বর্ণকথার সমাপ্তির পর সূচনা শুরু হয় এরূপেঃ
বর্ণমালার সবক'টা বর্ণ নিয়ে লেখার ইচ্ছে বহুদিনের। আজ খুব করে চেপে বসলো ইচ্ছেটা। শুরু করলাম, বর্ণানুক্রমানুসারে। একে একে বর্ণ এসেছে, মনে যে শব্দ এসেছে তা দিয়েই বাক্যের অবতারনা। কবিতার মতো করে, মূল ভাবনা একই থাকার প্রয়াস ছিলো। হয়তো হয়নি, মনেপ্রাণে যা চেয়েছিলাম। তবুও...
অহর্নিশি শব্দ বুনি-
আমার মৃতপ্রায়
ইচ্ছেদলে
ঈশ্বর প্রাণ দেন
উজাড় উড়...
ঘুমাইনি
তবু বেঁচে আছি ।
আদিম এবং প্রচণ্ড কৃত্রিম
..................................পাপ!
আমি প্রায়শ্চিত্ত করি না।
নির্লজ্জ রাতে
ঘুমাইনি
তবু বেঁচে আছি;
.......................পাপ!
যত্নে কাটা নখের ভিতর
প্যাকেটবন্দি পাপ।
আব্বার সাথে রাশেদের আজ আশ্চর্য শত্রুতা। আজ সারাদিন, দিনমান। ছোট্ট চায়ের টেবলের দু'পাশে ওরা দু'জন ঠিক দুই যুযুধানের মতন দাবার গুটি নিয়ে বসে আছে সকাল থেকে। কখনও গালে হাত, কখনও বাঁকানো ভ্রু, কখনও চুপচাপ।
১.
আত্মীয়তার সূত্রে এক মুরুব্বীর বাসায় কয়েকদিন কাটিয়েছিলাম। মুরুব্বী আবার খানদানী জমিদার বংশের, দাদার তাঁর সত্যি সত্যিই বিরাট জমিদারী ছিলো; তাই নিজে জমিদার না হলেও কথায় কথায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পূর্বপুরুষের সেই বাহারী জমিদারীর প্রসঙ্গ তুলে আনায় যে মুরুব্বী সিদ্ধহস্ত ছিলেন, সেটা বুঝতে একদিনেরও কম সময় লেগেছে। তবে মুরুব্বীর এরকম বাহাদুরী ফলানোর পেছনে কারণ যে নেই তাও না; শুধু জমিদার...
আমার ব্লগ জীবনের প্রথম দিকে যে কজন মানুষের লেখা পড়তাম, কমেন্ট করতাম এবং ফিরতি কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করতাম- তাদের অন্যতম এস এম মাহবুব মুর্শেদ। প্রথম দিকে প্রোফাইলে বিশাল পেশিবহুল এক মানুষের আঁকা ছবি ছিলো।
ভাবতাম - ব্যাপক গম্ভীর একজন মানুষ হবেন।
কিন্তু, কমেন্টে দেখতাম অন্যরকম। প্রাণ খোলা মানুষ।
এস এম মাহবুব মুর্শেদ লগ ইন করা মানে প্রথম দু'পাতার সব লেখা পড়ে কমেন্ট করা...
সে সময় তা...
এই সিরিজটির প্রথম পর্ব থেকে চতুর্থ পর্ব পর্যন্ত লিখতে আমার পরিশ্রম যে হারে বাড়ছে এর পাঠক সংখ্যা ঠিক তার বিপরীত হারেই কমেছে (!!)। মাঝখানে তাই লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম, কিন্তু গুরুত্ত্বপুর্ন এই তথ্যগুলো সবাইকে জানাতে ইচ্ছে করছে তাই আবার শুরু করলাম। এরপরে আর একটি লেখা দিয়েই হয়ত সিরিজটি শেষ করব।
আগের পর্বে গঙ্গা চুক্তির কিছু পর্যালোচনা করেছিলাম যা ছিল মূলত জটিল সব ধারা উপধার...
-পর্ব ১-
বন্দি হলেন কারিতাত
(দ্বিতীয় খন্ড)
------------
আদর্শ সমাজব্যবস্থার খোঁজে দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রফেসর কারিতাত; আর তার সেই ভ্রমনের বর্ণনা নিয়েই ঊনত্রিশ পর্বের এই গল্প। মূল নিবাস মিলিটারিয়াতে বন্দি হবার পর বিদ্রোহী গেরিলাদের সহায়তায় পালিয়ে গেলে তার ভ্রমন শুরু হয়। আগের খন্ডের ধারাবাহিকতায় এই খন্ডে আমরা মিলিটারিয়াতে কারিতাতের বন্দির ঘটনা আর তার ব...
সচলায়তনেই দৃশার লেখা পড়ি। অদ্ভুত এক মজার ভাষায় তিনি লিখেন। লেখা ভর্তি গতি আর ফুর্তি।
আর দেখি তিনি এক গানের আর্কাইভ। সব গানের বিশাল এক ভাণ্ডার নিয়া তিনি বসে আছেন।
সেই ভাণ্ডারে এর তার
কিন্তু তখনও জানতাম না তিনি যে নিজেই গায়িকা একজন।
তারপর নানান মুখে শুনতে থাকি যে দৃশা খুব ভালো গায়। কিন্তু সেই গান আর শোনা হয় না।
গত কয়দিন আগে হঠাৎই আমার মেইলবক্সে অহি নাজেল হয়- শারমিন নামক এক গায়ি...
ঠিক কতটুকু নিদ্রা চুরি হলে
কালো গহ্বর থেকে
পথে বেরিয়ে পড়ে মৃত্যু
খড়ম পায়ে খট্ খ্ট ...
পিচের রাস্তায় বসে যায় পা, সভ্যতা এবং
পাষাণও পিষ্ঠ তার পদতলে
যেমন সিন্ধু-হরপ্পা।
আপাতত কর্ম এবং কর্মীবৃন্দ তড়িঘড়ি ঘুমিয়ে নিক।
কাল চিত্রকল্প আঁকা যাবে?
২.
দেয়ালের দিকে তাকিয়ে অথবা
আয়নায় দাঁড়িয়ে যখন হাসো
তখন সবচেয়ে বিশুদ্ধ হাসিটাই হাসো।
কেননা তুমি বুঝতে পারো,
কী ভুলটাই না অন্য-কে বোঝাচ্ছ...
ছড়াগুলো লিখি নেহাত মজা করতে। কাউকে কষ্ট দেয়ার লক্ষ্যে নয় একেবারেই। আর তাই সেসব লঘুচিত্তে গ্রহণ করার অনুরোধ রইলো।
দ্বিতীয় ছড়াটি রচিত একটি রুশ কৌতুক থেকে আইডিয়া মেরে দিয়ে
এই সিরিজ "শ্লীলবায়ুগ্রস্তদের পাঠ নিষেধ" (কপিরাইট: হিমু)।
সেদিন আসিবে কবে
আছেন কিছু নারীবাদী
...