সান শাইন

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৭/২০০৮ - ৮:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি যেখানটায় বসে কাজ করি সে ঘরটাতে ছয় জন বসার জায়গা রয়েছে। ডিপার্টমেন্টের সবচাইতে ভালো অফিসটা আমাদের। সব চাইতে ভালো কেন? আমাদের অফিসে আছে

----- একটা ছোট্ট ফ্রীজ
----- একটা বেসিন (হাত মুখ ধোবার জন্য)
----- আলিশান টেবিল; L shape এর, (প্রত্যেকের জন্য)
----- দুর্দান্ত সব চেয়ার (বসলে ভেঙ্গে পড়ে না !!)
----- কফি/চা বানানোর যন্ত্র
----- ছয়জন সদস্যের মাঝে তিনজন রমনী, এর মাঝে একজন হচ্ছেন, ভালো বাংলায়--'উদ্ভিন্ন যৌবনা', শুধু তাই নয়, ভীষন Friendly....... (যে যার মত বুঝে নেন)

একটা শাওয়ার, আর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে আমি হয়ত বাড়িতেই আর যেতাম না। সারা ডিপার্টমেন্টের সবার তাই আমাদের এই অফিসের প্রতি কুনজর। তবে শকুনের দোয়াতে গরু মরা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।

ছয়জনের এই অফিসে সব চাইতে বড় আকর্ষন হল----- নাহ হল না, ঐ মেয়েটা নয়, আমি!!! (হে হে হে ) কারন? কারন হিসেবে আমি সাধারনত আমার চমৎকার আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব, প্রথম শ্রেনীর রস বোধ, প্রগাঢ় জ্ঞান ইত্যাদির কথা উল্লেখ করতে পারি। দূর্মুখেরা অবশ্য বলে যে, আমার টেবিলে রাখা বাদাম আর (প্রায়) উদাম মেয়েটাই আমাদের অফিসের মূল আকর্ষন।

যাই হোক, ছয় জনের এই অফিসের পাঁচ জনই থিওরী নিয়ে কাজ করছেন, একজন এক্সপেরিমেন্টালিষ্ট। সে দুর্ভাগা তার সারা সময় বেসমেন্টের কুটিল শীতল গবেষনাগারে কাটায়। কাজেই অফিসে পুরুষ প্রজাতির প্রতিনিধিত্ব করছি আমি আর আরেক ছেলে।

সে ছেলেটার নাম সন শিয়েন। তাইওয়ানের ছেলে। এখানে এসেছে exchange student হিসেবে। সামনের জানুয়ারীতে আবার ফিরে যাবে তার দেশে।যারা দেশের বাইরে থাকেন এবং চৈনিক প্রজাতির সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পেয়েছেন, তারা কমবেশি সবাই জানেন যে এরা বেশ ঘোঁট পাকানো জাত। তারা তাদের নিজস্ব গোত্রের বাইরে খুব একটা মিশতে ইচ্ছুক নয়। ভয়াবহ ইংরাজি উচ্চারন এবং বাক্য গঠন, দুপুর বেলা লাউঞ্জে তীব্র কটু গন্ধের খাবার খেতে খেতে কিচির মিচির করে কথা বলতে থাকা এই চীনা বন্ধুরা অসম্ভব রকমের পরিশ্রমী। তাদের ইংরাজি যত খারাপ, অঙ্কে ততই ভালো---কিছু কিছু সময় দুঃসহ রকমের ভাল।

সন শিয়েন যখন আমাদের রুমে এসে হাজির হল তখন আমরা সকলে ভেবে নিয়েছিলাম যে সে বুঝি নুতুন আরেক চৈনিক সংযোজন। আমাদের ভুল ভাংতে তেমন দেরী হল না। প্রথমেই আমার চোখে পড়ল তার কথা বলার ভঙ্গীটা। সে ছোট ছোট বাক্যে কথা বলে। ধীরে সুস্থে।কথা শুরু করবার আগে হাসে। কথা বলার সময় হাসে। কথা শেষ হবার পর আবার হাসে। আমি আট বছর ধরে এখানে থাকায় আমার ইংরাজী উচ্চারনে যতখানি 'উন্নতি' ঘটেছে, সন শিয়ান অম্লান বদনে ২ মাসে সেটা অতিক্রম করে গেল। অফিসে মেয়েগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে আমি বকবক করি বলে সন শিয়েনের ধারনা হল যে বকবকানি শেখার জন্য আমার চেয়ে ভাল সাধন-গুরু পাওয়া দুষ্কর। নানান সুযোগে সে আমাকে জিজ্ঞেস করে কিছু পরিচিত প্রশ্নঃ

---- Dude মানে কি?

---- 'whats up?' এর উত্তরে কি বলা উচিত?

---- 'Hows it going?' এর উত্তরেই বা কি বলবে সে?

আমি এক ধরনের বিরল আত্ম প্রসাদে জারিত হতে হতে নিমীলিত নয়নে তার প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়ে যাই। সন শিয়েনের চোখে দেখি সমীহ আর শ্রদ্ধা।

সন শিয়েন কেবল ভাষা শেখার ক্ষেত্রে চটপটে নয়---অন্য সব কিছুতেও সমান উৎসাহী।খুব দ্রুত শিখে গেল কোন জায়গা থেকে সস্তায় জিনিস কেনা যেতে পারে, কোন দিন কোন জায়গা থেকে বাস ধরে ফিলাডেলফিয়া ঘুরে আসা যায়, ওয়াশিংটন ডিসি তে স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউট কবে কখন খোলা থাকে---এই ধরনের যাবতীয় প্রয়োজনীয় আর অপ্রয়োজনীয় তথ্যে তার মাথা ঠাসা।

প্রতি শুক্কুর বার রাতে আমি প্রায় 'জুম্মার নামাজ পড়ার ঐকান্তিকতা' নিয়ে ছবি দেখতে যাই। শিয়েন আমার সঙ্গ ধরল। বহুদিন পরে আমার ছবি দেখার সঙ্গী জুটল।
আমার প্রিয় TV Series Friends শুনে সেইটা সে দেখা শুরু করেছে এবং আজ সকালে এসে সে আমাকে
চ্যান্ডলারের একটা উক্তি হুবহু বলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

এহেন শিয়েন কিছু দিন আগে আমাকে ধরে বসল----তার নাম বদলে একটা 'ভাল' নাম দিয়ে দেবার জন্য।শুধু তাই নয়, সে নিজে একটা 'ভাল' নাম ঠিক করে নিয়ে এসেছে ----আমার সাথে আলাপ করে ফাইনাল ডিসিসন নেবে। জিজ্ঞেস করলাম কি সে নাম।
--'সান শাইন'
-- সান শাইন !!!?????
-- সান শাইন
-- আসলেই সান শাইন??
-- ইয়েস, সান শাইন
আমি হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছিলাম না। আমার অবস্থা দেখে শিয়েন বুঝল যে এহেন নামধারনের পিছনে মাজেজাটা কি সেটা আমাকে পরিষ্কার করে বলা বাঞ্ছনীয়।

-- দেখ তারেক, আমার নাম সন শিয়েন, ঠিক? এখন দেখ সন শিয়েন...সান শাইন......সন শিয়েন...সান শাইন
কেমন কাছাকাছি না?

বিমর্ষভাবে স্বীকার করতে হল,হ্যা কাছাকাছি। শিয়েনের মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল। বলল, তার উপর দেখ 'সান শাইন' বললেই কেমন ভেতরটা আলোয় ভরে যায়...তাই না? আমার নাম সান শাইন হলে যারাই আমাকে ডাকবে তাদের মনটা আলোয় ভরে যাবে।

কিছুক্ষন তার সূর্যোকরোজ্জ্বল মুখের দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে বললাম, সে খুব ভালো কথা বলেছ। কিন্তু কেউ কি তোমাকে বলেনি যে সান শাইন নামটা একটু 'মেয়েলী'? মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল, হু, এখন তোমার কথায় মনে পড়ছে---- এখানে আসার আগে, দেশে একটা ইংরাজী কথা বলার কোর্স নিয়েছিলাম। সেই খানেও ওদেরকে প্রস্তাব করেছিলাম এই নামের বিষয়টা । ওরা তো হেসেই কুটিকুটি। তখন বুঝিনি যে এই কারনে ওরা এমন করে......

তার কথা শেষ না করতে দিয়েই বললাম, আরো ভেবে দেখ---আমাদের ডিপার্টমেন্টে ডেভ আর লিন্ডসে নিয়ে এমনি তুলকালাম চলছে। এই অবস্থায় তুমি সান শাইন নাম নিয়ে এলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে।

এই সম্ভাবনার কথা শুনে শিয়েন শিউরে উঠল, ইয়ে মানে এইটা আসলে ঠিক ভেবে দেখিনি...

আমি বললাম, এসব ছাড়াও নাম পাল্টানোটা আমার কাছে বেশ অপমানজনক মনে হয়। ওরা (মার্কিনীরা) রাজ্যের উৎকট জিনিসের নাম উচ্চারন করতে পারে, ফরাসি-জার্মান ভাষার বিকট বিকট শব্দাবলি মহাবলীর অনায়াস-সাধ্যতায় উচ্চারন করে ফেলে আর আমাদের নাম ঊচ্চারন করতে গেলেই জিহবা জড়িয়ে আসে?? তারেক কে 'টাড়িক' ছাড়া উচ্চারন করতে পারে না, শশী কে ডাকে Saucy বলে।

এই নামবদলের ব্যাপারটা চীনাদের মাঝে মোটেই নুতুন কিছু নয়। ঝিয়াও ঝ্যাং এখানে এসে হয়ে যায় জন ঝ্যাং, জুন হাও হয়ে যান মাইক হাও ইত্যাদি।

আমি সেই কথাটাই শিয়েন কে বললাম। সে মাথা নাড়তে নাড়তে বলল যে এই খানে সে আপত্তিকর কিছুই নাকি দেখতে পাচ্ছে না। আমি তখন বললাম যে,
একটা মানুষ যখন আরেক মানুষের সাথে পরিচিত হয় তখন তার নামটা হল পরিচয় প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। আমি যেখান থেকে এসেছি, আমি যে জাতির, যে সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করি --- এসব কিছুই (কম বেশি) কিন্তু আমার নামের মাঝে লুকিয়ে আছে। কাজেই একজন আমার নাম ভালো করে উচ্চারন করতে পারছেনা বলে আমি আমার নাম পালটে ফেলব কেন?
দ্বিতীয়তঃ আমার মতে একজনের নাম শুদ্ধ করে বলার মাঝে সেই লোকটির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপার জড়িত। আমি যদি একজন মানুষকে গুরুত্ব দেই, তাহলে আমি সচেতন ভাবে চেষ্টা করব তাকে আহত না করতে বা এমন কিছু না বলতে যাতে সে অপমানিত বোধ করে। একজন কে ভুল উচ্চারনে ডাকার মাঝে তার প্রতি উদাসীনতাই প্রকাশ করে।

সব কথার শেষ কথা হল---- মার্কিনীরা তোমার নাম শুদ্ধ করে উচ্চারন করতে পারছে না বলে তুমি তোমার পিতৃ দত্ত নাম পালটে ফেলবে----- এর মত অপমানজনক কিছু আর হতে পারে না। তাকে বললাম, মেক্সিকানদের দেখেছ? তারা তাদের নিজস্ব নাম ধাম নিয়ে এমনকি নিজের ভাষা নিয়ে স্বমহিমায় বিরাজমান। আমেরিকায় মেক্সিকান আর চাইনীজ--- এই দুই প্রজাতীই সব চাইতে সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু আপনি যে কোন একটা প্রতিষ্ঠানে ফোন করুন। দেখবেন সেখানে ইংরাজী আর স্পানিশ এই দুই ভাষায় কথা বলার ব্যাবস্থা আছে। কই, কোন চাইনীজ অপশন নেই কেন? কারন হচ্ছে চাইনীজদের এই রকম হীন মন্নতা বোধ। মার্কিনিরা হল অভিবাসীদের প্রজন্ম। কাজেই তারা যদি স্প্যানিশ ভাষা-ভাষীদের নাম ঠিক করে বলতে পারে, এমন কি ভারতীয় নাম ও ঠিক করে বলার প্রয়াস পায় (আমার এক দক্ষিন ভারতীয় বন্ধুর নাম হল শশীকুমার পালানিয়াপ্পন, তার নাম উচ্চারন করার সময় মার্কিনিদের কসরত দেখার মত) তাহলে চাইনীজ নাম ঠিক করে বলতে পারবে না কেন? আর এখন অর্থনৈতিক ভাবে চীন যতটা প্রভাবশালী ততটা তো আর কোন দেশই নয়। কাজেই তোয়াজ যদি করতে হয়, তবে এদেরই করা উচিত, নাকি? যদি স্বীকার করছি তুমি চাইনীজ নও, কিন্তু যে কাজটা করতে যাচ্ছ, সেটা কিন্তু ওদের মতই......

আমার এই দীর্ঘ বক্তৃতা শুনে শিয়েন কিছুক্ষন চুপ করে রইল। তারপর বলল, তুমি ঠিক বলেছ। আসলেই নাম পাল্টাব কেন? আমার নাম সঠিক করে উচ্চারন করার দায়িত্ব ওদের। তাদের সুবিধার জন্য আমি আমার নাম পাল্টাব কেন?

তার পিঠে চাপড় দিয়ে বললাম, এই তো বাঘের বাচ্চার মত কথা। আত্মপ্রসাদে আমার মনটা আবার ভরে ওঠে।

+++++++++++++++++++++++++

গত শনিবার ছিল এই অধমের জন্মদিন। জন্মদিন পালনের ক্ষেত্রে মেয়েদের উৎসাহ, কোন এক অজ্ঞাত কারনে, সীমাহীন। আমি তাই আগে ভাগেই তাদের বলে রেখেছিলাম যে আমি এসবের ঘোর বিরোধী। কাজেই কোন রকম পার্টি-ফার্টি করা যাবেনা। এই বাহাস যখন চলছে তখন শিয়েন এসে রুমে ঢূকল। তাকে দেখেই বললাম "শিয়েন---মাই ম্যান"

-"তারেক--- মাই গার্ল"

আমি চোখ কপালে তুলে বললাম, বস এইটা কি কইলা? আমার লিঙ্গান্তর ঘটিয়ে দিলে??? শিয়েন বেশ খানিক খন ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে বলল, Its Ok !
---Its ok কি রে ব্যাটা? মোটেও OK নয়।
---Its Ok

তর্ক কতদূর যেত কে জানে, ঘরে সেই মুহুর্তে স্বল্প-বসনা
ললনাটি প্রবেশ করায় সবাই ব্রেক কষলাম। যথারীতি আলোচনা আবার আমার জন্মদিন উদযাপনের দিকে মোড় নিল। শিয়েন দেখি ভীষন উত্তেজিত। হাতে কিল মেরে বলল, পার্টি হতেই হবে।

আমি বললাম, দেখ রে ভাই ----একটা বয়েসের পর এইসব জন্মদিন-ফন্মদিন আর ভালো লাগে না। বিশ বছরের আগে পর্যন্ত জন্মদিন পালন ঠিক আছে। তখন কি excitement! আহ, এইবার আমি কুড়ি হব, এইবার হব, একুশ,...তিরিশের পর চিন্তাটা দাঁড়ায়---এই রে, এবার তো পয়ত্রিশ হল, এই রে ছত্রিশ হল রে, কিছু দিন পরই তো চল্লিশ, এই দিকে কিছুই করা হয়ে ঊঠল না রে...... তিরিশের পর নুতুন কিছু অর্জনের কোন আকাঙ্ক্ষা নেই, সম্ভাবনা নেই বললে চলে। তিরিশের পর থেকে কেবলি ভাটির টান। একেক বছর যায়, আর মনে হয় আরো একটি ব্যর্থ বছর গেল...

শিয়েন চুপ করে গেল। মুখটা এত্তটুকু হয়ে গেছে তার। বিড়বিড় করে বলল, তোমার সাথে তর্কে পারব না, তাই তর্ক করতে চাই না...কিন্তু একবার ভেবে দেখলে কেমন হয়?

আমি হেসে জানালাম, ভাবাভাবির কাজ অনেক আগেই সেরে রেখেছি হে---- সমুখে শান্তি পারাবার! শিয়েন কি বুঝল কে জানে। শুক্কুরবার, তাই ছবি দেখতে যাওয়া ফরজ। বললাম যাবে কিনা? সে বলল, হাতে কিছু কাজ জমে আছে---আজ যেতে পারছে না।

আমি একলাই গেলাম ছবি দেখতে। ছবি দেখা শেষ করে আবার ফিরেছি অফিসে। রাত এগারোটা বাজে। সারা ডিপার্ট্মেন্ট জনশূন্য। আমি অফিসে ঢূকে আমার চেয়ার টেনে বসতে গিয়ে দেখি একটা কাগজ রাখা সেখানে। শিয়েন লিখেছে। আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি নীচেঃ

Dear boss,

happy birthday !!!

Dont hate your birthday, but enjoy it.

The meaning of your birthday could be that 'something' special was given to your mom, to your family.

So celebrate this BIG day.

---- Son-Hsien

আমার ৩৬ বছর বয়েসি চোখটা হঠাৎ করেই ঝাপসা হয়ে এল।

শিয়েনের এই চিঠিটা জন্মদিনে পাওয়া এ যাবৎকালে পাওয়া সেরা ঊপহারের মাঝে একটা। খুব নীচু গলায় বললামঃ "Thanks Sun shine, thank you so much!"


মন্তব্য

রেনেট এর ছবি

আপনার লেখায় যাদু আছে অনিকেতদা। আর আপনি মানুষ হিসাবে যে তেমনই ভালো, তার প্রমাণ আপনার বন্ধু বান্ধব।
আপনার জন্মদিনের সময় ব্যস্ত ছিলাম, শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অনিকেত এর ছবি

রেনেট, অনেক ধন্যবাদ তোমার সহৃদয় মন্তব্যের জন্য
অনেক শুভাশীষ।

s-s এর ছবি

চমতকার ! জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা .. ... ...

=====================
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা। কীভাবে যে এত প্রাঞ্জল লেখা লেখেন! মনটা ভাল হয়ে গেল।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

অনিকেত এর ছবি

এইসব বলে কেন রে ভাই লজ্জায় ফেলছ?
তোমার ভালো লেগেছে বলে আমারো ভালো লাগছে
ভালো থাকো,বস

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

The meaning of your birthday could be that 'something' special was given to your mom, to your family.

এভাবে সত্যিই কখনো ভাবিনি তো!

লেখাটা ভালো লাগলো খুব।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই।

ছেলেটা আসলেই চমৎকার এক মানুষ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এভাবে সত্যিই কখনো ভাবিনি তো!

আমি কারো জন্মদিন এলে মা-বাবা'দের wish করি এই জন্যই। কষ্টটা তো তাঁদেরই।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

মুশফিকা মুমু এর ছবি

লেখাটি অসাধারন লাগল, আসলেইতো জন্মদিনের ব্যপারটা এভাবে আগে কখনও ভেবে দেখিনি। চিঠিটা খুবি সুইট।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ মুমু। শিয়েন কে জানিয়ে দেব যে তার চিঠিটা 'খুবি সুইট'......

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুব চমৎকার লেখা। চাইনিজ কোম্পানীতে চাকরি করার সুবাদে আপনার লেখার অনেক কিছুই বেশ পরিচিত মনে হল। চিঠিটা আসলেই খুব 'টাচি'। এভাবে আসলেই কখনো চিন্তা করে দেখিনি।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

জন্মদিনের শুভেছা রইলো
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ দেবোত্তম। অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

চীনাদের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারটা আমাকেও পীড়া দেয়। আমিও আপনার মত কোমর বেঁধে ওদের বোঝানোর চেষ্টা করি। খুব কম জনই বোঝে। আপনি ভাগ্যবান যে সন শিয়েন-এর মত বোধসম্পন, সংবেদনশীল সহকর্মী পেয়েছেন। গত বারো বৎসরে এমন চীনা সহকর্মী তো দূরে থাক এমন চীনার দেখাও পাইনি। পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলোর একটার মানুষদের সাংস্কৃতিক দীনতা দেখলে আমার সত্যি সত্যি কষ্ট হয়।

====================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিকেত এর ছবি

বস

এক্কেবারে মনের কথা কইসেন

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍চৈনিক বালক বিষয়ক বয়ান বড়োই চমত্কার লাগলো।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ সন্ন্যাসী। শুভেচ্ছা রইল।

রায়হান আবীর এর ছবি

দৌড়ানো পোস্ট। পড়ে ভালো লাগলো।

মার্কিনিদের নামের ব্যাপারে এই খাইস্টামি পড়েছিলাম সুনীলের "অর্ধের জীবন" বইয়ে। শিয়েনকেও ব্যপারটা ধরিয়ে দেবার জন্য জাঝা

শুভ জন্মদিন...

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ রায়হান...'দৌড়ানো' শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।

আলমগীর এর ছবি

কই থাকি কই লইয়া গ্যালা?
ভাল লাগলো শুভ ভাই।
বিয়া করেন, জন্মদিনের ঠেলা বাকীটুকু টের পাবেন।

অনিকেত এর ছবি

ওউ কিতা কইলায় বা?
আমি আরামে আছি---ইখান কিতা বালা লাগেনা নি?তুমার লেঙ্গুর কাটা গেসে করি এখন আমার লেঙ্গুরর বায় দি তুমার নজর কেনে বা? এহ??

ধন্যবাদ বাদশা আলমগীর!

হিমু এর ছবি

চমৎকার লেগেছে পড়ে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ বস।

সবজান্তা এর ছবি

অসাধারণ লাগলো পড়ে, অসাধারণ।


অলমিতি বিস্তারেণ

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ সবজান্তা ভাই।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার লেখা। গতিশীল, নির্ভার, মজাদার।

এই ফাকেঁ জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানিয়ে দিচ্ছি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ শোমচৌ। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যে। আপনি এত্ত কম লেখেন কেন???

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনিও কি তারেক? তার মানে মোট তিনজন হলো।
নাম নিয়ে আমিও ঝামেলায় পড়তাম শুরুতে। দেখে পড়লে টাড়িকের উপর দিয়েই চলে যেত। কিন্তু শুনে বলতে গেলে ডেরেক, টারাক, ঠারেক- মানে এক পেরেক বাদে যা পেত সব ঠুকে দিয়ে যেত!
*
লেখাটা চমৎকার লাগলো। একটানে প্রায় নিঃশ্বাস না ফেলে পড়ে গেলাম পুরোটা।
*
জন্মদিনের শুভেচ্ছা আবারও।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অনিকেত এর ছবি

আরে সব্বনাশ!

তুমি দেখি আমার মিতা...

তারেক নামের ভোগান্তি নিয়ে মনে হয় একটা আলাদা পোষ্ট দিতে হবে আপামর জনসাধারনের অবগতির জন্য। আর কেউ যেন 'তারেক' নাম রাখার চিন্তা ভাবনা পর্যন্ত না করে!

ভালো কথা, তিন নম্বরটা কে?

কনফুসিয়াস এর ছবি

তিন নম্বর হলো তারেক রহিম।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

স্বপ্নাহত এর ছবি

বস, লেখা পড়ে মন ভাল হয়ে গেল।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাইসিলাম কিনা ইয়াদ আসতেসেনা। তাই এখনি জানিয়ে দিলাম। হাসি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, বস

রণদীপম বসু এর ছবি

চমৎকার লেখা ! ধন্যবাদ ভাইছাব। বালা থাকইন যেন্ । জনম দিন আফনার শুভ হউক। ইখানঔ চায়রাম।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনিকেত এর ছবি

আফনারেও আমার তরফ তাকি মুবারক-বাদ

তানবীরা এর ছবি

চমত্ কার লেখা অনিকেত, সাথে জন্মদিনের অফুরন্ত শুভেচছা। প্রথিবীর আলোবাতাস খাওয়ার আরো একটি বছরের সুযোগ পাওয়া কোন সামান্য কথা কিনতু নয়।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অনিকেত এর ছবি

তানবীরা, ধন্যবাদ ।

তানভীর এর ছবি

উপভোগ্য বর্ণনা। চলুক
জনম দিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা রইলো।

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, তানভীর

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

বিলম্বিত হলেও শুভেচ্ছা কিন্তু সেই ষোল আনার ওপর আঠারো আনা। দুই আনা জন্মদিনের জন্য, লেখার জন্য ষোল আনা।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

অনিকেত এর ছবি

ফারক ভাই, অনেক ধন্যবাদ এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আজকে এখানে এসে চোখে পড়লো লেখাটি। এমন ভাবেই পড়লো যে চোখ ভিজে এলো।
ভারী সুন্দর লেখেন আপনি, ভারী সুন্দর আপনার আশপাশের মানুষেরা। মাঝে মাঝে এই জাতীয় লেখা/ঘটনা পড়লে মনে হয় যে এইরকম কথা বলতে পারার জন্যেই যেন আমরা মানুষ, এই রকম কথা লিখতে পারার জন্যেই আমাদের জন্ম। খামাখা কত অকাজে-কুকাজে জীবনটি কাটিয়ে দেই আমরা।
জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা। আপনার বাবা-মায়ের জন্য। (ওখান থেকে আপনিও নিয়ে নেবেন কিছুটা নাহয়।)
ভাল থাকুন।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অনিকেত এর ছবি

জাহিদ ভাই,

আপনার এমন মায়া ভরা কথা শুনে মনটা কেন জানি খারাপ হয়ে গেল।আমাকে এমন করে কথা বলার মানুষ কমে যাচ্ছে, জাহিদ ভাই। আপনার ভালো লেগেছে এ লেখা--- এই আমার জন্যে অনেক। আমি যদি ভুল না করে থাকি--- আপনি 'নির্বাসিত' নামে লিখতেন, তাই না?

আপনার 'নির্বাসনে যাবার আগে' লেখাটা আমার পছন্দের তালিকার শীর্ষে। প্রায়ই মন খারাপ হলে আপনার লেখাটা পড়ি। এত্ত চমৎকার করে লেখা, কি আর বলব।

ভাল থাকবেন জাহিদ ভাই।

সাইফ এর ছবি

সানশাইনের বাচ্চা দেখি হেভি কোপ দিসে আপনারে, বেচারা সানশাইন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।