বিলুর ডায়েরি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/১২/২০১০ - ৪:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আঠারো তারিখ, শনিবারঃ
আমি বিলু।
আমার নাম আসলে অনেকগুলো। বিলু,বাপী,বাবন। আর কয়েকদিন পর আমার অবশ্যি কোন নামই থাকবে না। আমি তখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরব, কাগজ টুকাবো। কাগজ টুকানি ছেলেকে কি কেউ বিলুমণি বলে ডাকে? আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়?

রাস্তায় কারা থাকে? যাদের মা নেই, বাপ নেই, তারা। আমার অবশ্যি সবাই আছে। তাও আমি রাস্তায় থাকবো। কারণ আমার মা আর বাবার মধ্যে শিগগিরি ডিভোর্স হয়ে যাবে।

কেউ বলেনি, তবু আমি জানি। আজ তিনদিন হয়ে গেল তাদের মধ্যে কথা বন্ধ। ডিভোর্সের আগে নিশ্চয়ই এমনটা করে মানুষ।

একুশ তারিখ, মঙ্গলবারঃ
দিনগুলি সব কেমন যেন ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে আমার। আগে নাশতার টেবিলে আমি, বাবা, মা কত যে হাসি ঠাট্টা করতাম! বাবা তো গল্পের রাজা। এক একটা গল্প বলে, আর নিজেই ঘর কাঁপিয়ে হাসতে থাকে।
অথচ এখন? বাবা তো খায়ই না বাসায়। খাবার টেবিলে বসে মায়ের মুখের দিকে তাকাতেও খুউব ভয় হয় আমার। মায়ের অমন বিষণ্ন গম্ভীর মুখ আমি কোনদিনও দেখিনি।

ইস্কুলে টিফিনটা ঠিকমত খেয়েছি কিনা, সেটাও মা জিজ্ঞেস করল না আজ। আমি তাহলে সত্যি সত্যি একটা ছন্নছাড়া মানুষ হয়ে গেছি?

তেইশ তারিখ, বৃহস্পতিবারঃ
আজকে বাদল স্যার ক্লাসে অনেককে বেত দিয়ে সপাং সপাং করে মেরেছে। অংক পারেনি তো তাই। আমিও তো আরেকটু হলে অংক ভুল করতে যাচ্ছিলাম। ভাগ্যিস বিনুর খাতা দেখে ঠিক করে ফেলেছি।
এমনিতে বিনু মেয়েটাকে অবশ্যি আমি দুইচোখে দেখতে পারি না। কোন বদমাশ যেন একদিন বোর্ডে বড় বড় করে লিখে রেখেছিল - "বিলু+বিনু"। সেই থেকে বিনুর সাথে আমার জন্মের রেষারেষি। ক্লাসে একজন পড়া না পারলে আরেকজন দাঁত বের করে হাসি। হাসি না পেলেও জোর করে হাসি।

কিন্তু এম্নি করে বিনু কয়দিন আর আমাকে বাঁচাবে? আমি তো আর ভালো ছাত্র থাকবো না। আমি এখন থেকে খারাপ হয়ে যাবো। খুব খারাপ। টুনুর মত খারাপ। লাস্ট বেঞ্চিতে বসবো, হলুদ দাঁত নিয়ে ঘুরব, বড় ক্লাসের ছেলেদের সাথে মারামারি করবো।

এখন থেকে আমি যে একটা ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলে!

চব্বিশ তারিখ, শুক্রবারঃ
প্রতিটা দিন আমার কাছে এখন দম বন্ধ করা অসহ্য মনে হয়। পড়ার টেবিলে একটুও মন বসাতে পারিনা। ইংরেজি বইয়ের একটা পাতা খুলে ঝাপসা চোখে তাকিয়ে থাকি, আর কান খাড়া করে শোনার চেষ্টা করি, বাবা-মায়ের মধ্যে কোন মান ভাঙানি কথা হয় কিনা।
কত রকম কথাই তো বলার আছে। আজকে ভ্যাপসা গরম, কিংবা রাহেলাবুয়ার তরকারিতে লবণ বেশি, কিংবা দেশটা যাচ্ছে কোথায় -- এইসব হাবিজাবি।

মা, শোন, বাবা তুমিও শোন, তোমাদের মধ্যে কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছে আমি জানতে চাইনা, দুজনের মধ্যে কার দোষ বেশি সেটাও শুনতে চাই না, শুধু চাই তোমরা একটু কথা বলো।
আমার এইটুকু চাওয়া কি খুব বেশি মনে হচ্ছে তোমাদের কাছে?

সাতাশ তারিখ, সোমবারঃ
দুনিয়াটা এত নিষ্ঠুর কেন? মা নিষ্ঠুর, বাবা নিষ্ঠুর, স্যার নিষ্ঠুর, এই পৃথিবীর সব নিষ্ঠুর।

আঠাশ তারিখ, মঙ্গলবারঃ
খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। আত্মহত্যা করব। অনেকগুলা ঘুমের ট্যাবলেট পানিতে গুলে ......। মায়ের ড্রয়ার খুলে ট্যাবলেট যোগাড় করেছি। পাঁচটা। কিন্তু এগুলো ঘুমের ওষুধ কিনা তাও তো বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে ট্যাবলেট বুদ্ধি কাজে দিবে না। অন্য বুদ্ধি লাগবে।
মৃত্যুর আগে আরেকটা কাজ করতে হবে অবশ্য। বাবার কোটের পকেটে চুপি চুপি একটা কাগজ গুজে দিতে হবে। কাগজে লিখা থাকবে --"নাফিস, আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি -- ইতি শারমীন"।
আমি ছাত্র ভালো হলেও হাতের লিখা একেবারে যাচ্ছেতাই। মায়ের মত গোটা গোটা অক্ষরে কি আমি লিখতে পারবো?

একটা অতি লজ্জার কথাঃ
আত্মহত্যার কথা অমন হা-বিতং করে লিখার পরও দিব্যি বেঁচে আছি -- এইটাই যথেষ্ট লজ্জার ব্যাপার। তার উপর কেউ যদি জানতে পারে যে, কিভাবে আমি এত্তবড় ধ্যাড়ধ্যাড়ে একটা ছেলে হয়েও বিকেল বেলায় বাবার কোলে উঠে কাঁদতে কাঁদতে আত্মহত্যার সমস্ত প্ল্যান ফাঁস করে দিলাম, তারপর কিভাবে বাবা আমার গালে একটা ইয়াব্বড় করে চুমু দিল, তারপর মাকে জড়িয়ে ধরে মায়ের গালে (থাক এইটা লিখবো না), তারপর কিভাবে আমরা হাত ধরাধরি করে (আমি মায়ের হাত, মা বাবার হাত) পিৎজাহাটে খেতে গেলাম, তাহলে আমার মান-সম্মান-ইজ্জত-মর্যাদা-প্রেস্টিজ সব মাটিতে মিশে গুড়োগুড়ো হয়ে যাবে।

আরেকটা সামান্য লজ্জার কথাঃ
আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বড় হয়ে আমি যখন বাবা হব, তখন কখনো বড়দের মত রাগ করে থাকবো না। খালি হাসবো। ঘর কাঁপিয়ে হাসবো।
বিনুর দিক থেকে ব্যাপারটা কি হবে, আমি অবশ্যি বলতে পারছি না। মেয়েটা যা পাজীর পাজী !

সাত্যকি


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

খুব মজার গল্প। গল্পের ফর্মেট, লেখার ধরণ সব মিলিয়ে খুব উপভোগ্য। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া,
আপনি কি জানেন, পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার জন্য ওয়েবসাইট ওপেন করার আগে আমার পিঠের ভেতর যেমন শিরশিরে একটা অনুভূতি হয়, সচলে নিজের লিখার ফলো-আপ কমেন্টগুলো পড়ার আগেও আমার ঠিক এইরকম লাগে।

সাত্যকি

কৌস্তুভ এর ছবি

অত ডরায়েন্না, আমরা তো আছি! হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

মিঠা! দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আর সেইজন্যি আপনাকে টক-ঝাল-মিষ্টি, মানে সুষম ধন্যবাদ।

সাত্যকি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বাহ্‌।

আরো গল্প আসুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক হাচোড়-পাচোড় করে গল্প লিখি দাদা। গল্পের জন্য কোন গৌরীসেনের সন্ধান পেলে ভালো হতো। ঢলঢল করে গপ্পো বেরিয়ে আসতো।

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর কই দেখলেন ধূগোদা, এইটা তো আমার , মানে বিলুর বিরাট কেলেংকারির গল্প।

সাত্যকি

আব্দুর রহমান এর ছবি

যাক বাঁচালেন, শেষতক সব ঠিকঠাক রইলো, মধুরেণ সমাপয়েৎ না হলে সে গল্প আমার ভালো লাগে না।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, এই গল্প আমি লিখেছি আমার বাপ-মাকে দেখানোর জন্যে। এইযে প্রায়ই তারা হুটহাট কথা বলা বন্ধ করে দেয়, তারপর উকিল হয়ে আমাকে মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘটাতে হয়, কাঁহাতক এই যন্ত্রণা আর ভাল্লাগে বলেন !

সাত্যকি

দ্রোহী এর ছবি

গল্পের কাঠামো, গাঁথুনি, বুনোট সবই চমৎকার লাগল।

মুগ্ধ হলাম রীতিমত!


কাকস্য পরিবেদনা

অতিথি লেখক এর ছবি

এও এক গল্প, তারো আবার গাঁথুনি, তারো আবার বুনট!!
আপনার মন্তব্যে তো আমিই মুগ্ধ ভাইয়া।

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহাহাহাহাহাহাহা......বিলু+বিনু; রীতিমত বাল্যপ্রেমাহ!!!! কোনো বদমাশ আবার আপনার বিনা অনুমতিতেই এই ডায়েরী প্রকাশ করে দেয় নাই তো?????

একটা প্রশ্ন আছে, ধ্যাড়ধ্যাড়ে ছেলে কি???

ভাগ্যিস বিলু ট্যাবলেট খায় নাই; ইয়াব্বড় চুমু খাইছে, নাইলে এত্তসুন্দর একটা গল্প পেতাম কিভাবে??? বিলুকে বলবেন যেন বারবার হা-পিতাং করে লিখে, আরও ডায়েরী চাই

-অতীত

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই অতীত, আপনি দেখি মহা মহা মনোযোগী পাঠক।
বিলুর কথা আর বলবেন না, এই ছোড়া খালি প্রেমে পড়ে আর উঠে। ক্লাস ফোরে থাকতে প্রথম প্রেমে পড়েছিল তার এক সহপাঠিনীর (তার ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল, ছোকরার দৃষ্টি বরাবরই উর্ধ্বমুখী); ক্লাস এইটে প্রেমে পড়েছিল তার ক্লাসের আরেক মেয়ের (এইবারে সেকেন্ড গার্ল, ছোকরার দৃষ্টি ক্রমশই নিম্নগামী) ।

দেখা যাক, সামনে নতুন কোন বিলু-কিলিক্স বের হয় কিনা।

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম দুই লাইন পড়েই বুঝছি, তোর লেখা।
গল্প বরাবরের মতই দারুণ হইসে।

সিগ্নেচার দেয়া লাগবে না চিনতে পারছিস? চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ দোস।
আর আমিও কিন্তু তোর লিখার প্রথম কয়েক লাইন পড়েই বুঝতে পারি, কে লিখেছে। (ভদ্রতা করে না, সত্যি বলছি, খোদার কসম, তুই পারলে টেস্ট করে দ্যাখ !)

সাত্যকি

অপছন্দনীয় এর ছবি

ভালো সমাপ্তি - কিন্তু গল্প গল্পই, বাস্তবে উল্টোটা ঘটে।

আপনার এই পিচ্চির বয়স কত? লেখার ম্যাচিওরিটি স্কুল কলেজ দুটোই পার হওয়া মনে হচ্ছে হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা, ঠিকই ধরে ফেলেছেন ভাইয়া, গল্পটার চরিত্রের সাথে লিখার ম্যাচিওরিটির একটু গরমিল আছে। কি করব বলেন, খাঁটি ইম-ম্যাচিওরড ভাবটা আনার জন্যে আমাকে আবার বারো বছর পিছিয়ে গিয়ে লিখতে হবে ! মন খারাপ

সাত্যকি

পুনশ্চঃ আপনার জীবনের গল্প পড়ে আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম।

ওসিরিস এর ছবি

বেড়ে লিখেছেন মশাই।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

অতিথি লেখক এর ছবি

তাই বুঝি? তাহলে এরপর থেকে সাইজ-মত লিখবো। হাসি :)

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

মামা, আপনের প্রেস্টিজ এমনিতেই পাংচার্ড! আমরা কিন্তু সবই জেনে গেছি! হে হে হে!!!

--- থাবা বাবা!

অতিথি লেখক এর ছবি

ছি ছি, আমাকে এর মধ্যে টানছেন কেন? বলেন বিলুবাবুর প্রেস্টিজ পাংচার্ড।
দেঁতো হাসি

সাত্যকি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

গল্পের প্লট, সাসপেন্স, ক্লাইম্যাক্স, সমাপ্তি সব মিলিয়ে চমৎকার!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্লট, সাসপেন্স এইসব বলে গল্পটাকে বেশি আসকারা দিতে যাবেন না ভাইয়া।
গল্প লিখার সময় মাথায় ছাড়া-ছাড়া কিছু ভাবনা আসে, পরে সেইগুলির ঘাড় ধরে মিলিয়ে দিই। এইত্তো।

সাত্যকি

অদ্রোহ এর ছবি

বাহ! বেশ ছিমছাম গল্প।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আর ছিমছাম মন্তব্যের জন্যে তোমাকে একগুচ্ছ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

বাহ, চমতকার লাগলো দাদা
- ঐশ

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষের ভালো লাগাতেই আমার ভালোলাগা ভাই।

সাত্যকি

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

বাহ! বেশ তো!!

অতিথি লেখক এর ছবি

তাই বুঝি ? হাসি

সাত্যকি

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

গল্প খুবই ভালো লাগলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্য পেয়ে আমার তো আরো ভালো লাগলো হাসি

সাত্যকি

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

বেশ মজা তো ! গল্পটা ভালো লেগেছে দাদা। চলুক...

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠেলা না দিলে চলবে না দাদা। আমি গরুর গাড়ি।

সাত্যকি

নীল নয়না এর ছবি

অসাধারন লাগলো.........

অতিথি লেখক এর ছবি

আকাশ-নয়নাকে আমি কি বলে ধন্যবাদ দিব? হাসি

সাত্যকি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ভালো হইসে। কিন্তু বাচ্চার লেখ্য ভাষাটা আরেকটু, সামান্য একটু, সিম্পলিফাই করা যাইতো কি না ভাবা যায়। ( 'বাণী' বা 'পরামর্শ' হিসাবে নিয়েন না আবার। যেইভাবে মন চায়, সেইভাবেই লিখবেন, অবশ্যই)


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আর বইলেননা অনিন্দ্যদা। স্কুলে আমি রীতিমত তৎসম ভাষায় বাংলা রচনা লিখতাম। সেই বদ-অভ্যাস এখনো যায় নাই। মন খারাপ

সাত্যকি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ছিমছাম গল্প।

গল্পটা পড়ে আমার একসাথে দুটো গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো। ফরম্যাট আর ভঙ্গীতে সত্যজিতের -পিকুর ডায়েরি; আর সমাপ্তিতে শরদিন্দু বাবুর একটা বাবুতোষ গল্প, নাম বোধহয় ভোম্বল সর্দার।

অনিন্দ্য রহমান উপরে যা বলেছেন- তা আমারো মনে হয়েছে। গল্প লেখকদের কাছে আমার ব্যক্তিগত প্রত্যাশা একটু বেশিই- কাজেই পরের গল্প আরো নিঁখুত হবে এই আশায় রইলাম।
_________________________________________

সেরিওজা

দময়ন্তী এর ছবি

'ভোম্বোল সর্দার' খগেন্দ্রনাথ মিত্র'র লেখা| এই গল্পের সাথে কোনো মিল পেলাম না তো|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

দমুদিদি, খগেন্দ্রনাথ নয়। শরদিন্দুরই লেখা। নাম হয়তো ঐটে নয়। একটা পিচ্চির জবানীতে লেখা। ভোম্বল না হলে ভোলা বা ভোল্লা সর্দার হবে।

ঐ গল্পে মিলনটা কাকা-কাকীর মাঝে ছিলো। এই মিল আর কি।

_________________________________________

সেরিওজা

স্নিগ্ধা এর ছবি

@সুহান, শরদিন্দুর 'ভল্লু সর্দার'।

সাত্যকি - গল্প খুবই ভালো লাগলো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমেই তোমারে একগাদা ধন্যবাদ ভাই সুহান।
"ভোম্বল সর্দার" পড়া হয় নাই, তবে সত্যজিতের "পিকুর ডায়েরি" আমার পড়া। খুব মায়ামায়া একটা গল্প। আমি অংশবিশেষ তুলে দিচ্ছি।

আর এখন আবার আমার বিছানাতেই লিখছি ডাইরি আর পাতাই নেই এখন আর কেউ নেই খালি আমি আর দাদু আর একটা খালি মাছি আছে খালি খালি আসছে জালাতোন ভারি বদমাইস মাছিটা আর বাস এইবার পাতা শেস, খাতা শেস, বাস শেস।

কিন্তু এই গল্পটার সাথে আমার গল্পের ফরম্যাট/স্টাইলের তো মিল খুঁজে পাচ্ছি না ভাই। "পিকুর ডায়েরি - বিলুর ডায়েরি" নামে নামে এই মিলটুকুই কি তোমার ভাবনার কারণ?
এই গল্পের বস্তুর সাথে অন্য কোন গল্প মিলে গেলেও আমি একটু অবাক হবো, কেননা কিছু এগজাজেরেশান বাদ দিয়ে এই গল্পটা আসলে ঘুরেফিরে আমারই জীবনের গল্প।

থাক ওসব কথা, তুমি মন্তব্য করেছ এতেই আমি খুশি। মহা মহা খুশি।

সাত্যকি

সাবিহ ওমর এর ছবি

আরে, পুরা জাফর ইকবাল দেখি! সাধু, সাধু...

অতিথি লেখক এর ছবি

একদম ঠিক জায়গাটা ধরেছেন ওমর ভাইয়া।
আমি কি করব? যতবারই গল্পে বাচ্চা বাচ্চা ভাব আনতে যাই, ততবারই জাফর ইকবালের ভূত আমাকে খিমচে খিমচে ধরে।

সাত্যকি

দময়ন্তী এর ছবি

অত্যন্ত ভাল একটি লেখা|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতিথি লেখক এর ছবি

এইত্তো ফেললেন বিপদে+লজ্জায় দিদি।
এখন আমি কি উত্তর দিব কনতো? হাসি :)

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

"বিলু+বিনু" হাসি
আজকে এক রাস্তার পাশে দেয়ালে দেখলাম লেখা- "$+৳" খাইছে
গল্প চমৎকার হয়েছে, প্রথম লাইন থেকেই।
-----------------------
মৌন কথক

অতিথি লেখক এর ছবি

বলেন কি ভাই? ডলার + টাকা ??
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাত্যকি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

খুব ভালো লিখেছেন, পড়ে আনন্দ পেলাম। আরো লিখতে থাকেন সত্যকি। লিখতে লিখতে ইমপ্রুভমেন্ট-পারফেকশান সবই আসবে।

======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

এইটুকু উৎসাহের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

সাত্যকি

নাশতারান এর ছবি

সুন্দর, মায়া মায়া হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

খবদ্দার বুনোদি, এইসমস্ত কথা বলে আমাকে আপনার ঘাড়ে চড়তে দেবেন না দেঁতো হাসি

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ! ভালো লাগল।
---------------------------
-মাইনুল এইচ সিরাজী

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে একটা এত্তোবড় ধইন্যাপাতা

সাত্যকি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দারুণ!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

থেংকিউ (থেংকিউ ছাড়া আর কি কি ওয়ার্ড আছে ভাই বলেন তো)

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

এক কথায় অসাধারণ। সহজ সরল ভাষায় যে এত সুন্দর গল্প লেখা যায় এটা তার অন্যতম একটা দৃষ্টান্ত। ধন্যবাদ সাত্যকিকে সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য।

তিতাস।

অতিথি লেখক এর ছবি

আর এত সুন্দর করে বলা এই কথাটার জবাবে আমি কি উত্তর দেব সেটাও বলে যান শিগগিরি। হাসি

সাত্যকি

গৌতম এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

গৌতমদা, এই পোস্টটা নিয়ে আমি খুব শঙ্কায় ছিলাম। সচলিয়ানরা রাশভারিক্কি বিষয় ছেড়ে কি এত শিশুতোষ একটা গল্প পড়ে দেখবে?

সাত্যকি

সজল এর ছবি

গল্প ভালো লেগেছে। শুরুতে অবশ্য জাফর ইকবালের প্রভাব মনে হচ্ছিল (এটা খারাপ বলছিনা, হয়ত কাকতাল)। বাচ্চাদের মত চিন্তা করতে পারার ক্ষমতা বড়দের মাঝে খুব একটা থাকেনা, তোমার আছে দেখে ঈর্ষাই হচ্ছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

এত্তো পরে ঢুঁ মারলেন সজলদা ! আপনার মন্তব্য সর্বাগ্রে পাওয়া আমার সচলায়তনীয় অধিকার। হাসি :)

সাত্যকি

সচল জাহিদ এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

স্যার, আপনার উৎসাহ পেয়ে কি যে ভাল্লাগছে !
আমি বুয়েট, ইইই, ০৬ ব্যাচ।
আপনি কেমন আছেন?

সাত্যকি

সেকেলে এর ছবি

শেষটা যেন সত্যি হয়,,,,,,,,,,,,,,

অতিথি লেখক এর ছবি

বুঝলাম, আপনি বদদোয়াদাতা। দেঁতো হাসি
শেষটা সত্যি হলে আমার লাইফ একেবারে ফালা-ফালা হয়ে যাবে। অবশ্য তাতে আমার খুব একটা আপত্তি নেই দেঁতো হাসি

সাত্যকি

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে [অতিথি] এর ছবি

দারুন লাগলো পড়তে।
এরকম আরও আসুক।

ভাল থাকুন।।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা (ধন্যবাদ লিখতে লিখতে আমার হাতের আঙুল ব্যথা হয়ে যাচ্ছে)

সাত্যকি

জি.এম.তানিম এর ছবি

সুন্দওওওওওর! হাততালি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ভাই

সাত্যকি

তুলিরেখা এর ছবি

খুব সুন্দর।

বিলুটা কত পাকা দেখুন একবার! বাবা হলে কী কী করবে আর করবে না এখনই ভেবে রাখছে!
হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

হক কথা দিদি।
আজকালকার ছেলে ছোকড়া তো, এরা আইন্সটাইনের ল' মানে না। ভাবী ভবিষ্যৎ সবই এরা প্ল্যান করে রাখে।
দেঁতো হাসি

সাত্যকি

নৈষাদ এর ছবি

দেরিতে পড়লাম। ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

এইযে দেখেন না আমিও কেমন দেরিতে উত্তর দিলাম ! দেঁতো হাসি

সাত্যকি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

অনেক অনেক আগে আমার বান্ধবীর ছোটভাইএর ভাষায় আমি একটা আব্জাব লিখেছিলাম আমার ডায়রিতে, সেটার কথা মনে পড়লো! হাসি

খুব সুন্দর! পিকুর ডায়রির কথা আমারও মনে পড়েছিলো কেন জানি! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

"পিকু-বিলু" নামে নামে মিলে গিয়ে তো আমাকে আচ্ছা ফাঁপরে ফেলে দিলো দেখি।
মন খারাপ
না হে বালিকাপ্পু, গল্পটা আপনাদের সবাইকে "পিকুর ডায়েরি"র কথা মনে করিয়ে দিবে জানলে আমি আমার গল্পের শিরোনাম দিতাম "ঘটোৎকচের ডায়েরি"
দেঁতো হাসি

সাত্যকি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চরিত্রদু'টির নামের মিলের জন্যে না, দুটো কাহিনিতেই দুটো স্কুল পড়ুয়া ছেলের বাবা-মার সম্ভাব্য বিচ্ছেদ কাহিনি ডায়েরির পাতায় উঠে এসেছে বলে মিল লাগছে। আমারো প্রথমেই পিকুর ডায়েরির কথা মনে হয়েছিল। আর জাফর ইকবালের লেখার সাথে বিলু-বিনুর মিল আছে। হাসি
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এক কথায় চমৎকার। বিলুর ডায়েরির বাকি এন্ট্রিগুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

- না-ফিশ

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম, আমিও অপেক্ষায় রইলাম। তবে বিলু মনে হয় তদ্দিনে ম্যালা বড় হয়ে যাবে, বিয়েথাও করে ফেলবে দেঁতো হাসি
না হয় আমরা তখন "বিলু+বিনু"র যৌথ ডায়েরি পড়ব, অসুবিধা কি?

সাত্যকি

তিথীডোর এর ছবি

চমৎকার গল্প!
চলুক চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে থ্যাংকিউ তিথীপু।

সাত্যকি

ফাহিম হাসান এর ছবি

বিলুকে শুভেচ্ছা।
আপনার লেখা পড়ে মনটা ভাল হয়ে গেল। মধুর সমাপ্তির রেশটা থাকল বহুক্ষণ।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভেচ্ছা বিলুর কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
বিলুও আপনাকে রিটার্ন শুভেচ্ছা দিয়েছে ভাই।

সাত্যকি

তাসনীম এর ছবি

দুর্দান্ত। অনেকে পিকুর ডায়েরির কথা বলেছেন, কিন্তু আমার কাছে আপনার লেখা স্বকীয়তায় উজ্জ্বল মনে হয়েছে।

আরও লেখা আসুক...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও চাই ভাইয়া লিখা আসুক, কিন্তু লিখা কেন জানি খালি হাতের কবজি পর্যন্ত এসে আটকে থাকে মন খারাপ

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে বাবা!! সেইরকম লেখা লিখসো। চালায় যাও।

রুদ্র

অতিথি লেখক এর ছবি

ধইন্যবাদ হে বৎস।

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভীষণ ভাল লাগলো... হাসি

"চৈত্রী"

অতিথি লেখক এর ছবি

তাহলে আমারো ভাল লাগলো হাসি

সাত্যকি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ওরে বাপরে! আমি কি হনু রে! দেঁতো হাসি
ধন্যবাদ নজরুল ভাইয়া।

সাত্যকি

সবজান্তা এর ছবি

লেখাটা দারুণ লাগলো। সাবলীল, স্বকীয়।


অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

মাই গড! এত্তো এত্তো কম্পলিমেন্ট !

সাত্যকি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

প্রতিটা দিন আমার কাছে এখন দম বন্ধ করা অসহ্য মনে হয়। পড়ার টেবিলে একটুও মন বসাতে পারিনা। ইংরেজি বইয়ের একটা পাতা খুলে ঝাপসা চোখে তাকিয়ে থাকি, আর কান খাড়া করে শোনার চেষ্টা করি, বাবা-মায়ের মধ্যে কোন মান ভাঙানি কথা হয় কিনা।

খুব সুন্দর করে লেখা। এই ধরণের কষ্টগুলো যেন পৃথিবীর কোন প্রান্তের কোন বাচ্চাকে কখনো অনুভব করতে না হয়।
আরেকটা সামান্য লজ্জার কথাঃ
আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বড় হয়ে আমি যখন বাবা হব, তখন কখনো বড়দের মত রাগ করে থাকবো না। খালি হাসবো। ঘর কাঁপিয়ে হাসবো।

ঠিক! হাসি
আরো লিখুন। নিজের মতো করে লিখুন। চলুক
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমেই একশো একটা ধন্যবাদ যাযাপ্পু।
আপনার দুটো চিঠির উত্তর একসাথেই দিয়ে দিই, কেমন?

বিলু আর পিকুর জীবন-ঘটনায় তুলনা চলতে পারে, এর বেশি আর কিচ্ছুটি না। দুটো গল্পের আলাদা ভঙ্গিমা, শব্দচয়ন, বিন্যাস বিলু আর পিকুকে একেবারে দুই মেরুর বাসিন্দা করে দিয়েছে।
জাফর ইকবালীয় প্রভাব? হুম। প্রথম দুটি গল্পের পর (লাবুদি, ডাইনি) তৃতীয় গল্পটা খুব সঙ্গতভাবেই কারো ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে ঝকঝকে রৌদ্রের নিচে দাঁড়াবার আশা করতে পারে।
সেই আশার কতটুকু পূরণ করতে পারলাম, বিলুর গল্প শেষ করার পরের কয়েকটা মিনিট ওই ভাবনায় আমার হাতের কয়েকটা নখ দাঁতের কামড়ের নিচে তাদের পেলবতা নির্বিকারে বিসর্জন দিতে থাকে।

সাত্যকি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কেন পিকুর ডায়েরির কথা মনে পড়েছে তাই বলেছি, দুইটা একই স্টাইল তাতো বলি নাই। আর জাফর ইকবালের সাথে মিলটা কোথায় তা ভাবতে গিয়ে মনে হল, স্কুল, অমনযোগী হওয়া বিলু-বিনু তার গল্পে আসে। আসলে আমরা যাদের লেখা পড়ে বড় হয়েছি তাদের প্রচ্ছন্ন প্রভাব লেখায় থাকতেই পারে, এটা এমন কিছু বড় সমস্যা নয়। আগের দুটো গল্পতো পড়া হয় নাই, ঠিকাছে পড়ে দেখব।
তবে এই গল্পটা এমনিতেই ভালো লেগেছে, কোন কিছুর সাথে মিল পাই বা না পাই। সন্তানের অব্যক্ত কষ্ট এভাবে সুন্দর করে উপস্থাপন ভালো লেগেছে। লেখালিখি চলতে থাকুক। চলুক
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সপ্তর্ষি  এর ছবি

ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।