ওহ ! এই না হলে লেখক ?

ইমরুল কায়েস এর ছবি
লিখেছেন ইমরুল কায়েস (তারিখ: বুধ, ১৮/০২/২০০৯ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অবশেষে আরেকটি চুরির সংবাদ দিতে হচ্ছে ।

ভদ্রলোকের সাথে আমার পরিচয় বছর পাঁচেক আগে । তিনি গণিত ভালবাসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসা বিষয়ক কোন একটা শাস্ত্রে তার ডিগ্রী থাকলেও তাই তিনি ছাত্রদের গণিত করান, গনিত বিষয়ক ম্যাগাজিন বের করেন । গণিত করে তিনি হয়ত বিমলানন্দ পান । এই পর্যন্ত ঠিক আছে , কিন্তু সমস্যা হয় তিনি যখন আমাকেও গণিতে আক্রান্ত করতে চান । আমি প্রকৌশলবিদ্যার ছাত্র হয়েও গনিত চরম অপছন্দ করি , গণিতের নাম শুনলেই আমার গায়ে জ্বর আসে , হিসাব-কিতাব চরমভাবে গোলমাল হতে শুরু করে । তাই তিনি যখন আমাকেও গণিতে আক্রান্ত করতে চান তখন আমি তার কাছ থেকে পালিয়ে থাকতে শুরু করি । সেটাও নানাবিধ কারনে সম্ভব হয় না । উনি বলেন "ঠিক আছে নিজে যদি মাথা খাটিয়ে কোন কিছু লিখতে না চান তবে গণিত বিষয়ক ইংরেজী বই দিচ্ছি অনুবাদ করুন " । আমি ভাবি যাক, ঠিক আছে , ইংরেজী গণিত আবার অনুবাদের কি আছে ! অতপর নানান কিছিমের কিছু অনুবাদ করি । তিনি আবার সেগুলো কোথায় কোথায় জানি ছাপান ।
না , টাকা পয়সা জাতীয় কিছু কখনও পাইনি ।

অতঃপর একসময় পড়াশুনার চাপ বাড়লে আমি ক্ষান্ত দেই , কিন্তু তিনি ক্ষান্ত দেন না । নীলক্ষেতে নানান সময়ে পাঠ্য বই কিনতে গিয়ে তারও নানান বই আমার নজরে পড়ে , সবই গণিতের উপর । আমি ভাবি , যাক , ভালই , একজন লোক গণিতে এত মজা পেলে খারাপ কি ? আমরা না হয় একটু অগাণিতিকই থাকি ।

এরপর আরো কয়েক বছর চলে যায় । এক এক করে লেভেল , টার্ম শেষ করে গ্রাজুয়েশনের শেষ পর্যায়ে এসে পড়ি । এমনিতেই চেনা মানুষ কম , তাদের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ অপরিচিত হয়ে যেতে থাকে , বহুদিন যোগাযোগ হয় না । ঐ ভদ্রলোকও এই সেটের মধ্যে পড়ে যান । কিন্তু হঠাৎ করে একদিন তিনি কি যেন একটা কাজে পলাশী বাজার আসেন । আমাকে তার মনে পড়ে যায় । দেখা-সাক্ষাৎ , কথা-বার্তা চলে খানিকক্ষণ জম্পেশ । জানতে পারি তার প্রকাশনী তরতর করে উঠছে , এবারের বইমেলায় স্টলও নিচ্ছেন। ভালই লাগে আমার , একজন প্রকাশকের সাথে অন্তত জানাশোনা হল ।

তিনি আমাকে বলেন , “কি ? লেখেনটেখেন না এখন " ।
আমি মাথা নাড়ি ,"হ্যাঁ, লিখি একটু আধটু"। তিনি খুব উৎসুকভাবে জানতে জান কোন পত্রিকায় লিখি । আমি বলি,"পত্রিকা নয় , নেটে লিখি " । তিনি অবাক হন, নেটে কেম্নে আবার লেখে ? এরপর তাকে ব্লগ আর ব্লগীয় পরিবেশ বোঝাতে আমার গলদঘর্ম হতে হয় । যাওয়ার আগে তিনি আমার ব্লগ অ্যাড্রেসটা নিয়ে যান , ডব্লিউ ডব্লিউ ডট সচলায়তন ডট কম স্ল্যাস ইমরুলকায়েস ।

এরপর অনেক দিন কোন যোগাযোগ নাই । হঠাৎ একদিন তিনি ফোন করে করেন , একজন টিউটর দরকার , আমি যাতে একজন টিউটর খুঁজে দেই । আমি আসন্ন পরীক্ষার ভয়াবহতা আর তৎসক্রান্ত কারনে টিউটরের অপ্রতুলতা সম্পর্কে তাকে বলি । তিনি বলেন , "ঠিক আছে , তবু একটু চেষ্টা করবেন " । আমি বলি "জ্বী ,আচ্ছা " । এরপর তিনি একটা দুর্লভ বাক্য উচ্চারণ করেন , "ব্লগে আপনার লেখা দেখছি , আপনি তো ভাল লেখেন " । আমি যেন বরফ , তাপ দিয়ে যাকে গলানো হচ্ছে । আমি গলতে থাকি আর বলি , "নাহ, কি হাতিঘোড়া আর লিখি?" । তার সাথে এটাই আজ পর্যন্ত শেষ যোগাযোগ ।

বইমেলা শুরু হয় । কয়েকদিনের মাথায় আমি আর আমার আরেক বন্ধু মেলায় যাই । মেলায় ভদ্রলোকের বইয়ের দোকান দেখে ভাল লাগে । একটা পরিচিত দোকান পাওয়া গেল । যে কোন সময় এসে বসা যাবে । আমরা দুজনে দোকানটায় যাই । না , উনি নেই । আমরা বইপত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকি, সবই গণিতের উপর লেখা । দু-একটা গল্পের বইও দেখা যায় । উপরে ভদ্রলোকের নাম লেখা । অবাক হই , আরে ইনি গল্পও লেখেন নাকি । প্রবল আগ্রহ নিয়ে বইটি হাতে নেই । সূচিপত্রে গিয়ে চোখটা আটকে যায় । প্রায় সাতটি গল্প নিয়ে বইটা , এরমধ্যে আমার দুটো গল্প । ভদ্রলোক(!) ব্লগ থেকে মেরে দিয়েছেন । সেই মহানের মত আমারও বলতে ইচ্ছা হয় "সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ " । আমার বন্ধুটা আমার চেয়ে বেশী রেগে যায় , যেন পারলে এখনি ওনাকে দুটো লাগিয়ে দেয় । সে তাড়া দেয় , "এক্ষনি ফোন কর " । আমি ফোন করি , ফোন আর তার ধরা হয়ে ওঠে না ।

মানুষ লেখে কেন ? বই বিক্রি করে টাকা কামানোর জন্য ? ফাটিয়ে চারিদিকে নিজের নামডাক ছড়ানোর জন্য ? নাকি সৃজনশীল কোন কিছু করতে পেরে আনন্দ লাভের জন্য । উত্তর যদি শেষোক্তটি হয়( যা হওয়া উচিত ) তবে লেখক নামধারী এই সব লোকরা অন্যের লেখা চুরি করে কেন ?

সব শেষ টপিকে আসি । ছোট প্রশ্ন কিন্তু এর প্রয়োজনীয়তাটা আজকে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে সবাই । "এই যে যারা ব্লগে লিখছে তাদের কপিরাইটের হিসাব কিতাব কি ? কিভাবে সেটা রক্ষিত হবে ? "। একটা উদাহরন দেই । ব্লগস্পটে আপনি একটা লেখা পিছনের কোন তারিখে প্রকাশ করতে পারবেন এমনকি সামনের কোন তারিখে পোস্টানোর জন্য সিডিউল করে রাখতে পারবেন । সুতরাং এই প্রশ্নটা এসেই পড়ে "মিষ্টার ক যদি মিষ্টার খ এর ব্লগস্পট থেকে লেখা চুরি করে বই ছাপিয়ে তার কপিরাইটও করে ফেলেন অথবা কোন পত্রিকায় ছাপিয়ে ফেলেন তবে খ এর এই অভিযোগ কতটুকু ধোপে টিকবে যদি খ বলেন "মিষ্টার ক , আপনি আমার লেখা চুরি করেছেন" " । এই বিষয়টা ভাবতে হবে এবং সেটা এখনই ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই পোস্টের ৩৮ টি মন্তব্য পড়ার পর আমার যে বক্তব্য তা আমি মন্তব্যে হিসেবে নিচে দিয়েছি ।

বইটার একটা পাতা

কপি রাইট নিয়ে বইয়ে এই লিখেছেন ভদ্রলোক
----------------------------------------------
পতিত হাওয়া


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

সচলে প্রকাশিত লেখাগুলি টাইমস্ট্যাম্পড হয়ে থাকে, লেখা আর মন্তব্যের তারিখ ধরে।

অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ব্যাপার। আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ইমরুল, তুমি সম্ভব হলে বইটির পাতার ছবি বা স্ক্যান্ড কপি যোগ করো। এই লেখকের নাম, বইয়ের নাম জানাও সবাইকে। বিষয়টা সকলের জানা প্রয়োজন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

গৌরীশ রায়  এর ছবি

জঘন্য ।
নাম প্রকাশ করছেন না কেন?
মুখোশ খোলা উচিত।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সেটাই ইমরুল। আপনি অনলাইনে প্রকাশ করে দেন। সারাজীবন অনলাইনে এই লোকের কীর্তি প্রকাশ হয়ে থাকুক।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রেজওয়ান এর ছবি

এই বিষয়টা ভাবতে হবে এবং সেটা এখনই।

আমাদের দেশের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইন প্রণয়ন হচ্ছে শুনছিলাম। যদিও পূর্বের বলবৎ আইনে কপিরাইটের ব্যাপারে কিছুটা প্রটেকশন আছে কিন্তু সেগুলোর পরিবর্ধন ও পরিমার্জন দরকার ইন্টারনেট ও নতুন প্রযুক্তির কথা মাথায় রেখে।

আপনার লেখা বা ছবি কপিরাইটের আওতায় ফেলবেন কি করে? ক্রিয়েটিভ কমন্স একটি তেমন টুল যার একটি ইমেজ সংযোজনের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট/ব্লগে জানিয়ে দিতে পারেন যে আপনি কোন রাইটের আওতায় এটি প্রকাশ করেছেন। এবং আপনি কপিরাইট ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

http://creativecommons.org/

ক্রিয়েটিভ কমন্স নিয়ে আমার একটি লেখা (আমি বাংলায় অনুবাদ করে সচলে প্রকাশ করব) পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
http://rising.globalvoicesonline.org/blog/2008/08/28/creative-commons-and-the-culture-of-sharing/

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন ক্রিয়েটিভ কমন্সের লাইসেন্স সরকার কর্তৃক স্বীকৃত । অর্থাৎ মামলা করলে ফল পাবেন। বাংলাদেশেও তারা অফিস খুলছে বলে শুনলাম।

এবারের ছবি মেলায় রুপার্ট গ্রের সাথে দেখা হল যিনি ছবির কপিরাইট নিয়ে একটি লেকচার দিয়েছেন ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে। এখানে পড়ুন:
http://shahidul.wordpress.com/2009/02/12/copyright-is-for-losers-or-whats-yours-mine-is-ours/

আমার মতে বাংলাদেশে কোন সুনির্দিষ্ট আইন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্রিয়েটিভ কমন্সের লাইসেন্স আমাদের ব্লগে যোগ করতে পারি। কারন ক্রিয়েটিভ কমন্স আইনি লড়াইয়ের ব্যাপারে সাহায্য করে (ওদের অনেক স্বেচ্ছাসেবী আইনজীবি আছে)। এ ব্যাপারে সচলায়তনের মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

হিমু এর ছবি

এ ব্যাপারে রেজওয়ান ভাই ও আইন বিষয়ে পারদর্শীদের আলোচনা কাম্য।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স যোগ করার সুবিধা অসুবিধাগুলো নিয়ে বিশদ জানতে চাই।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুজিব মেহদী এর ছবি

'ক্রিয়েটিভ কমন্স' বিষয়ে আগ্রহ জারি থাকল। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হোক। এসব খুবই দরকারি হয়ে পড়েছে।
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

তারেক এর ছবি

এইটার কথা হচ্ছিলো কাল রাফির সাথে? আমি হালকা শুনেছিলাম । লুকোছাপার কিছু নাই। ঐ লোকের নাম ঠিকুজি দিয়ে দাও। সবাই চিনে রাখুক।
আচ্ছা, কোন দু'টা গল্প?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রাফি এর ছবি

লেখকের নামটা প্রকাশ কর, প্রকাশনীর নাম সহ; আর তোমার গল্প দু'টার লিঙ্ক দাও।

ঐ লেখকের সাথে দেখা করার ব্যবস্থা কর; আমাকে খবর দিও।
মেগা টাইট দিয়া আসব, পোলাপান নিয়া গিয়া।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

রেজওয়ান এর ছবি

ক্রিয়েটিভ কমন্সের জুরিস্ডিকশন এখন এই কটি দেশে:
http://creativecommons.org/international

যেখানে দেয়া আছে:

Upcoming Project Jurisdictions

* Bangladesh: Russell John (President) and Hasina Akhtar (Legal Advisor), Bangladesh Linux Users Alliance.

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

আইনের কাজ আইন প্রণেতারা করুন। ব্লগের আইন কি হবে তা নিয়ে আলোচনা হোক।

কিন্তু তার আগে আপনের চেনা ঐ হালার নাম ঠিকানা দেন। প্রকাশনীর নাম দেন।
আপনার চুরি যাওয়া গল্পের ইমেজ, বইয়ের নাম সব ফাস করেন। এইখানেই সবাই অরে ধৈরা পোন্দাইব।

আপনেরা ব্লগে এত শত সৃষ্টিশীল লেখা লেখেন কি ঐ হালাগো ব্যবসার মাল ফ্রি ফ্রি জুটানের লাইগা?

আর আইনের প্রসঙ্গে, creative commons এর লগে আছি।

শিক্ষানবিস এর ছবি

চোর-চোট্টায় দেশ ভরে গেছে। বইমেলা না বলে একে কবে যে বানিজ্যমেলা বলা শুরু করতে হবে কে জানে...

তারেক এর ছবি

অমর একুশে বই-বাণিজ্যমেলা হা হা হা
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

নিঝুম এর ছবি

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপারটিজ সম্পর্কে আমার জ্ঞান যতটুকু আছে তা বিলেতের আইন পর্যন্তই । বাংলাদেশের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপারটি ল'এর কি অবস্থা জানা নাই । আমার বাবা যেহেতু এই বিষয়ে কিছু মামলা করেছেন, আমি হয়ত মামলার ব্যাপারে কিছুটা সাহায্য করতে পারি ।

আর, আপনার কোন কোন গল্প প্রকাশ করা হয়েছে, প্রকাশকের নাম,এইগুলা প্রকাশ করা উচিত ।
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

মুজিব মেহদী এর ছবি

চোরাটাকে চিনে রাখা জরুরি মনে হচ্ছে। আরো খুলে বলুন প্লিজ।
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুস্তাফিজ এর ছবি

আগে ভাবতাম শুধু আমাদের ছবিই কেবল চুরি হয়, এখন দেখি লেখাও!!!

...........................
Every Picture Tells a Story

হিমু এর ছবি

বস, বিস্তারিত লেখা দিন এই অভিজ্ঞতা নিয়ে। চোরের দশদিন সাধুর একদিন। প্রতিরোধ শুরু না করলে মজা পেয়ে যাবে চোর।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাগিব এর ছবি

ভয়াবহ!!

আমি ইদানিং অনলাইন থেকে আমার পছন্দের লেখাগুলো, যেগুলো নিয়ে হয়তো পরে কিছু করা যেতে পারে, সেগুলো সরিয়ে ড্রাফট করে রাখছি। অবশ্য লেখা প্রকাশের পরে সবার পড়া হয়ে গেলে তবেই। ইদানিং চোর বাটপার যা বেড়েছে ... মন খারাপ

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

রাগিব,
শুধু লুকিয়ে রাখলেই হবে না। ব্যাপারটার একটা মীমাংসা দরকার। নাহলে কিন্তু তথ্য প্রযুক্তিরই অপমান হয়।

রাগিব এর ছবি

আসাদ ভাই,

এই ব্যাপারটার আসলে কোনো প্রযুক্তিগত সমাধান নেই। সমাধানটা হলো আইনের, এবং তার বাস্তবায়নের। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার না করেও কিন্তু চোরে মুজিব ভাইয়ের বইটা চুরি করেছিলো। আপনি বইতে লিখেন আর অনলাইনে লিখেন, চোরে কোনো না কোনো উপায়ে চুরি করবেই।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

প্রযুক্তিগত সমাধান নেই ঠিক আছে, আইনের সমাধানের কথাই বলছি। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি আসার ফলেই তো একদিকে লেখকের লেখা ভিন্ন মাধ্যমে মুক্ত-ভাবে প্রকাশের সুযোগ এসেছে, অন্যদিকে বিদ্যমান আইনে ওসব সৃষ্টিকে চুরি থেকে বাচানো সম্ভব হচ্ছেনা, চোরের দাপটও বেড়েছে। সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তির একটা দায় আছে বৈকি।

তাত্ত্বিক বিচারে আমি সৃষ্টির মুক্ত বিচরণের পক্ষে, নতুন মাধ্যমে পুরানো আমলের কপিরাইট ফলানোর বিরোধী। কিন্তু মুক্তাঞ্চলের সৃষ্টি চুরি করে অন্য কেউ ব্যবসা করবে এটা মানতে রাজী নই।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চুরি ছিল সর্বদা । তথ্য প্রযুক্তি আসা না আসার সাথে এর যো্গ নেই ।
এক সময় ইত্তেফাকে প্রকাশিত আমার ফিচার পরে প্রকাশ হত অন্য দৈ্নিকে । কয়েকজন তথাকথিত লেখক আমার লেখে কপি করতেন । এমনকি খোদ ইত্তেফাকে ছাপা হওয়া আমার ফিচারটি পুণঃপ্রকাশিত হত ঐ ইত্তেফাকেই আরেকজনের নামে । শুধু আমার লেখায় নয় আরো অনেকের লেখাই তারা কপি করতেন ।

এরা সবাই এখন দৈ্নিকের বড় বড় পদ দখল করে আছেন । এদের অনেকেরই ৫/৬ টি করে বই বের হয় মেলায় ফি বছর !

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রণদীপম বসু এর ছবি

দু-তিন দিন আগে ফেসবুকে ঘুরছি। হঠাৎ চ্যাট বক্সে ইমরুল কায়েস, দাদা কেমন আছেন ? সবসময় যেহেতু আমি 'ফাইন' থাকি, অতএব উত্তর দিলাম ফাইন ! কিন্তু কায়েস বললো, মনটা ভীষণ খারাপ আজ ! কেন ? তারপর সে এই কাহিনী বললো। আমি ক'দিন আগের মুজিব ভাই'র বই হাইজ্যাক হয়ে যাওয়া সহ বড়কুটুম জুলফিকার নিউটনের ঘটনাগুলো তাকে স্মরণ করিয়ে বললাম- সবাইকে জানিয়ে সচলে পোস্ট দেন তাড়াতাড়ি !
বললো, লিখছি।
সেই থেকে অপেক্ষায় ছিলাম এই পোস্টটির।
সেদিন আরো কথাবার্তা হয়েছে কায়েসের সাথে। একসময় নিমরাজী অবস্থায় আমাকে নামটিও জানিয়েছে। চোরের নাম অবশ্যই প্রকাশ করা উচিৎ। পাশাপাশি অন্তর্জালে আমাদের লেখা কতটুকু নিরাপদ সে বিষয়েও কিছু শঙ্কাময় আলোচনা হয়েছে। একসময় নেটের সমস্যার কারণেই হয়তো তার চ্যাটিং কেটে গেলো।
এই লেখা মেরে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে সচলের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দিয়ে কিছু উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন মনে করি। কিন্তু কিভাবে কী করতে হবে তা জানি না। যারা জানেন, তাদের এখনই এগিয়ে আসা দরকার। আমরা সাথে আছি। কেননা কে কখন কোথায় এইসব চোরের ভিকটিম হয়ে যাচ্ছি তা কিন্তু সহজে জানতে পারছি না কেউ। অতএব চোর উদ্যোগী হওয়ার আগে সাধু সাবধান হওয়া জরুরি নয় কি ?

আর কায়েস নিজে থেকে সেই চোরের পরিচয় না দিলে আমি কী করে প্রকাশ করি ? তাই, নকিং টু কায়েস....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

খেকশিয়াল এর ছবি

শুরু হইল কি চারদিকে!

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কী বলবো বুঝতে পারছি না। পোস্টটা প্রথমবার পড়ে কিছু বলতে পারিনি। দ্বিতীয় বার চেষ্টা করতে এলাম।

ইদানিং অনলাইনে প্রচুর ভাল লেখা হয়। অনেক লেখক মূলধারায় বই প্রকাশ করে পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছেন। অন্যদিকে হিমু ভাই কিংবা সুবিনয়ের মত অনেক সুলেখক আছেন যাঁরা বই প্রকাশ না করে পাঠকদের এক অর্থে বঞ্চিত করছেন। মূলধারার চেয়ে এই স্রোতটা বিভিন্ন কারণে অনেক বেশি সমৃদ্ধ।

ইদানিং অনেক বই আসছে, মন মত যা-খুশি লিখে বই ছাপাচ্ছে মানুষ। এতে অন্যায় কিছু নেই। সংখ্যাগত প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকা উঁচু মানের লেখার অন্যতম গুণ। কোন না কোন দিন যে ভাল লেখাগুলোর লোভে অনলাইনের দিকেও মানুষের কু-নজর পড়তে পারে, তা অবধারিত ছিল।

মানুষ সবচেয়ে বড় "ভায়োলেশন"গুলোর স্বীকার হয় নিকটজনের কাছ থেকেই। খুব গোপন, ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি এটি। আপনার কুণ্ঠার কারণ বুঝতে পারছি আমি। অনেক সময় চাইলেও কিছু বলা যায় না। এ-ব্যাপারে আপনিই সম্মক জানবেন।

ভেবে দেখুন কী করবেন। আপনি নবীন, অপ্রকাশিত লেখক। আপনাকে ঠকানো সহজ। তরুণ বয়সে নিজের লেখা নিয়ে সংশয় আর লজ্জা হয়তো আপনাকে ক্ষিপ্ত হতে দেবে না। যা-কিছুই করুন না কেন, সাথে পাবেন।

কিছু করুন বা না করুন, এটুকু জেনে গর্বিত হোন যে আপনি ছাপার যোগ্য দারুণ দু'টি গল্প লিখেছেন। এখানে থেমে না থেকে আরো গোটা দশেক লিখে ফেলুন। সামনের বইমেলায় আপনার বই দেখতে চাই। বিশেষ করে ঐ দু'টো গল্পের নিচে ছোট্ট করে লিখে দেবেন -- অন্যত্র বিনা অনুমতিতে পূর্বপ্রকাশিত।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ভাসুরের নাম মুখে নিতে অসুবিধা কোথায় বুঝতে পারলাম না ।

রেজওয়ান এর ছবি

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ইশতিয়াক রউফ লিখেছেন:
ইদানিং অনেক বই আসছে, মন মত যা-খুশি লিখে বই ছাপাচ্ছে মানুষ। এতে অন্যায় কিছু নেই। সংখ্যাগত প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকা উঁচু মানের লেখার অন্যতম গুণ। কোন না কোন দিন যে ভাল লেখাগুলোর লোভে অনলাইনের দিকেও মানুষের কু-নজর পড়তে পারে, তা অবধারিত ছিল।

উপরের কথাটি যতটুকু সত্য, আরেকটি ব্যাপারও সত্য যে এইসব চোর কিন্তু ছিঁদেল চোর নয়। বাসার টিভি, টাকা পয়সায় নাম লেখা থাকে না। কিন্তু লেখা কপিরাইট করা থাকতে পারে। আর এইসব মেধাসত্ব চোরেরও কিন্তু উদ্দেশ্য তাদের সুনাম ও জনপ্রিয়তা। মামলা করে যত না সুবিচার পাওয়া যায় তার থেকে বেশী ফল এ নিয়ে শোরগোল মাচালে। দেখা যাবে এমাজউদ্দিন-পলাশের মত বল এ কোর্ট থেকে অন্য কোর্টে দিলেও চুরিটা কিন্তু স্বীকার করতেই হবে। কারন তাদের সুনামটাতো বজায় রাখতে হবে।

ইমরুল আপনার সেই গণিত লেখক যেসব যায়গায় বই বিক্রি করেন, সেইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টারে কিছু লিফলেট পোস্টার ছেড়ে দিন অনলাইন লিন্ক সহ। দেখবেন ফল কি হয়।

আমাদের দরকার একটি প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে এইসব মেধাসত্ব চোরকে উন্মোচনের সমষ্টিগত চেষ্টা করা যায় এবং ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেয়া যায়। প্রেস রিলিজ, বাংলা একাডেমীকে লিখে বই ব্যান করা, সরকারকে চাপ দেয়া একটি মেধাসত্ব চুরি রোধ সেল করা ইত্যাদি কার্যক্রম হতে পারে।

হিমু এর ছবি

এটি একটি চমৎকার প্রস্তাব। আমরা সর্বান্তকরণে সহায়তা করতে ইচ্ছুক।

কারো কোন মেধাস্বত্ব যদি চুরি হয়ে থাকে, তাহলে তা যথাযথভাবে সবাইকে অবহিত করার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ কর্মসূচী শুরু হতে পারে। পরবর্তী পদক্ষেপ হতে পারে আইনী।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এনকিদু এর ছবি

বাংলাদেশে গনিত নিয়ে লেখালেখি করে এরকম মানুষদেরকে আমার অভিজ্ঞতা থেকে সোজাসুজি দুই শ্রেনীতে ভাগ করে ফেলা যায় । একদল আসলেই বাংলাদেশে গনিত চর্চা, দেশের ছেলেমেয়েদের মধ্যে গনিত এবং বিজ্ঞান জনপ্রিয় করতে চান ।

আরেকদল হল দুধের মাছি । এই মাছি গুলো খুব ঝামেলা করছে আজকাল । শুধু লেখা চুরিই একমাত্র ঝামেলা না । আমি নিজে গনিত অলিম্পিয়াডের মত দুই একটি বিষয়ের সাথে জড়িত থাকার সুবাদে এরকম কয়েকটি ঘটনা নিজের সামনেই দেখেছি ।

বাংলাদেশ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতাকে জনপ্রিয় করার পেছনে কয়েকজন ব্যক্তির অবদান অনস্বীকার্য । তাদের একজন বুয়েটের ডক্টর কায়কোবাদ । একদিন একটা ইয়াহু গ্রুপে দেখি একলোক ডক্টর কায়কোবাদকে তুমুল সমালোচনা করে খানিকটা অপমানকর ভাষায় বিশাল মেইল দিল । তার আক্রমন শুধু ব্যক্তিকেই নয়, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতাকেও যে সে খুব একটা ভাল চোখে দেখে না তাও জানিয়ে দিল ।

কয়েকমাস পরে দেখি সেই লোক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতার উপর বই বের করেছে, নীলক্ষেতে বিক্রি হচ্ছে । প্রোগ্রামিং এর বই লিখলে বুয়েটের পোলাপানে নগদে কিনে নিয়ে যায় । কাজেই লিখল আর কি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রাগিব এর ছবি

এইটা কি মো. জ. কাকু? হাসি উনি একবার এক ধারসে কায়কোবাদ স্যার, জাফর ইকবাল স্যার, সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় অধ্যাপককে ঝাড়ি দিয়ে লিখেছিলেন, কারণ নাকি সরকারের টাকা এদের পিছনে ঢালা হলেও বাংলা কম্পিউটিং এ উনার মতো "অবদান" / "গবেষণা" এগুলা আর কেউ করতে পারে নাই।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

এনকিদু এর ছবি

উহুঁ , অন্য একজনের কথা বলছি । ঐ ইয়াহু গ্রুপের সদস্য আপনিও ছিলেন । আর আমার যদ্দূর মনে পড়ে আপনিও সেই লোকের মতামতের বিরোধীতা করেছিলেন খুব সুন্দর একটা মেইলে । যাই হোক, মূল কথা হল যে কিনা "এ সি এম করা" পছন্দ করে না বলে ঘোষনা দিল, সেই লোকই যদি কয়েকমাস পরে নীলক্ষেতে "এ সি এম করার" বই বের করে তাইলে কেমন লাগে ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া লিন্ক দিয়েন তো গ্রুপটার
--------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমাদের দরকার একটি প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে এইসব মেধাসত্ব চোরকে উন্মোচনের সমষ্টিগত চেষ্টা করা যায় এবং ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেয়া যায়।

সহমত। আদর্শ অবস্থায় সরকারেরই এটা করা উচিত ছিল। সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে বেসরকারী ভাবে এমন কিছু করা যায়? লক্ষ্য থাকবে একটাই -- বিশ্বাসযোগ্যতা। যাচাই করে সত্য-মিথ্যা নিরূপণ করে মিডিয়ায় প্রকাশ করা হবে এই কমিটি/কমিশন থেকে। বর্তমান যুগের সাথে তাল মেলানোর জন্য এতে নেটিজেনদের উন্মুক্ত অংশগ্রহনের দরজাও খোলা রাখা যায়।

শামীম এর ছবি

ভাগ্যিস্ তেমন ভাল কিছু লেখার অভ্যাস নাই .... যেগুলো লিখি সেগুলো বইয়ে প্রকাশ করে ভাত পাবে না .... চোখ টিপি

বাংলা একাডেমীর মেলা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানোর কোনো সিস্টেম আছে নাকি?

পত্রিকাতে এ নিয়ে চিঠি/মতামত/আর্টিকেল লিখলে ছাপাবে না বলেই মনে হয় .... ওরা তো নিজেরাই এর ওর লেখা নিজ নামে ছাপায়। ইয়ে, মানে...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তানভীর এর ছবি

হ। আমারো কিছু নাই। তাই নিশ্চিন্ত হাসি

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

পত্রিকাতে এ নিয়ে চিঠি/মতামত/আর্টিকেল লিখলে ছাপাবে না বলেই মনে হয় .... ওরা তো নিজেরাই এর ওর লেখা নিজ নামে ছাপায়। চলুক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্লাটফর্মটা দরকার... জরুরী...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

সরকার-টরকার দিয়া হবে না। আমরা যারা মুক্ত-মাধ্যমে লেখা লেখতে বা অন্তত দেখতে ভালবাসি, তাদেরকেই উদ্যোগ নিতে হবে প্লাটফর্ম করার। সচলের ওয়েবসাইটই হোক না হয় ওসব চোরদের মুখোশ উন্মোচনের প্লাটফর্ম।

তানভীর এর ছবি

আরে রাজীব ভাইও এইখানে লিখেন নাকি? আমি ভাবসিলাম এইটা মনে হয় আর কেউ।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আচ্ছা তাদের কী হায়া শরম নাই? মানুষ এত খারাপ হতে পারে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত আহমেদ এর ছবি

লজ্জাজনক। সেই লোকের বইয়ের গল্পগুলোর স্ক্যান দেন। দেখা যাবে সচলের অনেকের গল্পই হয়তো সে মেরে দিয়েছে। অনলাইনে নিয়মিত পোস্টাই বলে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রান্ত বোধ করছি। এই লোকের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সাহস কতো বড়!


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

ইমরুল কায়েস এর ছবি

দেখা যাবে সচলের অনেকের গল্পই হয়তো সে মেরে দিয়েছে।

না , এমন রিস্ক হয়ত উনি নেন নি । গল্পগুলো আমি উল্টেপাল্টে দেখেছি ।
......................................................
পতিত হাওয়া

রেনেট এর ছবি

খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ইমরুল ভাই, আমরা আপনার পাশে আছি।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মুজিব মেহদী এর ছবি

এ ধরনের চুরির নেপথ্যে অর্থের মোহ যতটা না কাজ করে তার চেয়ে বেশি কাজ করে সম্মানের মোহ। কাজেই চোরদের সম্মান মারাটাই সবচেয়ে বড়ো শাস্তি বলে মনে হয় আমার। মুখোশ উন্মোচন করে যথাসম্ভব যুক্তিপ্রমাণসহ যত বেশি সংখ্যক মানুষকে জানানো-বুঝানো-দেখানো সম্ভব, তত বেশি তাদের মানের হানি, তত বেশি শাস্তি।

আমাদের ঘটনায় মিডিয়া খুব বেশি সহায়তা দেয় নি, প্রতিপক্ষ মানী লোক হওয়ায় এবং তাদের নানা তদবিরবাজির কারণে। কিন্তু এরপরও টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা, ব্লগ, ফেসবুক এবং মুখে মুখে যে পরিমাণ প্রচার হয়েছে ও হচ্ছে, তাতে কোটিখানেক মানুষ যে জেনেছে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই সংখ্যা ক্রমশ আরো বাড়বে।

আরো বেশি শাস্তি চাইলে তারও পথ আছে, অবশ্যই আছে।
..................................................................................
ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ইমরুল কায়েস এর ছবি

মন্তব্য করতে দেরী হওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত । লেখাটা দেওয়ার পর জবাব দেওয়ার জন্য আমার অনলাইনে থাকা উচিত ছিল , কিন্তু হঠাৎ জরূরী কাজ পড়ায় একটু বাহিরে যেতে হল । যাই হোক........

সবার মন্তব্য মনযোগ দিয়ে আমি অন্তত দুবার পড়েছি । সবার সহমর্মিতা পেয়ে ভাল লাগছে । অন্তত এতটুকু আশ্বস্ত হতে পেরেছি যে , যাক আমি একা নই । আমার সাথে এইরকম বিষয়ে প্রতিবাদ করার মত লোক অনেকেই আছে । আসলে আমি ঠিক কি লিখব বুঝে উঠতে পারছি না । সবাই অনুরোধ করছেন ভদ্রলোকের নাম-ধাম-ঠিকানা যাতে প্রকাশ করি । এই কৌতুহল খুবই স্বাভাবিক এবং আমার সেটা করাই উচিত । দুঃখের বিষয় হল এই মুহূর্তে আমি সেটা পারছি না । কেন পারছি না এটা ইশতিয়াক ভাই বলে গেছেন

মানুষ সবচেয়ে বড় "ভায়োলেশন"গুলোর স্বীকার হয় নিকটজনের কাছ থেকেই। খুব গোপন, ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি এটি। আপনার কুণ্ঠার কারণ বুঝতে পারছি আমি। অনেক সময় চাইলেও কিছু বলা যায় না। এ-ব্যাপারে আপনিই সম্মক জানবেন।

ভেবে দেখুন কী করবেন। আপনি নবীন, অপ্রকাশিত লেখক। আপনাকে ঠকানো সহজ। তরুণ বয়সে নিজের লেখা নিয়ে সংশয় আর লজ্জা হয়তো আপনাকে ক্ষিপ্ত হতে দেবে না।

এর চেয়ে ভালভাবে বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ।

অপরিচিত কেউ হলে আমি সরাসরি একটা স্ট্যানস নিতে পারতাম । সমস্যা হয়েছে তিনি আমার অতি পরিচিত হওয়াতে । পরিচিত একজনের দ্বারা এই কাজ হওয়াতে আমি বিশেষভাবে আহত হয়েছি এবং তার সাথে দেখা হলে কিভাবে কি বলব তা ভেবে এখনই নিজেকে বিপদাপন্ন মনে হচ্ছে। তার সাথে কথা বলে তাকে পুনরায় এ ধরণের কাজ না করার অনুরোধ করা ছাড়া আমার করণীয় আর কিছু নেই ।

আসলেই ঘটনার প্রায় দশ দিনের বেশী হয়ে গেছে । এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেব কিনা ভাবছিলাম , বিশেষত এটা যখন তার সাথে আমার পূর্ব সম্পর্কের জের হিসেবে একটা সেনসেটিভ ইস্যু । তারপরেও অনেকদিন পর পোস্টটা যে দিলাম সেটা অনেকটা রণদার পীড়াপীড়িতে । ফেসবুকে ওনার সাথে আলাপে একদিন উনি সরাসরি বললেন "আগে পোস্ট দ্যান তারপরে কথা হবে , বিষয়টা সবার জানা উচিত "।

আসলে আমার কাছে এই চুরির চেয়ে এই বিষয়ের আলোচনাটাই গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে । কিছুদিন আগে শুনলাম বই চুরি করে বই হচ্ছে অর্থাৎ হার্ডকপি চুরি, এখন দেখছি ব্যাপারটা শুধু এখানেই থেমে নেই , ব্লগ থেকে নেয়ার মাধ্যমে সফটকপি চুরিরও প্রবর্তন ঘটেছে । ভালই , চোরেরাও টেকনোলজী ডিপেন্ডডেন্ট হয়ে পড়ছে! আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য কারও বিচার চেয়ে নয় , বরং "ব্লগে আমাদের লেখাগুলো কিভাবে আমরা সুসংরক্ষিত রাখতে পারি এবং সেগুলো অবৈধ দখলদারের হাতে গেলে তার ব্যবস্থাই বা কি হবে " এ সংক্রান্ত আলোচনার বিস্তার। ব্লগ পরিমন্ডলে ব্লগারদের লেখালেখির নিরাপত্তার প্রশ্নটি সামনে তুলে একটা সচেতনতা গ্রো করার উদ্দেশ্যেই এই পোস্টটি আসলে লেখা ।

আমার ধারণা বাংলা ব্লগের অধিকাংশ লেখকই আমার মত তরুন এবং প্রকৃত অর্থেই তারা তাদের লেখা নিয়ে যুগপৎ লজ্জিত এবং ভীত । এ ধরনের ঘটলে তারা সাহসী হয়ে সবাইকে নাও জানাতে পারে , বিশেষত সে যদি মনে করে "কি এমন আমি লিখি যে , যা চুরি হয়ে গেলে তোলপাড় তুলতে হবে ? "। সত্য বলতে কি, আমারও এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কয়েকদিন যেতে হয়েছে ।

তরুন ও অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত ব্লগারের লেখনীর নিরাপত্তাজনিত এই সমস্যা লাঘবকল্পে আমিও তাই রেজওয়ান ও হিমু ভাইয়ের মত একটি প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি । রেজওয়ান ভাই যাকে বলছেন এভাবে

আমাদের দরকার একটি প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে এইসব মেধাসত্ব চোরকে উন্মোচনের সমষ্টিগত চেষ্টা করা যায় এবং ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেয়া যায়। প্রেস রিলিজ, বাংলা একাডেমীকে লিখে বই ব্যান করা, সরকারকে চাপ দেয়া একটি মেধাসত্ব চুরি রোধ সেল করা ইত্যাদি কার্যক্রম হতে পারে।

অনেকেই গল্প দুটোর স্ক্যানড কপি দিতে বলেছেন । সেটা দেয়া যাবে , তবে সেজন্য বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে । মেলায় গিয়ে বইটা আগে কিনতে(!) হবে তো ।

আমার ধারণা আমি যা বলতে চেয়েছি তার কিছুই গুছিয়ে বলতে পারি নি । হয়ত "গরু হারালে এরকমই হয়" । আমার দীর্ঘ বক্তব্য এখানেই শেষ । যারা লেখাটা কষ্ট করে পড়েছেন , কমেন্ট করে সহমর্মিতা জানিয়েছেন এবং অবশেষে এই দীর্ঘ কমেন্টটি পড়লেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ইমরুল কায়েস
......................................................
পতিত হাওয়া

হিমু এর ছবি

ইমরুল, নিজের গল্প ছাড়া অন্যের গল্প স্ক্যান করতে যেও না হাসি ... ওটাও কপিরাইট আইনে নিষিদ্ধ।

সবচে ভালো হয় পরিচিত সচলদের জানাও, তারা বইটা উল্টেপাল্টে চেক করে দেখতে পারবেন আর কোন গল্প সেই লোক চুরি করেছে কি না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি সাজেস্ট করব পুরো বই স্ক্যান না করে প্রতি গল্পের প্রথম দুই পেইজ স্ক্যান করতে। তবে এতে করে কপিরাইট আংশিক হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে (আংশিক বা পুরোপুরি রিপ্রডিউস করা নিষিদ্ধ)। কিন্তু যে বইয়ের দুটা গল্প ইন্টারনেট থেকে মেরে দেয়া সেই বই যাচাই করার জন্য আংশিক প্রকাশ করা আইনতঃ সিদ্ধ না হলেও অবশ্যই যৌক্তিক।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হিমু এর ছবি

প্রথম দুই পাতা করে স্ক্যান করে কনট্যাক্ট অ্যাট সচলায়তন বরাবর মেইলও করতে পারো। আমরা যাচাই করে দেখতে পারি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার মনে হয় ইনটেন্ট ইর্ম্পটেন্ট এখানে। আপনি তো আর রিপ্রডিউস করার জন্য এটা করছেন না।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এনকিদু এর ছবি

অথবা দাঁতের ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অভিজিৎ এর ছবি

আসলেই চোর ছ্যাচরে ভরে গেছে দেশ। নিকটজন হোক, দুরজন হোক আর দুর্জনই হোক (যা উনি নিঃসন্দেহে) - মুখোশ উন্মোচিত হোক। কেউ কিছু না বলাতেই এদের আজ এতো বাড়!



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

কীর্তিনাশা এর ছবি

দুঃখজনক ! খুবই দুঃখজনক !!

ইমরুল, আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। নিজের লেখা চুরি হয়েছে জেনেও কিছু করতে পারছেন না - এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে?

চোরের গুষ্টি নিপাত যাক !!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শঙ্কাজনক সংবাদ!
আপনার 'পতিত হাওয়া' কি ঠিক আছে ইমরুল? আমি কেনো জানি পোস্ট কিছুই দেখতে পারলাম না, বাকী সব কিছুই ঠিক দেখেছি ওখানে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইমরুল কায়েস এর ছবি

'পতিত হাওয়া' দেখলাম । ঠিকই তো আছে । মজিলা ফায়ারফক্সে তো ঠিকই দেখাচ্ছে। আপনি কোন ব্রাউজারে দেখেছেন ?
......................................................
পতিত হাওয়া

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আশংকাজনক ও দু:খজনক ঘটনা। ব্যাপারটা নিজের ক্ষেত্রে হলে কতটা কষ্ট পেতাম তা অনুমান করতে পারছি। ভাগ্যিস কেউ চুরি করতে পারে এমন লেখা এখনো লেখা হয়নি!

এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া উচিত। কিন্তু আইনে তো অনেক খরচাপাতি, সেগুলোর যোগান দেয়া কি সহজ?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ইমরুল, খুব খারাপ লাগল ব্যাপারটা জেনে। মানুষ আসলে কাছের মানুষের কাছ থেকেই বোধহয় বেশি প্রতারিত হয়। আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি। তবে অনুরোধ থাকবে- এভাবে প্লিজ ছেড়ে দিবেন না তাকে, তার বোঝা উচিত তিনি কী ধরণের বাজে একটা অপরাধ করেছেন।

ভাল থাকবেন।

বিপ্রতীপ এর ছবি

চোরে চোরে দেশটা ভরে গেলো। আমি অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি। যেটা হয়েছে আমার একটি লেখায় আমার নামের সাথে প্রকাশক তার নামটাও জুড়ে দিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত ঝামেলা করতে ইচ্ছে হয়নি। উনিও একসময় আমার বেশ কাছের মানুষ ছিলেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

একটা প্রকাশ্য শিক্ষা হওয়া আশু প্রয়োজন!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ইফতেখার আনাম এর ছবি

উচ্চ মাধ্যমিকে point circle বা বিন্দু বৃত্ত নামে একটা 'ধারণা' শুধু এ এ কে এম লুৎফুজ্জামান নামে এক লেখক এর বই এ ছিলো। পরে নিমাই স্যারের (নটরডেম কলেজ)
কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম যে ঐটাও কোনো এক ছাত্রের কাছ থেকে মেরে দেয়া।
ব্লগ লেখা চুরির ব্যাপারটা আশংকাজনক। ব্লগের কারণে অসাধারণ কিছু লেখা পড়তে পারছি। কিন্তু চুরি প্রতিরোধ করতে না পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। মন খারাপ

অনিকেত এর ছবি

ইমরুল, সহমর্মিতা রইল।
আমি এইখানে মুজিব ভাইয়ের সাথে একমত যে এই চোরগুলোর মূল উদ্দেশ্য যশ। কাজেই তাদের জব্দ করতে হলে তাদের ঐ কাংখিত বলয়েই আঘাত হানতে হবে।
আপনার বিব্রত হবার কারন থাকতে পারে--কিন্তু কুন্ঠিত হবার কোন কারন নেই।

যে লোক আপনার লেখা অম্লান বদনে চুরি করে ছাপিয়ে দেয়, তাকে আপনি সর্বসমক্ষে উন্মোচিত করুন। এটা হবে আপনার আমার সকলের জন্যেই উপকারী।

ভাল থাকবেন---

রাফি এর ছবি

ইমরুলের ব্লগে খুঁজে পেলাম গল্পটা, যেটা সবুজ খাম নামটা শুদ্ধ মেরে দিয়েছে চোরা লেখক।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সচেতনা এর ছবি

কী সাংঘাতিক ব্যাপার!!! প্রতিবাদ করা উচিৎঅবশ্যই। নইলে বারবার হবে এরকম। অন্যদের লেখাও চুরি হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ঠ এই মানুষের কাছ থেকে। অন্যদের লেখা প্রোটেক্ট করার জন্যও এই ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া দরকার। প্রয়োজনে এই ভদ্রলোকের সাথে ব্যক্তিগতভাবে (ঘনিষ্টতার কারণেই) কথাতো বলা যায়। বই তুলে নিতে বাধ্য করাও তো যেতে পারে। খুব খারাপ ঘটনা। এরকম তারমানে আখছার ঘটছে ধরে নিতেই হবে।

তানবীরা এর ছবি

দুঃখজনক সাথে লজ্জাজনক।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অবাঞ্ছিত এর ছবি

দু:খজনক... কিছুই বলার নাই...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

তুলিরেখা এর ছবি

কী সর্বনাশ! এগুলো কি?
এরকম হতে থাকলে তো খুবই বিপদের কথা!
একেই নানা ছদ্মনামে সব লেখাপত্র, নেটে নানা জায়গায় ছড়িয়ে আছে, ফ্রী ওপেন সাইট সব, টাইম-ডেট স্ট্যাম্প আর কোথাও কোথাও আইপি ছাড়া কোনো কন্ট্রোল বা আইডেন্টিফিকেশনও বিশেষ নেই, কে যে কোথা দিয়ে মেরে দিচ্ছে কেজানে!
এধরনের চুরি বন্ধের বিশেষ ব্যবস্থা দরকার।

----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফ এর ছবি

কুকুর কামড়ালে তাকে ণা কামড়ানোর শিক্ষা আমাদের দেয়া হয়েছে বলে আমরা কাউকে পাল্টা ধোলাই দিতে অপারগ, কিন্ত আপনার উচিত এই চোরের নাম প্রকাশ করা, এবং পরবর্তী বইমেলায় সচলের প্রকাশনায় একটি লেখা দিন এই চুরিকে নিয়ে, যাতে ব্লগের পাশাপাশি অন্যান্যরাও জানতে পারে এ ঘটনা, যশ কামানোর এত শখ যখন, তার খেলাতেই তাকে পরাস্ত করেন। কিছুই যদি করতে না চান, তাহলে সরাসরি তাকে ধরুন, ভদ্রভাবে তাকে জানান যে, তার কুকর্মের খবর আপনে জানেন, ভবিষ্যতে আপনার বা অন্যকারো লেখা চুরি করলে উনার এই ব্যাপার আপনে দৈনিক পত্রিকা, ব্লগে প্রচার করবেন। এতে উনি অন্তত চুরি করার সময় দুবার চিন্তা করবেন।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এ ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ইমরুল ভাই, এই ঘটনার কোন আপডেট আছে?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।