কি? উপরের নাম দেখে থমকে গেলেন? ভাবছেন পিঙ্ক ফ্লয়েড , স্করপিয়ন্স এর পর হুট করে একেবারে বাংলায়?!
অগাস্ট ১০, ২০১৩ এর ইকনমিস্ট পত্রিকার একটি রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয় আর তারেক রহমানের মধ্যে তুলনায় তারেক রহমান কে wilier বলা হয়েছে যার মানে তারেক রহমান তুলনামূলক ভাবে বেশী crafty (skillful in underhand or evil schemes যার অর্থ "শয়তানী কর্মকান্ডে দক্ষ") আর cunning (ধূর্ত)/ ইকনমিস্টের তুলনা ঠিক কি বেঠিক সেই আলোচনায় আমি যাব না তবে wily বিশেষণটির কারনে তারেক রহমান সম্পর্কে বেশ আগ্রহ জন্মালো। বেশ কিছু পুরোন ভিডিও দেখলাম এবং গত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বহুল আলোচিত টপিক "বিদ্যুৎ সমস্যা মোকাবেলা" সংক্রান্ত এই তারেক রহমানের একটি সাক্ষাতকার পেলাম (লেখার শেষে লিঙ্ক):
- পিউ, ওরে ও পিউ।
পরিমামার গলা পেয়েই মন ভালো হয়ে গেল। পরিমামা অর্থাৎ পরিতোষ-মামা সম্পর্কে লতায়-পাতায় দূর সম্পর্কের। কিন্ত মনের হিসাবে তিনি এ বাড়ির সবার-ই খুব কাছের জন। সেই কোন ছোটবেলে থেকে উনি মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ি এসে ঘুরে যান! পরি-মামা এসেছে মানে গল্প এসেছে। সবাই জানে পরিমামার গল্পের কোন বাস্তব-অবাস্তব নেই, সম্ভব-অসম্ভব নেই। যেমন একদিন এসে বলল
- চাঁদে ঘুরে এলাম। আমি যখন চাঁদে বসে বই পড়তে পড়তে পড়া থামিয়ে হাত নাড়ছিলাম এখান থেকে অনেকে আমায় দেখে হাত নেড়েছে।
আমরা জানি সেটা হয় না। কিন্তু পরিমামাকে সেই প্রশ্ন করতে নেই। বরং জিজ্ঞেস করতে হয়
- তারপর?
আর তখন গল্প এগোতে থাকে। একটু পরে পরে এক কাপ চা, সাথে টুকটাক মুখে ফেলার মত কিছু। ব্যস, গল্প চলতে থাকে।
মেলায় যাবেন? আরে, নানা, এক্সপো-টেক্সপো নয়। এ হল গিয়ে আপনার রাসমেলা। বাংলা অঘ্রান মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শুরু হয়ে টানা পনের দিন। তারপর ভাঙা মেলা তো আছেই। না, ভাঙা মেলা থাক। আজ বরং একটা গোটা মেলার গল্প শোনাই। গল্প অল্পই আছে, সাথেথাক কাঁচা হাতের ক-খান হাতেগরম ছবি।
অথচ সংজ্ঞা জেনে ভালবাসিনি,
বুঝিনি তো আমি ভালবাসার কী মানে!
সূত্র মেনে ভালবাসা যায় বুঝি?
কামসূত্র বাজারে বিকোয় জানি,
বদঅভ্যাসে প্রেমসূত্রও খুঁজি!
দিপু যেনো বিশ্বাসই করতে পারছিলো না! আজ এই পরিস্থিতিতে সে সন্ধ্যাকে দেখবে কখনো চিন্তাই করেনি। সন্ধ্যাও দিপুকে দেখে চমকে উঠলো। মুহূর্তটা ফ্রিজ হয়ে থাকলো কিছুক্ষন। দিপুই প্রথম প্রকৃতিস্থ হলো। সন্ধাকে এড়িয়ে ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসারকে জিজ্ঞেস করলো রোগীর আত্নীয় স্বজন কেউ আছে কি না।
সৃজনশীল প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের কাছে কোন ভীতি নয়। ভীতি অভিভাবকদের কাছে আর ফাঁকিবাজ শিক্ষকদের কাছে। শিক্ষার্থীরা এসব প্রশ্নের চমৎকার উত্তর দিতে জানে। আমার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি যেসব শিক্ষার্থী চিন্তাশীল-সৃজনশীল ও ভাষায় দক্ষ তারা খুব সহজে এর উত্তর দেয়ার কৌশল বুঝে ফেলতে পারে। অর্থাৎ যাদের মধ্যে কোন বিষয়কে সংক্ষেপিত বা বিশ্লেষিত করার দক্ষতা তৈরি হয়েছে বা যারা বিষয়ের সারমর্ম বা মর্মার্থ সহজে উপলব্ধি করতে প
যে পৃথিবী না-মানুষের
সেই পৃথিবীতে বাঁচি দিন শেষে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা শকুন ঘোরে হাওয়ায়
আধুনিক গেরস্তের ঘরে ঢুকে খেয়ে যায় হৃদয়-
কিছুই হয়নি ভেবে নির্লিপ্ততা গ্রাস করে
ধারহীন নেইলকাটারে নখ কাটি-
ইউটিউব খেতে থাকি চা-সিগ্রেটের সাথে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা-
একটা মানুষ একটু একটু করে মরে যায়।
"হ্যালো, তুলি?" ফোনের ওপাশ থেকে অন্বেষার গলা।
হেসে বলি, "হ্যাঁ রে টেঁপি, আমি। বল।"
অন্বেষা বেশ অনেকদিন টেঁপিতে আপত্তি করতো না, ভেবেছিলাম বুঝি ওর অভ্যাস হয়ে গেছে, কিন্তু আজকে ওপাশে সে রেগে ফায়ার, বলে, "তোকে বলেছিলাম টেঁপি বলে না ডাকতে। বন্ধুর একটা কথা রাখতে পারিস না?"
অনেকদিন একটা উপন্যাস টানা পড়ে শেষ করলাম- উইলিয়াম গোল্ডিং এর 'Lord of the Flies'। পড়তে পড়তে প্রথমত যেটা অনুভব করলাম সেটা হল সামাজিক বিজ্ঞানের (আরো বিশেষ করে বললে নৃবিজ্ঞানের) দীর্ঘ চার বছরের প্রশিক্ষণ আমার সাহিত্যপাঠের দৃষ্টিভঙ্গি ও ধরণকে অনেকটাই পালটে দিয়েছে, হয়ত বলা যায় সমৃদ্ধও করেছে। আগে যখন পড়তাম তখন কেবল শব্দের খেলা, লেখার শৈলী, চরিত্রের নিরিখে গদ্যের মাহাত্ম্য অবলোকন করতাম, তারও আগে স্রেফ নাম