সব মানুষই লড়াই করে, করতে হয়। জীবনের কোনো না কোনো বাকে সবাইকেই যুদ্ধে নামতে হয়। কিন্তু লড়াই সবাই করলেও যোদ্ধা সবাই হতে পারে না। যুদ্ধ করার শপথ নেবার কঠিন মানসিক শক্তি সবার থাকে না। একজন ডাক্তার যেমন শপথ নেয়, যে কোন পরিস্থিতি তে সে একজন মানুষকে চিকিতসা সেবা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একে সম্ভবত ''হিপোক্রিটাস ওথ" বলা হয়। তেমনি দেশের প্রয়জনে যে কোন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ করার শপথ নিতে হয় একজন সৈনিক কে। যুদ্ধ করার
[justify]
বইমেলায় এবার যেতে পেরেছি মাত্র একদিন। সেই অবসরেই যা পেরেছি, কিনেছি। তাড়াহুড়োয় আর প্রকাশনীর নাম মনে না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও কিছু বই বাদ পড়ে গেছে কিনতে। হঠাৎ করেই সদ্য পড়া বইগুলোর রিভিউ করে ফেললাম। বই নিয়ে আলোচনা করতে ভালো লাগে। হয়তো বইমেলা থেকে কেনা অন্যান্য বইগুলো নিয়েও আলোচনা করবো সামনে।
নেমেসিস – মোঃ নাজিম উদ্দিন
...এক...
এ জন্মের জন্য ওপরওয়ালার প্রতি আমার নিদারুণ অনুযোগ আছে। দুর্বল স্বাস্থ্য ও ততোধিক দুর্বল চিত্ত সহকারে এই ধরাধামে আমাকে পাঠানোর জন্য। কেন তার কারখানায় কি এর চেয়ে ভালো কিছু ছিল না? নিশ্চয়ই ছিল। আমার বদ্ধমূল ধারনা, ব্রান্ড নিউ তো দূরের কথা আমাকে সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসও দেয়া হয়নি। নির্ঘাত কারখানার কোনায় অন্ধকারে মরচে পড়া বহু ব্যবহারে (কয়েকবার এই পৃথিবী পরিভ্রমণ করে ফেরত যাওয়া) জরাজীর্ণ পুরানো জিনিস আমার দেহ ঘড়িতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।
আমার লেখা এক পর্ব "মাসুদ রানা"
মন চাইলে পড়তে পারেন...
১
[justify]হ য ব র ল এর সেই যে গেছো দাদার কথা মনে আছে? ”তুমি যখন যাবে উলুবেড়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে, তখন তিনি থাকবেন মতিহারি । যদি মতিহারি যাও, তাহলে শুনবে তিনি আছেন রামকিষ্টপুর । আবার সেখানে গেলে দেখবে তিনি গেলেন কাশিমবাজার । কিছুতেই দেখা হবার যো নেই ।“
পুরো নরওয়ে ভ্রমনে আমাদের সাথে সূর্যি মামারও হয়েছিল সেই অবস্থা। আমরা যখন অসলোতে তখন সূর্যি মামা স্টাভাঙ্গার আর বারগেনের আকাশ মাতিয়ে বেড়ায়, আর আমরা যখন স্টাভাঙ্গারে নামলাম তখন ঠিক গেছো দাদার মতই সূর্যি মামা অসলো বেড়াতে চলে গেল। অথচ যখন অসলো ছিলাম আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখেছি সেদিন সূর্যি মামা স্টভাঙ্গারেয় ছিল।
চারিদিকে একেবারে বরফ টরফ জমে একাকার। টানা দুইদিনের তুষারপাতে একেবারে অচলাবস্থার কাছাকাছি পৌছে গেছে শহরটা। এর মধ্যে দশ মিনিট বাইরে দাঁড়িয়ে থাকাও অসম্ভবের কাছাকাছি কাজ। মোবাইল স্ক্রিনটা দেখে নেয় চট করে, তাপমাত্রা মাইনাস এগার দেখাচ্ছে। এখানে আবার তাপমাত্রার সাথে আরেকটা জিনিস লেখা থাকে, যেটাকে বলে ‘ফিলস লাইক’, দেশে থাকতে এই ব্যাপারে তার কোন ধারণাই ছিল না। হুহু করে ঠান্ডা বাতাসও বইছে, তাপমাত্রা মাইনাস
আমি ফুটপাত থেকে নেমে কয়েক পা পিছিয়ে এলাম । তারপর রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ডাকলাম – “ তিথিইইইইইইইইইইইইইইইই” ।
কোন সাড়াশব্দ নেই !
চারতলা বাড়িটার দিকে মুখ উঁচু করে আমি আবারো ডাকলাম “ তিথিইইইইইইইইইইইই” ।
কেউ সাড়া দিল না ।
হাত দুটো মেগাফোনের মত মুখের কাছে ধরে ডাক দিলাম – “ তিথিইইইই” ।
কিন্তু এই দুপুর রাত্রিতে আমার ডাক কেউ শুনলনা । রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমি আর আমার ছায়া ।
একবার এক বাঙ্গালী ভদ্রলোক এর সাথে পরিচয় হয়। উনি ফ্যামিলি নিয়ে ক্যামেরুন থাকেন। ওখানে ব্যবসা করেন, মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসেন। অনেক গল্প হওয়ার পর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে ব্যাপারটা নোটিশ করেছিলাম তা হল ক্যামেরুনে প্রচুর এইডস রোগী আছে, আর দিন দিন এই রোগের হার বেড়েই চলছে। বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম এই রোগে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত। কেন জানি মাথার ভিতর কথাটা ঢুকে গিয়েছিল। বাসায় এসে ছোট বোনের সাথে শেয়ার করার সময় আ