প্রিয় সেনাবাহিনী, আপনারা সুরক্ষিত আছেন তো?

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বুধ, ০৪/০৩/২০০৯ - ৯:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শত্রুপক্ষের হলে ও যে কোন মানবিক বিপর্যয়ে বেদনাতুর হওয়া প্রতিটি শুভবোধ সম্পন্ন মানুষের দায়িত্ব ।
বাংলাদেশের সাধারন মানুষ, যাদের আপনারা'ব্লাডি সিভিলিয়ান' বলেন- আপনাদের প্রতি তাদের ক্ষোভের অজস্র কারন থাকা স্বত্বে ও এই মানুষেরা আপনাদের প্রতি সহমর্মি হয়েছে ।

যে রাষ্ট্র গনপ্রজাতন্ত্রী সে রাষ্ট্র তার জনগনের খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসার চেয়ে ও অধিক ব্যয় করে আপনাদের জন্য । না কোন ক্ষোভ নেই, হয়তো এটা জরুরী জনগনের নিরাপত্তার জন্যই । আপনারা সদা প্রস্তুত দেশ ও জাতির সুরক্ষায় ।

কিন্তু ৩৭ বছরে দেশ ও জাতিকে কতোটা রক্ষা করলেন আর কতোটা নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করলেন- সে হিসেব ও এই মুহুর্তে তোলা শোভনীয় নয় ।

এদেশের কৃষক ও যে হালের লাঙ্গল ছেড়ে মেশিনগান ধরতে জানে সে তো প্রমানিত সত্য । ঐ কৃষকের সুরক্ষার জন্য আপনাদের প্রয়োজন নেই । আল্লাহর দোহাই নিজেরা নিজেদের রক্ষা করুন ।

২৫ তারিখের ঘটনার পর থেকে আমাদের মতো ব্লাডি সিভিলিয়ানদের ব্যক্তিগত মেইলে ও আপনাদের ক্ষোভ বার্তা আসছে । আপনাদের লোক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘবার্তায় জানানো হচ্ছে ঘটনা আসলে কি ঘটেছে, কে দায়ী ইত্যাদি ইত্যাদি ।

এর মানে কি?
আমরা শুনে এসেছি আমাদের সেনাবাহিনী নাকি পেশাগত দক্ষতায় অনন্য । শুনা কথার সাথে বাস্তবতার এই ব্যত্যয় যে ব্লাডি সিভিলিয়ানদের ব্যথিত করে ।

বছর দুয়েক আগে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার মহান দায়িত্ব নিয়ে আপনারা যখন রাজনীতিক চোর চ্যাচ্চরদের ধরা শুরু করলেন, তখনো আমরা ইন্টারনেটে পেয়ে গেলাম আপনাদের ইন্টারোগেশনের অডিওবার্তা ।

আমাদের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিক ভাবেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী, আপনাদের সর্ব্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ।শুধু আপনাদের প্রান বাঁচানোই তার দায়িত্বর মধ্যে পড়েনা, আমাদের মতো হাজার হাজার সিভিলিয়ানের প্রান নিয়ে ভাবনাটা ও তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ।
তাই তার গৃহীত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা, তাকে আপনাদের কাছে যেতে বাধ্য করা, তার সাথে অভব্য আচরন করা আপনাদের অধিকার ভুক্ত সেই প্রশ্ন ও করছিনা ।

আমার মতো ব্লাডি সিভিলিয়ানরা ক্ষুব্ধ হলে এরপর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি এসে জবাবদিহী করবেন কিনা, আপনাদের কামড়াকামড়ি নিহত রিক্সাওয়ালা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, অজ্ঞাত শিশু ক্ষতিপূরন পাবে কিনা সে প্রশ্ন ও মুলতবী থাকলো ।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে এত্তেলা পাঠিয়ে যে সভা বসালেন, যে সভায় কোন মিডিয়াকে থাকতে দিলেননা- সেই সভার অডিও টেপ কি করে ইন্টারনেট এ ছড়ালো সুপ্রিয় সেনাবাহিনী ?
ঐখানে তো প্রধানমন্ত্রী আর আপনারা ছাড়া আর কেউ ছিলোনা?

আপনাদের অধীনস্তরা বিদ্রোহ করে বসে, শতাধিক অফিসার খুন হয়ে যায়- আপনাদের গোয়েন্দা ইউনিটগুলো লেবেঞ্চুষ চোষে, ঘটনা ঘটার পর কে দায়ী তা নিয়ে বিশাল বার্তা লিখে সিভিলিয়ানদের মেইল করে আপনাদের লোকেরা, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আপনাদের অত্যন্ত স্পর্শকাতর সভার অডিওবার্তা শুনা যায় মাউস ক্লিক করেই ।

মারী ও মড়ক, শত্রু ও শংকার সাথে লড়াই করে আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ানরা যেমন করেই হোক টিকে আছি, সুরক্ষা আমাদের কোনদিনই হবেনা, এইরকম ভাবে কোনমতে টিকেই থাকবো শেষপর্যন্ত

কিন্তু কৃষকের সার, বীজ না কিনে যে আপনাদের জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ কেনা হয়- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুটির বই না ছাপিয়ে আপনাদের উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয় সেই আপনারা অন্ততঃ সুরক্ষিত থাকুন । আছেন তো?

প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেনাকর্মকর্তাদের বৈঠকের অডিও টেপ(ইন্টারনেট থেকে পাওয়া)


মন্তব্য

শামীম আরেফিন এর ছবি

আমার তো মনে হয়, এরা ইচ্ছে করেই এইসব ছড়ায় আমপাবলিকের কাছে নিজেদের ক্রেডিবিলিটি বাড়ানো আর রাজনীতিবিদদের হেয় করার জন্য ।
এতো সুরক্ষিত একটা সভার কথাবার্তা বাইরে আসে কেমনে? নিশ্চয়ই কোন অফিসার রেকর্ড করে ছাড়ছে ।
আর যা শুনা গেলো, এর নাম প্রফেশনালিজম । ছি!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এদেশের কৃষক ও যে হালের লাঙ্গল ছেড়ে মেশিনগান ধরতে জানে সে তো প্রমানিত সত্য । ঐ কৃষকের সুরক্ষার জন্য আপনাদের প্রয়োজন নেই । আল্লাহর দোহাই নিজেরা নিজেদের রক্ষা করুন ।

এক হাজার বার সহমত এই কথায়।

সেনাবাহিনী কি শেখ হাসিনাকে যেতে বাধ্য করেছেন কিনা জানি না। ভাবতে ভাল লাগে যে প্রধানমন্ত্রী নিজেই গিয়েছিলেন; যাওয়া উচিত ছিল। এত বড় হত্যাযজ্ঞের পর অনেক ক্ষোভ, শোক থাকবার কথা। সেই জমে থাকা আবেগের বিস্ফোরণ অস্ত্রের বর্ষনের বদলে শব্দের গর্জনে হওয়া ভাল। ব্যক্তিগত আক্রোশ-প্রসূত আর কোন হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না।

এই টেপটা কীভাবে বাইরে এলো, তা ভাবার মতই। অবশ্য, বের না হলে অনেক কিছুই জানতাম না। আমার কাছে প্রতিক্রিয়াগুলো অস্বাভাবিক লাগেনি। নিকটস্থ কেউ মারা গেলে এটুকু মাতম মানুষ করতেই পারে। আশা করি শোক কেটে গেলে তাঁরা আত্মশুদ্ধির কাজটিও করবেন।

শেখ হাসিনার সঞ্চালনা ভাল লেগেছে। অনেক সংযমী ও অভিজ্ঞ লাগছে এবার।

সবজান্তা এর ছবি

গুল্লি

আপনার তুলনা নাই মোরশেদ ভাই, প্রত্যেকটা কথা একদম শেলের মত...


অলমিতি বিস্তারেণ

অমিত এর ছবি

একটা গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রীর সংগে সেই দেশের আর্মি অফিসারদের কথোপকথন মনে হল না এটা। একদল সদ্য তারুণ্যপ্রাপ্ত ছাত্রদের এরকম আচরণ মানায়। ট্রেইনড আর্মি অফিসারদের না।অন্যকে দোষ দেয়ার চেয়ে এখন আত্মশুদ্ধিটা বড় বেশি প্রয়োজন।

সবজান্তা এর ছবি

পার্বত্য অঞ্চলে নির্বিচারে খুন হয়ে যাওয়া মানুষেরা কি কোনদিনও প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের মাঝে পাবেন ? এরকম উদ্ধত ব্যবহার করতে পারবেন?


অলমিতি বিস্তারেণ

রেনেট এর ছবি

এত অল্প কথায় এরকম লক্ষ্যভেদী কথা বোধহয় আপনার পক্ষেই বলা সম্ভব চলুক
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার তুলনা নাই মোরশেদ ভাই, প্রত্যেকটা কথা একদম শেলের মত...

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

গৌতম এর ছবি

লিংকগুলো ওপেন হতে অনেক সময় লাগছে। এমন ব্যবস্থা কি করা যায় যে ডাউনলোড করে শুনতে পারবো?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

গুল্লি উত্তম জাঝা! গুরু গুরু

অভিবাদন লও কমরেড ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রায়হান আবীর এর ছবি

অসাধারণ লেখা। চলুক

আমরা শুনে এসেছি আমাদের সেনাবাহিনী নাকি পেশাগত দক্ষতায় অনন্য

আমার একটা প্রশ্ন ছিল। এতোই দক্ষ আপনারা অথচ ২৫ তারিখের পর পুরা এলাকাটা ঘেরাও করতে পারলেন না ঠিক মতো?

হাজার হাজার জওয়ান ৫ নং গেট দিয়ে পালিয়ে গেল। সেনাবাহিনীর সবচে বড় সমস্যা তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী কে ধোয়ার সাথে সাথে নিজেদের ভেতরের গলদগুলোও বের করার চেষ্টা করুন। তাতে করে আপনাদেরই লাভ হবে।

=============================

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অডিও বার্তার প্রকাশ শুনে তাজ্জব বনে গেলাম। এটা কিভাবে সম্ভব হলো। এমনটি তো হওয়ার কথা নয়। আর প্রধানমন্ত্রী'র সাথে সেনা অফিসারদের আচরণও গ্রহনযোগ্য মনে হয়নি।

রাফি এর ছবি

লিঙ্কগুলো শুনে হতভম্ব। এটা কিভাবে সম্ভব হল?
??????????????????????????????

দ্বিতীয় টেপে লে.ক. কামরুজ্জামান বলেছেন তারা ১৫০ অফিসার উপস্থিত ছিলেন. সেনাবাহিনীর পক্ষ হতেও সে হিসেবে ৭২ জন নিখোঁজ় বলা হচ্ছিল, হঠাৎ করে গতকাল পত্রিকায় দেখলাম যে ৭২ জন নয় ৬ জন নিখোঁজ ছিল।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে ১৫০ এমন বড় কোন সংখ্যা নয় যে তা আন্দাজ করতে ৬৫ জনের হেরফের হবে।
তাহলে এই সংখ্যা বিভ্রান্তি কামরুজ্জামান কেন ঘটালেন??
নাকি বাকি ৬৫ জন ঘটনার পর escape করেছিলেন?

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

মূর্তালা রামাত এর ছবি

প্রথমত কনফিডিয়ানশিয়াল টেপটি যে বাইরে এসেছে তাতেই সেনাবাহিনীর দূর্বলতা চোখে পড়ে যায়। এরকম দূর্বল সেনাবাহিনী দেশে থাকলে বিডিআরের মতো আরো অনেক ঘটনাই ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দ্বিতীয়ত, তারা নিজেরাই যদি টেপটি বাজারে ছেড়ে থাকে জনতার সহানুভূতি পাবার আশায়, তবে সে গুড়ে বালি। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বক্তব্য বা কথা বলার ধরণ ভালো লাগেনি।

আপনজনের মৃত্যুর পর এধরণের উত্তেজিত বক্তব্য তারা দিতেই পারেন। কিন্তু তাদের সামনে যিনি বসেন আছেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী এটাও মনে রাখা প্রয়োজন। তার সাথে এমন আচরণ কখনোই শোভনীয় নয়।

মূর্তালা রামাত

দিগন্ত এর ছবি

পুরোটা শুনলাম। আচ্ছা এরা যদি প্রধানমন্ত্রীর সামনেই এরকম করে তাহলে অধস্তন বিডিআর-দের সাথে কি ব্যবহার করত? আমি আবার বিডিআরের দাবীর যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

লেখা যথার্থ। তবে এ মুহূর্তে কিঞ্চিত সংযত থাকছি আর কোনো কারণে নয়, সেনাবাহিনীকে রক্ষা করার জন্য। তাঁরা নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম নন বৃহত শক্তির বিরুদ্ধে, গোপন সংস্থার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। তবু রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করার কর্মসূচির বিপক্ষে সংহতির পক্ষে আছি। সেটা ব্লাডি সিভিলিয়ান ও সেনাবাহিনী উভয়ের জন্যই ফরজ আজ। এরকম দুর্ভাগা জাতি আর কে আছে, যার সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক সরকার আর জনগণের মধ্যে কোনো সংহতি নাই? এসব ঘটনা সেই ফাঁককে আরো বড়ই করছে মাত্র।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

দিনমজুর [অতিথি] এর ছবি

----সেনাবাহিনীকে রক্ষা করার জন্য। তাঁরা নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম নন বৃহত শক্তির বিরুদ্ধে, গোপন সংস্থার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। তবু রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করার কর্মসূচির বিপক্ষে সংহতির পক্ষে আছি। ---

সেনাবাহিনীকে রক্ষার জন্য আপনে এত উতলা কেন?
এখানে যারা সেনাবাহিনীর সমালোচনা করছেন- (আপনি স্বীকারও করছেন যে- সেগুলো যথার্থ)- সেই সমালোচনার কারণে সেনাবাহিনীর রক্ষাকার্য তাতে কিভাবে বিনষ্ট হচ্ছে?

বৃহৎ শক্তি/ গোপন সংস্থা মানে কি? কারা? আপনি কি করে নিশ্চিৎ? সেনাবাহিনী তথা রাষ্ট্র কি ধরণের সংকটের মুখোমুখি??? রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করা মানে কি? এই রাষ্ট্র, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে কি আপনার ব্যর্থ মনে হয় না?

ব্যর্থ ব্যবস্থাকে ব্যর্থতা থেকে রক্ষা মানে কি- সেনাবাহিনীর গীবত না গাওয়া????

আপনার অবস্থান দেখে চুড়ান্ত রকমের হতাশ!!!!

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

জনাব দিনমজুর, আপনার অবস্থানটা আমি বুঝি। ওটা আমাদের অনেকেরই সাধারণ অবস্থান, আদর্শিক অবস্থান। সাধারণ-আদর্শিক পরিস্থিতিতে ওরকম করাই যথার্থ। কিন্তু আদর্শ শোষণমূলক পরিস্থিতি, আদর্শ বিপ্লবী পরিস্থিতি, আদর্শ সেনাবিরোধী পরিস্থিতি পুস্তকে লেখা থাকে, ফলে আমাদের মাথাতেও থাকে। থাকে বলে, আপনার লেনিন কথিত 'নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট বিশ্লেষণটি' অনেক সময় আমাদের করা হয়ে ওঠে না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান মার্কসবাদী কার্ল কাউটস্কি তাই পিতৃভূমি রক্ষার নামে বিসমার্কের হাতকে শক্তিশালী করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন, আর রোজা লুক্সেমবার্গ তার বিরোধিতা করায় হয়ে যান ভীর ও আপসকামী। আর এর এমপিরিকাল প্রমাণ আমাদের বামপন্থি ভাইদের অবস্থা। গত একদশকের রাজনৈতিক সংকটগুলোতে সেকারণে তাঁদের প্রায় কোনো ভূমিকাই নাই। এই দ্বন্দ্বে তাঁরা আরো অবান্তর হয়ে যেতে পারেন_ তাঁদের অনেক কর্মীদের অনেক ত্যাগ-সংকল্প ও আশাবাদ সত্বেও।

তাহলে কেন আমি বলছি, সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দূরত্ব কমাতে? কেন দাঁড়াচ্ছি সংহতির পক্ষে? এর সহজ উত্তর হচ্ছে, আমি ভয় পেয়েছি বা বিক্রিত হয়ে গেছি, অথবা আমার বুদ্ধিনাশ হয়েছে। এসব যদি আপনার জিজ্ঞাসাকে সন্তুষ্ট না করে, তাহলে আপনাকে আহ্বান জানাই অন্যভাবে ভাবতে। তা ভাবলে, জাতীয় রাষ্ট্র ও জাতীয় সেনাবাহিনীকে জাতীয় চরিত্র বজায় রাখতে প্রথমেই দাবি তোলা দরকার:
১. সেনা-বিডিআর বাহিনীকে কোনো সিভিল-রাজনৈতিক কাজে নিয়োজিত করা যাবে না। বিশেষ দুর্যোগের পরিস্থিতি ছাড়া। সেটাও করতে হবে সিভিল প্রশাসনের মাধ্যমে। কেননা এতে করে সিভিল বলয়ের সমস্যা আরো বাড়ে এবং উভয়ে উভয়ের খারাপ গুণাবলির দ্বারা সংক্রমিত হয়।
২. জাতিসংঘে কারো আন্তর্জাতিক স্বার্থে সেনাবাহিনীকে ভাড়া খাটানো যাবে না। কোনো দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী অন্য কোনো দেশের হয়ে বা অন্য কারো অধীনে কাজ করার অর্থ, তাদের টাকার জোরে প্রভাবিত হওয়া, আনুগত্যে চিড় ধরা এবং জাতীয় নিরাপত্তার জ্ঞান পাচার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়া। আর এধরনের মিশন যে বাহিনীগুলোকে টাকার লাইনে বিভক্ত করে ফেলে সেটা তো দেখাই গেল।
৩. সেনাবাহিনীকে কোনো রাজনৈতিক দলের ও শ্রেণীর পক্ষ ধারণ করা চলবে না।
৪. নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে উচ্চ-নিম্ন বিভাজন (হায়ারার্কি) কমিয়ে আনতে হবে। এর কলোনিয়াল দখলদারি গঠন পাল্টে গণতান্ত্রিক ও জনমুখী করতে হবে।
৫. জাতির প্রতিটি তরুণকে সৈনিকতার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

আপনি যে প্রশ্নগুলো করেছেন,

বৃহৎ শক্তি/ গোপন সংস্থা মানে কি? কারা? আপনি কি করে নিশ্চিৎ? সেনাবাহিনী তথা রাষ্ট্র কি ধরণের সংকটের মুখোমুখি??? রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করা মানে কি? এই রাষ্ট্র, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে কি আপনার ব্যর্থ মনে হয় না?

এগুলোর উত্তর নানানসময়ে আমি দিয়েছি। আমার জরুরি অবস্থার আমলনামা: বাংলাদেশের সিভিকো-মিলিটারি-কর্পোরেট গণতন্ত্র নামের বইয়েও কিছুটা চেষ্টা করা হয়েছে খোলাসার। আশা করি, আপনি সেগুলো জানেন। না জানলেও না মানলেও এগুলোর উত্তর আজ আমাদের খুঁজতেই হবে। এ বিষয়ে আপনার ধারণাগুলো জানতে চাই। তার ভিত্তিতে আরো কথা বলা যেতে পারে। আপাতত বলে রাখি, রাষ্ট্র বিরোধিতা নৈরাজ্যবাদীরাও করে, বিপ্লবীরাও করে। সেকারণে রাষ্ট্র বিরোধিতা মাত্রই প্রগতিশীল কাজ তা বলা যায় না।

ব্যর্থ ব্যবস্থাকে ব্যর্থতা থেকে রক্ষা মানে কি- সেনাবাহিনীর গীবত না গাওয়া????

তাহলে কি গীবত গাওয়া এসবকে বাতিলের লক্ষ্যেই হচ্ছে? কারা করছে? কেনই বা করছে? যে মিডিয়া গত দুই বছর একটানা সেনাবন্দনা করে গেছে।

আমাদের অনেক বন্ধুও যখন ১/১১ এর কোনো বিকল্প ছিল না বলে মত প্রকাশ করেছেন, তখন কিন্তু এই শর্মা সেনা সরকারের মূল মিশনটি তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল চিন্তায় ও কাজে। যাহোক,বিদ্রোহের দিন হঠাৎ সেই মিডিয়া সেনাবিদ্বেষী হলো কেন? সামান্য বিরতির পর আবার তারা একযোগে না হলেও বড় অংশটি সেই লাইনে নামতে যাচ্ছে কেন? (মিলিয়ে নেবেন কয়েকদিন বা সপ্তাহ পরে) উদ্দেশ্যটা কী আপনাকে ভাবিয়েছে?

যখন আমরা এ সমালোচনাগুলো করি, তখন ভাবি যেন সেনাবাহিনী কোনো স্বাধীন, স্বতন্ত্র ও মুক্ত সংগঠন। অতীতে বিভিন্ন সময় তাদের যে ভূমিকাগুলো গণতন্ত্র ও জনস্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়েছে তার অনেকগুলোই তারা করেছে অসেনা বিভিন্ন শক্তির সহযোগী হয়ে, আদিষ্ট হয়ে কিংবা প্রভাবিত হয়ে। এই নেটওয়ার্কটি বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে না। তাদের বাদ দিয়ে একা সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে কার হাত পাকা করা হচ্ছে?

আমি মনে করি, যুগটা জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের যুগ। এরকম যুগে আমাদের জাতীয় রাষ্ট্র-জাতীয়তাবাদী রাজনীতি এবং জাতীয় সেনাবাহিনীর দরকার রয়েছে। আমার প্রশ্ন, কর্পোরেট ইন্টারেস্ট, সিভিল সোসাইটি, তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ইত্যাদি ফেলে সকল কর্ণার থেকে একযোগে সেনাবাহিনীর ওপর চেপে বসা কেন? সব বিরোধিতাই কিন্তু প্রগতিশীল নয়।

বিদ্রোহের প্রথম দিনই আমি রাজনৈতিক সরকার টিকিয়ে রাখার পক্ষে বলেছিলাম জোরশোরে। তার মানে কি আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছিলাম! আমার এ যাবতকালের লেখালেখি. হুশিয়ারি, পূর্বাভাসগুলো দয়া করে মিলিয়ে নেবেন। সামনে আরো বড় দুর্যোগ আসছে। আমার বিশ্বাস, ভবিষ্যত আমাকে প্রমাণ করবে।
আমি গোয়েন্দা নই, আমার নিরিখ যুক্তি-অভিজ্ঞতা-আন্তর্জাতিক ও দেশীয় রাজনীতির বিন্যাস এবং আমার মতাদর্শ।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

নির্বাক এর ছবি

আপনার সাথে আমি একমত ফারুক। ভালো লাগলো আপনার বিশ্লেষণটি।
_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

অপ্রিয় এর ছবি

হোয়েন ঘোস্টস্ লুক ফর ঘোস্ট বাস্টারস্ - পাকিস্তানী এলিটিস্ট এবং ইউনিপোলার ডিফেন্স স্ট্যাটেজি পরিবর্তন করতে হবে, না হলে এ দুরত্ব কমবে না, রাজনীতিতে সামরিক প্রভাব (এবং উল্টোটাও) থেকেই যাবে।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

হিমু এর ছবি

আমি মনে করি, একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে পূর্ণ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী এতো বেশি পোর্টফোলিও নিজের কাছে রেখেছেন, যে দুর্যোগ পরিস্থিতিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামলাতে সমস্যা হতে পারে।

যতদূর জানি, সেনাবাহিনীর অফিসাররা মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর [যে দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজেই পালন করছেন]। পত্রিকায় ছাপা ছবিতে স্টেজে ব্যানারে সেরকমই লেখা ছিলো।

আমি বেশ কিছু কারণে বিস্মিত।

  • সেনা অফিসাররা এই দুর্যোগে দায়ী করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। তাঁদের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তখন গঠিত হয়েছে কি হয়নি, তার আগেই তাঁরা বিভিন্ন ধারণার ওপর ভিত্তি করে অভিযোগের আঙুল তুলছেন রাজনৈতিক প্রশাসনের দিকে। এটি অনভিপ্রেত।

  • সহকর্মীদের মৃত্যুতে তাদের ক্ষোভ বা দুঃখ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের কথা শুনে মনে হয়েছে, সিনারিওটি তারা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। পিলখানার চতুর্দিকে বিপন্ন বেসামরিক জনতার কথা তাদের প্রস্তাবিত অপারেশনে উঠে আসেনি।

  • সম্পন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে তারা নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোয়ার্টার গার্ডে বন্দীদের কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্ধার করে আনলেন না, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঐ সময়ে এ কাজটি সম্পন্ন করার মতো সহযোগিতা "বিদ্রোহী"রা করেছে কি না, সেটি বিবেচনায় রাখেননি তারা।

  • যে অফিসার এই অডিওটি রেকর্ড করেছেন এবং বিতরণ করেছেন, তিনি সেনা অফিসারসুলভ আচরণ করেননি। আমরা বেসামরিক লোকজন এই দুর্যোগে বিভিন্ন ফরওয়ার্ডেড মেইল পেয়েছি, নাম প্রকাশ করে এবং বেনামে সেনা অফিসার পরিচয় দিয়ে মনগড়া অনেক কথাবার্তা সেসময় ছড়ানো হয়েছে। এগুলি সামরিক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কি না সে প্রশ্ন তুলতে চাই।

  • সংসদে সেনাবাহিনী নিয়ে আলাপে আপত্তি জানিয়েছেন এক অফিসার। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পূর্ণ অধিকার আছে সংসদে নির্ধারিত বিষয়ে আলাপ করার। আলাপের অধিকার নিয়ে কোন সেনা কর্মকর্তা আপত্তি জানানোর অধিকার রাখেন না, বড়জোর বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করতে পারেন (সরকারী কর্তা হিসেবে তা-ও পারেন কি?)।

সরকারের প্রতি ভুক্তভোগী বেসামরিক জনতার একজন হিসেবে আমার আবেদন,

  • একজন তরুণ ও শক্তপোক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়োজন আমাদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারবহনে সাহারা খাতুন অযোগ্য না হলেও অশক্ত। এ কাজে শারীরিক ফিটনেস প্রয়োজন। আমরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের অনুপস্থিতি দেখে বিস্মিত। শুনেছি তিনি দেশের বাইরে আছেন। তার দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে।

  • সেনাবাহিনীতে পদোন্নতি বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে সেনা অফিসাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়টি সরকারের ভেবে দেখা উচিত। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দূরবর্তী রাজনৈতিক যোগাযোগের কারণে একজন অফিসারের পদোন্নতি না হওয়া অনুচিত।

  • "বিদ্রোহী"দের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে নানক একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে দেখেছি, তিনি এই ঘটনা জেনেছেন দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে, এবং অকুস্থলে পৌঁছেও তিনি লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য দলীয় কর্মীদের সাহায্য চেয়েছিলেন [হ্যান্ডমাইক]। তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে হয়তো তা করতে পারেন, কিন্তু তখন ব্যাপারটি দাঁড়ায় "বিদ্রোহী"দের সাথে আওয়ামী লীগের নেগোসিয়েশন, সরকারের নয়। সরকার ও রাজনৈতিক দলের এনটিটির মধ্যে পরিষ্কার বিভেদরেখা দেখতে চাই। সরকারী কাজে সরকারী রিসোর্স ও পদ্ধতি ব্যবহৃত হওয়া জরুরি, তা না হলে অনেক প্রশ্ন ওঠে পরে।

সেনা অফিসারদের প্রতি অনুরোধ, আপনাদের কাজের চরিত্রের প্রয়োজনে আপনারা মানুষের সাথে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন, কিন্তু সেটি যেন খুব বেশি হয়ে না যায়। ঘটনার পরদিন পরিচিত এক অফিসার ফোনে গর্জন করে আমাকে বলেছিলেন, মাই স্টেট ইজ আন্ডার অ্যাটাক। আমি তার সাথে সহমত। আপনাদের অসহিষ্ণুতা এই আক্রমণকেই আরো জোরদার করবে। হোল্ড দ্য লাইন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দিগন্ত এর ছবি

পিলখানার চতুর্দিকে বিপন্ন বেসামরিক জনতার কথা তাদের প্রস্তাবিত অপারেশনে উঠে আসেনি।

আর্মি ছাড়া আর কারো স্বার্থের কথা কি আদৌ এসেছে? কয়েক হাজার বিডিআর, যাদের অধিকাংশই হয়ত এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়, অপারেশন চললে মারা পড়তে পারত ।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

পরবাসী  এর ছবি

Hats off হাসান মোরশেদ ভাই
আমিও একটা মেইল পেলাম
From an Army Officer:
Our beloved People of Bangladesh:
Take the salute of Bangladesh Army. We know that you feel now how much you were bluffed at Pilkhana by the so called "cause" of the BDR jawans on 25th February 2009. You at first thought that they were right...they were deprived. But you see, we are the army, given birth, trained and fed by the people's money. we can never betray our people, our nation. if we wanted, we could bring martial law in the country on 1/11 or anytime after that.
Here is the true story of BDR:
1. Before 2002, only very average army officers were posted to BDR. Those officers used to pass time and wait for retirement. the scenario was changed in late 2002, when army started to pump in outstanding oficers to BDR to shape up the national border and curb cross-border crime and smuggling. If you plz recall, Phencidil was introduced by india in Bangladesh across benapole in the mid 1980s at the cost of Tk 2 per bottle. once they captured our young brains, they raised the price gradually and now they have phency factories all along Bangladesh border only to supply to Bangladesh. this is just an example of cross-border crime. so, to guard our beloved land, army started pumping very good officers into BDR. Before 2002, the BDR jawans were very rich through the earning of smuggling. their sepoys and naiks and havilders had buildings and house that even officers can only dream of. After 2002, smuggling and its sharing by BDR jawans started coming down. capture of smuggling figures, if you can manage, will rightly prove that. therefore the young BDR jawans that were pictured from pilkhana were the young ppl with 5-10 years of service who couldn't earn from smuggling. their seniors told them, "You see, we have made house when we were sepoy, but you can't have now because army officers are making money and not sharing with you." this is theme they used to motivate the young jawans.
2. whenever there is an encounter with BSF, always we are the winner. Plz remeber the incidents of Roumari, Padua etc.. But all that appear in media is about our casualty only, rightly for the purpose of diplomacy principle. as long as army officers lead BDR, BSF will never win any single battle, they will always be in the loser's end and india will not be able to pump in drugs, fake currency and other harmful things into Bangladesh. the DADs of BDR are the worst losers. they are educated officers but can't do anything because of army officers.
3. If you take another glance of Point 1 and 2 above, you will realise that if you were the enemy of Bangladesh, you would surely do the folowing:
• Capitalise on point 1 to motivate DADs and young BDR jawans against the army officers
• if BCS officers are posted, the shrewd DADs would be able to easily bluff the innocent and educated BCS officers, threat them, and earn money.
4. this is the point on which our enemy used to motivate and raise the point of "nirjaton and bonchona" by army officers. If there were any such "bonchona and nirjaton" in this new millennium, could it be kept hidden from your eyes and from the eyes of international media and also from the people of Bangladesh? IMPOSSIBLE!
5. Now come to 25th February:
• RAB arrives at Pilkhana gate at about 10am and ready to move in. Home Ministry said a stubborn "No".
• Troops of Mirpur Cantt and Dhaka Cantt arrives at Pilkhana by 11:30am. they seek permission to go in. Again a big "No"
• Innocent Media people, bluffed by the BDR jawans, focus to the nation the good side or the "right cause" of rebellion BDR. they ask for BCS officers.... !!!
• Govt sends nanok and others and they enter courageously into BDR Pilkhana and safely come back and they are not held hostage.
• At 4:30pm, army tanks are ready to go in, briefing done, again a big "No". The army is told to go 3 km away from Pilkhana.
• Night comes. sahara and nanok enter BDR and all lights are off. sahara visits families of army officers without nanok as seen on TV channels through BTV footage. she does not, we repeat DOES NOT meet any army officer of BDR.
• media people telecast live sound of firing from inside Pilkhana when sahara is inside.
• sahara comes out and faces the media. some channel representative asks her "Apni jokhon vitorey chilen, amra goolir shobdo shunlam, apni shunen ni?" she say "No. I did not hear any firing". sahara did not mention anything about the 168 officers inside, nor the media asked her where were the officers.
• THIS WAS BECAUSE AT THAT TIME BDR WAS COMPLETING THE TOTAL KILLING OF ALIVE OFFICERS AND THIER FAMILIES UNDER THE EYES OF NANOK AND MASS GRAVES WERE BEING PREPARED. Please refer to the Ntv exclusive with major Mokarram on 28th evening. He said that he heard the voice of home minister entering into the kote when he was surrounded by BDR gunmen.
• IG police freely moved in because his daughter and son in law capt haider was inside. he ensured the rescue of his daughter, married 82 days earlier.
• only police is allowed to enter pilkhana and throughout the night they find only 7 dead bodies and suggest that search could not be done due to darkness.
• NON-MILITARY AMBULANCES ENTER AND LEAVE PILKHANA A NUMBER OF TIMES AND TAKES AWAY SO MANY DEAD BODIES...BUT THE TOTAL STILL REMAINS 7. only 5-7 other bodies appear from canal behind BDR naturally floating. IT WAS BECAUSE ABOUT 32 KILLERS WERE TAKEN AWAY BY THOSE AMBULANCES.
• Next morning there is no sign of bodies. Bodies and mass graves are discovered after army and fire brigade (fire brigade boss is a brigadier of army) enter into pilkhana late in the morning.
• Size and depth of mass graves indicate that killers used the whole night to dig those and also to FLY AWAY from PILKHANA. only about 200 fools of BDR were left at Pilkhana.
• Nanok in a media briefing in front of Pilkhana declares that "It was a big conspiracy" and lac lac crore taka were distributed in Pilkhana." DEAR MEDIA, HE WAS RIGHT. BECAUSE EACH DAD WORKING AT PILKHANA GOT TK 25 LAC between 22 and 24th February, distributed by nanok's men.
6. you see how brutally the representative of Bangladeshi people, elected just 50 days back-- sahara, nanok, mirza azam and jalil...all of them ensured that your officers and their familes, the officers of Bangladeshi people, are killed and molested. Only about 37 or 57 officers were killed in our War of Liberation 1971 by pakistanis in 9 months. and our own ministers and MPs ensured that more than 140 officers and families are killed in about 24 hours!!! What an achievement of our nation!!
7. BCS officers in BDR, and no officer from army, would ensure that another Rakhkhi Bahini could be in the making.
8. added fuel to the fire was the corruption of DG and other very few officials in 'operation daal vaat'. we regret that and we apologise to the nation.
9. It is now clear that nanak and DAD tauheed had been communicating each other for last 1 month plus.
They r classmates.
your home minister and nanak arranged the safe exit of all 13-14,000 BDR troops from Pilkhana throughout the night.
Bangladesh army was not allowed to fire on the plea that "peaceful negotiation' was going on. we are servant of govt. we can't but abide by orders.
If we were allowed to enter Pilkhana even at 4pm on 25th february, we could save many innocent lives. ask the people from the area/village of the dead officers. they all will say that those were our golden sons of the soil......truly so. they prove it in UN missions. that is why Bangladesh is the largest troops contributing country to UN. it is not India, Pakistan, US, Canada...it is poor Bangladesh! how strange..... ...!!!!!
We are not asking you to believe this email. We are requesting you to use your judgement.
Please let the People of Bangladesh know what your judgement say. Do something for the nation...in exchange of 140+ lives of your families.... .your officers...your sisters...martyred at Pilkhana by .......
If your judgement concludes that what were said in this mail in the name of Allah are true, please forward to all possible contacts. Let the world know what you understand to be the truth.. it is your responsibility as a human being. is not it?

হিমু এর ছবি

আমি ফরওয়ার্ডেড মেইল ট্র্যাকব্যাক করে দেখলাম আরাফাত পরাগ নামে জনৈক ব্যক্তি একটি ইয়াহুগ্রুপে মেইলটি করেছে, সেটি বিএমএ ৪৭ লং কোর্সের। তবে অরিজিনেটর সে-ই কি না তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

Manik এর ছবি

Shena bahini je shober urdhe, ai audio setai proman kore.. Bangladesh aa goto 38 years aa lakhe lakhe bludy civilian mara porse. aj porjonoto Prime Minister ke kono din jobab dihi korte hoe nai. Ai prothom PM ke army'r kat gorae darate holo..

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সচলায়তনে বাংলা লিখতে alt+crtl+f চাপুন



অজ্ঞাতবাস

হিমু এর ছবি

না। কন্ট্রোল + অল্ট + পি বা কন্ট্রোল + অল্ট + ইউ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সুমন চৌধুরী এর ছবি
s-s এর ছবি

মোরশেদ আমিও গতকাল টেপটি পেলাম, দেবো কি না দেবো চিন্তা করছিলাম তার মধ্যেই আপনার এ লেখাটা দেখলাম।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার ধারণা ছিলো সেনাবাহিনী আরো সুশৃঙ্খল বাহিনী। এত সুনাম শুনি, দেখি। তাদের আলোচনার টেপ বাইরে আসে কিভাবে?

কিছু কিছু বক্তব্য (বিশেষ করে ব্যাকগ্রাউন্ডের কথাবার্তা) খুব মজার। কয়েকটা উদ্ধৃতি দেই,
"মহিলা মানুষ লাফ দিয়ে চলে গেছে" (এখানে মহিলা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী),
"আমরা বেকুব না"।
"আপনি কি সুযোগ-সুবিধা দিছেন, একটা একটা করে বলেন।" (ব্যাকগ্রাউন্ডে) "কিছু দেন নাই।"

এরকম প্রতিক্রিয়া দেখে আমার কাছে খুব অবাক লাগছে। তবে একটা কনফিডেন্সিয়াল মিটিংয়ের আলোচনা বাইরে আসায় বোঝা যাচ্ছে, শর্ষের মধ্যেই ভূত আছে। কেউ চাইছে সেনাবাহিনীকে তথা সরকারকে বিপদে ফেলতে। জনগণের বিপরীতে সেনাবাহিনীকে দাঁড় করিয়ে দেয়ার চক্রান্ত রোধ করার বুদ্ধি হাঁটু বাহিনীর নেই। সরকারের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ওপর সবকিছু নির্ভরশীল।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

Tusar এর ছবি

No doubt that the points of writing are good. But, I don’t support this kind of one-sided writing. And especially, when I can’t believe our politicians. There are some positive things are also in army. You are blaming just the army.. but what we do.. in play ground we fight.. in university we fight.. we are a crazy nation.

হিমু এর ছবি

ভাইরে এমন সাপোর্টার থাকলে অপোনেন্ট লাগে না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সবজান্তা এর ছবি

সিভিলিয়ানদের দোষটুকু না হয় মেনে নিলাম। কিন্তু এই টেপের ব্যাপারটিকে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন অর্থাৎ, টেপটা বাইরেই বা এলো কীভাবে আর এমন উদ্ধতস্বরের রহস্যই বা কী ?

আশা করি আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের অবস্থান জানার অবকাশ এবং প্রয়োজনীয়তাটুকু আমাদের আছে।


অলমিতি বিস্তারেণ

আশরাফ ফারুক (পলাশ) এর ছবি

আমেরিকার মত দেশের-ও অনেক সিক্রেট টেপ বাইরে আসে।
আমাদের খেয়াল রাখতে হবে রক্তের দাগ এখনো যাইনি।
এত বেশি সেনা অফিসারকে ভয়ানকভাবে হত্যার পর উত্তেজনার ব্যাপারটাতো অস্বাভাবিক নয়।

আমি বরং ইশতিয়াক রউফ -র সাথে একমত।
"সেই জমে থাকা আবেগের বিস্ফোরণ অস্ত্রের বর্ষনের বদলে শব্দের গর্জনে হওয়া ভাল"

আর তাছাড়া আমার মনে হয় টেপের লিংক দেয়া হাসান মোরশেদ ভাই-র ও উচিত হয়নি। এভাবে টেপগুলো ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ক্ষতি ছাড়া অন্য কিছু হচ্ছেনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আজকাল তো আরো আল্লাদ বেরেছে তাদের। দেশের মিলিটারি ভাইদের আবার ইন্টারনেট আক্সেস ভালোই আছে, তাই 'ফ্রম এ ক্যপ্তেন' জাতিয় লেখা ছড়ানো হচ্ছে অদ্ভুদ সব যুক্তি দিয়ে। এর মধ্য আবার এরশাদ আংকল আহল্লাদে বলে ফেলেছেন, সেনাবাহিনী নিয়ে সংসদে কিছু কটুক্তি করা যাবে না, তিনি হাসিনাকে সবাধান হতে বলেছেন। রঙ্গের গনতন্ত্র আমাদের

Arman

মৃদুল এর ছবি

আমার মনে হয় এই টেপটি আমাদেরও অনেক আগে বিএনপি-জামাতের কাছে চলে গিয়েছিল। তাদের অনুসারী অফিসাররাই এই রেকর্ডের কাজটা করে থাকতে পারে। কারণ জামাতের প্রথম বিবৃতি আর পরের বিবৃতির মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য দেখা গেছে- সেটা আমরা প্রথম আলো রিপোর্টেই দেখলাম। বিএনপিও প্রথমে চুপ থেকে এবং পরে সরকারকে সাহায্য করতে প্রস্তুত এই ধরণের বিবৃতি দিচ্ছিল কিন্তু এখন তারা বলছে, "সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা ভুল হয়েছে, অভিযান চালালে ক্ষতি অনেক কম হত"।

সহকর্মীদের মৃত্যুতে দিশেহারা আর্মি অফিসারদের সাধারণ মানুষ ও নিরীহ জোয়ানদের নিরাপত্তা কথা বিবেচনা না করে তোলা এই দাবীগুলোর সাথে জামাত-বিএনপির এখনকার সংবাদ সম্মেলনের ভাষার যথেষ্ট মিল খুঁজে পাচ্ছি। তারা অফিসারদের মনস্তত্ত্ব বুঝেই এই সংবেদনশীল বিবৃতিগুলো দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

একটা জায়গায় প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হল, এত বিডিআর কিভাবে পালাল। বিডিআর সদর দপ্তর ঘেরাও করে রাখার দায়িত্বতো আর্মির উপরই ছিল। আমরা দেখলাম আপনারা ট্যাঙ্ক, সাজোয়া যান, ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিশাল ততপরতা চালাচ্ছেন, তবুও এত জোয়ান কিভাবে পালাল এই প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীকে করা নিতান্তই অবান্তর।

তবে অবশ্যই আর্মি একটা বিশাল ধন্যবাদ পাবার দাবী রাখে। এত দুর্যোগের মধ্যেও তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেনি এবং বিশাল ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য অপেক্ষা করে। এই ঘটনা এবং ৯/১১ এর পূর্ববর্তী সময়ের ভূমিকার জন্য মইন ইউ আহমেদের প্রতি আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক শ্রদ্ধা অনুভব করি- তিনি অন্তত বাংলাদেশের সাবেক অনেক সেনাপ্রধানের মত মাথামোটা নন। অনেক ক্ষেত্রেই তিনি ধীরে সুস্থেই পদক্ষেপ নেন বলে মনে হয়েছে।

শিক্ষানবিস এর ছবি

চলুক
লেখাটা ভাল লাগল। আর্মির উচিত এই বিষয়গুলো ভেবে দেখা...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শোক-তাপ আছে, থাকবে তারপরেও দেশের সবচেয়ে সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যদের তাদের সবচেয়ে বড় অভিবাবকের সাথে এমন আচরণ 'সুশৃঙ্খল' মনে হলো না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আমাদের সেনাবাহিনীর দক্ষতার মান দেশের আর দশটা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি কিছু নয় এই বোধহয় প্রমাণ হয়।
এই ক্যাডেট কলেজ, এই গাছের গোড়ায় রং লেপার বাজেট, মডেল কলেজ, শান্তিরক্ষা বাহিনীর চাকুরি কোনো কিছু দিয়াও মানটা বাড়ানো যাচ্ছে না। চিন্তার বিষয়।

হাসান মোরশেদের লেখার উত্তম জাঝা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ভিন্নমত এর ছবি

একমূখী মন্তব্য। সেনাবাহিনীকে কটাক্ষ করে প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

মির্জা সোহেল  এর ছবি

অসাধারন লিখেছেন হাসান ভাই।
ভালো আছেন?
অনেক দিন পর নেটে বসে আপনার দেখা পেলাম। আমাকে চিন্তে পেরেছেন। সিলেট বন্ধুসভার প্রথম দিক কার দিনগুলি কি মনে পড়ে এখনো??

অনেক মিস করি আপনাদের কে

মির্জা সোহেল

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মির্জা সোহেল,
ভাই আমার- না চেনার মতো এতোটা দূরে এখনো যাইনি আমি । কেমন আছো, কোথায় আছো?
এই মন্তব্য চোখে পড়লে মেইল করো । ভালো লাগবে ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ব্লাডি সিভিলিয়ান এর ছবি

একটি বিষয় খেয়াল করছেনা কেউ মিটিং হয়েছে ৩ ঘন্টা । পুরো মিটিং এর কনটেন্ট কেউ জানে না । কনফিডেন্সিয়াল মিটিংএর সিলেক্টেড (?) ক্লিপ বাইরে এসেছে । যে বা যারা এটা ডিসক্লোজ করেছে তারা নিসন্দেহে আর্মীর লোক সুতরাং কথা হল বাকি মিটিংএ কী আরো ব্যবহারের খারাপ ব্যবহারের নমুনা ছিল?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুবই মারাত্মক লেখা চলুক

রণদীপম বসু এর ছবি

যে সুশৃঙ্খল বাহিনীর বজ্র আটুনির ভেতর এমন ফস্কা গেরো, যে বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রধানের সামনে সামরিক পোশাকে নিজেদের তীব্র আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন দুঃখজনক ব্যর্থতার পরিচয় দিলো তাঁদের প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা কতোটা অটুট থাকবে তা কি তাঁরা ভেবে দেখেছে !

এমন নিজস্ব গোপনীয়তাও তাঁরা স্বেচ্ছায় রক্ষা করতে পারলো না ! এগুলো কোন ভালো ইঙ্গিত বহন করে না।

এসব দেখেশোনে নিজেকে হতাশায় আক্রান্ত করতে সত্যি কষ্ট হচ্ছে খুব....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অসাধারণ বিধ্বংসী লেখাটার জন্য মোরশেদ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
আর সেইসাথে জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধ্রুব হাসান এর ছবি

হাসান ভাই এই মূহুর্তে আপনার এই লেখাটার পক্ষ নিতে পারলাম না বলে দুঃখিত। এই মূহুর্তে এসব জিনিষ আমাদের মধ্যে বিভক্তি ছাড়া কিছু তৈরী করতে পারেনা! একই সাথে যে বা যারা আমাদের দেশের অবকাঠামো ভেঙ্গে ফেলার জন্য এসব টপ সিক্রেট অডিও বের করে দিয়েছে তাদের প্রতিও ধিক্কার জানাই। অনুরোধ করবো, যারা আসলেই চেয়েছিলো আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙ্গে ফেলতে তাদের যে কোনভাবে সুযোগ করে না দিতে!

সবজান্তা এর ছবি

এই ক্লিপটা মনে হয় গত চব্বিশ ঘন্টায় বাংলাদেশের শতকরা ৮৫-৯০ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে গেছে। সবাই নিজ দায়িত্বে, বুঝে বা না বুঝেই, মেইলটা ফরোওয়ার্ড করছে। সেখানে মোরশেদ ভাই না লিখলে কি খুব হেরফের হতো ?

এরকম একটা টেপ বের হওয়াটাই মানতে পারা যায় না ...


অলমিতি বিস্তারেণ

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

পার্বত্য অঞ্চলে নির্বিচারে খুন হয়ে যাওয়া মানুষেরা কি কোনদিনও প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের মাঝে পাবেন ? এরকম উদ্ধত ব্যবহার করতে পারবেন?

মনের কথাটি বলে দেবার জন্য সবজান্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার নামকরণের সার্থকতা প্রমাণিত হলো!


প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি

নামহারা এর ছবি

আল্লাহর দোহাই নিজেরা নিজেদের রক্ষা করুন ।

সহমত।
ব্যাপারটা সিপাহী বনাম অফিসার থেকে আর্মি বনাম বিডিআর হল, তা থেকে আবার আর্মি বনাম সিভিলিয়ান গভমেন্ট হয়ে গেল কেমন করে? এই টেপ এই ইমেল যারা প্রচার করে তারা আসলে কি চায়? হাসান ভাইকে পোস্টের জন্য জাঝা!

নদী এর ছবি

হাসান মোর্শেদ, আপনি যে কষ্ট থেকে লিখেছেন তা বুঝতে পারি।
ইশতিয়াক রউফ, ফারুক ওয়াসিফ, ধ্রুব হাসান ও সবজান্তা- আপনাদের সাথে সহমত।
আমাদের এলাকায় একটা কথা প্রচলিত আছে, "পাগলা নাও বান ডুবাস"। পাগলের উত্তর হল, "ভাল কতা মনে করাইয়া দিছছ"। এই পাগল যেমন সাধারন জনতায় আছে তেমনি রাজনৈতিক নেতাতেও আছে ( আমি নিশ্চিত না যে, তাদের রাজনৈতিক নেতা বলা যায় কিনা)।
সরকারবিরোধীরা একটা মেসেজ দিতে চেয়েছে; তাই এই টেপটা এখন অনেকের পিসি-তে জায়গা নিয়েছে। আমি বলব, আপাতত তারা সফল।

সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা কারণ বাংলাদেশ ইউরোপ নয়।

টেপ শোনার পর মনে হয়েছে, শেখ হাসিনা আসলেই একজন নেতা। এবং সাহসী । একজন অভিভাবক পরিবারে শান্তি আনার জন্য সকলের কথাই শুনেন, তাতে সদস্যদের প্রকাশ ভংগি আলাদা হবেই। অভিভাবক দায়িত্বশীল হলে শান্তি আসতে বাধ্য। মিটিংটাকে মিটিং মনে হয়নি; মনে হয়েছে পারিবারিক বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা। অভিভাবক হিসাবে শেখ হাসিনাকে অসাধারণ মনে হয়েছে। শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নাই। She proved herself as the daughter of Sheikh Mujib, the father of our nation.

আমি নিজে প্রচন্ড আশাবাদী মানুষ। আকাশে মেঘ দেখলে জানি, এটা কেটে যাবে; যদিও বৃষ্টি বা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। আমাদের সংযত ও দায়িত্বশীল ভাষা বা মতের জন্যই পরিবেশ আবার অনুকূল হবে সোনার বাংলা গড়ার।

নদী

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

এত বিশ্লেষন, সমালোচনার পরও মনে রাখতে হবে, মিটিঙ-এ যারা ছিল, তারা শোকাহত, বিক্ষুব্ধ ও প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে উত্তেজিত ছিল। যা যা কথাবার্তা, গালমন্দ হয়েছে - তা সবই একজন সব-হারানো মানুষের আচরন।

তবে যেটা খারাপ লেগেছে, তাদের এটিচিউড - আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ানই রয়ে গেলাম!

সংকল্প এর ছবি

অসাধারণ লিখেছেন। আমরা বরাবরই যেন একদিকে হেলে থাকি। যে কোন একদিকে গা ভাসিয়ে দেয়ার কোন মানে নেই। আমরা সকলেই এই ভয়াবহ হত্যাকান্ডের জন্য সেনাবাহিনীর সাথে সমব্যাথী। কিন্তু তাই বলে এরকম নীতি বহির্ভূতভাবে কথোপকথন টেপ করা ও তা বাইরে প্রচার করার কড়া সমালোচনা না করে থাকা যায় না। থাকা উচিতও না। এই নির্মম ও জঘন্য ঘটনাকে পুঁজি করে যারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় বা তাতে সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তারা আরো নির্মম ও জঘন্য।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

একটা ডিসক্লেইমার দেয়া বোধ হয় জরুরীঃ-

বাংলাদেশের খাঁটিকরুন বাস্তবতায় একজন সাধারন মানুষ হিসেবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আমার যৌক্তিক ক্ষোভ সবসময় ছিলো, এখনো আছে, না থাকার কোন কারন নেই ।

কিন্তু এই মুহুর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করা কিংবা তাদের বিরুদ্ধে লিখে ক্রেডিট নেয়ার কোন ইচ্ছে নেই মোটেও । যে সেনা অফিসাররা নিহত হয়েছেন- তাদের প্রস্তুতিতে রাষ্ট্রের যে ব্যয় হয়েছে নাগরিক হিসেবে তাতে আমারো অংশীদারিত্ব আছে । মানুষ হিসেবে আমি ও শোকাহত ।

আমি বরং আমার সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে আতংকিত । এতোজন অফিসার নিহত হলেন, নিঃসন্দেহে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরাট ফাঁকের সুযোগ নিয়েছে ঘাতক দল । যারা আমাদের নিরাপত্তা দেবেন ,তাদের নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগে সুনিশ্চিত হওয়া জরুরী ।

রাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ ব্যক্তির সাথে তাদের সভার বিষয়বস্তু আমাদের মতো সাধারনদের কাছে প্রকাশ হওয়াটা তারা ভালো মনে করেননি, তাই মিডিয়াকে ও থাকতে দেয়া হয়নি । অথচ সেই সভার অডিও বার্তা ইন্টারনেটে!

আমি আমার সাধারন চিন্তায় মনে করি, এটা ও বড় ধরনের নিরাপত্তাহীনতা । এটা আমাদের সেনাবাহিনীর প্রফেশনালিজমকে প্রতিনিধিত্ব করেনা । প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাদের কথাবার্তা আবেগের বিস্ফোরন হতে পারে কিন্তু অডিওবার্তা প্রচার করা উদ্দেশ্যমুলক এবং অন্যায় ।

এর উৎস খুঁজে বের করা সেনাবাহিনীর নিজের জন্যই মঙ্গলজনক ।

আমরা সাধারন নাগরিকেরা নিজেদের এবং আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর সকলের নিরাপত্তা প্রত্যাশা করি, তাইতো?

সকলকে ধন্যবাদ ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

Anis এর ছবি

I think it was the responsibility of the govt to protect the officers especially when they were on duty. If there is 100 robber attacks one man I think it is wise to save that one person at the cost of even 100 robbers. Even if BDR had some truth in their claims, even though they gained reputations durig their services; they lost face as a whole for the misdeeds of a fraction of their troops. Bottom line is THE STATE SHOULD DO ANYTHING AND EVERYTHING TO PROTECT ITS EMPLOYEES, ESPECIALLY WHEN THEY ARE ON DUTY. Some may have anger against army. But it should not be a justifyable pretext for the inactiveness of the govt.

পলাশ দত্ত এর ছবি

Dear Mr. Anis,
I had decided not to comment on this post.
But ur comment has forced me to do so.

U said,
THE STATE SHOULD DO ANYTHING AND EVERYTHING TO PROTECT ITS EMPLOYEES, ESPECIALLY WHEN THEY ARE ON DUTY. Some may have anger against army. But it should not be a justifyable pretext for the inactiveness of the govt.

And then? as we know, the top line is IF NECESSARY THE STATE SHOULD ARRANGE TO KILL ITS CITIZENS TO PROTECT SOME OF ITS EMPLOYEES. YES THE STATE HAS TO DO SO. AS THE CITIZENS AREN’T STATE’S EMPLOYEE.

hahahahaha

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো প্রথম আলোতে ২রা মার্চেই (মিটিংয়ের পরদিন) কিন্তু এই মিটিংয়ের বিস্তারিত খবর এসেছিলো
আর্মির ভেতরে কি হচ্ছে/হয়েছিলো সেটা কিছুটা আঁচ করতে পারছি

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

গৌরীশ রায় এর ছবি


কিন্তু এই মুহুর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করা কিংবা তাদের বিরুদ্ধে লিখে ক্রেডিট নেয়ার কোন ইচ্ছে নেই মোটেও । যে সেনা অফিসাররা নিহত হয়েছেন- তাদের প্রস্তুতিতে রাষ্ট্রের যে ব্যয় হয়েছে নাগরিক হিসেবে তাতে আমারো অংশীদারিত্ব আছে । মানুষ হিসেবে আমি ও শোকাহত ।"

মোরশেদ ভাই, আপনি শোকাহত হবার কথা বলছেন। আবার বলছেন নিহত সেনা অফিসারদের প্রস্তুতিতে আপনার অংশীদারিত্বের কথা। বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে আপনার শোকটা কি সেনা অফিসারের নিহত হওয়ায় নাকি আপনার অংশীদারিত্বের অপচয় হলো বলে?
একথা বলে কি আপনি নিহত শহীদের অপমান করছেন না?


যে রাষ্ট্র গনপ্রজাতন্ত্রী সে রাষ্ট্র তার জনগনের খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসার চেয়ে ও অধিক ব্যয় করে আপনাদের জন্য

বাংলাদেশের বাজেট – ২০০৮ বিশ্লেষন করলে দেখা যায় (প্রথম আলো ১০ জুন)
সুদ – ১২.৬%
শিক্ষা ও প্রযুক্তি – ১২.৩%
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ -- ১১.৩%
কৃষি -- ৯.১%
জন প্রশাসন – ৯.১%
সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যান – ৮.২%
স্হানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন – ৬.৪%
প্রতিরক্ষা – ৬.৪%
অর্থাৎ প্রতিরক্ষার অবস্হান ৮ম স্হানে ।
আপনি আসলে কোন ব্যায় বোঝাতে চাচ্ছেন পরিষ্কার না।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মানবপ্রজাতির একজন হিসেবে যে কোন মানবিক বিপর্যয়ে আমি শোকাহত হই, এমনকি সে্টা দানব রাষ্ট্র পাকিস্তানে ভূমিকম্পে প্রানহানী হলে ও, পোষ্টের শুরুতেই এটি বলেছি ।

আর সহকর্মীদের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই যেখানে সেনা অফিসাররাই নিজেদের রুটি-মাংসের হিসাব করছেন প্রধানমন্ত্রীর সংগে( অডিওটা শুনুন, কি পেয়েছেন তারা তার জবাব চাচ্ছেন) সেখানে একজন করদাতা হিসেবে আমি আমার অংশীদারিত্বের হিসাবটুকু করলে নিহতদের অপমান হয় কি করে?
একজন সিভিলিয়ান হিসেবে যদি প্রশ্ন রাখি- সেনা অফিসারদের মৃত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষিত হয়, কোটি টাকার ক্ষতিপুরনের আশ্বাস মিলে- কই একজন রিক্সাওয়ালা, হকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যে মরলো তার বেলা জাতির বিবেক নিরব কেনো?
তাদেরকে কেনো কেউ 'শহীদ' বলেনা? নিহত রিক্সাওয়ালার স্ত্রীকে ঋন করে স্বামীর দাফনের ব্যবস্থা করতে হয়!

আমাকে কি দয়া করে বলবেন-পিলখানার ঘটনা আলাদা গুরুত্ব বহন করে কেন? কেনো পিলখানায় নিহতরা 'শহীদ'? এটা কি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আন্তঃহত্যার আরেকটি উদাহরন মাত্র নয়? ৭৫ থেকে '০৯ পর্যন্ত এরকম আন্তঃহত্যা কি আরো ঘটেনি? আমরা কি আমাদের সত্যিকারের বীরদের( খালেদ মোশাররফ, হুদা, হায়দার) হারাইনি ? জিয়াউর রহমান যখন পাঁচ শতাধিক এয়ার ফোর্স অফিসারকে লাইন ধরে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলো সেটা কি কম বর্ববরতা ছিলো?
সেদিন মিডিয়া ছিলোনা আর আজ মিডিয়া আমাদের বিবেককে উন্মুক্ত করেছে শোকাহত হওয়ার জন্য - এই তো ।

বাংলাদেশের বাজেটে প্রতিরক্ষা ব্যায় ৮ নম্বরে । এর মধ্যে যে বিশাল শুভংকরের ফাঁকি আছে- সেটা নিয়ে কোন সময় আলাদা পোষ্টের আশা রাখি ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

গৌরীশ রায় এর ছবি

হ্যা, মোরশেদ ভাই
অডিও আবার শুনলাম, আপনার প্রতিউত্তরও পড়লাম।
আগের মন্তব্যতে একটি লাইন লিখেও কেটে দিয়েছিলাম সেই লাইন এই মন্তব্যে লিখে দিচ্ছি, ক্ষমা করবেন, লাইনটি ছিল
আপনার মন্তব্যের এই অংশটা অত্যন্ত আপত্তিকর মনে হলো

এক এক করে আপনার আলোচ্য বিষয় গুলোতে চোখ বুলাই


সেখানে একজন করদাতা হিসেবে আমি আমার অংশীদারিত্বের হিসাবটুকু করলে নিহতদের অপমান হয় কি করে?

নাহ, কোন অপমান হত না, সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার আসন বরং চিরস্থায়ী হত যদি নায্য হিস্যাটুকু জীবিত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করে দাবী করতেন। যে মূহুর্তে সামরিক অফিসাররা শহীদ হয়েছেন
সেই মূহুর্তে তাঁরা আপনার অংশীদারিত্বের হিসাবটুকুর বাইরে চলে গেছেন। এই মূলগত বোধের জন্য তাত্বিক বিশ্লেষনের প্রয়োজন নেই মোরশেদ ভাই স্বাভাবিক চিন্তাশক্তিই যথেষ্ঠ।

একজন সিভিলিয়ান হিসেবে যদি প্রশ্ন রাখি- সেনা অফিসারদের মৃত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষিত হয়, কোটি টাকার ক্ষতিপুরনের আশ্বাস মিলে- কই একজন রিক্সাওয়ালা, হকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যে মরলো তার বেলা জাতির বিবেক নিরব কেনো?

জাতির বিবেক নীরব থাকলে আপনি একজন হাসান মোরশেদ রিক্সাওয়ালা, হকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের কথা লিখতেন না। পত্রিকা ওয়ালারা ও এই খবর ফেরী করত না। হিমু একটি লিখা লিখেছিলেন দীপালি সাহাকে নিয়ে, আমার কাছে এটাই জাতির বিবেক। আর ক্ষতিপুরনের আশ্বাস পত্রিকার আর্কাইভ ঘাটলেই যথাযো্গ্য ক্ষতিপুরনের পরিমান আপনি পেয়ে যাবেন, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিও প্রামান্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

আমাকে কি দয়া করে বলবেন-পিলখানার ঘটনা আলাদা গুরুত্ব বহন করে কেন?

আলাদা গুরুত্ব বহন করে এইজন্য যে,
শুধুমাত্র রাজনৈতির বিচক্ষনতার জন্য আন্তঃবাহিনী যুদ্ধ নামক নির্মম লজ্জা থেকে দেশ মুক্তি পেয়েছে, যার পরিনতি গৃহযুদ্ধ পর্যন্ত হতে পারত। আরও হাজার হাজার লাশ পিলখানায় পড়ে থাকাতে পারত, জাতির বিবেককে আরও ভারী বোঝা টানতে হত।

কেনো পিলখানায় নিহতরা 'শহীদ'?

প্রশ্নটি গুরুতর বৈকি। কর্নেল গুলজার যিনি জঙ্গি দমনে নিজের যথার্থতা প্রমান করেছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁর প্রাণও বিপন্ন হতে পারত, নয় কী? যিনি জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও দেশের জন্য কর্তব্য পালনে পিছপা হননি, তিনি যখন নিরস্ত্র অবস্হার নিহত হন তখন তাঁকে তাঁদেরকে শহীদের সম্মানটুকু দেয়া কী খুব অন্যায়?

সামরিক বাহিনীতে অন্তভুক্তি মানেই স্বদেশের যে কোন দুর্যোগে প্রানবাজি রাখা। আজ যদি ভারত বা মায়ানমারের সাথে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, সমরক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য প্রথম যারা প্রানত্যাগ করবেন তাঁরা এই সামরিক বাহিনীর সদস্য। এই সদস্যরা যখন নিরস্ত্র অবস্হার কতিপয় বিদ্রোহী নামধারীদের গুলিতে নিহত হন তখন তাঁদেরকে সম্মান জানানো আমি আমার নিজের কর্তব্য বলে মনে করি।
এবং রাষ্ট্র যখন এই সেনা নায়কদের শহীদের সম্মান দেন, আমি আপ্লুত হই।
আমি কী আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করতে পারি কেনো পিলখানায় নিহতরা 'শহীদ' নয়?

হিমু এর ছবি

গৌরীশ রায়ের বক্তব্যের সাথে সহমত।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আপত্তিকর মনে হলে অবশ্যই বলবেন । আমার মনে করার কিছু নেই । আপনি আপনার ভাবনা প্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই রাখেন ।
যেমন আপনি ভাবছেন সামরিক অফিসাররা নিহত হয়েছেন বলে তাদের জীবিতকালীন কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা । আমি তা মনে করছিনা । এই সৌজন্যটুকু ব্যক্তি বা সামাজিক পর্যায়ে করা যায়- রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নয় । আর বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর সাথে জনগনের আন্তঃসম্পর্ক এতো মধুর কখনোই ছিলোনা যে সবকিছু ভুলে যেতে হবে । নিহত অফিসারদের জন্য শোক, হোক সেটা সশস্ত্র বাহিনীর আভ্যন্তরীন হত্যাযজ্ঞ । কিন্তু এই অফিসারদের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িত ছিলেননা, সামরিক বাহিনীর অধরা দুর্নীতি থেকে তারা মুক্ত ছিলেন - এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার আগে কি করে অংশীদারিত্বের দাবীটুকু ছাড়ি?

আপনি ভাবছেন- নিহত বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে এক হাসান মোরশেদ কিংবা হিমুর ব্লগ লিখা, পত্রিকা ওয়ালাদের খবর ফেরী করা আর প্রধানমন্ত্রীর ফাকা বুলিই জাতির সরব বিবেকের প্রমান । আমি তা মনে করছিনা ।
মনে করতে পারছিনা এই কারনে যে, নিহত সেনা অফিসারদের সম্মানে যখন জাতীয় শোক চলছে, জাতীয় পতাক মোড়ে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত করা হচ্ছে ( অবশ্যই তা করা উচিত, আমার পূর্ন সমর্থন) তখন নিহত রিক্সাওয়ালার স্ত্রীকে ঋন করে স্বামীর দাফন করতে হয়েছে । রাষ্ট্রীয় সম্মান তো দূরের কথা লোকটার খবর পর্যন্ত কেউ নেয়নি । এমনকি বিডিআরের যে সুবেদার মেজর বিদ্রোহীদের গুলীতে নিহত হয়েছেন তিনি ও রাষ্ট্রীয় সম্মান পাননি ।
এর মানে কি? যারা সংঘবদ্ধ সশস্ত্র, যাদের শক্তি আছে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার- রাষ্ট্রের সম্মান কেবল তাদের প্রাপ্য?

আপনি সেনাবাহিনীর কাজকে বিশাল দেশপ্রেম ভাবছেন । আমি তা মনে করতে পারছিনা । আমার কাছে সেনাবাহিনী প্রজাতন্ত্রের বেতনভূক কর্মচারী মাত্র ,যেমন সরকারী অফিসের একজন কেরানী । তাদের কাজ ঝুঁকিপূর্ন বলেই প্রজাতন্ত্র তাদেরকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে তারা ও এই বাড়তি সুবিধাটুকু নিচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেনদরবার করছেন তাদের 'দেশপ্রেমের' মজুরী আরো বাড়ানোর জন্য ।

'শহীদ' একটা রিলিজিয়াস টার্ম যদি ও এটা ধর্মীয় সীমানার বাইরে ওবহুল ব্যবহৃত। তবু দেশের প্রেক্ষাপটে '৫২, '৭১, '৯০ এর আত্নত্যাগীদের বাইরে এই টার্ম ব্যবহার করতে আমার সংরক্ষনশীলতা আছে । 'শহীদ' এর সম্মানে ভূষিত করা হয়ে আত্নদানকারীর আত্নদানের কার্যকারন দিয়ে, তার জীবদ্দশার ভূমিকা দিয়ে নয় । সালাম, বরকত বেঁচে থাকতে কি করেছেন সেটা আমরা জানিনা তবু তারা আমাদের মহান শহীদ তাদের আত্নদান আমাদের জাতিগত কল্যানের কারনে ছিলো বলে ।
নিঃসন্দেহে কর্নেল গুলজার অত্যন্ত দক্ষ সেনা অফিসার ছিলেন । হয়তো সৎ ও ছিলেন । শায়খ রহমানকে গ্রেপ্তারের কৃতিত্ব তার কিন্তু তিনি তো জংগীদমনে গিয়ে নিহত হননি ।
শুনতে স্বস্তিকর নয় তবু এটাই সত্য পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মতো আরো বহুহত্যা কান্ড সশস্ত্র বাহিনীতে হয়েছে । খালেদ মোশাররফের মতো বীরকে ভারতীয় দালাল কলংক নিয়ে সমাহিত হতে হয়েছে আর ভাত-ডাল কর্মসূচীর দুর্নীতিতে নাম জড়ানো অফিসারকে ও শহীদ আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্র সমস্ত দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে । জীবিত অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেগুলো নিশ্চয় সমাহিত তাদের সাথে । কে জানে বেঁচে থাকা বাকী অফিসাররা সহকর্মীদের মৃত্যুর সুযোগে সারাজীবনের জন্য ধরাছোয়ার বাইরে চলে গেলেন কিনা?

পিলখানার ঘটনায় বেসামরিক নাগরিকদের আবেগ ও চিন্তার যে 'সামরিকায়ন' দেখছি সেটা আমার মতো ভাবনার সংখ্যালঘু নাগরিকদের জন্য আশংকার হলে ও বাংলাদেশের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনকারী সেনাবাহিনীর জন্য নিশ্চয়ই আনন্দবার্তা ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হিমু এর ছবি

সেনাবাহিনীর চরিত্র তো সময়ের সাথে বিবর্তিত হয়। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তো আপনি আপনার মনমতো সেনাবাহিনী পাবেন না। আপনার যে প্রস্তাবনা, অতীত অপকর্মের কথা সর্বদা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীর তিরস্কার, তা কি সেনাবাহিনীর সাথে বেসামরিক কাঠামোর দূরত্ব কমাবে?

সেনাবাহিনী সম্পর্কে মানুষের বিদ্বেষ যদি বাড়তেই থাকে, জামাতশিবিরের ডেডিকেটেড পোলাপান আর সেনা অফিসারের সন্তান ছাড়া তো আর কেউ সেনাবাহিনীতে যাবে না বলেই মনে হচ্ছে। আপনি একটি বাহিনীর সমালোচনা যদি করেন, শোধনের প্রস্তাবনাটিও করুন। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কী চান, সেটাও বলুন।

পাকিস্তানফেরত অফিসারদের যুগ শেষ। তাদের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে গড়ে ওঠা অফিসাররা সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে এখন। কয়েকবছর পর সেনাবাহিনীর তৃতীয় জেনারেশনের অফিসাররা উঠে আসবেন নেতৃত্বে। তাদের চরিত্র নিশ্চয়ই জিয়া বা এরশাদের সেনাবাহিনীর চেয়ে ভিন্ন হবে। অন্তত আমি সে কামনাই করি।

"চেতনার সামরিকায়ন" খুব ভারি কথা। "চেতনার বেসামরিকায়ন"ও খুব ভারি কথা। আমি সামরিক বাহিনীকে তার উচিত ভূমিকায় দেখতে চাই, তাকে ক্যান্টনমেন্টে আর ব্যারাকে দেশরক্ষার জন্য প্রস্তুত দেখতে চাই, দুর্যোগে তাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখতে চাই, এ-ই তো। তাদের উদ্ধত আচরণ দেখতে চাই না, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ধমক দিয়ে কথা বলতে দেখতে চাই না। এ-ই যদি চেতনার সামরিকায়ন হয়, তাহলে এই সামরিকায়িত চেতনা নিয়েই কাজ চালাতে চাই। অমুক লোক আর্মি অফিসার কাজেই তারে গিয়ে দুইটা গালি দিয়ে আসবো, এ-ই যদি স্বাভাবিক প্রস্তাবিত আচরণ হয়, তাহলে ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে গালি দেয়া একটা স্টুপিড আর্মি পারসোনেলের সাথে আমার পার্থক্য কোথায় থাকে? নাকি আমরা চাই বেসামরিক আর সামরিকরা বাকিটা জীবন একজন আরেকজনকে গালি দিয়েই চলি?

ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় একজন সেনা অফিসার তথাকথিত বিদ্রোহের শিকার হলে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানালেও আমি সমস্যা দেখি না। রিকশাওয়ালার স্ত্রীর খোঁজ যদি কেউ করে না থাকে, নিহত ছাত্রের পরিবারের খোঁজ যদি কেউ করে না থাকে, তাহলে সেটা কর্তৃপক্ষ এবং কর্তৃপক্ষের কানে বার্তা পৌঁছানো মিডিয়ার গাফিলতি, সেনাবাহিনীর দোষ নয়। আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে দায়ী করতে পারেন এ জন্যে। অবশ্যই, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ডেকে চিৎকার করে এ দাবী জানানো সমর্থনযোগ্য নয়, কিন্তু নিহত অফিসার এই অন্তিম সম্মানের যোগ্য নয়, কারণে সে বা তার সাথের লোকজনের নামে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, এ যুক্তিও স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না আমার কাছে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আচ্ছা হিমু, সেনাবাহিনীর প্রতি সাধারন মানুষের যে বিদ্বেষ তার সামান্যতম দায় কি সাধারন মানুষের নাকি পুরোটাই সেনাবাহিনীর?
যদি সেনাবাহিনীর হয়ে থাকে(এবং অবশ্যই তাই) তাহলে এই বিদ্বেষ মুছনের দায়িত্ব কিন্তু তাদেরকেই নিতে হবে । পিলখানার ঘটনার প্রথমদিন স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ছিলো কিন্তু নির্মমতার খবর প্রকাশের মানুষ সহমর্মী হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অমান্য না করায় সাধারন মানুষ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করছে ।
বিদ্ধেষ কমিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন তো তাদেরকেই করতে হবে । কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপচারীতায় আমরা কি দেখি? সাধারন মানুষের প্রান বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেয়া সিদ্ধান্তকে তারা নিন্দা করছেন ।
একজন সাধারন মানুষ কি এতে ক্ষুব্ধ হতে পারেনা? সেনাবাহিনী কি অবিবেচকের মতো তাদের শ্রেনীস্বার্থই রক্ষা করছেনা? সাধারন মানুষের নিরাপত্তার প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই?

আমি কিন্তু কোথাও বলছিনা যে নিহত অফিসারদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত করা যাবেনা । বরং স্পষ্ট করে বলছি , এটা তাদের প্রাপ্য । রাষ্ট্র তাদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিয়েই শেষ বিদায় জানিয়েছে । কিন্তু একই যাত্রা যে ভিন্ন ফল হলো- বেসামরিক নাগরিক এবং নন-কমিশন্ড অফিসারদের?

এই ক্ষোভ সেনাবাহিনীর প্রতি, সেটা মনে হলো কেনো? সেনাবাহিনী প্রজাতন্ত্রের বেতনভোগী কর্মচারী মাত্র । তার কাছে তার দায়িত্ব পালনের অতিরিক্ত কিছু তো জনগনের প্রত্যাশা করার কথা নয় ।

প্রত্যাশা, দাবী এবং না পাওয়ার ক্ষোভ স্বয়ং প্রজাতন্ত্র এবং তার নির্বাচিত সরকারের প্রতি । সশস্ত্র সংঘবদ্ধতা ব্যতিরেকে এই রাষ্ট্রকাঠামো থেকে কোন ন্যায্য পাওনা আদায় করার সুযোগ নেই?

সেনাবাহিনীর চরিত্র বিবর্তিত হোক । নিজেদের এখতিয়ারের বাইরের ক্ষমতাচর্চা বন্ধ হোক তাদের ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মাঝখানে ঢুকে মন্তব্য করাটা শোভন হচ্ছেনা হয়তো, তবুও কয়েকটা তুলনামূলক উদাহরণ মনে পড়ছে। অবশ্যই সেনাদের কীর্তি এখন বেশি করে গাওয়া হচ্ছে, তাদের পরিবার সরকার বাদেও নানা জায়গা থেকে সহায়তার আশ্বাস পাচ্ছে (যেমন ব্যবসায়ি মহল)। বিপরীত দিকে, রিক্সাওয়ালা বা ঐ ছাত্রটাকে নিয়ে তেমন কিছুর আশ্বাস কি আমরা পেয়েছি বা শুনেছি? মিডিয়া কিন্তু তাদের কথাও তুলে এনেছে। তবুও কাউকে এখনো এমন আশ্বাস দিতে শুনিনি।

তুলনামূলক উদাহরণগুলো এমন--

সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত হলে পত্রিকায় যতটা কাভারেজ পায়, ততটা কাভারেজ পায়না একজন তরকারিওয়ালা বা ষাটোর্ধ একজন ফেরিওয়ালা যখন লোকাল বাসের তলায় পিষ্ট হয় (নিজের দেখা উদাহরণ)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রর যখন সমুদ্র দর্শনে গিয়ে ভাটার টানে হারিয়ে যায় (যার জন্য নেশাগ্রস্ততা কয়েকটিক্ষেত্রে দায়ি অথচ পত্রিকায় সেটা আসেনি) সেটা যত বড় করে খবর হয়, যদু মধু বা অখ্যাত শিক্ষালয়ের ছাত্রের বেলায় তেমনটি হয়না।

তেমনি স্কুলের শিক্ষক যখন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে- সেই খবর যতটা গুরুত্ব পায়, মাদ্রাসার শিক্ষক একই কাজ করলে তারচে বেশী কাভারেজ পায়।

জানিনা উদাহরণগুলো কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবুও এর মধ্যেই হয়তো প্রশ্নের উত্তর আছে।

গৌরীশ রায় এর ছবি

আমি কখনই বলিনি বা ভাবিনি সামরিক অফিসাররা নিহত হয়েছেন বলে তাদের
জীবিতকালীন কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা। তাহলে তো সেটা আরেক ব্লাসফেমীর রূপ ধারন করবে। আমি শুধু বলেছি তাঁদের প্রস্তুতিতে আপনার অংশীদারিত্ব নামক বস্তুটির বাইরে অবস্হান করেন। (ডাল ভাত কর্মসূচি বা অন্য কোন অনিয়ম যদি থেকে থাকে, সেটি বিবেচনা করেও)

জাতির বিবেক এবং রাষ্ট্রের বিবেক কী এক? রিক্সাওয়ালার স্ত্রীকে কেন ঋন করে স্বামীর দাফন করতে হয় (অবশ্যই লজ্জার) সে প্রশ্ন রাষ্ট্রের বিবেক কে করতে পারেন কারন রাষ্ট্র দায় নেয় জাতিকে রক্ষনাবেক্ষনের। অবশ্য আপনার কাছে জাতির বিবেক আর রাষ্ট্রের বিবেক এক হলে ভিন্ন ব্যাপার।

নিঃসন্দেহে কর্নেল গুলজার অত্যন্ত দক্ষ সেনা অফিসার ছিলেন । হয়তো সৎ ও ছিলেন । শায়খ রহমানকে গ্রেপ্তারের কৃতিত্ব তার কিন্তু তিনি তো জংগীদমনে গিয়ে নিহত হননি

ওই সময় নিহত হলে বুঝি তাঁকে শহীদের মর্যাদা দিতে কুন্ঠিত হতেন না?

দেশের সেনাকর্মকর্তা বা সেনাবাহিনী নিয়ে আপনার মন্তব্য বা লিখা সত্যিকার অর্থে আমাকে বীতশ্রদ্ধ করে দেয়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দেশের সেনাকর্মকর্তা বা সেনাবাহিনী নিয়ে আপনার মন্তব্য বা লিখা সত্যিকার অর্থে আমাকে বীতশ্রদ্ধ করে দেয়।

এতোটা রি-এক্টিভ হওয়া তো জরুরী নয় গৌরিশ ।
ব্লগে লেখা মানে কোন একটা বিষয়ে নিজের ভাবনাটা তুলে রাখা । আমার ভাবনা যদি কারো নিজস্ব বিচার-বিবেচনার জন্য ক্ষতিকর মনে হয় সে ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে ।
তাই করা ভালো, অহেতুক চাপ না নিয়ে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

গৌরীশ রায়  এর ছবি

প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির ফারাক যেখানে প্রচুর সেখানে
আপনার পরামর্শই গ্রহন করলাম।
ভাল থাকবেন মোরশেদ ভাই।

নন্দিনী এর ছবি

গৌরীশ রায়ের সাথে সহমত...

নন্দিনী

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাজেটটা আরেকটু বিশ্লেষণ করা যাক। (আমি অর্থনীতি তেমন বুঝি না, ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন।)

তথ্যসূত্র : ফিন্যান্স মিনিস্ট্রির এই ডকুমেন্ট

১। জন প্রশাসনের মোট বাজেট ১৪৮২৪ কোটি টাকা; কিন্তু এর মধ্যে আলাদা আলাদা খাত আছে ১৪টা! অর্থবিভাগে বাজেট বরাদ্দ ১১৩৬৭ কোটি, আর বাকী ৩৪৫৭ কোটি টাকা ১৩ টি খাতে ব্যয় করা হবে। খাতগুলো রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, সংসদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রী পরিষদ, নির্বাচন কমিশন, পরিকল্পনা, পররাষ্ট্র ইত্যাদি।

২। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নের খাত ৩ টা, সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম (এইটা কেমনে ঢুকলো বুঝি নাই)। মোট ব্যয় ৭২৮৫

৩। প্রতিরক্ষায় পুরোটাই প্রতিরক্ষা, কোনো ভাগীদার নাই। বাজেট ৬৪০৫ কোটি।

৪। জন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার পার্ট ৪টা; স্বরাষ্ট্র, আইন, সুপ্রীম কোর্ট, দুর্ণীতি দমন। সব মিলিয়ে ৫৫৮৮।

৫। শিক্ষা ও প্রযুক্তির ভাগ ৩টা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্য যোগাযোগ। ১৫ কোটি মানুষের শিক্ষা এবং বিজ্ঞান এবং আইটি মিলিয়ে মোট বাজেট ১২২৫৮ কোটি এবং এর প্রত্যেকটি খাতেই আলাদাভাবে প্রতিরক্ষার চেয়ে বাজেট বরাদ্দ কম।

৬। স্বাস্থ্য খাত ১টাই। ৫৮৬২।

৭। সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণের মন্ত্রণালয় ৪টা, মহিলা ও শিশু, মুক্তিযুদ্ধ, সমাজ কল্যাণ, দুর্যোগ সব মিলিয়ে ৮২০৭।

৮। জ্বালানী, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ সব মিলিয়ে ৪৩৪০ কোটি।

৯। কৃষির মধ্যে আছে ৫টা মন্ত্রণালয়, কৃষি,মৎস্য ও পশু সম্পদ, পরিবেশ ও বন, ভূমি, পানিসম্পদ - সব মিলিয়ে ৯১২৬ কোটি।

১০। পরিবহন ও যোগাযোগে ৫টা মন্ত্রণালয়ের মোট বাজেট ৬০৭০।

১১। সুদ বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে ১২৫৬৫ কোটি।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন ইনডিভিজুয়াল মন্ত্রণালয় ধরলে অর্থ ও সুদের পরেই প্রতিরক্ষার অবস্থান। প্রতিরক্ষা বাজেটকে ৮ম অবস্থানে দেখাতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোকে ক্লাস্টার করতে হয়েছে।

একটি দেশের বাজেট বরাদ্দের তুলনামূলক হার নির্ভর করে তার কোন কাজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার ওপর। বাংলাদেশের জন্য ভারত বার্মার আক্রমণ মোকাবেলার চাইতে দেশের মধ্যে গন্ডগোল মেটানো বেশি দরকার। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্তণালয়ের বাজেট যেখানে ৫১৬৬ কোটি, প্রতিরক্ষার বাজেট সেখানে ৬৪০৫ কোটি টাকা। আরেকটা লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো, আগের অর্থবছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো মন্তণালয়গুলো যেখানে বাজেটের চেয়ে কম টাকা খরচ করেছে (সংশোধিত বাজেট কলাম), প্রতিরক্ষা সেখানে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বেশি খরচ করেছে। এর কারণ কি? বাংলাদেশ কি গতবছরে কারো সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলো?

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আধুনিক অস্ত্র কিনতে হলে তা পুলিশের জন্য দরকার; কারণ সন্ত্রাসীদের অত্যাধুনিক অস্ত্রকে মোকাবেলা করতে পুলিশের হাতে এখনো সেই আদ্যিকালের রাইফেল। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর জন্য মিগ-২৯ কেনা আমাদের মত গরীব দেশের জন্য অর্থের অপচয় মাত্র। সাথে কোন মন্ত্রণালয়ের ব্যয় থেকে সরাসরি কত লোক এফেক্টেড হয়, সেটাও হিসাব করেন। প্রতিরক্ষা দেশের ১৫ কোটি মানুষের জন্যই; কিন্তু অস্ত্র কেনার বাইরে এর বাজেট থেকে সরাসরি লাভবান হয় মাত্র আড়াই লাখ মানুষ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ঠিকাছে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হিমু এর ছবি

স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণপূর্ত এসব থেকেও শুনেছিলাম সশস্ত্রবাহিনীর জন্য বরাদ্দ থাকে। সঠিক কি না জানি না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

গৌরীশ রায়  এর ছবি

তথ্যাবলীর জন্য ধন্যবাদ।
আশারাখি মোরশেদ ভাই আরও বিস্তারিত নিয়ে
পোষ্ট দেবেন।

লীনা ফেরদৌস এর ছবি

Lina Fardows

যতই দেখছি যতই শুনছি ততই লজ্জা পাচ্ছি। আমরা বাঙ্গালী - এ নিয়ে গর্ব করার আর কিছুই মনে হয় থাকল না।

Lina Fardows

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

উদ্ধৃতি ----- "৩৭ বছরে দেশ ও জাতিকে কতোটা রক্ষা করলেন আর কতোটা নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করলেন- সে হিসেব ও এই মুহুর্তে তোলা শোভনীয় নয় ।"

-------------একমত।

ট্যাক্স দাতাদের একটি সুযোগ দেয়া উচিত তার ট্যাক্স কোন খাতে ব্যয় হবে আর কোন খাতে ব্যয় করা যাবেনা- সে মতামত দানের সুযোগ দেয়ার জন্য।

রোদ্দুর [অতিথি] এর ছবি

রাকিব হাসনাত সুমন,আপনি বলেছেন"
ট্যাক্স দাতাদের একটি সুযোগ দেয়া উচিত তার ট্যাক্স কোন খাতে ব্যয় হবে আর কোন খাতে ব্যয় করা যাবেনা- সে মতামত দানের সুযোগ দেয়ার জন্য।" মানলাম।

আর যারা ঋণখেলাপী তাদের ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?
আর যারা টাকার কূমীর হয়ে ট্যক্স দেয়না।
আর আর যাদের টি আই এন নাম্বার নাই কিন্তু গাড়ি-বাড়ি আছে
আর যাদের বাবামা অফিসিয়ালি অল্পবেতনের হলেও তাদের ছেলে মেয়েদের
ইংলিশ মিডিয়াম বা প্রাইভেট উইনিভার্সিটি তে পড়ান।
ছাত্ররা যারা পড়া বাদ দিয়ে চাঁদাবাজী, ছিন্তাই বা মাস্তানী করে অথবা অন্য উপায়ে সরকারী অর্থে ভাগ বসায়।
অথবা ঘুষখোর বা দুর্নিতিবাজদের টাকার ব্যাপারেই বা আপনার মত কি?
সেই সমস্ত ঠিকাদারী প্রতিস্থান যারা কাজ করেনা কিন্তু টাকা নেয়।

এরকম ইশ্যূগুলোর ব্যাপারে আপনি কি ভাবছেন?

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

রোদ্দুর ভাই @
------ঋনখেলাপী, ট্যাক্সখেলাপী, দুর্নীতিবাজ, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী, অন্যায়কারী যেখানেই থাকুক যে পেশাতেই থাকুক আইনানুযায়ী কঠোর শাস্তির দাবীটা আমাদের দীর্ঘদিনের। এসব প্রসেঙ্গ যখন আলোচনা হবে তখন না হয় আরো বিস্তারিত বলা যাবে। ব

কিন্তু এগুলোর অজুহাত দেখিয়ে আমরা যারা কষ্ট করে অল্প টাকা আয় করি অথচ নিয়মিত ট্যাক্স দেই (আমার গাড়ীও নাই... বাড়ীও নাই) সেই আমাদের ট্যাক্সের টাকা যুগ যুগ ধরে ফাও কাজে ব্যয় করা মেনে নিতে পারিনা। নিজেদের আইনের উর্ধ্বে ভাবিনা বলে উর্ধ্বতন কাউকে ডেকে এনে অভব্য আচরনও করতে পারিনা। সেকারনেই বারবার আমাদের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরি ভদ্র ও যেৌক্তিক পন্থায়।

আমার মন্তেব্য কেউ কষ্ট পেলে দুখিত।

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

পিলখানা হত্যাকান্ডের হোতা এবং বাজারে টেপ ছাড়ার হোতা একই মানুষ না হলেও খালাতো মামাতো ভাই হবে।

পিলখানা ঘটনা যে ষড়যন্ত্রমূলক টেপ ছাড়ার পর আমার সেই বিশ্বাসকে আরো মজবুত করেছে। হোতা যারাই হোন না কেন, তাদের প্রধান একটা উদ্দেশ্য হলো অবিশ্বাস সৃষ্টিট মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ভেতর কোন্দল সৃষ্টি করে সরকারের ভিতকে দুর্বল করা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার আদর্শ পরিস্থিতি হয়তো এখনো আসেনি। কিন্তু আপাতত তিনটি প্রাথমিক সাফল্য চোখে পড়েছেঃ

১. সেনাবাহিনী ও বিডিআরের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি
২. সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে দুরত্ব অবিশ্বাস সৃষ্টি
৩. সরকারের বাহিনীর প্রতি মানুষের খানিক অনাস্থা

ষড়যন্ত্রের চুড়ান্ত ফলাফল এখনো আসেনি। হয়তো প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে প্রক্রিয়াটা কোন পথে এগোচ্ছে, সেটাই আমাদের আশংকা। পরবর্তী আঘাত কোথায়, সেটাই আমাদের প্রধান দুশ্চিন্তা।

পলাশ দত্ত এর ছবি

উনারা সবসময় সুরক্ষিত।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

রোদ্দুর [অতিথি] এর ছবি

আমার যেটা মনে হয় কোন জুনিয়র অফিসার তার অন্যান্য কলিগদের শোনানোর জন্য মোবাইলে রেকর্ড করেছে। পরে কম্পিউটার থেকে এহাত ওহাত হয়ে ইন্টারনেটে চলে এসেছে। এটা এমন বিশেষ ডিফেন্স প্লান নয় যে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। যা ক্ষতি তা তো ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে।

ব্লাডি সিভিলিয়ান এর ছবি

...আমার যেটা মনে হয় কোন জুনিয়র অফিসার তার অন্যান্য কলিগদের শোনানোর জন্য মোবাইলে রেকর্ড করেছে...

@ রোদ্দুর, যদি আপনার আন্দাজই করতে হয় তবে কেন ধরে নিলেন *জুনিয়র* অফিসারের কাজ এটা । এতে মানসিকতা টের পাওয়া যায় আবারও । যা দোষ সব নিচু লেভেলে । যদি এখানে সৈনিকরা থাকতো তবে বলতেন অফিসাররা এটা করতে পারে না । সৈনিকেরা এর জন্য দায়ী।

এই লিকেজের কারণ বলতে গিয়ে উল্টো জিনিসটিকে আরো খেলো করে ফেললেন । কনফিডেন্সিয়াল কনভারসেশন এমনই ছিল যেখানে টিভি সাংবাদিক, এমন কি ফটোগ্রাফার কে কয়েক মিনিট পর বের করে দেয়া হয় । যারা এর বাইরে ছিল( হোক না কলিগ বা বাপ) তাদের কাছে রেকর্ডেড অডিও প্রকাশ করা কী নিয়মসিদ্ধ? এবং এরকম ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যাওয়া কী গ্রহণ যোগ্য ।

আপনি কী করে বুঝলেন এটা ডিফেন্স প্লান নয় বিধায় ক্ষতি হবে কী হবে না? নাকি সেনাবাহিনীর সদস্যরা কনফিডেন্সিয়াল জিনিস রেকর্ড করে এবং যদি কেউ মনে করে কোন ক্ষতি হবে না তবে অনলাইনে শেয়ার করে হরহামেশা ।

মোরশেদের কথাটা আমার মত বললে আর্মীর এরকম কনফিডেনশিয়াল সেন্সিটিভ তথ্য "এহাত ওহাত" করে যদি শত্রুর হাতে যায় এবং ধরুন আপনারা তাতে আক্রান্ত হন তবে কে দায়িত্ব নেবে?

অতিথি লেখক এর ছবি

সিভিল প্রশাসনের সাথে সেনা বাহীনির যত বেশি অবদান বাড়বে সেনা বাহিনী তত বেশি দূর্নীতিবাজ হবে।
পাকিস্তানের অবস্থা দেখেন। বাংলাদেশও সেদিকেই যাচ্ছে। তার আগেই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।

Onamika [অতিথি] এর ছবি

After listening to the tape, for the first time in my, I felt that we are under capable leadership. Just see how she dealt with the questions with absolutely the very right tone and with detailed knowledge of the situation. Sympathetic, confident and firm. Not impolite or too polite.

If someone put the tape to undermine her, this will achieve just the opposite.

অতিথি লেখক এর ছবি

অনামিকার সাথে একমত...সব কিছু দেখে শুনে মনে হচ্ছে এবারের হাসিনা অনেক বেশী পরিণত ।

নন্দিনী

অজানা এর ছবি

টেপ বাইরে আসাটা কি বেশি খারাপ হয়েছে? হাসিনার জায়গায় খালেদা হলে কি আপনি একই ভাষায় লিখতেন? নাকি তখন ঘটনাটাকে জাস্টিফাই করার জন্য বিপরীত যুক্তিগুলো দেখাতেন?

হিমু এর ছবি

ভাই অজানা, খালেদা জিয়া ও তার দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাস (মুক্তিযুদ্ধে এই লোক পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর পক্ষাবলম্বন করেছিলো) সরাসরি সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ডে আঘাত করেছিলেন, ১৯৯৫-৯৬ সালে, একটি বিচিত্র অপসারণ আদেশ দিয়ে। জেনারেল নাসিম আর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান (দু'জনেই মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভবত দু'জনেই বীর বিক্রম) প্রেসিডেন্টের আদেশ অমান্য করেছিলেন, সারাদেশের একাধিক জায়গায় প্রেসিডেন্টের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ক্যান্টনমেন্ট ছেড়েছিলো সেনাবাহিনীর একাংশ। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদ্যোগে সে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবেই নিরসন করা হয়েছিলো। রাজাকার প্রেসিডেন্টের আদেশের ঔচিত্য বা যাথার্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো, কিন্তু বিদ্রোহী জেনারেলদের পদক্ষেপের প্রশংসা কেউ করেনি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার এসে এই বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া জেনারেলদের সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে পুনর্বাসিত করেনি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আমলে চাকরিচ্যুত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রহিম, যিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন, তাকে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামাত জোট সরকার এনএসআই এর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজি পদে নিয়োগ দিয়েছিলো [সূত্র প্রথম আলো, ৬ মার্চ ২০০৯]।

সেনাবাহিনীতে সেই গিয়াঞ্জাম লাগানোর ক্রেডিট খালেদা জিয়ার দলকেই দেয়া যায়। তখন নিন্দুকেরা বলেছিলো, তখনও খালেদা জিয়ার দল চেয়েছিলো, সেনাবাহিনীর অন্তর্দ্বন্দ্ব উসকে দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি রহিত করতে। এবারের পিলখানা হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্যও অভিন্ন ছিলো বলেই প্রতীয়মান হয়, পেছনে কারা আছে এখনও বের হয়নি, হয়তো বেরোবে। হাসিনার জায়গায় আজ খালেদা থাকলে কী হত না হত, সেই স্পেকুলেশনে তাই গেলাম না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

জ্বি, টেপ বাইরে আসা খুব বেশী খারাপ হয়েছে ।

হাসিনার জায়গায় খালেদা হলে একই ভাষায় লিখতাম কিনা কিংবা ঘটনাটাকে জাস্টিফাই করার জন্য বিপরীত যুক্তিগুল দেখাতাম কিনা- সেটা তো ভাই হাইপোথিসিস করে বলতে পারবোনা । আপনি যদি মনে করেন তাই করতাম, তো মনে করেন ।
আপনার হাইপোথিটিক্যাল মনে করার দায়দায়িত্ব আমি নিচ্ছিনা ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কারুবাসনা এর ছবি

ধন্যবাদ, লেখাটার জন্য।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

ঝরাপাতা এর ছবি

সবাই বলতে পারে কিন্তু কারো কারো বলা অনেক কন্ঠের মিলিত স্বরের বজ্রনিনাদের মতো ঝংকার তোলে। আমি যেন সেই ঝংকারই শুনতে পেলাম।


নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।