ইসলামিক ব্রা

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১২/০২/২০১০ - ৮:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাজে এসে এক কাপ কফি নিয়ে সবে বসেছি নিজের জায়গায়। এখনো দোকান পাট খোলা হয়নি। ধুপধুঁনো দেওয়া বাকী। কাজের আবঝাপ ও বুঝে নেওয়া হয়নি। আর ঠিক এই সময় পাশের কিউবিকল থেকে স্যেনড্রা জোনস্ বেশ উচু স্বরে জিজ্ঞেস করলো (শব্দের স্কেল ১ থেকে ১০ ধরা হলে, ওরটা হবে ৮)
"হ্যাই মিমি, হোয়াট ইজ ইসলামিক ব্রা"? যে সব কারণে আমি দিনে কাজ করি না, এই স্যেনড্রা জোনস্ হলো তার মাঝে অন্যতম। ও A শিপ্টের মানে দিনের শিপ্টের টিম লীডার।
দিনে এসে যদি ওর আন্ডারে কাজ করতে হয়, তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেই জব কুইট করতে হবে, আর তা না করলে ও আমাকে ফায়ার করার ব্যবস্হা করবে।

পুর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জানি, শী ফাউন্ড সামথিং টু নেইল মি ডাউন। দিলো মেজাজের জানাজা পড়িয়ে। এর আগের বিষয়টা ছিলো “৭০ ভাগ ইন্ডিয়ান মেয়েরা প্রস্টিটিউট"। তার আগে “ইসলামিক ল এলাওস দ্যাট, মুসলমি ম্যান ক্যান হ্যাব সেক্স উইত দেয়ার মেড"। তারো আগে “ইন্ডিয়ান ম্যান হ্যাব দেয়ার ফার্স্ট সেক্স এক্সপেরিয়ান্স উইত দেয়ার কাজিন অর মেড” আল্লাহ জানেন, কোথা থেকে যে স্যেনড্রা এগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে।

ওর অফ হয়ে যাবার সময় হয়ে গেছে। প্যাস ডাউন মিটিংটা শেষ হলেই ও চলে যাবে। এই সময় ওর সাথে গাঞ্জামে যাবার কোন রকম ইচ্ছে আমার নেই।
“কী বলছো? আমি তোমার কথা শুনতে পারছি না?” ও কথাটা আবার বললো। আমি কোন উত্তর দিলাম না।
"চেক ইওর ইমেল।"
যে কারণে ও গলার স্কেল উপরে তুলেছিলো এবার তার ফল ফললো, অন্য দুটো কিউবিকল থেকে মাইক ও ভিকি গুটি গুটি পায়ে স্যেনড্রার কিউবে ডুকলো। আমার শিপ্টের ট্রে অ্যডাম আর স্কট ফেমিং এখনো আসেনি। এসে প্রথমেই ওরা স্যেনড্রার রুমে ঢুকবে তাও জানি। সব সাদারা একই স্কুলে পড়ে, আর একই নামতা শেখে। আমার শিপ্টের টিম লীডার জন পেগেট সেনড্রার রুমেই বসে। এবার ওর হাসির শব্দ শুনতে পেলাম। হাঁসতে হাঁসতে আমাকে হেঁড়ে গলায় ডাকলো, " কাম ওভার হানি "। আর কি করা, এবার তো মোগোলের সাথে খানা খেতেই হবে।
আমাকে দেখে স্যেনড্রা জোরে জোরে খররটা পড়তে শুরু করলো। ভিকি জিজ্ঞেস করলো "মুসলিম মেয়েরা আন ইসলামিক ব্রা পরতে পারবেনা, এটার মানে কী? আমরা যেটা পরি সেটা কী, আন ইসলামিক? তাহলে ইসলামিক ব্রা কেমন?" ট্রে বললো, " সামথিং লাইক ট্রেনিং ব্রা, নো কাপ।" কখন কাইল মোরিস পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে দেখিনি। (ও আমাদের সাথে কাজ করে না, ও করে ইকিউপমেন্ট টেস্টটিং গ্রুপে) এইটা একটা ফাজিলের হদ্দ। কোন কথা ওর মুখে আটলায় না। আর মেয়েদের নিয়ে কথা বলতে পারলে ওর পান্তা ভাতে লবন লাগেনা। এমন ভাবে মেয়েদের দিকে তাকায় যেন তাকিয়েই প্রগনেন্ট করে দেবে। আমার ঘাড়ের পেছন থেকে বলে উঠলো, "হাউ ক্যাম মুসলিম ম্যান ডাজ নট লাইকস বুবস্? ব্রা ওর উইদাউট ব্রা, ম্যান, আই লাভ দেম। দিস আর দা বেস্ট থিংগস গড হ্যাস এভার ক্রীয়েটেড। মে বি মুসলিম ম্যান ডাজান্ট নো বিসাইড ব্রেস্ট ফিডিং, দে হ্যাভ আদার পারপাস টুও।"
আমি আর কথা বাড়াতে না দিয়ে জনের চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, "আমি জানিনা।" কাইল জিঞ্জেস করলো ওয়েল, হোয়াট কাইন্ড অফ ব্রা আর ইউ ওয়ারিং? ইসলামিক ওর আনইসলামকি? আমার মেজাজ এত খারাপ হয়ে গেলো যে কিছুক্ষন চুপ করে থেকে, কাইলকে বল্লাম, হোয়াট আই অ্যাম ওয়ারিং, দ্যাট ইস ন্যান ওফ ইউর বিজনেস। তারপর স্যেনড্রাকে বললাম, “কী খুশী! তোমার মিশন পুরো হলো তাইনা? তুমি কী আমার পেছনে লাগা ছাড়বে? আমি অনেক দিন সহ্য করেছি, এর পর “মুসলিম” “ইন্ডিয়ান” অথবা “বাঙলাদেশী” নিয়ে আর একবারো যদি কোন ইসু তোলো, তাহলে আমি ব্যাপারটা H/R কে জানাতে বাধ্য হবো। আশা করি H/R জানলে, আমার মনে হয়না তারা এটকে নিয়ে তোমার মতো খুশী হবে”।
স্যেনড্রা বললো, “কাম অন মিমি উই আর জাস্ট কিডিং"। আমি চোখ ভরা ঘৃণা নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, "আই আ্যম নট।" জন সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বললো, "এনাফ্! লেটস্ হ্যাব মিটিং।"

নিজের রুমে এসে ইমেল খুলে লেখাটা ভালো করে পড়লাম। জীবনে এই প্রথম বার মেয়ে হিসাবে জন্ম নিয়েছি বলে নিজেকে করুণা করতে ইচছে হলো।
আমাদের এই একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারটাকেও তথাকথিত মুসলিম নামধারী এ্যাস হোলদের জন্য খবরের কাগজে খবর হতে হলো। এখন সারা পৃথিবীতে সবাই এবিষয়ে কথা বলবে, হাসি ঠাট্টা করবে। একেই বোধহয় বলে গন বলৎকার!!

http://story.australianherald.com/index.php/ct/9/cid/c08dd24cec417021/id/555958/cs/1


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অদ্ভুত মন মানসিকতা! ফেইসবুকের কল্যানে এই লিংকটা পেলাম: http://dhormockery.blogspot.com/2009/11/blog-post_25.html
দেখে থ' হয়ে গেলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

'থ' হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে এখন আপনি রান্নার জন্য প্রস্তুত।

--------------------------------------------------------------------------------

ইকারুস এর ছবি

দুটো লিঙ্ক দেখে হাসতে হাসতে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো।D:

তিথীডোর এর ছবি

আজব!
হাস্যরসের কোন বস্তু এ দুটো লিংকে ছিলো কি?
মাঝে মাঝে মনে হয় "জন্মই আমার আজন্ম পাপ..."
কিছুই হয়তো বদলাবে না তবু ধিক্কার জানাই!

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

-লেখাটা মন দিয়ে পড়েছো জেনে ভালো লাগলো। "জন্মই আমার আজন্ম পাপ..."
এই কথাটা নারী/পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তাই না? কে বলেছে বদলাবে না? তোমরা বদলাবে। অন্তত ধর্মের নামে এই প্রহসন তোমরা মেনে নিও না। তোমাদের দিকেই তো আমরা তাকিয়ে আছি।

--------------------------------------------------------------------------------

অনিন্দ্য এর ছবি

মোটেই না।অবশ্যই হাসির কিছু ছিল না।

"মাঝে মাঝে মনে হয় "জন্মই আমার আজন্ম পাপ..."" - এরকম ভাবার কোন মানে হয় না।দোষ তো আপনার না,যারা এ রকম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলে তাদের। অনিকেত ভাইয়া তার মন্তব্যে অনেক সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলেছেন।

এই ইকারুস আর জাফর স্যারকে নিয়ে লেখা পোস্টের ইকারুস যদি একই লোক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার মন খারাপ করার কোন কারণ নেই।এই সব ছাগুদের মন্তব্যে মন খারাপ করবেন না।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আচ্ছা, তাই নাকি? দুর ছাই আমি কই কী! আর পাবলিক বুঝে কী !!

--------------------------------------------------------------------------------

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

-

আচ্ছা, তাই নাকি? দুর ছাই আমি কই কী! আর পাবলিক বুঝে কী !!

--------------------------------------------------------------------------------

আনিস মাহমুদ এর ছবি

হাসির কী আছে এখানে? ইকারুস, আপনিও কি ছিলেন সেদিন মোগাদিশুর রাজপথে, অস্ত্রহাতে?

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভাবী, আপনার লেখা পড়ে হাসা উচিত না, তাও কেন যেন হাসি এসে গেল আপনার লেখনির গুনে। সিরিয়াস টপিক এমন ভাবে লিখলেন যে কি বলব, ভ্যাক ভ্যাক করে হাসি বের হয়ে গেল, এজন্যে বড় করে মাফ চেয়ে নিচ্ছি, কিন্তু কি বলব, হাসি আটকে রাখতে পারছি না। বিশেষকরে তাকিয়ে প্রেগন্যান্ট করার ব্যাপারটা পড়ে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ভাবী, আসলে একগ্রুপ লোক আছে দেশে, যারা মানবজমিন পড়েন নিয়মিত বিকৃত রূচি চরিতার্থ করার জন্যে, এরকম লোক সবখানেই পাওয়া যায়, আপনার স্যেনড্রাও মনে হয় সেই গ্রুপে পড়বে। আর আরেকজন কি করল তার সাথে আপনাকে তুলনা করবে নির্দ্বিধায় , অথচ, এই একই জিনিস আপনে করে দেখেন, তারপরে বুঝবেন, হাউ মেনি রাইস, হাউ মেনি পেডি হাসি
================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

বিশেষকরে তাকিয়ে প্রেগন্যান্ট করার ব্যাপারটা পড়ে

খুব মজা পাইছেন না? কেন ইচ্ছা হয় নাকি ঐ রকম করতে? দাঁড়ান আপনার বারান্দায় গুমানোর ব্যবস্হা করছি।( এই শীতে) প্রজাপতি আপনে কোথায় গেলেন ভাই!!

--------------------------------------------------------------------------------

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

*ঘুমানোর

--------------------------------------------------------------------------------

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আগেও বলেছি, আবারো বলছি, আপনার লেখার ভঙ্গিটা এতই অসাধারন ছিল যে যত সিরিয়াস কথাই বলেন না কেন, পাথর ও হেসে ফেলত, আর আমিতো নাদান ২ লাইন লেখা ব্লগার। আপনার লিংকের বিষয়খানা খুবই সিরিয়াস, কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু আপনার অফিসের পরিবেশের কথা চিন্তা করেই গা কেঁপে হাসি আসতে লাগল। এভাবে হাসার জন্যে আগেও অনেকবার বিপদে পরেছি, সেটা নিয়ে নাহয় লেখা দিব একদিন। যাক, আমার ছাগলামিতে আপনে আশাকরি মাইন্ড করেননি।

আপনার লেখার হাত দূর্দান্ত আর খুবই ঝরঝরে, তাই ডুব না দিয়ে নিয়মিত লিখুন, এই কামনা নিয়ে ফুটলাম আজকে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাফি এর ছবি

ইন্ডিয়ান ম্যান হ্যাব দেয়ার ফার্স্ট সেক্স এক্সপেরিয়ান্স উইত দেয়ার কাজিন অর মেড
-হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে এমন একটা ডায়লগ পড়েছিলাম

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

-হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে --- হুঁ । এতে আর অবাক হবার কী আছে। অভিজ্ঞতা বলে কথা!

--------------------------------------------------------------------------------

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

দুনিয়া বড়ই আজব! কী শালার লিখবো, কোন শব্দই খুঁইজা পাইতাছি না। দিন যায় নানা খবর শুনি, আর চমকে উঠি। জানি না, এই চমকে ওঠায় শেষ কোথায়।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

চমকাইতে, চমকাইতে একদিন নিজেই খবর হলে তারপর এর শেষ।

--------------------------------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

এইটা কি বললেন? ঘটনা শুনে সত্যিই আপনার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি! এসব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে না জানি কতজনকে যেতে হচ্ছে!

ইসলামের কিছু কিছু অদ্ভুত ব্যাপার নিয়ে সাদাদের মধ্যে অনেক সময়ই বেশ কৌতুহল দেখা যায়, আমার সাথে অনেকেরই এসব ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু এত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এভাবে দলগতভাবে আক্রমনাত্মক আলোচনা করতে দেখি নাই কখনো! কাইলকে চপেটাঘাত করার ইচ্ছা সামলাতে পারছি না!

সব সাদারা একই স্কুলে পড়ে, আর একই নামতা শেখে।

তবে এই উক্তিটি সব সাদার জন্য প্রযোজ্য নয়, সেটা আমিও জানি, আপনিও জানেন! তা নাহলে H/R এর ভয়টা আপনি দেখাতে পারতেন না!
যাই হোক, খুব সুন্দর করে লিখেছেন, পড়ে বেশ ভাল লেগেছে!
আপনার একজন মুগ্ধ পাঠক হিসেবে আমাকে পাবেন এরপর থেকে!

কাকুল কায়েশ

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

দলগতভাবে আক্রমনের কারণ শিয়ালের পালে আমিই একমাত্র মেষ শাবক, তাই। সাদাদের বিষয়ে ওই উক্তি অনেক দিনের অভিজ্ঞতার ফল। আমার পড়াশোনা খুবই কম। তবু বলছি ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন পৃথিবীর সব অশান্তির পেছনে কিন্তু এই সাদা'রাই দায়ী।

H/R বলতে আমি হিউম্যান রিসোর্স বুঝাতে চেয়েছি। আমার জন্য প্রেম না ভাই, ওরা নিজেদের স্বার্থেই আমার কথা শুনবে। আমি যদি ডিসক্রেমিনিশন ফাইল করি। তাহলে কোম্পানির অর্থনৈতিক ক্ষতির সাথে সাথে সুনামেরও ক্ষতি হবে। একজন কর্মচারির জন্য কোম্পানি এতবড় ঝুঁকি নেয় না। ত' সে যে রঙেরই হোক না কেন?
তবে একটা কথা সত্যি, এ দেশে আইন সবার জন্য সমান।

--------------------------------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

না না, আমি আপনার সব কথা, সেসময় আপনার মানসিক অবস্থা আগেই বুঝতে পেরেছি এবং সেজন্য সহমর্মিতাও প্রকাশ করেছি। এরকম পরিস্থিতির শিকার আমার কোন বন্ধু-বান্ধবী যেন কখনো না হয় সে আশাও করি।

তবে আবারো বলছি, সব সাদাকে একি কাতারে ফেলাটা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয় না।

কাকুল কায়েশ

এনকিদু এর ছবি

ব্লগ আর ব্লগের শেষের লিঙ্কটা, কোনটা পড়েই আমার হাসি আসলনা ।

নিজেকে সোমালিয়ার একটা মেয়ের জায়গায় চিন্তা করুন, অথবা এই পোস্টটির ব্লগারের জায়গায় যদি চিন্তা করতে পারেন তাহলেও আর হাসি আসার কথা না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ এনকিদু, লেখাটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য।

--------------------------------------------------------------------------------

সাবিহ ওমর এর ছবি

এইখানে দেখি সব ব্যাটাচ্ছেলে কমেন্টাচ্ছে, ঘটনা কি? খাইছে

লিঙ্কটা দেখে একাত্তরের কথা মনে হল। মুসলমানিত্ব টেস্ট করার কী সহজ উপায় খুঁজে বের করে এরা! কেয়ামতের পর হাশর-টাশরের হেজেমোনি করার আদৌ কোন দরকার আছে বলে তো মনে হয় না...

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

ব্যাটাছেলে কমেন্টালে আমার কোনই আপত্তি নাই। ব্যাটাছেলে কী মেয়েছেলের বদলা নিয়ে লিখলেন নাকি? তসলিমা নাসরিনে মতবাদের সাথে আমি একমত পোষন করিনা।

--------------------------------------------------------------------------------

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

খুব খারাপ লাগলো। তাদের এই কুরুচিপূর্ণ কাজের উদ্দেশ্য তো এখানে পরিষ্কার।

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

--------------------------------------------------------------------------------

নাশতারান এর ছবি

যারা হাসছেন তাঁরা কেন হাসছেন ঠিক ধরতে পারছি না। ইসলামবিরোধী অন্তর্বাস রহিত করার মহৎ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সোমালি রমণীরা যে ইসলামিক উপায়ে ধর্ষিত হচ্ছেন (সুবহানাল্লাহ), তা কি কেউ দেখতে পাচ্ছেন না?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

কে বলেছে বুনোহাঁস, দেখতে পাচ্ছেন না? অনেকে তো পাচ্ছেন। আর সব পাঠকের মনোভাব একই রকম হবে সেটা আশা করা কী ঠিক?

--------------------------------------------------------------------------------

সাফি [অতিথি] এর ছবি

আজব দুনিয়া!

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

হুঁ

--------------------------------------------------------------------------------

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

এসব দেখলে তীব্র ক্রোধ জন্মায়...
স্ত্রী প্রহার বিষয়ক লিংকটাও সকালে এফ.বি ওপেন করেই চোখে পড়লো।
আসলেই গণ-ধর্ষণ...

-------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

"ক্রোধ'কে শক্তিতে পরিণত করো।" আমার কথা নয়। কোথায় যেন পড়েছিলাম।

--------------------------------------------------------------------------------

বাউলিয়ানা এর ছবি

ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন নিয়ম কানুন নিয়ে অন্য দেশের ভিন্নধর্মাবলম্বিদের অনেক আগ্রহ থাকে। যেমন আমি যে দেশে আছি, আমার কর্মস্থলে আরো দশ-পনের জন অন্য ধর্মের লোক আছে। এছাড়া ইরান ও ইরাকের আরও দুজন মুসলিম আছে এখানে। তো সবার একটা কমন কৌতুহল হলো ইসলামের বহু-বিবাহ, সন্ত্রাসবাদ, দোর্‌রা মারা ইত্যাদি। তারা যখনই আমাকে ঐসব বিষয়ে কোন প্রশ্ন করে আমি তাদের বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। আমি তাদের দেখানোর চেষ্টা করি কিভাবে অঞ্চলভেদে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা এই ধর্মকে প্রভাবিত করে। আমি তাদের উদাহরন হিসেবে ইরানিদের সাথে আমাদের পার্থক্য বলি, ইরাকিদের সাথে আমাদের পার্থক্য বলি। তাই কোন একটা এলাকার মুসলিমরা কিছু করলেই যে সেটার দায়ভার পৃথিবীর সব মুসলিমদের নিতে হবে তা কিন্তু না। প্রথম প্রথম খুব হাসাহাসি করলেও এখন তারা আর খুব একটা ঘাটায় না আমাকে।

দুর্দান্ত এর ছবি

তাহলে আপনি বলছেন 'বহু-বিবাহ, সন্ত্রাসবাদ, দোর্‌রা মারা' ইত্যাদি ইসলাম বিরোধী কাজ? মানে এগুলো যারা করে বা এগুলোকে সমর্থন করে, তারা কাফের? তাহলে কোরানের এই বানীগুলোকে নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?

১। বহুবিবাহ সম্বন্ধে সুরা আজহাব আয়াত ৫০। http://www.submission.org/suras/sura33.html এখানে মহানবীকে বহুবিবাহ ও কিছু ক্ষেত্রে বিয়ে ছাড়াই কিছু নারীর ওপর 'অধিকার' দেয়া হয়েছে'।
২। বিধর্মীদের ওপর সন্ত্রাস সম্বন্ধে পুরো সুরা বারা'আহ। পড়ে দেখুন। খেয়াল করুন এই সুরা পড়ার আগে বিসমিল্লাহ পড়ার নিয়ম নেই।
৩। দোর্‌রা সম্বন্ধে সুরা আন্নুর আয়াত ২।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

এখানে একটু সতর্কতা প্রয়োজন। submission.org মূলধারার ইসলামের রেফারেন্স না। ওদের পীর হইলো রাশাদ খালিফা সাহেব, বা ওনার ভাষায় প্রতিশ্রুত রাসুল (messenger of covenant)। সেইটা প্রমাণের জন্য উনি নিজের মত অনেককিছু অনুবাদ করসেন।

রেফারেন্স দিলে সবগুলা USC MSA থেকে দেওয়াই ভালো।

তবে এই ক্ষেত্রে অনুবাদগুলা MSA এর কাছাকাছি আছে। ফলে আপনার বক্তব্য বহাল আছে।

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

দুর্দান্ত এর ছবি

ধন্যবাদ।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, ওদের সুরা বারা'আহে শেষের দুইটা আয়াত নাই। এগুলা নাকি নকল আয়াত, ওনার মতে।

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

বাউলিয়ানা এর ছবি

প্রিয় দুর্দান্ত,
এই পোস্টটাতো আসলে আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের জন্য না, তাই না?
আমি মেহবুবা আপুর ভাষায় কর্মস্থলে "নেইল মি ডাউন" এর প্রতিকারের কথা বলতে গিয়ে কথাগুলো বলেছি।
যাইহোক কোন রেফারেন্সের দরকার নেই ভাই, আমি আমার ছোট্ট মস্তিষ্ক খাটিয়ে যা বুঝি তা হলো,
সন্ত্রাসবাদ- নিপাত যাক।
আর বহুবিবাহ, দোর্‌রাকে- মনে প্রানে ঘৃণা।

ধন্যবাদ

দুর্দান্ত এর ছবি

ভাই/আপা

ভুল বুঝবেন না। আপনি বললেন যে,

আমি তাদের দেখানোর চেষ্টা করি কিভাবে অঞ্চলভেদে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা এই ধর্মকে প্রভাবিত করে। আমি তাদের উদাহরন হিসেবে ইরানিদের সাথে আমাদের পার্থক্য বলি, ইরাকিদের সাথে আমাদের পার্থক্য বলি। তাই কোন একটা এলাকার মুসলিমরা কিছু করলেই যে সেটার দায়ভার পৃথিবীর সব মুসলিমদের নিতে হবে তা কিন্তু না।

তাই আমি বলতে চাইলাম যে ইসলামের গোড়াতেও কিছু সমস্যা আছে, সংস্কৃতিক ভিন্নতা আর আঞ্চলিকতার ঘাড়ে সব দোষ চাপানো যায় না। তবে আমি যদি আগে মানুষ, তারপর বাঙালী, তারপর মুসলমান, এইভাবে ভাবি, তখন অনেক কিছুই সহজ হয়ে যায়।

এই আরকি।

অশেষ ধন্যবাদ।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জবাব দুর্দান্ত দিয়ে দিয়েছে, তাই আমি আর দিলাম না।

--------------------------------------------------------------------------------

রেজওয়ান এর ছবি

মেজাজটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ভাবী আপনি অনেক ধৈর্য রাখেন। আমাকে শান্ত শিষ্ট বলেই জানে সবাই। তবে আপনার মত পরিস্থিতিতে কি করতাম তা হয়ত জানিনা।

দুনিয়াটা বড়ই কঠিন। আর কিছু ছাগুবাহিনী একে আরও তামাশার ক্ষেত্র বানিয়ে দিচ্ছে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আমার মতো পরিস্থিতিতে আমি যা করেছি, আপনিও হয়ত তার কাছাকাছিই কিছু করতেন। এই বাজারে চাকরি গেলে খাবো কী! বাতাস!!

--------------------------------------------------------------------------------

অনিকেত এর ছবি

মনটা ভীষন খারাপ হল ভাবী।
পৃথিবীর কোন ধর্মই নারীদের প্রতি সহানুভূতি দেখায় নি।
কেন জানিনা।
আমার নিজের ধারণা, পুরুষকেন্দ্রিক সমাজ বলেই হয়ত এমনটা হয়েছে। আমাদের সব ধর্মগুলোই কম-বেশি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চিন্তা ভাবনার ফসল।যে কারণে মেয়েদের অধিকার আর সম্মান নিয়ে ধর্মগুলো (মূলত ইসলাম, খ্রীষ্ট ধর্ম এবং ইহুদী ধর্ম) খুব কমই ব্যস্ত। কথাটা হয়ত একপেশে শোনাচ্ছে কিন্তু আমার স্থির বিশ্বাস, কোন ধর্মই মেয়েদের কথা 'সামগ্রিক' ভাবে ভাবেনি। ধর্মগুলো মেয়েদের ততখন সম্মান দিতে প্রস্তুত যতখন মেয়েরা 'মা'-র ভূমিকায় আছে ('মা এর পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত')। কিন্তু যেই মেয়েরা স্ত্রীর ভুমিকায় অবতীর্ণ হল, সাথে সাথে পাশার দান উলটে গেল ('স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহেস্ত' বা 'পতি পরম গুরু')।

কেন?

আমার সব সময়েই মনে হয় পুরুষদের এই আক্রোশ আসলে তার দূর্বলতা ঢাকার একটা ব্যর্থ প্রয়াস। আমরা পুরুষরা মনে মনে ঠিকই জানি শক্তিমত্তায় আমরা এগিয়ে থাকলেও আরো অনেক জিনিসে আমরা পিছিয়ে আছি মেয়েদের কাছে। সমাজ বিবর্তনের কোন এক ধূসর সন্ধ্যায় যখন মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক সমাজের হাতে আত্মসমর্পন করল, সেদিন থেকেই আমরা পুরুষেরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি ক্ষমতার কুক্ষিগতকরণ। যে কোন মূল্যে মেয়েদের ক্ষমতায় আরোহন আটকাতে হবে।
ধর্মগুলো সেদিক থেকে অনেক 'সাহায্য' করেছে আমাদের। ধর্মের হাত দিয়ে আমরা কখনো মেয়েদের পিঠে চাবুক মেরেছি, কখনো জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছি এবং প্রতিনিয়ত ঘোষণা করে গেছি--মেয়েরা 'অপবিত্র'। প্রধান প্রধান ধর্ম প্রচারকরা সবাই পুরুষ!

আমাদের এই লক্ষ বছরের 'সাধনা' বিফলে যায় নি। আমরা মেয়েদেরকে প্রায় নিশ্চিত ভাবেই পঙ্গু করে দিতে পেরেছি---সামাজিক ও মানসিক ভাবে। এই মানসিক বৈকল্য এতদূর গড়িয়েছে যে মেয়েরাও অজান্তে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে তারা 'নিম্নতর' প্রজাতি।

ভাবী আপনি লিখেছেনঃ

জীবনে এই প্রথম বার মেয়ে হিসাবে জন্ম নিয়েছি বলে নিজেকে করুণা করতে ইচছে হলো।

---আর আমার প্রতিটা দিন লজ্জা হয় এই রূঢ় বর্বর পুরুষ প্রজাতির একজন প্রতিনিধি হিসেবে।

ভাবী, আমাদের ক্ষমা করুণ--একথা আমি বলব না। যে দানব আমরা জন্ম দিয়েছি---সেই দানব নিধনই হতে পারে আমাদের একমাত্র পাপস্খালন।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

-
সেই দানব নিধনই হতে পারে আমাদের একমাত্র পাপস্খালন।

আপনার লেখা ও মন্তব্য এখন পর্যন্ত যতটুকু পড়েছি সে থেকে আপনার সম্বন্ধে আমার ধারণা আপনি ভারী নিরপেক্ষ, বিচক্ষন ও একজন বড় মনের মানুষ। আপনার সবচেয়ে বড় গুন অনেক কঠিন কথাও, করো মনে ব্যথা না দিয়ে খুব সুন্দর করে বলতে পারেন। এবার এই মন্তব্য পড়ে আপনাকে আমি শ্রদ্ধার আসনে বসালাম।

হ্যাঁ অনিকেত, আপনি সহ মাত্র কয়েকজনই বুঝতে পেরেছেন আমার এই লেখার উদ্দেশ্য। আমি আসলে খুব বাজে একজন লেখিকা, তাই নিজের লেখার ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে।
আমার লেখায় সে্যনড্রা শুধুই একটা চরিত্র। কর্মক্ষেত্রে এ ধরণের রেষারেষি, গুঁতোগুঁতি কোথায় নেই বলুন। আমার মতো ৩য় বিশ্বের একজন মহিলা যদি ওর মতো ১ম বিশ্বের একজনের কাজের ভুল ধরে দেয়, যে কী না ১৯ বছর ধরে এখানে কাজ করছে (নিজের ঢোল বাজাচ্ছি মনে হচ্ছে) তাহলে ওর যা করা উচিৎ, ও তাই করেছে। ফাইন্ড সামথিং টু নেইল মি ডাউন। কাজে ভুল খুঁজে পাইনি। তো ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছে। স্যেনড্রা যে কথা গুলি বলেছে সে গুলি
কী ও বানিয়ে বানিয়ে বলেছে? যতদিন এই ধরণের খবর তৈরী হবে ততদিন সে্যনড্রারা এসব বলবেই। কজনের মুখ আটকাবো আমরা?

সারা পৃথিবীর পুরুষ মানুষকে তো বদলাতে পারবো না আমরা,------------ তবে
কথায় বলে "চে্যরিটি বিগেনস এ্যট হোম।" সচলকে আমরা যদি আমাদের হোম ধরি তাহলে সচলের এই প্রজন্মের পুরুষ ও তাদের পুরুষ সন্তানদের কাছে আমরা কী আশা করতে পারিনা [i]"কিন্তু যেই মেয়েরা স্ত্রীর ভুমিকায় অবতীর্ণ হল, সাথে সাথে পাশার দান উলটে গেল" [/i] এই মনোভাব পোষন করবে না? আপনার যারা বিবাহিত তারা তাদের স্ত্রীর দিকে আর একবার ফিরে দেখুন।
মামুনের সম্পতি জোড়া মেয়ে হয়েছে। মৃদুলের ফুলের মতো দুটো মেয়ে আছে। নজরুলের নিধি সোনা সচলের সবার চোখের মনি। আমি জানি এদের সুখের জন্য, মুখে একটু হাসি ফোটাবার জন্য মামুন, মৃদুল, নজরুল নিজের জীবনকে তুচ্ছ করতে পারে।
আমি নিজেকে কেন করুণা করেছি জানেন? সোমালিয়ার ওই পুরুষগুলোর মধ্যে কী একজনও মামুন, মৃদুল, নজরুলের মতো বাবা ছিলো না? অবশ্যই ছিলো। কিন্তু ঐ ঘটনায় তারাও সামিল হয়েছে। শুধু এই জন্যে। শুধু এই জন্যেই। পুরুষের সমান আমরা হতে চাইনা। বিধাতা আমাদের সেভাবে গড়েন নি। আপনার একটু সাহায্য করুণ যেন নিধিরা এই পৃথিবীতে মাথা উচু করে বাঁচতে পারে। ধর্মের নামে ওদের যেন এমনি করে বে'অব্রু হতে না হয়।
সে্যনড্রা নয়, আমার লক্ষ্য ছিলো ক্যাইল। মুসলিম পুরুষদের যে ভাবে ও ব্যাখ্যা দিলো, দেখলাম আপনার মুসলিম পুরুষরা নীরবে ব্যাপারটা মেনে নিলেন।

-------------------------------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------------------------------

আনিস মাহমুদ এর ছবি

অনিকেত, সহমত আপনার মন্তব্যে। ধর্ম পৃথিবীতে এসেছে প্রধানত পুরুষের হাত ধরে, প্রধানত পুরোহিত আর শাসকদের হাত শক্ত করতে আর বিভাজনের মাধ্যমে মানুষকে শোষণ করতে।

নারীর চেয়ে বেশি শোষিত আর কে আছে জগতে?

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

বইখাতা এর ছবি

কিছু বলার মতো ভাষাই খুঁজে পাচ্ছিনা। চরম মেজাজ খারাপ হয়ে গেল লিংক অনুসরণ করে, খবরটা পড়ে। শুধু মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলেই কখনো কখনো, কিছু কিছু পরিস্থিতিতে খুব অসহায় লাগে।

দুর্দান্ত এর ছবি

এক অনাচার চলছে সোমালিয়ায় -আফগানিস্তানে, আরেকটি চলছে পশ্চিমের অফিসে আদালতে - সোমালিয়া-আফগানিস্তান-ইরাকের সেই সন্ত্রাসকে উপলক্ষ করে। দুটোর কোনটাই চাইনা।

দুটোতেই ধিক্কার।

নন্দিনী [অতিথি] এর ছবি

লেখাটা পড়ে তীব্র একটা ক্রোধ ছলাৎ করে মাথায় উঠে গেল । লেখকের সে সময়কার অনুভূতি মর্মে উপলব্ধি করছি । বলার মত আসলেই কিচ্ছু খুঁজে পাচ্ছি না ...

সব সাদারা একই স্কুলে পড়ে, আর একই নামতা শেখে।

তবে উপরের এই কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি ।

এই লেখা পড়ে কারো কারো হাসি আসে কি করে সেটা না বুঝতে পেরে মেজাজ এই সাত সকালে যাচ্ছেতাই রকমের খারাপ হয়ে যাচ্ছে !

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

সোমালিয়ার ঘটনা বাদ দিলেও, গড়পরতা আমেরিকানদের বাকি পৃথিবী সম্পর্কে উন্নাসিকতা, চরম মূর্খতা আর একই সাথে হাস্যকর সুপিরিয়রিটি কম্পলেক্স যে কোত্থেকে আসে, আমি জানি না। কোল্ড ওয়ার জেতার পর হয়তো অজুহাত ছিল, কিন্তু ২০১০ সালে এসে চোরের মা'র গলা এখনো অনেক বেশী বড়।

সোমালিয়ার কি হয় তার কারনে আপনাকে হেনস্থা করা, সেই রেডনেক স্টুপিডিটি-র আরেকটা বহিপ্রকাশ।

-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

যেমন আপনি সহজেই বলতে পারতেন -

আচ্ছা তোমরাই নাকি ৮০-র দশকে দুধ-কলা দিয়ে মুজাহিদীন পুষেছিলে, যেখান থেকে ওসামার আবির্ভাব?তোমরা নাকি এতো ড্রাইভ করতে পছন্দ করো, যে সেই কারনে নিজেদের নিরাপত্তা সৌদি তেলের কাছে বিক্রি করে দিয়েছো? কি গাড়ি চালাও? এস ইউ ভি নাকি প্রিয়াস? থাকো যখন টেক্সাসে, ভোট দিয়েছিলে কি রেগান আর বুশ কে? তোমাদের পেট্রলের টাকা দিয়েই নাকি আরবের সালাফি মুভমেন্টের ফান্ডিং হচ্ছে ৩০ বছর ধরে? চার্লি উইলসন যে মারা গেল গত সপ্তাহে, সেই ভদ্রলোক আফগানিস্তানে যা করেছিল, তা সম্পর্কে তোমার কি মতামত?তোমাদের ইন্ডিরেক্ট মদদেই তো ইসলামিস্টরা এত বাড় বেড়েছে, বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পরে সবার জীবন হেল করে দিচ্ছে, যার ভেতর সাধারন মুসলিমরাও পরে? ওহ আর আরেকটা কথা, গত দশকে আফ্রিকাতে এইডসের উত্তরোত্তর ছড়িয়ে পরায় তোমাদের যে কঠোর কন্ডম-বিরোধী গ্র্যান্ট পলিসি ছিল, সেই বিষয়ে মতামত কি তোমার?আর কত লাখ লোকের জীবনের ১২টা বাজালে আমেরিকানদের ভালো লাগবে বলে আন্দাজ?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দুর্দান্ত এর ছবি

চলুক
চার্লি উইলসন যে মারা গেল গত সপ্তাহে
বুইড়াটা মরসে শেষমেশ?

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

তোমার কী মনে হয় যুবায়ের? তুমি যে পয়েন্ট গুলো দিলে ওগুলো আমি বলতে পারিনা? অতটা না হলেও তার অনেক খানিই বলা কোন ব্যাপার নয়। কেন বলিনা জানো? আমি সে্যনড্রার মতো মাথা মোটা টেক্সান নই বলে। বললে খানিকটা তর্কাতর্কি, চেঁচা মেচিঁ, ঝগড়া ঝাটি হবে। ওয়ার্ক প্লেসে ট্রাবল মেকারদের কেউ রাখেনা। "সব সাদারা একই স্কুলে পড়ে, আর একই নামতা শেখে।" কথাটা লিখেছি ওদের ইউনিটি বোঝাবার জন্য। * আমি একজনকেও পেতাম না আমার পক্ষে। দোষটা পুড়োপুড়ি আমার ঘাড়ে আসতো। জুবায়ের থাকলে এমন চাকরীর মুখে লাথি মেরে চলে আসতাম। এমন আমি অনেক বারই করেছি। কিন্তু এখন তা' আমি পারিনা। এখন আমাকে অপেক্ষা করতে হয় রাইট টাইমে রাইট মুভটা দেবার জন্য। ভালো থেকো তুমি।
*যদিও আমি এখনো বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীর সব বড় বড় ঝামেলার পেছনে এই ককেশিয়ানরাই দায়ী। ওরা ঝামেলা পাকিয়ে দিয়ে দুরে বসে মজা দেখে।

--------------------------------------------------------------------------------

মামুন হক এর ছবি

*যদিও আমি এখনো বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীর সব বড় বড় ঝামেলার পেছনে এই ককেশিয়ানরাই দায়ী। ওরা ঝামেলা পাকিয়ে দিয়ে দুরে বসে মজা দেখে।

--এই কথাটা আমার ককেশিয়ান বউকে বলে পরপর দুইরাত সোফায় ঘুমাতে বাধ্য হই। তাই এখন আর আওয়াজ করে বলিনা হাসি

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমেরিকার মতো উন্নত দেশে (যেখানে অন্ততঃ শিক্ষার মান উন্নত বলেই আমি মনে করি) অফিসের কাজের পরিবেশ যে এতটা সাম্প্রদায়িক ও রেসিস্ট হতে পারে, সেসম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিলোনা।
স্টেরিওটাইপিংয়ের ঠিক কোন সীমানায় এরা চলে গেছে -- ভাবলাম কতক্ষণ!

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমি জানিনা, সব কিছুতে ষড়যন্ত্র খোঁজার নিজস্ব বদঅভ্যাসের কারণেও মনে হতে পারে, তবে আমি ভাবছি, ইদানিং আলশাবাবকে এতবেশী গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরার পেছনের উদ্দেশ্য কি সোমালিয়ায় মার্কিন-ন্যাটো বাহিনীর অনুপ্রবেশের কোন রাস্তা তৈরী করা! যেমন ওয়ার অন টেররের খাতিরে এখন আমরা সোমালিয়ায় অনুপ্রবেশ করবো -- এরকম ঘোষনার ফিল্ডওয়ার্ক এটা?
কোথাকার কোন আমেরিকান ছোকরা গিয়ে তিন-চার বছর ধরে একটা সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলছে, এদেরকে এমন ফলাও করে হাইলাইট করার কি আছে আমি বুঝিনা। আমার তো মনে হয় এর চেয়ে আমাদের দেশের জে এমবি অনেক বেশী ভয়াবহ, এবং তাই বেশী হাইলাইট (মিডিয়ার ওয়ার্লড টেররিজমকে তুলে ধরার পার্সপেক্টিভ থেকে) দাবী করে।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

দুর্দান্ত এর ছবি

আপনার কন্সপিরেসি থিওরীটায় আমার দুইটা সিকি আধুলি।

আলশাবাব কিছু পয়সা কামায় জাহাজ লুটেরাদের কাছে অস্ত্র বেইচা। এডেন/জিবুতি-জান্জিবার-দিয়েগো গার্সিয়া ত্রিভুজে আমেরিকার চোখ এড়াইয়া একটা মাছিও ওড়েনা, তাইলে জাহাজ লুট আর এই অস্ত্র বেচা বন্ধ হয় না কেন? আল আম্রিকী আর রাম্বোর মধ্যে বিশেষ পার্থক্য কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

জ্বীন ভাই আর দুর্দান্ত ভাই, অনেকটা ঠিক ধরেছেন। আমি নিজে যখন প্রথম আল শাবাবের ব্রা চেক করার ঘটনা ইন্টারনেটের খবর থেকে জানতে পারি, খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম। মোগাদিসুতে আমার নেটওয়ার্ক আছে, ওদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানলাম যে আল শাবাব মেয়েদের ব্রা পরায় নিশেধ আরোপ করেছে কারণ ওদের মতে ব্রা অনৈসলামিক। তবে সত্যি যে, ওরা যদি কোনও মেয়ের ফার্ম ব্রেষ্ট দেখে যদি সন্দেহ করে যে সেই মেয়ে ব্রা পরা তবে তাকে বক্ষ ঝাকিয়ে প্রমাণ করতে হয়েছে যে তার ব্রা পরা নেই। এখানে ইসলামিক বা অনৈসলামিক ব্রা বলে কিছুই নেই। এগুলো সবই 'উদ্দেশ্যমূলকভাবে' বানানো সংবাদ। তবে কোনও কোনও জায়গায় আল-শাবাব চেক করার ধার ধারেনি। কোন নারীর ব্রেষ্ট যদি আন্দোলিত না হয়েছে, ওরা তাকে ধরে মেরেছে। এটা সত্যি।

কিছুদিন আগে আরেকটা আজব খবর পড়লাম। আল-শাবার অনেক নারীকে বাধ্য করছে তাদের বিদেশ থেকে সহায়তা করতে আসা সৈনিকদের বিয়ে করতে। এক হতভাগা নারীর করুন কাহিনী পড়েছিলাম, তাকে যার সাথে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিলো সেই বিদেশীর সাথে তার তথাকথিত দাম্পত্যজীবনে(!) যৌনমিলন ছাড়া মুখে একটা কথাও হয়নি। আল-শাবাব যে কতোটা খারাপ তা বলে শেষ করার মতো না।

এবছরের প্রথমদিকে দেখতাম সোমালিয়ার বসাসো শহর সংলগ্ন বন্দর কাশিম নৌবন্দরের অদূরে ইউএস নেভির একটা শিপ। পাইরেসি প্রতিরোধের জন্যে ডিউটি করছে। আমাদের সোমালি সিকিউরিটি অফিসার কর্ণেল (অব.) ইউসুফ শিরে সামানতার বলে যে ওরা আসলে এসেছে যাতে করে পাইরেটরা নির্বিঘ্নে দস্যুতা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে। না হলে এখনও পাইরেসি বন্ধ হয়না কেনো। মাস তিনেক আগে আমার গেষ্ট হাউসের কুক হঠাৎ গায়েব হয়ে যায়। পরে শুনলাম যে সে ইউএস আর্মির ট্রেনিং সেন্টারে কুকের চাকরি পেয়েছে।

আর এই মাসখানেক হলো ইউএস আর্মি সোমালিয়ায় বিশাল জায়গা নিয়ে জলদস্যুতাবিরোধি কর্মকান্ডের জন্যে ঘাঁটি নির্মাণ শুরু করেছে।

সোমালিয়া একটা আজব দেশ আর আগ্রাসী শক্তিগুলো তার থেকেও আজব আজব ফর্মুলা বের করছে কিভাবে সোমালিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও পচানো যায়। আর তৈরী করছে ইসলমিক ব্রা'র মতো কাহিনী যার ১০০% ভাওতাবাজী।

রাতঃস্মরণীয়

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

......................................................................
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

বাউলিয়ানা, দুর্দান্ত, ধ্রুব বর্ণন, রেজওয়ান, বইখাতা, নন্দিনী, জ্বিনের বাদশা, অনার্য সঙ্গীত
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ আমার লেখাটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য।

--------------------------------------------------------------------------------

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ভাবী, কলিগের প্রশ্নের স্টাইল বা উদ্দেশ্যে আপত্তি আছে; কিন্তু প্রশ্নটা ভ্যালিড। অন্তর্বাসে ইসলামের ট্যাগ লাগানোর কাজটায় আমরাই আশ্চর্য হচ্ছি, আমাদের কাছেই বিষয়টা অ্যাবসার্ড মনে হচ্ছে, আপনার কলিগ যদি এটাকে অ্যাবসার্ড ভাবে এবং সেটা জানতে চায়, তাইলে তাকে দোষ দেয়া যায় না। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত সোজাসাপটা সত্য কথাটা বলে দিলেই কথা বাড়ে না, বাড়তি রিঅ্যাক্ট করলে তারাই মজা পেয়ে যায়।

সোজাসাপটা সত্য কথা বলাটা সব সময় সহজ নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পালটা কথাটা কি হতে পারতো দেখা যাক।

১) ইসলামী ট্যাগের অন্তর্বাস নাই। (এটা হলো ফ্যাক্ট)
২) ফ্যাক্টের বাইরে, ধরলাম ইসলামে আছে একটা নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক পরতে হবে। সো হোয়াট? কেউ ইসলাম মানলে সে সেই ধরনের পোশাক পরতেই পারে। এটা নিয়ে হীনমণ্যতার কিছু নেই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

১) ইসলামী ট্যাগের অন্তর্বাস নাই। (এটা হলো ফ্যাক্ট)

না বলাই এটা ফ্যাক্ট নয়। ইসলাম যদি আরবদের হয়, তাহলে তৎকালে আরব মহিলারা কী ধরনের পোষাক পড়তো? জীনি, আলাউদিনের জেসমিন আর আরব্য রজনীর আলীফ লায়লার পোষাকের কথা স্মরণ করুণ।
ইসলাম যদি আমাদের হয়। প্রাচীন কালে এদেশের মেয়েরা কাচুলী পড়তো। কাচুলী কী? অন্তর্বাস নয়?

২) ইসলামে আছে একটা নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক পরতে হবে।

কোথায় লেখা আছে কথাটা? লিং টা দেবেন? কোরআনে আছে তোমাদের স্ত্রী ও কন্যাদের চাদর দ্বারা আব্রিতো কর। কী রকম পোষাক হবে তা আমি কোথাও পাইনি। আপনি পেয়ে থাকলে আমার সাথে শেয়ার করুণ।

--------------------------------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পোস্টে কমেন্ট করবনা করবনা করেও শেষ পর্যন্ত করে ফেলছি।

যতই বড় হচ্ছি, যতই বেড়ে উঠছি, ততই কেন জানি শিশুদের ছাড়া আর কাউকেই আজকাল মানুষ মনে হচ্ছে না(নিজেকে তো আমি অমানুষই ভাবি)। মানুষ কে? মানুষ কি? সর্বোচ্চ সংখ্যককে গণায় ধরব? না সংখ্যালঘুদের? ভাল মানুষরা তো সংখ্যা লঘু প্রজাতি! তাদের দিয়ে কি পুরো মানব জাতির রূপ নির্ধারন করা উচিৎ? (এই যে আমরা বলি, মানুষের মত মানুষ হতে হবে! আমিতো দেখি বেশির ভাগ মানুষই খারাপ, কেউ বাইরে কেউ ভিতরে, )

আমার মনে হয় মনুষ্যত্ব আর পশুত্ব শব্দ দুটো অদল বদল করার সময় হয়ে আসছে। ভালো গুণ কে এখন থেকে "পাশবিকতা" আর খারাপ গুণ কে "মানবিকতা" বলা উচিৎ। পশুরাওতো মানুষ থেকে ভালো। তাই নয় কি?

আমিই তানভী |

অনিন্দ্য এর ছবি

এতো হতাশ হচ্ছেন কেন? পৃথিবীতে সব ধরনের মানুষই আছে। রবীন্দ্রনাথের কথাতা মনে রাখতে পারেনঃ
"মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।"

অথবা মাহমুদুজ্জামান বাবুর গানঃ

ভোর হয়নি,আজ হলো না,
কাল হবে কিনা তাও জানা নেই,
পরশু ভোর ঠিক আসবেই,
এই আশাবাদ তুমি ভুলো না।

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ
এই একটা কথাইতো খালি মুখস্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
কিন্তু বারবার যে ছুটে যায়?!!?

আসলে আমি অল্পতেই আশাবাদি হই, আবার অল্পতেই হতাশ হয়ে যাই। এটা হয় আমার দোষ, নয় আমার দেশের দোষ।

যা হোক, আসলে মন খারাপ করার সময়ে কেউ আশার বানী শোনালে অন্য রকম একটা অনূভুতি হয়, ভালো লাগে।
তাই আপনাকে ধন্যবাদ।

আমিই তানভী |

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আমি একজন আশাবাদী মানুষ। আপনাকেও তাই হতে বলবো। মানুষের ক্ষমতা অসীম। চাইলে মানুষ সব কিছু করতে পারে। আপনি কী চাইবেন সে বিচারের ভার আপনার।

--------------------------------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মাই ঘটক ইজ ব্যাক! দেঁতো হাসি

স্যেনড্রাকে সাইজ করতে আপনি নিজেই যথেষ্ট। আমার উৎসাহ হচ্ছে কাইল মোরিসকে নিয়ে। ভদ্রলোককে সামনে পেলে কিছু জিনিষ হাতে কলমে বুঝিয়ে দিয়ে বলতে পারতাম, "বাছা, তুমি এখনো কাঁচা। পথের এখনো রয়েছে অনেক বাকী!"

সোমালিয়ার ঘটনা শুনে এতোটা বাজেভাবে রিঅ্যাক্ট করার দরকার নাই। জগতে কিছু পাবলিক আছে, উপর হৈলে পিঠ আর চিত হৈলে পেট ছাড়া আর কিছু নাই। কেউ ধর্মের নামে চিল্লায়, কেউ অধর্মের নামে।

আল-শাবাব যে ইসলাম কয়েম করার জন্য মোগাদিশুর রাস্তায় হাতে যে সব অস্ত্র নিয়ে টহল দেয় সেগুলো তো আব-ই-জমজম কূয়ার পানি দিয়ে বানানো না। ঐগুলা কোনো খেরেস্তানেরই বানানো, অনৈসলামিক উপায়ে।

বাংলাদেশে জানি কার আমলে এমন হয়েছিলো? মহিলাদের পেটে কালো কালি লাগিয়ে দেয়া হতো "ইসলামিক উপায়ে" শাড়ি না পড়লে!

এগুলা কিছু না, সিম্পলী কিছু মস্তিষ্কবিকৃত পাগলের ছাগলামী। ভালো করে পাছার কাপড় তুলে পেয়ারা গাছের ডালা দিয়া ছপাং ছপাং করে কয়েকটা বারি মারলেই লাইনে চলে আসবে। এই কাজটা করতে হবে সোমালিয়ানদেরই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নাশতারান এর ছবি

মন্তব্য মনে ধরল।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

চমৎকার মন্তব্য চলুক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জিজ্ঞাসু এর ছবি

চলুক

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যে পাঁচ তারা

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যে পাঁচ তারা

বোহেমিয়ান

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

সরি গতবার অর্ধেক উত্তর দিয়ে পালাইছিলাম। জ্যাডা, মাফ কইরা দেওন যায না?
সচলে মনে হয় এই একখানই "আগুনের গোলা" টাইপের পোলা আছে। হে ধুসর গোধুলি আপনার খুরে নমস্কার। আমি আপনার একটা না চাইর চারটা বিয়ের ঘটকালি করবো। ইনশালাহ। ভাই বোনেরা সবাই আমিন বলেন।
তবে প্রথমটা সাদা আমেরিক্যান। ওরে আপনি বুঝায়ে দিয়েন মুসলমান পুরুষ কী চিজ। তবে গান টান ছাড়ান দিতে হবে।

--------------------------------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইটা একটা কথা বললেন ভাবী? শেষমেশ কিনা কোনো এক জনৈকা সাদাকে আমার গলায় ঝুলিয়ে (কিংবা উল্টোটা) আপনার ঘটকালির 'বউনি' করতে চান! আপনাকে পোবল দেক্কার, তেব্র মাইনাস। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

ধুগোর জন্য স্যেনড্রা জোনস্-এর নাম প্রস্তাব করলাম, আমেন হাসি

মামুন সৃজন [অতিথি] এর ছবি

কয়েকদিন আগে একটি পত্রিকার সম্পাদকীয়তে পড়েছিলাম (পত্রিকার নাম মনে নেই) তাতেও এভাবেই লেখা ছিল একজন শিক্ষিকাকে স্কুলে ক্লাস নিতে দেয়া হচ্ছে কারণ তার অপরাধ তিনি "শিক্ষিকা"; শিক্ষক নন। আরেকজন ভদ্রমহিলাকে তার স্বামীর সাথে গ্যালারীতে বসে খেলা দেখতে দেয়া হয়নি কারন তিনি "মহিলা"; পুরুষ নন। জানিনা ঠিক কত বছরে এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মধ্যে জন্মেছে আর এর পরিবর্তনের জন্যও ঠিক কত যুগ অপেক্ষা করতে হবে...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কিছু বলার নাই। ধর্মের নামে কত কী যে করা হবে...

তাসনীম এর ছবি

লজ্জিত হওয়ার মতই, মাঝে মাঝে কলিগরা শুনায়ে দেয় যে মুসলমানরা বাকী দুনিয়া থেকে ১০০ বছর পিছিয়ে আছে, এইসব খবর দেখলে সেটাই ঠিক মনে হয়।

তবে কিছু গর্দভ মুসলমানের বাড়াবাড়ি মিডিয়াতে বেশ ঘটা করেই আসে, এটাও ঠিক।

কাজে আপনার অসুবিধাটা আমি বেশ বুঝতে পারি, বিশেষত টেক্সাসের বাসিন্দা হওয়াতে আরো বেশি বুঝি।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভাবী, কী বলবো, খুব কিছু তো বলারও নাই। আমরা তো নিরাপদ দূরত্বে, আর সোমালিয়ার ঐ মেয়েদের এই অপমানের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে!

আপনার কলীগদের থোতা মুখ ভোঁতা করে দেয়ার জন্য সুবিনয়ের দেয়া পয়েন্টগুলা মনে রাখতে পারেন।

তবে -

সব সাদারা একই স্কুলে পড়ে, আর একই নামতা শেখে।
হায় হায়, এটা কেমন স্টেরিওটাইপিং হলো, ভাবী? এটা নিয়ে আপনার সাথে লওওওম্বা তর্ক করা যায়। ইসসস, আমার ধারণা সেই তর্কে মুজুদা আমার পক্ষ নিতেন দেঁতো হাসি এখনও অনেক সময়ই এরকম করে মুজুদার কথা মনে পড়ে .......

[অন্য প্রসঙ্গঃ ডালাসে দেখলাম অনেক বরফ পড়সে, আপনাদের কী অবস্থা? ডোরার বাংলাদেশে গিয়ে খুব ভাল লাগসে? অর্ণব ভালো আছে? আপনি?]

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

শত করা ৯৫ ভাগ সাদাদের সাথে তুমি একটানা সাত বছর ১২ ঘন্টা করে কাজ করে, ২৩ বছর ৯০% সাদাদের সাথে বাস করলে তোমাকে হয়ত বোঝাতে পারতাম, স্টেরিওটাইপিং কাকে বলে। তা যখন সম্ভব নয় তখন তর্ক আমি তোমার সাথে করবোনা।
তোমার মজুদা থাকলে তোমার সাথে আমার পরিচয় হতোনা কখনোই। সচল আর আমি! মাথা খারাপ!!
দেশে এতই ভালো লেগেছে যে, মেয়ে আমাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গ্যাজুয়েসনের পর ও কিছুতেই এখানে থাকবে না। আমি না যাই, কুছ পরোয়া নেই, কাকা আর কাকীর কাছে থাকবে। বাপ কা বেটি।
টেক্সাসে স্নো-- আদেকলার গাছে লাউ ধরলে যা হয় আর কী।
আছি আমরা একরকম। তুমি ও প্রমি ভালো আছো নিশ্চয়। ভালো থেকো।

--------------------------------------------------------------------------------

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হা

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

পৃথিবীর কোন ধর্মই নারীদের প্রতি সহানুভূতি দেখায় নি।
কেন জানিনা।

মন্তব্যটা পড়েই মন্তব্য করতে হল - ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্হ সবই সর্বদা পুরুষেরা বানিয়েছেন বা লিখেছেন, সুতরাং অন্যরকম কিছু আশা করাটাই ভুল হবে।

ভাবী, লেখাটা পড়ে মুখটা প্যাচার মতন হয়ে থাকল, কিছু বলার নাই।

তুলিরেখা এর ছবি

এইসব পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়। তবু লড়াই করেই যেতে হয়।
আপনার জন্য শ্রদ্ধা, আপনি লড়াই করতে পেরেছেন বলে।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হা হয়ে গেলাম!!!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রণদীপম বসু এর ছবি

উৎবচন:
'মেয়াদোত্তীর্ণ অমৃতও বিষ হয়ে যায়;
আর মেয়াদোত্তীর্ণ বিষ কী হতে পারে তার উৎকৃষ্ট নমুনা
মানুষের ব্যবহৃত ধর্ম।'

ভালো থাকবেন ভাবী, সবসময়।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

বাকী যাদের মন্তব্যের উত্তর দেওয়া হলোনা, তাদের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। আর অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়া ও আপনাদের মতামতের জন্য।

--------------------------------------------------------------------------------

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

কিছু বলার ভাষা নাই আসোলে।
স্যেন্ড্রা-কাইল-দের আর কী দোষ! মুসলিম আর ইসলাম-রা যে নিজেদের মধ্যে এইরকম পারভার্শন-রসোপাদান নাড়ে চাড়ে বড় করে!
আমি খালি মাঝে মাঝে নিরুত্তর ভাবি- ওইরকম সম্প্রদায়গতভাবে-বাস্টার্ডগুলার মাথায় কি আর কিচ্ছু নাই এক ধর-মকারি ছাড়া!

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ধর্মের মুখোশে ঢাকা বিকৃত মানসিকতার এসব পশুদের জানাই ধিক্কার !

--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

সবুজ পাহাড়ের রাজা. এর ছবি

মানুষ কত বিশ্রীভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে?

অপছন্দনীয় এর ছবি

মেজাজটাই খিঁচড়ে গেলো...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।