দেশপ্রেম, আইডিয়া ও যৌবনজ্বালা

আলমগীর এর ছবি
লিখেছেন আলমগীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/১২/২০০৮ - ১০:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্লগ লেখা কি পড়া কোনটারই সুযোগ নেই। ঘর-ছাড়া, তার উপর পড়াশোনার বালাই তো আছেই। তবু হঠাৎ করে নেটে ঢুঁ মারলাম। ফেসবুক, সচল এদিক ওদিক ঘুরে মনটা খারাপ ভাল দুটোই হলো।

১. পতাকা
ডিসেম্বর এলেই দেশপ্রেম জাগে। এতে খুশী হওয়ার কথা। কিন্তু আমি একটু আশঙ্কার দেখা পাচ্ছি। ফেসবুক লাল-সবুজে ফ্লাড করে দাও- আমি যোগ দিতে পারলাম না। উদ্যোগটাকে ভালও বলতে পারছি না। পতাকা এ ধরনের অপব্যবহারের যোগ্য কিছু নয়।

অনেকে প্রোফাইলে, টি-শার্টে, পাঞ্জাবিতে পতাকা লাগিয়েছেন। দেশপ্রেম থেকেই হবে নিশ্চয়ই। কিন্তু আমাদের সংবিধানে সুষ্পষ্ট করে বলা আছে, পতাকার মাপ কী হবে, কোথায় কীভাবে ঝুলানো যাবে, কীভাবে উঠাতে-নামাতে হবে। জামা-কাপড়ে পতাকার ব্যবহার গর্হিত কাজ। কাল যদি কেউ মার্কিন আদলে চুচি/ঢিপি/নুনু ঢাকতে বা স্যান্ডেলের ফিতায় পতাকা লাগায় তাকে কী বলে মানা করব?

বিস্মিত হচ্ছি সচলের ব্যনার দেখেও। পতাকার এ ধরনের ব্যবহার কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা মডুদের সম্মিলিতভাবে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই। আমার মতে এটি ঠিক নয়।

পতাকার মতো জাতীয় সংগীত নিয়েও আমদের বিধি-নিষেধ আছে। স্কুলের এসেম্বেলিতে সবমেত গান বৈধ হলেও, কোন উদ্ধোধনে দর্শকের গাওয়া বৈধ নয়। দাঁড়িয়ে মাথা নীচু করে সম্মান প্রকাশ করাটাই গ্রহণযোগ্য রীতি।

২. আইডিয়া আইডিয়া
একটা কথা প্রায়ই শুনি: every second person has a brilliant, fantastic and wonderful idea" - যদু নাহয় মধুর কাছে ফাটাফাটি, জটিল, সেইরকম একটা আইডিয়া আছে। আইডিয়া কেবল থাকলেই হয় না। বাস্তবায়ন করতে হয়। তার জন্য মানুষ দরকার, তাদেরকে আইডিয়াটা খাওয়াতে হয়। বন্ধু পেলে অনেক সহজ। কিন্তু শত্রু মিলে ঘরে ঘরে বন্ধু মিলে ভাগ্যের জোরে। শত্রুর জন্য চোখ-কান খোলা রাখার পাশাপাশি বন্ধু খুঁজে নেয়া জরুরী। ভুল হলে বিপদ, দেরী হলে ক্ষতি।

৩. অন্যায়, ভারী অন্যায়
আমি আমার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলতে রাজি। কিন্তু রাজাকারদের বিচার চাওয়ার ছুঁতোয় গোপন ক্যামেরার ভিডিও দেখে যৌবনজ্বালা মেটাতে রাজি না।


মন্তব্য

শামীম এর ছবি

গ্রহনযোগ্য ভিন্নমত।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

নিঝুম এর ছবি

পোস্টের অনেক বক্তব্যের সাথেই একদম একমত নই । সংবিধান অনুযায়ী পতাকার মাপ-ঝোঁক রাখা... এই ধরনের মাপ-ঝোক জাতীয় দেশপ্রেম ... অনুভতিতে একটা সীমানা আঁকে । আমি আমার ভালোবাসাকে কোন মাপেই ঢুকাতে চাই না । দেশ কে ভালোবাসি । দরকার হলে পুরা পতাকাই গায়ে জড়িয়ে রাখব, মাথায় ব্যান্ডানা পরব, মুখে আঁকব... এরকমটাই ভাবতে বেশী ভাল্লাগে ।

ফেসবুক লাল-সবুজে ফ্লাড করে দাও- আমি যোগ দিতে পারলাম না। উদ্যোগটাকে ভালও বলতে পারছি না। পতাকা এ ধরনের অপব্যবহারের যোগ্য কিছু নয়।

এই কথাটাতে পুরাপুরি ভিন্নমত... আমার দেশকে পৃথিবীর মানুষদের কাছে তুলে ধরার একটা চরম সুযোগ , বিজয় দিবস মানে একটা বিশাল ব্যাপার । এমন এক আনন্দের দিন যা ঠিক ঠাক মত হয়ত প্রকাশ করাও যায় না । এইদিনে সংবিধান অনুযায়ী পতাকার মাপ-ঝোঁক করার পক্ষপাতী আমি অন্তত নই ।

প্রধান্মন্ত্রীর বাসভবন, কিংবা যখন দ্বিপাক্ষিক কোন বৈঠক হয় তখন তো দেখি পতাকার পাশে ঝালর লাগানো... এতে কি সংবিধানের অবমাননা হয় না ? এমন ঝালরের কথাও তো পতাকার মাপ-ঝোঁকে লেখা নাই । তারপর খেলোয়ার রা যখন খেলতে যায়, তখনো তো তাদের জার্সিতে পতাকার একটা আভাষ থাকে । অনেক সময় ছোট করে পতাকাও আঁকা থাকে । এতে সংবিধানের কি ক্ষতি হয় ???

মূল কথা দেশ কে ভালোবেসেই এইসব আবেগ... এইসব অনুরাগ...। কোনো মাপের ভেতর অনভূতি টেকে নারে ভাই। দম বন্ধ হয়ে তা মরে যেতে পারে ...
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

১) পতাকা নিয়ে আমাদের সংবিধানে যে ছূঁৎমার্গটা আছে সেটা খুব ভালো কিছু সেটা আমার মনে হয় না ... রাজাকাররা নির্দ্বিধায় তাদের গাড়িতে পতাকা লাগায় তাতে সংবিধান ক্ষুণ্ন হয় না আর আমি ভালোবেসে পতাকার ডিজাইনে টিশার্ট পরলে সংবিধান পানিতে ভেসে যায় এই সংবিধান আমার লাগবে না ...

আমি স্ট্রংলি মনে করি এই নিয়মটা ঠিক না ... যুগের সাথে সাথে নিয়ম বদলায়, আমি পতাকা যদি প্রোফাইলে লাগাই বা টিশার্ট বানায়ে পড়ি তবে সেটা ভালোবেসে, শ্রদ্ধা জানাইতেই করি, সেটা বোঝার মত জ্ঞান আমাদের সংবিধান প্রণেতাদের থাকা উচিত ... আর "চুচি/ঢিপি/নুনু ঢাকতে" যদি পতাকা ব্যবহার করি আর যদি সেটা আপনাদের পছন্দ না হয় তাহলে সেটা বন্ধের জন্য আইন করেন; কিন্তু তাই বলে আমাকে পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিবেন না সেটা কেমন কথা ...

আমি এই দেশের নাগরিক, পতাকা ব্যবহার করা আমার অধিকার ... কারো পছন্দ না হইলে আমার কিছু করার নাই ...

২) বুঝি নাই ...

৩)

আমি আমার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলতে রাজি।

কিন্তু কাটেন নাই ...

কাটবেনও না ...

আমিও কিছু করি নাই, করবোও না ...

পিয়াল ভাই করছে, আই স্যালুট দ্যাট ...

কারো সমালোচনা তখনি করতে পারি যখন আমি নিজে কিছু একটা করতেছি, শুধু ব্লগানোর নামে বাল টোকায়ে আঁটি বাঁধতেছি না ...

আপনে যৌবনজ্বালা পছন্দ করেন না খুব ভালো কথা, অন্য কিছু করেন, কেউ বাধা দেয় নাই ...

কিছু করাটাই কথা ...

বটম লাইনঃ একমত হইতে পারলাম না ...

................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পোস্টের ২, ৩ আমি বুঝিনি। তবে ১ নাম্বার পয়েন্টে তোমার সাথে সর্বাংশে একমত। মনের কথাগুলাই বলে দিলা চলুক


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কিংকর্তব্যবিমূঢ় লিখেছেন:
কারো সমালোচনা তখনি করতে পারি যখন আমি নিজে কিছু একটা করতেছি, শুধু ব্লগানোর নামে বাল টোকায়ে আঁটি বাঁধতেছি না ...

এই কথাটা খুবই আপত্তিকর।

পিয়াল ভাই প্রসঙ্গে একটা বিরক্তি কাজ করে। উনার একটা ওয়েবসাইট ছিল "জন্মযুদ্ধ" নামে। সেইটা ফেলে উনি যৌবনজ্বালা নিয়ে মেতেছেন। কে কি করবে সেটা অবশ্যই তার সিদ্ধান্ত। কিন্তু নিজের একটা পরিষ্কার প্লাটফরম থাকার পরেও যৌবনজ্বালার মাধ্যমে ১৯৭১ কে প্রমোট করার চেষ্টা খুবই রুচিহীন একটা ব্যাপার।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

উনি কিন্তু আপনাকে বা আমাকে যৌবনজ্বালায় যেতে বলেন নাই, যারা ঐ সাইটে যায় তাদের মোটীভেট করার চেষ্টা করছেন ... আপনার রুচিহীন মনে হইছে আপনি ওই সাইটে যাবেন না, সিম্পল ... আপনি আপনার জায়গা থেকে কাজ করেন, উনি উনার জায়গা থেকে করুক ...

আপত্তিকর কথার জন্য দুঃখিত ... কিন্তু বেশিরভাগ মানুষকেই দেখি খালি "এইটা করা উচিত, ওইটা করা উচিত না" জাতীয় পোস্ট দেয়, "আমি এটা করছি" কেউ বলে না ... এজাতীয় কার্যকলাপে আমি কোন শ্রদ্ধা রাখতে পারি না ...

বেশি আপত্তিকর লাগলে মুছে দেন, সমস্যা নাই ...

................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এন্ড গোল, সবসময় মিনসকে জাস্টিফাই করে না। The end does not always justify the means. যেমন ধরা যাক আওয়ামী ক্ষমতায় যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেটা যদি জামাতীদের সাথে হাত মিলিয়ে করতে হয় তাহলেও কি সেটা করা উচিৎ?

পিয়াল ভাই কাউকে যৌবনজ্বালায় যেতে বলেন নি ভালো কথা। তাহলে ব্লগে প্রচার করতে এসেছেন কেন? বাহবার পাবার আশায়? সরি, বাহবা দিতে পারলাম না। মোটিভেট করার আশায়? সরি, মোটিভেটেড হতে পারলাম না। জাস্ট নিজের দুটি কথা বলার জন্য? সরি, ভালো লাগল না।

পিয়াল ভাইয়ের যে প্যাশন সেটাকে সম্মান করি। উনার এই যুদ্ধ আমাদেরও যুদ্ধ। কিন্তু প্যাশনটা প্রকাশের অন্য উপায় থাকার পরেও বির্তকিত একটা মাধ্যম বেছে নিয়ে উনি কি খানিকটা হলেও উনার এন্ড গোলকে ক্ষতিগ্রস্থ করেননি?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সুমনের আপত্তির স্থানটা কোথায়? আমি একটু ক্লিয়ার করতে পারবো বোধহয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার প্রথম আপত্তি হল যৌবনজ্বালার সাথে মুক্তিযুদ্ধের ককটেল বানাতে হবে কেন? আলাদা করে কিছু করা যেত না? কেন চটির পানীয়ের সাথে মুক্তিযুদ্ধের এক চিমটি লবন মেশাতে হবে? মুক্তিযুদ্ধ কি এতটাই বিস্বাদ?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আলাদা করে কিছু করা যেত না?

দুঃখিত মুর্শেদ ভাই, এই টোনটা ভাল লাগে না ..."করা যেত না" না বলে আমি নিজে করে দেখাচ্ছি না কেন সেই প্রশ্ন তোলা মনে হয় বেশি জরুরী?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কারন আমার রিসোর্স নাই। পিয়াল ভাইয়ের রির্সোস ছিল। সেটা তিনি নিজের জন্মযুদ্ধ প্লাটফর্মের চেয়ে অন্যত্র ব্যবহারে বেশী আগ্রহী।

আমি কিছু করতে পারছি না বলে যৌবনজ্বালায় যেতে হবে। এই কথা বলে যুক্তিটাকে অগ্রাহ্য করাটাও একটা হাস্যকর প্রয়াস।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ভেরিফিল্মিবয় এর ছবি

অমি ভাই কাউকে যৌবনজ্বালা/যাত্রায় যাইতে বলেন নাই। ওইখানে যারা রেগুলার যায় (বলা হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার ইউজার) তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির যে কাজ চলছে তিনি সেইটা ব্লগে জানান দিছেন।

এইটা বাহবা পাওয়ার জন্য করেছেন কিনা অমি ভাই সেটা চিন্তা করা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

যৌবনজ্বালায় কে কখন যেতে বললো সেটা তো বুঝলাম না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

তুমি রিকার্সনে পড়ে গেছে। এই প্রশ্ন শুরুতেই করছিলা। তখনই উত্তর দিছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আপনি যে আবার বল্লেন "যৌবনজ্বালায় যেতে হবে" দেঁতো হাসি

ঠিকাছে থামলাম ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

"আমি কিছু করতে পারছি না বলে যৌবনজ্বালায় যেতে হবে।"

এই কথাটাকে পিয়াল ভাইয়ের স্বগোক্তি হিসেবে চিন্তা করতে পারো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আমি তাতে কোন সমস্যা দেখতেছি না ... কারণ তার আরেকটা বিকল্প ছিল কিছু না করে নিরুপদ্রবে জীবন কাটায়ে দেয়া, সেটা করলে কেউ তার সমালোচনাও করতো না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কিছু করছি না তাই বা কে বলল? সচলায়তন প্লাটফরম বানানো হল কেন? অরূপ জন্ম যুদ্ধ বানিয়ে দিলো কেন?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

দ্যাটস ইট ... সে তার মত কাজ করুক আমি আমার মত কাজ করি ... এণ্ড গোল তো একটাই তাই না?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

উহু! এই কথাই বললাম একটু আগে। The end does not always justify the means.

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আচ্ছা, আমি মূলেই যাই। যৌবনজ্বালা একটি প্রাপ্তবয়স্ক সাইট এখানে আপত্তি? ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিন্তু পর্ন দেখে না, এরকম কতভাগ মানুষ আছে? যারা পর্ন দেখে, তারা গণহারে খারাপ লোক? যারা মদ খায়, তারা গণহারে খারাপ লোক? যারা চটি পড়ে, তারা গণহারে খারাপ লোক?

যদি তা-ই হয়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। এবং এই মন্তব্যের পরের কথাগুলো পড়ার দরকার নেই।

যদি না হয়, তাহলে যে লোকগুলো একটা সাইটে, একটা ফোরামে সময় কাটায়, তা প্রাপ্তবয়স্ক বিষয় নিয়ে আলাপ করে হোক আর রাজনীতি নিয়ে হোক আর দেশের অর্থনীতি নিয়ে হোক, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে গেলে আমার খারাপ লাগবে কেন?

স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় কিন্তু এরকম কোনো শ্রেণী বিভাজন ছিলো না। বঙ্গবন্ধু বলেন নি, তুই ব্যাটা গাঁজা খাস, তুই খারাপ লোক, তুই মুক্তিযুদ্ধে যাস না। যার যা আছে, শত্রুকে তাই দিয়ে মোকাবেলাই কাজ। পিয়াল ভাই যদি যৌবনজ্বালার বিশাল ইউজারবেইজকে এ কাজে মোটিভেট করতে পারেন, তাতে আমাদের সমস্যা কোথায়? স্বাধীনতার গায়ে কালি লাগবে, কারণ ওই লোকগুলো প্রাপ্তবয়স্ক সাইট ভিজিট করে?

যার ভালো না লাগে, তাকে তো পিয়াল ভাই বলছেন না, যে যৌবনজ্বালায় গিয়েই ক্যাম্পেন করতে হবে। একটা প্লাটফর্মে তিনি কাজ করছেন, আমরা প্রত্যেকে আমাদের সুবিধামত প্লাটফর্মে কাজ করে যাই। তাকে নাক শিটকানোর তো কিছু দেখি না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এইটা একটা রোল মডেলের মতো ব্যাপার। প্রথমতঃ ওই ৫০ হাজারই সারাদেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ না। আপনি যদি ওই ৫০ হাজারকে মোটিভেট করতে গিয়ে আরো এক লাখ মানুষকে ডি-মোটিভেট করেন তাহলে কি লাভ? বঙ্গবন্ধু বলেন নি, তুই ব্যাটা গাঁজা খাস, তুই খারাপ লোক, তুই মুক্তিযুদ্ধে যাস না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিজে কিন্তু গাঁজা খেতে বসে যাননি। এ কারনেই তিনি রোল মডেল। আমি অবশ্যই চাই ওই ৫০ হাজার লোক এই বিষয়ে মোটিভেটেড হোক। কিন্তু তাই বলে আমি, রাত জেগে পর্নো আপলোড করে ফোরামে একটা 'পজিশন' বাগানোর কাজে ব্যস্ত থাকবো না। তাতে করে এই ৫০ হাজারকে আমি হয়ত আমার পাশে নিয়ে আসতে পারব কিন্তু আরো ১০ কোটি মানুষকে আমি দুরে সরিয়ে দেবো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রোল মডেল জিনিসটা আপেক্ষিক। যেমন, আমি কাজটাকে দেখছি অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে। যে সাইটের প্রধান কাজই ছিলো প্রাপ্তবয়স্কদের আড্ডা, নিজের সুনাম-দুর্ণাম নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে যে তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী নিয়ে ভাবতে শেখাচ্ছে, তাকে শ্রদ্ধা না করে উপায় নেই। ১০ কোটি মানুষ এইটাকে অশ্রদ্ধার চোখে দেখবে, এইটা কিভাবে নিশ্চিত হইলা? হাসি

কেউ মসজিদের ইমামের ডাকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাক, কেউ জাহানারা ইমামের ডাকে, কেউ পিয়াল ভাইয়ের ডাকে, কেউ সচলায়তনের প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে, কেউ যৌবনজ্বালা প্লাটফর্ম ব্যবহার করে, সবার প্রতিই শ্রদ্ধা।

দেখো, মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত এবং পাকিস্তানীরা ধুয়া তুলছে আমরা সাচ্চা মুসলমান না, শেখ মুজিবর হিন্দু দেশের সাথে বন্ধুত্ব করে - এইসব। কিন্তু এগুলো বিভ্রান্তি ছড়ানোর বাইরে কিছু না। আরেকবার ঠান্ডা মাথায় ভাবো, তারপর চিন্তা করে দেখো পর্ন দেখলেই কেউ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায় কিনা, টানবাজারে দেহ বেঁচলে কেউ অছ্যুৎ হয়ে যায় কি না, তারপর নিজেই বুঝবা কাজটা ভালো না খারাপ। এরপরেও যদি কাজটা খারাপ মনে হয়, তাইলে কি আর করা, পিয়াল ভাইকে রোল মডেল ধরার দরকার নেই, জাহানারা ইমামকে রোল মডেল ধরো বা নিজের মতো করেই কাজ করে যাও। কোনো সমস্যা তো নেই। পিয়াল ভাই তার অবস্থান থেকে কাজ করে যান।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

১০ কোটি মানুষ এইটাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখবে, এইটা কিভাবে নিশ্চিত হইলেন? একটা জরিপ করে দেখা যায় অবশ্য।

সবগুলা যুক্তির সারমর্ম এইটাই যে "The end justifies the means"। যে যার মত করে যাক। লক্ষ্যে পৌছাইলেই হইল। যেটাতে আমি শুরু থেকেই একমত না।

এরপর কথা বলা মানে চক্রাকারে আগানো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি বলি নাই, কোটি মানুষ এইটাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতে হবে। যার যার রোল মডেল তার তার। আমার আপত্তি একজনের means কে আক্রমণ করায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ব্যাপারটা যখন ব্লগে প্রকাশ করা হয় তখন আপত্তি জানানোর সুযোগ তৈরী হয়ে যায়। আর আলোচনার ধরন যদি এইরকম হয় তাহলে তো পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে বাধ্য:

আলমগীর লিখেছেন:
আমি আমার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলতে রাজি। কিন্তু রাজাকারদের বিচার চাওয়ার ছুঁতোয় গোপন ক্যামেরার ভিডিও দেখে যৌবনজ্বালা মেটাতে রাজি না।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় লিখেছেন:
কারো সমালোচনা তখনি করতে পারি যখন আমি নিজে কিছু একটা করতেছি, শুধু ব্লগানোর নামে বাল টোকায়ে আঁটি বাঁধতেছি না ...

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এনালজিটা ঠিক এক মনে হল না ... জামাত আর এডাল্ট সাইট দুইটাকে এক পাল্লায় মাপা ঠিক না ...

পিয়াল ভাই কেন ব্লগে প্রচার করেছেন সেটা উনিই বলতে পারবেন, আর ভালো লাগা না লাগা তো যার যার ব্যক্তিগত ব্যপার ... ভালো নাই লাগতে পারে, কিন্তু যত সমালোচনা হচ্ছে সেটা অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে ...

উনার এন্ড গোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা সেটা বলা যাবে রেজাল্ট দেখে, এখন কিভাবে বলি ... উনার আপাত লক্ষ্য মনে হল এডাল্ট সাইটের ইউজারদের মধ্যে এওয়ারনেস জাগানো, একটা জিনিস তো স্বীকার করতেই হবে যে এডাল্ট সাইটের ইউজার কম না বাংলাদেশে, এখন দেখা যাক আদৌ তিনি তাদের মোটিভেট করতে পারেন কিনা ... আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা আশাবাদী না, কিন্তু লেটস ওয়েইট এন্ড সী, এটলিস্ট হী ইজ ট্রাইং ...

আর আপনিই স্বীকার করলেন প্যাশনটা প্রকাশের অন্য উপায় আছে, হোয়াই নট সামওয়ান এলস ওয়ার্ক অন দ্যাট এরিয়া টূ?

................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

এনকিদু এর ছবি


স্পষ্ট মত প্রকাশকে আমিও স্বাগত জানাই । আশা করি আমার মতামত গুলোকে শুধু মতামত হিসেবেই নিবেন । একটা ভাল আলোচনা করার মত প্রসঙ্গ তুলেছেন ।


অনেকে প্রোফাইলে, টি-শার্টে, পাঞ্জাবিতে পতাকা লাগিয়েছেন। দেশপ্রেম থেকেই হবে নিশ্চয়ই। কিন্তু আমাদের সংবিধানে সুষ্পষ্ট করে বলা আছে, পতাকার মাপ কী হবে, কোথায় কীভাবে ঝুলানো যাবে, কীভাবে উঠাতে-নামাতে হবে। জামা-কাপড়ে পতাকার ব্যবহার গর্হিত কাজ।

আমার মনে হয় আমাদের সংবিধান এই প্রসঙ্গে দরকারের থেকে একটু বেশিই কড়াকড়ি হয়েছে । আমার দেশের পতাকা আমি যদি আমার মত করে ভালোবাসতে না পারি, ভালবাসা প্রকাশ করতে না পারি তো সেই পতাকাটাকে নিজের পরিচয় হিসেবে মনে করাটা সহজ হয়না । পর পর মনে হয় । পতাকা তো দেশেরই প্রতীক । তাকে নিয়ম-কানুন দিয়ে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিলে তার প্রতি আমার স্বতস্ফূর্ত ভালবাসা তৈরী করা এবং সেই ভালবাসার চর্চা করা কষ্টকর হয় ।

তাছাড়া জাতীয় পতাকার যেই মাপ জোক সেই অনুযায়ী তৈরী একখন্ড আয়তাকার কাপড় দিয়ে সুস্থ মানুষ শান্তিতে লজ্জা ঢাকতে পারবে না । টি-শার্ট, গেঞ্জী, পাঞ্জাবী ইত্যাদিতে যা দেখি তা কিন্তু আসলে পতাকার রঙ গুলো ( অন্যভাবে বললে জাতীয় প্রতীক রঙ গুলো ) এবং মোটিফ যেমন লাল বৃত্তটার ব্যবহার ।


কাল যদি কেউ মার্কিন আদলে চুচি/ঢিপি/নুনু ঢাকতে বা স্যান্ডেলের ফিতায় পতাকা লাগায় তাকে কী বলে মানা করব?

এটা আসলে ভয়ানক খারাপ হবে ।


দাঁড়িয়ে মাথা নীচু করে সম্মান প্রকাশ করাটাই গ্রহণযোগ্য রীতি।

মাথা নীচু ?!?! সেতো দাসত্বের ভঙ্গি । মনে হয় ভুল করে ফেলেছেন । মাথা নীচু করে সম্মান দেখানর নিয়মটা আমি শিখিনি । ঋজু ভাবে দাঁড়ানটাই তো নিয়ম । শৈশবে কৈশরে অনেক গুলো স্কুলে পড়েছি, বাবার বদলীর চাকরি ছিল তাই দিপু নম্বর টু এর মত প্রায় বছর বছর স্কুল বদলাত । কোন স্কুলেই মাথা নীচু করে জাতীয় সঙ্গীত শুনিনি বা গাইনি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

এনকিদুর সঙ্গে একটা জায়গায় কিঞ্চিৎ ভিন্নমত।
জাতীয় সঙ্গীতে ঋজুভাবই শ্রেয়। তবে জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে যদি পতাকার প্রতি নতজানু হইও তাতে বোধ করি দাসত্ব নয় বরং বিশ্বস্ততা প্রকাশ করে।
এটা তো দাসত্বের মেরুদণ্ডহীনতা নয়। শ্রদ্ধায় নতজানু হওয়া।
নতজানু হওয়া সবসময় দাসত্বের প্রকাশ নয়। তাহলে তুলনামূলক বিচারে মনে হয় সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক জাতি জাপানীরাই দাস জাতি হিসেবে পরিচিতি পাবার কথা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এনকিদু এর ছবি

রণদা, আমার আগের মন্তব্যে ৪ নং প্যারাটা স্কুলে অ্যাসেম্বলী বা অন্য যে কোন সমাবেশে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় কিভাবে দাঁড়ান উচিত সেই প্রসঙ্গে বলা । পতাকার ব্যাপারে না ।

পতাকার প্রসঙ্গে আপনি বলেছেন,

তবে জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে যদি পতাকার প্রতি নতজানু হইও তাতে বোধ করি দাসত্ব নয় বরং বিশ্বস্ততা প্রকাশ করে।

একশত ভাগ সহমত ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

পতাকার ব্যবহার দু'ধরনের-
প্রাতিষ্ঠানিক এবং আবেগ (দেশাত্মবোধ)প্রকাশ।

সাংবিধানিক পরিমিতিটা সম্ভবত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে কেউ যদি লাল ও সবুজ রঙটাকে প্রতীকী ইমেজে শিল্পীত ব্যবহার করে তাহলে খারাপ তো কিছু দেখছি না ! বিজয় দিবসে কোন মেয়ে যদি সবুজ শাড়ি আর লাল ব্লাউজ পরে তার দেশাত্মবোধের আবেগটাকে প্রকাশ করতে চায়, তাকে তো স্বাগত জানানো উচিৎ ! সে তো পতাকা ব্যবহার করছে না। দেশাত্মবোধকে ইমেজে নিয়ে আসছে। আমরা কি তাহলে শিল্পী শাহাবুদ্দীনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক শিল্পগুলোকে বর্জন করবো !

তবে দেশাত্মবোধ দিয়েই আমাদেরকে বুঝে নিতে হবে, পতাকার অপমান কোথায় হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তার প্রতিবাদ করতে হবে। এই যেমন আপনি প্রতিবাদ করতে গিয়েও আমার দৃষ্টিতে আপনার অজান্তেই পতাকার অবমাননা করে ফেলেছেন বলেই মনে হচ্ছে। মার্কিন আদলের তুলনা করতে গিয়ে যে বাক্যটা ব্যবহার করলেন, তাতে বাক্যের মর্মার্থ বুঝতে গিয়ে যে কাল্পনিক দৃশ্যটা মনের পটে ভেসে উঠছে, তাতেই আমি বিব্রত বোধ করছি।
তবে আমাদের প্রাণের পতাকার প্রতি আপনার আন্তরিক শ্রদ্ধাবোধে কোন কমতি নেই এটা স্পষ্ট। আপনার নির্দ্বিধ মতামত রাখার জন্য শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আলমগীর এর ছবি

পতাকার ব্যপারে আপনার সাথে সহাবস্থান হতে পারে।
কিন্তু যৌবনজ্বালা কী করে এসেছে তা আমি এই প্লাটফর্মে জানাতে অপারগ। "গোপন ক্যামেরা" একটা ক্লু মাত্র।

ভাল থাকবেন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পতাকা নিয়ে একমত হতে পারলাম না। এই ব্যাপারে আবেগকে সামাল দিয়ে চলার কোন মানে দেখি না।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

খেকশিয়াল এর ছবি

পতাকা নিয়ে কথাগুলা মৌলবাদীদের ফতোয়ার মত লাগছে । ২,৩ নম্বর বুঝি নাই ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধ্রুব হাসান এর ছবি

যেহেতু মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস রাখি এবং তার প্র্যাক্টিসও করি তাই আলমগীর সাহেবের মতের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, তার পুরো পোষ্টটিই আপত্তিকর! খেকশিয়ালের মতো আমারো তার বক্তব্যকে মৌলবাদীদের ফতোয়ার মতো লাগছে। মানুষ একটি উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে উঠবে এটাই বোধহয় স্বাভাবিক। এতে কেউ যদি ভালবেসে পতাকার কালার চার্ট দিয়ে নিজের আন্ডার গার্মেন্টস্‌-এর ডিজাইন থেকে শুরু করে পাঞ্জাবীর ডিজাইনও করে তবে ক্ষতিটা কি? এতে কিসের বা কার সম্মান নষ্ট হয়? সবকিছুকে কোরান, গীতা, বাইবেল বানানোর কি মানে? উৎসবের আনন্দ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক এইতো চাই একজন বাংলাদেশী হিসেবে। তাছাড়া সচলের ব্যানারটা সত্যিই দেখতে অপূর্ব হয়েছে (অবশ্য কারো কারো ভালো নাও লাগতে পারে, না লাগাটাই স্বাভাবিক!)।

আর আলমগীর সাহেব ২,৩ নম্বর কি প্রসঙ্গে বলেছেন তার কিছুই বুঝলামনা!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

১. একটা উদাহরণ দেই। ক্রিকেট টীমের জার্সিগুলো কিন্তু পতাকার রঙের সাথে মিলিয়ে করা হয়। অফিশিয়াল কাজে সংবিধান মেনে টেন বাই সিক্স সাইজ মেইনটেইন করা হোক, তবে অবমাননার উদ্দেশ্য না হলে পতাকার রঙে ফেসবুক বা সচলায়তন রাঙাতে অসুবিধা কোথায়?

২. ঠিক।

৩. পিয়াল ভাইয়ের ক্যাম্পেন নিয়ে এটা বলা হলে এই বক্তব্য আপত্তিকর এবং একটি চমৎকার প্রয়াসের জন্য অপমানজনক। পিয়াল ভাই উনার ক্যাম্পেনে হিডেন ক্যামেরার ভিডিও দেখার জন্য কাউকে বলছেন না; বরং যারা হিডেন ক্যামেরার ভিডিও দেখতেই ওই সাইটে যেত, তারাও এখন যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

#৩ প্রসঙ্গে,
খুব খাপছাড়া মন্তব্য মনে হলো। দুই বাক্যে বক্তব্য সমাপ্ত করে 'অন্যায়, ভারী অন্যায়' ট্যাগ লাগানোয় বিস্তারিত ব্যাখ্যা পেলাম না। বরং মনে হলো- ক্যামন যেনো একটা তীব্র ক্ষোভ ঝরে ঝরে পড়ছে।

'জ্বালায়' আক্রান্ত না হওয়া কিংবা 'যাত্রা'য় সামিল না হওয়া একান্তই ব্যক্তিগত অবস্থান হতে পারে। কিন্তু, এই প্রচেষ্টাকে 'অন্যায়, ভারী অন্যায়' বলাটা মানতে পারলাম না। বাংলাদেশের ইন্টারনেটের ব্যাপ্তিতে বিশেষ করে বাংলা ইউনিকোডের প্রচলনের শুরু থেকে এক ঝাঁক জামাতি/পাকি-প্রেমি সাহাবা-আশেকানদল মিশন নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে। এরাই প্রচার করে ৭১এ ৩০ লক্ষ নয়, ৩০ হাজার লোক মারা গেছে। এরাই গোলাম আজমকে মহান নেতা উপাধি দেয়, এরাই গোলাম আজমের মগবাজারের বাড়ীর অর্থায়নসূত্র নিয়ে জিহাদী জোশে কী-বোর্ড চাপে। এরা বিক্ষিপ্ত নয় বরং সংঘবদ্ধ হচ্ছে নানানভাবে। আর টার্গেট করছে একেবারে উঠতি একটা প্রজন্মকে। ফোনেটিকে বাংলা লিখার সুযোগ পেয়ে মধ্যবিত্তের ক্লাস নাইন-টেন পড়ুয়া যে ছেলেটি-মেয়েটি দপাদপ পোস্ট দিচ্ছে, কমেন্ট করছে, খুব সচেতনভাবে নানান পোস্টের মাধ্যমে তার চোখে মনে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে - 'শেখ মুজিব ইংরেজি জানতো না, ভুলে ৩ লক্ষকে তিন মিলিয়ন বলেছে। শর্মিলা বোসই ঠিক - ২লক্ষ ৬৯হাজার মিথ্যা প্রচারণা'। তখন ক্রমশঃ ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা নিয়ে তামাশা করে হা হা হা শব্দে হাসে এই বরাহ পাল।
এগুলোর সামগ্রিক প্রভাব পড়ছে নিউট্রাল উঠতি এ প্রজন্মের মনে। আর তারা নানানভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে এই ভেবে যে, "৭১ কি আসলেই ভুল ছিল? নাকি স্রেফ ভারতের চক্রান্ত?"

এই গেলো অন্তর্জালের অবস্থা।
মাঠে ময়দানেও এ স্বাধীনতাবিরোধী চক্র থেমে নেই। ডিবেট কম্পিটিশন আর কুইজ শো'র নামে ঢুকে যাচ্ছে শহরের মফস্বলের স্কুলে কলেজে। ১০টি বিশেষ বইয়ের সেট পুরস্কারের মাধ্যমে ব্রেইন ওয়াশ হচ্ছে একেবারে ফ্রেশ কিশোর কিশোরীর। তাই 'আফ্রিদী প্লিজ মেরি মি'র ১০ বছর পরে 'আতিফ আসলাম ফ্যানক্লাব' হয় স্কুলে স্কুলে, ক্লাস নাইন পড়ুয়ার দেয়ালে শোভা পায় লোমশ বুকওলা আতিফের পোস্টার।

কীসব ড়্যাংকিং পরিসংখ্যান বলে 'যৌবনজ্বালা/যাত্রা' বাংলাদেশের টপ টেন ভিজিটেড সাইট। কারা ঐ সাইটে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাচ্ছে সেটা জানার জন্য খুব বেশি ভাবতে হবে না। স্কুল-কলেজের উঠতি ছেলেপেলে, আমাদেরই আপন-খালাতো-মামাতো-ফুপাতো-কিংবা পাড়াতো ভাই বোন। বয়সের তোড়ে কিংবা জ্বালায় আক্রান্ত হয়ে যে যাত্রায় তারা আছে, তাদেরকে ঘৃণা করা বা একপাশে ফেলে রাখার কিছু নেই। বিশাল এ গ্রুপের কাছে পৌঁছা, এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার দাবীতে তাদের সমর্থন আদায় করাটা অনেক জরুরী এবং সাহসের কাজ। সে কাজে এতদিন পরে 'অমি রহমান পিয়াল' সামিল হলেন এবং স্বনামে সেটা ঘোষণা কর্লেন, এতে 'অন্যায়'এর কিছু আমি দেখি না। বরং মন থেকে সাপোর্ট জানাই।

'জ্বালা 'কিংবা 'যাত্রা'র আগে 'যৌবন' যুক্ত থাকায় আমার সুশীল মুখোশ স্বনামে এ মিশনে যাবে না, যেমন গেছেন অমি রহমান পিয়াল। আমি স্বনামে এডাল্ট ফোরামের মডারেটর হতে বিব্রত হবো। সুশীলতার এ পোশাক আমার পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র আমাকে পরিয়ে দিয়েছে। তবে ভিন্ন নামে ঐ ফোরামে গিয়ে 'হিডেন ক্যামের' ঊষ্ণ দৃশ্য বা লেটেস্ট ফোনসেক্সের অডিও ক্লিপ শোনা থেকে আমাকে আঁটকাতে পারেনি। যেমন করে টানে দেবুবাবু বা সবিতাভাবী। এসব দেখে-শুনে আমি সুশীলতায় ফিরে আসি।

তাই যখন জানতে পারি- উঠতি প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে 'নিষিদ্ধদেখার' ফোরামে অমি রহমান পিয়াল যাচ্ছেন তখন তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বাড়ে। ভিন্ন ধারার এ চিন্তায় আমি নৈতিক সমর্থন দিই।
কোনোভাবেই 'অন্যায়, ভারী অন্যায়' মনে হয় না। একেবারেই না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

-

কীসব ড়্যাংকিং পরিসংখ্যান বলে 'যৌবনজ্বালা/যাত্রা' বাংলাদেশের টপ টেন ভিজিটেড সাইট।
আমি এই কথাটাই বলতে যাচ্ছিলাম। আলেক্সা র‌্যাঙ্কিং-এ এই উপাত্ত দেখেছিলাম মনে পড়ে।

এখন কথা হলো, মাস পিপোলকে টার্গেট করা। বাংলা ব্লগিং-এর সবচেয়ে বড় প্লাটফর্মে একসময় জামাতি আণ্ডাবাচ্চাদের মারাত্মক দৌড়ঝাপ ছিলো। তাদেরকে সেখানে আপাততঃ দমিয়ে রাখা গেছে। এখন, এই মুহূর্তে দরকারী ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ঢেউটা যতোদূর সম্ভব, যতো বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আন্তর্জালিক পরিবেশে সবচেয়ে বেশি পরিব্রাজিত একটি সাইটে যদি এই ব্যাপারে আহ্বান করা হয়, যদি এই দাবীকে সোচ্চার করা হয়- তাহলে সমস্যা কোথায়?

এখানে উদ্দেশ্যটাই মূখ্য, পথটা না। যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার-আলবদরদের বিরুদ্ধে এটা একটা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে কোনো অন্যায় নাই। তাদেরকে রুখে দাঁড়ানোটাই এখনকার সময়ের দাবী। যে যার অবস্থান থেকে দাঁড়াবে, এটাই স্বাভাবিক। একজন মসজিদের হুজুর যেমন এই দাবীতে দাঁড়াতে পারেন, তেমনি পারেন ভাসমান কোনো দেহব্যবসায়ীও। প্রবলেমটা কোথায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

আপনার সাথে ব্যক্তিগত ভাবেই কথা হোক। বিষয়টা নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়- এই প্রত্যাশা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই দেশে মৌলবাদীদের উত্থান-এর মূল কারন আমরা কোরআন শরীফকে ধরাছোয়ার বাইরের একটা জায়গায় স্থান দিয়েছি। প্রাণের জায়গাটা দিতে পারিনি ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারনেই।

আমি নিষেধাজ্ঞার চেয়ে প্রাণের জায়গাটাই চাই। আন্ডার গার্মেন্টসকে আমি খারাপ বা অশ্লীল ভাবতে রাজী নই।

পতাকাটা প্রাণে থাকুক... হৃদয়ে থাকুক... নিষেধাজ্ঞায় না।

যৌবনজ্বালায় যারা যায় তাদেরকে অবহেলার কারন দেখি না। যারা নামাজ পড়তেই যায় তাদের কাছে খুত্বা পাঠের চেয়ে যারা যায় না তাদের কাছেই খুত্বা পাঠের প্রয়োজন অনুভব করি। আর তাই মনে করি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোর চেয়ে বেশি জরুরি এইসব সাইটে মুক্তিযুদ্ধের প্রচারণা।

রুচির চেয়ে এখানে জনমত গঠনটাই জরুরি। অস্পৃশ্য বলে কাউকে এর বাইরে রাখতে চাই না।

এই এক কারনে আমরা মাদ্রাসারে প্রচারণার আওতার বাইরে রাখছিলাম... তার ফল আমরা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

ঐখানে যারা যায় তারা নোংড়া মানলাম... কিন্তু তাদের মধ্যে যদি ৫টা লোকো মোটিভেটেড হয় তাইলে ক্ষতি কী?

যারা অলরেডি মোটিভেটেড তাদের চেয়ে অন্যদের কাছেই আমি যাইতে আগ্রহী।

ধন্যবাদ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আলমগীর এর ছবি

নজরুল দা
আমি আন্ডার গার্মেন্টকে খারাপ বলি নাই, কিন্তু ওতে আমি পতাকার ছাপ দেখলে খুবই কষ্ট পাব।

যৌবনজ্বালায় যারা যায় তাকেরকে হেয় বা খারপ বলিনি। আমার দুলাইনের মধ্যে "গোপন ক্যামেরা" একটা শক্ত ক্লু। এরচে বেশী বলা সঙ্গত নয়।

আপনার কাছে আমি একটা অনুরোধ করি: প্রজন্ম'৭১ কখন, কেন মিইয়ে গেল?

ভাল থাকবেন।

মতের ভিন্নতার জন্য যে গালি দেননি ধন্যবাদ দেঁতো হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আলমগীর ভাই...
এই দেশে আন্ডার গার্মেন্ট পরে কেউ রাস্তায় নামবে না আপাতত। সো সেইটা নিয়া আপাতত চিন্তা নাই। জামা পোশাকে পতাকার ব্যবহার কমই হয়... ব্যবহার করা হয় কালার স্কিম... সেটায় আমি আপত্তি দেখি না।

এখন দেখা যাচ্ছে আমিই বুড়ো হয়ে গেছি... যৌবনজ্বালা নামে যে একটা সাইট আছে সেইটাই আমি জানতাম না। মন খারাপ
সাইটটা সম্পর্কে যেহেতু আমার জানা কম তাই এই নিয়ে খুব বেশি মন্তব্য করতে আমি অপারগ... দেখে এসে বলবো। হিডেন ক্যামকে আমি দুই চোক্ষে দেখতে পারি না। জানি না... হয়তো সাইটটা দেখলে আমার মত বদলাতেও পারে... আমি সত্যি জানি না।

প্রজন্ম '৭১ মিইয়ে গেছে একেবারেই রাজনৈতিক কারনে। শুনতে খারাপ লাগলেও বলি- এই দেশে যতোবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী জোড়ালো হইছে... প্রজন্ম '৭১ বা ঘাদানিক হইছে... সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম হইছে... সবই গেছে রাজনৈতিক পকেটে। যাবেও রাজনৈতিক পকেটেই। আমাদের আবেগগুলো আমরা অজান্তেই ব্যবহৃত হতে দেই বরাবর।

আপনি যে অবস্থানে থেকে কষ্ট পাচ্ছেন... আমার অবস্থানো আসলে একই জায়গায়... আমরা সবাই সম্ভবত দেশকে ভালোবেসেই কথাগুলো বলছি... আপনি আমি আমরা সকলে... সেই জায়গাটায় কোনো বিরোধ নাই আমাদের। তাই আপনার বা কারোই আবেগের তীব্রতাকে আমি গালি দিতে রাজী না। মতভিন্নতা থাকলেও আপনার জন্য আমার ভালোবাসাই থাকবে তাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফাহিম এর ছবি

১। আপনার আপত্তির জায়গাটা মনে হয় ধরতে পেরেছি। আপনি জাতীয় পতাকার যথেচ্ছাচারের বিপক্ষে। যৌক্তিক বলেই মনে হয়। তবে দুটো বিষয় একটু লক্ষ্য করবেন -

পতাকা এ ধরনের অপব্যবহারের যোগ্য কিছু নয়
ব্যবহার, অতি-ব্যবহার আর অপব্যবহার, আমার মনে হয় আমাদের জাতীয় পতাকার অতি-ব্যবহার হচ্ছে, অপব্যবহার নয়। এই দুই টার্মের পার্থক্য অনেকটা "অশিক্ষিত" আর "কুশিক্ষিতের" কিংবা "বুদ্ধিমান", "চালাক" আর "অতি-চালাক" এর মত।

২। জামা কাপড়, মাথার ফেট্টি কিংবা খোমাখাতার প্রোফাইল, এগুলোতে জাতীয় পতাকার ব্যবহারে এর পবিত্রতা নষ্ট হবে, এটা আমার মতে একটু রক্ষনশীল ভাবনা। আমরা হুজুগে জাতি, সব কিছু নিয়ে আমাদের বাড়াবাড়ি না করলে হয় না, জাতীয় পতাকা নিয়ে একটু বাড়াবাড়ি না হয় করলামই। কিন্তু এটা ভেবে দেখুন, যা করছি, ভালোবেসেই কিন্তু করছি। হয়তো অনেকের এই ভালোবাসা প্রকাশের ধরনের অন্য অনেকের কাছে ভাল লাগবে না, কিন্ত যে করছে তার কাছে তো ভাল লাগছে। তার এই ভাল লাগাটাকে রক্ষনশীলতার দোহাই দিয়ে থামাতে চাওয়াটা আমার কাছে ভাল ঠেকে না।

৩। প্রখ্যাত ব্লগার অমি রহমান পিয়াল নিজের অজান্তেই স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে ভয়াবহ একটা অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

আলমগীর এর ছবি

@কিংকং:
যৌবনজ্বালাতে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে কোন বক্তব্য নেই। বক্তব্য আছে "গোপন ক্যামেরার ভিডিও" নিয়ে। দুই লাইনের প্যারাতে এটা মিস করে যাওয়া কেমনে সম্ভব হলো? যা বলতে চাচ্ছেন তা স্পষ্ট করে বললে বাজে শব্দ ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।

ফতোয়া?
আসলেই ফতোয়া। অন্যদেশে পতাকাকে যেভাবে দেখা হয় বাংলাদেশে সেভাবে না।

@এনকিদু:
মাথা নীচু মানে কী বুঝেছেন আপনি জানি না। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় দৃষ্টি নত রাখাই রীতি/নিয়ম।

@শিমুল:
২নংএর প্রসঙ্গ ব্যাপক। মহৎ কিছু করার যেকোন আইডিয়া নিয়েই যারা দৌড়াচ্ছেন তাদের জন্য। ৩এর সাথে মেশালে বাকী অর্থ পরিষ্কার হবে। যারা পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগে কাজ করে, তদন্ত/মামলার প্রয়োজনে তারা অফিসের কম্পইউটারে চাইল্ড পর্ন রাখে। কিন্তু গ্রাটিফিকেশনের জন্য সেটার ব্যবহার হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ একই অপরাধে অভিযুক্ত হবেন।

@নিঝুম:
জাতীয় সঙ্গীত পরির্বতনের কথা তুলে কে কে যেন মার খেয়েছিল মনে আছে? জাতীয় পতাকার নিয়ম-ভিন্ন ব্যবহার অবৈধ না বেআইনিও। পাড়ার মুদি দোকানদাররা এসময় জরিমানা গুণত এ নিয়ম না মানতে পারার জন্য।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

@ ভাই আলমগীর,
২ আর ৩ মিশালাম। কমেন্টে যা বলেছি তা পরিবর্তনের কিছু পেলাম না।

স্বতোপ্রণোদিত হয়ে ১ আর ২ও মিশালাম।

বিস্মিত হচ্ছি সচলের ব্যনার দেখেও। পতাকার এ ধরনের ব্যবহার কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা মডুদের সম্মিলিতভাবে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই। আমার মতে এটি ঠিক নয়।

সচলের ব্যানারে পতাকার ব্যবহার 'ঠিক নয়' কেন, জানতে ইচ্ছে করছে খুব। যুক্তি-তর্কের ডালপালা ছড়ানোর জন্য না, আসলে - নেটে আসলে অনেকটা সময় সচলেই কাটে গত দেড় বছর। সেজন্যই জানতে চাওয়া। পড়ালেখা নিয়ে চাপে আছেন ধারণা করছি। এরমাঝে সময় পেলে ব্যানারে পতাকা জুড়ার 'গ্রহণযোগ্যতা' 'ঠিক না' হওয়া নিয়ে বিস্তারিত বলে গেলে, জানতে পারবো। ধন্যবাদ।

এনকিদু এর ছবি


"মাথা নীচু" =/= "দৃষ্টি নত"

অ্যাঁ

হাত দিয়ে লিখলেন অসমতার বাম দিকের শব্দটি আর মনে মনে ভাবলেন ডান দিকেরটি, তাইলে কেমনে হবে ।


বড় ভাই কি বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখেন না ? খেলার আগে যে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজায়, তখন খেলোয়াড়েরা "উন্নত মম শির" হয়ে দাঁড়ায়, আর দৃষ্টি থাকে সোজা সামনে । দৃষ্টি নত করা নিয়ম না । আমার জানার বাইরে কোন দেশ থাকতে পারে যেখানে হয়ত দৃষ্টি নত করাই নিয়ম ।


দৃষ্টি নত করে দাঁড়াতে হয় নামাজে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আলমগীর এর ছবি

আপনার মত, বোধের প্রতি সম্মান রেখেই আপাতত আপনার কথা মেনে নিচ্ছি। ধর্মীয় আচারের প্রসঙ্গে কোন কথা এই পোস্টে বলতে আমি অপারগ।

ভাল থাকবেন।

অনিকেত এর ছবি

নানান কারনে এখানে আসা হয় না বেশ কিছু দিন। লেখালেখিও করা হচ্ছে না।

আজকের দিনটাও আমার ব্যস্ততার মাঝেই কাটানোর কথা ছিল। সেমিষ্টার শেষ হচ্ছে। ফাইনাল গ্রেডিং নামের এক বীভৎস কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে হবে। কিন্তু মাইগ্রেনের যন্ত্রনায় নড়তে পারছি না। প্রফেসরকে জানাতেই ব্যস্তসমস্ত হয়ে জানালেন---তোমার আসার দরকার নেই, আরো লোক-জন আছে, আমরা সামলে নেব। আমি বললাম--একটু কাজ-করার-মত-অবস্থায় আসলেই হাজির হবো।

সেই ফাঁকে এইখানে ঢুঁ মারতে এসে দেখি এই দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার। মাথার যন্ত্রনা বাড়ল বৈ কমল না। চট করে কিছু মন্তব্য করে যাচ্ছিঃ

------- পতাকার ব্যাপারে এই ধরনের মন-মানসিকতা অর্থহীন, অনেকাংশে সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রসুত এবং আচরনে মৌলবাদী। দেশপ্রেম কোন যুক্তির জিনিস নয়। কেউ যুক্তির নিরিখে তার দেশকে ভালবাসে না। দেশের জন্যে যারা যুদ্ধে যায়--তারা অঙ্ক কষে হিসেব করে দেখে না--যে যুদ্ধে যাওয়াটা কতটা তার জন্যে উপযোগী।

আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের দেশপ্রেমের প্রতীকী ঝান্ডা। আমাদের জীবনের আরো সকল আড়ষ্টতার মাঝে জাতীয় পতাকা নিয়ে এইসব ছ্যুৎমার্গীয় দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মানসিক কোষ্ঠ-কাঠিন্যের লক্ষন। আমরা এমন এক সময়ের মাঝে দিয়ে যাচ্ছি যখন দেশের শিরে সংক্রান্তি। এই সময়ে আমাদের কে, আমাদের দেশ কে, আমাদের জাতিসত্বাকে উজ্জীবিত করার সময়। এখন জাতীয় পতাকার সাইজ নিয়ে গবেষনার সময় নয়। আমরা আর কিছুতে সম্মান দেখাতে ব্যস্ত নই, পারদর্শী নই--- খালি জাতীয় পতাকার সাইজ ছোট বড় হলেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ??

আলমগীর, আমি দুঃখিত। তোমার মতামতের সাথে একমত হতে পারলাম না।
আসলে ভুল বললাম----আমি 'সুখী' যে, আমি তোমার মতের সাথে একমত নই। আমার সামনে এখন আমার দেশের এক ক্রান্তিকাল। আমি চাইব দেশের সবাই এই পতাকার কথা ভাবুক, এই পতাকার নীচে আসুক। লাল-সবুজে শুধু ফেসবুক কেন, সারা পৃথিবীর বুক ভেসে যাক।

আর জাতীয় পতাকা শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গে অঙ্কিত যারা করে, বা তোমার কথানুসারে বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ আচ্ছাদিত করে---তোমার ধারনা, তারা দেশকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করে? তাহলে নির্দ্বিধায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের পতাকাকে সবচাইতে ঘৃণা করে।

যৌবনজ্বালা'র ব্যাপারটা ঠিক বুঝিনি। রাতে আরেকটু সুস্থির হয়ে এই নিয়ে খোঁজ-খবর করব।

আলমগীর এর ছবি

শুভ ভাই
পতাকার ব্যপারে সংকীর্ণতা আমি স্বীকার করি।
শরীর আবৃত করা নিয়ে যা বলেছি তার উল্টো অর্থ করে ফেলেছেন। নীচে মন্তব্যে বিশদ বলার চেষ্টা করেছি।

পড়াশোনার জন্য শুভকামনা রইল। আমারও একই কাজ করার কথা এখন। হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আলমগীর ভাই,

পতাকার ব্যবহারের নিয়মনীতি (আমাদের দেশে যেটা আছে) সেটা আমার ঠিক ভাল লাগেনা। তবে সেটার যদি যত্রতত্র ব্যবহার শুরু হয় (আপনি যেগুলো উল্লেখ করেছেন) তখন কী হবে সেটা চিন্তার বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেশকে যতই ভালোবাসি, পতাকাকে ভালবাসতে গিয়ে সেটা এখানে-ওখানে লাগাবো এমনটা মেনে নেবনা।

সচলায়তনের ব্যানারে মনে হয় সমস্যা নাই। আমি ওটাকে পতাকা নয়, সূর্য হিসেবে মনে করেছি। পতাকা হলেও মনে হয় সমস্যা হতোনা।

তিন নম্বরের বিষয়ে মনে হচ্ছে মুর্শেদের কথা কোট করতে হবে The end does not always justify the means.

হিমু এর ছবি

১. পতাকা নিয়ে আমার কোন আপত্তি নাই। পতাকারঙা জামা, মাথায় পতাকা আঁকা ব্যান্ডানাস, কিংবা গালে আঁকা পতাকা, এতে মনে হয় না পতাকার প্রতি কোন ধরনের অবমাননা আছে। কত কষ্ট করে অর্জন করা আমাদের পতাকা, আমরা যদি বিশেষ বিশেষ লগ্নে একে নিজেদের প্রতীক হিসেবেই আত্মস্থ করতে না পারি, তাহলে কেম্নে কী?

২. কথাটা ঠিক।

৩. আমি ব্যক্তিগতভাবে ভূতপূর্ব যৌবনজ্বালা বর্তমান যৌবনযাত্রায় মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী জামাত-রাজাকার-আলবদরদের বিচারের দাবি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কোন সমস্যা দেখি না। আমি মনে করি, এই দাবি বাস-লঞ্চের ভেতরে স্টিকার মারা দরকার, সরকারি অফিসে স্টিকার মারা দরকার, উঠতে বসতে চলতে ফিরতে সর্বত্র এই দাবি মুখরিত থাকা দরকার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি কতগুলি খুনী, বদমাইশ, দালালের শাস্তির দাবি, দেয়ারজ নাথিং টু স্যাক্রোস্যাংট অ্যাবাউট ইট। যৌবনযাত্রায় যেই লোক চটি পড়তে বা স্থির/চলমান পর্ন দেখার আগ্রহ নিয়ে ঢোকে, তারও যেন একবার চোখের সামনে এই দাবি ভেসে ওঠে, তেমনই একটা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অনেকে একে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে একটি পর্নভিত্তিক সাইটের জাতে ওঠার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। অমি রহমান পিয়ালও দেখলাম এই প্রক্রিয়ার বিবরণ দিয়েছেন, কিভাবে তিনি প্রথমে পর্ন কনটেন্ট প্রোভাইডার হয়ে এই প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেছেন, ব্যবস্থাপকদের সাথে ভাব জমিয়েছেন এবং সর্বশেষে তাদের মোটিভেট করেছেন এমন একটি দাবি নিয়ে সরব হতে। আমার মনে হয় তার কাজটি প্রশংসার্হ। তবে মজা পেয়েছি যৌবনযাত্রায় পিয়াল ভাইয়ের ম্যান অব দ্য ইয়ার হওয়া নিয়ে শিশুর মতো খুশি হওয়া দেখে। পিয়াল ভাই, আসুন ভেতরের ছাগু-রাগুগুলিকে দমন করে রাখি দেঁতো হাসি ...।

আর একটা মডারেশন নোট, বিশেষ করে কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের প্রতি, পড়ে আমি নিজেই কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তার প্রথম প্রতিক্রিয়ার ভাষা সচলে জোরালোভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। আরেকজন সদস্যের মতের সাথে ভিন্নমত, বা প্রতিবাদের জন্য এই ভাষা বেছে না নেয়াটাই স্বাস্থ্যকর।


হাঁটুপানির জলদস্যু

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

রজার দ্যাট ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হিমু লিখেছেন:
তবে মজা পেয়েছি যৌবনযাত্রায় পিয়াল ভাইয়ের ম্যান অব দ্য ইয়ার হওয়া নিয়ে শিশুর মতো খুশি হওয়া দেখে। পিয়াল ভাই, আসুন ভেতরের ছাগু-রাগুগুলিকে দমন করে রাখি দেঁতো হাসি ...।

জেনেরিকভাবে বলতে গেলে এটাকে ডিভা এটিচ্যুড বলে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বিপ্লব রহমান এর ছবি

..পতাকা প্রসঙ্গে আমার যা বলার ছিলো, তা রণদীপম বসু ও হিমুই বলে দিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগ করে শুধু এইটুকু বলবো: পতাকা কোনো ঐশি-গ্রন্থ নয়। তা মহান (?) সংবিধান বর্নিতভাবে বা পোস্টদাতার পছন্দ মতো না হলেও। শ্রদ্ধাবোধ একটি অন্তর্নিহিত ব্যবহার। আর আচরণেই তার প্রকাশ যথেষ্ট নয়।
---
পোস্টদাতার ভাষা ও এর প্রয়োগ কতোটা সচল রুচির সঙ্গে মানানসই (এটি সম্পাদনার সময়ও এখন বোধহয় উত্তীর্ন হয়ে গেছে) তা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাই।
---
মুক্তিযুদ্ধের গবেষণায় অমি রহমান পিয়াল সম্ভবত এই প্রজন্মের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ। তার ধ্যান-ধারণা ও কর্ম পদ্ধতি আমার পছন্দ না-ও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তার কর্মনিষ্ঠা ও আত্নত্যাগকে খাটো করে দেখবো কোনো?

---
জানি না, বিতর্ক উস্কে দিচ্ছি কী না, এই পোস্টে এমন একপেশে তর্ক-বিতর্ক ভালো লাগে নি। তবে হিমু না বলা কথার অনেকটাই বলে দিয়েছেন। সে জন্য তাকে সাধুবাদ জানাই।

---

অনেক ধন্যবাদ। জয় হোক মুক্ত বুদ্ধির! জয় হোক শুদ্ধ চিন্তার!!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আলমগীর এর ছবি

বিপ্লব রহমান
সংবিধান মহান, তা আপনি সময়মতো মানুন আর না মানুন।

লেখার ভাষা ও তার প্রয়োগ সম্পর্কে সচলের রুচির পার্থক্য নিয়ে কথা শেষ হয়েছে। এ মন্তব্যে তা দেখতে পাবেন।

sachalayatan.com/ এর পর alamgir নামে যে জায়গাটুকুন তা আমার। একই ভাবে আপনার, সব সদস্যের স্থান আছে। কারো পোস্টে এসে নাম না নিয়ে "পোস্টদাতা" সম্বোধন করার রীতি দেখিনি।

আপনার মুক্ত বুদ্ধি আর শুদ্ধ চিন্তার নমুনা আগেও দেখেছি, হয়ত ভবিষ্যতেও দেখব।

ধন্যবাদ।

অমিত এর ছবি

"পিয়াল ভাই, আসুন ভেতরের ছাগু-রাগুগুলিকে দমন করে রাখি ...।"

আমি তো জানতাম এই ধরণের মন্তব্য সচলে নিরুৎসাহিত করা হয় !

আলমগীর এর ছবি

দেখা যাচ্ছে: আপত্তিকর অভিযুক্ত।
আপত্তির পরীক্ষা টিকলে পরে বাকী মন্তব্যের উত্তর দিই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পরীক্ষায় টিকাটিকির কিছু নাই। যেটা আপত্তিকর চিহ্নিত সেটার আপত্তি সরানো হয়না। বরং আপত্তিকারীর সাথে কথা বলে এপ্রোপ্রিয়েট একশন নেয়া হয়:

১। কিছুই করা হয় না (আপত্তিকর চিহ্নিত হিসেবে প্রথম পাতায় থাকে)
২। প্রথম পাতা থেকে সরানো হয় (আপত্তিকর চিহ্নিত থাকেই)
৩। শ্রীঘরে পাঠানো হয় (আপত্তিকর চিহ্নিত থাকেই)

এখন পর্যন্ত ১ নম্বর অপশনে আছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আলমগীর এর ছবি

থ্যাংকস। আরেকটা কথা বলেন তো, অনেকগুলা এক ভোট পাওয়া মানে কি 'মাইনাস'?

আলমগীর এর ছবি

অরূপ, আপনার অবস্থানটা বুঝি। কিন্তু ওই দুটো শব্দ না থাকলে আমার চামড়া থাকবে না।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

৩ নং প্রসঙ্গে,

সচেতন বা অবচেতনভাবে প্রায় সবাই যে ফ্যাক্টটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন সেটা হলো,
যৌবনজ্বালা/যাত্রার নামে হিডেন ক্যামেরা ভিডিও প্রমোট করার মতো ভয়াবহ অভিযোগ এসেছে, এবং সেটা সাপ্তাহিক ২০০০ এর মতো পত্রিকায়
যারা বিষয়টাকে সাপোর্ট করছেন তারা কি নিশ্চিত যে যৌবনজ্বালা এই অভিযোগ থেকে মুক্ত?
কারণ এটা একটা সিরিয়াস ক্রাইম!!!

এটা যাস্ট সেই ক্রাইম যেই ক্রাইমে যুদ্ধাপরাধীরা অভিযুক্ত!!!!

উপরে একজন বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে বলেছেন তিনি কাউকে বলেননি, "তুই গাঁজা খাস, তোকে নেবোনা" ঠিক আছে, কিন্তু তিনি কোন গাঁজা খায় এমন মুক্তিযোদ্ধাকে (যদি কেউ থেকে থাকেন) সবার সামনে পরিচয়ও করিয়ে দেননি এই বলে যে "দেখো এই গাঁজাখোরটাকেও আমি মোটিভেট করেছি"

আর যৌবনজ্বালা প্লাটফর্মকে যখন জড়িত করা হচ্ছে তখন সমস্যাটা আর গাঁজাখোর বা এ্যাডাল্টকনটেন্ট লাভার লেভেলে নাই, সেইটা একটা সংগঠনের দিকে গেছে, যাদের নামে সিরিয়াস অপরাধের অভিযোগ আছে
মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু নিশ্চয়ই নাৎসীদের সহায়তা পেলে সেটা গ্রহন করতেননা

আরো অনেক কথা আছে
স্ট্রাটেজিকালি বললে, পিয়াল ভাইর যে আবেগ আর যে সংগ্রহ আর সাংবাদিক হিসেবে যে নেটওয়ার্ক, তাতে উনি আন্দোলনটাকে অনেকদূর টেনে নেয়ার ক্ষমতা রাখেন। পিয়াল ভাই বলেই ব্যাপারটা এত আলোচিত, আমরা সমালোচনা করছি। আজকে সলিমুদ্দি বা কলিমুদ্দি একই কাজ করলে আমরা হয়তো বলতাম, "খারাপ কি? সবখানে ছড়াক আন্দোলনটা"। কিন্তু পিয়াল ভাই দেখেই আমরা অকর্মারাও যতটুকু বুঝতেছি সেই মতামতটা দিচ্ছি -- কাজেই এখানে "আপনারা কিছু করছেননা কেন?" বলাটা এরকম একটা মেসেজ হয়ে যায় যে যারা সরাসরি কিছু করছেনা তাদের এবিষয় নিয়ে চিন্তা করার অধিকার নেই!!

যৌবনযাত্রার কয়েকহাজার সদস্যকে মোটিভেট করতে গিয়ে পিয়াল ভাই সবচেয়ে যেই ক্ষতিটা নিজের করলেন সেটা হলো নেটের মহিলা সদস্যদেরকে তিনি দূরে সরিয়ে দিলেন ...
যৌবনজ্বালার মতো হিডেনক্যাম অপবাদে দুষ্ট সাইটগুলোকে মেয়েরা অসম্ভব ঘৃণা করে, রাজাকারদের তারা যেকারণে ঘৃণা করে অনেকটা সেরকম কারণেই করে -- এটুকু অন্ততঃ আমি বুঝি

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

রানা মেহের এর ছবি

প্রিয় আলমগীর

যে কোন বিষয়ে আপনার ভিন্নমত থাকতেই পারে
তবে তার প্রকাশ এতো উগ্রভাবে না হওয়া উচিত।

কিংকং রণদীপম শিমুল খুব ভালো বলেছেন। আমার কথা তাদেরই পূনরাবৃত্তি হবে।
তবু বলি।

পতাকা শুধুমাত্র রাষ্ট্রের বা সংবিধানের সম্পত্তি নয়। প্রতিটা বাঙালির পতাকার ওপর অধিকার আছে। ফেসবুকে টিশার্টে পতাকার ব্যাবহারে সেই অধিকারেরই চর্চা করা হয়। অপব্যবহার নয়। কেউ যদি সংবিধানের নিয়ম মেনে পতাকা বানিয়ে সেটা দিয়ে জুতা মোছে কিংবা নাক ঝাড়ে সেটাই কি পতাকার যথাযথ প্রয়োগ হবে? সংবিধান অনুসারে তো সেই ঠিক, নয় কি?
আচ্ছা কাকে আমরা দেশপ্রেমিক সুনাগরিক বলবো?দেশ কে বিক্রি করে দেয়া মাপমতো পতাকা লাগানো গাড়ী নিয়ে ঘোরা রাজনীতিবিদদের? নাকি অসাংবিধানিক উপায়ে তৈরী পতাকা ব্যবহার করা সাধারণ মানুষকে?

ডিসেম্বর এলেই দেশপ্রেম জাগে - দেশপ্রেম বোধহয় আপনার থেকে লাল সবুজ ফেসবুকিশদের কম নয়। ডিসেম্বর এলে দেশপ্রেমের প্রকাশটা বাড়ে। বিশেষ দিন কিংবা মাসগুলোই এরকম। এও কি খারাপ?

অপব্যাবহার হয় সবকিছুর। পতাকার হবে। হবে সংবিধানেরো। তবু পতাকাকে আমাদের ভালোবাসায় জড়ানোর অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে একই সাথে। এতোগুলো মানুষের সত্যিকার ভালোবাসায় এইসব ভুল ব্যাবহার খুব বেশীদিন টিকবেনা।

যৌবনজ্বালা - পিয়াল ঠিক ঘটেছে পরিস্কার নই। মন্তব্য পড়ে যা বুঝলাম একটা পর্নো সাইট আছে। যেটাতে পিয়াল অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
পর্নো ইউজার রা কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়ানোর অযোগ্য? আজ জামাতের কানে তুলে দেখুন ওই সাইটে গেলে জামাতের লোকবল বাড়ানো যায়, তারা তিনদিনে সেখানে একটা অবস্থান গড়ে নেবে। ছদিনে ছাব্বিশটা সদস্য বানিয়ে নেবে। আমরা যদি ওখানে আমাদের পক্ষে মত তৈরী করি তাতে অসুবিধা কোথায়?

একটা ম্যাসেজ যখন পৌছাতে হয় তখন সেটা রিসিভারের ভাষাতেই পৌছাতে হয়। প্রেরকের ভাষায় না। দেশে থাকতে এইডস এর ওপর কাজ করতাম। আটঘন্টার মাঝে পাঁচঘন্টাই যৌনকর্মীদের কুতসিত যৌনঅভিগ্গতা শুনে কাটাতে হতো। তারপর বাকি তিনঘন্টা সে আমাদের কথা শুনতো। তো আমিও খারাপ?

পিয়াল যে কাজ করছেন, তাতে তাকে সম্মান না করে কোন উপায় নেই। সচলে আমরা মোটামুটি একই চিন্তার মানুষ। রাজাকার আর মুক্তিযোদ্ধার পার্থক্য জানি। পিয়াল যেখানে কাজ করছেন সেখানে তাকে মিথস্ক্রিয়ায় যেতে হচ্ছে একদল অন্যরকম সময় কাটানো মানুষের সাথে। আমাদের মতো ভিডিওগেমে যুদ্ধ করা তিনি নন ।

সংবিধান আর রুচির রেহেলে পতাকা আর মুক্তিযুদ্ধকে কোরানশরীফ বানিয়ে রাখলে আরেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে আসমানী কিতাবই নাযেল করা হয়, বাংলাদেশ উদযাপন হয়না।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আলমগীর এর ছবি

যৌবনজ্বালা কী করে এসেছে কবছর ধরে তা কি আপনি অবগত?

আপনি কি আদৌ আমার লেখার শেষ দুইলাইন পড়েছেন?

তারেক এর ছবি

কোন পোস্ট ভালো না লাগলে চুপচাপ থাকাটাই ভদ্রতা। আমার এখানে জানিয়ে দিতে ইচ্ছে করলো লেখাটার কিছুই ভালো লাগে নাই, না বিষয়, না অ্যাপ্রোচ।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

আলমগীর এর ছবি

আপনার ভালো লাগছে এমন কোন পোস্ট/মন্তব্য আমি কখনই করতে পারিনি।
আমার সীমাবদ্ধতা।

বিপ্রতীপ এর ছবি

আলমগীর ভাইয়ের বক্তব্যের ভঙ্গিমাটা উগ্র ছিল মানছি। বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তুর সাথে আমি নিজেও ভিন্নমত পোষন করি। অনেকেই এই টপিকে উগ্রভাবে উত্তর দিয়েছেন। বিষয়টা ভালো লাগেনি। সহমত না হলেই গলা চেপে ধরতে হবে এমনটা কাম্য নয়। অফ যা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

অবাঞ্ছিত এর ছবি

নগন্য মানুষ... তবু ভয়ে ভয়ে বলি...

হিডেন ক্যাম এর ঘটনার ব্যাপারে.. ইউজার রা আপলোড করে এবং অবশ্যই এটা গ্রহনযোগ্য নয়। ইংরেজী সাইটগুলোতে তো হিডেন ক্যাম এর আলাদা ক্যাটাগরিই থাকে। এডাল্ট সাইটে এগুলো থাকেই... আর কোনটা আসল আর কোনটা নকল তা বোধহয় বাছা সহজ নয়। যদিও একই ভিডিও নীলক্ষেতেও পাওয়া যায়, এবং ঐখানের "মামু"দের কাছ থেকে আমি-আপনি ই পয়সা দিয়ে কিনে থাকি সেই সব সিডি... নীলক্ষেতে সেই কারণে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সিডি/বই বিক্রি বন্ধের দাবী ওঠানো বোধহয় ঠিক নয়।

মনে হয় ঠিক বোঝাতে পারিনি। দুই এক কুত্ সিত মানসিকতার ছোটলোকের কারণে পুরো সাইটকে দোষ দেয়া বোধহয় "ফেয়ার" না... যদিও অনেকদিন যাইনা.. শেষবারে মনে হয় দেখেছিলাম হিডেন ক্যাম ভিডিও বন্ধের এক প্রচেষ্টা চলছিলো। (এই নিয়ে আমাকে উদ্ধৃতি দিয়েন না.. )

আর প্রাপ্তবয়স্ক "ম্যাটেরিয়াল" এর ব্যাপারে ... সচলায়তনের অনেক লেখাই ১৮+... এবং সেগুলো নিয়ে আমরা আমাদের "মা/খালা" দের সাথে আলোচনা করতে পারব না... তাইবলে কি এখানে রাজাকারদের গালিও দেওয়া যাবে না?

I think , therefore i am - Descartes

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

স্পর্শ এর ছবি

'আডাল্ট কন্টেন্ট' আর 'গোপন ক্যামেরায় তোলা অনৈতিক/অবৈধ কন্টেন্ট' এর মধ্যে একটা পার্থক্য আছে।

যে-যে তে এখন কোনটার চর্চা হয় জানিনা। পিয়াল ভাই কোন ধরণের কন্টেন্ট সেখানে আপ করেছেন বা অন্যরা সেখানে কি আপ করে তাও জানিনা।

তবে দুই ধরনের কন্টেন্টের জন্য আমার মতামত সম্পুর্ণ দুই রকম হবে।

সে যাই হোক এই মুহুর্তে সব চেয়ে লাভবান হল কারা, তা আমরা সবাই অনুমান করতে পারছি। মন খারাপ

---------------------------------------------------------------
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

পতাকার ব্যপারে আলমগীর ভাইয়ের সাথে আংশিক ভিন্ন মত।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আলমগীর এর ছবি

এ লেখা এতটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে ধারণা ছিল না। কেউ আপত্তিকর মনে করবে এটা কল্পানাতেও আসেনি। সে যাই হোক, কিছুটা ব্যাখ্যা দেয়া কর্তব্য মনে হচ্ছে।

১. আমি মনে হচ্ছে বুড়োই হয়ে গেলাম। জাতীয় পতাকার প্রতি আমার আবেগের চেয়ে শ্রদ্ধা বেশী। এ কারণে নিয়মকানুন মানার কথা এসেছে। আবেগ প্রকাশে নিয়মের ধার না ধারলেও হয়। কিন্তু আমি যে ভাবে বড় হয়েছি তাতে শ্রদ্ধাই শিখেছি। আমি জামা-কাপড়ে জাতীয় পতাকার ঘোর বিরোধী। এ জীবদ্দশায় বিশেষ সংক্ষিপ্ত পোষাকে বা জুতার গায়ে পতাকার ছাপ দেখতে চাই না। গায়ে বয়ে নিয়ে বেড়ানো শ্রদ্ধা প্রকাশের দেশীয় কোন রীতি নয়। কেউ কেউ বলেছেন সংক্ষিপ্ত পোষাক বা শরীরের বিশেষ অংশ অশ্লীল হবে কেন। আমি অশ্লীল বলিনি।

মার্কিনিরা যা করে ভালবাসা থেকেই করে, ঘৃণা থেকে নয়। তবে মার্কিন ভাব প্রকাশের সাথে আমাদের বিস্তর ফারাক আছে। জেসাস ফ?কিং ক্রাইস্ট- প্রচলিত বুলি, এটার দেশীয় সংস্করণ করতে গেলে কাধের উপর মাথা রাখা দায় হবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে লাকি বাস্টার্ড বলা কমপ্লিমেন্ট- এর বাংলা করলে বিপদ হবে। জাতীয় সঙ্গীতের প্রসংগেও কেউ কেউ আমি যা বলিনি তা টেনে এনেছেন। ধর্মীয় আচারের কোন কথা এলে আমি মন্তব্য করতে অপারগ, মত ও বোধের প্রতি শদ্ধা রেখেই। পৃথিবীর ভিন্ন দেশে যা গ্রহণযোগ্য আমাদের দেশে তা নয়। যেমন, অস্ট্রেলিয়ার দুটি জাতীয় সঙ্গীত!

স্কুলে এখন এসেম্বলি হয় কিনা আমার জানা নেই। আমি যে স্কুলে পড়তাম তাতে নিয়মিত হত, পতাকা উত্তোলন করা হত, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হত। পতাকার দ্বায়িত্বে থাকতেন একজন দীর্ঘদেহী পিয়ন। তার দীর্ঘ দেহ প্রয়োজনীয় শর্ত ছিল পরে জেনেছি। পতাকা কি ধুতে হয় না? বানানোর সময় কি দর্জি মাটিতে ফেলে দেয় না? এসব কথা অবান্তর।

গ্রহণযোগ্য বলতে আমি কী বোঝাতে চাইছি, এমন প্রশ্নও এসেছে। আমি চিত্রশিল্পী নই, তাই ইমপ্রেসন এঁকে দেখাতে অক্ষম। পতাকার মূল রূপের বিকৃত, পরিবর্তিত চেহারা দেখে অভস্ত্য নই (আমি নিজে)। আমি যে পরিবেশে সময় কাটিয়ে এসেছি, যত উপলক্ষে সুযোগ হয়েছে তাই দেখেছি। জাতীয় পতাকার বিকৃতি মানতে নারাজ। এর সাথে সংবিধানের বা আইনের কোন সংপৃক্তি আছে কিনা আমি জানি না। পতাকা কোন মনোগ্রাম বা লগো নয়। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারও ভাল লাগে না। যখন প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলো অনুষ্ঠান গোটানোর সময় জাতীয় সঙ্গীত বাজায় না আর পতাকা দেখায় না, কিন্তু বিটিভি করে- তখন বলা হয় এটা অগ্রহণযোগ্য। মোবাইলের রিঙটোন হিসাবে যখন জাতীয় সঙ্গীত বিক্রি বা ব্যবহৃত হয়, তখন আমি বলি তা অগ্রহণযোগ্য। "জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে আজ সেই পুরোনো শকুন" - আমি শুনে/পড়ে অভিভূত কিন্তু এর চিত্ররূপ দেখতে চাই না। এর চেয়ে ভাল ব্যাখ্যা আর দিতে পারব না।

২.
আইডিয়া প্রসংগটার সম্পর্ক আছে পরের প্যারার সাথে। তার অন্য প্রেক্ষাপটও আছে। এটা নিয়ে কোন বিতর্ক হয়নি বলে ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না।

৩.
আমার দু'লাইনের প্যারাতে অমি পিয়ালের নাম নেই, তবে ইঙ্গিত আছে। যৌবনজ্বালা সম্পর্কেও কোন মত নেই। মত আছে যে দুটো শব্দ সম্পর্কে তা অনেকের চোখে পড়েনি: "গোপন ক্যামেরা"। যৌবনজ্বালাতে যাওয়া ভাল কি মন্দ, পর্ন ছবি ভাল কি মন্দ, অথবা ধর্মীয় আচার মেনে এসব থেকে দূরে থাকা কি শ্রেয়- এসব কোন কিছুই আমি বলিনি। ইঙ্গিতেও ছিল না। এসব ব্যাপার যার যার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু পাত্র-পাত্রীর সম্মতি ব্যতিরেকে ধারণ করা ভিডিও, ব্ল্যাক মেইলিং, ধর্ষণের ভিডিও, আন্ডার-এজ নগ্ন ছবি দেখা নৈতিকতা বিরোধী। এসব রাখা আইনত অপরাধ। যৌবনজ্বালা এখন যৌবনযাত্রা হয়েছে, অনেক ভাল হয়েছে, এসব কথায় আমি তাদের কীর্তি ভুলতে অপারগ। অনুরোধ করব সাপ্তাহিক ২০০০ এর রিপোর্টটা পড়তে।

পিয়াল যৌবনজ্বালা ফোরামে কী পোস্ট করেছে তা আমি জানি না। আমার জানার আগ্রহও নেই। প্রমাণ করাও দ্বায়িত্বও আমার নয়। কিন্তু বিভিন্ন ব্লগে প্রকাশিত কথা যদি ঠিক হয়, অমির নিজের কথাই যদি ঠিক হয় তবে সে বেআইনি, অনৈতিক কাজ করেছে। রিপোর্টিংএর প্রয়োজনে কোন কিছু সংগ্রহ করা তার জন্য বেআইনি ছিল না- কিন্তু সেগুলো বিতরণ করে থাকলে অন্যায়। এ অপকর্মের জন্য তার যথাযথ সাজা হওয়া উচিৎ। তারপর বাকী কথা। প্রশ্নবিদ্ধ সংস্বর্গ একটা মহৎ উদ্যোগের বারোটা বাজাতে পারে।
জামাতি কেউ কি যৌবনজ্বালার ইফতার পার্টিতে গিয়েছিল জামাতের আদর্শ প্রচারের জন্য? মু্ক্তিযুদ্ধ, পতাকা, সঙ্গীত যেমন কারো নিজস্ব কিছু নয়, আবার নিজের ইচ্ছেমতো তার প্রয়োগও কাম্য নয়। রাজাকারদের বিচারের দাবি অমি লিজ নেয়নি যে ভিন্নমত হলে তফাতে যেতে হবে। জামাত স্বাধীনতা,বিজয় ইত্যাদি দিবস পালন করলে যদি আমি ক্ষুব্ধ হই, তাহলে অমি পিয়ালের এ কাণ্ডে আমি ক্ষুব্ধ হব না কেন?

দুর্জন ব্যক্তি বিদ্বান হইলেও পরিতাজ্য। এটা এখনও বিশ্বাস করি, মেনে চলার চেষ্টা করি।

একজন বেশ জঘণ্য ভাষায় যে অসমানুপাতিক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন আমি তাকে "বাংলা মেইড ইজি" নামক কোন বই পড়তে অনুরোধ করব। বোধোদয় হবে এই আশায় তার বক্তব্যের কোন উত্তর দিচ্ছি না।

অয়ন এর ছবি

রাজাকারদের বিচারের দাবি অমি লিজ নেয়নি যে ভিন্নমত হলে তফাতে যেতে হবে।

আপনার মতে তফাতে যাওয়া বলতে কি অমি ভাই কি বুঝাইছেন- যৌবনযাত্রার সদস্য না হইলে কিংবা ভিসিট না করলে রাজাকারদের বিচার চাওয়া যাইবো না?

আমি বস্তিতে থাকি, গাজা ভাং বাংলা খাই, ফকিরাপুলে চটি বই বিক্রি করি। তার মানে যুদ্ধাপরাধীগো বিচারের মিছিলে আমারে নিবেন না? নাকি যুদ্ধ হইলে চটি বিক্রেতা হওয়ার অপরাধে আমি যুদ্ধ করতে পারুম না? না নেন, আপনে আপনার মতো দাবি জানান আমিও আমার মতো কাম করি। আপনারে তো বস্তিতে আসতে কই নাই।

আলমগীর এর ছবি

আমার মনে হয়, তার উদ্যোগের সমালোচনা করাটাকে পছন্দ করছেন না। কেউ করলে তাকে দূরে রাখতে চাচ্ছেন।

আমি আপনার কাজের প্রতি সম্মান করি। আমি বলি নাই আপনি আমাকে বস্তিতে যেতে বলছেন, আমি বলেছি, বস্তিতে যে যায় যাবে (ভাল/খারাপ অবান্তর)। আপনি আপনার মতো কাজ করবেন, আমি আমার মতো।

ভাল থাকবেন।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অনেক দিন পর সচলে। সময় নিয়ে প্রতিটা মন্তব্যই পড়লাম। নিজের মতটুকু লিখে যাই।

১। দুটো মতের মাঝামাঝি। আমি পতাকাকে ঝাণ্ডার পাশাপাশি বুকের মাঝেও রাখার পক্ষে। জামায়, বুকে, বা ব্যানারে পতাকা দেখলে আমার ভাল লাগে। তবে ইদানিং এর অতি-প্রয়োগ দেখে মেজাজ খারাপ হয়। পতাকাকে আমি অন্তর্বাসে দেখতে চাই না। সেটার সমাধানের প্রসঙ্গেও চিন্তিত।

২। আংশিক সহমত। এটা "সুশীল"-দের সবচেয়ে বড় সমস্যা। সবাই সমমনাদের সাথেই আলাপ, সমমনাদের আসরে তালি কুড়ায়। আইডিয়া বেশি থাকা খারাপ না। হয়তো আমরা সমাজের শীর্ষ ১%-এ থাকা মানুষের আলাপ করছি বলে কাজের চেয়ে আইডিয়া বেশি। কিন্তু এই আইডিয়াগুলো বাস্তবায়ন দরকার।

৩। দুই পক্ষের সাথেই কিছুটা একমত। আমিও খুব দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে মুক্তিযুদ্ধ এত তেতো না যে তাকে সুগারকোট করতে হবে। তবে আমার ভেতরের বাস্তববাদী অংশটা সাবধান করে দেয় যে সমাজের কোন অংশকে উচ্চমার্গীয় চিন্তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা ভয়ংকর।

যৌবনজ্বালায় মুক্তিযুদ্ধের কথা প্রচার করাকে আমি সমর্থন করি। তবে আমি মনে করি যে কাজটি পিয়াল ভাই স্বনামে না করে অন্য কাউকে প্রক্সি হিসেবে কাজে লাগালে ভাল হত। এই প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা, নথি, ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি অনেক অগ্রগণ্য একজন ব্যক্তি। তাঁকে লঘু অবস্থায় দেখলে তিনি যেই লক্ষ্যের কথা বলছেন তাকেও আপনা থেকেই লঘু করে দেখা হয়।

সবারই স্বাধীনতা আছে যেমন খুশি লেখার। স্বনাম/বেনামে লেখা, অতিরিক্ত সুশীল না হওয়া, ইত্যাদি সবই নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমি এই পোস্ট পড়ে জে-জে তে পিয়াল ভাইয়ের নাম সার্চ করে যেই পোস্টগুলো পড়লাম, সেগুলো না থাকলেও হত হয়তো।

পিয়াল ভাইয়ের অনেক পোস্ট/ভিডিও আমি লোকজনকে বিলাই। আগামীতে সেগুলো দেখে কেউ তাঁর নামে কটূক্তি করলে আমার জবাব দেওয়ার কিছু থাকবে না। আরো ভয়ের ব্যাপার হল, প্রসঙ্গটা মুক্তিযুদ্ধের বদলে অন্য কোথাও চলে যাবে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

উপরে আলোচনা হিডেন ক্যামেরার দিকে মোড় নিয়েছে দেখে অবাক হলাম, বিশেষ করে আলমগীর ভাই এবং জ্বিনের বাদশা ভাই (আমার বোঝার ভুল না থাকলে) বুঝাতে চাইছেন যে, অ্যাডাল্ট জিনিসপত্রে উনাদের আপত্তি নেই, তবে হিডেন ক্যাম প্রোমোট করাতেই যত ঝামেলা।

এ বিষয়ে পিয়াল ভাই বলেন:

আপনারে আমি কেনো বুঝাইতে পারতেছি না যে একসময়কার একটা এডাল্ট সাইটের মৃত্যু নিয়া আমি লেখছি। সেই সাইটের উত্থান এখন ফিনিক্স পাখীর মতো। তারা যুদ্ধাপরাধী নিয়া মুভ করতেছে। আর কিছু ভুল ধারনা ভাঙ্গাই । যৌবনযাত্রার আইনে যেই বিষয়গুলি নিষিদ্ধ ছিলো : ১. হিডেন ক্যাম ২. চাইল্ড পর্ণ ৩. রেপ কিংবা জোর করে সেক্স করার ভিডিও। এসব দিতে গিয়া কয়েকশো পাবলিক ব্যান হইছে। পাশাপাশি যখনই কোনো ভিডিওর ব্যাপারে আপত্তি উঠছে কিঙবা কর্তৃপক্ষের মনে হইছে এখানে এক্সপ্লয়েট করা হইতেছে বা কাউরে অবমাননা করা হইতেছে তারা সেইটা ট্র্যাশ করছে।

এর প্রেক্ষিতে কয়েকটা প্রশ্ন:
১) পিয়াল ভাইয়ের উপরের কথা কি মিথ্যা? মিথ্যা হলে জেজেতে আপনাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখুন।
২) আপনাদের যদি অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে নিশ্চিত না হয়ে এরকম বিষয়ের উপস্থপনা করে বিষয়টাকে জটিল করা বা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা ঠিক কতোটা যুক্তিসঙ্গত?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

উপরে আলোচনা হিডেন ক্যামেরার দিকে মোড় নিয়েছে দেখে অবাক হলাম

আমার লেখা আমি সম্পাদনা করিনি। দুই লাইনের ১০/১২ টা শব্দের মধ্যে স্পষ্ট করেই গোপন ক্যামেরার কথা লেখা আছে। আমার প্রথম মন্তব্যে সেটা হাইলাইট করেছি। আমি কোনদিকে কিছু ঘুরাচ্ছি না। আপনি আর কিংকং ভিন্ন কিছু ধরে নিয়ে আলোচনা চালিয়েছেন।

মিথ্যা হলে জেজেতে আপনাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখুন।

আমি বলেছি এটা আমার কাজ না। আমি ক্ষুদ্র মানুষ, আমার নিজের অল্প কিছু নীতি আছে, মেনে চলি। আমি যে দেশে থাকি তার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। আমি যে দেশ থেকে এসেছি তার রীতি/নীতির প্রতি ভালবাসা আছে।

আপনি যা জানতে চাচ্ছেন ভিন্ন ব্লগে পাবেন। উপরে জ্বীনের বাদশাও কিছুটা বলেছে।

ভাল থাকবেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দুই লাইনের ১০/১২ টা শব্দের মধ্যে স্পষ্ট করেই গোপন ক্যামেরার কথা লেখা আছে।

এজন্যই হিডেন ক্যামেরার বিষয়টা ডিফেন্ড করা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এজন্যই আমার প্রশ্নগুলো।

আমি বলেছি এটা আমার কাজ না। আমি ক্ষুদ্র মানুষ, আমার নিজের অল্প কিছু নীতি আছে, মেনে চলি। আমি যে দেশে থাকি তার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। আমি যে দেশ থেকে এসেছি তার রীতি/নীতির প্রতি ভালবাসা আছে।

এখানে বোধহয় বুঝাতে পারি নি। আপনি বা আমি গুডি বয় কিনা, তার ফিরিস্তিতে আমার আগ্রহ নেই। একদিকে পিয়াল ভাই বলছেন জেজেতে হিডেন ক্যাম অ্যালাউড না বা নিরুৎসাহিত করা হয়। অন্যদিকে আপনি বা জ্বিনের বাদশা ভাই হিডেন ক্যামেরাকেই হাইলাইট করতে চাইছেন। আমি জানতে চাচ্ছিলাম, জেজে সম্পর্কে আপনি আদৌ কিছু জানেন কি না। যদি জানেন, তাহলে পিয়াল ভাইয়ের তথ্য ভুল কিনা সে সম্পর্কে লিখুন। যদি না জানেন, তাহলে প্রশ্ন এসে যায়, না জেনে এরকম সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে মাঠ গরম করাটা যৌক্তিক কিনা।

আপনি যা জানতে চাচ্ছেন ভিন্ন ব্লগে পাবেন। উপরে জ্বীনের বাদশাও কিছুটা বলেছে।

ভিন্ন যে কোন ব্লগে পাবো বা জ্বিনের বাদশা ভাইয়ের কোন মন্তব্য রেফারেন্স হিসেবে ধরবো প্যাঁচ লেগে যাচ্ছে। আপনিই সংক্ষেপে বলুন না, কোনো বিষয় সম্পর্কে না জেনে তা নিয়ে মাঠ গরম করা কতোটা যৌক্তিক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

আমিও মনে হচ্ছে আপনাকে বোঝাতে পারিনি। আমি যদি আপনার কথামতো অস্ট্রেলিয়া বসে প্রমাণ সংগ্রহে নামি, আমাকে দশ/পনের বছর জেলের ঝুঁকি আর ডিপোর্টেশনের টিকিট কাটতে হবে। আপনি আমার এরকম বিপদ নিশ্চয়ই চান না। আমার বিনীত অনুরোধ রইল সাপ্তাহিক ২০০০ এর রিপোর্টা দেখুন। ধন্যবাদ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনি সাংবাদিকের কথায় নাচলেন, সেখানের একজন অ্যাক্টিভ ইউজারের কথা ফেলে দিলেন? সচলায়তনে কি আছে, তা একজন আলমগীর বেশি জানে, নাকি সাংবাদিক আরাফাতুলের মুখ থেকে শুনে তাই নিয়ে লাফাতে হবে?

এখন, যেহেতু আপনি ইউজারের কথা মানছেন না, সেহেতু তাদেরকে অভিযুক্ত করতে হলে জেজে থেকে সরাসরি প্রমাণ দেয়াই কি যুক্তিযুক্ত না?

(কেউ হিডেন ক্যাম প্রোমোট করলে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলার যোগ্যতা হারায় কিনা, সেটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।)

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এনকিদু এর ছবি

২০০০ এর রিপোর্ট টা কি আরাফাতুল লিখেছে নাকি ? অ্যাঁ


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হে হে, আমি জানি না। তবে যেহেতু সাপ্তাহিক ২০০০, হেবো তাদের উঁচুমানের সাংবাদিক। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

বলাই দা
আমি নাচি নি। সাংবাদিক আরাফাতুল বেশি জানতে পারে, যদি সে সচলায়তন সম্পর্কে ভাল স্টাডি করে। আমি সচলে বেশ পরে যোগ দিয়েছি, অন্য কোন ব্লগেও লিখতাম না।
আমি ২০০০ এর রিপোর্টের বেশী মূল্য দিই। কারণ: মেসেজ দেখুন।

তর্কের খাতিরে অমির কথাকে সত্য বলেই ধরে নিই। জেজে তাদের নীতি পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত বিশেষ কিছুকে প্রমোট করেছে। এখন সেগুলোকে বন্ধ করতে চাচ্ছে। জেজের কর্মটাকে যতটা হালকা করে আপনি দেখছেন আমি ততটা দেখছি না।

জেজের সঠিক বিচার কী হতে পারে?
আপনি তাদের সাথে আন্দোলনে যান, মানা করছি না, কিন্তু আমি যাব না।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনি তাদের সাথে আন্দোলনে যান, মানা করছি না, কিন্তু আমি যাব না।

এটাই হলো মূলকথা। যার যার অবস্থান থেকে, যার যার প্লাটফর্মকে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবীতে সোচ্চার হোন। ডঃ জ্বিনের বাদশা বা ডঃ আলমগীর বা ডঃ বলাই (হই না হই, টাইটেল লাগাতে দোষ কি? চোখ টিপি ) সচলে থেকে কথা বলুন, কান্দুপট্টি বা টানবাজারের যৌনকর্মীরা ব্যানার নিয়ে বিচার চান, একজন অরপি যৌবনযাত্রার ইউজারদের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দিন। কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো নাক শিটকানিতে, অন্যের প্রয়াসকে 'অন্যায়, ভারী অন্যায়' বলায়। আমাকে তো কেউ যৌবনযাত্রায় গিয়ে চাইল্ডপর্ন দেখতে বলছে না, আমি আমার যায়গায় থেকে সোচ্চার হই।

ভালো থাকবেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

অন্যের প্রয়াসকে 'অন্যায়, ভারী অন্যায়' বলায়।

কোন কাজটাকে ভারী অন্যায় বলেছি তার ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি। (ব্যক্তিগত মেসেজেও)

অমি কত পোস্টে কী পোস্ট করেছে তা তার বয়ান থেকেই জানুন। জেজে নামবদলের আগে কী করেছে তা আপনিই বলছেন। কেবল দোষ স্বীকার করেই কিছু অপরাধের দায় থেকে মুক্ত হওয়া যায় না।

হিমু এর ছবি

আয়হায়, ঐ রিপোর্ট হেবোর লেখা নাকি হাসি ? অসহনীয় মাথাব্যথা নিয়ে ল্যাখে নাই তো আবার?


হাঁটুপানির জলদস্যু

এনকিদু এর ছবি

আপনিও চিনেন ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি

নারে ভাই আমার চৌদ্দগুষ্টির কেউ হেবোরে চিনেনা হাসি ...


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমিত এর ছবি

পুলাপাইনদের জন্য একটা বাংলা ব্লগাতিহাস লেখা শুরু করতে হবে।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

উপরে আলোচনা হিডেন ক্যামেরার দিকে মোড় নিয়েছে দেখে অবাক হলাম,

বস্, আলোচনা তো পোস্ট থেকেই হিডেন ক্যামের দিকে যাবার কথা, আমি মনে হয় আগের মন্তব্যের শুরুতেই সেটাকে স্পষ্টও করছি যে সবাই মেইন ফোকাসটা অবচেতনভাবে হোক সচেতনভাবে হোক, এড়াচ্ছেন .... আপনাকে ধন্যবাদ যে আপনি এড়াননি

বিশেষ করে আলমগীর ভাই এবং জ্বিনের বাদশা ভাই (আমার বোঝার ভুল না থাকলে) বুঝাতে চাইছেন যে, অ্যাডাল্ট জিনিসপত্রে উনাদের আপত্তি নেই, তবে হিডেন ক্যাম প্রোমোট করাতেই যত ঝামেলা।

একদম ঠিক ধরেছেন।

১) পিয়াল ভাইয়ের উপরের কথা কি মিথ্যা? মিথ্যা হলে জেজেতে আপনাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখুন।

পিয়াল ভাইর উপরের মন্তব্যটা আমি দেখেছি, গতকাল রাশেদ সামহোয়ারের ইয়র্কারের পোস্টেও নিশ্চিত করছে যে হিডেন ক্যাম যৌবনজ্বালায় নিষিদ্ধ। আরেকজন আবার বলেছেন "এখন আর" যৌবনযাত্রা হিডেন ক্যাম এ্যালাউ করেনা।
কিন্তু সামহোয়ারেই আরো অনেকেই দাবী করছেন যে সেখানে নামে নিষিদ্ধ হলেও সেখানে হিডেনক্যাম স্টাফ ঠিকই চলেছে, হয়তো ২০০০ এ প্রতিবেদনের পর কর্তৃপক্ষ সতর্ক হয়েছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে এমন এলিগেশনও আসছে যে ঐ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই তারা এখন সাইটটিকে ঢেলে সাজিয়ে সামাজিকিকরন করতে চাচ্ছে প্লাস যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীকেও ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে (যদিও আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে পিয়াল ভাইর মিশনের ফলেই হয়তো সাইটটি শুধু এডাল্ট সাইট থেকে সোশাল ফোরামে পরিবর্তিত হয়েছে)

আমি অনেক আগে (২০০৫/৬ এর দিকে) একবার ঢুকেছিলাম যৌবনজ্বালায়, এবং অনেস্টলি স্পিকিং থ্রেডগুলোর টাইটেল দেখে বা একটা দুটা থ;রেডে ঢুকেই আমি বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছি (আমার ভালো মনে নেই কি কি দেখেছি বা পরেছি, তবে ইমপ্রেশন যেটা এখনও মাথায় আছে তা হলো এখানকার ইউজাররা প্রবাসী ভাবীদের প্রাইভেট ছবি খুব পছন্দ করে) .... আমার আর বোঝার বাকী রয়নি যে পিন্টু-সুমনদের উত্তরসূরীরা পুলিশের তাড়া খেয়ে এখন ওয়েবে এসে ঢুকেছে ...
এরপর আর যেহেতু আমার সেখানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়নি, তাই আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারছিনা, তবে যা দেখেছি তার বিবর্তনের ফলে এখনকার এ্যালিগেশনগুলো সত্য হতেই পারে ...তাছাড়া ২০০০ এর প্রতিবেদনকে আমি ফেলনা মনে করিনা। তারওপর ব্লগারদের কমেন্ট থেকেও মোটামুটি আঁচ করা যায় যে কি হচ্ছে। আমি এখনই সাইটটিকে "বেনেফিট অভ ডাউট" দিতে রাজীনা।

২) আপনাদের যদি অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে নিশ্চিত না হয়ে এরকম বিষয়ের উপস্থপনা করে বিষয়টাকে জটিল করা বা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা ঠিক কতোটা যুক্তিসঙ্গত?

আপনি সম্ভবতঃ বিতর্কটাকে ফলো করছেননা ... যারা ব্যাপারটার বিরোধিতা করছে তাদের সবারই মূল এ্যালার্জিটা হিডেন ক্যামের মতো জঘন্য অপরাধকে প্রমোট করার যে অভিযোগ যৌবনযাত্রার আছে তা নিয়ে ... "বিষয়টাকে জটিল করা বা ভিন্নখাতে প্রবাহিত " কোনভাবেই করা হচ্ছেনা
বরং যারা সমর্থন করছেন, তারা এবিষয়ে কোন যুৎসই জবাব দিতে পারবেননা বলেই এড়িয়ে যাচ্ছেন বা ভিন্ন বিষয় বলে গা বাঁচাচ্ছেন
যেহেতু এ্যালিগেশন আসছে সেহেতু আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার এরা আসলে কি করে? অন্ততঃ আমার খুব সামান্য দেখা থেকে বলতে পারি যে এদের অতীত ইতিহাস নোংরা, এবং সেটা পর্ণোগ্রাফীর জন্য না, বরং প্রাইভেসী হরণকে উস্কে দেয়ার জন্য

আপনাকে প্রশ্ন করি:

যৌবনজ্বালার যদি আসলেই হিডেন ক্যাম প্রমোট করার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কি আপনি এরকম জঘন্য কোন সাইটকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো সিরিয়াস বিষয়ে একজোট হতে দেবেন?

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই মন্তব্যের মধ্যেই আসলে চিন্তার খোরাক আছে। আপনার মন্তব্যেই বুঝা যায়, যৌবনযাত্রা (সাবেক যৌবনজ্বালা) হিডেন ক্যামজাতীয় জিনিসগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, যারা হিডেন ক্যামের বিরুদ্ধে প্রচন্ড এলার্জিক, তারাও স্বীকার করছেন যে সাইটটি এদিক দিয়ে ইম্প্রুভিং। এই ইম্প্রুভমেন্টের একটা অংশ যদি হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি, তাতে এলার্জির কারণটা আমার বোধগম্য না।

যৌবনজ্বালার যদি আসলেই হিডেন ক্যাম প্রমোট করার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কি আপনি এরকম জঘন্য কোন সাইটকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো সিরিয়াস বিষয়ে একজোট হতে দেবেন?

তারা হিডেন ক্যাম, চাইল্ড পর্ন বা ধর্ষণের ভিডিও প্রোমোট করলেও ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে তারা সৎ থাকলে আমি তাদেরকে সাথে নিবো। কারণ, তারা হিডেন ক্যাম প্রোভাইড করে অন্যায় করলে তার বিচার হোক; সেই বিচারের দাবিতেও আমি গলা মেলাবো; কিন্তু সে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাইতে এলে তাকে লাথি মারার কোনো কারণ দেখি না।

সমস্যা হলো, হিডেন ক্যাম প্রোমোট করার বিষয়টি জেজের জন্য অতিরঞ্জিত। সাপ্তাহিক ২০০০ এ কি বলা আছে, আমি পড়ি নাই, তবে তাদের প্রতিবেদনের চেয়ে আমি পিয়াল ভাইয়ের মন্তব্যকে বেশি দাম দেই। কারণ, তিনি ওখানের একজন অ্যাক্টিভ ইউজার। সচলায়তনে কি আছে না আছে, তা একজন সাংবাদিক আরাফাতুলের চেয়ে অছ্যুৎ বলাই বেশি জানে।

সুতরাং যারা জেজের যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবী চাওয়ার প্রতিবাদ করছেন, তারা সরাসরি জেজে থেকেই রেফারেন্স নিয়ে দেখান ওখানের প্রকৃত অবস্থা কি। বেনিফিট অব ডাউটের প্রশ্ন আসছে কেন? তাদের বেনিফিট অব ডাউট সার্টিফিকেট দেয়ার আমি-আপনি কে, সেটাও একটা প্রশ্ন। তবে ডাউটে না থেকে হাতেনাতে সঠিক তথ্য দেয়াই কি ভালো না?

ইন্টারনেটে একটা ট্রেন্ড দেখেছি, কেউ কেউ আছেন, জামাতের সাথে হাসিনা খালেদাকে এক পাল্লায় উঠিয়ে দেন। জামাতের একাত্তরের অপরাধ আর হাসিনা খালেদার দুর্ণীতিকে আমার এক পাল্লায় ওঠানোর মত অপরাধ মনে হয় না। এজন্যই কেউ চুরি করুক, কেউ ডাকাতি করুক, কেউ দেহব্যবসায় করুক, কেউ হিডেন ক্যামের প্রতারণা করুক, সে অন্যায়গুলোকে একাত্তরের অন্যায়ের সাথে এক পাল্লায় তুলে দিতে পারি না। এজন্যই ইন্টারনেটে হিডেন ক্যামে অন্যদের লীলা দেখা বিশাল এক ইউজারবেইজকে আমি বলতে পারি না, তোরা পর্ন দেখোস, তোরা খারাপ, তোদের মুখে যুদ্ধাপরাধীর দাবী শুনলে মুক্তিযুদ্ধ অপবিত্র হয়ে যাবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

যারা হিডেন ক্যামের বিরুদ্ধে প্রচন্ড এলার্জিক

??????

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হম, এলার্জি জিনিসটা আপেক্ষিক। যেমন, আমার সামনে দুইজন গে বা লেসবিয়ান চুমাচুমি করলে আমার কোনো ভাবান্তর হয় না, অনেকে আবার আগতাগফিরুল্লাহ পড়া শুরু করে দেয়। হিডেন ক্যামের পর্ন দেখার সময়ও আমার কোনো ভাবান্তর হয় না, অনেকে আবার ভিডিওর নায়ক-নায়িকাদের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়া রিসার্চ শুরু করে দিতে পারে, নারী অধিকার আন্দোলনের সাথে তালগোল প্যাচাতে পারে, এইডসবিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়াতে পারে, সাথে ওই ভূমিকায় নিজের পরিবারের লোকজন থাকলে কি হতো, এই আশঙ্কায় ঘুম হারাম করতে পারে। আমার কাছে ভিডিওটা নিছক বিনোদন। ব্যকগ্রাউন্ডে অপরাধ থাকলে সেটা একেবারেই স্বতন্ত্র বিষয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

আপনি "হিডেন ক্যাম, ধর্ষণ, আর চাইল্ড পর্ন" কে পর্নের আলাদা একটা ক্যাটাগরি হিসাবে দেখছেন। কারো তাতে এলার্জি আছে তা বলছেন। আমার দৃষ্টি আপনার থেকে রাত-দিন আলাদা।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আপনার সমস্যাটা আমি বুঝলাম
আপনি "হিডেন ক্যাম ছবি/ভিডিও লোড"টা কোন পর্যায়ের অপরাধ এটা বুঝতে পারছেননা
এটা ধর্ষনের মতোই জঘন্য কাজ ... আর এটাকে যারা প্রমোট করে তাদের অপরাধ কোন পর্যায়ের সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির এমন কোন আকাল পইড়া যায়নাই যে এরকম জঘন্য লেভেলের অপরাধীদের একই মঞ্চে তুলতে হবে .... সবচেয়ে বড় কথা

"বেনেফিট অভ ডাউটের" প্রশ্ন আসছেই আমার নিজের মতামত প্রদান করছি সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ... কে কি করবে সেটা আমাদের কারুর কথাতেই নির্দিষ্ট হয়ে যাবেনা ... বা সেটা নির্দিষ্ট করার জন্য আমরা কেউি এখানে কমান্ড দিইনা... আমরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করি, সেখানে নিজ নিজ ডাউট, বেনেফিট অভ ডাউট -- এসব প্রসঙ্গ আসবেই

এজন্যই কেউ চুরি করুক, কেউ ডাকাতি করুক, কেউ দেহব্যবসায় করুক, কেউ হিডেন ক্যামের প্রতারণা করুক, সে অন্যায়গুলোকে একাত্তরের অন্যায়ের সাথে এক পাল্লায় তুলে দিতে পারি না।

প্রথম কথা হলো, চুরি,ডাকাতি,দেহব্যবসা (এটা অপরাধ কিনা সেটা আলোচ্য) এসব আর হিডেন ক্যাম কোনভাবেই একলেভেলের না ... হিডেন ক্যাম অনেক অনেক বীভৎস ব্যাপার
প্লাস, এখানে একপাল্লায় তুলে কেউ দিচ্ছেনা ... এখানে সমস্যাটা হলো অপরাধী সংগঠনকে এক মঞ্চে তুলে নেয়ার মানে হলো তাদের প্রশ্রয় দেয়া .... "যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী" বলে যেকোন অপরাধের অপরাধীকেই আমরা মেনে নেবো -- সেটা কোন ভালো চিন্তা না

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখানে সমস্যাটা হলো অপরাধী সংগঠনকে এক মঞ্চে তুলে নেয়ার মানে হলো তাদের প্রশ্রয় দেয়া .... "যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী" বলে যেকোন অপরাধের অপরাধীকেই আমরা মেনে নেবো -- সেটা কোন ভালো চিন্তা না

ভাই, জেজে অপরাধ করলে তাদের অপরাধের বিচারের দাবী তুলুন, আমিও প্রথম সারিতেই থাকবো। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবির মঞ্চ থেকে তারা অপরাধী এই ভেবে তাদেরকে লাথি মেরে দিতে আমার বাধে।

কোন কোন অপরাধের অপরাধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শ্লোগান দিলে আপনাদের প্রেস্টিজে লাগে, তার একটা লিস্ট পেলে ভালো হতো। জেজেতে নামসাক্ষরকারী দুবাইয়ের সলিমুদ্দি অপরাধী হইলে আমিও অপরাধী, আমিও হিডেন ক্যামেরার ভিডিও উপভোগ করি, আমিও ইন্টারনেটে ন্যাংটো মেয়েদের ছবি দেখি। আমাকেও লাথি মারতে পারেন ওই এলিট মঞ্চ থেকে, যেখানে শুধু অপরাধবিহীন ধোয়া তুলসীপাতারাই থাকবে। তবে তাতে ঠগ বাছতে গা উজাড় হয়ে যেতে পারে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ব্যক্তি আর সংগঠন আলাদারে ভাই
সেইটা প্রথম মন্তব্যেই বলছি .... মঞ্চে নিতে আপত্তি তখনই যখন কারো পিঠে সাইনবোর্ড ঝুলানো হবে যে "এরা হিডেনক্যাম পছন্দ করে" ... কারণ সেইটা তখন যে ফ্যাক্টের সম্ভাবনাকে বাড়াইয়া দেয় তা হলো এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া লোকগুলা হিডেন ক্যাম ভিডিও সমর্থন করে ...
এইখানে একটা ডিপ্লোম্যাসি লাগেই

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

যাক, তাইলে ব্যক্তি ওকে। হাসি

সংগঠন হিসেবে দায়িত্বের কথা অবশ্যই আসে। সংগঠন হিসেবে সচলায়তনে ১৮+ জোকে তেমন সমস্যা নেই। সামুব্লগ আর আমারব্লগে নিযামীর ছবি পোস্টানোতে কোনো সমস্যা নেই। (যদিও আমার বা অনেকের কাছে নিযামীর ছবি হিডেন ক্যামের চেয়েও অশলীল।) এজন্য সামুব্লগ, সচল বা আমারব্লগ যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবিতে সোচ্চার হওয়ার অধিকার হারায়। হাসি

সাইনবোর্ডের কথাটা যা বললেন, তা ঠিকাছে। কিন্তু সমস্যা হলো সাইনবোর্ডটা কারা লাগায়? আপনি যদি জেজের সদস্য হোন, হিডেন ক্যামকে ঘৃণা করেন, কিন্তু তাদের যুদ্ধপরাধীর দাবির সাথে আছেন, তাহলে আপনার গায়ে কে আঠা লাগানোর চেষ্টা করবে? আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া মুসলমান; কিন্তু বাবরী মসজিদ ভাঙ্গছে তার জন্য পাশের মন্দিরটি ভাঙ্গতে না গেলে আপনি খারাপ লোক, মুসলমান না, এই ফতোয়া কে দেয়? আপনি যদি জানেন, একজন বলাই হিডেন ক্যামের ভিডিও দেখলেও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে সে সৎ, একজন দুবাইয়ের আতর ব্যবসায়ী রগরগে চটির পাঠক হলেও যুদ্ধাপরাধীর বিনাশ চায়, তখন কে তার চটি পাঠের প্রসঙ্গ তুলবে? একজন টানবাজারের পতিতা চিৎকার করে গোলাম আযমের বিচার চাইলে, কে তাকে পতিতা হিসেবে হাইলাইট করবে?

আমরা যে পরিবেশে মানুষ হয়েছি, তাতে এসব ঘটনায় প্রথমেই একটা ধাক্কা লাগে। পতিটার মুখে আল্লাহর নাম! জেজেতে মুক্তিযুদ্ধ! অ্যাঁ, মাথায় বাড়ি তো! কিন্তু তারপরে ঠান্ডা মাথায় জিনিসটা বিচার করা দরকার, খুবই দরকার।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

সাইনবোর্ড নিয়াই তো প্রশ্ন!!
ব্লগগুলোতে যারা আছেন তাদের অনেকেই হয়তো জেজের সদস্য ... এতদিন যখন ব্লগ গুলোতে আন্দোলন চলছে আমরা কেউ কখনও এইটা বিচার করতে গেছি?
এখন প্রশ্নটাতো আসলই জেজে'র ব্যানারে স্বাক্ষর সংগ্রহের কারণে
নৈতিক কারণটাতো এতক্ষণ আলোচনা হইলোই, নতুন করে কিছু বলার নাই
স্ট্রাটেজিক বিষয়ও তো আছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

এজন্যই ইন্টারনেটে হিডেন ক্যামে অন্যদের লীলা দেখা বিশাল এক ইউজারবেইজকে আমি বলতে পারি না, তোরা পর্ন দেখোস, তোরা খারাপ, তোদের মুখে যুদ্ধাপরাধীর দাবী শুনলে মুক্তিযুদ্ধ অপবিত্র হয়ে যাবে।

বস্, আপনার শেষ বাক্যটা আগে পড়িনি ঠিকমতো ... হিডেন ক্যামে অন্যদের লীলা দেখা লোকদের আমি "তোরা পর্ন দেখোস, তোরা খারাপ" এরকম অভিযোগ করবনা ... ইন ফ্যাক্ট পর্ণো দেখাকে আমি কোনভাবেই অপরাধ ভাবিনা ....এখানে অভিযোগটা আরো ভয়াবহ ... "একটা মেয়ের (সাধারণতঃ মেয়েরাই এইসব কেইসের ভিকটিম) অজান্তে তার ডেলিকেট কইছু ছবি/ভিডিও একদল লুইচ্চা-বদমাইশ নেটে দেখাবে, আর তারিয়ে তারিয়ে সেটা যে দেখবে, তাদের অপরাধ হলো তাদের বিকৃত রুচি" ... বিকৃত রুচি কি জিনিস নিশ্চয়ই আপনাকে আর বেশী বোঝানোর দরকার নেই

আর যারা এইটা প্রমোট করে তাদের তো রীতিমতো চরম শাস্তি হওয়া উচিত ... জানিনা ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এসব আইন কাজ করে কিনা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আইন ভাঙ্গলে চরম শাস্তি দাবি করেন, আমি সাথে থাকবো। আইন না থাকলে নীতিবিরোধী কাজের প্রতিরোধে আইন বানানোর আন্দোলন করেন, আমি সাথে থাকবো। বিকৃত রূচি জিনিসটা আপেক্ষিক। যেমন, আমাকে কেউ গালি দিলে বা আমি পর্ন দেখলে তা সারফেসে রাখি, ব্যাপারটা বিনোদন হিসেবে দেখি। এখন অন্য একজন যদি পর্ন দেখে হরমোনের প্রভাবে মহা উত্তেজিত হয়ে যায়, তাহলে সেটা তার ব্যাপার। একজন গোপনে বা জানিয়ে তার প্রেমিক/প্রেমিকার বা অন্য কোনো ছেলে বা মেয়ের পর্ন অন্য কোথাও আপলোড করে জেজেতে লিংক দিয়ে গেলে জেজের যে দায়বদ্ধতা, তা একটি ভিন্ন ব্যাপার। সেই অপরাধে (যদি অপরাধ থাকে) জেজে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে এলে তাকে ছিঃ ছিঃ করাটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আক্কাস যখন স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে আসে, তখন তার দাড়ির প্রশ্নের মতোই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কনফুসিয়াস এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

অচ্ছ্যুৎ'দা আমি একটু নাক গলাই। হিডেন ক্যাম পর্ন জিনিসটিকে নিছক বিনোদন বলে ভাবতে পারি না। জ্বীনের বাদশা বলেছে ধর্ষণের মতো, আসলেই তাই। আমি কোনো অমিল পাই না।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হিডেন ক্যামে আদৌ কোনো বিনোদন আছে? আমি মনে করি না। এই জাতিয় বস্তু আমি যতোবার দেখছি ততোবারই মেজাজ খারাপ হইছে। হিডেন ক্যাম এমনকি মোবাইলে এখন যে ভিডিও করা আর ছবি তোলার সুযোগ তৈরি হইছে। এর অপব্যবহারে আমি ভীষণ বিরক্ত। হিডেন ক্যামকে কোনো পর্যায়েই সাপোর্ট করা সম্ভব না। এটা ক্রাইমের চেয়েও বেশি কিছু।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অবাঞ্ছিত এর ছবি

আলমগীর লিখেছেন:

গ্রহণযোগ্য বলতে আমি কী বোঝাতে চাইছি, এমন প্রশ্নও এসেছে। আমি চিত্রশিল্পী নই, তাই ইমপ্রেসন এঁকে দেখাতে অক্ষম। পতাকার মূল রূপের বিকৃত, পরিবর্তিত চেহারা দেখে অভস্ত্য নই (আমি নিজে)। আমি যে পরিবেশে সময় কাটিয়ে এসেছি, যত উপলক্ষে সুযোগ হয়েছে তাই দেখেছি। জাতীয় পতাকার বিকৃতি মানতে নারাজ। এর সাথে সংবিধানের বা আইনের কোন সংপৃক্তি আছে কিনা আমি জানি না। পতাকা কোন মনোগ্রাম বা লগো নয়। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারও ভাল লাগে না।

নিজে দেখি নাই, তবে শুনসি যে স্বাধীনতার পরে নাকি মানুষজন পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসছিলো.... সেই সব পতাকা মাপ মতন ছিল নাকি জানি না... আর তারা মাথা নিচু করে পতাকা নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটসিলো বলেও মনে হয় না...

পতাকাকে সম্মান জানাতে হবে সত্যি। যেমন ধরেন মা কে সম্মান জানাতে হয়... এখন আপনি পা ছুঁয়ে সালাম করে দেখাতে পারেন, অথবা জড়িয়ে ধরে করতে পারেন.. অথবা ক্ষেত্র বিশেষে উভয়ই প্রযোজ্য হতে পারে। মানে হইল যে ... আপনার বক্তব্যের ঠিক গোড়াটা বুঝি নাই.. আপনি কইতেসেন আপনার আবেগে, তারা করতেসে তাদের আবেগে.... আপনার ভিন্ন মত আছে বলে কেউ দেশের প্রতি আপনার সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাই.... আপনি অন্যদের নিয়ে তুলতেসেন কেন তা ঠিক বুঝলাম না...

আর ভাই, গোপন ক্যামেরার ছবি আপলোড এর অপরাধ এক জিনিস... তার জন্যে শাস্তি হবে তার ভিত্তিতে........... তারপরেও এইটা যে করসে, সে যদি একটা ভালো কথা বলে, সেইটাকে দাবায় দিয়ে তার বাকস্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা কি সাংবিধানিক? এইটা তো ভাই হইলো না.... দুইটারে মিশায়ে ফেললেন ক্যান বুঝলাম না..

আপনে কন যে ঐসব ভিডিও আপলোড বন্ধ করতে হবে, দেখেন কেউ আপনার বিরোধীতা করব না..... বরং সবাই সুর মিলায়ে সহযোগীতা করব... ..

কিন্তু যদি কন যে ওরা ঐ ব্যাটা গরু চুরি করসে... তারপর কোন সাহসে গিয়া এক বাচ্চারে আগুন থেকে বাচাইলো, তাইলে তো ভাই একটু গ্যাঞ্জাম হয়া গেল !

I think , therefore i am - Descartes

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আলমগীর এর ছবি

সংবিধান বানিয়ে যুদ্ধ হয়নি। দেশ স্বাধীনের পর সংবিধান হয়েছে। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে যারা পতাকা নিয়ে দৌড়েছে আমি তাদের ফাঁসি চাচ্ছি!

দ্বিতীয় পয়েন্টে, আমি তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি, বরং বলেছি,"দেশপ্রেম থেকেই হবে নিশ্চয়ই।" কিন্তু আমি সীমিত প্রেম আর অধিক শ্রদ্ধা প্রকাশের মতপন্থী।

অমি পিয়ালের বাকস্বাধীনতা আমি কিভাবে ক্ষুণ্ণ করলাম? সে তার মতো লিখেছে।

আমি কী বলব বা ভাবব তা আমার উপরেই থাক না।

শুভেচ্ছা।

অমিত আহমেদ এর ছবি

(১) আমার জাতীয় পতাকাকে আমি আমার মতো সম্মান জানাবো। সেটা পোষাকে, ফেসবুকে, আল্পনায়, ব্যানারে, স্টিকারে, যেখানে খুশি সেখানে। অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই পতাকা। এর অধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

(২) ঠিকাছে।

(৩)
ক) যৌবনজ্বালায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ পুরোদমে সমর্থন করি। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই এমন উদ্যোগ নেয়া দরকার।
খ) আলমগীর ভাই বারে বারে হিডেন-ক্যাম ভিডিওর কথা তুলছেন - সেটি অন্য আলোচনা। ব্যক্তিগত ভাবে আমি হিডেন-ক্যামেরা ভিডিওকে নীতিবিরোধী ও বাজে জিনিস বলে মনে করি।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

প্রশ্ন হলো,
মুক্তিযুদ্ধকে কি একটা প্রাপ্তবয়স্ক সাইটের বিজ্ঞাপন হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে?
নাকি
প্রাপ্তবয়স্ক সাইটকে মুক্তিযুদ্ধ এর বিজ্ঞাপন হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ?

আমার মতে দুইটাই আপত্তিকর তবে প্রথমটা অগ্রহনযোগ্য।

এনকিদু এর ছবি

পুরোটা পড়েন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ব্লগার এর ছবি

হিডেন ক্যাম ইসু ছাড়াও অনেক ভিডিও আছে যেগুলোতে মেয়েরা জানে তাকে মোবাইল/ওয়েবক্যাম/ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা হচ্ছে এবং তারা সেটা পারমিট করছে শুধুমাত্র তাদের বয়ফ্রেন্ডদের জন্যই, দুনিয়া শুদ্ধ মানুষদের জন্য নয়।

হিমু এর ছবি

একবার ভিডিও-রেকর্ডেড হবার পর এই ফুটেজ ট্র্যাক করা খুব কঠিন একটা কাজ নয় কি? বয়ফ্রেন্ড হারামজাদা নিয়ে যে কোন জায়গায় আপলোড করে দিতে পারে, এবং তখন সেটা দুনিয়াশুদ্ধ লোকের কাছে এক্সপোজড হয়ে যাচ্ছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এনকিদু এর ছবি

একটা মেয়ের পক্ষে হয়ত বোঝা সহজ না যে তার 'বয়ফ্রেন্ড' এরকম একটা কুৎসিত কাজ করে বসবে । সেক্ষেত্রে আগে থেকেই সতর্ক থাকা উচিত । আমি মেয়েটিকেই সতর্ক থাকতে বলছি কারন একবার সেই ভিডিও বা ছবি যদি সেই ছেলে ছড়িয়ে দেয় তাহলে আর কিছুই করার থাকবে না । অন্য কোন ভাবে এই ছেলেগুলোকে ঘাপলা করার আগেই চিহ্নিত করে ফেলা যেত, তাহলে সেই পদ্ধতি ব্যবহার করে মেয়েরা আগে থেকেই সেসব ছেলেদেরকে এড়িয়ে চলতে পারত । কাজেই বুন্ধুত্ব করার আগে অবশ্যই সতর্কতার সাথে যাচাই করে নেবেন ।

সম্ভব হলে সচলে আমরা ক'জনা বসে বসে মাছি মারছি - এদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন চোখ টিপি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি

অ্যাট দ্য এন্ড অব দ্য ডে, পিয়াল ভাইয়ের জন্য একটা তিরস্কার রইলো আমার পক্ষ থেকে। একটা সময় ছিলো যখন জেজে বললে তিনি জন্মযুদ্ধ বুঝতেন। এখন যৌবনযাত্রা বোঝেন। আমরা একটা প্রত্যাশা নিয়ে তার দিকে ফিরতাম, সেটা কিছুটা হলেও বাড়ি খেয়েছে। বাট ক্যারি অন কমরেড, মাইলস টু গো বিফোর উই স্লিপ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পিয়াল ভাইরে নিজের বড় ভাইয়ের মতো মানি। কিন্তু উনি জন্মযুদ্ধ ফেলে যৌবনজ্বালাকে যেভাবে সময় দিচ্ছেন তার জন্য হাততালি আমিও দিতে পারলাম না।

স্যরি বড় ভাই। আমি আপনাকে চিনি একটা আদর্শ হিসেবে। সেইটা এই পিয়াল ভাইয়ের সঙ্গে যায় না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কনফুসিয়াস এর ছবি

পতাকা নিয়া আলমগীর ভাই-র কথা পুরা মানতে পারলাম না। ব্যানারে বা গেন্জিতে পতাকার রং ব্যবহার করাটা বেআইনী বলেও মনে হইলো না। খানিকটা ফাঁকও আছে এই আইনে- আইনটা কেবলই পতাকা, মানে, পতাকা হিসেবে বানানো কোন বস্তুর জন্যে প্রযোজ্য। পতাকার রং প্রোফাইল বা ব্যানারে ব্যবহারে এই নিয়ম একইভাবে প্রযোজ্য হবে বলে মনে হয় না। আইনবিদরা আরও ভাল বলতে পারবেন।
*
যৌবনজ্বালা নিয়া অনেক তুলকালাম দেখতেছি। অনেকেই পিয়াল ভাইরে সাধুবাদ দিতেছেন, অনেক কিছু চিন্তা করতেছেন, বহু হিসাব কিতাব করে ব্যাপারটাকে সমর্থন করতেছেন। মজার ব্যাপার হইলো কারও কারও সমর্থনের ভাষাও বেশ উগ্র! যেন এই পবিত্র কাজের সমালোচনা করাটা বিরাট অপরাধ!

কিন্তু কোন হিসাব নিকাশ শুরুর আগেই বলি, আমি সমর্থন করতে পারতেছি না। মুক্তিযুদ্ধ কোন মস্করা না, এইটা কদুর তেল না যে যেমন ইচ্ছা মাথায় মাখলাম, যেমন ইচ্ছা হস্তমৈথুন চালাইলাম। মুক্তিযুদ্ধ নিয়া কথা বলার প্লাটফর্মের আকাল পড়ে নাই ইন্টারনেটে। সেইরকম প্ল্যাটফর্মে লালবাতি জ্বালাইয়া যৌবনজ্বালার মধ্যে ফিনিক্স পাখীর ছায়া দেখেন যারা, তাদের জন্যে করুণা হয়।
স্যরি পিয়াল ভাই। অথবা, আমি আসলে আমার নিজের জন্যেই স্যরি। একসময় আপনার সাথে হাত মিলাইয়া জন্মযুদ্ধ নিয়া স্বপ্ন দেখছিলাম, এই কথা এখন রূপকথার মত অবিশ্বাস্য ঠেকে নিজের কাছে।
আপনারে যারা কমরেড মানে, দুঃখিত, আমি আর সেই দলে নাই।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

যারা যৌবনজ্বালায় প্রমোট করার ভাবতেছেন তারা নীচের কাজগুলাতে নিশ্চয় আপত্তি করবেন না। সুতরাং শুরু করে দেন।

১। পাকিস্তানী এডাল্ট কোনো ফোরামে যান। তারপর বছর খানেক ধরে 'দেসী লাড়কি'দের 'হিডেন ক্যাম' ভিডিও, ছবি আপলোড করে একটা ভালো অবস্থানে যান। তারপর তাদের মধ্যে সচেতনতা ছড়ান যে পাকিস্থানের উচিৎ বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া। ওই পঞ্চাশ হাজার সদস্য যদি একবার আওয়াজ দেয় তাহলে খোদার আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠবে।

২। যুদ্ধ এখনো শেষ হয় নাই। সুতরাং একটা গোপন টেররিস্ট গ্রুপ করেন। তারপর বছর খানেক ট্রেইনিং শেষে পাকিস্থান এটাকে যান। আফটার অল আমাদের প্রতিশোধ তো নিতে হবে, নাকি?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই মন্তব্যটা ব্যক্তিআক্রমণের দায়ে আপত্তি জানাইলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একটু বুঝায় বলেন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

যারা যৌবনজ্বালায় প্রমোট করার ভাবতেছেন তারা নীচের কাজগুলাতে নিশ্চয় আপত্তি করবেন না। সুতরাং শুরু করে দেন।

এই কথাগুলো আমার কাছে প্রচন্ড অ্যাটাকিং মনে হয়েছে। যারা যৌবনজ্বালার ক্যাম্পেনে নাক শিটকাচ্ছেন, তাদেরকে আমি ভন্ড বলতে পারতাম, অতিসুশীল বলতে পারতাম, নাবালক বলতে পারতাম। কারণ, নেট ঘাটে কিন্তু পর্ন দেখে না এরকম লোক বিরল। আবার পর্নসাইটের ব্যানারে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলায় তাদের প্রেস্টিজ যায়। কিন্তু সেটা বললে ব্যক্তি আক্রমণ হতো। আমরা সবাই চাই, যুদ্ধাপরাধীর বিচার হোক, কেউ ক্যাম্পেনটা সচলায়তনে করুক, কেউ যৌবনজ্বালায় করুক। তার জন্য কাউকে পথ দেখিয়ে দেয়ার প্রবণতা ব্যক্তিআক্রমণ বলেই মনে হয়।

পরের উদাহরণ যেগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও আমার কাছে অ্যাটাকিং মনে হয়েছে (যদিও ওই কাজগুলো কেউ করতে পারলে সে আমার সমর্থন পাবে)।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অছ্যুৎ বলাই লিখেছেন:
কারণ, নেট ঘাটে কিন্তু পর্ন দেখে না এরকম লোক বিরল

নিজে করেন বলে সারা দুনিয়ার লোকে করে এইটা খুবই খুবই ফ্ল্যাট ধারনা। আপনার কাছ থেকে এই ধরনের কথা আশা করি নাই!

অছ্যুৎ বলাই লিখেছেন:
(যদিও ওই কাজগুলো কেউ করতে পারলে সে আমার সমর্থন পাবে)

এইটাও আপনার কাছ থেকে আশা করি নাই। আপনার যুক্তি মানলে 9/11 আর ভারতের টেররিস্ট এটাক গুলান বৈধতা পেয়ে যায়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সুমন,

নেট ঘাটে কিন্তু পর্ন দেখে নাই - এই শিরোনামে একটা জরিপ বসাও, তাইলে বুঝবা আমি ঠিক না বেঠিক। হাসি

দ্বিতীয়টা নিয়েও আমার কোনো সংশয় নাই। ৩০ লাখ মানুষের রক্তের প্রতিশোধ নিতে 'টেরোরিস্ট' খেতাব পেলে আমি সম্মানিত বোধ করবো। গান্ধীর পথই একমাত্র পথ না, সুভাষ বোসদেরও দরকার আছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি
এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একজাক্টলী এইটাই হইল পয়েন্ট। এই কাজগুলা যদি না মানা যায় তাহলে উপরিউক্ত কাজ মানা যায় কেমনে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পয়েন্টটা ভুল ধরলা!
আমি বললাম তুমি যে কনটেক্সট-এ উদাহরণটা দিলা সেইটা মানতে পারি নাই। দুইটার ইস্যু আলাদা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অমি রহমান পিয়াল এর ছবি

আপনার পুরুষাঙ্গের অখন্ডতার জন্য প্রার্থনা করে আমি কিছু বলতে চাই।
আগে একটা গল্প বলি। রাজার সন্তান হয়েছে। দাসী আরেক দাসীকে বললো রাজপুত্র তো মায়ের মতো ধবধবে ফর্সা হয়নি। সেই দাসী আরেক দাসীকে বললো, রাজপুত্রের গায়ের রং শ্যামলা। পরদিন রাজ্যের বাড়ি বাড়ি লোকে জানলো রাণী একটি কাক প্রসব করেছেন।

কোনো ফ্লপ পোস্টের দুইটা দিক থাকতে পারে। এক লেখকের ব্যর্থতা। সে বেশী ত্যানা পেচায়। একাধিক প্রশাখা থাকে বক্তব্যে ফলে মূল কথাটি দিকহারায়। অথবা বিশেষ কিছু পাঠকের অনুধাবনের অক্ষমতা (প্রিয় ব্লগার চোরের ভাষায় জ্ঞানের পাতিকুয়ার ডেপথ/ন্যানোমিটার)। যৌবনযাত্রার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি তোলা নিয়ে আমার ফ্লপ পোস্টটির জন্য আমি আমার লেখনীর ব্যর্থতাকেই প্রধান মানছি।

আমি কয়েকদিন আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম যৌবনযাত্রা নিয়ে। সেখানে মূল বিষয়টি ছিলো যৌবনজ্বালা নামে একটা কুখ্যাত পর্ণোসাইটের রূপান্তর নিয়ে। ২০০৫ সালে যারা এটি শুরু করেছিলো, যে তরিকায় শুরু করেছিলো, ২০০৭ সালের শুরু থেকে তা আস্তে আস্তে করে পরিবর্তিত হতে থাকে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের আগেই এটি আগের নামটির মৃত্যু ঘটায়। নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করে। ফ্যামিলি ফিল্টার যোগ করে। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে কর্মসূচী নেয় এর বিশাল ইউজারবেজ কে উদ্বুদ্ধ করে। এতে আমার ভূমিকা এবং মূল যে লোকটি এই পরিবর্তন ঘটিয়েছে তার গল্পটাই ব্লগাকারে লেখা হয়েছে। যারা আমার লেখার সঙ্গে পরিচিত, তারা আমার এই ত্যানা প্যাচানিতে অভ্যস্ত। তবে সেই কারণে যে আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জাত মেরে দিয়েছি এটা বুঝতে পারিনি। আন্তরিক ক্ষমা চাই সেজন্য।

কেনো জন্মযুদ্ধ নয়, কেনো যৌবনযাত্রা? এই ব্যাপারে ওই পোস্টের শুরুতেই বলা হয়েছে কিভাবে ইমপালসিভ একটা ডিসিশানে এই এডভেঞ্চারের শুরু। আর যারা আমারে চেনে, তারা জানে আমি ইমপালসিভ মানুষই। এই কাজের জন্য আমি সুশীল সাংবাদিক, দায়িত্বশীল স্বামী-পিতা, সামাজিক মর্যাদা- এইসব নিয়ে ভাবিনি। ভাবলে বিপ্লব হয় না। আমি দুঃখিত ধোবধুরস্ত কিংবা পশ সাহিত্যপ্রেমী ও দেশপ্রেমীদের ইজ্জতহানীর জন্য। যেহেতু আমার সঙ্গে অনেকেরই ইন্টারঅ্যাকশন আছে। তারা নিজেদের প্রবঞ্চিত ভাবতেই পারেন। তবে আমি কারো বাহবা পাওয়ার আশায় যেমন এমনটি করিনি, তেমনি আশা করি না আপনি যে কাজে ব্যর্থ সেটা অন্য কেউ করে দেখালে তার কাজে খুত ধরবেন।

এ বছর যখন আমি প্রাক্তন যৌবনজ্বালায় ঢুকি (অনেকে দেখি যৌবনযাত্রায় পরিবর্তনটাই মানতে পারেননি, অর্থাত প্রথম লাইনেই আটকে আছেন) পলাশ মাহবুব নামে একজন সাংবাদিক সাপ্তাহিক ২০০০ এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার শিরোনাম ছিলো পর্ণ সাইটে র‌্যাব বা এরকম কিছু। জেজে তে যখন কোনো ইউজার কোনো আকাম করে, তখন তাকে একটি বিশেষ ফোরামে জবাবদিহি করতে হতো, সেটার নামই ছিলো জেজের‌্যাব। যাহোক, আমি নিজে সাংবাদিকতা করেছি। ভালো করে দেখেছি, পলাশ মাহবুবের পুরো লেখাটিই ছিলো অজস্র ভ্রান্তিতে ভরা। কিন্তু আমি ঢোকার পরপরই সেখানে নীতিমালায় যে ব্যাপারগুলো দেখি তাতে লুকানো ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও, রেপ এবং চাইল্ডপর্ণ নিষিদ্ধ ছিলো। কারো ব্যক্তিগত পরিচিত প্রকাশ করে ছবি বা ভিডিও দেয়া সাইটটি আরো আগে থেকেই নিরুতসাহিত করে আসছে।

কথা হচ্ছে যৌবনযাত্রা একটি মহত সাইট, এইখানে নিয়মিত পুজা আর্চনা হয়, আপনারাও আসুন যোগ দিন- এ জাতীয় কোনো কথা আমি কোথাও বলিনি। আমি একটি রূপান্তর নিয়ে লেখেছি, আমি একটি এচিভমেন্ট নিয়ে লিখেছি। আমি একটি প্রাণের দাবির ভিন্ন সঞ্চালন নিয়ে লেখেছি। যেই লোকগুলো নাঙ্গাপাঙ্গায় অভ্যস্ত, যেই ছেলেগুলো সরকারী কারণে মুক্তিযুদ্ধের ভুল ইতিহাস জেনে বড় হয়েছে তাদের মননকে নাড়া দেয়ার একটা রোমাঞ্চকর গল্প বলেছি। এতেই আপনাদের পুরুষাঙ্গে তোলপাড় শুরু হয়ে গেলো! শেম অন মি।

সচলায়তনের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই নামের ব্যানার ঝুলছে। এতে আমার কোনো ভূমিকা নেই, কিন্তু আমি সফল। সামহোয়ারে দাবি উঠেছে ব্যানার পরিবর্তনের। আমি সফল। এই সাফল্য একান্তই ব্যক্তিগত এক আত্মপ্রসাদমাত্র। কারো পশ্চাদদেশ জ্বললে আবারও ক্ষমা চাই।

(যদিও ছাগুচীফের মতো অনেক সুশীল ছাগলই আমার পোস্টটির পিছনে যৌবনযাত্রার প্রচারণা এবং আলেক্সায় তাদের লাফিয়ে ওঠার অভিসন্ধি আবিষ্কার করেছেন। তাদের সুস্থতার জন্যও একই প্রার্থনায় আমিন বলছি)


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই

হিমু এর ছবি

পিয়াল ভাই, মাঝে মাঝে সচলে ঢুকলে বা উঁকি দিলে দেখতে পেতেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সামাজিকভাবে বর্জনের দাবিতে সচলায়তনের ব্যানার বছরভরই সবাক ছিলো। অবশ্য আপনি ঐ সময়টা অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন, চোখে না পড়াই স্বাভাবিক।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমি রহমান পিয়াল এর ছবি

ধরছেন ঠিক।


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই

বিপ্রতীপ এর ছবি

কেউ কেউ বলছেন এটা যৌবনজ্বালার জাতে উঠার চেষ্টা। যৌবনজ্বালা কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক ভিজিটকৃত সাইটের একটি। যদ্দুর জানি এলেক্সা র‌্যাংকিং দশের মাঝেই আছে এখনও। এর নতুন করে হিট বাড়ানোর তরিকা খোঁজার দরকার আছে বলে মনে হয় না। আম্রিকায় বুশ থাকে বলেই যে আম্রিকা ভালো হতে পারবে না সেইটা নিশ্চয়ই না। সুতরাং, এই ইস্যুতে যৌবনজ্বালা কিংবা যৌনজ্বালা যেই কাজ করুক...ব্যাক্তিগতভাবে নৈতিক সমর্থন জানাই...

সচলায়তনের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই নামের ব্যানার ঝুলছে। এতে আমার কোনো ভূমিকা নেই, কিন্তু আমি সফল। সামহোয়ারে দাবি উঠেছে ব্যানার পরিবর্তনের। আমি সফল। এই সাফল্য একান্তই ব্যক্তিগত এক আত্মপ্রসাদমাত্র। কারো পশ্চাদদেশ জ্বললে আবারও ক্ষমা চাই।

অমি ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, কয়েকটা সাইটের ব্যানার পাল্টানোই যদি এর সফলতা হিসেবে ধরে নেন তাহলে বড্ড ভুল করছেন..তাহলে আমার যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি গালি সম্বলিত কোন পোস্ট আর আপনার কাজের মাঝে আসলেই কোন ফারাক নেই... এখনও অনেক দূর বাকী...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

অমি রহমান পিয়াল এর ছবি

অমি ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, কয়েকটা সাইটের ব্যানার পাল্টানোই যদি এর সফলতা হিসেবে ধরে নেন তাহলে বড্ড ভুল করছেন..তাহলে আমার যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি গালি সম্বলিত কোন পোস্ট আর আপনার কাজের মাঝে আসলেই কোন ফারাক নেই... এখনও অনেক দূর বাকী...

আবারও লেখনীর ব্যর্থতা। ভাই আমি আপ্রাণ চেষ্টা করতেছি ত্যানা প্যাচানি বন্ধ করতে। পারতেছি না। এই সাফল্য বলতে আমি কি বুঝাইছি? যখনই কোথাও এই ধরণের কোনো ঘটনা ঘটে, আমার মনে হয় আমি সফল। মানে সাকসেসটা ওউন করি এমন একটা ফিলিংস কাজ করে। এইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাফল্য বড় পরিসরের কিছুর জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়। আর সত্যিকার সাফল্য বলতে কি বুঝি যদি জানতে চান তাইলে কই, বিদেশ যামু, অনেক ট্যাকা কামামু, গাড়ী-বাড়ি থাকবো, তারপর এরম কোনো ফোরামে আইসা পন্ডিতি চোদামু। সো ম্যান, আমি একজন ব্যর্থ মানুষ।


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সচলায়তনের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই নামের ব্যানার ঝুলছে। এতে আমার কোনো ভূমিকা নেই, কিন্তু আমি সফল। সামহোয়ারে দাবি উঠেছে ব্যানার পরিবর্তনের। আমি সফল। এই সাফল্য একান্তই ব্যক্তিগত এক আত্মপ্রসাদমাত্র। কারো পশ্চাদদেশ জ্বললে আবারও ক্ষমা চাই।
(যদিও ছাগুচীফের মতো অনেক সুশীল ছাগলই আমার পোস্টটির পিছনে যৌবনযাত্রার প্রচারণা এবং আলেক্সায় তাদের লাফিয়ে ওঠার অভিসন্ধি আবিষ্কার করেছেন। তাদের সুস্থতার জন্যও একই প্রার্থনায় আমিন বলছি)

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---
সেল্যুট@ অমি রহমান পিয়াল।।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কেউ কষ্ট করে কয়েকটা হিডেন ক্যাম ভিডিওর লিংক দেনতো
একটু আরাম করে দেখি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো কথা বলছেন... আমি কী পরিমান মূর্খ তা এখন বুঝতেছি। এইরকম একটা সাইট যে আছে তা আমার জানাই ছিলো না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার মন্তব্যটা ভালো লাগলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পরিষ্কার চিন্তা ভাবনা। এই জন্যই আপনারে বদ্দা ডাকে সবাই। আপনার মন্তব্যে একটা স্পেশাল রেস্ট্রিক্ট কোড জুড়ে দিছি যাতে অতিথিরা দেখতে না পারে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

যুধিষ্ঠির এর ছবি

তাহলে অতিথিরা যারা মন্তব্যটা পড়তে চান তাদের জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা আছে?

আলমগীর এর ছবি

আলাদা করতে পারছেন বিষয়গুলারে স্যালুট। চলুক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই কথাগুলা আপনি আরেকটু আগে এসে বললেই ল্যাটা চুকে যেতো। চলুক

কিছু করতে না পারলেই সমালোচনা করা যাবেনা সেটা আসলে কতটা ঠিক তা তর্কের বিষয়। তাই যদি হতো তাহলে রাজনীতিবিদদের সমালোচনা আমরা করতে পারতামনা। রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করলে কিংবা তাদের বিপক্ষে বলতে গেলে যদি রাজনীতিতে নাম লেখাতে হতো বা তারা যা করতে পারছেনা তা করে দেখাতে হতো তাহলে তো সমস্যা। তেমনি অনেক এনালজি দেয়া যায়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই আলোচনা এখানেই থেমে যাওয়াটা বোধ করি স্বাস্থ্যকর ।
আলমগীর তার আপত্তির জায়গাটা স্পষ্ট করেছেন ।
কমরেড পিয়াল ও তার ব্যাখ্যা জানিয়েছেন ।
সব বিষয়ে সবার এক পয়েন্টে আসা সম্ভব নয়, আবশ্যক ও নয় ।

কমরেড পিয়ালের প্রণোদনায় যৌবনজ্বালা/যৌবন যাত্রা'র কয়েক হাজার সদস্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন । কমরেড পিয়াল ও যৌবনজ্বালা/যৌবন যাত্রা'র সহযোদ্ধাদের অভিনন্দন । 'যে যেখানে লড়ে যায় আমাদের লড়া' এ লড়াইটা আমাদের সবারই ।

ইন্টারনেটে দালালের ছানাপোনাদের প্রতিরোধযুদ্ধে নিজেকে ও পেছনের সারির একজন মনে করি বলেই কমরেড পিয়ালের এ বিষয়ক যে কোন সাফল্যে ব্যক্তিগত ভাবে আমি উদ্বেলিত হবোই ।

তবে হয়তো ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারনে জন্মযুদ্ধ (http://www.jonmojuddho.org/)কে আমি যতোটা নিজের মনে করতে পারতাম, যৌবনজ্বালা/যৌবন যাত্রাকে ততোটা নিজের মনে করা সম্ভব নয় ।
কমরেড পিয়ালের হয়তো মনে আছে, বছর দুয়েক আগে স্টাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানের জন্য আমার এক বন্ধু জন্মযুদ্ধের রিসোর্স ব্যবহার করেছিল । আমরা নির্দ্বিধায় সেদিন লিফলেটে জন্মযুদ্ধের লিংক দিয়েছিলাম ।

এ ক্ষেত্রে যৌবনজ্বালা/যৌবন যাত্রার লিংক দেয়ার মতো সাহসী আমি হতে পারবোনা ।
আমি যৌবনজ্বালা/যৌবন যাত্রা ভিসিট ও করতে পারি কোন ব্যক্তিগত মুহুর্তে কিন্তু সেটা নিয়ে একেবারে নিজস্ব মানুষ ছাড়া অন্যদের সাথে কথা ও বলতে পারবোনা

আবারো বলছি , এটা আমার সীমাবদ্ধতা । যে বা যারা সীমা পেরুতে পারে তারা অভিনন্দন যোগ্য ।

সেইসাথে আমাদের নিজস্ব উদ্যোগ জন্মযুদ্ধ (http://www.jonmojuddho.org/) এর জন্য শোকগাঁথা ।

মডারেটরদের অনুরোধ জানাবো প্রয়োজন না থাকলে পোষ্টদাতার অনুমতি ক্রমে এই পোষ্টে মন্তব্য নেয়া বন্ধ করার জন্য ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সচলায়তন এর ছবি

এই আলোচনায় সম্ভবতঃ প্রায় সকল দৃষ্টিকোন থেকে মত এসেছে। সেই বিবেচনায় মন্তব্য গ্রহন করা স্থগিত করা হল।
_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ