ফটোব্লগ - কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন

মেহদী হাসান খান এর ছবি
লিখেছেন মেহদী হাসান খান (তারিখ: শনি, ১২/০৯/২০০৯ - ৮:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি ভয়াবহ অলস মানুষ। লেখালিখিটা আমার আসে না, তাই সেটা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার দুঃসাহসও দেখাইনি। বলা যায় নীরব পাঠক হিসেবেই আছি। অরূপ ভাই আগে অনেকবার বলেছেন অন্তত ফটোব্লগ টাইপের কিছু একটা হলেও যেন করি। হিমু ভাই চেপে ধরলেন এবারে – কর ব্যাটা, করতেই হবে!

সচলের অতিথি লেখকরাই এত মুগ্ধ করে দেবার মত লেখেন, সেখানে আমি গত ক’বছর যাবত একটা মৃতপ্রায় অ্যাকাউন্ট আঁকড়ে ধরে আছি, এইটা নিয়ে নিজের ভিতরও একটা অপরাধবোধ ছিল। হিমু ভাইয়ের সৈকতে সঞ্চরণ লেখাটা পড়ার পর মনে হল - গত বছর (২০০৮ সালে) চার বন্ধু মিলে আমরাও এমন কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পদব্রজে বের হয়েছিলাম। ক্যামেরাও ছিল সাথে। এটা নিয়েইতো একটা কিছু নামিয়ে ফেলা যায়। সেই চিন্তা থেকেই এই অখাদ্য।

-------------------------------------------------------------

শুরুর কথাঃ
ঘোরাঘুরিতে আমার উৎসাহ সবসময়েই ছিল। বন্ধু-বান্ধবকে বলে রেখেছি কোথাও যাওয়ার আগে যেন একবার জিজ্ঞেস করে নেয় আমি যেতে পারব কিনা। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। ( খুব সম্ভবত) শুকনা-পটকা দেখে মারদাঙ্গা সব অ্যাডভেঞ্চারের আগে কেউই আর খবর নেয়না, চুপচাপ সটকে পড়ে। তাই শেষ পর্যন্ত বন্ধু সাকিব যখন ফোন করে জানাল তারা কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতটা হেঁটে পার হতে চায়, আমি চাইলে যেতে পারি, তখন নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না!

তখন মাত্র ক্যামেরাটা কিনেছি। কাপড়-জামা গোছানোর আগে শুরু হল ক্যামেরা গোছানো। একটা লেন্স সাথেই দিয়ে দিয়েছে। তাড়াহুড়ো করে সস্তা দামের আরেকটা পুরান লেন্স কিনলাম, এইটা দিয়ে নাকি “বোকে” ভাল আসে।

যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ভালোয় ভালোয় কমলাপুর থেকে রাতের ট্রেনটা ছাড়ার পর সবাই যখন নাক ডাকা শুরু করে দিল, তখন আবিষ্কার করলাম একা বিশাল রুকস্যাকটা কোলে জাপ্টে ধরে বসে আছি আমি।

এর ভেতর জীবনের প্রথম ক্যামেরা – জীবন গেলেও যেটা হারানো যাবে না!

সমুদ্র দেখাঃ
জীবনে প্রথম সমুদ্র দেখেছিলাম পতেঙ্গায়। ঘোলা পানি, বালিয়ারি দূরের কথা, সিমেন্টের চাইয়ের ভীড়ে বালির দেখা পাওয়া যায় না। সৈকত ঘেষে সারি সারি দোকান। (কুয়াকাটায় যাওয়ার পর অবশ্য সমুদ্রটা আর হতাশ করেনি।) কক্সবাজারে এসে সেই বিতৃষ্ণা ফেরত আসল। যেইদিকে চোখ যায় শুধু মানুষ, হকার, ডাব আর দোকান। সৈকতে ঢোকার আগেই রোভার স্কাউটদের যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলার একটা অনুরোধসূচক ব্যানার চোখে পড়ে, কিন্তু কে শোনে তার কথা! সেই বিরক্তি নিয়ে তোলা দুইটা ছবি –

Come on, our Cox's Bazar is on sale!
(১ - “Come on, our Cox's Bazar is on sale!”)

This place was clean, until you came
(২ - “This place was clean, until you came”)

হতাশাজনক হলেও সত্যি- এতবড় বীচে আমার দেখা সুন্দর দৃশ্য মনে হয় এই একটাই (পরে ফেরার সময় তোলা)-

Inside the Mind of God
(৩ – “Inside the Mind of God”)

হাঁটুরেদের গল্পঃ
পরের দিন ভোরে কিছু না খেয়েই আমাদের হাঁটা শুরু হল। লোকালয় যতই পিছনে ফেলে যাচ্ছিলাম খালি পেট নিয়েও আমাদের পায়ে যেন অসুরের বল চলে আসছিল। এত সুন্দর! এত সুন্দর!! সেই পথের একটা ছবি –

আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়...
(৪ - “আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়”। ছবিটাতে একটু অতিপ্রাকৃত ভাব আছে। HDR করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু বিদ্যেটা আমার এখনও ঠিকমত বশে আসেনি)

পথে হিমছড়ি। সেখানে নাস্তা করা হল। সেইসময় সেখানে তেমন ভাল কোন ছবি পাইনি, ফেরার পথে একটা পেয়েছিলাম। সেটাই দিয়ে দিলাম এখানে –

Contrasty Minds
(৫ – “Contrasty Minds”)

সারা দিন হেঁটে সন্ধ্যার সময় পৌছলাম ইনানী বীচ। কক্সবাজার থেকে প্রায় ৩০ কিলো দূরে। কপাল খারাপ হলে যা হয়, জোয়ার শুরু হয়ে গেছে। ইনানীর সবচেয়ে সুন্দর যেই সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা পাথর - সেটাই আর নেই। কী আর করা! মুখ খারাপ করে গালি দিতে দিতে ক্যামেরা ব্যাগে ভরে ফেললাম।

পরদিন ভোরে আবার ম্যারাথন হাঁটা শুরু। আজকে গন্তব্য আরো দূর – ৩৫ কিলো দূরে শ্যামলাপুর নামের একটা গ্রাম। সেই ভোরের আলোয় করা একটা HDR, বলতে দ্বিধা নেই, আমার সবচেয়ে পছন্দের ছবিগুলোর একটা এটা –

Sorcery
(৬ – “Sorcery”)

পথে এইটাও তুলেছিলাম, ছবির ভদ্রলোক আমারই বন্ধু নাফি –

There is only one journey -
(৭ – “There is only one journey - Going inside yourself”)

প্রথমদিনে হেঁটে কষ্টটা অনেকটা সয়ে এসেছিল। শ্যামলাপুর পৌছলাম সন্ধ্যার দিকে। পায়ের ব্যাথা নাকি বিস্ময়ে এখন মনে নেই, পা আর নড়ছিল না। এত মাছ একসাথে আমার চৌদ্দ পুরুষ কোনদিন জীবনে দেখে নাই! জায়গাটা একটা জেলে পল্লী। স্থানীয় মানুষজনের কাছে শুনলাম সারা বালিয়ারিময় ছড়ানো সেই মাছের দাম নাকি প্রায় আড়াই কোটি টাকা, শুটকির জন্য আলাদা করা মাছের কথা ছেড়েই দিলাম। আড়াই কোটি টাকার মাছ একসাথে যে না দেখেছে তাকে বোঝানো যাবে না সেটা কী হুলুস্থুল ব্যাপার!

মাছের ছবিগুলো ভাল আসেনি দেখে সেগুলো আর ফ্লিকারে আপলোড করা হয়নি। এখানে তিনটা ছবি –

Tug-of-war!
(৮ – “Tug-of-war!”)

Neither all closed eyes are sleeping, nor all open eyes can see
(৯ – “Neither all closed eyes are sleeping, nor all open eyes can see”)

Ekhane Jeebon
(১০ – “এখানে জীবন”)

সেই শ্যামলাপুরে একটা পরিত্যাক্ত শুটকীর কারখানায় ছারপোকা আর মশার সাথে শুয়ে শুয়ে যুদ্ধ করছি, এমন সময় শুনলাম যেই বালিশে মাথা রেখে আছি সেটা একজন যক্ষ্মা রোগির। আর কে ঘুমায়! সকাল হতে হতে একেজনের পা ফুলে কলাগাছ। আমি হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। এগুতে পারব, না ফিরে যেতে হবে চিন্তা করতে করতে সাকিবের উৎসাহে মুড়ির মত একগাদা প্যারাসিটামল খেয়ে হাঁটা ধরলাম – যা আছে কপালে। আজকে আর ৩০ কিলো গেলেই টেকনাফ। শেষ দেখে ছাড়ব!

ডাকাতঃ
শেষ দেখা আর হয়নি আমাদের।
একেবারে বিকালের দিকে স্থানীয় ৩ জন লোক আমরা কোথায় যাচ্ছি শুনেই পিছন পিছন আসা শুরু করল, একেবারে নির্লজ্জভাবে। আমরা থামলে তারাও থামে, আমরা হাঁটলে তারাও হাঁটে, দূরত্ব বজায় রাখে ঠিকমত। চাদর জড়ানো তিনজনই, নীচে কি থাকতে পারে সেই চিন্তাটা মাথা থেকে কেউই সরাতে পারছিলাম না। শেষ পুলিশের থানাটা ছেড়ে আসার সময় পুলিশও এই এলাকাটা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে বারবার (পুলিশের ভাষায় “ডাকাতের গ্রাম”)। সাথে টাকা পয়সা তেমন নেই, গেলে ক্যামেরাটা যাবে। আমরা আর ঝুঁকি নিলাম না। নির্জন সৈকত ছেড়ে লোকালয়ের মধ্যে দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম।

জীবনে আর কখনো যাওয়া হবে কিনা জানিনা, কিন্তু একেবারে শেষে এসে সৈকতটা ছেড়ে আসতে হল, এই দুঃখ আমাদের জীবনেও যাবেনা। আমরা কেউই নিশ্চিত ছিলাম না কাজটা ঠিক হয়েছে কিনা, কিন্তু দেখেছি আমরা সৈকত ছাড়ার পর ঐ তিনজনও আর এগোয়নি, ফিরে গেছে। না জেনে গ্রামের সরল মানুষগুলোকে সন্দেহ করাটাও পীড়াদায়ক, আমরা এই নিয়ে পরে আর কথা বাড়াইনি।

সেই লোকালয়ের মাঝ দিয়ে হেঁটে আসার সময় তোলা একটা ছবি এখানে দিলাম। এটাও আমার খুব পছন্দের একটা ছবি। আর এক সেকেন্ড দেরী হলেই মুহূর্তটা ধরতে পারতাম না, মনে হয় সেজন্যেই –

...And he finally realized, he was not alone!
(১০ - “...And he finally realized, he was not alone!” – বিপদের সময় গ্রামের অন্য মানুষগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছিলাম আমরা। একজন বয়স্ক লোক হেঁটে এসে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছিলেন সেই সন্ধ্যায়। ছবিটায় যদিও ছেলেটার একমাত্র সঙ্গী তার ছায়া, টাইটেলটা আমি সেই লোকের কথা চিন্তা করেই দিয়েছি।)

এরপরের গল্প খুব ছোট। টেকনাফ পৌছার পর আমি ছাড়া বাকিরা সেন্ট মার্টিনে চলে যায়, আমি আবার বাসে করে ফিরে আসি কক্সবাজার । আমার ৯০ জনের মত ক্লাসমেট তখন এসে পৌছেছে কক্সবাজার। সবাই একসাথে হইচই করতে করতে সেখান থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়া। হোটেলে শুয়ে বসে দিন কাটানো আর বিকাল বেলা একটু সৈকতে ঘুরাঘুরিকে আর যাই হোক অ্যাডভেঞ্চার বলা যায় না। সেটা নিয়ে তাই বকবক না করে সেন্ট মার্টিনে তোলা কয়েকটা ছবি দিয়ে দিলাম –

Friends Forever
(১১ – “Friends Forever”)

When we are hungry, Love will keep us alive
(১২ – “When we are hungry, Love will keep us alive” – ঈগলসের গান থেকে নেয়া টাইটেল)

Learning to see differently :P
(১৩ – “Learning to see differently :P”)

God made the Earth, Man imposed the Maps
(১৪ – “God made the Earth, Man imposed the Maps”)

Destined
(১৫ – “Destined”)

শেষ কথাঃ
১) বেশিরভাগ ছবির ইংরেজী শিরোনাম দেখে যদি ভ্রু কুঁচকে যায়, তাহলে আগেই বলে রাখি – ফ্লিকারে বাংলাদেশি গ্রুপগুলোর মধ্যে বাংলার প্রচলন এখনও খুব বেশি হয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বেশিরভাগের কম্পিউটারেই বাংলা পড়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। ব্যস্ত ফটোগ্রাফারদের “কী করিলে বাংলা পড়িতে পারিবেন” এই জ্ঞান দিয়ে আমি আর বিরক্ত করতে চাইনি, তারা যেভাবে পড়তে পারেন সেভাবেই আমি আমার ফটোস্ট্রীম সাজিয়ে নিয়েছি।

২) প্রতিটা ছবি ফটোশপ হয়ে তারপর বেরিয়েছে। আমি ছবি সম্পাদনাকে ফটোগ্রাফারের একটা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে দেখি, দূর্বলতা হিসেবে না। ছবি তোলা আর সম্পাদনা - দুটোই শেখার চেষ্টা করছি।

৩) কপিরাইট সংক্রান্ত যাবতীয় কথাবার্তা এখানে ফালতু হিসেবে গণ্য হবে। খবরের কাগজের নির্লজ্জ চুরি ঠ্যাকানোর জন্য জলছাপ বসিয়েছি (ব্যাটাদের দেখতে পারিনা। যদিও চুরি ঠ্যাকানো যায়নি তারপরেও)। কেউ ব্যক্তিগতভাবে/ছোট পরিষরে ব্যবহার করতে চাইলে আমার অনুমতি নেবার প্রয়োজন নেই। বড় পরিষরে/কমার্শিয়ালী ব্যবহার করলে শুধু কোথায় ব্যবহার করছেন এটা জানালেই হবে – সেই তথ্য শুধুমাত্র বন্ধু-বান্ধবের কাছে নিজের দাম বাড়াতে ব্যবহার করা হবে, এর বেশি কিছু না... হাসি


মন্তব্য

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

অসাধারণ সব ছবি এবং অসাধারণ সব ক্যাপশন ... হ্যাটস অফ ...

[অফটপিকঃ এইখানে আপনার উদ্দেশ্যে কিছু কথাবার্তা ছিল, সময় পাইলে দেখতে পারেন হাসি ]
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

মেহদী হাসান খান এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই হাসি

[অফটপিকের মন্তব্য ঠিকটপিকে করে এসেছি]

পেন্সিলে আঁকা পরী [অতিথি] এর ছবি

ছবিগুলো অসাধারণ!কোনটা ছেড়ে কোনটা রেখে বলি! হাসি

মেহদী হাসান খান এর ছবি

থাক! সবগুলোই খুশি থাক!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রেটিং দেয়ার জন্য লগিন করলাম। কয়দিন আগে ফ্লিকারে অন্য একজনকে আপনি ভেবে মেইল দিয়েছিলাম খাইছে উদ্দেশ্য ছিল নিসর্গের এই পাতায় ছবি প্রকাশের অনুমতি নেয়া। আজ পোস্টের নিচের অংশটুকু পড়ে অনুমতির তোয়াক্কা না করেই দুইটা ছবি নিয়ে নিলাম।-- ধান উড়ানো আর কক্সবাজার সৈকতের ছবি দুটো।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!
বড় রেজুলেশন প্রয়োজন হলে omicronlab[অ্যাট]জিমেইল.কম - এ একটা মেইল করলেই হবে, জলছাপ ছাড়া কপি পেয়ে যাবেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ মেহেদী। জলছাপওয়ালা ছবিই থাক, কোন সমস্যা নাই। থাকলেই বরং কেউ চুরি করতে পারবেনা।

রেনেট এর ছবি

ভাই, সচলে ফটব্লগ অনেকই আসে...আপনার ফটো দেখে মাথা বন বন করে ঘুরছে।

অসামান্য সুন্দর চলুক

আরেকটু নিয়মিত হওয়া যায় কিনা, ভেবে দেখবেন।

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মেহদী হাসান খান এর ছবি

ছবিগুলোর পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

অসাধারণ!!
দুর্দান্ত!!!
হৃদয়হরণকারী!!!

(আর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।)

প্রিয় পোস্টে নিলাম।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনের অভ্র, ফটোগ্রাফির পরে আজকে নতুন দুইটা গুনের ভক্ত হইলাম... লেখা আর ব্যানারের...
সচলে আমার দেখা সেরা ব্যানার...

যদিও আমি ডাক্তারদেরকে দুই চোখে দেখতে পারি না (এরা সব খাওন বাদ দিয়া খালি ঔষধ খাইতে কয়, আর ইঞ্জেকশন দেয়) তবু আমি আপনের বিরাট ফ্যান।
কতো বড় ফ্যান জিগাবেন? গত বছর খানেকের মধ্যে আমার যাদের সঙ্গে আলাপ কথা হইছে, তাদের ৮০% মানুষ আপনেরে বিরাট জিনিয়াস হিসাবে জানে... প্রমাণ চাইলে দিতারুম না। বিশ্বাস না করলে নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মেহদী হাসান খান এর ছবি

আহারে! এতগুলা মানুষের সাথে আমার যেদিন দেখা হবে, তারা কি পরিমাণ হতাশ হবে ভাবতেই খারাপ লাগতেছে হাসি

অফটপিক, হাত মেলান ভাই। আমি নিজেও ডাক্তারদের দুই চোখে দেখতে পারি না। হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই দেখো, ভুলে গেছে... আপনের লগে আমার দেখা হইছে তো আগে। আর আবারও দেখা হইবো, চিন্তা কইরেন না। আমি আপনেরে ছাড়ুম ভাবছেন?
তবে এইটা ঠিক, পয়লা দেখায় হতাশ হইছিলাম... আমি তো বিশ্বাসই করি নাই যে আপনে মেহেদী হাসান... আমার ধারণা ছিলো আপনে মেহেদীর নাম ভাঙ্গায়া মজা লইতাছেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মেহদী হাসান খান এর ছবি

এই দেখো, ভুলব কেন? আমরা কেউই ডাক্তার দেখতে পারি না, তারপরও দেখা হয় ডাক্তারখানায়। ফোনে দুই একবার যা কথা হয় তাও ডাক্তার নিয়ে। এই জিনিস ভুলি ক্যামনে নজরুল ভাই?

আমি তো ঐ ৮০% মানুষের জন্য দুঃখ করতেছিলাম। বেচারারা...

মামুন হক এর ছবি

আমার দেখা সচলের সেরা ছবি ব্লগ!!!

মেহদী হাসান খান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

কী ভয়াবহ সব ছবি! বিনয় ভালো জিনিস তবে এইখানে সেইটা বাড়াবাড়ি রকমের বেমানান। এই যদি আপনার "অখাদ্য" হয় তো সুখাদ্য কীরকম হবে?

এমন ছবি তুলতে পারলে ক্যাপশন ছাড়া আর কিছু না লিখলেও চলে, এবং সেটা ইংরিজি কেন সোয়াহিলিতে লিখলেও আমরা বক্তব্য বুঝে যাবো।

আর আপনার পোস্ট প্রসেসিংও জব্বর।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

চেষ্টা করলে আরো সুখাদ্য হবে সেটা তো বলিনি ভাই। অখাদ্যই হবে আবার।

ধন্যবাদ!

ফজলুল কাদের এর ছবি

ছবিগুলো আসলেই দারুণ। আরো আসুক।

তবে ব্যানার প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম যা বলেছেন সেটার সাথে একদম একমত হতে পারছি না। ছবিটি ব্যবহারের কারণ বুঝে উঠতে পারি নি। মনে হচ্ছে দুই সম্ভাব্য অপরাধীকে দেয়ালমুখো করে দাঁড় করিয়ে বডি-চেকিং করা হচ্ছে। বুঝতে না পারাটা হয়ত আমার অজ্ঞতা। কিন্তু তার পরেও কথা থেকে যায়। ব্যানারে ‘সচলায়তন’ তো চোখেই পড়ছে না। অপেক্ষাকৃত কম কাল ব্যাকগ্রাউন্ডে আরেকটু গাঢ় কালর বাক্যটিও স্বচ্ছন্দে পড়া যাচ্ছে না।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

ব্যানারের সম্পর্কে এই কনফিউশনটা আসতে পারে সেটা আগেই আন্দাজ করেছিলাম। আপনারটা সহ আরো অনেকগুলো ব্যাখ্যা ছবিটা সম্পর্কে আমি আগেই শুনেছি।

সচলের ব্যানারে এই ছবিটাকে আমি রুদ্ধতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবেই দেখি। পাহাড়সম বাধাকেও যারা ঠেলে সরিয়ে এগিয়ে যেতে চায় তাদের কে থামাবে বলেন? সচলের জন্ম থেকেই সাথে আছি। আমার মনে হয়েছে সচলের পিছনে মানুষগুলো যেন ঠিক এইরকম গোয়ার-গোবিন্দ। কি লাভ চিন্তা না করে কি করা উচিত এটা ভেবেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে। বাধা কি কম এসেছে? কিন্তু কে থামিয়ে রাখতে পেরেছে?

পারেনি। পারবেও না। এতগুলো সচল প্রাণকে দুই-একটা পাহাড় দিয়ে আটকানো যায় না, এইটা সহজ সত্য।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হায় হায়... এই ব্যানারে অপরাধী, বডি চেকিং এইসব কল্পনা করে নাকি লোকজনে? আমার তো মাথাতেই আসে নাই। আমার তো শুরু থেকাই মনে হইছে দুইটা মানুষ বিশাল কোনো পাথর সরানোর চেষ্টা করতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কুৎসিত রকম ভয়াবহ ভালো ছবি। (?)

আপনার ফেসবুক/ফ্লিকার ঘাঁটা আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা। ছবি/লেখা নিয়ে কী বলবো... অসামান্য। আরেকটু নিয়মিত লিখুন।

অভ্রর জন্য আপনাকে আরও হাজারটা ধন্যবাদ দিলেও মন ভরবে না আমার...

মেহদী হাসান খান এর ছবি

চেষ্টা করব ইশতিয়াক ভাই। অনেক ধন্যবাদ!

ভুতুম এর ছবি

অতিপ্রাকৃত! অসাধারণ!!

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মেহদী হাসান খান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!
আপনারা রাত জাগাটাই সার্থক করে দিলেন হাসি

মৃত্তিকা এর ছবি

অসাধারণ সবগুলো ছবি! শার্পনেস, ফ্রেমিং, আলো আঁধার আর রঙের খেলা---খুব ভালো তুলেছেন।
৭ নং ছবিটি কপি করে সংগ্রহে রাখতে পারি? -যদি অনুমতি দেন।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

লে বাবা! আবার অনুমতি চায় দেখি ইয়ে, মানে...

উজানগাঁ এর ছবি

টিটিএল এর আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আপনার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিলো এবং প্রথম দেখায়ই আমি আপনার ছবি বিষয়ে আমার মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলাম।

কিন্তু আপনি যে সচলে লেখেন সেটা জানা ছিল না। আপনার ছবিলেখা ভাল লেগেছে। হাসি

অফটপিক: ফ্লিকারে আপনার ছবি দেখা ইদানিং দেখা যাচ্ছে না। ঘটনা কি বলুনতো?

মেহদী হাসান খান এর ছবি

আররে শাওনদা!!!

ঘটনা কিছু না বস। ছবি নাই, তাই পোস্ট করা হয় না। গত ৩-৪ মাস ক্যামেরার চেহারা দেখি না। ঐ ব্যাটা সিলিকা জেলে নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে। ওর ঘুম ভাঙলেই ফেরত আসব।

রণদীপম বসু এর ছবি

আন-ইউজুয়্যাল থিংকস আন-ইউজুয়্যাল, ডান আন-ইউজুয়্যাল !

এখানে ধন্যবাদ বা অভিনন্দন খুব অপ্রতুল একটা শব্দ !
আপনাকে ছাড়া আমার এক মুহূর্তও চলে না, এর তুমুল প্রমাণ আমার ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগস্পটগুলো। অভ্র না থাকলে আমি কী করতাম ? ভাবতেই গায়ে জ্বর এসে যায় ! আর এখন মাথা আউলে দেয়ার মতো ছবি আর পাগল করে দেয়ার মতো যেসব ক্যাপশান দিলেন, চোরারে মনে করাইয়া দিলেন- চোরা তুই এইসব চুরি করিস না, হা হা হা !

ডাক্তার হিসেবে ট্যাবলেট আর ইঞ্জেকশানগুলা নজু ভাই'র জন্য থাক, আমাদের ছিটগ্রস্তদের জন্য মাঝে মাঝে এরকম সচল-চিকিৎসা আপনার কাছ থেকে আশা করাটা নিশ্চয়ই বড় কোন অন্যায় নয় ! অথচ আপনি দীর্ঘ-বিরতির অন্যায়গুলো করেই যাচ্ছেন কাউকে কোনো তোয়াক্কা না করেই। ভীষণ অন্যায় !

মাধবী এসেই বলে যাই- এরকম হোক, তা আর চাই না.....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

৬, ৭ আর ১০ নম্বর ছবি ক'টা দেখার জন্য বারবার ঢুঁ মারছি পোস্টটাতে। অদ্ভুত আকর্ষণ !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মেহদী হাসান খান এর ছবি

অনেক কৃতজ্ঞতা রণ'দা।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ফ্লিকারে অনেক আগে থেকেই আমি আপনার ছবির ভক্ত!হাসি
এক কথায় অসাধারণ হয়েছে

-------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে আছে, ফেইসবুক হাইলাইট এ কোনো এক এলবাম দেখে মুগ্ধ হয়ে খোঁজ নিলাম কে এই প্রতিভাবান শিল্পী?...তারপর যথারীতি বন্ধু হবার অনুরোধ। এই ছবিগুলোর পিছনের ইতিহাস জেনে ভালো লাগলো। সেদিন ইশতি বললো অভ্র ও মেহেদির অবদান। যেই কারনে আজ এতো মানুষ বাংলায় লিখতে পারছে। ধন্যবাদের ভাষা নেই।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এটাতে কমেন্ট করার জন্য লগইন করলাম।
কিন্তু মুগ্ধতা কমেন্ট করার ভাষা ভুলিয়ে দিয়েছে , তাই কিছু না বলে আবার লগআউট হলাম।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

সব কিছুই বলে দিয়েছেন বড় ভাই।
কৃতজ্ঞতা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অভ্রর জন্য ধন্যবাদ-কৃতজ্ঞতা কোনটাই যথেষ্ঠ নয়।

ছবির জন্য ধন্যবাদ দিতে গেলে আমার দীনতা ফুটে উঠবে। এর চেয়ে বলি মুগ্ধ-বিস্ময়ে হতবাক।

আপনার একটা বদ্গুণ পাওয়া গেছে, আপনি ফাঁকিবাজ - অন্ততঃ সচলে। সব সদ্গুণসম্পন্ন মানুষের এই বদ্গুণটা ঝেড়ে ফেলা যায় না?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

১০ নাম্বার ফটো ভেতরে নাড়া দিয়ে গেলো পুরা!

অফটপিকঃ আরেকদিন মাশরুম খেতে চলে আসো। হাসি

মেহদী হাসান খান এর ছবি

এনকিদু যেইদিন ডাকে ঐদিনই কেন জানি আমার মগবাজারে কাজ থাকে। কিন্তু দেখা আবার হবেই!

মামুন হক এর ছবি

ছবিগুলো এতই শক্তিশালী যে বারবার দেখার পরেও যুৎসই কোন বিশেষণ মনে আসছেনা।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

চমৎকার ছবিগুলো

মেহদী হাসান খান এর ছবি

ধন্যবাদ লীলেন ভাই

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমার প্রিয় মানুষদের একজন হাসান।
অসম্ভব ভালো লাগলো তোমার পোস্ট দেখে।

...........................
Every Picture Tells a Story

মেহদী হাসান খান এর ছবি

উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ গুরু হাসি

দময়ন্তী এর ছবি

অবিশ্বাস্য সুন্দর ছবি সব! মুগ্ধতা জানাবার ভাষা নেই৷
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তানাঈল এর ছবি

ফটোশপ রকস!

নৈষাদ এর ছবি

বাংলাদেশের চরিত্রচিত্রণ করে বিষয়-ভিত্তিক বা সাধারন ভাবে আলোকচিত্রের বেশ অনেকগুলো বই দেখেছি বাজারে/বা উপহার দেয়ার জন্য কিনেছি। (বেশির ভাগই আমাদের দেশের, তবে কিছু কিছু বিদেশী আলোকচিত্রীরও তোলা, যেমন, একটা বই ছিল রিক্সার পেছনে আঁকা ছবি নিয়ে, নামটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।) কিছু কিছু আলোকচিত্র আসাধারন মনে হয়েছে, কিছু তেমন আকর্ষন করনি আমাকে, কিছু আলোকচিত্র আমার মনে হয়েছে থাকা উচিত ছিল না।

আপনার এই অসাধারন ছবিগুলোর অনেকগুলোই সেই সব বইতে থাকা উচিত বলে মনে হয়েছে। ধন্যবাদ অসাধারন এই ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বেশির ভাগই আমাদের দেশের, তবে কিছু কিছু বিদেশী আলোকচিত্রীরও তোলা, যেমন, একটা বই ছিল রিক্সার পেছনে আঁকা ছবি নিয়ে, নামটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।

দিলেন তো ভেজাল পাকিয়ে, বইটার নাম আমারও মনে পড়ছে না। এখন খালি খচখচ করবে। বাড়িতেও নেই। অথচ আমার খুব পছন্দের একটা বই, আর সেই বইতে যে তিনজন ফটোগ্রাফারের ছবি, তার একজন তানভির ভাই, আমার খুব পছন্দের একজন ফটোগ্রাফার তিনি। উনি আবার সকাল সকাল ঘুমানোর অভ্যাসের মানুষ, নয়তো ফোন করে বইটার নাম নিতাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

"আমি লিখতে পারিনা"
"আমি ভাল ছবি তুলতে পারিনা"

ছি ছি ছি কত মিথ্যা কথা বলে !

এর পরের দিন পিঠে কুলা বাইন্ধা আসিস । মাইর আছে ।

--

আমি এক বিকালে বিচ বাইকে করে কক্সবাজার থেকে ইনানী পর্যন্ত গিয়েছিলাম সৈকত ধরে । ৪ নং ছবিটা দেখেই চিনে ফেললাম কোন জায়গাটা । এর একটু পর থেকেই সৈকতে কাঁকড়া দৌড়ান শুরু করে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মেহদী হাসান খান এর ছবি

খালি কুলাতে কুলাইবো? না ছালাও আনুম?

অতিথি লেখক এর ছবি

অই মোগলি, তোমার ঘুম তাইলে ভাংলো?

এবার গা ঝারা দাও আরো। অনেকদিন যাবত এই ফালতু, পচা, জঘন্য কিন্তু অসম্ভব অসাধারন ছবিগুলা সব দেইখা দেইখা তো চেয়ার থিকা উল্টায় পরসি বারবার। ইদানিং আবার শখ জাগসে মনে চেয়ার থিকা উলটামু। তাই ফ্লিকারে নতুন ছবি নিয়া আসো তাড়াতাড়ি। বইয়া রইসি দেখার লিগা। তয় লেখাটা কিন্তু মামা সেরাম হইসে।

এখন কও ত বন্ধু, আমি কেডা?
নাকি আমগো গান টা গাওয়া লাগব?

নির্জন স্বাক্ষর

মেহদী হাসান খান এর ছবি

গান গাও, পাসওয়ার্ড যেইটা ছিল ওইটাও কও, তারপর কাম আছে। কালকে ফোন দিমুনে...

অতিথি লেখক এর ছবি

গান ধরতাসি...

"দেখা হবে বন্ধু , কারনে আর অকারনে
দেখা হবে বন্ধু, চাপা কোন অভিমানে
দেখা হবে বন্ধু, সাময়িক বৈরিতায়
অস্থির অপারগতায় "

এবার পাসওয়ার্ড

"কা কা কা কা, আমি কাকতাড়ুয়া"

এহন কামের কথা কও...ফোন দাও...আমার ও কামের কথা আছে। নতুন ক্যামেরা কিনা একটু ফাপরে আসি। তোমার হেল্প লাগব। ৫০ এম এম, এফ/১.৮ নিয়া আমারে একটু শিখাইবা। বোকেহ আনুম। কিছু আনসি, কিন্তু নতুন এস এল আর হাতে পাইসি ত...সবকিছু এখনো বুঝিনা।
তবে মোগলি, এমনিতেও তোমার লগে বহুদিন দেখা নাই..দেখা করা দরকার। কয়দিন পরে ত কাকতাড়ুয়ার চেহারাই ভুইল্লা যাইবা।

নির্জন স্বাক্ষর

হিমু এর ছবি

৩) কপিরাইট সংক্রান্ত যাবতীয় কথাবার্তা এখানে ফালতু হিসেবে গণ্য হবে। খবরের কাগজের নির্লজ্জ চুরি ঠ্যাকানোর জন্য জলছাপ বসিয়েছি (ব্যাটাদের দেখতে পারিনা। যদিও চুরি ঠ্যাকানো যায়নি তারপরেও)।

মেহদী, মুদ্রণ মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে মেধাস্বত্ব চুরি নিয়ে একটা ব-e করবো ভাবছিলাম। আপনি এ ধরনের মিডিয়া পাইরেসির শিকার হয়ে থাকলে ঘটনাটি গুছিয়ে লিখে একটা পোস্ট দিন। এই চর্চা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মেহদী হাসান খান এর ছবি

খুব ভালো উদ্যোগ হিমু ভাই। লিখব আমি।
আপনি এখানেও বেশ কিছু তথ্য পাবেন -
http://www.flickr.com/groups/throughthelens/discuss/72157608080833298/
http://www.flickr.com/groups/throughthelens/discuss/72157614283912668/

সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটা ফেসবুক গ্রুপও খোলা হয়েছিল একসময়। দেখি ঐটা খুঁজে পাই কিনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

সাথে আমি আরেকটা লিঙ্ক যোগ করি...

http://www.flickr.com/groups/bangladeshiphotographers/discuss/72157606176328785

আমার বেলাতেও এমন হয়েছিল। এখানে আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম...

http://www.sachalayatan.com/guest_writer/image/25445

আর ফেসবুক গ্রুপের লিঙ্ক হচ্ছে এটা...

http://www.facebook.com/group.php?gid=23372521751

নির্জন স্বাক্ষর

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

কম ভালো না দেঁতো হাসি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

wow দারুন সব ছবি চলুক চলুক চলুক

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অসাধারন সব ছবি, পারেনও আপনে। আর হ্যাঁ, আপনার সাথে একমত ফটোশপে এডিট করতে পারাকে আমি আলদা যোগ্যতা হিসাবেই দেখি। আপনাকে লাল সালাম।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

জি.এম.তানিম এর ছবি

এড্রেসবারে ইংরেজি নিক দেখেই সন্দেহ হয়েছিল, আপনি অভ্রের মেহদী। অভ্রের জন্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা তাই অফটপিকে দিয়ে রাখি।
ছবির ব্যাপারে আর কি বলব? আপনার চোখ আছে, দুইটা নয়... শ'য়ে শ'য়ে। চলুক
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

এড্রেসবারে ইংরেজি নিক দেখেই সন্দেহ হয়েছিল

শুধু শুধু কাউকে সন্দেহ করা ঠিক না! খাইছে

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

এমন গুনী মানুষের পোষ্টে মন্তব্য করা আমার কাজ নয়।

সব কিছুই সুন্দর। সব কিছু।

আর অভ্রর জন্য ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না।

শ্যাজা এর ছবি
মেহদী হাসান খান এর ছবি

আলহামদুলিল্লাহর বাংলাটা মনে হয় ঠিক হয় নাই খাইছে

গৌতম এর ছবি

আমি এখন ফটোওলাদের হিংসা করি! হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মেহদী হাসান খান এর ছবি

ক্যান? তারা আগে কি দোষ করছিল? আগে হিংসা করেন নাই ক্যান?

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

খুব সুন্দর কিছু দেখলে আমার খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে! ছবিগুলো খেতে পারি?

---------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

এক বছরের পুরান জিনিস। নিজ দায়িত্বে খান।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ইয়ে মানে... ইয়ে, মানে... এভাবে ভয় দেখায়েন না! গতকাল রাতে ব্যাপক খিদা লাগিয়াছিলো! রাত গভীর বলিয়া কিছুই করিতে পারিনাই, আপনার ছবি পেটের ভিতরের হাহাকারের সাথে মনের ক্ষুধাও মিটিয়েছে বেশ! আপনাকে অভিনন্দন! দেখার চোখ অনেকেরই থাকে, কিন্তু সবাইকে দেখানোর চোখটা [লেন্স] ব্যাবহার করতে জানেনা অনেকেই!

---------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্বপ্নাহত এর ছবি

অনেক দিন ছবি দেখে এমন পাগল হইনা!

অভ্র নিয়ে আর কি বলবো ভাইজান! কিছু কিছু কৃতজ্ঞতার প্রকাশ কেবল ধন্যবাদ দিয়ে হয়না।

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

তানবীরা এর ছবি

ছয়, সাত, দশ আর চৌদ্দর জবাব নেই যদিও সব ফটোগুলোই অপূর্ব।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রানা মেহের এর ছবি

অনন্য সব ছবি
ইয়ে মানে...
আমি না এখনো ফোনেটিকে লিখি মন খারাপ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নিঘাত তিথি এর ছবি

লিখতে চেয়েছিলাম "অসাধারণ" সব ছবি। তারপরেই মনে হলো, আসলে কত সাধারণ সব বিষয়বস্তুই তো উঠে এসেছে ছবিগুলোতে, তারপরেই তারা হয়ে উঠেছে এত সুন্দর। অসাধারণ ফটোগ্রাফারকে তাই জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

অফটপিকঃ "অভ্র" নিয়ে আপনাকে কখনও "ব্যাপক" ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ হয় নি। আজ এই সুযোগে বলে নিলাম। এত বড় ঋণ সত্যি কখনও শোধ হবে না!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

s-s এর ছবি

আপনিই অভ্র? যুক্তাক্ষর লিখতে গেলে অভ্র কেন ঝামেলা করে, প্লিজ একটু টিউটোরিয়াল পাঠিয়ে দেবেন মন খারাপ?
আপনিই এই ছবি তুলেছেন? আপনি তো দেখছি একই অঙ্গে শতরূপ, ওই টিউটোরিয়ালটার সাথে প্লিজ একটু পদধূলি ও ফ্রি পাঠিয়ে দেবেন, দেখি যদি মাথায় ঘষে টষে -----

কীর্তিনাশা এর ছবি

অসাধারণ সব ছবি।

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পদব্রজে যাবার ইচ্ছা আছে, দেখা যাক সফল হয় কি না। হাসি

আর অভ্রর জন্য ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করব না। কেবল কৃতজ্ঞতা জানাই।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অমিত এর ছবি

যা বলার সবাই বলে দিয়েছে, চন্দ্রবিন্দুটাও রাখেনি আমার জন্য।
আরেকটা ফটুকব্লগ ছাড়েন, কমেন্টাই।

sada kalo এর ছবি

যে অভ্র দিয়েই কম্পিউটারে লিখছি তাকে শুধু অভ্রর জন্য ধন্যবাদ দেয়ার কোন মানে হয় না ( আমার জন্য তা বোবার ৭ই মার্চ এর ভাষন দেবার মতই দুরহ ) ।

কিন্তু ছবিগুলোর জন্য আমার এই ছেলের প্রতিটা লোমকেও হিংসা করতে ইচ্ছে করছে। উপরওলা প্রতিভা বন্টনে এত অন্যায্য কেন ?

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ
অসাধারণ
অসাধারণ
অসাধারণ
অসাধারণ
অসাধারণ

সাহাদাত উদরাজী [অতিথি] এর ছবি

আমি সব সময়ে পিছনে পড়ে যাই। ২০০৯ সালের জিনিষ গুলো ২০১০ সালে চোখে পড়লো!

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিগুলা এত অসাধারন যে বারবার দেখতে মন চায়। আহা আহা ...
--শফকত মোর্শেদ

-----------------------------------------------------------------------------------------------
সহজ কথা যায় না বলা সহজে

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

আপনি এতো "বেশিরকম ভালো" ছবি তুলেন, জানতাম না তো!
৫, ১০, আর ১৩-র আলোর খেলা অদ্ভুত লাগলো!
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

রাশিদুল হাসান তপু  এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর !!! নান্দনিক !!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।