"বিবর্তন" তুমি মোরে করেছ মহান !!

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৭/২০১২ - ৯:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিবর্তন বেশ মজার একটা বিষয়। আমি বিবর্তন নিয়ে পড়তে ভালো পাই, নানা বই, তথ্য কিংবা তথ্যচিত্র যখনই হাতের কাছে পাই সংগ্রহে রাখি। তাই সচলের প্রথম দিকে সাহস করে লিখেই ফেলেছিলাম "বিবর্তন সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা এবং তার উত্তর" লেখাটি। এরপরে কিছু হাউকাউ এর পরে ভাবলাম, এই বিষয়ে একটা ধারাবাহিক লেখা নামানো যাক। কিন্ত মানুষ যা ভাবে তা কি আর হয়! তাই প্রথম "বিবর্তন-১ : একটি ধারণার সূচনা"- লেখাটির পরে আজ পর্যন্ত দ্বিতীয় লেখাটি হয়ে উঠলোনা। কিন্তু কাহাতক আর দেরি করা যায়, ধারাবাহিক না হয় হচ্ছেনা কিন্তু মাঝেসাজে প্যাকেজ নাটকের মতো দু-একখানা লেখা তো লেখাই যায়। তাই ভাবনাচিন্তায় আর বেশি সময় নষ্ট না করে সিদ্ধান্ত নিলাম, বিবর্তন আমাদের দেহে আরও কি কি সুবিধে-অসুবিধে করে দিয়েছে এই নিয়ে একটা ছোটখাটো লেখা দেয়া যাক। আমার প্রথম লেখায় অনেকেই অভিযোগ করেছিলো, বিষয়বস্তুটা আরো সহজ করে লিখলে নাকি ভালো হয়। তাই এবার ভাবলাম "হাসতে-হাসতে বিবর্তন" এই ধরনের কিছু একটা লিখে ফেলবো। কিন্তু আমি তো "চরম উদাস" নই, রম্যরচনায় আমার অবস্থা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীর মতো। তাই খুব বেশি চাপ না দিয়ে (!!), যতোটা পারি সহজ করেই আজকের বিষয়বস্তুর অবতারণা করার ইচ্ছা পোষণ করি। তাতেও যদি কঠিন-কঠিন লাগে তাহলে দোষ আমার না, দোষ হচ্ছে ওই ব্যাটা শাখামৃগগুলোর!!

বিবর্তন আমাদের প্রানীজগতে সুবিধের পাশাপাশি অনেক অসুবিধেও করে দিয়েছে। এই যেমন মানুষের কথাই ধরি। বিবর্তনের ফলে আজকে আমরা যেমন উন্নত একটি সভ্যতা তৈরী করেছি, তেমনি বহন করে চলেছি কিছু দৈহিক অসুবিধেও। এর সবটাই কিন্তু বিবর্তনের ফল। সঠিকভাবে বুঝতে গেলে বিবর্তনের একদম প্রথম থেকে জানা জরুরি। কিন্তু ৯টা-৫টা ডিউটি সেরে আর কতো ধৈর্য্য থাকে এইসব নিয়ে গুঁতোগুতি করার? তার উপরে আবার "আদমের পঞ্জরাস্থি হতে ইভের আগমন" তত্বে বিশ্বাসীদের জন্য তো কোনো প্রমানই যথেষ্ট নয়। তারা সব কিছুতেই "ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন" খুঁজে বেড়ায়! তারা সারাদিন ফসিলের মিসিং লিঙ্ক নিয়ে আস্ফালন করে। দুইটা ফসিলের মাঝে একটা মিসিং লিঙ্ক নিয়ে একাধিক তর্কে লিপ্ত হয়। তারপর ওই দুই ফসিলের মাঝে আরও একখানা ফসিল আবিস্কার করে বিজ্ঞানীরা যখন একটু হাসিহাসি মুখ করে ছবি তুলতে যান, তখনই তেড়েমেড়ে এসে বলা শুরু করে, আরে হতভাগা আগে দুই ফসিলের মাঝে ছিলো একটা মিসিং স্পট এখন তিন ফসিলের মাঝে দুইটা মিসিং স্পট কি চোখে পড়েনা? কি আর করা!! তার উপরে "জোকার নায়েক ফ্যানক্লাব" তো ঘোষণাই করে দিয়েছে, বিবর্তন একটি বাতিল তত্ত্ব। যখন জোকার নায়েকের মতো মহাজ্ঞানী এধরনের কথা বলেন তাতে আমাদের মতো অকালকুষ্মান্ডদের সম্মতি জানানোই শ্রেয়, কিন্তু ওই যে, পূর্বপুরুষদের লেজখানা যে কারো কারো মাঝে আজো বিদ্যমান, তাই শান্তি কোথায়?

সবাই নিঃশ্চয়ই এতক্ষণে ভেবে বসে আছেন, কি যা তা বকে চলেছে!!নাহ, ভয় পাওয়ার কারণ নেই, সবুরে যেমন ভালো ফল পাওয়া যায়। তেমনি একটু বেশি সবুরে কিন্তু বিবর্তন পাওয়া যায়। বিশ্বাস করুন, ডাইনোসরের কসম!! যাই হোক, আজকের বিষয়বস্তু হচ্ছে, বিবর্তনের ফলে মানবদেহে কি কি অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভেবেছিলাম লেখার শিরোনাম দিবো, "বিবর্তন-তুমি মোরে দিয়েছো বাঁশ", কিংবা "যেভাবে বিবর্তন আমাদের ইয়ে মারিয়া দিয়েছে", কিন্তু কোনো শিরোনামই মনঃপুত না হওয়ায় আপাতত ওই চিন্তা বাদ। মোটামোটি পাঁচটি বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা করবো, যাতে বুঝতে সুবিধে হবে, বিবর্তনের ফলস্বরূপ মানবদেহে নানাবিধ প্রতিক্রিয়া। তাহলে "বাবা ডারউইন" এর নামে শুরু করা যাক।

১. মানুষের অন্ডথলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হলে দিনের বেলাতেও "চোখে সর্ষেফুল দেখে", কিন্তু তাও স্পর্শকাতর এই অঙ্গটি দেহের বাইরে কেন?

হুমম, শিরোনাম দেখেই নিঃশ্চয় ভাবছেন, কি ছেলে রে বাবা, শুরুতেই লুঙ্গি ধরে টানাটানি!! নাহ, ভয়ের কিছু নেই, কারো লুঙ্গি বিসর্জন হচ্ছেনা আপাতত।
তার আগে এই ছবিটা দেখুন ভালো করে-

6319458.bin

দেখে কি ভাবছেন? হয়তো ভাবছেন, আবোল-তাবোল বকে একদম মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে, তাই তো? নাহলে কি ফুটবলের ছবি দিয়ে বিবর্তন দেখাতে আসে!! উহু, মোটেই তা নয়, বরং ছবিটা ভালো করে আবার দেখুন। কিছু নজরে পড়লো? কেন দেখতে পাচ্ছেননা, লোকগুলো কিরকম বিশেষ জায়গায় হাত দিয়ে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত? এরকম তো সব খেলাতেই দেখা যায়, এ আর নতুন কি। কিংবা কোনো ঢিশুম-ঢিশুম একশন ছবি দেখতে ব্যস্ত? ভিলেনকে মারতে গিয়ে নায়কের গুলি ফুরিয়ে গেছে? এবার কি হবে ভেবে নিজের চুল টানছেন? হঠাৎ দেখলেন, নায়ক ভিলেনের দুই পায়ের মাঝখানে দিলো এক মোক্ষম লাথি। আর তাতেই ভিলেন বেচারা ওরে মারে-বাবারে করে পপাত্ধরনিতল!! ভাবছেন বেশ করেছে। কিন্তু সাথে সাথে এটাও ভাবুন, এরকম একটা স্পর্শকাতর জিনিসকে দেহের বাইরে শোকেসে ঝুলিয়ে রাখা কেন? এইতো প্যাঁচ লেগে গেলো তো? চিন্তা নেই ওই প্যাঁচ ছাড়াতেই তো লিখছি।

uroMaleScrotumGrayBB1143

[মানব দেহের পুরুষ প্রজাতির প্রাণীর অন্ডথলি]

পুরুষ দেহের সব থেকে স্পর্শকাতর অঙ্গটি হচ্ছে এই অন্ডথলি। এর ভেতরে থাকে অন্ডকোষ। এই শুক্রাশয়ে উত্পন্ন হয় নতুন প্রাণ সঞ্চারকারী শুক্র। কিন্তু এই মহাদরকারী জিনিসটিকে এরকম অরক্ষিত অবস্থায় রাখা কেন? এটাকে দেহের ভেতরে দিলেই তো ল্যাটা চুকে যেতো। তখন হঠাৎ এরকম বেকায়দা আঘাতে সমস্যাও হতোনা। নিদেনপক্ষে একখানা হাড়ের খাঁচা তো তৈরী করে দেয়া যেতো। কিন্তু না, তা হয়নি। কারণ, শুক্রগুলোর বেঁচেবর্তে থাকার জন্য একটু ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া দরকার। দেহের ভেতরে তো আর এসি লাগানো নেই। বরং সারাদিন নানা খাটুনির কারণে দেহের ভেতরটা থাকে উত্তপ্ত। তাই দেহের বাইরের এই জায়গাটিই কিছুটা ঠান্ডা থাকে। এর তাপমাত্রা দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা থেকে কয়েক ডিগ্রী কম। আর ঐটুকুই যথেষ্ট। তাই এরকম ভাবে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। কিন্তু সমস্যা এখানেই শেষ নয়, শুক্র উত্পন্ন হতে যেমন একটু কম তাপমাত্রা আবশ্যক তেমনি, শুক্র নির্গত হতে প্রয়োজন একটু বেশি তাপমাত্রার। কিন্তু কি করে সম্ভব? সম্ভব, সবই সম্ভব। যখন পুরুষ স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের জন্য উত্তেজিত হয়, তখন দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। সাথে সাথে অন্ডথলিটিও কিছুটা সংকুচিত হয়, আর লিঙ্গের উত্থানের ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে করে শুক্র নির্গমনের জন্য দরকারী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ব্যাস, ঐটুকুই যথেষ্ট। বেশি বিস্তারিত দিতে গেলে আবার সেন্সর বোর্ড কাঁচি চালাবে।

04b_sperm_cell

[স্পার্ম সেল]

আলোচনা কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এবার এসে বলবেন, তো সব প্রাণীর কি একই অবস্থা!! না, সব প্রাণীর নয়। প্রজাতিভেদে বিভিন্ন প্রাণীর লিঙ্গের আলাদা আলাদা গঠন রয়েছে। এবার বলে বসবেন, তাহলে কি সবাই লাথি খেলে ওরকম গড়িয়ে পড়ে? আমি বলবো, আসুন একে লাথি মেরে দেখুন-

bull

আর লাথি মারতে যাওয়ার আগে, এর পেছনের দুখানা পা, তার খুড় এবং সামনের দুখানা শিং-এর কথা ভুলবেননা যেনো। আর আপনি যাতে খুব সহজে লাথি মারতে না পারেন তার জন্য ওই লেজটি কিরকম ঝুলছে দেখুন!

আর হ্যাঁ, যারা এই লেখাটি নিজের ল্যাপটপে আরাম করে পড়ছেন, তাদের জন্য-

Laptop-on-your-lap

যদি এভাবে বসে থাকেন, তাহলে শীঘ্রই জায়গা পরিবর্তন করুন। ল্যাপটপের নিচের দিকে যে পরিমান তাপ উত্পন্ন হয়, তার উচ্চ তাপমাত্রা আপনার শুক্রাশয়ের শুক্রগুলোকে ফ্রাই করার জন্য যথেষ্ট। যদি জন্মের আগেই বেচারাদের এভাবে হত্যা করতে না চান তাহলে এভাবে বসার আগে দ্বিতীয়বার ভাববেন আশা করি!

আর যারা মানবদেহের এই অঙ্গটির ঝুলন্ত অবস্থান নিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঝোলাঝুলি করতে চান তাদের জন্য এইটা।

যারা এই অংশটুকু পড়ে আমাকে শালীনতার শত্রু মনে করে বসে আছেন, তাদের জন্য বলছি। আমি খুবই দুঃখিত। এর থেকে সুশীলভাবে আমি লিখতে পারতামনা। কি আর করবো বলুন, আমি যে সুশীল সমাজের কেউ নই!! বরং পরের বিষয়ে যাই।

২.ক্লোজআপ হাসি হাসার আগে আমাদের ১০০ বার ভাবতে হয় কেন?

ভেবে দেখুন, দাঁতের যন্ত্রনায় আমরা কষ্ট কে না পাই। যন্ত্রণা কি শুধু এক ধরনের? নানা ধরনের যন্ত্রনায় ফেলে এই দাঁতগুলো। দাঁত কেলিয়ে হাসতে গেলে নিজের দাঁতের উঁচু-নিচু টিলা আকৃতির কথা চিন্তা করে অনেকেই মুখে হাত দিয়ে আড়াল করি কিংবা মুখ টিপে ফিচকে মার্কা হাসি দেই। আজকাল টিভির মডেলরা কিরকম ঝকঝকে মার্বেল এর মতো বাঁধানো দাঁত দেখিয়ে খেক খেক করে হাসে!! আবার পেস্ট এর বিজ্ঞাপনে যাওয়ার আগে বলে যায়, আমার মতো প্রাণখুলে (নাকি দাঁত খুলে?) হাসতে চাইলে ব্যবহার করুন অমুক-তমুক পেস্ট। আমরা ভাবি, ধুর, ওরকম সাদা দাঁত না হয় হলো, কিন্তু এদের আকার-আকৃতির কি হবে? এর জন্যে আবার পকেট ফুটো করতে দৌড়াই দাঁতের ডাক্তারের কাছে। আর দাঁতের ডাক্তারও ভালো মানুষের মতো একখানা "ব্রেস" লাগিয়ে দিয়ে জ্ঞানীর মতো মাথা নাড়তে থাকে। আমরা দাঁতের উপরে অদ্ভুত আকৃতির জিনিসটি বসিয়ে আরও কিছুদিন মুচকি হাসার পণ করে চলে আসি সুরসুর করে। আবার কখনো আক্কেল দাঁত নামক মহাযন্ত্রণার এই জিনিসটি আমাদের কাঁদিয়ে মারে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, "ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের" ইন্টেলিজেন্ট কর্তা আমাদের দাঁত নিয়ে এরকম দেঁতো কাজকর্ম কেন করে রেখেছেন? এইরে ধর্মানুভুতিতে আঘাত দিয়ে ফেললাম নাতো কারো? থাক, বরং বিবর্তনকে আঘাত করি, অন্তত ঢিল মেরে পাটকেল খেতে হবেনা এখানে।

human_skull_side

[মাথার খুলির গঠন]

বিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের পূর্বপুরুষদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধি হতে থাকে। আয়তনে বাড়তে থাকে দ্রুত। অন্য প্রানীদের তুলনায় আমরা মস্তিষ্কের অনেক বেশি ব্যবহার করেই কিন্তু জয় করেছি এই পৃথিবী। আর চিন্তা করে দেখুন, পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের মস্তিষ্কের ওজন হচ্ছে ১,৩০০ গ্রাম থেকে ১,৪০০ গ্রাম। এই ওজনের একটা জিনিস ঐটুকু খুলির ভেতরে আটকে রাখাটা কি চাট্টিখানি কথা! আর একদম প্রথম থেকেই কিন্তু এরকম ছিলোনা। ধাপে ধাপে হয়েছে এই পরিবর্তন। আগে একটা সময় আমরা সম্পূর্ণ তৃনভোজী ছিলাম। নির্ভর করতাম শাক-পাতা, ফল-মূল এসবের উপরে। এর সব কিছুই ছিলো শর্করাভিত্তিক খাবার। তাই অল্পতে কি পোষায়? সুযোগ পেলেই ধুমসে চলতো পেট পুজো। আর পুষ্টির জন্য এহেন অল্প সময়ে বেশি বেশি খাবারের কারণে আমাদের প্রয়োজন ছিলো শক্তিশালী দাঁত। আক্কেল দাঁত ঠিক একারণেই কাজে লাগতো। আর আমাদের মুখের আকৃতিও ছিলো খুলির থেকে কিছুটা আগে বাড়ানো। কারণ প্রচুর শর্করা আমাদের চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হতো। তার জন্য জায়গা প্রয়োজন। আর এতো চিবানোর জন্য আমাদের চোয়ালও ছিলো সেরকম। কিন্তু এতো খাদ্য হজম করতে লাগে বড়সড় একটা পাকস্থলী। কিন্তু বড় পাকস্থলী আর বড় মস্তিস্ক যেকোনো একটা পেতে পারো। এটা তো আর ফ্রির জিনিস নয় যে, চাইলেই সব পাবে।

একটা সময়ে শর্করা খাবারের ঘাটতি দেখা দিলো, গাছে চড়ে ঘুরে বেড়ানো পূর্বপুরুষরা নেমে এলো তৃণভূমিতে। দু পায়ে হাঁটতে শিখলো আস্তে আস্তে। এরই মাঝে আমাদেরই কোনো এক পূর্বপুরুষ কোনো এক প্রাণীর দিকে তাকিয়ে বললো , "ঐ তো মাংস। চলো ট্রাই করি!" হ্যাঁ, এভাবেই একটা সময় শুরু হলো মাংস ভোজন। প্রয়োজনের তাগিদে আমিষের দিকে ঝুঁকে পড়লো তারা। আজ থেকে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন বছর আগে খাদ্যাভাসের ব্যাপক পরিবর্তন করে শর্করাপ্রধান খাদ্য থেকে তারা আমিষপ্রধান খাদ্যের উপর নির্ভর করা শুরু করলো। আর এতে নানা ধরনের সুবিধে হলো, অল্প পরিমান খাদ্যতেই দেহের প্রয়োজন সম্পূর্ণ হতে লাগলো। এখন আর বেশি বেশি শর্করা না খেলেও হচ্ছে। আবার খালি হাতে বাঘ-সিংহের সাথে পাল্লা দিয়ে শিকার করতে অসুবিধে তাই মাথা খাঁটিয়ে বের করতে লাগলো পাথড়ের অস্ত্র। মস্তিষ্কের ধূসর পদার্থের আলোড়নে একসময় আগুনও জ্বালাতে শুরু করলো। এভাবেই প্রয়োজন ফুরিয়ে এলো আক্কেল দাঁতের এবং বড় চোয়ালের। কিন্তু ঐ বেঢপ্ বড় মস্তিস্কটিকে জায়গা দিতে গিয়ে খুলির আকৃতি পরিবর্তন হতে শুরু করলো আর সাথে সাথে ঠেলে বেড়িয়ে আসতে চাইলো দাঁত এর সারি, সামনের দিকে। আর এভাবেই আঁকাবাঁকা হয়ে আজকের দিনের আকৃতি ধারণ করলো আমাদের দাঁতের পাটি।

dentition_custom

বিভিন্ন শর্করাভোজী প্রাণীর সাথে তাই আমাদের চোয়ালের সুস্পষ্ট পার্থক্য দেখা গেলো। যেমন, মাংসাশী হওয়ার কারণে আমাদের সামনের দিকের দাঁত কিছুটা দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পেলো মাংস ছিড়ে খাওয়ার জন্য, যাকে শ্বদন্ত বলা চলে। তাই ভ্যাম্পায়ার কিংবা ড্রাকুলা দেখার জন্য পেনসিলভানিয়া যাওয়ার প্রয়োজন নেই। একটা টর্চ হাতে নিয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখ খিচে নিজের দাঁতগুলো দেখুন আর চমকে উঠে হরর মুভি দেখার স্বাদ নিন!

human-teeth-dental-chart

আরও ভালো করে দেখতে চাইলে এই ছবিতে দাঁতগুলো দেখে নিন এরপরে গুনে গুনে দেখুন তো ৩২খানা আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে অতি অবশ্যই উচ্চ আদালতে বিচার জানাতে পারেন, তবে তাতে দাঁত ফেরত পাবেন কিনা তার কিন্তু গ্যারান্টি নেই।

তবে হ্যাঁ, মাংস খাওয়ার শুরু করাতে মানুষ কিন্তু উন্নত হয়েছে সময়ের সাথে সাথে। দেহের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাব পূরণ হওয়ার সাথে সাথে মানুষ শিকারের জন্য অস্ত্র বানাতে শিখেছে। শিখেছে মস্তিস্ক খাটিয়ে নানা রকমের ফন্দি-ফিকির বের করতে। এতে মস্তিষ্কের যেমন উন্নতি সাধন হয়েছে একই সাথে উন্নত হয়েছে সভ্যতা। তাই দুঃখিত নিরামিষাশী বন্ধুরা আপাতত আজকের জন্য আপনাদের সমর্থন জানাতে পারছিনা। আপনাদের পূর্বপুরুষরা মাংস না খেলে আজকে হয়তো আপনি "ভেজিটেরিয়ান" হওয়ার জায়গায় আসতে পারতেননা। তাই আজকে নাহয় কিছুটা "নন-ভেজ" চলুক।

teeth

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দাঁতের গঠন দেখে নিন এই ফাঁকে। তবে এখনও কিন্তু শর্করাভোজী প্রানীদের চোয়ালের আকৃতি আমাদের থেকে বড়। যেমন- ঘোড়া কিংবা গরু। স্বাভাবিকভাবেই এদের প্রচুর পরিমান শর্করা চিবিয়ে দেহের উপযোগী করার জন্য বড় আকৃতির চোয়ালের প্রয়োজন। আমাদেরই এক বন্ধু সাত সকালে ব্রেকফাস্টের পরে কিরকম "ক্লোজআপ" হাসি দিয়ে ছবি তুলেছেন দেখুন-

4

আর যারা এখনও নিজের দাঁতের কিম্ভূত আকৃতি নিয়ে বেশ মন খারাপ করে আছেন তাদের জন্য বলি, কেনো অযথা মন খারাপ করছেন। ঐ টিভি কিংবা বিজ্ঞাপনে যাদের সুন্দর সাজানো দাঁতের পাটি দেখছেন তার সবগুলোই হচ্ছে কৃত্রিম। ডাক্তারকে অযথা অনেক টাকা গচ্চা দিয়ে করা। তার থেকে বরং নিজের দেহে যা আছে তাই নিয়ে খুশি থাকুন। আপনি আপনার পূর্বপুরুষদের কীর্তি বহন করে চলেছেন এটাই বা কম গর্বের নাকি?!

ও এখন বলবেন তো, ব্যাটা, বিবর্তনের জন্য পূর্বপুরুষদের মস্তিস্ক আকৃতিতে বৃদ্ধি পেলে আমাদেরটা কি দোষ করলো রে হতভাগা!! না কোনো দোষ করেনি, তাইতো ভেতরে ভেতরে জটিলতা বাড়িয়ে তৈরী করেছে ১০০ বিলিয়ন নিউরনের এক অসাধারণ নেটওয়ার্ক। কি বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে বুঝি? সমস্যা নেই, ওরকম অনেক কিছুতেই কষ্ট করতে হয়, নাহলে কি আর সুফল মেলে? দাঁত নিয়ে দাঁতাদাঁতি আরনা-আরনা। চলুন অন্য বিষয়ে।

৩. গলায় খাবার আঁটকে গেলে ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা হয় কেন?

গলায় খাবার আঁটকে গিয়ে নাকের জল-চোখের জল এক হয়নি এরকম মানুষ পৃথিবীতে কমই আছেন। অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাও বিবর্তনের দোষ। তার আগে জেনে রাখুন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ৩,০০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন শুধু এই কারণে। একবার চিন্তা করে দেখুন কি যাচ্ছেতাই ব্যাপার।
তাড়াহুড়ো করে খেতে গিয়ে কিংবা খেতে খেতে হাসতে গিয়ে হঠাৎ করেই কাশতে কাশতে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাড়াতাড়ি কোনমতে গলায় আটকে থাকা খাবারটা সরাতে পারলেই যেনো জীবন বাঁচে। এই কারণের পেছনে কিন্তু আছে মানবদেহের একটি মহান উন্নতি। আর তা হচ্ছে, আমাদের কথা বলতে পারার ক্ষমতা!
ভাবছেন, কি বিটকেলে ব্যাপার-স্যাপার। হবেই তো, এতো সহজ হলে তো আর এতকিছু লিখতে হতোনা।

17107_6354_5

আমাদের গলায় যে ভোকাল কর্ড আছে এর জন্যেই আমরা কথা বলতে পারি, এটা তো সবাই জানে। কিন্তু এই ভোকাল কর্ডটা থাকে কই? থাকে হচ্ছে, গলার শেষপ্রান্তে একটি বাক্স আকৃতির স্থানে। যাকে বলে ল্যারিংস। তো ঐ ভোকাল কর্ডখানা গলার এতোটা ভেতরে যাওয়ার কি দরকার ছিলো? মুখের শেষে জায়গার তো অভাব নেই, ওখানেই চেপেচুপে বসে গেলেই চলতো। তা না করে অতো হ্যাঁপা। কারণ আছে, ঐ ইঞ্চিদুয়েক নিচের জায়গাটাতে থাকার কারণেই আমরা অন্য প্রানীদের থেকে বেশি নানা ধরনের আওয়াজ করতে পারি। নিজের মাথাটাকে কি বাদ্যযন্ত্র মনে হচ্ছে? ব্যাপারনা, ওরকমই ধরে নিন আপাতত।

কিন্তু এই যে কারিগরী, তার কিন্তু সমস্যাও আছে। শ্বাসনালীর সাথে একই জায়গায় অবস্থিত হওয়ায় যেকোনো সময় খাবার আটকে যায় ওখানে। আর শুরু হয় বেদম কাশাকাশি। আমরা জানি, গলার ভেতরে আছে দুইটা নলাকৃতির অংশ। একটা হচ্ছে, Esophagus, এটা খাদ্য বহন করে পরিপাকতন্ত্রে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। অন্যটা Larynx, যেটা বায়ু বহন করে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। যেহেতু ল্যারিংস কিছুটা নিচে অবস্থিত যাতে আমরা নানাধরনের শব্দ উচ্চারণ করতে পারি, তাই আমাদের শ্বাসনালী সরাসরি দেহের সায়নুস এর সাথে যুক্ত হতে পারেনা। হতে পারলে, গলায় একখানা আস্ত ডিম আটকে গেলেও আমরা ঠিকই শ্বাস নিতে পারতাম আরামসে। বরং এই দুই নল একইসাথে গাদাগাদি করে ছোট একটা জায়গা দখল করে রাখে। আর তাতে একটা ছোট ভাতের দানা প্রবেশ করলেও আমাদের বারোটা বেজে যায়।

esophagus_front

[দেখে নেই কিভাবে আছে সব কিছু]

larynx_structure

[ল্যারিংসই বা বাদ যায় কেন]

এখন ভাবছেন, কি হারামীপনা করে রেখেছে শরীরে!! উহু, হারামীপনা নয়, একটু সাবধানে খেলেই তো হলো। আর ঐ যে, বিষম খাওয়া, ওটা নাহলে দেহের আরো ক্ষতি হতো। বিষম খাওয়া দেহের এস্পিরেশন নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে একটি কার্যকরী সুরক্ষা ব্যবস্থা। এস্পিরেশন নিউমোনিয়া হচ্ছে, শ্বাসনালি কিংবা ফুসফুসে কোনো বাইরের জিনিস প্রবেশের ফলে এদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। দেখেছেন তো বিষম না খেলে কি অবস্থা হতো? বিবর্তন একেবারে ভাতে মেরে রেখে যায়নি ঠিকই। তাই খাওয়ার সময় একটু মনোযোগী হলেই কিন্তু আর বিষম খেয়ে ভীষণভাবে কাশতে হয়না। আর এই একটু অসুবিধের বদলে যে এতো সুন্দর করে প্রেমিকার কথা শুনতে পাচ্ছেন এটাই বা কম কিসের!! কথা বলার ক্ষমতা না থাকলে কি হতো ভাবুন, ফোন কোম্পানিগুলো তখন কি করতো, "দুরে গিয়ে, কাছে থাকুন বলে" চেঁচিয়ে উঠতো কারা? তাই ঠিক ভাবে খেতে শিখুন, শান্তিতে বাঁচুন।

৪. গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেস হয় কেন?

মর্নিং সিকনেস, যেকোনো গর্ভবতী নারীকে প্রশ্ন করুন। ঠিক উত্তর পাবেন কি ভীষণ বিরক্তিকর সমস্যা এটা। সবাই কয়েক মাসের জন্য হলেও এই সমস্যায় পড়েন গর্ভের প্রথম দিনগুলোতে, বিশেষ করে প্রথম দুই-তিন মাস। শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ নারী নিজের প্রথম তিন মাসে এইরকম বমি-বমিভাব অনুভব করেন। শুধু তাই নয়, খাদ্যের এই অস্বাভাবিক নিঃসরণ-এর কারণে অনেকেই পানি স্বল্পতায় ভুগে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত হন।

pregnant-woman-with-morning-sickness

কিন্তু এই সমস্যার কি কারণ? আদিম মানুষদের যখন রান্না করে খাওয়ার মতো অবস্থা হয়নি তখন কাঁচা ফল-মূল/মাংস খেয়েই জীবনধারণ করতে হতো। কিন্তু এই সব খাদ্যের সাথে অনাগত অতিথির মতো দেহে প্রবেশ করতো বিভিন্ন ধরনের পরজীবি। পরজীবিদের নিয়ে লিখতে গেলে আলাদা একখান পোস্টের প্রয়োজন। তাই চাইলে, আপাতত এই লিঙ্কটাতে গিয়ে উনাদের দর্শন করে আসুন। দেখবেন কি বাহারি তাদের রূপ। তো এইসব পরজীবি যদি দেহে প্রবেশ করে সবকটাকে তো আর দেহের সুরক্ষা ব্যবস্থা কিলিয়ে ভূত বানাতে পারেনা, তো কয়েকটাকে লাথি দিয়ে দেহ থেকে বের করেও দিতে হয়। আর এজন্যই আমাদের দেহে আছে একটি "কিক-এস" সুরক্ষা ব্যবস্থা। আর সেটি হচ্ছে এই বমন প্রক্রিয়া।

parasites16

[দেখো, রূপের কি বাহার আমার!]

তো গর্ভের প্রথম তিন মাসে যখন ভ্রুণ সব থেকে স্পর্শকাতর অবস্থায় থাকে, যখন তার সুরক্ষার দরকার সব থেকে বেশি, তখন দেহের এই সুরক্ষা ব্যবস্থা আপনা থেকেই দেহের ভেতরে অনুপ্রবেশকারী এই সব অনাগত অতিথিকে লাথি মেরে বের করে দেয় যাতে আপনার আগত প্রিয় অতিথিটি থাকে সুরক্ষিত এবং সুস্থ। তাতে মায়েদের একটু কষ্ট হয় বৈকি, কিন্তু আগত শিশুটির কথা চিন্তা করে অতটুকু কষ্ট নাহয় সহ্য করে নেয়া গেলো। মর্নিং সিকনেস নিয়ে বিস্তারিত আরও জানতে ঘুরে আসতে পারেন এখানে। আর এই ঘুরে আসার ফাঁকে বিবর্তনকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেননা যেনো, এই দারুন একটি "কিক-এস মর্নিং" আপনাকে উপহার দেয়ার জন্য!

৫. একবার ভাঙিলে মেরুদন্ড হয়না সোজা আর, কেন?

কোনো এথলেটকে দেখেছেন নিজের পিঠের যন্ত্রনায় হঠাৎ মাটিতে শুয়ে পড়তে? দেখবেন, উপস্থিত চিকিৎসকরা হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে স্ট্রেচারে করে তুলে আনছে তাকে। আর স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক উঠে দাড়িয়ে পড়েছে একই চিন্তায়, "যেনো মেরুদন্ডের আঘাত না হয়, প্লিজ"। কিংবা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মেরুদন্ড ভেঙ্গে গিয়ে চিরজীবনের মতো পঙ্গু হয়ে যেতে দেখেছেন বা শুনেছেন। অনেকেই সাড়া জীবনের জন্য প্যারালাইসিস হয়ে থাকেন শুধু মাত্র একটি আঘাতের ফলে। কেন এই সমস্যা? আমাদের হাড় ভাঙ্গলে তো আরামসে জোড়া লাগে তাহলে মেরুদন্ডের বেলায় কেন সেটা হয়না? হ্যাঁ, এটা বিবর্তনের ফসল।

মেরুদন্ডের সাথে আমাদের নার্ভ সিস্টেম সরাসরি জড়িত তাই দেহের এই অংশটির গতিবিধি একটু জটিল। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, প্রাণী জগতে এরকম অনেক প্রজাতি আছে যাদের হাড় ভাঙ্গলে খুব দ্রুতই জোড়া লাগে এমন কি মেরুদন্ড সংলগ্ন হাড় প্রতিস্থাপিত হওয়ার উদাহরণও আমাদের পৃথিবীতে আছে। এমন একটা প্রজাতি কিন্তু আমাদের আশেপাশেই ঘুরে বেড়ায় আর টিকটিক করে লেজ নাড়িয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। হ্যাঁ, সেই আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় গিরগিটি/টিকটিকি। এরা কিন্তু বিবর্তনের ফলে দারুন একটি উপায় আত্মস্থ করেছে। শিকারী প্রাণীকে দিকভ্রান্ত করার জন্য এরা নিজের লেজটি খসিয়ে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি তাদের মস্তিষ্কের সাথে বিচ্ছিন্ন অবস্থায়ও ৩০ মিনিটের বেশি নড়াচড়া করতে থাকে কোনো রক্তপাত ছাড়াই। আর এই তিড়িংবিড়িং করা অংশটি দেখে শিকারী প্রাণী ভাবে এটিই তার শিকার আর ততক্ষণে পগারপার গিরগিটি মহাশয়। আবার কিছুদিনের মাঝেই সেই লেজের অংশটি আবার গজিয়ে উঠে আগের মতো করে। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে কেন এরকম হয়না?

ency117regene002

প্রথমত মানুষের মস্তিষ্কের গঠন জটিল। এই জটিল গঠনে জড়িয়ে আছে অসংখ্য শিরা-উপশিরা। তৈরী হয়েছে নার্ভাস সিস্টেম। আর এই সিস্টেমে মস্তিষ্কের নিউরনের সাহায্যে তথ্য আদান প্রদান হয় সাড়া শরীরে। আর এই জটিল তারের নেটওয়ার্কটি মেরুদন্ডের সাহায্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। একবার ভাবুন, অতো ছোট খুলিতে ২.৫ বর্গফুটের মস্তিষ্কের গঠন কতোটা জটিল হওয়া সম্ভব!

human_brain

তাই কোনো নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে হুট করেই আবার নিজেরা আগের মতো করে তৈরী হয়না। কিন্তু সব নার্ভের ক্ষেত্রেই এরকম নয়, কিছু কিছু নার্ভ ঠিকই আগের মতো নিজেদের প্রস্তুত করে নেয় দুর্ঘটনার পরে। এদের জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজনও পরে না, বড়জোড় কয়েক বাটি চিকেন স্যুপ আর কয়েকটা গ্রুপ-হাগ আর টেডি বিয়ার! কিন্তু এইসব জায়গায় যেসব নার্ভ ওস্তাদের মতো ঘাপটি মেরে বসে আছে তাদের ক্ষেত্রে আবার ব্যাপারটা আলাদা।

spine7

মস্তিস্কের এইসব নার্ভের সাথে দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ জড়িত। তাই এদের নিয়ন্ত্রনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নকশা (না, লাফানোর দরকার নেই এই নকশা সেই বুদ্ধিমান কর্তার নকশা নয় রে বাবা) অনুসরণ করে আমাদের মস্তিস্ক। বলা যায়, প্রতি দেহে মাত্র একটিমাত্র সুনির্দিষ্ট "ব্লু-প্রিন্ট" (হ্যাঁ, এটা নীল-নকশা, কোনো ইয়ে নয়) যোগান দেয় এটি। যাতে কোনো নার্ভ হঠাৎ করে বেখাপ্পা ভাবে বেড়ে গিয়ে পুরো নেটওয়ার্কে ঝামেলা না পাকাতে পারে। তাই এই অত্যন্ত জটিল এবং নির্দিষ্ট কঠিন নকশার বাইরে এই গুরুত্বপূর্ণ নার্ভগুলো নিজেদের দ্বিতীয়বার প্রস্তুত করতে পারেনা। আর তাই মেরুদন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হলে মস্তিস্ক এই নার্ভগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সঠিকভাবে কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হয়। মানুষ প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

spine3

মস্তিষ্কের এসব আচরণ নিয়ে এখনও চলছে বিস্তর গবেষণা। একবার ভাবুন, আমাদের মস্তিষ্কে আছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরন। না না এখনই নিজেকে মহান ভাবার কিছু নেই, একখান অক্টোপাস এরও আছে ৩০০ মিলিয়ন। ওরাই বা কম যায় কিসে?

এরই মাঝে যারা বর্ণভিটা খেতে খেতে ব্রেন নিয়ে নিজেদের ব্রেন এর চাকা বনবন করে ঘোরাতে চান তারা চলে যান এখানে

তবে আজকের মতো "বিবর্তন" সংক্রান্ত বকবক এই পর্যন্তই থাক। এই পাঁচ-পাঁচটি বড় বাঁশ খাওয়ার পরে, সামলাতেও তো একটু সময় লাগে নাকি? সবাই এই যাত্রায় সামলে উঠতে থাকি তারপরে না হয় আর এক শুভদিনে আরও কিছু বাঁশ তথ্য নিয়ে আসবো। আর "জোকার নায়েক ফ্যানক্লাব" এর অতি উত্সাহী মুমিন বান্দাদের জন্য একখানা পুরনো ভিডিও আমার তরফ থেকে উপহার স্বরূপ আরেকবার।

বাকিরা আশা করি "মিসিং লিঙ্ক" আর "মিসিং গ্রে-মেটার" এর পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা রাখেন।

আডিওস।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

laptop সরিয়ে নিলাম।!!!!!

সুজন

অরফিয়াস এর ছবি

ভালো করেছেন। দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কৌস্তুভ এর ছবি

২ অবধি পড়ে মন্তব্য করছি, বাকিটা পড়ে আর কিছু বলার থাকলে যোগ করব।

বিবর্তনে দাঁতের পরিবর্তন বোঝাবার সময়, ক্রোনোলজিটা স্পষ্ট হচ্ছে না। তুমি বলছ, মাংস খাওয়া শুরু হয়েছে ২.৩ মিলিয়ন বছর আগে, মানে 'হোমো' গণ শুরু হওয়ার সময়। কিন্তু শিম্পাঞ্জিরা যেহেতু মাংসাশী, এটা ধরেই নেওয়া যায় মানুষের স্প্লিটের আগে বা শুরুতে, অস্ট্রালোপিথেকাস ইত্যাদিরাও অল্পবিস্তর মাংস খেত।

বড় চোয়ালের প্রয়োজন কমল, আর দাঁতের সারি ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইল, এই দুটো আংশিক কন্ট্রাডিক্টরি কিন্তু। বরং নিওটেনির লেখাটা যদি খেয়াল কর, দেখবে গ্রেট এপ-দের তুলনায় আমাদের চোয়াল এবং দাঁতের সারি কিন্তু পিছিয়েই এসেছে, মুখ ক্রমশ সমতল হয়েছে। আর শ্বদন্ত ইত্যাদি যে দাঁতগুলো সামনের দিকে খানিকটা কোণ করে বেরিয়ে থাকে, সেগুলোও ভার্টিকাল হয়ে গিয়েছে, খাটো হয়েছে।

তাই, "শর্করাভোজী প্রাণীর সাথে তাই আমাদের চোয়ালের সুস্পষ্ট পার্থক্য" এগুলো যা হয়েছে ক্রোনোলজিতে অনেক আগেই হয়েছে, সম্ভবত বাঁদর-এপ স্প্লিটের পরেই। গ্রেট এপদের মধ্যে শ্বদন্ত তো বেশ পুরোনো জিনিস, থ্রেট ডিসপ্লে ইত্যাদি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।

প্রোটিন পেতে ফন্দি-ফিকিরও কিন্তু শিম্পুদের সময় থেকেই আছে। তারা যে কাঠি দিয়ে পিঁপড়ে শিকার করে, সেটাই তাদের মধ্যে টুল ইউজ আবিষ্কারের প্রথম ঘটনা ছিল, যদ্দুর মনে পড়ে। গাছের ডাল ধারালো করে ছোট প্রাণী শিকারের ঘটনাও স্বাভাবিক তাদের মধ্যে।

অরফিয়াস এর ছবি

হ্যাঁ, শিম্পাঞ্জি এবং গরিলার মাঝে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে শিম্পাঞ্জি মাংস খায় আর গরিলা খায় না। আসলে নিজের ইকোলজির উপরে ভিত্তি করে নিজেদের ডায়েট কিন্তু পরিবর্তিত হয়েছে ধাপে ধাপে। তাই যখন মানুষের পূর্বপুরুষরা মাংস খাবার দিকে ঝুঁকে পড়লো, এই জিনিসটিও পুরো গোত্রে হয়তো একইসাথে হয়নি।

আসলে মাংস খাওয়ার সাথে সাথে দুটো জিনিস পাশাপাশি চলেছে। এক- মস্তিষ্কের পরিবর্তন এবং দুই-চোয়ালের ও দাঁতের পরিবর্তন। কিন্তু মাংশাসী হওয়ার কারণে বড় চোয়ালের প্রয়োজন ধীরে ধীরে কমে গেলেও একই সাথে যেহেতু মস্তিস্ক আয়তনে বৃদ্ধি পাচ্ছিলো তাকে খুলিতে জায়গা করে দেয়ার জন্য আবার চোয়ালের উপরেও কিছুটা চাপ বিদ্যমান ছিলো। এই পরস্পর বিপরীত প্রতিক্রিয়ার জন্যই কিন্তু মানুষের দাঁতের অবস্থান সুবিন্যস্ত নয়। আমাদের বড় চোয়ালের প্রয়োজন ফুরিয়েছে ঠিকই কিন্তু মস্তিষ্কের এই আয়তনকে ঠিকমতো আটকাতে গিয়ে কিছুটা চাপ দাঁতের বিন্যাসের উপরে পড়েছে। তাই চোয়াল পিছিয়ে এলেও দাঁতগুলোর অবস্থান উপরে-নিচে হয়ে গেছে।

হয়তো এই ব্যাপারটি একইসাথে লেখায় এসেছে দেখে একটু ঘোলাটে হয়ে গেছে। কিন্তু আলাদা আলাদাভাবে চিন্তা করলে কিন্তু আর সাংঘর্ষিক নয়।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কৌস্তুভ এর ছবি

হুম। কিন্তু যেহেতু চিম্প-মানুষ দুজনেই মাংসাশী, ধরে নেওয়া যায় তাদের কমন অ্যানসেস্টরও অল্পবিস্তর মাংস খেত। তাই বলছি, ওই ২.৩ মিলিয়ন ইয়ারের যে সময়টা দিয়েছ, তার কোনো রেফারেন্স আছে?

তোমার ব্যাখ্যা ঠিক আছে। কিন্তু ক্রোনোলজি নিয়ে খটকাগুলো থাকছে।

অরফিয়াস এর ছবি

হ্যাঁ, তাইতো দেখলাম এখানে এবং এখানে। মানুষের খাদ্যাভাসে এই ব্যাপক পরিবর্তন ২/৩ মিলিয়ন বছর আগে থেকেই চোখে পড়ছে। এরকমই তো বুঝলাম।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কৌস্তুভ এর ছবি

এরা যেটা বলছে সেটা হল carnivorous conversion, মানে ভেজ-প্রধান খাদ্য আর টুকটাক মাংস থেকে ননভেজ-প্রধানে সুইচ করা। সেটা একটা বড় স্টেপ অবশ্যই। কিন্তু

একটা সময় আমরা সম্পূর্ণ তৃনভোজী ছিলাম।

আজ থেকে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন বছর আগে আমাদেরই কোনো এক পূর্বপুরুষ কোনো এক প্রাণীর দিকে তাকিয়ে বললো , "ঐ তো মাংস। চলো ট্রাই করি!"

এই কথাগুলো পড়ে সেরকম বোঝাচ্ছে না। এগুলো পড়ে মনে হচ্ছে, ১০০% ভেজ থেকে প্রথমবার মাংস চেখে দেখা।

অরফিয়াস এর ছবি

ভাষাগত সমস্যা। ঠিক করে দিচ্ছি তাহলে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

কৌস্তুভ এর ছবি

পুরোটা পড়ে ফেললুম। লেখা মজাদার, সহজসরলই হয়েছে। কে যেন বলেছিলেন, খুব বেশি সরলীকরণ করে ফেললে যে-কেউই বিজ্ঞানকে পপুলারাইজ করতে পারে। এখানে মোটামুটি একটা ব্যালেন্স আছে।

আমাকে কোনো সাইটেশন না দেওয়ায় ভারি রাগ কল্লুম খাইছে

ওই যে, বলেছিল কেউ, ইন্টালিজেন্ট ডিজাইনার মোটেই বুদ্ধিমান না, নাহলে বিনোদনের জায়গা আর পয়ঃপ্রণালী কেউ একসাথে রাখে!

"মিসিং লিঙ্ক" আর "মিসিং গ্রে-মেটার" এর পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা রাখেন। চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

আরে বলোনা কৌস্তভ'দা, সত্যি বলছি, আমি তো মনে করেই রেখেছিলাম। লেখাটা শেষ করতে গিয়ে ভুলে গেছি। আসলে তোমার আজকের লেখাটা দেখেই বরং আমি উত্সাহ পেলাম এটা লিখতে। পরের লেখায় পাক্কা থাকবে তোমার নাম।

ওই যে, বলেছিল কেউ, ইন্টালিজেন্ট ডিজাইনার মোটেই বুদ্ধিমান না, নাহলে বিনোদনের জায়গা আর পয়ঃপ্রণালী কেউ একসাথে রাখে!

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

সবাই এতো কিছু জানে আর আমি মুক্কু কেন?? জাফর ইকবাল জবাব চাই !! ওঁয়া ওঁয়া

অরফিয়াস এর ছবি

আরে ধুর, কে বললো জানে, ওটা জানার একটিং। শয়তানী হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

হিমু এর ছবি

"মানুষের অন্ডথলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হলে দিনের বেলাতেও তারা দেখে কেন?" শিরোনামটা বুঝিনি।

অরফিয়াস এর ছবি

হিমুদা, চোখে সর্ষে ফুল দেখা বা দিনের বেলায় তারা দেখা বলে না, ওটাই আরকি। "Getting Kicked in the Junk Hurts Because It Makes Sperm Work Better"- এটাকে বাংলায় একটু ওরকম করে লিখতে গিয়ে আর ভালো কিছু বের করতে পারলামনা। ইয়ে, মানে...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

"মানুষের অন্ডথলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হলে দিনের বেলাতেও তারা দেখে কেন?" কিন্তু প্রশ্নর উত্তর মিলল না। হিমু মনে হয় সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।

অরফিয়াস এর ছবি

আসল উদ্দেশ্য ছিলো এটা বোঝানোর যে, অন্ডথলিটি অরক্ষিত অবস্থায় রাখা আছে। এখানে "তারা দেখা" মানে আঘাত পেলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়া বোঝাচ্ছে। আর এই অবস্থা খারাপ হওয়ার পেছনের কারণ হচ্ছে সুরক্ষার অভাব। আর কেন এই অভাব সেটাই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রশ্নটা সুরক্ষাজনিত, আঘাত পেলে অবস্থা খারাপ হয় কেন সেটা নয়।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

গবেষনামূলক লেখা। সেইভ করে রাখলাম। সময় নিয়ে পুরো লেখা পড়ব।

অরফিয়াস এর ছবি

মোটেই গবেষণামূলক নয়, আপনার দুঃশ্চিন্তা অমূলক!! বরং নিঃশ্চিন্তে পড়ুন। দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাবিহ ওমর এর ছবি

ক্র্যাকড ডট কম হাহাহা। তবে ভাল হয়েছে।

অরফিয়াস এর ছবি

হ্যাঁ, ওখান থেকেই আইডিয়াটা এলো। দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কাজি_মামুন এর ছবি

লেখাটা দীর্ঘ হলেও এক টানে পড়া গেছে সরস ভাষার গুনে! অনেক ইন্টারেস্টিং কিছু জানলাম! এর কিছু অবশ্য আগেও জেনেছিলাম, (যেমন, অন্ডকোষের বিষয়টা অভিজিৎদার বিবর্তন বিষয়ক লেখাতেও আছে)। কিন্তু এই লেখা থেকে আরও কিছু নতুন বিষয় জানলাম, বিশেষ করে, দাঁতের বিবর্তনিয় ইতিহাস দারুণ লাগল! লেখাটির অতিরিক্ত প্রাপ্তি লিংকগুলো! ধন্যবাদ লেখাটির জন্য!

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

স্বপ্নবিভা এর ছবি

ল্যাপটপ তলে লেপ দিয়া নিলাম। গরম থাকবো কিন্তু নষ্ট হয়ার চান্স কমাইলাম ।।।

অরফিয়াস এর ছবি

আসলে ল্যাপটপ ল্যাপে করে কাজ করা একটু রিস্কি। কখনো কখনো বার্ন এর মতো ইনজুরিও ঘটে থাকে। তাই ওটাকে কোনো ল্যাপ স্ট্যান্ড/প্যাড, কিংবা কুলিং প্যাড বা ওরকম কোনো জিনিসের উপরে বসিয়ে নেয়াই ভালো।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

অনেক সুন্দর আর ইজি করে লিখেছেন। পড়তে ভালো লাগলো অনেক। কখনো একঘেয়েমি পেয়ে বসে নি।

চলুক

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

বিবর্তন এর সাথে এর সম্পর্ক কি ঠিক বুঝলাম না ভাই।
Mohd. Mosharraf Hossain Khandaker

অরফিয়াস এর ছবি

বুঝলেন না তো, কি আর করা। ঠিকভাবে বোঝাতে পারিনি হয়তো।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

১. মানুষের অন্ডথলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হলে দিনের বেলাতেও তারা দেখে

এখানে এই 'তারা' শব্দটার অর্থ 'তাহারা' মনে করাটাই স্বাভাবিক। তাই বলছিলাম, ওটাকে 'তারা' করে দিন। বুঝতে সুবিধা হবে।
তথ্যবহুল লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। নতুন করে ভাবছি, বিবর্তন বিষয়ে।

অরফিয়াস এর ছবি

"তারা" নিয়ে এতো ঝামেলার জন্য কথাটা বদলে "সর্ষেফুল" করে দিলাম, আশা করি এটা নিয়ে আর ভুল বোঝাবোঝি হবেনা। হাসি আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অমি_বন্যা এর ছবি

অরফিয়াস দা , অণ্ড থলিতে বলের আঘাত পাবার এক তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার আছে কাজেই শর্ষে ফুল দেখার উদাহরণ জটিল হইছে। আর এ আঘাত পেয়েছি বেশ কয়েকবার। কাউরে কওয়া যায়না আবার দেখানো ও যায়না ।
আপনার লেখা পড়ে শুধু এটুকু বলতে চাই যে এত চিন্তা করেন কি করে? এত বিস্তর কথাও বা লেখেন কিভাবে? অনেক তথ্য বহুল একটি লেখা । সেভ করে রাখার মত । গুরু গুরু

ক্রেসিডা এর ছবি

বলের আঘাতে পাইছেন নাকি পায়ের আঘাতে? গড়াগড়ি দিয়া হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অরফিয়াস এর ছবি

হুমম, ঐ অভিজ্ঞতা আমার নিজেরও আছে, সেফটি প্যাড থাকার পরেও জান বের হয়ে গিয়েছিলো।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সজল এর ছবি

১ নাম্বারটা পড়তে গিয়ে ক্রিকেট খেলার কথা মনে পড়ে গেলো। লজ্জায় কেউ যেন বুঝতে না পারে সেই জন্য স্বাভাবিক ভাব নিয়ে কাজকর্ম চালাতে হত দেঁতো হাসি

লেখায় চলুক

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অরফিয়াস এর ছবি

হে হে হে, ওরকম স্মৃতি মোটামুটি সবারই একবার হয়েছে জীবনে !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

স্বপ্নহারা এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

আচ্ছা, অন্ডথলি তাহলে হাড়ের বা করোটি টাইপ কিছুর ভেতর থাকলে ভালো হতো না? চিন্তিত

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ।

না, অন্ডথলি হাড়ের ভেতরে থাকলে ভালো হতো না, তাহলে সঙ্গমের সময় যেকোনো ধরনের সংঘর্ষে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতো। আর তাতে আপনার এবং আপনার সংগমসঙ্গী দুজনেরই আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যেতো। আর এইখানেই বিবর্তনের মহত্ব। দেহের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলো হাজার বছরের ব্যবধানে আপনার বংশরক্ষার জন্য উপযুক্ত ভাবে গঠিত হয়েছে ধাপে ধাপে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

শিশিরকণা এর ছবি

অন্ডথলির বাইরে অবস্থানের সঙ্গে বিবর্তনের সূত্রটা পরিষ্কার হলো না। অবশ্য বিবর্তন ভাবলে আগের দশা থেকে বর্তমান দশায় কেম্নে বা কেন আসলো সেই ব্যাখ্যা আশা করি এই জন্য মনে হতে পারে। আবছা আবছা জানি নবোজাতকের অন্ডথলি প্রথমে ভিতরেই থাকে, এবং জন্মের পরে বাইরে বের হয়ে এসে অবস্থান নেয়, সেইটা কি বিবর্তন? ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন হইলে হাড্ডি দিয়ে মুড়ায় যথাযোগ্য প্রোটেকশন সহ নাইট্রোজেন কুলিং সিস্টেম এড করে দেয়া উচিত ছিল।

আরেকটা ইন্টারেস্টিং তথ্য জানলাম সম্প্রতি, যে মানবভ্রূণ প্রথম ১-২ দিন থেকে ৮-১০ সপ্তাহ পর্যায় পর্যন্ত যে ধাপগুলার মধ্য দিয়ে যায়, সেগুলা প্রায় এক কোষী প্রানী থেকে ডাইনোসর, বান্দর হয়ে বর্তমান মানুষ পর্যায়ে আসার বিবর্তনের সমতুল্য।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অরফিয়াস এর ছবি

অন্ডথলির বাইরের অবস্থান এটাই নিঃশ্চিত করে যে, হোমো স্যাপিয়ান্সের বংশরক্ষার সুবিধের জন্য হাজার বছরের ব্যবধানে ধাপে ধাপে এমন একটি গঠনের তৈরী হয়েছে যাতে করে শুক্রের সর্বোচ্চ সুরক্ষা সম্ভব হয় এবং তাতে করে আপনার বংশরক্ষা অব্যাহত থাকে। অনেক প্রানিতেই অন্ডথলি দেহের ভেতরেই অবস্থান করে কিন্তু তাদের শারীরিক গঠন সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের হয়। বিবর্তনের ফলে প্রজাতিভেদে শুক্রাশয়ের এই যে পার্থক্য এটাই আসলে বিবর্তনের উদাহরণ। পরিস্থিতি ও অনুঘটক ভেদে বিবর্তিত হয়েই কিন্তু এধরনের বিচিত্র গঠন সম্ভব।

ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন হইলে হাড্ডি দিয়ে মুড়ায় যথাযোগ্য প্রোটেকশন সহ নাইট্রোজেন কুলিং সিস্টেম এড করে দেয়া উচিত ছিল।

আর এর জন্যই "বিবর্তন" অসাধারণ একটি প্রক্রিয়া। যদি পুরুষের যৌনাঙ্গটি হাড়ের তৈরী হতো তাহলে সংগমকালে যেকোনো সময় ফ্র্যাকচার থেকে শুরু করে হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা পর্যন্ত থাকতো। শুধু তাই নয়, এতে স্ত্রী সঙ্গীটিরও মারাত্মক ভাবে আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। আর তাতে বংশরক্ষা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে বাধাগ্রস্থ হতো। বিবর্তন আমাদের এই মারাত্মক অসুবিধে থেকে মুক্ত করেছে। আর বংশরক্ষার প্রক্রিয়াটিকে করেছে সুরক্ষিত।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমাদ্রী এর ছবি

খুলির আকৃতি বড় হয়ে যাওয়ার সাথে মানুষের আগুন ব্যবহার করতে পারার একটা সম্পর্ক আছে বলে জানতাম। আগুনে পুড়িয়ে নেওয়ার পর কাঁচা মাংস তুলনামূলকভাবে নরম হয়ে এলে দাঁত তথা চোয়ালের উপর চাপও কম পড়ত। ফলশ্রুতিতে চোয়ালের আকৃতি ধীরে ধীরে ছোট হয়ে এল আর এটারই একটা বিপরীতমুখি প্রতিক্রিয়ায় খুলির আয়তন গেল বেড়ে। এরকমটা জানতাম। তথ্যবহুল লেখা। ভাল থাকবেন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অরফিয়াস এর ছবি

কৌস্তভ'দার প্রশ্নের জবাবে দেয়া উত্তরটাই এখানে আবার দিচ্ছি-

আসলে মাংস খাওয়ার সাথে সাথে দুটো জিনিস পাশাপাশি চলেছে। এক- মস্তিষ্কের পরিবর্তন এবং দুই-চোয়ালের ও দাঁতের পরিবর্তন। কিন্তু মাংশাসী হওয়ার কারণে বড় চোয়ালের প্রয়োজন ধীরে ধীরে কমে গেলেও একই সাথে যেহেতু মস্তিস্ক আয়তনে বৃদ্ধি পাচ্ছিলো তাকে খুলিতে জায়গা করে দেয়ার জন্য আবার চোয়ালের উপরেও কিছুটা চাপ বিদ্যমান ছিলো। এই পরস্পর বিপরীত প্রতিক্রিয়ার জন্যই কিন্তু মানুষের দাঁতের অবস্থান সুবিন্যস্ত নয়। আমাদের বড় চোয়ালের প্রয়োজন ফুরিয়েছে ঠিকই কিন্তু মস্তিষ্কের এই আয়তনকে ঠিকমতো আটকাতে গিয়ে কিছুটা চাপ দাঁতের বিন্যাসের উপরে পড়েছে। তাই চোয়াল পিছিয়ে এলেও দাঁতগুলোর অবস্থান উপরে-নিচে হয়ে গেছে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কিরন এর ছবি

বেশ বড় লেখা, কিনতু পরিশকার বুঝা গেল না, কোথায় বিবর্তন। প্রানী জগতে এত অসংখ্য প্রানী আছে, তাদের লাইন ধরে দাড়া করালে এক্টার সাথে আরেক্টার অনেক প্যাটারন এ মিল খুজে পাওয়া যাবে। আর একই মানুষ ভিন্ন পরিবেশ এ থাকার ফলে, ভিন্ন খাবার, বা ভিন্ন আবহাওয়াতে কিছুটা পরিবর্ত্ন আস্তে পারে। তিব্বত, বা বলিভিয়াতে উচ্চতার কারনে বায়ুচাপ কম হয়াতে অ অক্সিজেন এর পরিমান কম থাকায় তাদের ফুস্ফুসের আক্রিতি আমাদের চেয়ে ভিন্ন। জাপানে শিশুরা কেব্ল ঘরে বসে ভিডীও গেমস খেলে অনেক মোটা , অলস হয়ে পড়ছে, অন্য দিকে আফ্রিকাতে জংগলে ছোটাছুটি করে মানুষ ঢ্যাঙ্গা, লম্বা। এগুলো শরীরের স্বাভাবিক পরিবর্তন। কিন্তু এর কোনটাই প্রমান করে না মানুষ বানর থেকে হয়েছে, অথবা এক এমিবা একদিন মানুষ হয়ে যাবে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অরফিয়াস এর ছবি

কিন্তু এর কোনটাই প্রমান করে না মানুষ বানর থেকে হয়েছে, অথবা এক এমিবা একদিন মানুষ হয়ে যাবে।

এই একটি বাক্যেই প্রমান করে দিলেন "বিবর্তন" সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা না রেখেই এখানে কথা বলতে চলে এসেছেন। প্রথমত "মানুষ বানর থেকে এসেছে" এটা সবথেকে বড় ভুল একটা ধারণা। মানুষ "বানর গোত্রীয়" প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে। এটার সাথে সরাসরি বানর থেকে আসার বিশাল পার্থক্য আছে। আর এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পাবেন আমার প্রথম লেখাটিতে যেটার লিঙ্ক এই লেখার শুরুতে দেয়া আছে।

দেখুন, সব বিষয়ে জানা থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই, কিন্তু কিছু না জেনে সেই বিষয়ে তর্ক করতে আসাটা হচ্ছে চূড়ান্ত পর্যায়ের বোকামি। প্রশ্ন থাকলে করুন, উত্তরে অসঙ্গতি থাকলে বলুন, কিন্তু উপযাজক হয়ে কিছু না জেনেই উপসংহার টানতে গেলে সমস্যা।

আর আপনাদের মতো পাবলিকের জন্য, নিচের ভিডিওটা তো দেয়াই আছে। বিনোদন পান ঐটা দেখে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কিরন এর ছবি

এপেন্ডিসাইটীস যদি প্রমান করে মানুষ একসময় তৃণভোজী ছিল, সেটা হতেই পারে... কিন্ত এটা প্রমান করে না যে মানুষের এপেন্ডিসাইটীস যখন বড় ছিল, তখন তারা ছাগল ছিল।

হিমু এর ছবি

ছোটো অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ছাগলও আছে কিছু।

তারেক অণু এর ছবি
অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কিরন এর ছবি

হমম , হিমু ভাই ঠিক ধরেছেন, আপনারা যদি এত কাঠ খর পুড়িয়ে পররমান করতে চান যে আপনি বানর থুককু বানর জাতীয় গোতরর থেকে এসেছেন, তাহলে তো আয়নাতে বানর, ছাগল ইতয়াদি নানা জিনিস দেখতে পাবেন।

হিমু এর ছবি

আপনি যে মূর্খ, সেটা বারবার এসে জানান দেয়ার কি কোনো দরকার আছে? আমরা তো প্রথম দফাতেই বুঝে গেছি আপনি একটা আপাদমস্তক কাঠবলদ।

অরফিয়াস এর ছবি

দু পায়ে চলা ছাগল দেখেছেন কখনো? না দেখলে, আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ান।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

Bauani এর ছবি

দু পায়ে চলা ছাগল দেখেছেন কখনো? না দেখলে, আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ান।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ব্লুবেরী-নাইট এর ছবি

ওয়েল পেটের ভিতরে ঢুকায় না দিলেও মিনিমাম দুই শিকের একটা গ্রীল থাকলে খারাপ হইতো না। ম্যাঁও

অরফিয়াস এর ছবি

গ্রিল থাকলে ঐ গ্রিলের ধাক্কায় অনেক কিছু ঘটার সম্ভাবনা ছিলোরে ভাই !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রু  এর ছবি

ভালো লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বিবর্তন তত্ত্বে যাদের বিশেষ চুলকানি আছে তাদের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য এবং সহজপাচ্য লেখা দেঁতো হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অরফিয়াস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি যা বলেছেন !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অরফিয়াস! আপনার কাছে চমৎকার সব বিষয়ে লেখা পাই। আপনি পরিশ্রমী লেখক। লেখার আগে হোমওয়ার্ক করেন, পড়াশোনা করেন। এইজন্যে স্যালুট আপনাকে। মাঝে মাঝে ভাবী, সবাই যদি আমার মত ফাঁকিবাজ লেখক হত, তাহলে অনেক কিছুই আর সহজ করে জানা হত না।

বিবর্তনের অনেক কিছুই জানা নেই। অনেক কিছুই বুঝি না। অনেক প্রশ্ন। সেইসব প্রশ্নও অনেক সময় আলসেমী করে করা হয় না। লেখা পড়ে চলুক দিয়ে কেটে পড়ি। আরও লিখুন চমৎকার সব বিষয়ে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অরফিয়াস এর ছবি

হে হে এত প্রশংসা করলে লজ্জা পাই। লইজ্জা লাগে

প্রশ্ন করাটাই হচ্ছে বড় কথা। আর মনে প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর খোঁজাও জরুরি। তাই প্রশ্ন করুন মন খুলে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

গুল্লি উত্তম জাঝা! চলুক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বাকিরা আশা করি "মিসিং লিঙ্ক" আর "মিসিং গ্রে-মেটার" এর পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা রাখেন।[b] (গুড়) গড়াগড়ি দিয়া হাসি [/b]

অরফিয়াস এর ছবি

লইজ্জা লাগে দেঁতো হাসি

[জিজ্ঞাসা করেছিলে আমি এখন কোথায়- এখন ঢাকাতেই আছি আপাতত। দেখি ঘরের ভাত কতদিন জোটে কপালে। ;)]

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

আরেক কথা, কোন কোন আদিবাসী গোত্র অনেক আগে থেকেই জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য মিলনের আগে আগে অণ্ডকোষ গরম পানিতে ভিজিয়ে নিতে, এতে নাকি শুক্রাণুরা কিছুক্ষনের জন্য অকেজো হয়ে পড়ে।
কিন্তু কি করে তারা এই কষ্টকর পন্থা জেনেছিল তা আর জানতে পারি নি।

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অরফিয়াস এর ছবি

এটাও হয়তো বিবর্তনেরই ফসল!! উন্নত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অভাবে নিজেরাই মাথা খাটিয়ে বের করেছিলো। যেভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা নানা উপায় বের করতো!!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

হিমু এর ছবি

শুধু চায়ের জন্য পানি গরম দেয়ার দিন শ্যাষ।

চরম উদাস এর ছবি

অ্যাঁ
ডিম কি হাফ বয়েল করতে হবে নাকি ফুল বয়েল?

অরফিয়াস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তাসনীম এর ছবি

এইটা নাকি প্রাচীন মিশরিয় পদ্ধতি, কোথায় যেন পড়েছিলাম। অন্ডকোষের তাপমাত্রা একটু বাড়লেই কিছুক্ষণের জন্য শুক্রাণু কাবু। তবে অন্য সময়ে উনারা পার্টিকেল এক্সলারেটর দিয়ে দৌড় লাগান...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্বপ্নহীন এর ছবি

চলুক হাততালি

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নাশতারান এর ছবি

এই পোস্টের শিরোনাম হতে পারত "বিবর্তনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া"।

পোস্ট ভালো লেগেছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অরফিয়াস এর ছবি

হতে পারতো।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কড়িকাঠুরে এর ছবি

হাততালি -
পড়তেই ভাল লাগে-

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তাপস শর্মা এর ছবি

দারুন। চলুক

ইদানিং পুলাটা যা লিখছে হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

তোমার পাতাগ্রাফি কিন্তু অনেকদিন অনুপস্থিত !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কৌস্তুভ আর আপনার দুজনের চমৎকার এক সেট লেখা পাচ্ছি দেখে আমি খুবই এক্সাইটেড! লেখাও সুস্বাদু হয়েছে। তবে প্রথম দিকে কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা আরেকটু সংক্ষেপে সারলে ভালো লাগত।

থাম্বস আপ!

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই। পরেরবার থেকে খেয়াল রাখবো। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।