সবার সাহায্য চাই: বাংলাদেশে জাকির নায়েকের সাথে বিতর্ক আয়োজন করা প্রয়োজন।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৬/১০/২০১০ - ১২:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপনারা হয়তো সবাই জানেন আলোচিত ব্যক্তিত্ব ডা: জাকির আবদুল করিম নায়েক(জাকির নায়েক) বাংলাদেশে আসছেন এক দীর্ঘ সফরে(৩০ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত)। সেসময় তিনি অতি অবশ্যই বেশ কিছু ইসলামি যুক্তিবাদের(তাঁর ভাষায়) অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন।

আমরা অনেকেই জানি জাকির নায়েকের অনেক "কোরানের আলোকে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা" লেকচারগুলোয় অনেক ভুল/ মিথ্যা তথ্য এসেছে। উদাহরণস্বরুপ: বিবর্তনবাদকে মিথ্যা প্রমাণ করবার তাঁর আপ্রাণ চেষ্টায় অনেকগুলো ভুল/ মিথ্যা তথ্য উদঘাটন করা হয়েছিলো সচল শিক্ষানবিসের এই পোস্টে। তাছাড়া অনেক ব্লগে নানাসময় জাকির নায়েকের লেকচারের বিভিন্ন অসংগতি/ ভুল/ মিথ্যা তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছিলো। যেমন: ইসলামে বহুবিবাহ নিয়ে জাকির নায়েকের যুক্তির অসারতা ফুটে ওঠেছিলো মুক্তমনা ব্লগের ব্লগার নাস্তিকের ধর্মকথার এই পোস্টে

আরো অনেক অসংগতি আছে। এসব অসংগতি/ ভুল/ মিথ্যা নিয়ে কথা বলতে গেলেই অনেক নায়েকভক্ত এসে বলেন এসব কথা জাকির নায়েকের সামনে উত্থাপন করতে। তাঁদের মতে আমার/ আমাদের চেয়ে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি, তার্কিক, বিজ্ঞানি নাকি নায়েকের সভায় উপস্থিত থাকেন; কিন্তু ভুল ধরতে পারেন না। নায়েকভক্তদের দাবি অনুযায়ি, লেকচার সভায় বাধাহীন প্রশ্ন করা যায়। জাকির নায়েক নাকি উত্থাপিত সব প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং জবাব দেন।

হার্ডকোর সাপোর্টারদের সাথে তর্ক বৃথা- আমরা সবাই জানি। কিন্তু তাঁদের দাবি অনুসারে আমরাতো জাকির নায়েকের লেকচার সভায় কিছু প্রশ্ন/ যুক্তি উত্থাপন করতে পারি। অন্তত তাঁর কৃত এসব ভুল/ মিথ্যা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যতো জানা যাবে। আর মন্তব্য করতে তিনি যদি অপারগতা প্রকাশ করেন তাও আমরা জানতে পারবো।

সাথে অতি অবশ্যই যে টপিকটিতে প্রশ্ন করা দরকার : "আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর ভাবনা।" তিনি না জানলে পড়াশোনা করে উত্তর দেবার যথেষ্ট সময় পাবেন(১২ দিন বাংলাদেশে থাকছেন যেহেতু)।

আমার দুর্ভাগ্য আমি সেসময় বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করবো। বাংলাদেশে অবস্থানকারি টপিকগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণাপোষণকারি, ভালো তার্কিক, স্পষ্টভাষি, সাহসি কোন সচল, হাচল, অতিথি কিংবা পাঠক কি আছেন যিনি জাকির নায়েককে সরাসরি প্রশ্নগুলো করতে পারবেন?

আমরা প্রশ্নগুলো সাজানো শুরু করতে পারি এখনই। এক্ষেত্রে সচলায়তনের লেখক, পাঠক সবার সাহায্য দরকার। বিবর্তনবাদ নিয়ে আমার জ্ঞানের পরিধি ছোট। তাই আমাকে হয়তো অনেকক্ষেত্রেই পাঠকের ভূমিকায় থাকতে হবে।

আর হ্যাঁ। কয়েকজনের একটি দল গঠন করা দরকার। সেখানে ভিডিওক্যাম, ভয়েস রেকর্ডার সহ একজন/ একাধিক স্বেচ্ছাসেবকের অবস্থান জরুরি।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

বিতর্ক নয়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোকারের যা প্রয়োজন, তা হচ্ছে বহিষ্কার। একে দেশেই ঢুকতে দেয়া উচিত নয়।

দ্বিতীয়ত, জোকারের কোনো বক্তৃতার সেশনে এই প্রশ্ন উত্থাপন করা যথেষ্ঠ ঝুঁকির কাজ, কারণ জোকারকে যারা এনেছে, তারা এই প্রশ্নকারীদের শারীরিক আক্রমণ করবে না, এ নিশ্চয়তা দেয়া মুশকিল। সাঈদীর ওয়াজে সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে প্রশ্ন করা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ।

এ ধরনের প্রস্তাবনা পোস্টে প্রস্তাবকের পরিচয় দিলে ভালো হয়। বেনামা পোস্ট প্রকাশের ব্যাপারে মডারেটরদের আরো কঠোর হবার অনুরোধ জানাচ্ছি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্তব্ধ এর ছবি

প্রথমত বলে নেই, আমার এটাই প্রথম পোস্ট সচলায়তনে। আমি ভেবেছিলাম সংরক্ষণের পর লেখকের নাম লেখবার কোন ঘর আসবে। আমার আসলে পোস্ট দেবার নিয়মটা পুরোপুরি জানা ছিলো না। যাই হোক, আমার অতিথি নাম "স্তব্ধ" । এর আগে কিছু মন্তব্য করেছিলাম আমি।

বিতর্ক নয়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোকারের যা প্রয়োজন, তা হচ্ছে বহিষ্কার। একে দেশেই ঢুকতে দেয়া উচিত নয়।

আমি এটা মানি। কিন্তু তাঁর সাগরেদদের অনেক পাওয়ার। বাংলাদেশে তাকে আনবার ক্ষেত্রে বাধা দেয়াটা একপ্রকার অসম্ভব। যদি তা করা যায় তবে অবশ্যই সরকার/ কোর্টকে স্যালুট।

দ্বিতীয়ত, জোকারের কোনো বক্তৃতার সেশনে এই প্রশ্ন উত্থাপন করা যথেষ্ঠ ঝুঁকির কাজ, কারণ জোকারকে যারা এনেছে, তারা এই প্রশ্নকারীদের শারীরিক আক্রমণ করবে না, এ নিশ্চয়তা দেয়া মুশকিল। সাঈদীর ওয়াজে সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে প্রশ্ন করা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ।

আমি কিন্তু একাধিক অডিও-ভিডিওগ্রাফার রাখবার কথা প্রস্তাব করেছি। অবশ্যই শারীরিক আক্রমণের ঝুঁকি আছে। সেজন্যে আগে ভাগে প্রটেকশনের ব্যবস্থা আমি ভেবেছি। সে প্রটেকশন পুলিশ- র্যাবের উচ্চ পর্যায় থেকে নেবার চিন্তাও করে রেখেছি।

আর আমি ব্যক্তিগতভাবে বিপর্যস্ত ভাই। বাংলাদেশে জাকিরভক্তদের একগুয়েমি দেখে। আমি বিবর্তন নিয়ে জাকির নায়েকের ভুলগুলো বলতেই আমাকে ছেঁকে ধরে বলা হলো জাকির নায়েকের ভুল হতে পারে না। কারণ তিনি রেফারেন্স দেন!

সেইসব সাপোর্টারদের এক কথা: আমাকে জাকির নায়েককে সরাসরি/ ইমেইলে প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করতে হবে। তারপর তিনি অ্যানসার দেবেন। এখন দেখলাম, যদি কেউ প্রকাশ্যে জাকির নায়েককে ভুলগুলো চোখে আঙুল দিয়ে ধরিয়ে দিতে পারে, তাহলে খুব উপকার হয়। আমি নিজেই যেতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমি বাংলাদেশে সেসময় থাকবো না।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একটা টেকনিক সর্ম্পকে সাবধান করে দিতে চাই। বিশ্বাসীদের বেশীরভাগ বিশ্বাস করতেই ইচ্ছুক সুতরাং অনেক রিজনিং বা গভীর জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করলে একটা রিডিকুলাস উত্তর দিয়ে হাস্যস্পদ করে তোলা হতে পারে। প্রশ্নকারী হয়ে যাবেন হাসির পাত্র, বিশ্বাসীরা সন্তুষ্ট।

তবু এফোর্টটা ভালো। আমি কিছু প্রশ্ন জুড়ে দেবো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

স্তব্ধ এর ছবি

খালি কিছু কথা জিজ্ঞেস করা দরকার। যার অ্যানসার কেবল সরাসরি দেয়া যাবে। তাঁর কৃত কিছু ভুল নিয়ে হ্যাঁ/ না টাইপের প্রশ্ন করা দরকার। শিক্ষানবিসের এই রিবিউটাল পোস্টের বেশিরভাগ প্রশ্নের কিন্তু সরাসরি উত্তর না দিয়ে কোন ত্যানা প্যাঁচানোর অবকাশ নেই। তারপরও প্রশ্ন প্রণয়নে সতর্ক থাকা লাগবে।

হাসিব এর ছবি

হিমুর সাথে একমত। এর ভিসা এখনই বাতিল করা দরকার।

যেই লোক ইতংবিতং বলে নারীর বদলে পুরুষের ৪টা বিয়ে করার সপক্ষে কথা বলে তার সাথে কোন বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা যেতে সেটা আমি বুঝতে অক্ষম। শুয়োরের সাথে কাদায় গড়াগড়িতে শুয়োরটা মজা পেতে পারে, এতে আমাদের কিছু লাভ হবে না।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

স্তব্ধ এর ছবি

কিন্তু হাসিবদা, আমার দেশের অগণিত ব্রেইন ওয়াশড্ ছেলেমেয়েদের কী হবে? তাদের সামনে, সবার সামনে জাকির নায়েকের রেফারেন্স, তাঁর সায়েন্সের মুখোশ খুলে দিতে পারলে অনেকেরইতো হুঁশ হবে। আমি অনেক চেষ্টা করে মাত্র দু'-তিনজনকে জাকির নায়েক সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা দিতে পারলাম। এই কাজটা অনেক সহজে, লার্জ স্কেলে শুধু একটা ছোট্ট কিন্তু কড়া রিবিউটাল করতে পারে।

বাংলাদেশে এক ভয়াবহ ভাইরাসের মত ছড়িয়ে চলছে জাকির নায়েক লেকচার। তিনি রেফারেন্স দেন। কেউ তাঁকে ভুল প্রমাণ করতে পারে না - এমন ধারণা অনেক মানুষের। এটাতো থামাতে হবে।

জাকির নায়েকের কিছু লেকচার শুনে মানুষ বলছে পৃথিবী সৃষ্টি থেকে ৯/১১, বিবর্তনবাদ থেকে মহাকাশবিজ্ঞান সব কিছুর পেছনের গপ্পো তারা জানে। এমনকি ডারউইন গ্যালাপাগোস দ্বীপে না গিয়ে ক্যাট্রোপিসে গিয়েছেন(রেফারেন্স: জাকির নায়েক), আর ঐ ক্যাট্রোপিসের নাম নিশানা মুছে ফেলেছে গুগোল--- হাহাপগে এমন মন্তব্য করছে আমাদের ইন্জিনিয়েরিং পড়ুয়া কিছু ছাত্র।

হিমু এর ছবি

আপনি কীভাবে আশা করেন যে জোকার নায়েক কোনো প্রশ্নের এমন উত্তর দেবে, যে উত্তরে তার মুখোশ খুলে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্তব্ধ এর ছবি

না দিলে/ এড়িয়ে গেলে তো সে আসলে ডিফিটেড প্রমাণিত হবে- তাই না?

হিমু এর ছবি

আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় পাঁড় জোকারাসক্তদের কাছে জোকারকে যুক্তির কাছে পরাজিত হিসেবে দেখানোর, তাহলে কেন তার বক্তৃতার ভেতরে যে গোঁজামিল আছে, সেগুলো ধরিয়ে দিচ্ছেন না?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্তব্ধ এর ছবি

পাঁড় জোকারাসক্ত কী জিনিস তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। যুক্তির দুর্বলতা/ ভুল/ মিথ্যা ধরিয়ে দিলেই বলে জোকার ভাইরে প্রশ্ন করতে! হাতে গোণা ২- ৩ জন হার্ডকোরকে অবশ্য অনেক লিবারেল করতে পেরেছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমুর মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারলাম না। মাত্রই উনি মুসাকে নিয়ে প্রশ্ন শেষ করেছেন। জাকির নায়েককে প্রশ্ন করতে চাচ্ছেন না কেন? সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ থাকলে সন্দেহ নিরসনের সেটাই ত সবচেয়ে ভালো উপায়। আমি লেখকের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সন্দেহ থাকলে তো নিরসনের প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্ন করা হলে প্রশ্নকর্তাকে হেনস্তার শিকার হতে হবে। আর জোকার তো চিহ্নিত বাকওয়াজবাদী! এইসব কারনে প্রশ্ন করে তেমন কোন লাভ হবে না বোধহয়। উপরন্তু বিশ্বাসীরা বলবে দেখছ, তারে প্রশ্ন কইরাও ঠেকাইতে পারলনা! হুঁ হুঁ বাবা কেমন এলেম আমার জাকির হুজুরেরে!?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

পীরে মুদাচ্ছের, সিলসিলায়ে পিছ-টিভিয়া, শাহেনশায়ে তরিকত, শরীরকা কেয়া হকিকত জনাবে আলা ডক্টর ডাক্তার যাকির নাইক[প্রতি স্বরধ্বনির পর ১৭ আলিফ টান সহ] রে আইবার দ্যান, বেদম মজা হইবেক।
আপনে আমি না হয় ময়ালা না ঘাটলাম, মাগার অত্যুৎসাহী কল্বে এলেম নাস্তিক বান্দারা এউক্ষান ড্রামা করলে আপনের আমার মুউযা লইতে সমইস্যা কী??
আমাগো দ্যাশ কি এতখানি ছিভিলাইজড হইছে যে এমউন একজন ইন্টারন্যাশনাল ছেলিব্রেটিরে রিফিউজ করব? ডু দে ইভেন কেয়ার এবাউট? হেইলেইজ্ঞাই কইতাছি সিট এট ঈয গ্র্যাপ আ কাপ অভ টি...এ্যান্ড ইঞ্জয়।

[অতিথি ল্যাখক হইয়া ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে দিতে ক্লান্ত মাহবুব রশিদ]

অতিথি লেখক এর ছবি

মাহবুব রশিদ ভাই... আমিও ক্লান্ত। কিন্তু কি আর করা!!!

তবে সবচে৩য়ে খুশি হতাম যদি অর সামনে কাঁঠাল পাতা দিয়ে আসতে পারতাম!

--- থাবা বাবা!

MIU এর ছবি

ভাই একটা কথা খেয়াল রাখবেন, এই ধরনের প্রশ্ন যেখানে করা হয় সেখানে কিছু ধর্মান্ধ থাকলেও থাকতে পারে! তাই নিজেদের প্রতি খেয়াল রেখে আগাবেন!
তবে কেন যেন মনে হচ্ছে, অবিশ্বাসীদের কারো পক্ষ থেকে কোনো প্রকার প্রশ্ন এটলিস্ট বাংলাদেশ এর ময়দানে করা সম্ভবপর নয়! আর ব্লগে বসে জোড়ে চিত্কার করলেও মনে হয় না এই ব্যক্তির বাংলাদেশ সফর রোধ করা যাবে!
ব্যক্তিগত ভাবে আমি আগ্রহী বাংলাদেশীরা এই ধর্ম প্রচারককে কি প্রশ্ন করেন তা জানার জন্য!

স্বাধীন এর ছবি

চিন্তা ভাল কিন্তু একদম হালকার উপর দিয়ে চিন্তাটি চলে গেল। প্রথমে বললেন বিতর্কের আয়োজন করা প্রয়োজন, তারপর বলছেন লেকচার সভায় প্রশ্ন করতে। আসলে কোনটি করতে চাচ্ছেন, আপনি নিজে পরিষ্কার কি? যদি বিতর্কের ব্যবস্থা করতে পারেন তবে তো খুবই ভাল কথা। কিন্তু জাকির কি বিতর্ক করতে রাজী হবে? আমার মনে হয় না।

এবার আসি প্রশ্ন করা নিয়ে। শুধু প্রশ্ন করে লাভ নেই যদি জবাবের বিপরীতে বক্তাকে আবারো প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকে। কারণ প্রশ্ন করা হলে জাকির হাল্কা চালে/পিছলিয়ে একটি জবাব দিয়ে দিবেন, সেটা আপনার পছন্দ হবে না, কিন্তু বাকিদের পছন্দ হবে। এটাই তার টেকনিক। সম্পুরক প্রশ্ন লেকচার সভায় করা সম্ভব নয়, যদি টিভি বিতর্কের মত কিছু হতো সেখানে সম্ভব হতো। আপনার কি মনে হয় টিভি বিতর্কের মত কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা আপনার পক্ষে সম্ভব?

কিন্তু এসবের চেয়েও বড় সমস্যা হল নিজে একটি প্রস্তাব দিয়ে তারপর বলছেন নিজের বিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি কম এবং সেই সময়টা আপনি দেশে থাকবেন না ইত্যাদী। তাহলে আপনার প্রস্তাবের পেছনে কাউকে পাবেন এমন আশা করা কি ঠিক? আমার অভিমত হবে, নিজের জ্ঞানের পরিধি আরো বাড়ান, এবং জাকিরের অসংগতিগুলো নিয়ে নিজেই ভিডিও তৈরী করুন এবং ছড়িয়ে দিন। আপনার যুক্তি যদি গ্রহন যোগ্য হয় তবে মানুষ আপনার কথা শুনবে। এই জাকিরই শেষ নয়, আরো জাকির আসবে, যাবে।

চিন্তা যে করেছেন সে জন্য অন্তত সাধুবাদ জানাই। ভাল থাকুন।

সাফি এর ছবি

" শুধু প্রশ্ন করে লাভ নেই যদি জবাবের বিপরীতে বক্তাকে আবারো প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকে। "

সবসময় এইটাই হয়। তাকে একজন এক সাথে একটাই প্রশ্ন করতে পারে। পরের প্রশ্ন করতে গেলে আবার লাইনের পেছনে যেয়ে দাঁড়াতে হয়। আর প্রায়ই প্রশ্নের জবাব না থাকলে উনি উদ্ভট একটা রেফারেন্স টেনে প্রশ্নকর্তাকে হাস্মস্পদ করার চেষ্টা করে থাকেন। অনেকটা এরকম 'তাহলে আপনি বলছেন আপনি আপনার ছেলেকে ২+২=৩ পড়ায় এমন স্কুলেই পড়াবেন?" এই কথার জবাবে জাকের বিভোর অডিয়েন্স হেসে হল ফাটিয়ে ফেলে। খেল খতম, পয়সা হজম।

স্তব্ধ এর ছবি

চিন্তা ভাল কিন্তু একদম হালকার উপর দিয়ে চিন্তাটি চলে গেল। প্রথমে বললেন বিতর্কের আয়োজন করা প্রয়োজন, তারপর বলছেন লেকচার সভায় প্রশ্ন করতে। আসলে কোনটি করতে চাচ্ছেন, আপনি নিজে পরিষ্কার কি?

তাড়াতাড়ি করেছিতো। তাই পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারিনি। আমি যেটা করতে চাই তা হলো, তার কোন লেকচার জলসায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব প্রশ্ন তোলা। সেখানেই বিতর্ক হবে।

এবার আসি প্রশ্ন করা নিয়ে। শুধু প্রশ্ন করে লাভ নেই যদি জবাবের বিপরীতে বক্তাকে আবারো প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকে।

সেজন্যেই ভালো করে প্রশ্ন সিলেক্ট করতে হবে। হয় তাখে এড়াতে হবে, নয়তো ইয়েস/ নো বলতেই হবে- এমন টাইপের।

কিন্তু এসবের চেয়েও বড় সমস্যা হল নিজে একটি প্রস্তাব দিয়ে তারপর বলছেন নিজের বিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি কম এবং সেই সময়টা আপনি দেশে থাকবেন না ইত্যাদী। তাহলে আপনার প্রস্তাবের পেছনে কাউকে পাবেন এমন আশা করা কি ঠিক? আমার অভিমত হবে, নিজের জ্ঞানের পরিধি আরো বাড়ান, এবং জাকিরের অসংগতিগুলো নিয়ে নিজেই ভিডিও তৈরী করুন এবং ছড়িয়ে দিন। আপনার যুক্তি যদি গ্রহন যোগ্য হয় তবে মানুষ আপনার কথা শুনবে। এই জাকিরই শেষ নয়, আরো জাকির আসবে, যাবে।

চেষ্টা করছি। আমি আসলে বায়োলজির না। পদার্থ নিয়ে আমার কাজ। আর আমি যদি সেসময় বাংলাদেশে থাকতাম(আমি দেশের বাইরে থাকি) তাহলে আমি একাই যেতাম।

স্বাধীন এর ছবি

বিবর্তন সম্পর্কে জানার জন্য বায়োলজির ছাত্র না হলেও চলবে। মুক্তমনা ব্লগের একটি লিঙ্ক যখন দিয়েছেন সেখানে দেখবেন বিবর্তন নিয়ে আলাদা একটি আর্কাইভ রয়েছে। বাংলায় বিবর্তন নিয়ে যারা লিখেন অভিজিৎ, বন্যা আহমেদ এরা কেউ বায়োলজির নয়। আজকাল আসলে এত ভাল ভাল বই পাওয়া যায় যে যে কেউ চাইলে বিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারে। তাই নিজেই বিবর্তন সম্পর্কে আরো জানুন, অন্যকেও বলুন জানতে।

স্তব্ধ এর ছবি

ওই আর্কাইভইতো বিবর্তন নিয়ে আমার সামান্য জ্ঞানের মূল উৎস। সাথে দুয়েকটা বইয়ের স্কিমিং।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রশ্ন ১:
কোরানে বলা আছে:

He is the one who has set free the two kinds of water, one sweet and palatable, and the other salty and bitter. And He has made between them a barrier and a forbidding partition. (Quran, 25:53)

অর্থাৎ নদীর পানি আর সাগরের পানি মেশে না। কারন তাদের মাঝে খোদাপ্রদত্ত একটা বাঁধা তৈরী করা আছে।

প্রশ্ন হল: এটা কি সত্যি?

এইখানে কুরআনের পক্ষে কিছু প্রমান আছে। বিপক্ষের প্রমান আমি আপনার হাতে ছেড়ে দিলাম। চোখ টিপি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

স্তব্ধ এর ছবি

বাবারে! এমন ভুরি ভুরি সাইটে নানা প্রমাণ দেয়া আছে! তাইতো জাকিরভক্তকুল বলে- "কোরান মানেই সায়েন্স।" আজকে তাদের সাথে তর্ক করে এসেই পোস্টটি দিলাম।

দিগন্ত এর ছবি

আমি একটা ফেসবুক পেজ দেখলাম জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে। তাতে ১৮৬৮ জন বলেছে তারা এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন, ৮৬২ জন বলেছেন তারা থাকতেও পারেন আর ১৯৯৮ জন থাকবেন না।

জাকিরের ভক্তসংখ্যা দেখে আমি হতাশ। ফেসবুকের মত জায়গায় যদি এই জাকির নায়েক হাজার দুয়েক বাঙালী ভক্ত পায় তাহলে বাঙালীদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তার কারণ আছে। আর এই অবস্থায় তার ভিসা কি ভাবে আটকানো সম্ভব তাও জানি না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হাসিব এর ছবি

বাঙালির ভবিষ্যতে নিয়ে অতো চিন্তিত হবার কারণ নেই। বাঙালি এখনও এদিকে জামাত কোণঠাসা করে রেখেছে। ওদিকেও বিজেপিকে পাত্তা দেয়নি যেটা ভারতের অন্য অনেক প্রদেশে হয়েছে। আমি আশাবাদি বাঙ্গালিকে নিয়ে।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

স্বাধীন এর ছবি

সহমত। ফেইসবুকে কয়েক হাজার জাকিরের ভক্ত দেখে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা বিচার করা যাবে না। জাকিরের জনসভায় হয়তো লাখো মানুষের সমাবেশ হবে, তারপরেও বাঙ্গালীকে নিয়ে হতাশ হওয়ার মত অবস্থায় নেই। টঙ্গীর ইজতেমায় কয়েক লাখ মানুষের সমাবেশ হয়, কিন্তু সেগুলো সাধারণ মানুষের ধর্মভীরুতার প্রমান দেয়, ধর্মান্ধের নয়।

স্তব্ধ এর ছবি

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জাকির নায়েক যে কী পরিমাণ জনপ্রিয় তা বলার অবকাশ রাখে না। আমার দুর্ভাগ্য, আমার কিছু লিবারেল বন্ধুদেরও জাকিরভক্ত হতে দেখলাম।

বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ মানুষই হয়তো তাঁকে চেনে না এখনও, কিন্তু নতুন প্রজন্ম, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রিদের অনেকেরই কাছে তো তিনি প্রবাদতুল্য। সাথে আছে হিজবুতি সিক্রেট ব্রেইনওয়াশ- স্পন্সরড বাই ইরান। অথচ, এই ছাত্র-ছাত্রিরাই আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে- এমনটাই মনে করি আমরা।

কী জানি! হয়তো আমিই নৈরাশ্যবাদিতে পরিণত হচ্ছি!

সাফি এর ছবি

জাকির নায়েক যার তার সাথে ডিবেট করেন না। আজ পর্যন্ত এমন কোনো উদাহরন পাইনি যেখানে ওনাকে তর্কের আহবান করা হয়েছে এবং সেটা উনি গ্রহণ করেছেন। তবে উনি অনেককেই তর্কে আহবান করেন এবং সাড়া না দিলে তার ভক্তরা সেটা নিয়ে হইচই লাগিয়ে দেন. যেমন পোপ এর ক্ষেত্রে হয়েছে - "Following a lecture by Pope Benedict XVI in September 2006, Naik offered to engage in a live public debate with him, but the Pope has not responded to this invitation."

তর্কে আহবান জানালে এরকম একটা জবাব পাওয়া যায় -
"Some of our staff members have seen your criticism and refutation which you may consider being scholarly but it is not worth replying to. There are hundreds of such refutations of Dr. Zakir Naik’s lectures, many of whose authors would like to debate with him. All the refutations he has seen are waste of time and not worth replying.

Our question was, the person who wants to debate with Dr. Zakir Naik should have a large following irrespective whether he has written several books or not." [সূত্র] - সুতরাং আপনি যদি ওনার মতনই আরেক ধর্মীয় পান্ডা না হন, তা হলে হবেনা। কিন্তু হিন্দু আর্য সমাজের তর্কের চ্যালেঞ্জ কি সূত্রে উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন তা জানা যায়নি।[১]

আরো উদাহরন - [১], []। গুগুলে zakir nayek accepts debate challenge লিখেও কোথাও এমন নিদর্শন পাইনি।

স্তব্ধ এর ছবি

হা হা হা। একথা জানতাম না।
তার লেকচার শেষে কিছু প্রশ্নতো করা যাবে? নাকি প্রশ্নোত্তর সেশনও আগে থেকেই ফ্যাব্রিকেটেড? (আমি প্রথমত কোন আলাদা বিতর্ক অনুষ্ঠানের কথা বলছি না, যদিও শিরোনামে আমার শব্দচয়ন সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেজন্যে দু:খিত। আমার ইচ্ছা, প্রশ্নোত্তর সেশনে তাকে ধরা।)

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

পারলে জাকিরের ভিসা বাতিল সংক্রান্ত একটা মানব বন্ধন, ড়্যালি বা এরকম কিছু করেন। ঐসব প্রশ্ন টশ্ন করে কোনই লাভ নাই। বিতর্ক হলেও একটা সুযোগ ছিল।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হুদাই সময় নষ্ট, এই সময় অন্য কামে লাগান ভাইজান। ২০০৩-৪ এ টনি ব্লেয়ারকে বিবিসি একবার একক প্রশ্নোত্তর করেছিল, তাও লাইভ। কিন্তু ১ ঘন্টা প্রশ্ন করেও বিবিস এর বাঘা সাংবাদিকরা তার মুখ দিয়ে কোন সোজা উত্তর বের করতে পারে নাই। আপনার কি কারণে মনে হইল সেইখানে জোকার নালায়েক সেখানে সোজা উত্তর দিবে? তার মাঝে আবার হাজার হাজার ফ্যানাটিক ভক্ত থাকবে যারা চোখের নির্দেশে এহেন প্রশ্নকর্তার টুটি স্তব্ধ করতে সদাপ্রস্তুত। আমার মতে যে এইকাজে ঐখানে যাবেন তার প্রাণসংহারের সম্ভাবনা খুবই বেশি। আপনে সেই রিস্ক নিতে চান? উপরে দেখলাম বলছেন, আপনে নিজেই যেতে পারবেন না, অথচ অন্য কাউকে যাবার জন্য সাধছেন

আর এই সুযোগে দেখলাম কোথাকার কোন লেজ কাটা শাখামৃগ অতিথি একাউন্টের সুযোগ নিয়ে ব্লগার হিমুকে খোঁচা দিয়ে গেলেন! মহা বিরক্তিকর, সাহস থাকলে সনামে এসে মন্তব্য করলে পারেন।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রাহিন হায়দার এর ছবি

আপনার প্রস্তাবটি ভালো, কিন্তু বাস্তবসম্মত না। যুক্তি খাটে যুক্তির বিরুদ্ধে, কুযুক্তির বিরুদ্ধে না। জোকার নায়েক বা এই জাতীয় লোকদের বিরুদ্ধে আপনি কখনও তর্কে জিততে পারবেন না; বিশেষ করে সেই পরিবেশে তো নয়ই, যেখানে হাজারখানেক লোক তার কথাগুলোকে বিনাপ্রশ্নে মেনে নেয়ার জন্যেই হাজির থাকবে।

জাকির নায়েকের ভক্তকূল মূলত গড়ে উঠেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্যেও ইন্টারনেটই সবচে' ভালো মাধ্যম বলে আমি মনে করি।
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...

অতিথি [অতিথি] এর ছবি

আমাদের সাংবাদিক ভাইরা এই ক্লাউনকে নিয়ে ২/৪টা পত্রিকায় ফিচার ছাপালেই তো পাবলিক এই ছাগুরে বর্জন করবে।

কী কমু [অতিথি] এর ছবি

আপনার উদ্যোগ আর অভিলাষ দুটোই মহৎ, তবে ভিন্ন পথের কথা ভাবতে হবে।

জাকির নায়েকের বক্তৃতা হবে ইংরেজিতে, অর্থাৎ তাঁর অডিয়েন্স মূলত লেখাপড়া জানা মানুষেরা, যাদের একটি বড় অংশ আবার অনলাইনে প্রবেশাধিকার রাখে। কাজেই সরাসরি তাকে প্রশ্ন না করে (কেন করা উচিত নয়, তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা ওপরে অনেকেই দিয়ে গেছেন) অনলাইনের কোনও মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করাই ভাল। এর আগের দু'একটি পোস্টে কেউ কেউ ভাল একটি ভিডিও করে ইউটিউবে তুলে দেওয়ার কথা প্রস্তাব করেছেন, সেটি নিয়ে কাজ শুরু করে ফেলা যায়। বিবর্তনের ওপর সাম্প্রতিক অনেক গ্রন্থই আমার হাতের কাছে আছে, কারও কোনও বইয়ের ব্যাপারে সাহায্য লাগলে বা প্রশ্ন থাকলে বিশেষ অংশ উদ্ধৃতি দিয়ে সহায়তা করতে পারি।

স্তব্ধ এর ছবি

হ্যাঁ। আমার।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

লাভ নাই.. অন্ধকে পথ দেখানো যায়.. যে দেখেও দেখে না, তাকে যায় না.. অন্ধ বিশ্বাস আর ভক্তির সামনে যুক্তিতর্ক অসহায় হাত নাড়ে।

একজন ধর্মভীরুর সাথে ধর্ম নিয়ে তর্ক করে লাভ নাই।

একজন জোকার বিশ্বাসীর সাথে ভালো মন্দ নিয়ে তর্ক করে লাভ নাই।

৪:২৬ এ সে বলে আমেরিকা কমিউনিজম প্র্যাকটিস করে... এতই জ্ঞানী সে।

এগুলা দেখে যে এর ভক্ত হয়, বিতর্ক থেকে সে কিছুই বুঝবে বলে আমার মনে হয় না
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আরিফ.হাসান এর ছবি

জাকির নায়েককে নিয়ে সচলের এত লাফালাফির করার কি আছে? ওনি তাসাওফপন্হী কোনো আলেম নন যে ওনার সব যুক্তিই অকাট্য হবে।
আর ঐ এক বিবর্তনবাদ নিয়ে ত্যানা প্যাঁচানো একটু দয়া করে ক্ষেমা দেন ভাইজানেরা। এটা অবিশ্বাস করার জন্য ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জাকির নায়েকদের ব্যাখ্যা শোনার প্রয়োজন পড়ে না।
ধর্মটাই তো বিশ্বাসের ব্যাপার। থাকুক না যে যার বিশ্বাস নিয়ে। আর যারা সন্দেহবাদী কিংবা নির্ধর্মী তারাও থাকুকনা ওনাদের সব ধারালো যুক্তি অথবা ডারউইন সাহেবকে নিয়ে। আর আপনারা যারা যুক্তির মাধ্যমে ইতঃমধ্যেই প্রমাণ করেই ফেলেছেন যে ধর্ম ব্যাপারটাই হাস্যকর আর স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন বোকাদের জন্য, আপনারাতো বুঝেই গিয়েছেন যে আপনারা উন্নত বুদ্ধিসম্পন্ন চালাক সম্প্রদায়ভুক্ত। না হয় প্রায় ৫ বিলিয়নের উপর ধর্মবিশ্বাসীদের একটি ব্রেক দিলেন কিংবা ওনাদের অনুভূতির প্রতি কিছুটা সম্মান প্রদর্শন করলেন।চাওয়াটা কি খুব বেশী হয়ে গেলো? ভালো থাকুন সবাই।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

'প্রায় ৫ বিলিয়নের উপর ধর্মবিশ্বাসী' সবাই তো আর এক স্কেলে ঠিক হইতে পারে না। একে অপরকে প্রচণ্ডভাবে নস্যাৎ করে। সুতরাং '৫ বিলিয়ন' কথাটার মধ্যে একটা লজিকাল ফ্যালাসি আছে। ভুল বুঝলাম কি?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শিশিরকণা এর ছবি

জোকারের ভিসা বাতিলের দাবি একটা ব্যর্থ আন্দোলন। ভিসা না দেয়ার পিছনে কোন শক্ত কারন দেখানো যাবে না, এবং সরকার পাছে কাকে বেজার করে ফেলে সেই ভয়ে এটা করবেও না, এত মেরুদন্ড এই সরকারের নাই।
এর থেকে সরাসরি বিতর্কে আহবান শ্রেয়তর হতো যদি জোকার সেটা গ্রহণ করতো। ট্র্যাক রেকর্ড বলছে তার এসব রিস্ক নেয়ার সম্ভাবনা নাই। বিকল্প হতে পারে বড়সড় একটা দল নিয়ে লেকচারে হাজির হওয়া, যাতে একজনের প্রশ্নের উত্তরে দ্বিতীয়/তৃতীয়/চতুর্থ আরেকজন প্রতি প্রশ্ন করতে পারে। আর খুব জ্ঞানী গুনী তার্কিক হবারও প্রয়োজন নেই, হাতে ইন্টারনেট সহ ফোন/ ল্যাপটপ থাকলেই ১ মিনিটে তার গুলতানি মারা রেফারেন্স চেক করা যায়। তবে প্রশ্নকর্তা মনে হয় আগে থেকেই ঠিক করা থাকে।
আমি ৯ তারিখ দেশে পৌছচ্ছি। দল ভারি হলে আমি যেতে আগ্রহী আছি ( একা মাইর খাইতে চাই না।) যদি প্রশ্ন করার সুযোগ নাও মেলে তার জোকারি কথাবার্তা শুনে "খ্যাক-খ্যাক" হাসি দিয়ে বেটারে ডিস্টার্ব দিবার ইচ্ছা আছে। (মানসিক অত্যাচারের প্রতিশোধ।)
বাংলার মাটিতেই এই জোচ্চুরের মুখোশ ( নাকি লুঙ্গি) খুলে যাক!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

hasin এর ছবি

কিছু দিন আগে বহুবিবাহ নিয়া জাকির নায়েকের আর্টিকেল টা ফেসবুকে সেয়ারে দিছিলাম,সাথে আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিমত কটুক্তি দিয়ে কমেন্ট দিছিলাম | ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারে পড়ুয়া এক বান্ধবী এটা দেখে আমার ফামিলি শিক্ষা প্রশ্ন তুলে, আর পরে আমাকে ফেসবুকে ব্লক করে দেয় !!এই হচ্ছে জোকার ভক্তের মেন্টালিটি,এরা জাকির নায়েকরে নবী-রাসূল ভাবে...

পৃথিবী [অতিথি] এর ছবি

আকির নায়েকের আগমন নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তিত না। নায়েকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে তাকে খেদিয়ে বাঙ্গালীর কুসংস্কারপ্রীতি বিন্দুমাত্র কমানো যাবে না। জাকির নায়েকের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে বৌদ্ধিক আলোচনা আন্তঃর্জাল ও মূলধারার মিডিয়াতে প্রচলন করাটাই তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ হবে। আন্তঃর্জালে জাকিরকে নাঙ্গা করে অনেক লেখালেখি হয়েছে, এখন শুধু মূলধারার মিডিয়াতে এ নিয়ে লেখালেখি করা দরকার। আপনি যতবড় জ্ঞানীই হোন না কেন, বাকপটু না হলে কখনওই কোন মৌখিক বিতর্কে জিতবেন না। মৌখিক বিতর্কে বাগ্মীতাই মূল নিয়ামক। এরপরও যদি কেউ জান বাজি রেখে একপাল জাকিরভক্তের সামনে জাকিরকে চ্যালেঞ্জ করার উদ্যোগ নেয়, তবে তার প্রতি শুভ কামনা রইল।

আশাবাদী [অতিথি] এর ছবি

ভাই এই বিষয়ে একটা খাঁটি ইংরেজি বাণী খুবই উপযুক্তঃ "Never argue with an idiot, for he will drag you down to his level, and beat you with experience." আর ছাগলামীতে জোকারের "experience" নেহায়েত তুচ্ছ করার মত না।

নাশতারান এর ছবি

ছাগলের সাথে তর্ক করলে জবাবে ছাগলামি ছাড়া কিছু পাওয়া যাবে না। যে ব্যক্তি যুক্তি বোঝে না তার সামনে যুক্তি উত্থাপনের কোনো মানে নাই। অন্ধবিশ্বাসে যুক্তির কোনো স্থান নেই। এবং দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি অন্ধবিশ্বাসীর অভাব নেই এদেশে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বলে, ছাগুদের সাথে তর্কে গিয়ে লাভ নেই, তাদের জন্য গদাম চিকিৎসাই একমাত্র ঔষধ। জাকির নায়েকের ক্ষেত্রে এর অন্যথা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।