মৃত্যুর পর তাঁকে যেন শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়, তাঁর এই শেষ ইচ্ছেটা তিনি একবারও কি উচ্চারণ করতেন, যদি জানতেন কবরের একটুকু জায়গা না পেয়ে দাফনের অপেক্ষায় তাঁর নিথর মরদেহটি পাঁচ পাঁচটি দিন হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে থাকবে ! এই জাতির কাছে তাঁর চাওয়াটা কি খুব বেশি কিছু ?
বায়ান্নতে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠি কর্তৃক বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে গড়ে তোলা একুশের তাৎক্ষণিক ও প্রথম শহীদ ...
আমাদের জীবনকালেই হয়তো সেই সময়টা আমরা দেখে যাবো, এই দেশ এই মাটি এবং আমাদেরকে রাহুমুক্ত করতে নির্দ্বিধায় জীবনটাকে বাজী রেখে যাঁরা পাহাড়ের মতো অদম্য বুকটাকে টানটান করে দাঁড়িয়েছিলেন ট্যাঙ্ক গুলি আর বন্দুকের মুখে, আমাদের প্রচণ্ড অপরাধবোধ আর তীব্র পাপবোধ থেকে রেহাই পেতে ঋণশোধ তো দূরের কথা, একটুখানি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্যেও তখন আর একজনকেও খুঁজে পাবো না আমরা ! তাঁরা আমাদের ভাই, বন্ধু,...
[ধুগো'র জন্য কয়েক ফোঁটা...]
(০১)
বালিকার নদীটাকে ছুঁবো বলে আমি
ডুব দিতে বারবার ভুল জলে নামি।
(০২)
জলের অতলে ডুবে করি জলচাষ
ওখানেও তুমি ! না কি জলের আকাশ !
(০৩)
যেখান দিয়ে হেঁটে গেছো, দৌঁড়ে খুঁজি পথ
থমকে দাঁড়াই, ভাঙছে নদী জলেরই শপথ !
(০৪)
চুম্বনের ওই গন্ধ খুঁজে নদীর কাছে যাই
নদী বলে-
তোমার মতো বোকা তো ভাই স্বপ্নপুরে নাই !
(০৫)
মৃত্যু ছিলো তোমার বুকে, নদী দিলো ঠাঁই...
প্রফেসর ইউনূসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ‘সত্তরতম জন্মদিনে প্রফেসর ইউনূস’, এই অভিন্ন শিরোনামে একটি লেখা গতকাল (২৭-০৬-২০০৬) অন্তর্জালের জনপ্রিয় দুটো ব্লগে (সচলায়তন ও সামহোয়ারইন) পর পর পোস্ট করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই কৌতুহলী ব্লগারদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় এতে। নিজ নিজ মতামত তুলে ধরে অনেকেই বিচিত্র সব মন্তব্যও করেন যার যার রুচি, বিশ্বা...
তিনি আমাদের একমাত্র নোবেল লরিয়েট। অনেক বিতর্ক তাঁকে নিয়ে। তিনিই কি এসব বিতর্কের জন্ম দেন, না কি নিজেদের কাটতি বাড়াতে মিডিয়াই এসব বিতর্কে ইস্যু তৈরির ঘৃতাহুতি দিয়ে যায়, তাও এক রহস্য বৈ কি। তবে কোন রাষ্ট্রনায়ক বা ওয়ার্ল্ড ক্লাস পারফর্মার না হয়েও অসাধারণ মেধা আর অনন্য সৃজনক্ষমতার চৌকস উপস্থাপন, অর্থনীতির ক্ল্যাসিক তত্ত্বকে উল্টে দিয়ে সৃষ্ট তত্ত্বের সাথে প্রয়োগযোগ্যতার বিস্ময়...
পাথরের গান
চোখের মুদ্রায় তুমি যতই আকাশ আঁকো
আমি জানি ওখানে সাগর ;
ভ্রান্তনীল আকাশের ফাঁদে যে পাখিরা
ঝাঁপ দেবে শূন্যতার ক্ষুধায়,
জানবে না
একে একে ডুবে যাবে ওরা।
ভেসে যাওয়া পালকের স্রোতে
ডুবুরি মাছেরা যদি জেনে যায়-
ওটা তো সাগরও নয়
জলল কল্পনায় গড়া নীল-বিভ্রম শুধু !
চোখের কোটরে রাখা নীল দুই পাথরের
প্রাণহীন চকমকি ঘষে
কী হবে আগুন জ্বেলে আর,
তুমিই পুড়বে তাতে।
মাটির জরায়ু ফুঁড়ে শি...
(০১)
ঝনঝন করে মোবাইলটা বেজে ওঠলো অসময়ে। আচমকা গভীর কাচা-ঘুম ভেঙে স্থান-কাল-পাত্র সচেতন হতে হতে কয়েক মুহূর্ত কেটে গেলো। ফোনটা বেজেই চলছে।
সকাল আটটা হয় হয়। শুক্রবার। ‘অফ ডে’-তে নরমালি দেরীতেই বিছানা ছাড়ি। মফস্বলের কর্মময় শাখা-জীবনে ‘অফিস ডে’-তে ভোর ছ’টা বা তারও আগে থেকেই গোটা দিনের ঘড়ি-ধরা যান্ত্রিক রুটিনেই অভ্যস্থ আমরা। ‘ন্যাচার অব জব’টাই এমন যে, তার ব্যত্যয় হওয়ার কোন উপায় নেই, স...
# বৃক্ষাসন(Vrikshasana):
পদ্ধতি:
প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান। এখন হাত দু’টো নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে রাখুন কিংবা নমস্কারের ভঙ্গিমায় রেখে মাথার উপরে তুলুন যেন হাত কানের সঙ্গে লেগে থাকে। এবার ডান পা উঠিয়ে বাঁ পায়ের উরুতে রাখুন। পায়ের পাতার নিচের দিকটা উরুর সঙ্গে লেগে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০সেঃ থেকে ৩০সেঃ এ অবস্থ...
রূপাবলী
ভেতরে আমার সতেরোশ’ ডাহুক ডাকে
হতে পারে শুধুই সতেরো, অথবা সতেরো হাজার-
এমন নির্জনে এলে যার কথা মনে পড়ে খুব
যে আমার কষ্টের ক্ষরণ মুছে মুছে বাড়ায় কেবল
সেই তো সে রূপাবলী...
চেনা চেনা অক্ষরে এতো যে অচেনা সে-
নাম তার রেখেছিলাম ‘রূপাবলী দে’। #
(১৯৯৬)
[কাব্যগ্রন্থ: অদৃশ্য বাতিঘর]
সময় সমাসন্ন, অথচ মেলার আয়োজক ভোলাবাবার বিশিষ্ট ভক্ত প্রখ্যাত আহমেদুর রশিদ টুটুলের কোনো পাত্তা নেই। এদিকে ভোলানাথের শিষ্যরা একে একে আসতে শুরু করেছেন। আয়োজন ভেনু শুদ্ধস্বরের সত্ত্বাধিকারী হিসেবে নিজের আসনটিসহ ওখানে আসন সংখ্যা সাকুল্যে চারটি, যা ইতোমধ্যেই দখল হয়ে আগত শিষ্যরা যার যার কারিশমা দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন। হঠাৎ ফোনে আয়োজক টুটুল নিজে উপস্থিত থাকতে পারছেন না এরকম ব্য...