আফ্রিকায় পেঙ্গুইন, আফ্রিকার পেঙ্গুইন !

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৮/২০১১ - ১০:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সর্পিল পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে গাড়ী ছুটে চলেছে আফ্রিকা মহাদেশের সর্ব দক্ষিণের প্রান্তবিন্দু কেপ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে, কেপ পয়েন্ট থেকেই নাকি আটলান্টিক মহাসাগর আর ভারত মহাসাগরের মিলন স্থল দেখা যাবে, দুই বিপুল জলরাশির মিলনস্থলে চলছে প্রতিনিয়ত এক বিশাল কর্মযজ্ঞ, দুই স্রোতের জলের রঙটাও আলাদা, যেমন আলাদা লাগে পদ্মা- মেঘনার মিলনস্থলে, এখানে শুধু আরও অনেক ব্যপক আকারে।
IMG_4262
সে কি পথ, এক পাশে উঁচু পাহাড় আর অপর পাশে বিশাল খাদ, ঢালের মত নেমে গেছে সাদা বালির সৈকতে, মহাসাগরীয় বেলাভূমির চরণ স্পর্শের আশায়। ঘন সবুজ জঙ্গল (টেবিল মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কে বেড়ে ওঠা একাধিক প্রজাতির উদ্ভিদ বিশ্বের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না)
IMG_4229
আর খানিক পরপরই রোমাঞ্চ জাগানিয়া তীক্ষ বাঁক কেপ পয়েন্টের এই রাস্তাকে পরিণত করেছে বিশ্বের অন্যতম নয়নাভিরাম পথে, যে কারণে হলিউড- বলিউডের রূপালি বানিজ্যে প্রায়শই এর স্থান হয় সেলুলুয়েডের ফিতায়।
IMG_4187
IMG_4270
DSC04079
IMG_4251
গাড়ী চালক স্থানীয় স্যামুয়েল জানালো প্রায়ই পাহাড়ি রাস্তা বিধায় পাথর গড়িয়ে পড়ে পথ বন্ধ থাকে, তখন একমাত্র অবলম্বন ধীর প্রতিক্ষা। চলন্ত গাড়ী থেকেই নজরে আসে অলস বানরের দল আর সামুদ্রিক পাখির ঝাক।
IMG_4258
IMG_4204
কেপ পয়েন্ট দর্শন শেষে আমাদের বাহন চলল উল্টো রাস্তায় মহাসুমদ্রের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা চিত্রপটের সাজানো ছবির মত সাজানো শহর জেমস টাউনের পানে, সেখানেই তো আমাদের আজকের যাত্রার মূল আকর্ষণ- পেঙ্গুইন কলোনি ।
IMG_4223
জী পাঠক, ঠিকই পড়েছেন, পেঙ্গুইন! আমাদের গ্রহে বর্তমানে যে ১৭ ধরনের পেঙ্গুইন বাস করে তার মধ্যে কেবল মাত্র একটিই আফ্রিকা মহাদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাসরত, তাও সর্ব দক্ষিণের অন্তরীপের কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বীপ আর সৈকতে, নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। পেঙ্গুইন শব্দটা কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্রই আমাদের মানসপটে নিজের অজান্তেই ভেসে ওঠে বরফাচ্ছাদিত তেপান্তরে হেঁটে বেড়াচ্ছে সাদাকালো কোট পরা মানুষের মত একদল পাখি, প্রকৃতি যাদের উড়াল ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দিয়েছে সাতারের ও জলের নীচে ডুব দেবার অপাখীয় ক্ষমতা।
IMG_4364
আফ্রিকার মত তীব্র গরমের ভূখণ্ডে পেঙ্গুইন আসল কি করে! আসলে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে যখন অ্যান্টর্কটিকা ও আফ্রিকা একসাথে ছিল তখনই এই আফ্রিকান পেঙ্গুইনদের পূর্বপুরুষদের আগমন ঘটে এইখানে, পরবর্তীতে মহাদেশীয় প্লেটগুলো পরস্পরের থেকে সরতে থাকলে আর ফিরে যাওয়া হয়নি তাদের। ১৭ ধরনের পেঙ্গুইনই থাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দক্ষিণ গোলার্ধে- অ্যান্টর্কটিকা, আফ্রিকা , দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে। কেবলমাত্র তীব্র ঠাণ্ডার বরফঢাকা ভুমিতেই নয়, পেঙ্গুইন স্থায়ী ভাবে থাকে আমাদের গ্রহের সবচেয়ে শুষ্কতম স্থান চিলির আটাকামা মরুভূমিতেও, যার মধ্যাঞ্চলে আজ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোন রেকর্ড নেই! তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষুবরেখার ঠিক কাছাকাছিই এর অবস্থান, মহামতি চার্লস ডারউইনের স্মৃতিধন্য গ্যালোপাগাস দ্বীপপুঞ্জে স্থায়ী ভাবে বসবাসরত গ্যালোপাগাস পেঙ্গুইন। আকার-আকৃতিতেও আছে বিস্তর ফারাক, পেরুর মরুভূমিতে পাওয়া গেছে ৫ ফিট লম্বা দানব পেঙ্গুইনের জীবাশ্ম আর বিবর্তনের কঠিন স্রোতে টিকে যাওয়াদের মাঝে বর্তমানে সবচেয়ে বড় আকারের পেঙ্গুইনের নাম এম্পেরর পেঙ্গুইন( সম্রাট পেঙ্গুইন), রেকর্ড ৪ ফিট উচ্চতায় পৌছাতে পারে তারা, তবে এই বিশাল পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরাই কিন্তু দেড় থেকে দুই ফিট উচ্চতার মোটামুটি লিলিপুট আকৃতিরই হয়ে থাকে।
জেমস টাউনের শহরতলীর অল্প দূরেই সেখানকার পেঙ্গুইন বসতি, এর আকর্ষণে প্রচুর পর্যটক আসে বিধায় নানা লোকজ সামগ্রীর বিপণন ব্যবস্থাও গড়ে উঠেছে একে কেন্দ্র করেই। সামনে বড় করে সাইনবোর্ডে তীর চিহ্ন দেওয়া- পেঙ্গুইন!!
IMG_4382
টিকেট কেটে অনধিকার প্রবেশ করলাম তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থানে, মোটা মোটা গাছের গুঁড়ির নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হতেই নাকে এসে লাগল বিকট এক মেছো গন্ধ! আরে বাবা, মাছের রাজ্যে এসেছি, আর পেঙ্গুইনরাও মাছখেকোই, একটু-আকটু গন্ধ নিয়ে এত অভিযোগ কিসের?
সেই সময়ই দৃষ্টি সীমার এল পাথুরে বোল্ডারগুলোর ধার ঘেঁষে যে সবুজ ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদগুলোর রাজত্ব বিস্তারের চেষ্টা করছে বালির সাম্রাজ্যের উপরে, তার এক কোণে হেলেদুলে এগিয়ে আসছে দুটি সাদাকালো প্রাণী, আমাদের বহু প্রতীক্ষিত পেঙ্গুইন!!
IMG_4324
সেই কবে স্কুল জীবনে অ্যান্টার্কটিকা ফেরত অভিযাত্রী ইনাম আল হকের নজর কাড়া সব ছবি নিয়ে জি কিউ গ্রুপের ক্যালেন্ডার দেখেছিলাম, যদিও সেগুলো বরফ মহাদেশের ভিন্ন প্রজাতির পেঙ্গুইন ছিল, আর আজ চোখের সামনে দেখলাম জীবন্ত পাখি রাজ্যের বিস্ময়গুলোকে!
অতি আদরণীয়, দেখলেই মনে হয় কি তুলতুলেই না হবে এরা, একটু ছুয়ে দেখব নাকি! এই জন্যই হয়ত পেঙ্গুইনের বিচরণক্ষেত্রে ঢোকার আগেই অত্যন্ত কড়া ভাবে লেখা আছে- এদের স্পর্শ করা ও খাবার দেওয়া নিষিদ্ধ, শত হলেও এতো চিড়িয়াখানার পাখি নয়, বুনো স্বাধীন সত্ত্বা। এরাও কোন রকম ভয় ডর না দেখিয়ে চলেও আসে মানুষের অতি কাছে।
ক্ষুদে পাখিগুলোর পিঠ কুচকুচে কালো পালকে আবৃত, কিন্তু পেটের নিচটা সম্পূর্ণরূপে ধবধবে সাদা পালকের, ডানা কালো আর চোখের উপরে সামান্য জায়গা জুড়ে গোলাপি গ্ল্যান্ড। এমনটা সাদাকালো হবার পেছনের কলকাঠি নেড়েছে কোটি বছরের বিবর্তন- পানির তলের শিকারি প্রাণীরা নিচ থেকে দেখার চেষ্টা করলে ধবধবে সাদা পেটের কারণে তা সাগরের জলে প্রায় অদৃশ্য দেখাবে আর উপর থেকে শিকারি পাখিদের নজরে কালো পিঠ আর নিকষ কালো জল মিলিয়ে দেখা যাবে না কিছুই।
IMG_4335
এরপরে একের পর এক অসংখ্য পেঙ্গুইন চোখে পড়ল গোটা কলোনি জুড়ে, অধিকাংশই জোড়ায় জোড়ায়, অনেকে দলবদ্ধ ভাবে। বিশেষ করে বাচ্চা পেঙ্গুইনগুলো যেগুলোর গায়ে এখনো রোমশ হতশ্রী দর্শন পালক, তাদের অধিকাংশই দেখি একসাথে জটলারত আর তাদের তত্ত্বাবধানে আছে কোন পূর্ণ বয়স্ক পেঙ্গুইন!
DSC04073
থেকে থেকেই কানে আসছে তাদের খচ্চর সদৃশ তীক্ষ নিনাদ, যে কারণে এ প্রজাতির নামই ছিল আগে জ্যাক-অ্যাস পেঙ্গুইন, পরে দেখা গিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি অন্য প্রজাতির পেঙ্গুইনরাও প্রায় একই ধরনের আওয়াজ উৎপন্ন করে, তাই এদের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় কালো পা পেঙ্গুইন বা আফ্রিকান পেঙ্গুইন।
তাদের বসতিতে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবলোকন করা এক অতি নির্মল আনন্দদায়ী অভিজ্ঞতা, ঘন্টার পর ঘণ্টা চলে যাবে এই অতি সুন্দর পাখিগুলোর পায়চারী, ডিমে তা দেওয়া, নিজেদের মধ্যকার খুনসুটি দেখে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের সেখানে অবস্থানকালীন সময়টা তাদের শিকারের সময় ছিল না, কাজেই রূপো রূপো মাছের ঝাকের সন্ধানে তাদের মহাসমুদ্রে ঝাপিয়ে পড়ার দৃশ্যটা অদেখাই থেকে গেল। কিন্তু একাধিক পেঙ্গুইনকে পাওয়া গেল ডিমে তা দেওয়া রত অবস্থায়। কোথাও একটু পাথুরে মাটি খুঁড়ে, কোথাও বা আবার অল্প কিছু নুড়ি পাথর জমিয়ে তার উপরেই ডিমে তা দেয়া চলছে পালাক্রমে।
IMG_4336
জানা গেল পানিতে পেঙ্গুইনের শত্রু হিসেবে যেমন আছে হাঙ্গর, সীল, কিলার হোয়েল ঠিক তেমনি ডাঙ্গায় আছে বেজী, বিড়াল, কুকুর, কয়েক প্রজাতির বড় পাখি। কিন্ত এদের সবচেয়ে বড় শত্রু – মানুষ! যে কারণে ১৯১০ সালে দেড় মিলিয়ন আফ্রিকান পেঙ্গুইন থাকলেও আজ মাত্র একশ বছরের ব্যবধানে তাদের সংখ্যা শতকরা নব্বই ভাগ কমে গেছে! মূল কারণ- মানুষ কতৃক তাদের ডিম সংগ্রহ, সারের নামে তাদের বর্জ্য সংগ্রহের সময় বাসস্থানের ক্ষতি করা, আর নিকটবর্তী সমুদ্রে তেলবাহী ট্যাংকারের দূষণ।
IMG_4330
IMG_4345
আশাজাগানিয়া কথা, বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার সরকার এদের রক্ষায় যথেষ্ট তৎপর, সেই সাথে স্থানীয় জনগণ আগের চেয়ে অতি অল্প হলেও সচেতন। আশা করা যায় আগামী অনেক বছরেও তাই আমরা দেখতে পারব আফ্রিকার এই কোট পরা ভদ্রলোকদের তাদের আপন বুনো মুক্ত পরিবেশে।
IMG_4323


মন্তব্য

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

আপনে দেখাইলেন বস।
মানুষ সব প্রজাতিরই বড় শত্রু। এ পর্যন্ত কতগুলো প্রজাতিকে যে দুনিয়া থেকে লোপাট করে দিয়েছে তার কোন ইয়াত্তা আছে কিনা কে জানে।

আর একটা অফটপিক জিনিস জানতে খুব মঞ্চাইতেছে- আপনে টোটাল কয়টা দেশ ঘুরছেন?

তারেক অণু এর ছবি

ইয়ত্তা নাই ! আসলেই নাই!! মানুষ তো শুধু অন্য প্রাণীই না, নিজের জাতকেও অনেক অঞ্চলে নির্মূল করে ছেড়েছে।
ইয়ে, সত্যি কথা হল কক্ষনো গুণে দেখিনি, আসলে উত্তর মেরু যাবার পর মনে হল এই জায়গাটা দেশ দূরে থাক, কোন বিশেষ মহাদেশের মাঝেও পড়ে না, তখন থেকেই আর কাউন্ট হয় নি। আসলে, যে যাই বলুক, আমাদের দেশ তো একটাই, এই পৃথিবী, সীমানারেখা তো মানুষের তৈরি। আবার বেশী ভাল লাগার অঞ্চলগুলোতে বারংবার যাওয়া হয়েছে, সেই দেশগুলোতো একবারের বেশী গোণা যায় না, তাই না!!

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

ইয়ত্তা নাই ! আসলেই নাই!! মানুষ তো শুধু অন্য প্রাণীই না, নিজের জাতকেও অনেক অঞ্চলে নির্মূল করে ছেড়েছে।

আসলে উত্তর আমেরিকা কিম্বা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের চিত্র কল্পনা করলে আমদের চোখে সাদা চামড়ার মানুষের ছবিই ভেসে ওঠে। কিন্তু এমন ভেসে ওঠার পেছনের কাহিনীতো অনেক নির্মম।

আবার বেশী ভাল লাগার অঞ্চলগুলোতে বারংবার যাওয়া হয়েছে, সেই দেশগুলোতো একবারের বেশী গোণা যায় না, তাই না!!

মজায় আছেন খুব!!!

তারেক অণু এর ছবি
ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

উত্তমাশা অন্তরীপ (কেপ অফ গুড হোপ) ও দেখেছেন নিশ্চয়ই। জায়গাটার কি কোন বিশেষত্ব আছে?

তারেক অণু এর ছবি

যে জায়গার কথা লিখেছি এবং ছবি দিয়েছি সেটাই উত্তমাশা অন্তরীপ (কেপ অফ গুড হোপ), কেপ পয়েন্ট আর ঐ টা পাশাপাশি, বা একই জলসীমানা

অপছন্দনীয় এর ছবি

নাহ, আপনাকে যে ঠিক কী করতে ইচ্ছে করছে ঠিক করে উঠতে পারছি না রেগে টং

(পৃথিবীর কতটুকু দেখতে বাকি?)

চলুক চলুক চলুক

তারেক অণু এর ছবি

প্রায় পুরোটাই বাকি, তবে এই বছরের শেষ নাগাদ খানিকটা দেখা হয়ে যাবে আসা রাখি হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

২ সপ্তাহের নেটবিহীন সময়ের আগে এটাই কি শেষ পোষ্ট? আবারো মনে পড়ে গেলো কেপটাউনের কথা, আহা, কি নয়নাভিরাম আর একসাথে দুইটা মহাসাগর সন্দর্শন, ছবিগুলো খুঁজতেছি। কাজের চাপে গেলে যা হয়, দু’পা ফেলে অনেককিছুই দেখা হয়না। আপনি থাকায় তবুওতো রক্ষা, অন্তত ঘোলের সোয়াদ মিটলো। তবে আবার যাবো নিশ্চিত হাসি

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই যাবেন। আমিও যেতে চাই, তবে হাতে সময় বেশী নিয়ে, রোবেন দ্বীপটাও বাকী আছে। ফ্লাইট তো শনিবার বিকেলে, তার আগে হয়ত আরো লেখা পোষ্ট করব, কিন্তু আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের একজনকে (বিশ্বের সেরা পাঠক বলা হয় তাকে) নিয়ে একটা লেখা শেষের পর্যায়ে, ঐটা অবশ্যই শেষ করতে চাই।

রু (অতিথি) এর ছবি

দ্যাখো ছেলের কান্ড!! আফ্রিকাতেও চলে গিয়েছে সে।

আফ্রিকার পেঙ্গুইনের কথা জানতাম না। লেখা ও ছবি খুব সুন্দর।

তারেক অণু এর ছবি

হাসি আফ্রিকাতো আমাদের সবারই আদি ভূমি, যেতে তো হয়ই! অনেক ধন্যবাদ

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

রিয়েলি সার্প্রাইজ্ড!!!!! অসাধারণ ভ্রমণ, অসাধারণ বর্ণনা আর ছবি!!!! শেয়ার করে ফেলেছি আরো আগেই................ চলুক

অটঃ অণুদা, কয়েকটা পেঙ্গুইন কোলে করে নিয়ে আসতেন?? হো হো হো


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

তাহলে খানিকটা হলেও সারপ্রাইজ দিতে পেরেছি, ঈষৎ দা চোখ টিপি আগেই বলেছিলাম !!! ঐ আনতে আনতেই তো মানুষের শখের কারণে কত প্রাণী নাই হইয়ে গেছে, তবে সামর্থ্য হলে বিরল কোন পশু বিশেষ করে তুষার চিতা দত্তক নেবার চিন্তা আছে, মানে সে বুনো পরিবেশেই থাকবে, আপনি তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছু টাকা দিবেন। আর স্টিভ আরউইনের মত না পড়লেও ট্রপিক্যাল কোন দেশে কিছু জমি খরিদ করে ফেলে রাখতে চাই, কেবল পশু পাখিদের জন্য। শুনেছি ইকুয়েডর, ভেনিজুয়েলাম কোস্টারিকায় এমনটা করা যায়, দেখি, স্বপ্নের তো শেষ নাই==

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

হুমম তাতো হয়েছিই, প্রতি লেখাই করে থাকে। হাসি

তা ঠিক, তবে আপনার স্বপ্নটি অপূর্ব চলুক , শুভ কামনা রইলো অণুদা। বাংলাদেশের জন্য পরিকল্পনা আছে কিছু? তুষার চিতার কথা শুনে তো খুব আগ্রহী হয়ে উঠলাম। সাথে আছি, পাশে আছি, আপনি পৃথিবী ঘুরে ফেলুন। আর একটা দাবী জানায় রাখলাম, সমস্ত ভ্রমণ কাহিনির সংকলন চাই, একটা বই চাই, মাথায় থাকে যেন। হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ। অবশ্যই, দেশের জন্য কাজ তো করছেনই সব সময় অল্প কজন নিবেদিত প্রাণ। জানাবো, ভালো থাকবেন

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এবারের ছবিগুলো বেশিমাত্রায় ভালো লেগেছে। আচ্ছা, অ্যান্টার্কটিকার পেঙ্গুইন আর এই পেঙ্গুইনের মাঝে চারিত্রিক পার্থক্য নেই? যেমন ডিমে তা দেয় কি বাবা-মা দুইজনই, খাবারের দায়িত্ব কার, ইত্যাদি।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তারেক অণু এর ছবি

আসলে আপনাদের সবারই পিঙ্গুদের আদুরে ছবিগুলো বেশী ভালো লেগেছে, তাই না !! পার্থক্য তো আছেই খানিকটা, বিশেষ করে যারা সমুদ্র থেকে অনেক দূরে মূল ভূখণ্ডেই শীত অতিবাহিত করে, বা আগ্নেয়গিরির উত্তাপে ডিম থেকে বাচ্চা ফোঁটায়। ১৭ ধরনের পেঙ্গুইন ভাই, লিখতে গেলে রাত কাবার!!! অন্য কোন ফিচারে সবগুলোর ছবি সহ লেখা যেতে পারে

মিলু এর ছবি

ছবি আর লেখা দুটোতেই চলুক চলুক চলুক

তারেক অণু এর ছবি
তারাপ কোয়াস এর ছবি

দারুণ! এই স্থানের কোটপরা ভদ্রলোকদের নিয়ে করা একটা ডকু'তে দেখে অবাক হয়েছিলাম কারণ পেঙ্গুইন মানেই বরফ আচ্ছাদিত কোন স্থানের চিত্র প্রথমে মনে আসে।
পোষ্টে উত্তম জাঝা!


love the life you live. live the life you love.

তারেক অণু এর ছবি

হাসি আমিও একটা ডকু দেখেছিলাম Peanguin Coast নামে বিবিসির করা, তাতে ল্যাতিন আমেরিকার মহাসাগরীয় তীরবর্তী শুষ্ক স্থান ও মরুভূমিতে বসবাসরত পিঙ্গুদের দারুন সব ক্লিপ ছিল। ধন্যবাদ

ফাহিম হাসান এর ছবি

ছবি-লেখা মিলিয়ে দারুণ পোস্ট হয়েছে অণু ভাই। আফ্রিকার পেঙ্গুইনদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আপনাকে হাততালি

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ফাহিম ভাই হাসি

আশালতা এর ছবি

আফ্রিকার পেঙ্গুইনদের ডকু দেখেছিলাম আগে। কিন্তু পোস্ট খুলে প্রথম ছবিটা দেখেই নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল কিছুক্ষনের জন্য। বাকি ছবি এবং লেখা অনবদ্য। ছোটবেলায় রবিন্সন ক্রুসো পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এইম ইন লাইফ হবে পর্যটক হওয়া। জাহাজের নাবিক হয়ে পয়সা কামাই করে দুনিয়া ঘুরে বেড়াব। ছোট একটা সমস্যার কারণে সেটা হলনা। সমস্যাটা জেন্ডারের। এই নিয়ে সৃষ্টিকর্তার সাথে মেলাই ঝগড়া করেছি, তার ফলও ফলেছে মারাত্মক। বাক্সবন্দি হয়ে গিয়েছি। এই রকম পোস্টগুলো তাই দারুন এক একটা জানালা মনে হয়। যাতে দুনিয়া দেখা যায়। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তারেক অণু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপু, খুব উৎসাহদায়ক মন্তব্য করেছেন, সেই সাথে সত্যিকারের খুশি হতাম আপনার স্বপ্ন পূরণ হলে। অনেক দেশেই এই বৈষম্যগুলো কমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, আমাদের পাশের দেশ নেপালেও সবাই খুব স্বাধীনচেতা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশেও হবে নিশ্চয়ই--

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনার ক্যামেরাখানা কী? বেশ ঝকঝকে ছবি হইচে দেকি!

তারেক অণু এর ছবি

এই ছবিগুলো ক্যানন 40 D দিয়ে তোলা, ভা্লই চলছিল বুয়েছেন মশাই, কিন্ত একবার গেল হিমালয়ে বিগড়ে, ব্যস, মামুর বুট কে লিয়ে লিলাম গ্যারেজ করে মন খারাপ

দিহান এর ছবি

তারেক অণু, ঘুরতে তো টাকা পয়সা লাগে নাকি?!

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

তারেক অণু এর ছবি

লাগে না আবার !!! ঐটাতেই তো মাঝে মাঝে দেরি হয়ে যায়, বিশেষ করে দেশের পতাকা হাতে যা করেছি সবই তো পকেটের শ্রাদ্ধ করে !! মনে হচ্ছে অন্য উপায় বের করা জরুরী হয়ে পড়েছে---

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ঘণুদা যা দেখাচ্ছেন, ব্যাডভেঞ্চার গপ্পো ফাঁদা ছেড়ে চানাচুর বেচতে বেরিয়ে পড়বো ভাবছি...

তবে আফ্রিকান এই পেঙ্গুইনদের দেখতে কিন্তু সেরকম ভালো লাগলো না। মানে বরফ অঞ্চলের পেইঙ্গুনেরাই বেশি সুন্দর দেখতে- টিভি দেখা জ্ঞানে বললাম।

তারেক অণু এর ছবি

হেই হেই, সুহান ভাই আমার পেটেন্ট করা নাম নিয়ে ভেজাল করছে, ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে মনে হচ্ছে হিল্লোল দা কে বলে!!! চোখ টিপি
চানাচুর, আহা, বড় আকারের স্নিগ্ধ সাদা সাদা মুড়ির মাঝে উজ্জল লাল টম্যাটো, কচকচে সবুজ মরিচ, ঝাঝালো সরষের তেল, সাথে সুহান স্পেশাল চানাচুর, বাইরে ঝুম বৃষ্টি, আর কি লাগে!!! এক কাপ চা হলে আড্ডাটা আরেকটু জমত বটে---

সুমন_তুরহান এর ছবি

সুন্দর লেখা ও ছবির জন্যে ধন্যবাদ প্রিয় পর্যটক! হাততালি

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা, স্বাগতম হাসি !

সাইফ জুয়েল এর ছবি

এন্টার্কটিকার বাইরে পেঙ্গুইন আছে এই কথাটা জানাই ছিল না। আনেক নলেজ আহরন করলাম। তাই ধন্যবাদ তারেক অনুকে। দেশ বিদেশের আরো বিপন্ন প্রজাতির প্রানীদের সম্পর্কে জানতে চাই আপনার লেখনি থেকে।

তারেক অণু এর ছবি

চেষ্টা করব ভাই, ধন্যবাদ।

virus এর ছবি

আসমান থেকে পরলাম আফ্রিকার পেঙ্গুইনের কথা শুনে। বন্য প্রাণী সম্পর্কে আমার জ্ঞান ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল এবং অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট এ সীমাবদ্ধ। উপকৃত হলাম আপনার জ্ঞান বিতরণ এর কারণে। ধন্যবাদ।

তারেক অণু এর ছবি

অনেক শুভেচ্ছা হাসি

তারেক অণু এর ছবি
অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

দারুণ!


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

তারেক অণু এর ছবি
অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখা সম্পর্কে নতুন কোনো মন্তব্য পাচ্ছি না।
এটা দিলাম তার বদলে। টাটকা টেড, গন্ধেই মন ভরে যায় চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারেক অণু এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বরফ ছাড়া যে পেঙ্গুইন থাকে তা জানতাম না...
ম্রাত্মক ব্যাপার দেখি

আপনের পোস্ট দেখলে দিন দুনিয়ার উপরে বিলা হয়ে যাই... ঘর সংসার ছেড়ে উড়াল দিতে ইচ্ছা করে মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

তাহলে পোস্ট দিব না বলছেন!! আপনি উড়াল দিলে ভাবী পাতাল থেকে হলেও খুঁজে বাহির করে বলবে -এই ফাজিলটার জন্যই আমার শান্ত শিষ্ট জামাই আজ বনে বাদাড়ে বাঁদরামি করে বেড়াচ্ছে!!!! ঊড়াল দিয়েন না মিয়া ভাই!

তিথীডোর এর ছবি

ইয়াল্লা, এন্টার্কটিকার বাইরেও পেঙ্গুইন আছে, এই প্রথম শুনলাম কথাটা! 'জানার কোন শেষ নাই....' চিন্তিত

কী কপাল নিয়ে যে আপনি পিথিমিতে এসেছিলেন!! (গভীর দীর্ঘশ্বাসের ইমো)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

এমনি এমনি!

তারেক অণু এর ছবি

জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই !!! তাই নাকি চোখ টিপি আরে না, কপালের নাম গোপাল, কপাল বলে কিছু নাই চিন্তিত

Shakir Ahmed এর ছবি

ভাইজান, অসাধারন
আপনার অন্যান্য ভ্রমনের এরকম সহজ সরল ভাষায় (জটিল) বর্ণনাগুলো আমি কোথা থেকে পরতে পারবো? আমি একটাও মিস্ করতে চাইনা....... আপনার মত ঘুরতেও পারছি না, সে সুযোগ বা সাধ্য নাই, আর পারলেও এত সুন্দরভাবে বর্ণনা দিতে পারতাম না। চালিয়ে যান ভাই, বেস্ট অফ লাক।

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনিও পারবেন, কেবল শুরু করে দেন, ব্যস!
সচলে কিছু লেখা আছে, অন্যান্য লিখি দেশের কিছু পত্রিকাতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।