রুলটানা ধবধবে সাদা কাগজে বাংলায় হাতে লেখা অপ্রত্যাশিত এই চিঠিটা; নাকি ‘কল্যাণবরেষু’ - এই সম্বোধনটা আমাকে বেশি অভিভূত করল ঠিক বুঝতে পারলাম না। তবে চমৎকার ঝরঝরে হাতের লেখায় বিশাল এই চিঠিটা অনেকবার পড়লাম, ফিরে গেলাম যেন শৈশবের এবং কৈশোরের সেই দিনগুলোতে।
নাভিদ আহমেদ চৌধুরীর সাথে আমার যোগাযোগটা কিছুটা নাটকীয়ই বলা যায়। শৈশবে কিংবা কৈশোরে জনাব চৌধুরীর নাম শুনেছি – বাবার একসময়ের ...
সেঁধে দিলে নিতে আমিও প্রস্তুত
সচকিত চোখে জমা পূর্ণতা যত
তুমি তুলে রাখতে পারো চেষ্টাযত
ক্ষিপ্তগতি ইচ্ছা লয়ের পাশে অক্ষত
যোগ্য সীমার ঠিক সাড়ে তিনহাত
আমি দেখে নেই দূরকল্পনা মিশ্রিত
ব্যবধান রাখছি টেনে টিনেজের ক্ষত
শীতবর্ষায় লেড়েল্যাপ্টে তুমিও অক্ষত
আত্নকথা যদি বুকের বাঁ-পাশে হয় বিস্তৃত
প্রীতিসম্ভবা নারীর প্রাণশক্তি বহু-প্রতীক্ষিত
নো-মেন্স ল্যান্ডে-এ আমার অধিকার স্থা ...
[০]
তিন বছর বয়সী বালিকাটি ফোনে আমার সাথে আলাপ শুরু করলো এক দিন, অ্যাই তুই কী করছিস?
- খাচ্ছি।
-কী খাচ্ছিস, জিব্রা? (আজকালকার বাচ্চারা আমাদের মতো জেব্রা বলে না, একেবারে z দিয়ে জিব্রা বলে, শুনে শুনে আমরাও শিখছি আর কি।)
- নাঃ, এই একটু জিরাফ খাচ্ছি।
এই শুনে সে হেসে কুটিপাটি। যেন জিব্রা খাওয়া চলতে পারে, কিন্তু জিরাফ খাওয়াটা ঘোর বাজে একটা কাজ! তো সেখানেই আলাপ শেষ না, এরপর বলে, আচ্ছা তুই কি এক ...
-কতোদিন থাকবে এবার?
-কবে ব্যাক করছো?
-সিটিজেনশিপ কি পেয়ে গেছো, অন্ততঃ ইনডিফিনিট লিভ?
ব্যতিক্রমহীনভাবে একটানা এইসব প্রশ্নের মুখোমুখি হই, জবাবে সুনির্দিষ্ট উত্তরের বদলে মুখে এক টুকরো হাসি ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টার করি- যে হাসির মানে যে কোন কিছুই হতে পারে। ভেতরে ভেতরে ক্রোধ দলা পাকায়। জানি, এইসব প্রশ্ন যারা ছুঁড়ে দিচ্ছেন তারা আত্নীয় পরিজন, বন্ধুবান্ধব, শুভাকাংখী। তবু এমন শুভ আকাংখা ...
মাহে আলম খান
দুই টাকা দাম, অফিস যাবার পথে – বাস এ, দুই ঘন্টার সম্পর্ক প্রতিদিন, (ভিন্ন কারণে) ভাল লাগা একটি দৈনিক পত্রিকা “বাংলাদেশ প্রতিদিন”।
গতকাল (৩রা নভেম্বর) দুই টাকায় প্রতিদিনের চেয়ে অনেক বেশি কিছু পেলামঃ
* মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণমূলক লেখা – ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কিছু সময়। তার বর্ণিত প্রতিটি স্থান আমি স্বচক্ষে দেখেছি, ২০০০ সালে (মহিলা ওয়ার্ড বাদ ...