"কিছু টুকরো স্মৃতি-যা কখনো ভুলা যায় না।" (৫ম- পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৩/০২/২০১০ - ২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চতুর্থ পর্বঃ
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/30190

ক্লাস শেষে সবাই মিলে ক্যাম্পাসের খোলা মাঠে বসে আছি, এলোমেলো কথা বার্তা। আড্ডা ঠিক জমছে না, কোথায় যেন কিসের একটা অভাব বোধ হচ্ছে, সবাইকে একবিন্দুতে নিয়ে আসার জন্য বলুনতো কী দরকার? হ্যাঁ দরকার গলা ছেড়ে গাওয়ার মত একটা গান। সুস্বাদু খাবার তৈরির জন্য লবণ যেমন দরকারী ও অনস্বীকার্য উপাদান, তেমনি বন্ধুদের আড্ডায় গান হচ্ছে অনস্বীকার্য উপাদান। গান না হলে যেন আড্ডাটা জমতে চায় না, সবাই যেন একবিন্দুতে, এক বৃন্তে নিজেদেরকে নিয়ে আসতে পারে না। আড্ডাটা জমানোর জন্য গান টনিকের মত কাজ করে। আর এই গানটা যদি হয় সবার প্রিয় ও গলা ছেড়ে গাওয়ার মত, তাহলেতো কথাই নেই। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আড্ডা গুলোতে গলা ছেড়ে গান গেয়ে নিজেদেরকে চাঙ্গা করেছিলাম বহুবার। এলোমেলো কথায় হারিয়ে যাওয়া বন্ধু-বান্ধবীদের একবিন্দুতে এনে দিয়েছে এই গান। যখনি জিয়া গলা ছেড়ে গেয়ে উঠতো-
" শ্রাবণের মেঘ গুলো জড়ো হলো আকাশে,
অঝরে নামবে বুঝি শ্রাবণী ঝরায়ে।
আজ কেন মন উদাসী হয়ে,
দূর অজানায় চায় হারাতে।" -----

এমন একটা হৃদয় ছোঁয়া গান সবাই মিলে গলা ছেড়ে গেয়ে উঠলে কী আর এলোমেলো থাকার উপায় আছে? আমার মনে হয় না উপায় আছে এবং বিশ্বাস করি আড্ডা প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরাও আমার সাথে একমত হবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ছেড়ে এসে, কর্মময় ব্যস্ত জীবনে যখনি একবিন্দু অবসর পাই, ঠিক তখনি ক্লান্ত চোখের পাতায় বার বার ফিরে আসে ফেলা আসা সেইসব মধুর দিন গুলো। নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে হৃদয়ের গভীর থেকে, বুকের ঠিক কোথায় যেন একটা শুণ্যতা অনুভব হয়। মনে হয় কী যেন ফেলে এসেছি সবুজ ঘাসের বুকে, ক্লাস রুমের বেঞ্চে, ক্যান্টিনের টেবিলে, চায়ের কাপে।

স্মৃতির কথা ধারাবাহিক ভাবে লিখে যাওয়া অনেক কঠিন এবং দুরূহ কাজ। কোনটা রেখে কোনটা লিখি, কোনটা সবার কাছে ভালো লাগবে, কোনটা লেখা সমীচীন হবে, এই ভাবনায় বার বার নীরব থেকেছি। এমন কিছু ঘটনা আছে যা মনে হলে এখনো একা একা হাসি, কিন্তু ভাষা জ্ঞানের অভাবে ও শালীনতার সীমা লংঘন হতে পারে ভেবে তুলে ধরতে পারছি না। তাই শালীনতার সীমা রেখার মাঝে থেকে আজ কিছু স্মৃতি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

একবার হুমায়ুনের মাইক্রো নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম "আশুলিয়া"। আষাঢ়-শ্রাবণ মাস, একটু পর পর বিনা নোটিশে বৃষ্টি পৃথিবীকে সিক্ত করে যাচ্ছিলো। আমরা প্রায় ১০-১২ জন ছিলাম। ঝিরঝির বৃষ্টির মাঝে আমরা আশুলিয়া পৌছে ছিলাম দুপুর ২টার সময়। গিয়ে সবার মন খারাপ, গাড়িতে বসে ছিলাম, বৃষ্টির জন্য বের হতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বৃষ্টি থেমে গিয়েছিলো, আমরা সবাই গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিলাম।

তখন আশুলিয়ার চতুর্দিকে থৈ থৈ পানি। আমরা সবাই পানির কাছাকাছি বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম, হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন আমাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিল। বন্ধুরা সবাই জানতো আমি সাঁতার কাটতে পারদর্শী। তাই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েই সবাই গাড়িতে ঢুকে নিরাপদে থাকার জন্য আশ্রয় নিল।

আমি কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে উপরে উঠে এলাম, সবাই গাড়ির ভেতর, কেউ ভয়ে গাড়ির ডোর খুলছিলো না। আমি ভেজা কাপড়ে অনেক ক্ষন বাইরে দাঁড়িয়ে রইলাম, আর বন্ধু-বান্ধবীরা আমার অবস্থা দেখে গাড়ির ভেতরে বসে বসে দাত কেলিয়ে হাসছিল। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো, হাতে একটা ইট নিলাম, বললাম -"ডোর খোল, নাইলে কাঁচ ভেঙ্গে ফেলবো। গাড়ির মায়ায় হুমায়ুন ড্রাইভিং সাইডের ডোর খুলে বের হয়ে এল।

ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছিলো, হাত জোর করে আমার কাছে এলো, ক্ষমা চেয়ে বলল-"দোস্ত আমাদের দোষ নাই, সাগর এই কাজটা করছে, আর তুইতো জানিস সাগর সাঁতার জানে না, ওরে মাপ করে দে।" আমার মেজাজ ছিলো উত্তপ্ত, স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে পারছিলাম না। বললাম-"ঠিক আছে, কিন্তু এতক্ষণ কেন আমাকে বৃষ্টিতে দাঁড় করিয়ে রাখলি?" হুমায়ুন কিছু বলছিলো না, ফ্যাকাশে মুখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। অনেক ক্ষণ নীরব থেকে, নিজের ক্রোধটাকে সামাল দিয়ে ভেজা শরীরে গাড়ির পেছনের সীটে চুপ করে বসে পড়লাম। আমার ভয়ে গাড়ির সবাই তখন তটস্ত ছিল, ফিরতি পথে রাস্তায় আর কেউ কোন প্রকার কথা বলে নি। ভেজা কাপড় শরীরে শুকিয়ে সারাদিন আড্ডা মেরে রাতে বাসায় গিয়েছিলাম। সেই দিন বন্ধুদের ওপর অনেক রাগ হয়েছিলো, আজ মনে হয় সেই দিন গুলোই অনেক ভালো ছিলো, আবার যদি ফিরে পেতাম!!!

আমাদের মাঝে ইমতিয়াজ, যাকে আমরা ইমু নামে ডাকি, ও এখন নরওয়েতে "টেলিনর গ্রুপের" হেড কোয়ার্টারে কাজ করে। ও ভালো বেইস গীটার বাজাতো। ওদের "গডস কমান্ড" নামে একটা ব্যান্ড গ্রুপ ছিল। ওদের ব্যান্ড সেই সময় প্রায়ই ঢাকার বিভিন্ন গায়ে হুলুদের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতো। আমি বন্ধু হিসেবে ওদের সঙ্গে অনেক গায়ে হুলুদের অনুষ্ঠানে যেতাম। ওদের সাথে যাবার মূল কারণ ছিলো সুন্দরী মেয়েদের উল্টা-পাল্টা নাচ দেখা আর ভালো খাবারের লালসা।

একদিনের কথা খুব মনে পরে। যাত্রাবাড়িতে একটা গায়ে হুলুদের প্রোগ্রামে ইমুদের সাথে আমি আর ড্যানি গিয়েছিলাম। ইমু বললো-"চল, রাতে আমার বাসায় থাকিস।" আমি আর ড্যানি রাজি হয়ে গেলাম। শীতের রাত, হালকা পাতলা গরমের কাপড় সাথে ছিল। রাত ৯টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হলো ১১টায়। পেট ভরে গেয়ে সবারতো ঢুলু ঢুলু আঁখি। আসে পাশে থেকে নেশার মাতাল গন্ধ আমাদের নাকে সুরসুরি দিয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু ঐ পর্যন্তই, কপালে জোটে নাই।

ওরা ১১টার দিকে গান গাওয়া শুরু করলো, টানা দুই ঘন্টা গান গাওয়ার পর, ব্যান্ডের ভোকাল সুমন বললো-"আমরা এখন আমাদের শেষ গানটা গাইবো।" বিয়ে বাড়ির সবাই কোরাস বলে উঠল-"না, আরো গাইতে হবে।" অগত্যা কী করার, আবার গাইতে হলো। ওরা সেদিন ভোর চারটা পর্যন্ত গান গেয়েছিলো। মজার ব্যাপার হলো, ওদের যত গুলো গান তোলা ছিলো প্রায় সব যখন গাওয়া শেষ, তখন সুমন আবার বলল-" অনেক রাত হয়েছে, এটা আমাদের শেষ গান, আমাদের আর কোন গান তোলা নেই।" উৎসুক অতিথিরা নেশায় মাতাল হয়ে বলে উঠলো-"চলবে না, আজানের আগ পর্যন্ত গান গাইতে হবে, টাকা দিয়া আনি নাই, মাগনা আনছি নাকি?" সুমন চুপ হয়ে গেলো, আবার শুরু করলো, সেই দিন ওরা কিছু গান দ্বিতীয় বার পরিবেশন করেছিলো। শেষের দিকে গান না পেয়ে বেদের মেয়ে জোছনা গেয়েও রক্ষা পায় নি, সব শেষে বাধ্য হয়ে মাতালদের শান্ত করতে "আমাদের জাতীয় সংগীতটাও গেয়ে শুনিয়েছিল।" সেই সব দিন গুলো আজ খুব মনে পরে।

(চলবে)

========
কামরুজ্জামান স্বাধীন


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শেষের দিকে গান না পেয়ে বেদের মেয়ে জোছনা গেয়েও রক্ষা পায় নি, সব শেষে বাধ্য হয়ে মাতালদের শান্ত করতে "আমাদের জাতীয় সংগীতটাও গেয়ে শুনিয়েছিল।"

কিছু বলার নেই। কেবলই ঘৃণা...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তিথীডোর এর ছবি

উদ্ধৃতি
"আমাদের জাতীয় সংগীতটাও গেয়ে শুনিয়েছিলো"

"একমেবাদ্বিতীয়ম" লেখককে কিছু বলা অর্থহীন...
শুধু বলছি, "ছিঃ"

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার বলার প্যাটার্নটা ধরতে পারলে ছিঃ বলতেন না। আমিও আপনার মানসিকতা দেখে ছিঃ বলতে বাধ্য হলাম।

মানুষকে ঘৃণা করা খুব সহজ একটা ব্যাপার, মানুষকে ভালোবাসার জন্য প্রয়োজন উদারতা আর সহনশীলতা।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

জাতীয় সঙ্গীত নিয়া রং তামাশা করার পরে নিজেকে মানুষ বলে দাবী করেন, কমেন্টদাতা মানুষকে ঘৃণা করেন নাই, আপনাকে করেছে আর আপনার 'সুকর্মকে'। মানুষ হইলে সেইটা বুঝতে পারতেন

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কাছে রং তামাশা মনে হলেও, আমি রং তামাশা করে লিখি নাই, আমি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়েই লিখেছি। যাদের মাঝে দেশ প্রেম আছে তাঁরা জাতীয় সংগীত শুনার পর আর কিছু বলতে পারে না। এটা বুঝার জন্য খুব বেশী কষ্ট করতে হয় না।

ধন্যবাদ সাইফ ভাই। আপনি অনেক দেশ প্রেমিক মানুষ। আপনার অনেক লেখাই সেটা উঠে এসেছে। তাহলে কেন নিজের সুখ, নিরাপত্তা, নিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্বার্থপরের মত নিজ জন্মভূমি ছেড়ে পরবাসে পড়ে আছেন????? কেন আপনার ডাক্তারি জ্ঞানটা এদেশের গরীব মানুষের জন্য ব্যবহার করেন না? কেন সঠিক চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান না?

বলা সহজ কিন্তু করা কঠিন। জাতীয় সংগীতের প্রতি আপনার চেয়ে আমার কোন ভাবে কম শ্রদ্ধা নাই। আমি জাতীয় সংগীত ও দেশের প্রতি সব সময়ই শ্রদ্ধাশীল।
ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

কামরুজ্জামান স্বাধীন ভাই - অনেক জায়গায় আপনার হয়ে কথা বলেছি, কিন্তু সাইব্বায়ের ব্যক্তিগত ব্যাপারে হাত দেওয়াটা মেনে নিতে পারলাম না। রয়েসয়ে।। মনে রাখবেন দিনের শেষে ব্লগিং কিন্তু ব্লগিংই - এতো পার্সোনালি নেয়ার কিছু নেই। তবে অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে হাত দিলে কাউকেই কেউ ছেড়ে কথা বলবে ভাবার কোনো কারণ নেই।

তিথীডোর এর ছবি

দুঃখিত! ইয়ে, মানে...
নেহায়েতই ছোটখাট মানুষ, একটাই নিক নিয়ে ঘোরাঘুরি করি...
অনেকগুলো নিক নিয়ে ভন্ডামি করার অভ্যাস থাকলে হয়তো মাল্টি ডাইমেনশনাল লেখার "প্যাটার্ন" বুঝতে পারতাম!

গায়ে "হুলুদের" (শব্দটা হলুদ হবে) অনুষ্ঠানে নেশাগ্রস্হ একদল মানুষকে জাতীয় সংগীত শুনিয়ে (তাও আবার দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধাপ্রদর্শন রত) শান্ত করার একটি অসাধারণ 'টুকরো স্মৃতি' শেয়ার করায় কৃতার্থ হলাম হে দলছুট!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাদের মত জ্ঞানী লোকেরা কেন যে এই কথাটা উল্টা ভাবে নিলেন বুঝলাম না। আমি বুঝাতে চেয়েছি ওনাদের শান্ত করার জন্য জাতীয় সংগীত গেয়ে শুনিয়েছিলো, যাতে আর গান গাইতে না বলে। কারণ ওদের বিশ্বাসছিলো জাতীয় সংগীত পরিবেশন করলে ওরা আর গান গাইতে বলবে না। এবং সেদিন সেটাই হয়েছিলো, সবাই চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো এবং জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিল।

নিচে দেখলাম সবাই আপনার এই মহান মন্তব্যের লেজ ধরে অনেক মহান ব্যক্তিরা অনেক জ্ঞানগর্ভ কথা বলেছেন। বেশী বোঝা ভালো তবে অতিরিক্ত বুঝে মন্তব্য করার আগে একটু ভেবে নেওয়া আরো ভালো।

আপনি কেন ঘৃণা জানালেন, সেটা বুঝিয়ে বললে ভালো লাগত। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা কী কোথাও নিষেধ আছে ?

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ডোর > দোর

অদৃশ্য মানব এর ছবি

এটা ইংরেজি ডোর (Door)
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমরা এখানে ইঙরেজি শব্দকে নিজেদের মতু কুমলভাবে উচ্চারণ করি। ডোর বলা হলে ব্যতা লাগে। তাই দোর হচ্ছে সতিক বানান। দেঁতো হাসি

শাফক্বাত এর ছবি

লেখকের প্রতি শুভাশীষের অনুরাগ অমর হউক দেঁতো হাসি
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

খাইছে

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সেই সব দিন গুলো আজ খুব মনে পরে।

কী হিসাবে মনে পড়ে?



অজ্ঞাতবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার জীবনে অতীত স্মৃতি যে কারণে মনে পড়ে সেই কারণে আমারও মনে পড়ে। আপনি জ্ঞানী গুণী মানুষ, আপনার স্মৃতি হয়তো অনেক বেশী মধুর, তাই অন্যের স্মৃতি আপনার কাছে একটু বেমানান লাগে বৈকী!!!!!

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন

নাশতারান এর ছবি

"আমাদের জাতীয় সংগীতটাও গেয়ে শুনিয়েছিল।"
কোন মনোভাব থেকে কোট করেছেন বুঝতে পারছি না। বুঝিয়ে বলুন।

বানানের অবহেলাজনিত ভুলের কথা না হয় বাদই দিলাম।

পেট ভরে গেয়ে সবারতো ঢুলু ঢুলু আঁখি।

"পেট ভরে খেয়ে " বলতে চেয়েছেন বোধহয়।

কীবোর্ডে k আর g এর অবস্থান বেশ দূরে। এ ভুল হলো কী করে?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই বুনোহাঁস, কী মনোভাব থেকে বলেছি সেটার ব্যাখ্যা আগের একটা মন্তব্যে দিয়েছি। শুধু এইটুকু বলবো, আপনারা যে ঋনাত্বক ভাবে গ্রহণ করলেন, আমি সেই দৃষ্টিকোণ থেকে লিখি নাই। লেখাই বলেছি জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে তাদেরকে শান্ত করা হয়েছিলো। কারণ ওদের বিশ্বাসছিলো জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার পর আর কেউ গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করবে না।এবং সেটাই হয়েছিলো।

ধন্যবাদ আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

প্রথমে, বুনোহাঁস একজন মেয়ে, তার প্রোফাইলে ক্লিক করলেই জানতে পারতেন, তার আসল নাম। রাতভর বেলাল্লাপনা করবেন, তারপর জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন, খুব গর্বের কথা, এখন আবার কথা ঘুরায়েন না, তাহলে লেখা কোট করব
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখিত সাইফ ভাই, আপনি কী কোট করতে চান? করেন। বেলাল্লাপনা কোথায় দেখলেন, সেটাইতো বুঝলাম না। ওখানে আমরা মানে আমার বন্ধুদের ব্যান্ড গিয়েছিলো পারফর্ম করতে, আমরা আমাদের দিকটা লিখেছি, আয়োজকদের ব্যাপারটাতো এখানে আসে নাই। আয়োজকদের শান্ত করার জন্যই আমার বন্ধুরা দেশ প্রেমের আশ্রয় নিয়ে মুক্তি পেয়েছিলো।

কথা ঘুরানোর কিছু নাই, আমি আমার ব্যাখ্যাটা দিলাম, আপনার ভালো না লাগলে আমারতো কিছু করার নাই। আবার আপনার কথা আমার ভালো না লাগলে আপনারও কিছু করার নাই। হয়তো মন্তব্যের পর মন্তব্য লিখবো, এই ছাড়া আর কি হবে?

ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

নীলপিপড়া [অতিথি] এর ছবি

এত লোক থাকতে সবাই আপনাক কেন পানিতে ফেলাইলো এইটা তো একটা চিন্তার বিসয়!!
আমাগো গ্রুপে একটা দোস্ত ছিল কথায় কথায় খালি রাগ হইত.(অরে আমরা নিজেরা নিজেরা পাগলা মফিজ ডাকতাম যদিও তার নাম মফিজ ছিলনা)
আপনি আবার আপনার গ্রুপের ওই দিয়েত্তে ছিলেন কিন কে জানে (রাগ হইয়েন না কিন্ত please ..)

নীল পিপড়া

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এত লোক থাকতে সবাই আপনাক কেন পানিতে ফেলাইলো এইটা তো একটা চিন্তার বিষয়!!

হো হো হো হো হো হো এই প্রশ্ন আমিও রাখলাম জাতির বিবেকের কাছে চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

সাইফ ভাই কাউকে পানির মত বিপদজনক জায়গায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার আগে জানতে হবে সে সাঁতার জানে কি না। আগেই বলেছি ওখানে আমিই একমাত্র সাঁতার জানতাম। আর কিছু বলার আছে?

নিজেকেতো খুব বুদ্ধিমান এবং চালাক ভাবেন, আপনার লেখাতেও যে ভুল থাকে সেটা কী একটু ভেবে দেখেছেন? আমি যে ভুলের মাষ্টার, সেই আমিও আপনার ভুল গুলো সহজ সাবলীল ভাবে ধরতে পারি, এটা কী ভাবেন???

তবে পড়ার জন্য এবং আপনার সবসময় দেয়া উপদেশের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন

অতিথি লেখক এর ছবি

ওখানে আমিই একমাত্র সাঁতার কাটতে জানতাম। কারণটা আমি লেখাতেই উল্লেখ করেছিলাম মনে হয় অতিরিক্ত জ্ঞানের কারণে খেয়াল করেন নি।

আর একটা কথা যারা যেখানে সেখানে অন্যকে মফিজ বলতে চায়, তাঁরা যে বড় মফিজ সেটা মনে হয় এর আগে আপনাকে কেউ বলেনি???

যাক ভাই আমি নিজে মফিজ, আপনি কী খুশী????
মফিজরা সহজ, সরল, উদার হয়, আর আপনার মত চালাক চতুর মানুষেরা কুটিল, ধুরন্ধর, কপট হয়। মানুষকে অপদস্ত করতে কুন্ঠাবোধ করে না। মফিজরা মানুষকে অপদস্ত করার কথা ভাবতেও পারে না। মফিজ আর আপনাদের মত মানুষের পার্থক্য এখানেই। সমাজে আপনাদের মত মানুষের সংখ্যা বেশী আর মফিজের সংখ্যা কম বলে মফিজরা অপদস্ত হয়। চোরের মার বড় গলা থাকে, এই আর কী!!!!!

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

১। আড্ডায় গান হইতেই পারে, এটা নিয়ে য়্যাত্তবড় লেচকারের দর্কার্কী বুঝতার্লাম্না ।

২। কী য়্যামন অশালীন কামের ইঙ্গিত দিলেন গুরু ধর্তারিনাই। আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়সিলাম য়্যাক্কালে, পোংটামী তো আর কম করিনাই, কিন্তু এরাম কোন 'অশালীন' জিনিস মনে কর্তার্লাম্না যে কওয়া যাইতনা। যাউকগা।

৩। 'লালসা' ব্যাপারটা খাবারের সাথে কতটা খাটে সেটা মেলানো গেল না, লালসা একেবারেই একটা মনোদৈহিক জৈবিক ব্যাপার, খাবারের সাথে যায় কি না বুঝলাম না আসলে।

৪। উল্টাপাল্টা নাচ মানে ? আপনি কিছুক্ষণ আগে শালীনতার দোহাই দিয়ে কীরাম জানি কর্লেন, এখন আবার নাচের কথাটায় যে বিশেষণটা দিলেন সেটাকে তো আমার কাছে রীতিমত অশ্লীল লাগল। যদি শালীনতার কথা বলেনই তাহলে সবার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোটাও শালীনতার চর্চার মধ্যেই পড়ে বলে আমার মনে হয় আর কি।
আর জাতীয় সংগীত নিয়ে যা বলেছেন সেটাকে কী আপনার মোটেও অশ্লীল, নোংরা, জঘন্য একটা ইত্রামী মনে হয় নি একটিবারের জন্যেও ? নাকি পোস্ট দেয়ার আগে একটিবার পড়া বা চিন্তা করারও প্রয়োজন মনে করেননা ? কেন এইরকম লজ্জাজনক নোংরা আর অশ্লীল কথা পাব্লিক প্লেসে বলেন ?

৫। 'পেট ভরে গেয়ে' নিয়ে লেখব ভেবেছিলাম, বুনোহাঁস সেটা উল্লেখ করে ফেলেছেন, তবু আমিও আবার বল্লাম উনার সাথে সহমত প্রকাশ করতে।

৬। নিচে আছে 'চলবে'। এইরকম অশ্লীলতা চললে তো ‍‍‌‌, কী আর বলব !
____________________________________________________
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

চলবে'র পরে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিতে মনে হয় তিনি ভুইলা গেছেন দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শাফক্বাত এর ছবি

আরে চলবেনা মানে? চলতে-ই হবে!! আমি তো এই লেখকের একজন অনুরাগী ভক্ত হয়ে গেলাম, যেভাবে আমাদের সিরিয়াস-আনসিরিয়াস ব্লগার-দেরকে উনি তুড়ি বাজায়ে নাচাইতেসেন, কয়জন পারে এটা? সাবাস গুরু!! এই মাট্টির পিত্থিম তোমার লাইগা কান্দে দেঁতো হাসি
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এই মাট্টির পিত্থিম তোমার লাইগা কান্দে

হায় হায়, এমন প্রশংসা শুইনা বেচারা না আবার বাক্যহারা হইয়া জিহবা গড়ায়া আলাজিহবা বাইর হইয়া যায় চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

আপু খুব মজা পাইতাছেন, তাই না? অন্যের কথায় নাচার আগে নিজের কথাটা একটু ভাইবা নিয়েন।
অন্যকে সম্মান দিতে না জানলে নিজে সম্মান পাওয়া যায় না, সেটা মনে হয় আপনিও জানেন। ভালো থাকেন। ধন্যবাদ।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

শাফক্বাত এর ছবি

আপনার যে বন্ধুর কথা বললেন, গীটার বাজায়, ইমতিয়াজ (সত্যিই বন্ধু কিনা জানিনা...যাহোক)--- সে কি সাপ্লাই চেইনে কাজ করতো গ্রামীণফোনে? আইবিএ থেকে এম্বিএ করেছিলো সে? যদি সে সত্যি-ই আপনার ফ্রেন্ড হয়ে থাকে তবে আমার কথা তাকে বলে দেখেন, সে কী কমেন্ট করে। অন্যকে সম্মান দিতে না পারলে যে চাকরী আমি করতাম গ্রামীণফোনে,সেটার জন্য আমাকে মাসে মাসে বেতন দেওয়া হতো না।
আমি "নিজের নামে" লিখি ভাই; গা-ঢাকা দিয়ে এক বা একাধিক ছদ্মনামে লিখিনা কারণ ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই ছেলেমানুষি এবং হাস্যকর লাগে। এখানে মানুষ আপনাকে "দলছুট" বলে ডাকছে এবং আপনি তার প্রতিবাদ করছেন না। তারমানে তো সেই চায়ের কাপের সাথে যে উপমা-টা দলছুট-লেখক তার লেখায় দিয়েছিলেন সেটা আপনি-ই করেছেন? নিজের লেখার উপমাকে যখন অন্য কেউ উদ্ধৃত করে তখন মাইন্ড করার কী আছে বলেন তো?
আমি মজা অবশ্যই পাচ্ছি, অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে কী জানেন? আমার বিশ্বাস মজা আপনি নিজেও পাচ্ছেন। নিজের প্রকৃত স্বরূপ বিনয়ের মুখোশে ঢাকার মত মানসিকতা আমার নেই ভাই। সেটা আমি পারিনা এবং তার চেষ্টাও করিনা।
আমি এখনও চাইবো আপনি লিখে যান, এবং আপনার লেখা পড়ে যতটা না, তার চাইতে লেখার পেছনে কমেন্ট পড়ে সবাই হো-হো করে হেসে যাবে। গুরুগম্ভীর বোরিং সব টপিকের মাঝে আপনার উপস্থিতি বাস্তবিক একটা এন্টার্টেইন্মেন্ট।
বুঝতে পেরেছেন?
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

আমি "নিজের নামে" লিখি ভাই; গা-ঢাকা দিয়ে .... ছদ্মনামে লিখিনা কারণ ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই ছেলেমানুষি এবং হাস্যকর লাগে।

আরে আরে - আমরা কি দোষ করলাম? ইয়ে, মানে... এভাবে জেনারালাইজ করবেন না - নাম ছাড়া অন্য নিক ব্লগের লেখকদের থাকাটা অবশ্যই দোষনীয় কিছু না হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

সুমন ভাই আমিতো আর আপনার মত জ্ঞানী মানুষ না, আমার লেখা তাই আপনার লেখার মত হবে না, এটাই স্বাভাবিক।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিপ্লবী ভাই, ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আপনি মন্তব্যে ৬টা পয়েন্ট করে লিখেছেন, ভাই আমি ছয়টা পয়েন্ট করে লিখতে পারবো না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

অশালীন বলতে আমি যেটা বুঝিয়েছি সেটা আপনিও ধরতে পেরেছেন, তারপরও মন্তব্যে নিয়ে এসেছেন আমাকে হেয় করার মানসিকতায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

বন্ধুদের আড্ডায় অনেক কথায় হয় এবং অনেক স্ল্যাং ভাষা ব্যবহার হয়, যা কোন ভাবে শালীনতার মধ্যে পড়ে না। আমি শুধু সেটাই মিন করেছি। আপনি কী ভেবেছেন সেটা আপনিই ভালো জানেন।

লোভ-লালসা অনেকটা সমার্থক শব্দ। এখানে খাবারের লোভটাকে লালসা বলা হয়ছে, আপনি কেনো দৈহিক পর্যায়ে নিয়ে গেলেন সেটা আমার মাথায় ঢুকলো না।

উল্টা পাল্টা নাচ বলতে যেটা বুঝিয়েছি, সেখানেও আপনি গোলমাল পাকায় ফেলছেন বিপ্লবী ভাই। আমি উল্টা-পাল্টা বলতে, নৃত্যের কোন প্রকার গ্রামার ছাড়াকে বুঝিয়েছি। ওখানে হিন্দি সিনেমার গানের সাথে হিন্দি সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের মত করে নাচার চেষ্টা করে, যেটা বিরক্তিকর ও দৃষ্টকুটু লাগে।

"পেট ভরে গেয়ে"- এটা যে টাইপো সেটাও যদি আপনাদের মত জ্ঞানীলোকদের মন্তব্যে আসে, তাহলে দুঃখ লাগে। সংশোধন করার অনুমতি থাকলে, সেটা ঠিক করে দিতে পারতাম।

আপনি অশ্লীলতা কোথায় খোঁজে পেলেন, সেটা কী একটু বলবেন। আপনার মনটাকে আগে ঠিক করেন।

মন্তব্যের জন্য মন্তব্য না দিয়ে গঠনমূলক মন্তব্য করেন, যেটা আমার জন্য কাজে লাগবে।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
============
কামরুজ্জামান স্বাধীন

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

দেখেন আপনি যদি গোস্সা করে থাকেন তাহলে ভুল করবেন, আপনাকে এখানে কেউ হেয় করতে আসেনি, এত সময় মানুষের হাতে নাই।
১। অশালীন বলতে আপনি যা বুঝিয়েছেন সেটা যদি আমি বুঝে থাকি মনে করেন, তাহলে আমি বলব এটা এখানে উল্লেখ করারও কিছু নেই। আড্ডায় কাছের বন্ধুরা 'খ' এবং 'চ' আদ্যক্ষরযুক্ত শব্দ খুব ব্যবহার করে থাকে। সেটা কোন ব্যাপার না, কিন্তু আপনি এই লেখায় যেটা করেছেন সেটা হল এরকম - "আমি একটা কাম করছি কামটা খুপখ্রাপ, এইটা আমি কাউরে কমুনা"। লেখায় এইরকম জিনিস থাকলে ভাল লাগে না।
আপনি কমেন্ট ধরতে না পেরে গাল ফুলাইলে তো হইবনারে ভাই।
২। লোভ আর লালসা সমার্থক নয়। আপনি খাবারের জন্য যেটা বুঝিয়েছেন সেখানে 'লোভ' বলা যেত, লালসা নয়। লালসা শব্দটা অন্যরকম, বলেছিলাম একটা মনোদৈহিক ব্যাপার বোঝায়। কথার মেরিট তো বোঝার চেষ্টা করতে হবে ভাই।
৩। নাচের ব্যাপারটায় আসি। আপনি উদ্বাহু নৃত্য বলতে পারতেন, উদ্দাম নৃত্য বলতে পারতেন, উল্টাপালটা নয়। আরো নির্দিষ্ট করার জন্য হিন্দি সিনেমার কথাটাও উল্লেখ করতে পারতেন। 'উল্টাপাল্টা' লেখার কারণে মনে হয়েছে একটা অশ্লীল ইঙ্গিত রয়েছে নাচে। শব্দের মেরিট তো বুঝতে হবে রে ভাই।
৪। টাইপো-ই যদি হয় তাহলে সেটা অন্যেরা পড়ার পর কেন, পোস্ট করার আগে কেন ঠিক করা হবে না? আর টাইপো কোন লজিক এ যাচ্ছে না, ফোনেটিক কীবোর্ড হলে কী হতে পারতো সেটা বুনোহাঁস বলেছেন এর আগে। আর যদি বিজয় লেআউট হয় তবু তো হয় না,কারণ j আর O অবস্থান বেশ দূরে। যাকগে, ভুল করলে কেউ সেটা নিয়ে বললে তার মেরিটটা তো বুঝতে হবে রে ভাই।
৫। জাতীয় সংগীত শুনলে আর কেউ কিছু শুনতে চাইবে না, হলুদের উন্মাতাল কনসার্টে মাতালদের মাঝে আপনারা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন - এই জাতীয় বালছাল কথাবার্তা থাকার পরেও শ্লীল বলতে বলছেন? আমি এই জাতীয় ঘটনা এবং এই জাতীয় ঘটনা নিয়ে লেখা - দুইটাকেই গলা ফাটিয়ে বলব - অশ্লীল।
কথার ব্যবহার তোথায় কেন হচ্ছে সেই মেরিটটা তো বুঝতে হবে রে ভাই।

মুশকিল হল - আপনাকে প্রথমে সবাই গঠনমূলক মন্তব্যই করেছে, আপনি সেগুলোকে আবার আক্রমণাত্মক ভেবেছেন এবং নিজেও আক্রমণাত্মকভাবে জবাব দেয়ার নীতিতে গিয়েছেন। এজন্য কেউ এখন সামান্যতম মজাচ্ছলে ভুল দেখাতে গেলেও আপনার কুঁচকির ঘা মনে হয়, এটা ঠিক না। মন্তব্যের মেরিটটা তো ......... ব্লা-ব্লা-ব্লা গড়াগড়ি দিয়া হাসি
ভাল থাকুন, সুখে থাকুন, মুড়ি খান।
____________________________________________________
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিপ্লবী ভাই, কে আগে শুরু করলো সেটাতো বললেন না। আপনি আমাকে দোষে গেলেন।
আমি যে কয়দিন ধরে যে কয়টা লেখাই লিখেছি, সেখানে যেই ভুল ধরিয়ে দিয়েছে, তাঁকেই সম্মান জানিয়েছি। গঠনমূলক আলোচনাকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আপনি একতরফা আমাকে দোষে গেলেন, কারণ কি বলবেন?

আমি সব সময় বিনয়ী থাকার চেষ্টা করেছি।

হলুদের উন্মাতাল কনসার্টে মাতালদের মাঝে কেন জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছিলো সেটা লেখাতেই বলেছি। এই নিয়ে আপনি বালছাল ভাষা ব্যবহারটা কতটুকু শালীন, সেটা কী একটু ভেবে দেখবেন?

ধন্যবাদ জানাই আরেকবার।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

লোভ-লালসা অনেকটা সমার্থক শব্দ।

বুঝতেই পারছেন,কাছাকাছি অর্থের শব্দটা কীভাবে পরিবর্তন ঘটিয়ে দিলো আপনার বলতে চাওয়াকে।

গঠনমূলক মন্তব্য করেন, যেটা আমার জন্য কাজে লাগবে।

আর কতগুলো 'গঠনমূলক' মন্তব্যে আপনার পরিবর্তন ঘটবে বলে আপনি বিশ্বাস করেন? বলবেন কী?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অদৃশ্য মানব এর ছবি

আপনারা সবাই মিলে স্বাধীন ভাইকে এভাবে অক্রমন করেন কেন? উনি আমার ফেভারিট লেখক। শুধুমাত্র উনার লেখা পড়তেই সচলে আসি। প্লিজ, আপনারা দয়া করে এরকম করবেন না।

স্বাধীন ভাই, এই দুষ্ট লোকদের কথায় মন খারাপ করবেন না। আমার মত আরো হাজারও ভক্ত পাঠক আছে আপনার।
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আপনারা সবাই মিলে স্বাধীন ভাইকে এভাবে অক্রমন করেন কেন?

অক্রমন আবার কে কর্লো?



অজ্ঞাতবাস

অদৃশ্য মানব এর ছবি

কর্লো বানানটা কি 'করলো' হবে না?

বানান ভুল তো আপনারাও করেন। শুধু স্বাধীন ভাই ভুল করলেই দোষ?
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কামরুজ্জামান স্বাধীন সাহেবের পক্ষে আপ্নার ওকালতি ভাল্লাগছে ....



অজ্ঞাতবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমরা উনারে ওয়ারশিপ করি, এইটাই যদি বুঝতাম না ফারেন, তাইলে কেমতে, নাইলে বদ্দা আড়মোড়া ভাইঙ্গা কমেন্টাইছে, এইটা আমাগো দলছূট ভাইয়ের জন্যে বিয়াফক সম্মানের ব্যাপার অ্যাঁ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

বাইডি আমার, অদৃশ্য তাকেন আর যাই করেন, হাতি গিলনের মতন কাম কৈরেন্না, কাঁসাবাইরে আক্রমণ কর্ল আবার কিডা? বাইয়ে আমগো হাতি খাবাইতে আইব, তাও আবার গিলায়া, আমরা একটু আহা উহু কর্তার্মুনা - এইডা একটা কতা কইলেন?
_____________________________________________________
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ফাল পারতাছেন, দেইখেন আবার জানি পা না ভাঙ্গে।

অনেক বেশী কথা আপনি বলতাছেন। আপনার পুরাতন পোষ্ট গুলো বের করে একটু পইড়া দেইখেন, কত ভুলে ভরা স্বর্গ।

গাড়ি নিয়া ক্যাচালে পড়ছিলেন, ঐ একটা লেখাতেই ছিলো শত শত ভুলে ভরা, তারপরও এত কথা বলেন কী করে, ভাবতে অবাক লাগে, আর মনে পরে সেই কথা-"চোরের মার বড় গলা।"

ধন্যবাদ।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

স্বাধীন ভাই কি সচলে স্বাধীনভাবে মস্তানি করতে আইছেন্নি? কীরাম জানি গন্ধ লাগে নাকে !

ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

স্বাধীন এর ছবি

আপনারা সবাই মিলে স্বাধীন ভাইকে এভাবে অক্রমন করেন কেন?

স্বাধীন ভাই, এই দুষ্ট লোকদের কথায় মন খারাপ করবেন না।

খুব খিয়াল কইরা কিন্তু। স্বাধীন নামের নিক কিন্তু আমি ব্যবহার করি। উনাকে কিছু বলতে চাইলে উনার পুরা নাম "কামরুজ্জামান স্বাধীন" ব্যবহার করুন দয়া করে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভাই, আপনে লিখেন। লিখতেই থাকেন। আমি আপনার লেখা না পড়লেও অন্ততঃ মন্তব্যগুলো পড়ার লোভে আপনার পোস্টে ঢুকি। এই যেমন এখন, একটু পরপরই ডুকুরে ডুকরে হাসি উঠতেছে আমার পেটের পেটস্থল থেকে। ভাই, আপনে আমার ফেভারিট। ঈমানে কইতাছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অচেনা আমি এর ছবি

ভাই, এই লাইনে আমিও আছি :D। তবে ঈমানে কইতাছি, লেখার ব্যাপারে (বানান ভুল হইতারে) ইনার কাছ থেইকা আমি চরম উৎসাহ পাই।

শাফক্বাত এর ছবি

এই একজন মানুষের পোস্ট-ই যথেষ্ট, যেটার ভিত্‌রে কী আছে না-পড়েই খালি মন্তব্য দেখেই পেট ফেটে আলুর দম হয়ে যায়! আমিও একই ঈমানে আছি, উনি আমারো ফেভারিট চোখ টিপি
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

হাহাহা! কঠিন একটা কথা বললেন ধু গো দা!
আমি নিজেও ওনার লেখা না পড়েই মন্তব্যগুলো পড়ার লোভে পোস্টে ঢুকি।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আরে সেই সুকাল তিকে 'ফিরে আসু কাঁসা' 'ফিরে আসু কাঁসা' করসিলাম। যাক আপনে আসলেন। আহ্‌ সান্তি।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনার কুমলতায় তো আমিই গইল্লা যাইতাছি বস! আজকের হিট কাঁসা!!!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

"আপনারে মিয়া গুলিস্তানের মোড়ে নিয়া লুঙ্গি খুইলা দেওনের কাম!"

জনাব স্বাধীন(বা দলছুট) লেখক হিসেবে ভালো নাও হতে পারেন, কিন্তু এধরণের মন্তব্য তার কেন, কারোই প্রাপ্য নয়।

রায়হান আবীর এর ছবি

পোস্টটা স্টিকি করা হোক।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

সহমত হাসি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

সহমত দেঁতো হাসি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

জনাব কামরুজ্জামান স্বাধীন ওরফে দলছুট,

আপনি দীর্ঘদিন ধরেই বাতিলের খাতায়। অতীতে যে কয়বার নাম ভাঁড়িয়ে এসেছিলেন তার প্রতিবারই ভাষারীতির জাদুকরী স্বাতন্ত্র্যে আপনি পাঠককে আপনার জাত চিনিয়ে ছেড়েছেন। পাঠকের সাথে আপনার যোগাযোগের ত্রুটি হচ্ছে, না বলে বরং সচলের লেখক-পাঠকদের সাথে আপনার যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ বলা যেতে পারে। আপনি হয়তো আপনার লেখায় এমন কোন গূঢ় প্রপঞ্চ তুলে ধরছেন যা আমাদের রাডার ধরতে পারছে না। তাই আমার মনে হয় সচলে আপনি বৃথাই সময় নষ্ট করছেন।

পৃথিবীটা অনেক বড়। সেখানে সচল কতটুকু একটা জায়গা?

ভালো থাকবেন।



অজ্ঞাতবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

সুমন ভাই, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। কিন্তু একটা কথা, এই কথাটা আপনি আমাকে মেইল করেও বলতে পারতেন, এই ভাবে বলাটা কতটুকু শোভন হলো ভেবে দেখেছেন কী?

আমি যদি আপনাকে বলি -আমার লেখা ভালো না লাগলে পড়বেন না, আমি এখানে আসবো, নাকি আসবো না, সেটা বলার আপনি কে?

লেখা নির্বাচনে যারা আছেন,তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন,আপনি বলার কে? আমার লেখা একেবারেই পঁচা এবং আপনার কাছে অখাদ্য সমতুল্য মনে হলে ঢু মারবেন না। প্লিজ মন্তব্য করার আগে ভেবে করবেন, আমি আপনাদের পরামর্শকে শ্রদ্ধাই করি, ভবিষ্যতেও করবো। কিন্তু শালীনতা ভঙ্গ করলে আমিও প্রতিউত্তর দিতে বাধ্য হবো। ধন্যবাদ।

============
কামরুজ্জামান স্বাধীন।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমি আপনার এই পোস্টের প্রতিক্রিয়াব্যক্তকারী বাকি সচলদের মতই একজন। আপনার সাথে যতটুকু চেনাজানা সেটা আপনার কী-বোর্ড মোবারক থেকে। সুতরাং আপনাকে ব্যক্তিগত মেইল করার ইচ্ছা/কারণ কোনটাই আমার নাই।

শালীনতা ব্যাপারটা দেখা যাচ্ছে পোস্টে আর মন্তব্যে আপনিই প্রথম ভেঙেছেন। আর সেটা শুধু এই পোস্টেই না। সব মিলিয়ে আপনার বর্তমান ধরণের উপস্থিতিকে কেউ শুভদৃষ্টিতে দেখছে বলে বোধ হয় না।

ধন্যবাদ



অজ্ঞাতবাস

দুর্দান্ত এর ছবি

(Y)। সহমত।
(হিমু একটা সহমত্বোতামের কথাতুলছিলোকৈজানি)

সবুজ বাঘ এর ছবি

সুমন, পাগল হইয়া গেছ তুমরা, পাগল হইয়া গেছ.....কারে কি কইতাছো তুমরা। রত্ন চিল্লা না? উ আমাগো মাতার তাজ। ওরে মাতায় কইরা রাহো, ওরে অন্য কুনোহানেই যাইবার দিও না, যাইবার চাইলেউ আত পাউ বাইন্দা রাইক্যা দ্যাউ, বিনি সূতা দিয়া।

পুনশ্চ: আমি দলছুটের দুইডা পুস্ট পইড়াই কাইত। সচলে এ পুন্ত কারো ভক্ত হই নাই, আইজ হইলাম........গুরু কামরুজ্জামান স্বাধীন, .তুই এইরম পরাধীনভাবেই চালিয়া যা....যা মনে আহে তাই লেকপি.......তর লেকা সত্যিই আমার খুব ভাল্লাগে, পচুর ভাবনার উদ্রেক করে.....ভাবনার উদ্রেক করে বইলাই লুকজন তর পিছে লাগছে........বুজস না..আসলে হিংসা.....তুইই ক.তর মতো কেউ এত লুক টানবার পারে? পারে না। পারে না দেইকাই তরে হিংসা দেয়। তুই হিংসা না খাইলেই হয়। তয় তুই যে হিংসা খাস না, গাইয়েও দেস না, হেইডা তর জিবল্যা দেকলেই বুজা যায়। কিন্তু গুরুজি........তর নগে এতকাল পরে আমার চিন পরিচয় হইল ক্যারে? এতদিন তুই কনে আছিলি? আমিই বা কনে আছিলাম.......তর পতি আমার একটাই অনুরুদ লেকা থামাবি না, যে যাই কোক।

কারম চৈত মাসের দীর্ঘ রুজা শ্যাষে তুই এট্টা শরবতে এপি।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ। কতা তিক।

রাফি এর ছবি

অতিথি লেখককে এইভাবে আক্রমন করাটা সচলে ছিল না। অন্তত আমি যখন থেকে আছি। এই অভ্যাসটা বিপদজনক মনে হচ্ছে আমার কাছে।

অনেকদিন থেকেই 'দলছুট' ওরফে 'কামরুজ্জামান স্বাধীন' ওরফে 'আসাদ বিন রাসেল'(নাকি অন্য কিছু?? ঠিক মনে নেই।) সাহেবের লেখা পড়ছি। বানানের ব্যাপারে উনার অজস্র ভুলের কারণ বোধহয় উচ্চারণের সমস্যা। কিছু কিছু বানান ভুল সত্যিকার অর্থেই পীড়াদায়ক। বানান আমরা সবাই কমবেশি ভুল করি, সহব্লগাররা তা ধরিয়ে দিতে পারেন। এতে কামরুজ্জামান ভাইয়ের এত ক্ষেপে যাওয়ার কারণ বুঝলাম না। ভুল থিম আর ভুল বানানসর্বস্ব পোস্ট দিলে তার সমালোচনা হবেই; তাই বলে সাইফ ভাই এর

আপনারে মিয়া গুলিস্তানের মোড়ে নিয়া লুঙ্গি খুইলা দেওনের কাম!

অথবা প্রত্যুত্তরে কামরুজ্জামান ভাইয়ের
তাহলে কেন নিজের সুখ, নিরাপত্তা, নিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্বার্থপরের মত নিজ জন্মভূমি ছেড়ে পরবাসে পড়ে আছেন?

এই জাতীয় ব্যক্তি আক্রমন সচলের পাতায় দেখতে ভাল লাগে না।
মডুরা একটু নির্দয় হয়ে এ জাতীয় পোস্ট আটকে দিতে পারেন; নিশ্চয় সচলে লেখার এত অভাব হয় নি যে এমন নিম্নমানের পোস্ট সচলায়তন এর প্রথম পাতা দখল করে রাখবে।

সবশেষে লেখককে বলি,
দলছুট সাহেব,
আপনার সময়ের কি খুব অভাব? যদি নিজের পোস্ট নিজে পড়ে দেখার মত সময় না থাকলে তাহলে দয়া করে কমিউনিটি ব্লগে লেখা বাদ দিয়ে নিজের ব্লগে লেখালেখি করেন। এখানে শতশত ভুলসমেত পোস্ট দিলে সমালোচনা হবেই।

আর যদি বানান নিয়ে আপনার নিতান্তই সমস্যা থাকে তাহলে দয়া করে লেখাটা লিখে বানান সম্বন্ধে ন্যুনতম জ্ঞান আছে এমন কাউকে দিয়ে পড়িয়ে বানানগুলো শুদ্ধ করে নিতে পারেন। হাতের কাছে তেমন স্বেচ্ছাসেবী কেউ না থাকলে আমাকে মেইল করে দিয়েন; আমি চেষ্টা করব।
আর যে গানটা আপনার ভাষায় "হৃদয় ছোঁয়া" তার কথাটা দয়া করে আজ থেকে মন দিয়ে শুনবেন। দ্বিতীয় লাইনটা শুদ্ধ করে এই মন্তব্যের জবাবে দয়া করে লিখে দেবেন।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরো পৃষ্ঠায় কেবল এ মন্তব্যটুকুর বাইরে আর কিছু মনে রাখতে চাই না।

ধন্যবাদ, রাফি।

---------------
আলোর ছটা
---------------

নীলপিপড়া [অতিথি] এর ছবি

স্বাধীন ভাই আপডেট ১

বেলজিয়ামের লেউভেন শহরে আমরা অল্প কিছু পোলাপান বাংলাদেশ থেকে এসেছি. গতকাল বিকেলে স্বাধীন ভাই (ওরফে দলছুট ভাইয়ের ) গল্প করলাম! আইজকা সকাল বেলা এক দোস্ত ফোনে কয় স্বাধীন ভাইয়ের পরবর্তী পোস্ট আসলে ফেস বুকে পোস্ট করে দিস! আরেকজন কয় আমি এখন থাইক্কা রেগুলার সচলায়তন পড়ব..
এইবার বুইজজেন কইলাম উনি কত হিট!
আমরা সাইফ ভাই হিমু ভাই শুভাশীস দা, রেগুলার ব্লগারদের চিনিনা শুধু চিনি "স্বাধীন ভাই"........দেঁতো হাসি

"স্বাধীন ভাই এগিয়ে যান
সাথে আছে লেউভেনের পোলাপান"

তবে এক মাইক্রো বাস ভর্তি লোকজনের মাজে শুধু আপনিই সাতার জানতেন বেপারটা একটু কিরম কিরম জানি লাগলো........ভাইজান কি হাচা কৈতাছেন নাকি ....

নীলপিপড়া

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সাথে মিথ্যা কৈবার কনু কারণ আছেনি?????

পড়তে থাকেন, হাসতে থাকেন। হাসাহাসি করা শরীরের জন্য ভালো।

নীলপিপড়া ভাই, একটু বেশী হয়ে গেলো না????

ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

নাশতারান এর ছবি

আপনার ধৈর্য্য এবং অধ্যবসায় ঈর্ষণীয়। তীব্র সমালোচনার ঝড়-ঝাপটা সয়ে আপনি এখনো স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। একটা প্রশ্ন করি। ঠিক কোন কারণে আপনি সচলায়তনে লেখা দিচ্ছেন?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

উনি লেখা দিলেও লেখা প্রকাশের দায়িত্ব কিন্তু 'মডারেশন ভাইয়া'দের চোখ টিপি । আর উনি লেখা দিবেন না কেন! অবশ্যই দিবেন।

ভাই কামরু, আপনি থামবেন না।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ঋদ্ধি এর ছবি

আপামনি উনি আমাদের অপার বিনোদনএর জন্য লেখা দিচ্ছেন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চমৎকার লেখা। ভাষার কারুকাজ রীতিমত চোখে টানে।
...দলছুট ভাই, যে যাই বলুক- লেখা থামাবেন না। আপনার লেখা পড়া আমার কাছে শিক্ষাসফরের মতো।

_________________________________________

সেরিওজা

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

লেখার কমেন্টগুলো বেশ উপাদেয়। দেঁতো হাসি তবে ব্যক্তি আক্রমন আর বিশেষত তেড়েফুড়ে আসা কয়েকটি আক্রমন এলিস্ট আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বরঞ্চ বদ্দা'র কথাটাই বলি,

সচলে আপনি বৃথাই সময় নষ্ট করছেন।

পৃথিবীটা অনেক বড়। সেখানে সচল কতটুকু একটা জায়গা?

কামরু ভাই, আশা করি একদিন আপনিও...শুদ্ধ বানানে একটি ব্লগ আমাদেরকে উপহার দিতে পারবেন।

বই মেলা'র আর মাত্র কয়দিন আছে। চলে আসুন এ শুক্রবারে। সবাই মিলে একসাথে চা-পুরি খাবোনে নাহয়।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

লেখকের ভাষা চয়নে কিঞ্চিৎ সমস্যা বারংবার আমাকে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে।

নামে 'স্বাধীন' আছে, তাই বলে যা খুশি করবেন তা আমরা/আমি মেনে নিতে পারি না।

হিমু এর ছবি

দলছুট ভাই, স্মৃতিচারণগুলো পড়লাম। এই স্মৃতি আপনার কাছে মূল্যবান নানা কারণে, কিন্তু এর বর্ণনা ঠিক সুপাঠ্য না। আপনি আরো গুছিয়ে লিখুন। আর নিজের স্মৃতি অন্যের কাছে ঠিকমতো না পৌঁছাতে পারা একটা বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা।

সচলরা সহনশীল হন আরো। এরকম করলে দলছুট ভাই যদি লেখা বন্ধ করে দেন, সেটা একটা খারাপ ব্যাপার হবে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্বাধীন এর ছবি

সব গুলো মন্তব্য পড়ে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল এভাবে পোষ্টের পর পোষ্টে একই ধরণের ব্যক্তিগত আক্রমন সচলের পরিবেশের জন্য ভাল নয়। আমিও রাফির বক্তব্যের সাথে একমত এবং এই অভ্যেশ বারংবার কাম্য হতে পারে না। যদি এই পোষ্টের লেখকের লেখা প্রকাশের যোগ্য না হয় তবে সেটা শুরুতেই আটকে দেওয়া উচিত। আর যদি প্রকাশিত হয়ই তবে সেটাকে সম্মান জানিয়ে সকলের সহনশীল হওয়াও উচিত।

যদি সচলগণের মনে হয় যে এই লেখা কোন ভাবেই প্রকাশ হওয়ার যোগ্য নয় তবে এই লেখাকে আপত্তি জানিয়ে মডারেশনকে জানানোর পথ আছে। আর যদি মনে করেন যে উনিও কোন একদিন ভাল লেখা দিবেন, তবে মন্তব্যে সকলেরই আরো সহনশীল হতে হবে। একদিকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমন চালিয়ে যাওয়া আবার কামনা করা যে উনি লেখা বন্ধ করবেন না, এটা স্ববিরোধিতা।

আমি মডারেটরদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম এই লেখা এবং এই লেখায় সকলের মন্তব্য সম্পর্কে উনাদের ভাবনা কি? এতে কি মডারেটররা আদৌ চিন্তিত নন? নাকি নিছক বিনোদনই উদ্দেশ্যে?

সবশেষে সকলের উদ্দেশ্যে আবারো বলছি "স্বাধীন" নিক নিয়ে আমি লিখি। এই পোষ্টের লেখকে দয়া করে "স্বাধীন" নামে না ডেকে "কামরুজ্জামান স্বাধীন" বা উনার যদি অন্য নিক থাকে সে নামে ডাকলে ভুলবোঝাবুঝির অবকাশ কম থাকে।

আমার নিক নিয়ে টানাটানির জন্য "কামরুজ্জামান স্বাধীন" সাহেবেরে কইস্যা মাইনাস দিয়ে গেলাম।

ধন্যবাদ সকলকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

একদম সহমত। ওনার আইপি/ ইমেইল, যা যা ব্যবহৃত হচ্ছিল, সেগুলো ব্যান করা হোক। যেহেতু ওনার একটা প্যাটার্ন আছে লেখার, কাজেই পরবর্তীতে লেখা জমা দিলে তা ধরা যাবে এবং তখন মডারেশনেই আটকে যাবে, যদি ছাপাবার মত না হয়।

তবে, নতুনদের জন্যে ভাল দৃষ্টান্ত কিন্তু হলো না অনেক আক্রমণই। যেটা নিছক বিনোদন হতে পারতো, সেটা অনেকাংশে ম্লান হয়ে গেছে পারসোনাল আটাকে। আমার অন্ততঃ ক'দিনে তাই মনে হলো।

- শরতশিশির -

যুধিষ্ঠির এর ছবি

সাইফের দুটো মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য আপত্তিকর হিসেবে অভিযুক্ত করেছি। এখানে আরও কয়েকটা মন্তব্যেও যথেষ্ট আপত্তিকর বাক্যাংশ বা টোন আছে।

আমি আজকে এমন একজনকে ষষ্ঠ পাণ্ডবের লেখাটার লিঙ্ক পাঠিয়েছি যে এর আগে সচলে আসেনি। সে যদি আজকে এই পোস্টটার মন্তব্যগুলো পড়ে, সে আর কোনদিন সচলে আসবে কী না আমি সন্দিহান।

কামরুজ্জামান স্বাধীনের বা এরকম মানের লেখা মডারেশন পার করা নিয়ে মডু(দে)র এক্সপেরিমেণ্ট (যদি সেটাই হয়) করার সময় বোধহয় শেষ হওয়া উচিৎ। লেখায় সচলের মানহানি হচ্ছে না, হচ্ছে মন্তব্যে। লেখা ছাড়া হলেও মন্তব্যগুলো মডারেট করা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।

সাদা-মডু এর ছবি

যাঁরা মনে করেন, এ লেখাটি প্রকাশযোগ্য নয়, তাঁরা লেখা প্রকাশ নিয়ে আপত্তি জানাতে পারেন, যুক্তি উপস্থাপন করে। কিন্তু কিছু মন্তব্য এখানে স্বাভাবিক সৌজন্যের সীমা লঙ্ঘন করে বহুদূর গেছে। সচল ও অতিথি সচলদের মন্তব্যের ভাষা ও ভঙ্গি নতুনদের জন্যে উৎসাহব্যঞ্জক নয়।

এই পোস্টে সাইফ তাহসিনের দুটি মন্তব্য সরিয়ে দেয়া হলো। ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য নিরুৎসাহিত করার কোমল এবং কঠোর, দুটি পন্থা মডারেটরদের কাছে আছে। কোমলটি এবার ব্যবহৃত হয়ে যাচ্ছে। সেটি হচ্ছে অনুরোধ, ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য না করার।

সহযোগিতার জন্যে সকলকে ধন্যবাদ। এই পোস্টে মন্তব্যের সুযোগ রহিত করা হলো।