হঠাৎ লিনাক্স নিয়ে পড়লাম কেন?

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: শুক্র, ১৬/০১/২০০৯ - ৬:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেউ কেউ আমার ইদানিং লিনাক্সে মাখামাখি দেখে বিরক্ত হতে পারেন। তাই একটু নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য এই ব্লগর ব্লগর। তবে বলে রাখা ভাল যে একজন নন-টেকি সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে এইটা একটা অন্ধের হাতি দর্শন টাইপ লেখা।

১.
২১তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে গণপূর্ততে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ওটা ছেড়ে মাস্টারি করি। প্রধাণ কারণ - অর্থ উপার্জনের জন্য ন্যায়সঙ্গত ভাবে এবং নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার রাস্তা যেখানে খোলা আছে সেখানে অন্যায় পথে আত্মা বিক্রি করার কোনো কারণ দেখি না। ন্যায়সঙ্গত ভাবেই সরকারী বেতনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বেতন পাই এখানে। একমাত্র কারণ না হলেও প্রায় একই রকম কারণে লিনাক্স ব্যবহার করি: যেখানে ন্যায়সঙ্গত পথে সমস্ত সুবিধাসহ কম্পিউটিং করা যায় সেখানে পাইরেটেড উইন্ডোজ ব্যবহারের কোনো কারণ দেখি না। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারে নিজের অজান্তেই মনের গভীরে চৌর্যবৃত্তির গ্লানি প্রবেশ করে মাথা উঁচু করে কথা বলার ক্ষমতা কমে যায়।

২.
কেউ যদি আপনাকে কিছু অন্যায় সুবিধা দেয় তাহলে তাঁদের অন্যায় আব্দারও রাখতে হয়। সুবিধাদাতার অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কন্ঠ মিইয়ে আসে। একই ব্যাপার ঘটে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করলে। আর এই ধরণের মাথা নীচু করা মানসিকতার কারণেই বাইরের শোষক দেশগুলো আমাদের কাছে থেকে অন্যায়ভাবে সম্পদ শোষণ করার সুযোগ পাচ্ছে।

ব্যাপারটা নতুন কিছু না - কোন দলকে কব্জা করতে হলে তাঁদের মধ্যে হীনমন্যতা ঢুকিয়ে দিতে হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে (ক্রিকেট ইত্যাদি) আসা সাংবাদিকগণ যখন মজা করে বলে যে এখানে সমস্ত সফটওয়্যার সিডি এক ডলারের কম দামে পাওয়া যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে আসে। সুন্দরভাবে হীনমন্যতা চলে আসে -- ফলে অনেকের অনেক অন্যায় আব্দারের প্রতিবাদ করা যায় না।

ব্যক্তিগত ভাবে পাইরেসী ত্যাগ করার পর থেকে মানসিকভাবে শান্তিতে আছি। হীনমন্যতাগুলো খোঁচায় না।

৩.
মানসিক ঐ শান্তি ছাড়াও অপর শান্তি হল কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত থাকার আনন্দ। অন্যেরা চারপাশে ভাইরাসে নাকানি চুবানি খাচ্ছে, আর আমি নিশ্চিন্তে আছি - ব্যাপারটা খুব এনজয় করা যায় (নিষ্ঠুরতার জিনিষটায় মানুষ কেন জানি আনন্দ পায়!)। এমন সময়গুলোতে লিনাক্সের বুট সিডি দিয়ে কলিগদের পিসিগুলো বুট করে ভাইরাসগুলোকে মুছে দেই। এতে কিছুটা উপকার হয়। আর, জরুরী ফাইলগুলো পেনড্রাইভে নিয়ে নেয়। কারণ, আই.টি. সেকশনে অভিযোগ করলে ওদের সহজ সমাধান - ফরম্যাট করে ফ্রেশ ইনস্টল!!

এখানে কয়েকজন আই.টি. নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সচল আছেন। লিনাক্সে ভাইরাসের বেইল নাই কেন - এই ব্যাপারে ওনারা ভাল বলতে পারবেন। (ভুট্টাক্ষেতের পাহারাদার মিস্তরি কোথায়?)

৪.
কেউ বলতে পারেন: মিয়া টেকি ব্যক্তি না হয়েও নিজে করো ভাল কথা, আমাদের কানের কাছে ভ্যাজর ভ্যাজর কর কেনো? এটার উত্তরের কয়েকটা দিক/ডাইমেনশন আছে:

  • ৪.১ একটা হল মহাপুরুষদের অনুসরন করার চেষ্টা। ওনারাও সারা জীবন অকাতরে উপদেশ বিতরণ করে গেছেন! তাছাড়া অন্যের বিরক্তি উৎপাদন করতেও উপদেশ দিতে মন্দ লাগে না চোখ টিপি । (১৯৯০ সালে আমাদের স্কুল থেকে শেষ বিদায় অনুষ্ঠানে জনৈক প্রধানশিক্ষকের লেখা "উপদেশ কনিকা" বইখানি হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকে আর ঐ স্কুলে যাই না শয়তানী হাসি )।
  • ৪.২ সেবা। হাতেম তাঈ বিলানোর জন্য টাকা পেয়েছিলো - বিলিয়েছে (পরের ধনে পোদ্দারি)। আমার বিলানোর মত অত টাকা নাই। কিন্তু অন্য একটা সম্পদ আছে - সেটা হল জ্ঞান/শিক্ষা (দয়া করে, ভাব নিচ্ছি বলে ভাববেন না)। কাজেই অন্যের উপকারের জন্য বিতরণ করতে হলে এইটাই করা যেতে পারে।
  • ৪.৩ প্রতিবেশি যদি চরম গরীব হয় তবে বাধ্য হয়ে সে আমার জিনিষ চুরি/ডাকাতি করতে পারে (অভাবে স্বভাব নষ্ট)। কিংবা ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। তাই নিজের স্বার্থেই এমন কাজ করা উচিত যাতে নিজের আখের গোছানোর সাথে সাথে আশেপাশের লোকজনেরও উন্নয়ন ঘটে। (আফসোসের কথা হইলো আমাদের নেতারা সেইটা বোঝে না - শুধু নিজেদের আখের গোছানোতে ব্যস্ত থাকে -- জনগণও সময়মত **মারা দিয়ে দেয়। )
    তাই শুধু নিজে পাইরেসী এবং ভাইরাস মুক্ত হলেই যে শান্তি পাব এটা ভাবি না। আশেপাশের লোকজন/বন্ধু/সহকর্মীদেরকেও এই পথে আনার চেষ্টা করি।
  • ৪.৪ গরুর দুধ পাইতে হলে, গরুর যত্ন করতে হয়। গরুর ফার্মে দেখবেন গরুকে কত যত্ন করে গোসল দেয়, মশারি টাঙ্গায় ঘুম পাড়ায়। আবার এইদিকে দেখবেন, বাংলাদেশের লোকদের গরিবী দুর করার জন্য অন্য দেশগুলো কত রকম ভাবে সাহায্য করে -- ঘটনা গরুর যত্ন নেয়ার মতই; ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি না করলে বাজার বজায় রাখবে কীভাবে!
    প্রায় একই রকম স্বার্থে অন্যদেরকে লিনাক্সে আসতে বলি। কারণ ব্যবহারকারী বাড়লে বিপদে সাহায্য করার লোক বাড়বে। এখন যেমন উইন্ডোজে কোন সমস্যায় পড়লে আশেপাশের কেউ না কেউ সমাধান দিতে পারে, তেমনি, লিনাক্স ব্যবহারকারী বাড়লে সমস্যা সমাধিত করার জন্য বেশি লোক পাওয়া যাবে।

সুতরাং মোটেও নিঃস্বার্থ ভাবে ভ্যাজর ভ্যাজর করি না। হাসি

৫.
বর্তমানে লিনাক্স কঠিন কোন বিষয় না। গত ৪/৫ বছর থেকে লিনাক্সের ডেভেলপারগণ সহজিয়া ডেস্কটপ বানানোর চেষ্টা শুরু করেছেন। বর্তমানে লিনাক্সের যেই ডিস্ট্রিবিউশনগুলো বাজারে এসেছে সেগুলো খুবই ব্যবহার বান্ধব ।(অপারেটিং সিস্টেমের সাথে অন্য সব জরুরী সফটওয়্যার দিয়ে দেয় বলে এগুলোকে ও.এস. না বলে ডিস্ট্রিবিউশন বা সংক্ষেপে ডিস্ট্রো বলে)। প্রায় সব কাজই উইন্ডোজ বা ম্যাকের মত ক্লিক করে করা যায়। গেম খেলার দিক বাদ দিলে সব দিক দিয়েই এটা ভিস্তা/এক্স.পি.র সমতূল্য। আর ডেভেলপারগণ ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন যে, এই বছরেই এমন নতুন ভার্সন ছাড়বে যেটা ভিস্তা বা ম্যাককে ছাড়িয়ে যাবে অনেকখানি।

আরেকটা কথা জানা দরকার। আমরা না জেনেই কিন্তু লিনাক্স ব্যবহার করছি প্রতিদিন। মোবাইল ফোনগুলোর প্রায় সবগুলোই লিনাক্সে চলে - ওগুলোতে তো আমরা অসুবিধা অনুভব করি না। এছাড়া ছোট ছোট ডিজিটাল যন্ত্রপাতিগুলো সব লিনাক্সে চলে। বেশিরভাগ সুপার কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সার্ভার লিনাক্সে চলে। সুতরাং লিনাক্স উড়ে এসে জুড়ে বসা কোনো জিনিষ নয়। শুধুমাত্র ডেস্কটপ পিসির ক্ষেত্রটা বাকি ছিল সেই অঙ্গনে নতুন করে এসেছে।

অফিসে আমার পিসিতে লিনাক্স চলে। এখানে অনায়েসে কাজ করে কয়েকজন কলিগ নিজেদের জন্য লিনাক্স নিয়ে গেছে। আর বাসাতে দুই বছরের বেশি সময় ধরে শুধুমাত্র লিনাক্স ব্যবহার করছি। কম্পিউটারে আমাদের দৈনন্দিন সমস্ত কাজই এটাতে অনায়েসে হয়ে যাচ্ছে (মেইল/ইন্টারনেট, গানশোনা, মুভি/ডিভিডি দেখা, লেখালেখি, হিসাবকিতাব সবই)। যারা প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করে তারাও লিনাক্সে বেশি শিখতে পারে, কারণ সমস্ত সোর্স কোড উন্মুক্ত।

আর -- লিনাক্স ডেস্কটপ এবং সফটওয়্যারগুলো যে আইনসঙ্গতভাবেই বিনামূল্যে - এটা আপনাদের আগে বলিনি নাকি!


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাঙালি বিনামূল্যে কিছু পেলে তার গুরুত্ব বোঝে না। দেঁতো হাসি
লিনাক্স ব্যবহার কম হওয়ার কারণ লিনাক্স ভীতি। আরেকটা কারণ কাজ করে। তাহলো, মানুষ খুব ঠেকায় না পড়লে সাধারণত পরিবর্তনে আগ্রহী হয় না। নতুন কম্পুটারে উইন্ডোজের পরিবর্তে লিনাক্স দেয়া শুরু হলে দেখবেন লিনাক্সের ব্যবহার বেড়ে গেছে।

আমি নিজে অবশ্য গত ৪ বছরে লিনাক্স স্পর্শ করি নাই বললেই চলে। আলসেমি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শামীম এর ছবি

বাঙালি বিনামূল্যে কিছু পেলে তার গুরুত্ব বোঝে না।

হ, বিনামূল্যে পাওয়া প্রথম সাবমেরিন কেবলের মত।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

লিনাক্স ব্যবহার বান্ধব বা জনপ্রিয় করার চেষ্টা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আমিও চাই উইন্ডোজের বিকল্পটা দাঁড়িয়ে যাক। তবে এজন্য আপনার মত ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর জন্য আরও কিছু লোকের দরকার। আমি আপনার দলে আছি।
প্রথমে তো নামটা কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহারকারীদের (স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও গৃহিনী - যারা কম্পিউটারকে শোপিস করে রাখে তাদেরও) জানানো দরকার সবার আগে।
এজন্য একই কথা বারবার বলারও প্রয়োজন আছে বৈকি। জনপ্রিয় দৈনিকগুলোর সাহায্য নেয়া যেতে পারে। কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগ আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে না।

নতুন কম্পুটারে উইন্ডোজের পরিবর্তে লিনাক্স দেয়া শুরু হলে দেখবেন লিনাক্সের ব্যবহার বেড়ে গেছে।

একমত।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

শামীম এর ছবি

মোটেই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছি না - তীব্র পেতিবাদ।

৪.১ থেকে ৪.৪ নং-এ সেটা ব্যাখ্যা করেছি। শয়তানী হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এনকিদু এর ছবি


অন্যেরা চারপাশে ভাইরাসে নাকানি চুবানি খাচ্ছে, আর আমি নিশ্চিন্তে আছি - ব্যাপারটা খুব এনজয় করা যায় (নিষ্ঠুরতার জিনিষটায় মানুষ কেন জানি আনন্দ পায়!)।

চরম সত্য ।


ভাইরাস গুলো কাজ করেনা কারন সব ভাইরাসই কোন না কোন রকম এক্সিকিউটেবল । লিনাক্স ঐ ফরম্যাটটাই চিনে না । তাই ভাইরাস চলেই না । না চললে কাজ ( ক্ষতি ) করবে কেমনে ? আরো বিস্তারিত বলার জন্য আসছেন (সম্ভবত) রাগিব ভাই ।


ফেডোরা ইদানিং বেশি সুবিধা দিতে গিয়ে একটু মান খারাপ করে ফেলেছে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে । মতামতটা আমার একারো না । আমার বন্ধু মহলে লিনাক্সের সবচেয়ে বড় পন্ডিত যে, সৌভাগ্যক্রমে সে আমার সহকর্মী, এবং একই ঘরে বসে । দিনের মধ্যে কম করে হলেও দশবার ফেডোরার নতুন ডিস্ট্রো গুলোকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে । মাঝে মাঝে মেজাজ চরমে উঠলে "উইনাক্স" বলে গালি দেয় । তার অভিধানে এইটা সম্ভবত সবচেয়ে অপমানকর গালি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

শামীম এর ছবি

১.
হাসি

২.
ফাইল ফরম্যাটের ভিন্নতা তো বটেই। অন্য ব্যাপারটা ছিল যে লিনাক্সের জন্য দুষ্টু লোকেরা ভাইরাস ডেভেলপ করে সুবিধা করতে পারবে না কেন সেটা ...

৩.
আমি অবশ্য উবুন্টু ব্যবহার করছি। ফেডোরা ১০ এর অনুষ্ঠানে দেখি সেটা কেমন (কেডিই-৪ ব্যবহার করেছে)। ইতিমধ্যেই ল্যাবের দুইটা পিসিতে ফেডোরা-১০ ইনস্টল করা হয়েছে অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য।

নতুন গালিটার শানে নযুলটা ভাল করে জেনে নিয়ে আমাদের বুঝায় দিয়েন। তাহলে আমরাও মাঝে মাঝে প্রয়োগ করতে পারবো। চোখ টিপি

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এনকিদু এর ছবি

সন্ধি বিচ্ছেদ করি -
winux = windows + linux

একটা ভীষণ আপত্তিকর কম্বিনেশনের ফসল আর কি । বাংলায় এটাকে মনে হয় অবৈধ সন্তান বলা যেতে পারে । তবে বাস্তব অভিজ্ঞতা মাথায় রাখলে বলতে হবে উইনাক্স তথা অধুনা ফেডোরা ডিস্ট্রো গুলো অবৈধ নচ্ছাড় সন্তান বা শয়তান । অনেক রকম গোঁজামিল নাকি আছে তার মধ্যে । আমি নিজে ফেডোরা ৮ ব্যবহার করি, তাই নতুন গুলোর খবর খুব একটা জানি না । শুধু হাল্কা নাড়াচাড়া করে দেখেছি । উইন্ডজকে নকল করার চেষ্টাটা আমারো ভাল লাগেনি । উইন্ডোজ ফ্লেভারে লিনাক্স বা উইন্ডোজের মত হতে চেয়েছে যেই লিনাক্স - কুৎসিত ব্যাপার । লিনাক্স ভক্তদের মেজাজ খারাপ হওয়ারি কথা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক এর ছবি

রাইয়ান ভাই আমাদের শুভ্র সরকার কে ফেডোরা নিয়ে উলটাপালটা কিছু বললে মাইন্ড করে খাইছে
আমার কাছেতো উবুন্টু দারুন লাগে। সাথে মান্ডারিভা চালাচ্ছি খারাপ না ভালই করছে।

উদ্ভ্রান্ত পথিক
-----------------

অয়ন এর ছবি

মাঝে মাঝে মেজাজ চরমে উঠলে "উইনাক্স" বলে গালি দেয় । তার অভিধানে এইটা সম্ভবত সবচেয়ে অপমানকর গালি

উইনাক্স প্রতারক উইনাক্স।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লিনাক্স নিয়ে তো আপনি হঠাৎ পড়েননি ভাইজান। আপনি অনেকদিন থেকেই পড়ে আছেন। চোখ টিপি চালিয়ে যান।

শামীম এর ছবি

মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে কোনো একটা কোর্সে ভর্তি হয়ে কিছু টেকি জ্ঞান আহরণ করি। কিন্তু হয়ে উঠে না ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অভ্রনীল এর ছবি

লিনাক্সে ম্যাটল্যাব চলে? উবুন্টু একবার ইন্সটল করেছিলাম কিন্তু ম্যাটল্যাব এর লিনাক্স ভার্সন খুঁজে না পাওয়াতে আর এগোনো হয়নাই...

তবে কদু ভাইয়ের "উইনাক্স"টা ভালো লাগসে।... দেঁতো হাসি
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

শামীম এর ছবি

আপনি আরেকটু আগালেই আমরাও জানতে পারি .... ....

সিনাপ্টিক প্যাকেজ ম্যানেজারে ম্যাটল্যাব লিখে সার্চ দিলে ৩৩টা প্যাকেজের একটা লিস্ট আসে .... ওখানে থাকা উচিত।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এনকিদু এর ছবি

হাঁ এই জিনিসটা লিনাক্সের জন্য ম্যাটল্যাবের বিকল্প । আমি নিজে ব্যবহার করিনি, তবে না শুনেছিলাম আগেও । ব্যবহার করতে পারলে খবর দিয়েন জিনিসটা কেমন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

শুভ্রদীপ এর ছবি

যতদূর জানি ম্যাটলাব ফ্রি নয়। চাইলে অবশ্য লিনাক্স ভার্সন কেনা যায়। কিন্তু আপনি কি কোনও ম্যাটল্যাব ক্লোনের কথা বলছেন -- যেমন অকটেভ? তবে পাইথন ব্যবহার করলে ম্যাটলাবের অনেক ফেসিলিটিই "ম্যাটপ্লটলিব" মডিউলটা থেকে পাওয়া যায়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অকটেভ ব্যবহার করেছি আমি। ম্যাটল্যাবের ক্লোন। সমস্যা হল ম্যাটল্যাবের মতো এতো রীচ লাইব্রেরী নাই। তবে ম্যাটল্যাবেরই লিনাক্স ভার্সন আছে।

এছাড়া এমইউপ্যাড ব্যবহার করে চরম মজা পেয়েছে। এটা ম্যাপলের রিপ্লেসমেন্ট। লিনাক্সের জন্য এমইউপ্যাড ফ্রী।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অভ্রনীল এর ছবি

ওপেন অফিস যেভাবে এম এস অফিসের ফাইল হ্যান্ডেল করে সেরকম ভাবে অক্টেভ ও কি ম্যাটল্যাবের এম ফাইল হ্যান্ডেল করতে পারে?
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

স্বপ্নচারী এর ছবি

অক্টেভ ম্যাটল্যাব ভাষা ব্যবহার করে। সুতরাং পিউর ম্যাটল্যাবে লেখা যেকোন ফাইল অক্টেভ রান করতে পারে। তবে কিছু সমস্যা রয়েছে -
১। ফাংশন ডেফিনেশন অক্টেভে খুবই স্ট্রিক্ট। মানে ফাংশনের শেষ কিওয়ার্ড অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
২। ম্যাটল্যাব টুলস গুলো অক্টেভে কাজ করবে না।
৩। গুই কোড কাজ করবে না।

তবে যদি ম্যাটল্যাব ফেলে দিতে পারেন - তবে বলবো পাইথন scipy ব্যবহার করতে। পুরো একটা প্যাকেজে সবকিছু আছে এবং ফ্রি। আর যদি এ্যলজেব্রিক ম্যাথও দরকার হয় - ম্যাথমেটিকা বা ম্যাপলের মত - তবে sage ব্যবহার করতে পারেন। www.sagemath.org এটা ল্যাটেকেও রান করা সম্ভব। ফলে ল্যাটেকের জন্য আলাদা গ্রাফিক্স বানিয়ে includegraphics ব্যবহার করার দরকার পড়ে না। বরং টেক ফাইলেই প্লট কমান্ড ব্যবহার করা যায়।

স্পর্শ এর ছবি

লিন্যাক্স ব্যবহার করি। তবে যে জিনিশটা মিস করি তা হল অভ্র ফনেটিক কীবোর্ড। এইটা ছাড়া বাংলা লিখতে পারিনা। লিনাক্সে মনেহয় কীবোর্ড হুক করার সিস্টেম নাই(শিওর না)।

আর মজার ব্যপার হল, পুরো বুয়েটে যত বই পড়ে পাশ করেছি তার ৫% বা ১০% বাদ দিলে আর সবই পাইরেটেড ছিল। মন খারাপ
নীলক্ষেত না থাকলে পড়াশুনা কিভাবে চলত এখনো ভাবতে পারিনা। পাইরেসি সংক্রান্ত হীনমন্যতা তাই কাজ করে কিছুটা। কিন্তু লাভ নাই। এটার সাথে এখনো বাস করতে হবে আরো অনেক দিন। তবে, অন্তত লিনাক্স ব্যবহার করে সফটয়্যার সঙ্ক্রান্ত ব্যপারটা কাটানো যেতে পারে।
অবশ্য আমাদের দেশের বেশিরভাগ কম্পিউটার ব্যবহারকারীই গেমার টাইপ। তারা লিনাক্সে যেতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এনকিদু এর ছবি

গেমারদের কথা আপাতত বাদ থাকুক । পেশাদারী কাজে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের ব্যাপারটা আমার মনে হয় প্রথমে দেখা দরকার ।

এই যেমন ধরেন আমাদের দেশের ডেস্কটপ পাবলিশিং । যাবতীয় পত্র পত্রিকা ছাপাখানা এনারা সবাই উইন্ডোজে এবং বিজয়ে বসে আছেন । ওপেন সোর্সে এনাদেরকে নিয়ে আসতে পারলে খুব ভাল হয় । কিন্তু এই ট্রানজিশনটা খুব একটা সহজ হবে না । তবে যেই কষ্টটা হবে, কয়েক বছর পরে দেখা যাবে সেই কষ্টটাই রক্ষা করবে ।

তারপর মনে করেন যাবতীয় সরকারী দপ্তর । প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়, সব রকম দপ্তর অধিদপ্তর ইত্যাদি ।

সমস্ত স্কুল কলেজ যেখানেই কম্পিউটার শিক্ষা নামক বিষয়টা পড়ান হয় মেট্রিক অথবা ইন্টারে । সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও । অন্তত কম্পিউটার কৌশলের ছাত্রদের জন্য ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

শুভ্রদীপ এর ছবি

অভ্রর মত অত সুবিধাজনক না হলেও scim ফ্রন্ট এন্ড আর m17n লাইব্রেরি ব্যবহার করে কিন্তু লিনাক্সে মোটামুটি ভালই বাংলা লেখা যায়। সমস্যাটা হল ভাল ডকু না থাকায় কোথাও আটকে গেলে গুগলই ভরসা!

শামীম এর ছবি

অভ্র'র ডেভেলপার মেহেদী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিল যে ডেলফি নামক ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে সে অভ্র বানিয়েছে। অচিরেই ডেলফি'র লিনাক্স ভার্সান আসার কথা আছে। তখন এটা লিনাক্সের জন্য করবে।

প্রভাতটাকে পুরাপুরি ফোনেটিক বলতে ইচ্ছা করে না। যদিও এটাতে একবার অভ্যস্থ হতে পারলে জোস্ হবে, কারণ উইন্ডোজ, লিনাক্স এবং ম্যাক সব জায়গাতেই এই লে-আউটটি ব্যবহারের সিস্টেম আছে। সুদুর অতীতে টাইপিং শিখেছিলাম বলে আপাতত ইউনিজয় দিয়ে কাজ চালাচ্ছি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অচিরেই কেন? আমি তো ডেলফির লিনাক্স ভার্সন অনেক আগেই ব্যবহার করেছি!!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শামীম এর ছবি

আরে! তাই নাকি! তাহলে হয়তো ডেলফির নতুন ভার্সানের কথা বলেছিল।

আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে খুঁজলে ঠিক কি লিখেছিলে সেটা পাওয়া যাবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রায়হান আবীর এর ছবি

আমাকে কেউ যদি একটা লিনাক্সের জন্য ফনেটিক তৈরী করে দিতে পারে- আমি কালকে থেকেই ব্যবহার করবো। তার আগ পর্যন্ত হীনমন্যই থাকতে হচ্ছে মন খারাপ

=============================

এনকিদু এর ছবি

ফোনেটিক আছে । অভ্রের মত না , সামান্য ভিন্ন । নাম হল প্রভাত । গুগল কর, সব খবর পাবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রায়হান আবীর এর ছবি

উহু!! ঐটা অন্যরকম। সচলের এমবেডেড ফোনেটিক দিয়েও অভ্যাস নাই।

=============================

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সচলায়তনে প্রভাত কিবোর্ডও আছে কিন্তু।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অভ্রনীল এর ছবি

সচলের এম্বেডেড কী বোর্ডে আমার নিজের সমস্যা হয়... অভ্রের উপর অনেকদিন ভর করে আছি বলেই হয়তোবা... তবে আমাকে অভ্র'র মতো ফনেটিক লিনাক্সে দিলে আমিও কালকে থেকে লিনাক্স জিন্দাবাদ বলে ঝাপায়ে পড়বো...
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

মুর্শেদ এর ছবি

আমি উবুন্টু ৮.১০ ব্যবহার শুর করেছি গত নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ লিনাক্স ইউজার এলাযেন্স এর উদ্যেগে আয়োজিত অনষ্ঠানে যে ডিভিডিটি পেয়েছিলাম সেটি ব্যবহার করে।।

ফলাফল-আমি এক কথায় অ।ভিভুত। , আর ।ভাইরাস থেকে মুক্তিতো আছেই -বিশেষত কোন পেন ড্রাই।ভ বাইরের কোন পিসিতে ব্যবহার করে আগে উবুন্টুতে ভাইরাস ডিলিট করে তারপরে সেটি ব্যবহার করি (আমি বর্তমানে উইন্ডোজ এবংউবুন্টু পাশাপাশি ব্যবহার করছি)

এখন ।অপেক্ষায় আছি উবুন্টু পরবর্তী রিলিজ ৯.০৪ এর জন্য। ,যেটি আরো নতুন ফিচার সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করছি।,

দ্রোহী এর ছবি

সবাই উইন্ডোজ থেকে লিনাক্সে যায় আর আমি লিনাক্স থেকে উইন্ডোজে আসছি। অ্যাঁ

শামীম এর ছবি

আপনার কাছে একটা খাওয়া পাওনা থাকলো কইলাম .... হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হাসিব এর ছবি

ফেডোরা গন কেইস । কিছুদিন পরে শুধুমাত্র কর্পোরেটরাই ব্যবহার করবে ওটা ।

লেনিন [অতিথি] এর ছবি

অনেক সুন্দর লিখেছেন শামীম ভাই। এটা লিনাক্স এর মেইলিং লিস্টেও দিয়ে দিন।

বিপ্রতীপ এর ছবি

দারূন লিখেছেন শামীম ভাই হাসি

নতুন কম্পুটারে উইন্ডোজের পরিবর্তে লিনাক্স দেয়া শুরু হলে দেখবেন লিনাক্সের ব্যবহার বেড়ে গেছে।

শতভাগ সহমত। কিন্তু আমার যেটা হয়েছে, নতুন ল্যাপটপে লাইসেন্সড ভিস্তা থাকায় আমি এক্সপি থেকে বিষ্ঠাতে এসে পড়েছি... মন খারাপ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

শামীম এর ছবি

একটা লাইভ সিডি হাতের কাছে রেখো। বাই চ্যান্স ... যদি ভাইরাস ক্যারাব্যারা লাগায় দেয় তবে অন্তত ডেটাগুলো বের করে আনতে পারবা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

বিপ্রতীপ এর ছবি

হুম...
shipit.com এ দুইমাস আগে রিকোয়েস্ট করছিলাম, এখনও কোন খবর নাই... ইয়ে, মানে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

রাগিব এর ছবি

আহ, লিনাক্স!!

সেই ১৯৯৯ সালে, যখন লিনাক্সের নাম শোনা মানুষকেও বাংলাদেশে হাতে হারিকেন নিয়ে খুঁজতে হয়, তখন আমি আর আমার বন্ধুর মাথায় ভুত চাপলো, লিনাক্স ইন্সটল করবো।

ইন্টারনেট দূরের কথা, ঢাকার বাজারেও সিডি দুর্লভ। এর মধ্যে কী যেনো ভারতীয় কম্পিউটার ম্যাগাজিন কিনলে তার সাথে রেডহ্যাটের সিডি দিচ্ছিলো, তাই কিনলাম। তার পর ডকুমেন্টেশন প্রিন্ট করে পড়তে থাকলাম দুই দিন। এর পর সাহস করে ইন্সটল করে ফেললাম।

বুয়েট তখনো লিনাক্স বিরোধী ছিলো। পুরো কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে কোনো কম্পিউটারে লিনাক্স নাই। সব হয় পাইরেটেড, অথবা সরকারের অনুদানে স্থানীয় ভেন্ডরের পকেট ভারী করে কেনা উইন্ডোজে ভর্তি। ভাইরাসে ভাইরাসে সব মেশিন ভরা। তার পরেও লিনাক্স ইন্সটল করতে কারো আগ্রহ নাই। কয়েক দফা অনুরোধ করেও কাজ হয়নি। শেষে পোস্টারিং করলাম!! লিফটের ভিতরে আর ডিপার্টমেন্টের দেয়ালে ছোট্ট কাগজে লিখে পোস্টার মারলাম, Stop Piracy, Use Linux!!

তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। ২০০১ সালের দিকে লিনাক্স ইন্সটল হলো কিছু মেশিনে, তাও সেগুলো চালাবার কেউ নাই। এখন কী অবস্থা জানি না। তবে লিনাক্স / ইউনিক্স সম্পর্কিত টেকনলজী পুরা দুনিয়ার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়, হাতে কলমে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা হয়, সেটা সম্ভবত এখনো বুয়েটে হয় না। বিস্তারিত এখনকার ছাত্ররা বলতে পারবে।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের এখন অনেকগুলো সেসনাল লিনাক্সে করা লাগে। ২-২ তে আসেম্বলি আগে টাসমে করানো হতো আমাদের সময় থেকে নাসমে করানো শুরু হল। সামি ভাই মনে হয় এর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আর কম্পাইলার সেসনাল তো ইয়াক লেক্স যা লিনাক্সেই করানো হয়। তবে লিনাক্স ইন্সটল করা নিয়ে আমার সহপাঠিদের বেশিরভাগেরই সমস্যা হয়েছে। আলাদা করে একদিন কয়েকজনকে বুয়েটে বসে ইন্সটল করে দেখানো লাগছে হাসি
-------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

রাগিব এর ছবি

লিনাক্সে "ভাইরাস" ধরেনা, তার মধ্যে টেকনিকালী বেশ কিছু ব্যাপার আছে। অধিকাংশ ভাইরাস উইন্ডোজ প্লাটফর্মের জন্য লেখা, কাজেই উইন্ডোজকেই ধরে। উইন্ডোজের সিকিউরিটি মডেল অতি জঘন্য। বিশেষত, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজারটি অপারেটিং সিস্টেমের সাথে খুব বেশি ইন্টিগ্রেটেড। ফলে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ঠুনকো সিকিউরিট সহজেই ভেঙে ফেলে ভাইরাস বা ওয়ার্মের স্ক্রিপ্ট সহজেই অপারেটিং সিস্টেম দখল করে নিতে পারে।

আগে ভাইরাস লেখা হতো সংশ্লিষ্ট মেশিনের বারোটা বাজাবার জন্য, এখন ব্যাপার পালটে গেছে। ভাইরাস/ওয়ার্ম এখন মেশিনটাকে দখল করে রেখে বটনেটের অধীনস্ত zombie মেশিন বানিয়ে ফেলে। বটমাস্টারেরা প্রায় অনেকেই পূর্ব ইউরোপ, যেমন রুশ বা বুলগেরীয় অপরাধী, দুনিয়ার লাখ লাখ উইন্ডোজ মেশিন এদের দখলে, যেখান থেকে স্প্যাম ক্যাম্পেইন চালানো হয়, আর ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরির সিস্টেম তো আছেই।

লিনাক্সের সিকিউরিটি অনেকটা মডিউলার ভাবে তৈরী, ব্রাউজার দখল করে ফেললেই যে অপারেটিং সিস্টেম দখল করা যাবে, সেরকম সব ক্ষেত্রে নয়। তাই ভাইরাস/ওয়ার্ম লিখে লিনাক্স মেশিন দখল করাটা কঠিন। তবে আক্রমণ যে হয় না তা নয় ... লিনাক্সে চলা সার্ভার দখলের জন্য বিভিন্ন রুটকিট ও স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে আক্রমণ চলে। তবে ব্যক্তিগত ব্যবহারের অপারেটিং সিস্টেমে সেই সম্ভাবনা কম।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লিনাক্সের সিকিউরিট মেকানিজমও অনেক খানি সাহায্য করে। এখনকার ভাইরাস গুলো জাস্ট মেমোরী রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম না। এগুলি নিজেদের ক্লোন করে ড়্যান্ডম নাম দিয়ে, মরফ করে নিজেকে নিজে বদলে দেয় যাতে এন্টিভাইরাস ধরতে না পারে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এবং ফায়ারফক্সে ব্যাকডোর তৈরী করে, বিভিন্ন প্রসেস মডিফাই করে ফেলে, নেটওর্য়াকের মাধ্যমে ইনফেকশন ঘটায়, ইন্টারনেট থেকে বিজ্ঞাপন ডাউনলোড করে ইঞ্জেক্ট করে আপনার সার্চ রেজাল্টে, চুরি করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য। এখন ভাইরাস গুলি তৈরী হয় বানিজ্যিক কারনে। তাই টার্গেট হচ্ছে মূলতঃ উইন্ডোজ।

লিনাক্সে সিকিউরিটি হচ্ছে কোর থেকে তৈরী করা। শত শত ডেভলাপারের হাতে দৈনিক যাচাই হয় বলে খুব মজবুত এর কোর। তাছাড়া ফিন্যানসিয়ালী লাভজনক না বলে এর পিছনে দুষ্ট লোকের সংখ্যাও কম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রাগিব এর ছবি

বাংলাদেশের মতো গরীব দেশে লাখ লাখ ডলার ব্যয় করে উইন্ডোজ কেনাটা চরম অপব্যয়। পাইরেসির কথায় পরে আসছি, কিন্তু সরকারী অফিসে বিনা প্রয়োজনে উইন্ডোজ কেনাটাতে কেবল মাইক্রোসফট এবং স্থানীয় ভেন্ডরদেরই পকেট ভারী হচ্ছে। অধিকাংশ অফিসের মেশিনে কেউ গেইম খেলবেন না (আশাকরি হাসি ), তারপর ডেস্কটপ পাবলিশিংও করবে না। খুব বেশি হলে চিঠি টাইপ করা, ইমেইল পাঠানো, এই ছাড়া সরকারী অফিসের কম্পিউটারের আর কোনো কাজ নেই। সেই দুই রকমের কাজের জন্যই অগুনতি ওপেন সোর্স সফটওয়ার লিনাক্সে আছে। আর ব্রাউজারে ব্রাউজ করা লিনাক্স/উইন্ডোজ সবখানেই একই রকমের।

কাজেই, বাংলাদেশে এখনই দরকার, সরকারী সব অফিসে বাংলা ইন্টারফেইসের লিনাক্স চালু করা। অনেকেই কাজ করেন এই নিয়ে (মুনির হাসান ভাইয়ের কথা বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভিতরে বসেই উনি এই নিয়ে বহু দিন ধরে ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছেন), কিছু কাজ হয়, কিন্তু ভেন্ডরদের লবীং এর জন্য পুরো সাফল্য আনাটা কঠিন। ভারতের অনেক রাজ্যে (যেমন কেরালা) লিনাক্সকে সরকারী ভাবে গ্রহন করা হয়েছে। মার্কিনীদের গোয়েন্দাগিরির ভয়ে গণচীনের সরকার "গ্রেট ওয়াল লিনাক্স" নামে নিজেদের একটা ডিস্ট্রিবিউশন বানিয়ে ওটাকেই ব্যবহার করে যাচ্ছে। আমাদের এই গরীব দেশের লাখ লাখ ডলার ফালতু উইন্ডোজে খরচ হয়ে যাচ্ছে, এটাই এক বিশাল দুঃখ।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শামীম এর ছবি

রাগিব হাসানের পাশাপাশি মুনির হাসানের নাম শুনে এবং চেষ্টার কথা জেনে ভাল লাগলো।

কয়েকদিন আগে আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে কেউ একজন ক্যুইজ দিয়েছিল যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিস্ট্রো কোনটা। অনেকে অনেক কথা বললো, আমি উইকি'র রেফারেন্স দিলাম। কিন্তু প্রশ্নকর্তা শেষে বললো রেডফ্ল্যাগ লিনাক্সের কথা। আহামরি কিছু না, কিন্তু চীনে কম্পিউটার বিক্রেতাগণ কম্পিউটারের সাথে এটা ইনস্টল করে দেন।

বাংলাতে এখন রয়েল বেঙ্গল লিনাক্স নামে একটা ডিস্ট্রো ডেভেলপমেন্ট চলছে (সম্ভবত এটা উবুন্টুর কাস্টমাইজেশন)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রাগিব এর ছবি

ঠিক, ওটা Red Flag Linux-ই হবে। আমি গুলিয়ে ফেলেছি।

মুনির হাসান ভাই আমার দেখা সেরা সংগঠক। বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াড আন্দোলন গড়ে তোলার সাংগঠনিক কাজটা উনি করেছেন। আর মুক্ত সোর্স আন্দোলন নিয়ে লেগে আছেন। উনার অনুরোধেই জাফর ইকবাল স্যার তার সব বই এখন মুক্ত লাইসেন্সে অনলাইনে দিয়ে দিচ্ছেন। মুনির ভাইই বাংলা উইকি মুভমেন্টের জনপ্রিয়করণের কাজটা করছেন দেশে, গত ৩ বছর ধরে।

---

বাংলাদেশে অংকুর নামের সংগঠনটি উবুন্টুর বাংলা সংস্করণ বের করেছে গত বছর বা তার আগেই। এখানে দেখতে পারেন, হৈমন্তী

অনলাইনেও পাবেন, আর BDOSN এর কাটাবনের অফিস থেকেও ডিভিডি পাবেন।

auto

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শামীম এর ছবি

শ্রাবণী আর হৈমন্তি দুইটাই দেখেছি। হৈমন্তি ভাল জিনিষ ছিল। একটা বিষয়ের অভাব অনুভব করেছিলাম - সেটা হল থিন ক্লায়েন্ট বা কম মেমরি যুক্ত পুরানা পিসিগুলোর জন্য।

এই ফীডব্যাকগুলো তখন বিডিলাগে জানিয়েছিলাম। পরবর্তী দেশি লিনাক্সে সম্ভবত দূর্বল পিসিগুলোর জন্যও ভার্সান (xfce/fluxbox) ডেভেলপ করবে। এটা হলে অনেক পুরাতন মেশিন/ল্যাপটপে এগুলো দেয়া যাবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অংকুরের সাথে অনেক দিন কাজ করেছি। মূলতঃ প্রোমোট এবং প্রচার কাজে সহায়তা করেছি বেশ কয়েকবার। বিডিলাগেও ছিলাম/আছি অনেক দিন ধরে। পরে আর আগ্রহ থাকেনি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমিও আমেরিকা এসেই অনেক ঝামেলা করে লিনাক্স ইন্সটল করেছিলাম। ডেল'এর মেশিনের চৌদ্দ রকম ঝামেলা মিটিয়ে। দুইটা সমস্যার জন্য উইন্ডোজেই আসতে হল।

১) এমএসএন মেসেঞ্জার ও ওয়েবক্যাম
২) ম্যাটল্যাব

প্রথম সমস্যা নেই আর। দ্বিতীয়টারও সমাধান হয়ে গেছে। টরেন্ট থেকে সবেমাত্র লেটেস্ট ম্যাটল্যাব নামালাম। ইদানিং তো একই রকম অনেক সমাধান তৈরিও হয়ে গেছে।

নতুন সমস্যা হিসেবে যোগ হয়েছিল বাংলায় লেখালেখি। উবুন্টু ইন্সটল করে প্রভাত চালিয়ে দেখলাম একটু। অভ্র হলে সুবিধা হত আর কি। তবু দেখি এবার "মানুষ" হওয়া যায় কিনা।

শামীম ভাই ও রাগিব ভাইকে অনেক ধন্যবাদ লিনাক্সের কথা বলে চলার জন্য। আমাদের দেশের জন্য এর উপরে কিছু নেই আসলে।

হিমু এর ছবি


বাংলাদেশে সরকারী দপ্তরে কম্পিউটারের ব্যবহার নিয়ে একটা জরিপ চালানো কি সম্ভব?

জরিপে কর্তারা সম্মত না হলে আড়চোখ-অভিজ্ঞতা বা আড়কান-অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা থ্রেড হতে পারে কি?

২.
আমি জানি না যে আইডিয়া দিতে যাচ্ছি, সেটি ইতোমধ্যে পরীক্ষিত এবং/অথবা চর্চিত কি না।

বাংলাদেশের সরকারী দপ্তর বিনামূল্যে হীরাজহরত দিলেও নেবে না। কোন কিছু সমূল্যে প্রকিউর করতে না পারলে টাকাপয়সা চালাচালি হবে কিভাবে?

লিনাক্স জনপ্রিয় করার জন্যে যা করতে হবে, উইন্ডোজ প্যাকেজের ৭৫% মূল্যে লিনাক্স সার্ভিস প্যাকেজ বিক্রি করতে হবে তাঁদের কাছে। সার্ভিসের মধ্যে থাকবে রোপণ (ইনস্টলেশন), প্রশিক্ষণ ও সমস্যা সমাধান (ট্রাবলশুটিং)। সার্ভিসের আয়ু থাকবে, যা অতিক্রান্ত হলে কোন একটি মূল্যে তা আবার নবায়ন করতে হবে। সেটি নগণ্য হতে পারে, কর্তাদের পেছনে বেশি খাটতে হলে নগণ্য না-ও হতে পারে।

এতে করে যা হবে, কেনাবেচা হবে। বহু ছেলেমেয়ে সরকারী কর্তাদের লিনাক্স শিখিয়ে একটা আয়রোজগার করতে পারবেন। তাদের সংস্পর্শে ঘনঘন এসে কর্তারা একটু ডাইনামিক হবেন, এবং কর্তাদের সংস্পর্শে ঘনঘন গিয়ে ছেলেমেয়েরাও জানবে সরকারী কাজে কী হয় না হয়।

বাঙালিকে মাগ্না কোন উপকার করে দিতে যাবেন না। সে কয়েক হাজার বছর ধরে বহিরাগত বাঁশ খেয়ে খেয়ে সন্দিগ্ধ, কেউ যেচে উপকার করবে, তা-ও বিনামূল্যে, এই নোশনটির সাথেই বাঙালি পরিচিত নয়। কাজেই তার মনে খ্রাপ সন্দেহ জাগিয়ে না তুলে বরং বলুন, আরো সস্তায় কিছু দেবেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শামীম এর ছবি

হিমু'র মাথায় খালি বুদ্ধি গিজগিজ করে!

আইডিয়াটা দারুন। আর বর্তমান ব্যবসার ট্রেন্ডও সেইরকম। সফটওয়্যার ফ্রী কিন্তু সার্ভিস ফ্রী না। কাজেই লিনাক্স দাম দিয়েই নিতে হবে ... দামটা আসলে হবে কামলাদের সার্ভিস চার্জ + স্থানীয় ডেভেলপারদের জন্য ডোনেশন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হিমু এর ছবি

কাজে লাগালে কমিশন দিয়েন বস। মোটে ১%। রাজি চোখ টিপি ?


হাঁটুপানির জলদস্যু

শামীম এর ছবি

কমিশন যেন মিস না হয় সেজন্য বুদ্ধিটাকে পেটেন্ট করে রাখতে হবে চোখ টিপি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হিমু এর ছবি

দেক্সোনি কার্বার?!!

এইদ্দ্যাহেন বস! মাগ্না মাগ্না ভালু বুদ্ধি দিলাম দাম দিলেন না। বৈদেশি কনসালটু হইয়া পয়সা দিয়া ভাড়া কইরা আইনা এই কথা মুখ দিয়া বাইর করাইলে লইবেন!

হা পেটেন্ট জো পেটেন্ট! শব্দটা শুনলেই সেই ভয়াল চেহারা মনে পড়ে। অভ্রকে ধন্যবাদ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শামীম এর ছবি

আমি তো আর লিনাক্সের সার্ভিস দেয়া কামলা না। তাই ঐ খাতের ট্যাকা-পয়সা আমার এইদিকে আসার সম্ভাবিলিটি নাই। যদি আসতো আপনারে উপদেষ্টা ফী দিতে কুন আপত্তি থাকতো না।

অন্যেরা তো আমার মত না-ও ভাবতে পারে। সেজন্য বল্লাম পেটেন্টের কথা। ইয়ে পয়সা মুঝে দে দে কামলা - বলতে বেশি জোর হইতো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

রেডহ্যাট ৬.২ থেকে চেষ্টা শুরু করেছিলাম লিনাক্সে সুইচ করার। এত বছর পর অবশেষে এইবারে উবুন্তু ৮.০৪ দিয়ে সুইচ করতে পেরেছি। লিনাক্স অনেক দূর যাবে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

লেনিন [অতিথি] এর ছবি

নতুন সমস্যা হিসেবে যোগ হয়েছিল বাংলায় লেখালেখি। উবুন্টু ইন্সটল করে প্রভাত চালিয়ে দেখলাম একটু। অভ্র হলে সুবিধা হত আর কি। তবু দেখি এবার "মানুষ" হওয়া যায় কিনা।[/quote লিখেছেন:

আপনি scim এর m17n মডিউলে ইউনিজয় লেআউটে বাংলা লিখতে পারেন অনায়াসে।

শামীম এর ছবি

"আরবরা যখন খেজুর খাইতো" - এই আমলে যারা বাংলা টাইপিং শিখেছিল তাঁরাই মূলত বিজয় ব্যবহারকারী। ইউনিজয়ে যাওয়া তাদের জন্য সহজ (যেমন: আমি)।

কিন্তু গত কয়েক বছরে যারা বাংলা টাইপ করা শুরু করেছেন, তাঁরা মূলত ফোনেটিকে লেখেন। এতে শুধু শুধু কষ্ট করে বিজয়/ইউনিজয়ের মত আরেকটা লে-আউট মুখস্থ করা লাগে না।

প্রভাত ফোনেটিক হল আধা ফোনেটিক। ত/থ, দ/ধ ং এ-কার, ঔকার -- এই ধরণের কয়েকটা কী খুবই অসুবিধাজনক জায়গায়। এটা বিজয়ের/ইউনিজয়ের তুলনায় কম হলেও অভ্র বা সামহোয়ারইন ফোনেটিকের চেয়ে অনেক বেশি বিষয় মুখস্থ করতেই হচ্ছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আপনার মতের জন্য ধন্যবাদ। লিংকটা মনে ধরেছে। "ইন্টার-ব্লগ পছন্দের পোস্ট" জাতীয় কিছু থাকলে হত। আপাতত বুকমার্ক করে রাখলাম আপনার পোস্টটা। ধন্যবাদ।

তানভীর এর ছবি

অনেক হাঙ্গামা করে পার্টিশন দিয়ে লিনাক্স ইনস্টল করেছিলাম একবার। মাগার জুইত পাই নাই। আর আমি ESRI-র GIS প্রডাক্ট ব্যবহার করি যার সবকিছু জানালা-বেইজড (মনে হয় মাইক্রোসফটের সাথে কোন চুক্তি আছে)। তাই লিনাক্সে উৎসাহ পাই না। অবশ্য লিনাক্স বেইজড/ওপেন সোর্স GIS-ও আছে। কিন্তু এরা কখনো ESRI-র ধারে কাছে আসতে পারবে বলে মনে হয় না।

মুনির ভাইয়ের প্রসঙ্গ যখন আসল, আমিও একটু যোগ করি। ২০০৫ সালের দিকে সম্ভবত ওনার একটা আর্টিকেল দেখে আমি প্রথম উইকিতে রেজিস্ট্রেশন করি। পরে বিজ্ঞান প্রজন্মে টর্নেডো নিয়ে একটা লেখার কাজে যোগাযোগ। বিবিধ বিষয়ে মানুষটির উৎসাহ এবং প্রচেষ্টা অবাক করার মত। হ্যাটস অফ টু মুনির হাসান।

শামীম এর ছবি

ব্যবহারকারী বাড়লেই দাবী বাড়বে। আর ডেভেলপারগণও সুড়সুড় করে জি.আই.এস.-এর জন্য ভাল ভাল ফীচারসহ প্যাকেজ ছাড়তে থাকবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

লিনাক্স ব্যবহার করার সাধ জাগে। লেখাটেখা পড়ি মাঝেসাঝে কিন্তু সাহস করে এটা ব্যবহার করা হয়ে ওঠেনা। উইন্ডোজের ব্যাপারে আমার মতামত হল যে তাদের প্রোডাক্টস গুলো দিনে দিনে ফালতু থেকে ফালতুতর হচ্ছে। ভাল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট না করে বানিজ্যতে বেশি মনোযোগী এরা। সাহস সঞ্চার করে তাই পরিবর্তনটা করে ফেলতেই হবে ভাবছি। তবে তারও আগে এক্সপেরিমেন্ট চালানোর জন্য একটা কম্পু যোগাড় করা দরকার।

--------------------------------------

--------------------------------------------------------

রাগিব এর ছবি

ভূঁতের বাচ্চার কমেন্ট দেখে আরেকটা কথা মনে হলো, অনেকেই লিনাক্স ইন্সটল করতে সাহস পাচ্ছেন না। তাদের জন্য সহ্জ উপায় ২ টা

১) উবুন্টুর লাইভ সিডি ব্যবহার করা। ইন্সটল করার কোনো দরকার নাই, সিডি থেকে বুট করে সরাসরি ব্যবহার করা যায়।

২) এক্সপেরিমেন্ট চালাবার পুরানো মেশিনের দরকার নাই। vmware ইন্সটল করে তাতে লিনাক্স ইন্সটল করুন। ঝামেলা হলে ভার্চুয়াল মেশিনে হবে, আপনার আসল মেশিনের কিছুই হবে না।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

পুরুজিত এর ছবি

লিনাক্সের ব্যবসাগত দিকটা নিয়ে আমার আর আমার এক সহকর্মীর প্রায়ই আলাপ হয়। মোটামুটি আমার যুক্তিগুলো এরকম থাকে-
১। যেকোন ধরনের সফটওয়ার নির্মাণেই কিছু না কিছু ব্যয় থাকে (ডেভেলপাররাও মানুষ)।
২। ডেস্কটপ ও.এস এর সবচেয়ে বড় ক্রেতা কর্পোরেট এবং সরকারগুলো।
৩। সফটওয়ার তৈরি করার চেয়ে সার্ভিস করা অনেক সহজ।
৪। সোর্স কোড উন্মুক্ত হলে কর্পোরেটগুলো সফটওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠাণের বদলে তৃতীয় কোন পক্ষকে দিয়ে সার্ভিসিং এর কাজটি করিয়ে নেবে (৩ থেকে)।ফলে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠাণটির (বা ব্যক্তির) আয় প্রবাহ কমে যাবে। যদি তাদের আয় টিকিয়ে রাখতে হয় তবে তাদের সার্ভিস বিক্রি করতে হবে এমন মূল্যে যাতে তারা ঐসব তৃতীয় পক্ষের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। অর্থাৎ তাদেরকে একটা অসম প্রতিযোগিতায় নামতে হবে (কারণ তৃতীয় পক্ষের সফটওয়ার নির্মাণের খরচ নেই।)
৫। ব্যয় আছে কিন্তু আয় নেই এমন কোন কিছু টিকে থাকতে পারে না।

তাহলে এতদিন কিভাবে টিকে ছিল? কারণ বাজারে বদ্ধ সোর্স সফটওয়ার আছে যা ঐসব ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো ডেভেলপারদের কাজ দিয়েছে, বেতন দিয়েছে। অতএব উন্মুক্ত সোর্সের নিজের স্বার্থেই বদ্ধ সোর্সকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কোন সফটওয়ারই বিনামূল্যে দেয়া উচিত নয়। যদি সোর্স বিনামূল্যে উন্মুক্ত করেও সফটওয়ার বিক্রি করা সম্ভব হয় তাহলে আমি উন্মুক্ত সোর্সের পক্ষে তবে আমি মনে করি না তা সম্ভব।

শামীম এর ছবি

হুঁ ...

এই ব্যাপারে বিভিন্ন ফোরামে বিরাট বিরাট থ্রেড দেখেছি। বিপক্ষে এ্যাত যুক্তি থাকার পরেও কিন্তু ওপেনসোর্স বাড়ছে। নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে।

আমি ডেভেলপার নই তাই সঠিক বলতে পারবোনা কেন; কিন্তু তারপরেও একটা অনুমানের কথা জানিয়ে যাই:

মানুষ খ্যাতি চায়। টাকার চেয়ে এটা বেশি আকর্ষনীয়। বিল্লুর (বিল গেটস) তো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার - কিন্তু সমস্ত জাগতিক সুবিধাসহ ওঁর নিজের বেঁচে থাকার জন্য খুব বেশি কি দরকার। টাকার Diminishing utility বলে একটা কথা প্রচলিত আছে অর্থনীতিতে।

একজন একাকী আগ্রহী ডেভেলপারের জন্য সফটওয়্যার বানানোর চেয়ে মার্কেটিং কঠিন বলেই মনে হয় - এর একটা কারণ তার দক্ষতা আইটিতে, মার্কেটিং-এ নয়। সুতরাং একটা ভাল সফটওয়্যার বানিয়ে ওপেনসোর্স হিসেবে ছেড়ে দিলে নিজের বিজ্ঞাপন হিসেবে কাজ করবে।

এখনকার জগতে বিজ্ঞাপনের জন্য যত খরচ হয় তার চেয়ে অনেক কম খরচে সফটওয়্যার বানিয়ে নিজের সুনাম বাড়ানো যায় বলে আমার ধারণা।

খবরের কাগজে আমাদের ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞাপন দিতে প্রতিবার ২০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা খরচ হয়। কিন্তু শুধু তাতে কি ছাত্র বা অভিভাবকগণ এই ইউনিভার্সিটিতে আসবে। বরং এরকম সেমিনার আয়োজনের সুযোগ দিলে (বিনামূল্যে, সমস্ত সাপোর্ট সহ) অত্যন্ত কম চেষ্টায় নাম ছড়াতে সাহায্য করে। passive marketing বলে কোন টার্ম আছে কি না জানিনা, কিন্তু এটাকে আমার সেটাই মনে হয়।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রাগিব এর ছবি

যেকোন ধরনের সফটওয়ার নির্মাণেই কিছু না কিছু ব্যয় থাকে (ডেভেলপাররাও মানুষ)।

এইখানে অনেক ব্যাপার আছে, যা বাজার অর্থনীতির ধারণা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। খ্যাতি এবং peer recognition অনেক বড়ো ব্যাপার অনেকের কাছে, যা "লাভ", "মানুষ", "পেটের দায়" এই সবের চাইতেও বড় হয়ে দেখা দেয়। আবার অনেকের রীতিমত হবি হলো সফটওয়ার বানানো।

এখন আপনার অবসর সময়ের হবি দিয়ে আপনি টাকা কামাবেন, নাকি মনের আনন্দ লাভ করবেন, সেটা মানুষ থেকে মানুষে আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে ...।

উদাহরণ হিসাবে মুক্ত সোর্সের আরেকটা বিশাল অর্জন - উইকিপিডিয়ার কথা বলতে পারি। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবে মানুষে, এইটা ইকনমিক্স ১০১ কিংবা ক্যাপিটালিজম ১০১ পড়ারা কেউ কখনো বিশ্বাস করেনি। নিজের এক পয়সা লাভ নাই, কিন্তু তার পরেও রীতিমত সময় (এবং ইন্টারনেট যোগাযোগের অর্থ) ব্যয় করে কেউ কেনো বিশ্বকোষের উপরে কাজ করবে, তা ২০০১ সালে কেউ ভাবতেই পারেনি। আর "মাগনা" কাজের এই জিনিষ বেতনভূক বিশেষজ্ঞদের হাতে লেখা ব্রিটানিকার ধারে কাছে যাবে, তাও অবিশ্বাস্য ছিলো। আজ ৮ বছর পরে পুরো ঘটনাই পাল্টে গেছে। মাগনা কামলা খাটতে মানুষের উৎসাহের কমতি নেই, সেটা উইকির নিবেদিতপ্রাণ কর্মী বাহিনী দেখলেই বোঝা যায়।

প্রায় সবাই হয়তো "মনের আনন্দে করিবো কাজ" - এই ভাবধারাকে গাধামী আর অর্থনৈতিকভাবে বোকামী বলতে পারেন, কিন্তু ১০০ জনে দুই একজন "বোকা" ঠিকই থাকবে, যারা মনের সুখে, কিংবা সতীর্থদের কাছে নাম কামানোর জন্য হলেও উইকি কিংবা ওপেন সোর্স সফটওয়ারে কাজ করবে। আর ডিজিটাল জমানায় এইসব জিনিষ এমন, হাজার জনে ১ জন করলেও সুবিধাটা সবাইই পায়।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

পুরুজিত এর ছবি

আর কিছু ব্যাপারে খটকা আছে।
- মোবাইল ফোনে (বিশেষ করে স্মার্ট ফোনে) বেশি চলে সিম্বিয়ান, তার পরে আইফোন ওএস, তারপরে উইন্ডোজ মোবাইল (উইকি থেকে)...
- ওয়েব সার্ভারে লিনাক্স বেশি চল্লেও, পুরো সার্ভার মার্কেট হিসাব করলে লিনাক্স তৃতীয় স্থানে।

রাগিব এর ছবি

সার্ভার বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, সেটার উপর নির্ভর করছে এটা।

ওয়েব সার্ভার মার্কেটে প্রায় নিঃসন্দেহে লিনাক্স এগিয়ে, কিন্তু সার্ভার বলতে যদি বিভিন্ন কোম্পানীর ফাইল সার্ভার বা এনটি সার্ভারকেও হিসাবে ধরা হয়, তাহলে উইন্ডোজ এগিয়ে থাকতে পারেই।

আর আরেকটা ব্যাপার হলো, লিনাক্স ঘরাণা, অর্থাত ইউনিক্সের বিভিন্ন ফ্লেভার যদি ধরা হয়, সার্ভার মার্কেটে সেই ঘরাণার একটা বিশাল আধিপত্য এখনো আছে। আইবিএমের বিভিন্ন প্রডাক্টে লিনাক্স এবং aix চলে।

এমবেডেড সিস্টেমের মার্কেটে সম্ভবত ইউনিক্স ফ্লেভারের বিভিন্ন সিস্টেমের আধিপত্য। ঠিক নির্দিষ্ট ডাটা এখানে দিতে পারছি না অবশ্য।

iPhone OS কিন্তু আসলে ইউনিক্স। হাসি

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কী বিষয়ে লিনাক্স দরকারি তা না বুঝলেও পোস্ট আর কমেন্ট থেকে বুঝতে পারছি এটা মারাত্মক একটা দরকারি জিনিস

যাক দুর্ঘটনাক্রমে কিছুদিন আগে শামীমের ফোন নম্বরটা যোগাড় করা হয়ে গেছে
এখন হোম সার্ভিস টেকি মেন্টর গ্রুপে সেই নম্বরটা রেখে দিলাম

ফোন্দিমুনে

শামীম এর ছবি

খাইছে!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

Omi Azad এর ছবি

Good writing. But if you see PDC 2008 Keynote videos, you will forgot what Linux will do and who will dominate the world. হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সরি অমি ভাই বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমি উইন্ডোজ ৭ দেখেছি, ভবিষ্যতের ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়েও অল্প বিস্তর জানি। কিন্তু তাই বলে লিনাক্স থাকবে না এটা কেউ বললে তাকে অদূরদর্শী বলা ছাড়া কিছু বলার নেই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সবজান্তা এর ছবি

বিগত বছর দু'য়েকের বেশি সময় ধরে আমার সেকেন্ড হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করার পর থেকে, আর লিনাক্স ব্যবহার করা হচ্ছে না। ২০০১-এ স্ল্যাকওয়ার দিয়ে শুরু করেছিলাম, এরপর রেড হ্যাট - ফেডোরা, কিছুদিন উবুন্টু নিয়েও গুঁতোগুঁতি ভালোই চলছিলো। এরপর নতুন স্যাটা হার্ডডিস্ক কেনার পর পড়লাম ফাঁপরে। আমার মাদারবোর্ড স্যাটা সাপোর্ট করে ঠিকই, কিন্তু প্রাচীনকালের মাদারবোর্ড হওয়াতে ঝামেলা যেইটা হইলো, শালা বুটিং-এর টাইমে স্যাটা পায় না, বুট হয়ে গেলে, উইন্ডোজের ইউটিলিটির কারণে স্যাটা পায়।

বুঝতে পারতেছি মাদারবোর্ডের কোন প্যাচ ইন্সটল করলেই হয়ে যাবে, কিন্তু আলসেমিতে সে'টাই করা হচ্ছে না মন খারাপ

আরেকটা অফ-টপিক, রাসেল জন ভাই কী আপনাদের সাথেই কাজ করেন ?


অলমিতি বিস্তারেণ

শামীম এর ছবি

হুঁ .. রাসেল জন গত প্রোগ্রাম (উবুন্টু) এবং আগামী প্রোগ্রামে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় ছিল/আছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সবজান্তা এর ছবি

রাসেল ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় আই আর সি-তে। এমন ডেডিকেটেড লিনাক্স অন্তঃপ্রাণ লোক, সেই আমার প্রথম দেখা। উনার আগ্রহেই বাংলাদেশ ভিত্তিক দু'টো লিনাক্স ফোরামের সদস্য হয়েছিলাম। উনি এখনো চমৎকারভাবে লিনাক্সের সাথে লেগে আছেন শুনে খুব ভালো লাগলো।


অলমিতি বিস্তারেণ

রণদীপম বসু এর ছবি

আমি তো উইণ্ডোজের পাশাপাশি লিনাক্সও টেস্ট করতে চাই। কিন্তু কম্পুকানা মানুষ হিসেবে সাহস পাই না। উইন্ডোজ অভ্যস্ততাও একটা বড় ব্যাপার হয়তো। রাগিব ভাই'র উবুন্টুর লাইভ সিডি ব্যবহার বিষয়ক কমেন্টস থেকে কিঞ্চিৎ আশাবাদী হলেও পুরোপুরি ক্লিয়ার নই। এ ধরনের কথা এর আগেও আরো শুনেছি। কিন্তু আশেপাশে কোনো বিপদভঞ্জারক লিনাক্স ব্যবহারকারী পাই নি বলেই হয়ে উঠছে না। এ ব্যাপারে আমার কৌতুহল কিন্তু মোটেও কম নয়।
আমার বর্তমান পিসি যেমনটা আছে উইন্ডোজ পরিবর্তন না করে কীভাবে লিনাক্স ব্যবহার করবো ? এ ব্যাপারে আমার অনেকগুলো প্রশ্ন আছে, কিন্তু কমেণ্টের মাধ্যমে তা সমাধান বোধ করি সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে ডিটেইলস জানার উপায় থাকলে বলুন...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শামীম এর ছবি

দাদা আগামীকাল বা অন্য কখনো যদি কম্পিউটার সমেত দেখা হয় হাতে কলমে বুঝিয়ে দেব।

সংক্ষেপে বললে ব্যাপারটা তেমন কিছুই না, সিডি রমে উবুন্টু বা অন্য কোন লিনাক্স সিডি ঢুকিয়ে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিলেই ঐ সিডি থেকে লিনাক্স দিয়ে কম্পিউটার চালু হয়। হার্ড ডিস্কে একটা আঁচড়ও ফেলে না। লিনাক্স চেখে দেখার জন্য এটা একটা ভাল পদ্ধতি -- তবে হার্ডডিস্ক ইনস্টলের চেয়ে একটু ধীরগতিতে চলে। এছাড়া ভাইরাসে টেসে যাওয়া কম্পিউটার চালু করে ওখান থেকে ডেটা উদ্ধার করার দারুন সহজ উপায়।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রণদীপম বসু এর ছবি

উবুন্টু সিডিটা কি আইডিবি ভবনে পাবো শামীম ভাই ? এর কি বিশেষ কোনো নাম আছে ? কি বলতে হবে তাদেরকে ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শামীম এর ছবি

এইটার জন্য কোথাও দৌড়াদৌড়ি করার দরকার নাই। হুদাই দাম চাইবে। আপনার দেখা হইলেই সিডি বার্ণ করা যাবে। আমার কাছে সফট কপি, ব্ল্যাংক সিডি, রাইটার - সবই আছে।

আর যদি খুবই শখ হয়। তাহলে রাইফেল স্কয়ারে আগোরার উপরে ৩ তলায় ভাইব মিউজিকে গিয়ে ড্রিম লিনাক্স বা লিনাক্স মিন্ট নিতে পারেন। ৫০ টাকার বেশি নেয়ার কথা না। তবে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে চাইলে উবুন্টু ভাল চয়েস - কারণ সমস্যায় পড়লে সাহায্য করার লোক পাওয়া যাবে।

কিংবা আগামী শুক্রবার মিরপুর যাব। তখন দেখাতে পারবো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

মুর্শেদ এর ছবি

"বাংলাদেশে এখনই দরকার, সরকারী সব অফিসে বাংলা ইন্টারফেইসের লিনাক্স চালু" -

-"মার্কিনীদের গোয়েন্দাগিরির ভয়ে গণচীনের সরকার "গ্রেট ওয়াল লিনাক্স" নামে নিজেদের একটা ডিস্ট্রিবিউশন বানিয়ে ওটাকেই ব্যবহার করে যাচ্ছে। আমাদের এই গরীব দেশের লাখ লাখ ডলার ফালতু উইন্ডোজে খরচ হয়ে যাচ্ছে, এটাই এক বিশাল দুঃখ।"---

রাগিব ভাইয়ের এই কথাগুলোর সাথে আমি সম্পুর্ণএকমত এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকদের অবিলম্বে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।। ।

সম্প্রতি একটি দৈনিক পত্রিকায় দেখলাম ভোটার তলিকার ডাটাবেজ সংরক্ষন , নিয়িমত আপডেটের জন্য প্রত্যেক উপজেলায়একটি করে সার্ভার রুম স্থাপন করা হচ্ছে। এবং সম্ভবত এ সংক্রান্ত একটি প্রজেক্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছে।-প্রশ্ন হলো এ সব সার্ভারের জন্য আমরা কি উইন্ডোজ এর পরিবের্তে লিনাক্সএর কোন ডেষ্ট্রো (যেমন উবুন্টু ৮.১০ সার্ভার এডিশন) ব্যবহার করকে পারি না, তাতে আর কিছু না হোক গরীর এই দেশের কিছু টাকা তো সাশ্রয় হবে আর লিনাক্সতো সার্ভারে ভালই কাজ করে বলে জানি।।

স্বপ্নাহত এর ছবি

পাঁচ মাস হলো উবুন্টুতে আছি। এক্সপিকে মোটামুটি চিরদিনের জন্যই বাই বাই বলে দিয়েছি বলা যায় হাসি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

হিমু এর ছবি

শামীম ভাই, আমার মনে হয় লিনাক্সসংক্রান্ত আপনার পোস্টগুলোতে পাঠকের মন্তব্যগুলোকে সামারাইজ করার একটা সময় হয়েছে আপনার। লিনাক্স নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বা অনভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন অনেকে, সেগুলো থেকেও একটা ছবি স্পষ্ট হচ্ছে। নতুন যেসব আইডিয়া উঠে এসেছে, সেগুলোকে সম্ভব হলে প্রয়োগ করে দেখা যেতে পারে।

আমি আপনাকে একজন কম্পিউটারব্যবহারকারীর মডেল দিচ্ছি। ধরা যাক তার নাম বিল চোখ টিপি । বিল এতদিন যাবত কেবল উইন্ডোজ ব্যবহার করে এসেছে, লিনাক্স বা ইউনিক্স সম্পর্কে তার ধারণা বা আগ্রহ নেই। বিল ঠ্যাকায় পড়েছে এখন, কারণ তার নতুন ল্যাপটপ কিনতে হবে, পকেটে পয়সা বেশি নেই। লিনাক্সে চলে এমন নতুন ল্যাপটপ সে আড়াইশো ইউরো দিয়ে কিনতে পারছে, যেখানে উইন্ডোজ এক্সপিঅলা ল্যাপটপের দাম চারশো আর ভিস্তাঅলা ল্যাপটপের দাম ছয়শো ইউরো।

বিলের জন্যে লিনাক্সের দুয়ার খুলে দেয়া একটি নির্দেশনাপোস্ট দেয়া যায় কি? সেখানে যা যা থাকতে পারেঃ

  • লিনাক্স ব্যবহার করে বিল এযাবৎ উইন্ডোজে ব্যবহার করে আসা ফীচারগুলোর কোনগুলো থেকে বঞ্চিত হবে?

  • কী আছে লিনাক্সে যা উইন্ডোজে নেই?

  • লিনাক্স ইনস্টল করার সহজ প্রক্রিয়াটির বর্ণনা।

  • বিগড়ে গেলে হাতের কাছে কী কী থাকতে হবে।

  • লিনাক্স ব্যবহার করে সচলায়তনে কর্মকান্ড চালাতে গেলে কী থাকতে হবে?

  • লিনাক্স আর উইন্ডোজ পাশাপাশি ব্যবহার করা সম্ভব কি না আর সম্ভব হলে তা কিভাবে করলে ভালো হয়?

  • ... [বাকিটা আরো পাঠকেরা যোগ করবেন]


হাঁটুপানির জলদস্যু

শামীম এর ছবি

যথারীতি ভাল একটা পরামর্শ, তবে সাথে সাথে মন ভাল নাই - নতুন কাজ চাপানোর অপচেষ্টা (!) দেখে।

তবে, এই কাজ করার জন্য সবচেয়ে কামিল ব্যক্তিকে মনে হয় আমি চিনি। কয়েকদিন গুতাইলেই হবে মনে হয়। (আলোকিত নামে ফোরামে লেখে)। ইতিমধ্যেই দারুন সব টিউটোরিয়াল পেয়েছি ওর কাছ থেকে।

তার থেকে একটা স্যাম্পল দেখেন

আর, আপাতত ঘুরাঘুরি করার জন্য এই ফোরামটা

আমিও লিখতে পারি (নন-টেকি ভিউ থেকে)। তবে এখনই সম্ভব না; যদিও তাওয়া গরম থাকতে থাকতেই পরোটা ভাজার নিয়ম। মন খারাপ

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লিনাক্স ব্যবহার করে সচলায়তনে কর্মকান্ড চালাতে গেলে কী থাকতে হবে?

কোন সমস্যাই হবে না। আমি মাস দুয়েক হল লিনাক্সে সুইচ করেছি। ফায়ারফক্স দিয়ে সুপার্ব বাংলা ব্লগিং করা যায়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

লিনাক্স এর ব্যবহার সর্বত্রই বাড়ানো দরকার।

কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এখন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিস্ঠানগুলো ব্র্যান্ড কম্পিউটার কিনে থাকে যা কিনা উইন্ডোজ সাথে নিয়েই আসে। ওস বিহীন কোনো কম্পিউটার এখন মনে হয় কেউ কেনে না। লেপটপ এর বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। আর উইন্ডোজ যদি ইন্সটল করাই থাকে, তাহলে ওইটা ফেলে দাওয়ার ইচ্ছাও থাকে না। হাজার হউক টাকা দিয়ে কেনা!

কোনো রকম ওস ইন্সটল করা থাকবে না, বা থাকলেও লিনাক্স থাকবে এবং সরবরাহকারী প্রতিস্ঠান উইন্ডোজ এর মতো লিনাক্সকেও সার্ভিস দিবে, এ রকম কম্পিউটার কেনার ব্যাপারে অফিস গুলোকে উৎসাহিত করা গেলেই কেবল লিনাক্স ব্যবহার জনপ্রিয় উঠতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিরাট অংকের অর্থ বেছে যেত।

শুনেছি, সরকার নাকি স্কুলগুলোতে কম্পিউটার বিতরণ করার পরিকল্পনা করছে। সেক্ষেত্রে ওই কম্পিউটারগুলো লিনাক্স পরিচালিত হলে, একটা প্রজন্ম হয়ত লিনাক্স এর সাথে সখ্যতা নিয়ে বড় হতো। ওইটা একটা বড় সুযোগ।

ধন্যবাদ।

অরিজিত এর ছবি

একটা কথা মাথায় রাখা দরকার - Stallman-এর free software foundation এবং ওপেন সোর্স - দুটো ব্যবহারিক দিক থেকে কাছাকাছি হলেও ideologically একটু আলাদা। Free software is not zero-cost software - it's free as in free speech, not as in free beer.

"Free software is a matter of the users' freedom to run, copy, distribute, study, change and improve the software. More precisely, it refers to four kinds of freedom, for the users of the software:

* The freedom to run the program, for any purpose (freedom 0).
* The freedom to study how the program works, and adapt it to your needs (freedom 1). Access to the source code is a precondition for this.
* The freedom to redistribute copies so you can help your neighbor (freedom 2).
* The freedom to improve the program, and release your improvements (and modified versions in general) to the public, so that the whole community benefits (freedom 3). Access to the source code is a precondition for this."

-- The Free Software Definition

কাজেই অধিকাংশ সময় এগুলো লিটারেলি free হলেও আয় সম্ভব নয়, বা এর business model নেই সেটা ভুল কথা।

আরেকটা জিনিস হ্ল - শুধু লিনাক্স বলা ঠিক নয়। Free software foundation-এর ৩০ বছরের ফসল GNU - যেটা যে কোন লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনের ভিতরের সবকিছুর ৩০%-এর কাছাকাছি। Linus Torvalds শুধু লিনাক্সএর kernel বানিয়েছিলেন - যেটা বড়জোর ৪%। সমস্ত credit-টা টরভাল্ডসকে দিলে free software foundation-এর অবদানকে খাটো করা হ্য়। লিনাক্স নয় - GNU/Linux বলুন - অনুরোধ।

পুরুজিত এর ছবি

সফটওয়ার থেকে সরাসরি আয়ের দুইটা উপায়ই আমার মাথায় খেলে - সফটওয়ার বিক্রি, সার্ভিস বিক্রি।
স্টলম্যানের সংগা অনুযায়ী প্রথম পথ বন্ধ (ফ্রিডম ২)।
আর দ্বিতীয় পথে যেসব প্রতিষ্ঠাণ শুধু সার্ভিসিং বিক্রি করে তারা সফটওয়ার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠাণের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে ফ্রিডম ১ আর ৩ থেকে (নেপোয় মারে দই...)।
অন্ততঃ এইটা আমার বিশ্লেষণ।
আপনার যদি কোন ভাল বিজনেস মডেল থাকে আমি খুবই আগ্রহী সেটা সম্পর্কে জানতে। কারণ ওপেন সোর্সের অনেক আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য আছে।

অরিজিত এর ছবি

Redhat বা MySql - এরকম মডেল এখন বেশ কমন। বা Greenplum-ও কিন্ত ওপেন-সোর্স। এই নিয়ে আলাদা আলোচনা করলে মনে হয় ভালো।

স্বপ্নচারী এর ছবি

অরিজিত লিখেছেন:
লিনাক্স নয় - GNU/Linux বলুন - অনুরোধ।

ভাই, GNU এর অবদান কখনই ছোট করা হয়নি কোথাও। তবে উবুন্তুকে GNU/Linux আপনি চাইলেও বলতে পারবেন না। কেননা এটাতে অনেক বাইনারী ব্লব যুক্ত আছে, যা GNU-এর পরিপন্থী। এসব পুরনো বিতর্ক না তুলে বরং ইউজারদের কাছে লিনাক্স নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটা ভালো।

অরিজিত এর ছবি

সে তো একশোবার। তবে কিছুদিন আগে Stallman-এর কথা শুনে থেকে এটা মাথায় ঘুরছেঃ-) তাই জেনেরিকভাবে বলছিলাম আর কি। পিওর FSF-style লিনাক্স চাইলে এইগুলো দেখতে পারেন - gNewSense, UTUTO আর blag.

ভালো থাকবেন। বাংলাদেশে যেভাবে এই নিয়ে কাজ হ্য়, সেভাবে এখানে হলে ভালো হত।

শামীম এর ছবি

টেকি মন্তব্যগুলোও লক্ষ্য করছি। এগুলো থেকে শিখছি প্রতিনিয়ত। আর কিছু কিছু আবছা ভাবে জানা আছে .... এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই প্রজন্ম ফোরামের লিনাক্স এম্বাসেডর স্বপ্নচারী ভাইয়ের অক্লান্ত লেগে থাকার জন্য।

ফেডোরা এবং উবুন্টু অনুষ্ঠানের আগে আমার ক্লাসগুলোতে এ বিষয়ে জানিয়েছিলাম। তখন একেবারেই লিনাক্স বিষয়ে অজ্ঞ বা ভীত আমজনতাকে মোটিভেট করার জন্য টেকি বিষয়টাকে পাশ কাটিয়ে বলতে হয়েছিল। কৌতুহল জাগানিয়া লেখা পয়দা করতে চেয়েছিলাম যেন এটা পড়ে নতুন একজনের একটু লিনাক্স চেখে দেখার ইচ্ছা হয়। পাশাপাশি ভুল তথ্য যেন না দেই সেদিকে সতর্ক থাকতে চেয়েছি।

প্রজন্ম ফোরামে লিনাক্স বিষয়ে প্রচুর লেখা আছে বাংলায় -- এতে টিউটোরিয়াল থেকে শুরু করে সমস্যা-সমাধান টাইপের লেখা আছে। এরপর, আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে শুধু লিনাক্স বিষয়ে আলাদা সাবফোরাম খুলেছে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বাংলায় নতুন নতুন সাইট খুলছে যেখানে লিনাক্স বিষয়ে লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। কাজেই, এখন প্রাথমিক ধারণা পাওয়ার জন্য ইংরেজি ঘাটাঘাটি করারও দরকার নাই। তাই আর টেকি লেখা লিখতে চাইনি।

দুই বছর আগে যখন শুরু করেছিলাম, তার তুলনায় এখন লিনাক্স শুরু করা অনেক সহজ। সাহায্য করার লোক আছে, লেটেস্ট ডিস্ট্রো পাওয়া যায়, বাংলায় টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। সুতরাং নিচু মাথা উঁচু করার এখনই সময়।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

স্বপ্নচারী এর ছবি

পুরুজিত লিখেছেন:
সফটওয়ার থেকে সরাসরি আয়ের দুইটা উপায়ই আমার মাথায় খেলে - সফটওয়ার বিক্রি, সার্ভিস বিক্রি।
স্টলম্যানের সংগা অনুযায়ী প্রথম পথ বন্ধ (ফ্রিডম ২)।

ফ্রিডম মানে স্বাধীনতা, মাগনা নয়। একটা সফটওয়্যার ওপেনসোর্স হলেই সেটা বিক্রি করা যাবে না, এমন কথা স্টলম্যান কোথাও বলেননি। বরং ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের দাম শুনলে মাথা ঘুরবে।

Qt একটা ডেভেলপমেন্ট টুলকিট, মাইক্রোসফট ভিজুয়্যাল সি++ এর মত। এটা ওপেনসোর্স প্রজেক্ট। যে কেউ এটা ডাউনলোড করতে পারে, প্রতিটা লিনাক্স ডিস্ট্রোতে এটা বান্ডল করা আছে। লিনাক্সের অন্যতম ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট KDE এই টুলকিট লেখা। Skype, VirtualBox এই টুলিকিট দিয়ে লেখা। এটা দিয়ে ওপেনসোর্স সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে চাইলে কোন সমস্যা নেই, মাগনা ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু যদি Skype -এর মত ক্লোজড সোর্স সফটওয়্যার বানাতে হয়, তাহলে মাথাপিছু ডেভেলপারের জন্য চল্লিশ হাজার ডলার খরচ করে এটা কিনতে হবে। স্কাইপে তাই করেছে। আরও অনেকেই এটা কেনে। MySQL, RedHat Enterprise Linux মানুষ কিনেও ব্যবহার করে।

অন্যদিকে ফ্রিওয়্যার হচ্ছে ক্লোজড সোর্স। যেমন - Opera. এটা ব্যবহারে ফ্রি হলেও এর কোডবেস দেখা যায় না। এটা শুধুইমাত্র মাগনা সফটওয়্যার। এর ভেতরে কী আছে, কেউ জানে না। কেউ জানতেও পারবে না, কিনে ব্যবহার করতে চাইলেও না।

ওপেনসোর্স ব্যাপারটা অনেকটা এরকম - আমি একটা শার্ট কিনলাম বাজার থেকে। এখন সেটা আমি গায়ে দেব, নাকি ঘর মুছবো, নাকি কেটে ছোট করে ছোট ভাইকে পড়তে দেব সেটা সম্পূর্ণ আমার ইচ্ছা। শার্ট কেনার সময় কেউ আমাকে লাইসেন্স ধরিয়ে দিতে পারবে না যে এটা শুধুইমাত্র আমি গায়ে দিতে পারবো, আর কেউ গায়ে দিতে পারবে না অথবা এটা অন্য কাজে লাগাতে পারবো না।

আশা করি, কিছুটা বোঝাতে পেরেছি ফ্রি আর ফ্রিডমের পার্থক্য।

হাতুড়ে_ডাক্তার [অতিথি] এর ছবি

2001 সালে কোনো একটা ম্যাগাজিনে Linux সম্পর্কে পড়ছিলাম, নিজের কম্পুটার নাই বলে ভুজুং-ভাজুং দিয়ে এক ৰন্ধুর কম্পুটারে Fedora 6 ইন্সটল করছিলাম, liloর আগামাথা কিছুই বুঝি না তখন. ফলাফল? এখনো কান লাল হইয়া যায় মন খারাপ

গৃহান্তরী এর ছবি

পোস্টটা পড়ে হঠাত নস্টালজিয়ায় পেয়ে বসল। মনে পড়ল ৩-২ এর ও-এস ক্লাসে লিনাক্স শেখানো হবে। লিনাক্স নামের আজব প্রাণিটাকে দেখব, নিজের কম্পিউটারে খাচায় পুরব, তার এক রোমাঞ্চকর অনুভুতি সবার মনে।

তখনো আমরা উইন্ডোজ ব্যবহার করতে শিখিনি তেমন। ওপেন-সোর্স/ ফ্রি সফটওয়্যার এসবের ছায়াও তখনো আমরা দেখিনি। তখনকাজ চলত ডস এ। ডস-প্রম্পট থেকে win.com চালিয়ে উইন্ডোজ ৩-১ এর গ্রাফিক্সের ভেলকিবাজি দেখতাম। আর একটু হ্যাকার টাইপ পোলাপান যারা ছিল, তাদের সঙ্গী ছিল "আনডকুমেন্টেড ডস" নামের খাম্বা মার্কা একটা বই আর নর্টনের ডিস্ক এডিট জাতীয় টুলস। "ইন্টারনেট" বলে দূর থেকে কি একটা শব্দ মাঝে মাঝে শোনা যেত, তারও মানে ছিল কেবল ইমেইল, ওয়েব এর তখনো জন্মও হয়নি।

মনে পড়ল, আউল্লার তিন তলার রুমটায় বসে ক্লাসের বন্ধুদের মেশিনে এক এক করে লিনাক্স ইনস্টল করলাম আমি আর আমার আরেক বন্ধু মিলে। এফডিস্ক দিয়ে ম্যানুয়ালি পারটিশন করা, আর যাদের মেশিনে আগের থেকে নানান পার্টিশন ছিল, তাদের আগের পার্টিশন বাচিয়ে কেমনে করে জানি ডিস্ক এডিট করে নতুন পার্টিশন করা, তার পরে তো লিনাক্স ইনস্টল। সেই সুযোগে এক বান্ধবীর মেশিনের গায়ে তিন দিন ধরে হাত বুলানোর কোমল অনুভুতির মত বাড়তি একটা পাওনাও ছিল বৈকি। (চোখ টিপি)

যাক, যেকথা বলতে এসে নস্টালজিয়ায় হারিয়ে গেলাম -- পরের মন্তব্যে বলছি।

গৃহান্তরী এর ছবি

যেকথা বলতে এসে নস্টালজিয়ায় হারিয়ে গেলাম --

ঐ লিনাক্স যে আসলে ফ্রি সফটওয়্যারের মত একটা সমাজবাদী আন্দোলনের পতাকাবাহী, সেটা জানলাম আরো বেশ কিছুদিন পরে, তদ্দিনে নিজের চিন্তার বিবর্তন স্রোতে সমাজবাদের একটা জোর আলোড়ন শুরু হয়েছে।

আরো পরে নানান জনের কথা শুনতে শুনতে, নানান ফোরামে লিনাক্সের কথা বলতে বলতে বুঝলাম, দুনিয়ায় আসলে দুই বা তিন ধরণের লিনাক্স-সমর্থক গোষ্ঠী আছে ---

এক হল টেকি। আমজনতা যেই সহজ সরল উইন্ডোজ ইন্টারফেস নিয়ে খেলে, ওটা ছুয়ে দেখলে তাদের জাত যায় যায়। সেজন্যে লিনাক্সের মত কঠিন কমান্ড লাইনের ইন্টারফেসের বুজরুকি দেখানোয়, শেখানোয় তাদের আনন্দ। (তখনো কেডিই বা গুনোম এর মতো সচিত্র ইন্টারফেস গুলো আসেনি)। তারা লিনাক্সের সিকিউরিটি মডেলের গুণগ্রাহী (যৌক্তিক কারণেই), উইন্ডোজ-এ ভাইরাস-ওয়ার্মের কর্দম-কেলি দেখে উইন্ডোজের সিকিউরিটি মডেলের প্রতি তাঁদের বিবমিষা।

আরেক দল আছেন, তাদের টেকি জ্ঞান থাক বা না থাক, লিনাক্স ব্যবহার করেন এক ধরণের আদর্শিক অনুভুতি থেকে। শুধুমাত্র সমাজবাদী ফ্রি-সফটওয়্যার আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা থেকেই।

এই দুয়ের সংকর তৃতীয় আরেকটা দল বোধ হয় আছেন। তারা ব্যবসায়ীদের মুনাফা রক্ষার বিকৃত কপিরাইট/মেধাস্বত্ত্ব আইন কে অশ্রদ্ধা করেন না, বরং ঐ আইন মোতাবেক মাইক্রোসফটের জিনিস ওদেরে না জানিয়ে ব্যবহার করলে "চুরি" করা হয় মনে করে ভয় পান। এবং তা থেকে বাঁচার জন্য হালাল ভাবে ফ্রি-ফ্রি লিনাক্স ব্যবহারের প্রতি আকৃষ্ট হন। আর লিনাক্সের হাইটেক সিকিউরিটি মডেলের কথা জানলে তো আর কথাই নাই। অপার শান্তি। আমিও প্রথম প্রথম এই দলেরই ছিলাম (হাসি)।

লিনাক্সের সিকিউরিটি আসলেই ভাল, ওখানে ভাইরাস-ওয়ার্মের অত্যাচার আসলেই কম।
এর সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটা কারণ আছে -

১) ওপেন সোর্সের প্রযুক্তিগত গুণ। সফটওয়্যারের সোর্স ওপেন বলে তার কোডের উপর দুনিয়ার নানান কোনা থেকে অজস্র চোখ এক সাথে তারে খুটিয়ে দেখবার সুযোগ পান।সেকারণে ওতে ভুল ভ্রান্তি কম, থাকলেও সেটা খুব তাড়াতাড়িই সারিয়ে তোলা হয়।
(ফ্রি সফটওয়্যার আন্দোলনের সাথে আদর্শিক সম্পর্কহীন ওপেন সোর্স কন্সোর্শিয়াম ঠিক এই প্রযুক্তিগত দিকটিকেই ব্যবহার করে, আর আদর্শিক দিকের চাইতে এই প্রযুক্তিগত দিকের কথাই তারা বেশি ফলাও করে প্রচার করে।

২) হ্যাকার সম্প্রদায় আর সফটওয়্যার বাণিজ্য-সাম্রাজ্যের শ্রেণীদ্বন্দ্ব, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বও। ফ্রিল্যান্স হ্যাকাররা স্বভাবতই লিনাক্স-জাতীয় সফটওয়্যারের প্রতি একটা স্বগোত্রবোধ লালন করে। একই কারণে মাইক্রোসফটের সফটওয়্যারের প্রতি তাদের জাতিগত আক্রোশ। এটাও লিনাক্সের জগতে ভাইরাস ওয়ার্ম উইন্ডোজ জগতের চাইতে কম হবার প্রধাণ একটা কারণ। আগে দেখতাম লিনাক্স মেশিন কখনো হ্যাং করে না, আর আজকাল লিনাক্স দিনে দিনে যত সমৃদ্ধ হচ্ছে, এর কলকব্জা যত জটিল হচ্ছে, তার হ্যাং না করার ঐ প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব দিনে দিনে কমছে। তবু কিন্তু ওখানে ভাইরাস-ওয়ার্মের চলাফেরা কম (রাগিব আগেই বলেছেন)। কেন?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।