু বাবু জন্মানোর পর মহা আনন্দে সবাইকে ফোন করেছ, এলাকার আত্মীয়-পরিচিত সব
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে একলা হই। মানুষ হয়ে জন্মাবার একটা বড় সুবিধা বা অসুবিধা যেটাই বলি না কেন, তা হল, প্রচন্ড ভীড়ের মাঝেও একাকিত্বের স্বাদ নিতে পারা। চারিদিকে হই-হুল্লোড়, চিৎকারের মাঝে হুট করে নিজের মনে হারিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ যেমন থাকে, তেমনি আবার অনেক সময় একলা হতে চাওয়াটার পূর্ণতা প্রাপ্তি হয় না এই কোলাহলের কারণেই..
২০১০ এর শুরুতে আমাদের একটা একটা রিসার্চ-পেপার প্রেজেন্টেশন এর জন্য একটি কনফারেন্সে নির্বাচিত হল। কনফারেন্সটি ছিল মালোশিয়ার লাংকাভিতে। অনেক খুশি ছিলাম আমরা। পেপার একসেপ্ট হয়েছে এইজন্য না আমরা খুশি ছিলাম দেশের বাইরে ঘুরতে যাব বলে । অন্য সবাই হয়ত পরিকল্পনা করতো কনফারেন্সে কি কি করা যায় সেটা নিয়ে আর আমরা করেছিলাম কোথায় কোথায় ঘোরা যায়, কিভাবে সারারাত আড্ডা মারা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক অন
কবিতা পড়তে তেমন ইচ্ছে করত না সেসময় । একদিন এক সিনিয়র বললেন, “আবুল হাসান” পড়ে দেখ। কবির নামটা অতি সাধারণ মনে হল-এরকম কত নাম ঘুরে আমাদের চারপাশে। তাই পড়া হয়ে উঠলনা তখন।
১৯৯৭ সালের মার্চ বা এপ্রিল মাস। তারিখটা আজ এতদিন পরে মনে নেই। ঢাকায় আসার উত্তেজনায় তখন আমি বিভোর। আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি নটরডেম নয়তো ঢাকা কলেজে পড়ব। কলেজ দুটোর ব্যাপারে ছোটবেলাতেই বাবার কাছে গল্প শুনেছি। শুনেছি এখানে যারা পড়ে তারা নাকি অনেক বড় বড় জ্ঞানী। আর সেই কলেজে আমি ভর্তি হতে পারবো ভাবতেই যেন আমার ঘুম আসছিলো না।
বড় হয়ে যাওয়ার একটা মস্ত অসুবিধে হল ইচ্ছেমত ছোটবড় হওয়া আর চলেনা, সারক্ষন বড় সেজেই থাকতে হয়। অথচ ছোটরা কি মজা করে চাইলেই বড় হতে পারে, আবার ছোটও। এই যে ভাইয়ার ছেলেটাকে দেখি বাবার শার্ট টাই গায়ে জড়িয়ে, রঙের বাক্স হাতে ঝুলিয়ে গম্ভীর গলায় বলে, 'অফিসিস যাই'। এদিকে টলমল পায়ে দুপা যেতে না যেতেই লম্বা কাপড়টায় পা বেঁধে দড়াম করে পড়ে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে 'মাটিকে মারো, মাটিকে মারো!
ঠিক কবে আপনার নাম কোনো লিস্টে উঠেছিল বলতে পারেন? খুব সম্ভবত আপনার কোনো নাম হওয়ার আগেই। মানে আপনার জন্মের আগেই। আপনার মা-বাবা থেকে শুরু করে আপনার আত্নীয়-স্বজন হয়ত আপনার নামের লিস্ট করে রেখেছিলেন। হোক না সবগুলো নাম আপনার জোটেনি। তাও আপনার সম্ভাব্য নামের লিস্টতো! গতকাল থেকেই এই ব্যাপারটা আমার মাথার মধ্যে এমনভাবে কাজ করছে যে না লিখেও স্বস্তি পাচ্ছিনা।
(হাবিজাবি ধরনের লেখা। কাল একবার পোস্ট করে স্পিডের কারনে আটকায় গেল, বুঝতে পারিনি পোস্ট হল কিনা। তাই আবার পোস্ট করলাম আজকে। যদি মডারেশন প্যানেলে গতকালই আটকে থাকে তবে আবারো পোস্ট করার জন্য দুঃখিত। মুছে দেয়ার অনুরোধ থাকলো।)
***************
গতবারের ইস্কুলবেলার গল্পে কী যেন বলছিলাম?