আজকের প্রথম আলোর প্রথম পাতার বাম পাশের প্যানেলে সবার উপরে প্যারিস হামলার ছোট্ট একটা খবর।
[url=http://www.prothom-alo.com/durporobash/article/1152726/নির্বাচনের-আগে-ফের-রক্তাক্ত-প্যারিস]অনলাইন লিংক[/url]
পর্ব = ৬
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
এই বিস্তির্ন তুষার ঢাকা প্রান্তরে জানালার কপাটগুলো তুলে লাগানোর মত কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু কিল্গাস বললো, “ভান্যিয়া (আইভান নামের সংক্ষিপ্ত রুপ), আমি একটা জায়গার খবর জানি যেখানে দারুন ফেল্টের (Felt : পশম বা লোমকে চেপে তৈরী এক ধরনের মোটা কাপর) রোল আছে যেগুলো ফ্রেমের সাথে জুড়ে ছাদের কাঠামোর অংশগুলো তৈরী হচ্ছে। ওগুলো আমি নিজের হাতে সরিয়ে রেখেছিলাম। চল, ওগুলো চুরি করে নিয়ে আসি।”
কিল্গাস জাতে লাটভিয় কিন্তু রাশান ভাষায় কথাবার্তা বলতে পারে একেবারে স্থানীয়দের মত। ওদের গ্রামের কাছে একটা প্রাচীন মতাদর্শীদের (Old Believers, এরা ১৬৬৬ ইং সনে এই মতাদর্শীরা আদর্শগত বিরোধের কারনে রাশান অর্থোডক্স চার্চ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন করে ফেলেছিল) একটা উপনিবেশ ছিল এবং একারনে শৈশব থেকেই তার রাশান ভাষা শেখা হয়ে গিয়েছিল। তার ক্যাম্পের জীবন মাত্র দুই বছরের, কিন্তু এরমধ্যেই সে সব কায়দা-কানুন বুঝে নিয়েছে। এখানে দাঁত দিয়ে কামড়ে আদায় করে নিতে না জানলে কিছুই পাওয়া যায় না। ওর আসল নাম জোহান এবং সূখোভও ওকে ভান্যিয়া বলেই ডাকে।
[justify]পালনকারীর সংখ্যা বা পালনকারীদের ভৌগলিক বিস্তার যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে খ্রীষ্টিয় নববর্ষ (গ্রেগরিয়) সম্ভবত পৃথিবীর সবচে’ বড় সেক্যুলার উৎসব। মোটামুটি সারা দুনিয়ায়, সব দেশে, জাতি-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে কয়েক শত কোটি মানুষ জানুয়ারির ১ তারিখ (ডিসেম্বর ৩১ মধ্যরাত থেকে) এই উৎসবটি পালন করে। স্থানভেদে এই উৎসব পালনের তরিকা ভিন্ন, তবে সর্বত্র খানাপিনা-নাচগান এই উৎসবের আবশ্যিক অংশ। এই তালিকায় দ্বিতীয়তে
এরা মাঝে মাঝেই জানতে চায়, আমি কোথা থেকে এলাম। আমি বলি- একটা ভালভ টেনে, আর সে ভালভটা ছিলো সুতোয় বাঁধা। তখন অবাক বিস্ময়ে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, ভালভ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই এদের, সুতো জিনিসটাও অচেনা। আমি নিজেও বুঝিয়ে বলতে পারিনা, আমার কিছু মনে নেই। এদের কৌতূহল অবশ্য ওই পর্যন্তই, খুব বেশি ঘাটায় না আমাকে। আমিও নিবিষ্ট মনে কাজ করে যাই।
পর্ব = ৫
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
১০৪ নম্বর দলটা মেরামত কারখানার একটা বড় ঘরে গেল যেটার জানালাগুলো গত শরৎকালেই ঘসেমেজে চকচকে করা হয়েছে আর সেটাতে ৩৮ নম্বর দলটা কংক্রিটের স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ করছে। কিছু স্ল্যাব কাঠের ছাঁচের ভেতরে রাখা আর অন্যগুলো তারের জাল দিয়ে পোক্ত করে বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা। ছাদটা অনেক উঁচু আর মেঝেটা শুধুই মাটির। জায়গাটা একেবারে হিমশীতল হয়ে থাকতো, যদি না কয়লা জ্বালিয়ে উষ্ণ করে না রাখা হতো, অবশ্য সেটা কর্মীদের জন্য নয়, স্ল্যাবগুলো যাতে তারাতারি জমাট বাধঁতে পারে সেজন্য। সেখানে একটা থার্মোমিটারও আছে। এমনকি রোববারগুলোতেও, কেও যদি কোন কারনে নাও আসে, একজন সিভিলিয়ানকে সেখানে রাখা হয় শুধু উনুনটা জ্বালিয়ে রাখার জন্য। ৩৮ নম্বর দলের লোকেরা স্বাভাবিকভাবেই বাইরের কাউকে উনুনের আশেপাশে বসতে দিতে আগ্রহী না। তাদের দলের লোকেরাই সেটার চারপাশে বসে পায়ে প্যাঁচানোর ন্যাকরাগুলো শুকোচ্ছে। কি আর করা, ওই কোনায় বসা যায়, ওই জায়গাটাও খারাপ না।
আমার হাতে যদি কখনো একটা টাইম মেশিন এসে পড়ে আর তাতে করে যদি অতীতে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়,আমি দ্বিধায় পড়ে যাব।আমি কেন, বেশির ভাগ মানুষের তাই হবার কথা,কারন কোনটা ছেড়ে কোনটা বাছব সেই জাতীয় সমস্যা এটা।তবে ইদানিং মনে হয় একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বরে ফিরতে পারাটাই সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হবে।স্বাধীনতার এগার বছর পর আমার জন্ম,একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর আমি দেখিনি,কিন্তু কল্পনা করতে পারি সেদিন বিকেল সাড়ে চারটায় রেস্কোর্স
৭৫ বছর বয়স্ক পাকিস্তানী গোফা খানের সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারটা উল্লেখযোগ্য কোন বিষয় ছিল না, কিন্তু ইয়াহিয়া খানের বিষয়ে তার দেয়া কিছু অগুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য ঘটনাটা বলতে হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে ৪ ঘন্টার একটা ট্রানজিটে পরবর্তী বিমানে আরোহনের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে তার সাথে সামান্য আলাপ হয়েছিল।
[justify]সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ত্রিশ কোটি বাঙালীর প্রত্যেকে জানেন ‘২১শে ফেব্রুয়ারি’ মানে কী। তারা এইটুকু অন্তত জানেন ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার মর্যাদার জন্য লড়াই হয়েছিল, সেখানে কিছু বাঙালী জীবন দিয়েছিলেন, শেষে বাংলা তার প্রাপ্য মর্যাদা অর্জন করে — যদিও প্রকৃত ইতিহাস শুধু এইটুকুতে সীমাবদ্ধ নয়। যারা আরেকটু খোঁজ রাখেন তারা জানেন ১৯৬১ সালের ১৯শে মে আসামের বরাক উপত্যকায়ও বাংলা ভাষার মর্