[এখানে সংযুক্ত ছবি-১]
মরুযাত্রা
মনমাঝি
(১ম পর্ব)
One Moment in Annihilation’s Waste,
One Moment, of the Well of Life to taste –
The Stars are setting, and the Caravan
Draws to the Dawn of Nothing – Oh make haste !
-- Omar Khayyam*
(১)
প্রাচীন মিশরী মরুভূমির বুকে পিঠ ঠেকিয়ে মাথার উপর প্রাগৈতিহাসিক তারার মেলার মধ্যে কোন এক নিহারীকাপুঞ্জে হারিয়ে গেছি। এমন সময় আমার সমগ্র অস্তিত্ব বিবশ করে চারিদিকে ঝমঝমিয়ে নামলো এক আদিম নিরবতা আর শুন্যতার মহাসমুদ্র। স্থান-কাল নিয়ে আমার পরীক্ষাট ...
ঠিক কতদিন ধরে তুমি আমার রিকশার পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাও বলতে পারবনা। আসলে খেয়াল করিনি, হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করলাম তোমাকে, আমার পড়ার টেবিল থেকে সরাসরি একটা বাড়ীর আঙ্গিনায়| মিলিয়ে নিলাম , হমমম এই ত সেই ছেলেটা। এভাবে চলতে লাগলো।।এর মাঝে জানতে পারলাম তুমি কনক, আমার সমবয়সী মানে একই ক্লাস এ পড়।সেই বয়সে যা হয়, ভালোই লাগে, অন্য আর দশ জনের মতই ভেবেছিলাম তোমাকে। কিন্তু তুমি ছিলে অন্যরকম , প ...
তোমার তখন একত্রিশ
তাজা আগুনের স্বাদ নিতে নিতে চূড়ান্ত নির্বাসন,
এই ওরা পেরেছিল বারবার, যার শুরু যখন তুমি সতেরো,
খুঁজেছিলে সাধারণের স্বপ্ন আর বিপ্লব রাজনীতির ভুল পথে
অথবা যার কোন পথ নেই,
বলেছিলে গল্প, হাতিয়ার আর ক্ষুধার চিরন্তন সংঘাতের
চোখে তুলেছিলে আঙুল সেইসব বুদ্ধিজীবীদের যারা রাজনীতি করেনা,
শুধু প্রচুর সুখে আর প্রাচুর্যে হয়ে থাকে অথর্ব, অকেজো
শিখিয়েছিলে বিপ্লবের দ্যুতি ...
আমার বয়স তখন কত! বারো কি তের! কুমিল্লা জিলা স্কুলের ছাত্র ছিলাম, তখন সম্ভবত ক্লাস সেভেনে। একদিন স্কুল থেকে ফিরছি। সাইকেল তখনো পাইনি বলে, সকালে বাবা রিকশায় করে নামিয়ে দিয়ে যেত স্কুলের গেটে। বই কেনার নেশা হয়ে গিয়েছিল তাই ফেরার পথের রিকশা ভাড়া বাঁচিয়ে ঠাকুরপাড়া’র বাসা পর্যন্ত আমি হেঁটেই ফিরতাম। ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়ে একদিন বাড়ি ফিরছিলাম খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেটেঁ।
উদ্দেশ্য, ...
দেশ ছাড়ার আগে গ্রামের বাড়িতে নানা নানী আর অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করার সময় পাইনি। নানা ব্যাস্ততা, সবছেয়ে বড় কারন, প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে থাকতে চাইনি। আমার স্বপ্ন ছিল তার সাথে সমুদ্র সৈকতে সুর্যাস্ত দেখা। অনেকবার চেষ্টা করেও সু্যোগ পাইনি। অবশেষে পেয়ে গেলাম, অফিসিয়াল টুর।
একসাথে যেতে পারিনি, ওর অফিসের কাজের জন্য। রাতের বাসে যাবে ও, আমি গিয়েছি একদিন আগে। যদিও কাজ করতে ...

ক্রিকেটার আলু হকের পুরষ্কার-বিতরণী অনুষ্ঠানগুলিতে বক্তৃতার মত বলতে ইচ্ছা করে, “আল্লা আমার পরে বড়ই মেহেরবান। তিনি আমার গুরুজিরে বড়ই দরাজদিল করে গড়েছেন, ইনশাল্লা তাঁর দয়ায় এই দিনদুনিয়ার নানা কোণা ঘুরে ফেললাম এই বয়সেই। মাশাল্লা, সেসব জায়গার সচল বন্ধুরা আমাকে মেহেরবানি করে অনেকটা সময়ও দিয়েছেন। খোদাতালার দয়া থাকলে ভবিষ্যতে আরো সচলদের সঙ্গে দেখা হবে, উমিদ রাখি। আলহামদুলিল্লাহ।”
মানুষের উপকার করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি সবসময় চাই মানুষের উপকার করতে, ছোটবেলায় পড়া রচনাগুলোর মত উপকারি প্রাণি হতে। কিন্তু কেউ বিপদে না পড়লে উপকার কেমনে করুম? তাই আমি তক্কে তক্কে থাকি কখন কেউ বিপদে পড়বে আর আমি উপকার করমু। দরকার পড়লে আমিই বিপদে ফালামু, তারপরে সাহায্য করুম। কিন্তু উপকার আমারে করতেই হইবো।
তখন মনে হয় ক্লাস ওয়ান এ পড়ি। উপকারের প্রবল নেশা। এটাই স্বাভাবিক। যারা বড় ...
জীবনে কোন না কোন সময় সব মানুষই নাকি একবার হলেও কবি হয়। আমিও হয়েছিলাম। কাঁচাহাতে লেখা কৈশরের দুর্বল কবিতা, কিন্তু তাতেই আমার জীবন ঝালাপালা। নব্বুই-একানব্বুইয়ের দিককার ঘটনা। আমি সবে মাত্র মাধ্যমিকের পাট চুকিয়েছি। মফস্বল শহরে বন্ধুত্বের বৃত্তে চলছে জীবন। বন্ধুদের কেউ নব্য বিপ্লবী --- বামপন্থায় দীক্ষা নিচ্ছে। কেউ বা নব্য কবি --- কাব্য সাধনায় ব্যস্ত। এদের মাঝে বেমানান আমি ক্রীড়াম ...
নজরুলের কেনা ফুটবল খেলতে সপ্তাহে চারআনা চাঁদা দিতাম। নাড়া ক্ষেতে বলে শট দেয়ার চেয়ে, বল নিয়ে কাড়াকাড়িটা-ই বেশী হতো। "কাড়াকাড়িতে" হেরে গিয়ে তাকে উন্নত করতাম "কিলাকিলিতে"। দুটোর শুরুই আমি করতাম কিন্তু হারতাম দুটোতেই।
কিলাইয়া আমারে তক্তা বানানোর পর হয়তো একটু মায়াও হতো। তাই কখন যেনো আমাদের চিরশত্রুতা কমতে কমতে একটু বন্ধুত্বের দিকে গেলো। সেটা হাসেমের কারণেই। ক্লা ...
বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বিভাগীয় শহর আর বিভিন্ন জেলা শহরে সরকারি কলোনী অথবা সরকারি বাংলো থাকে। কলোনীগুলোতে থাকার অভিজ্ঞতা কখনও কখনও খুব বিচিত্র, বিশেষ করে কলোনীগুলো যখন হয় বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রীয় বা প্রধান সরকারি কলোনী। আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা নিয়ে শৈশবের বড় একটা সময় কেটেছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস (সেন্ট্রাল গভার্ণমেন্ট ষ্টাফ)কলোনীতে। এ লেখাটা ...