সচিত্র বাংলাদেশের পুষ্পকোষ বা বাংলা ফুলশনারি - প্রাথমিক ভাবনা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: সোম, ২৭/০৪/২০০৯ - ৪:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার সাম্প্রতিক পোস্ট নীল কৃষ্ণচূড়া পড়ে হিমুর মনে পড়ে যায় যে তিনি একবার প্রকৃতিপ্রেমিককে একটি সচিত্র পুষ্পকোষ বা ফুলশনারি রচনার অনুরোধ করেছিলেন। প্রকৃতিপ্রেমিক তখন সে বিষয়ে নিজের লুপ্তস্মৃতি ফিরে পান। সেই সাথে তার এও মনে পড়ে যায় ফুলশনারির আগে একটা পাখশনারি নিয়ে তার কাজ করার কথা ছিল। তাদের দু’জনের আলাপ পাখির দিকে গেলেও হিমু ফুলশনারির আশা ছাড়েন না। একই পোস্টে স্নিগ্ধার সাথে আমার মন্তব্য-প্রতি মন্ত্যবর মাঝখানে তিনি আবার ফুলশনারির প্রসঙ্গ তুলে আমাকে প্রকৃতিপ্রেমিকের সাথে মিলে ফুলশনারি সম্পাদনার দ্বায়িত্ব নিতে বলেন। আমি বা প্রকৃতিপ্রেমিক ফুলশনারি সম্পাদনা করতে পারব কিনা সে প্রশ্ন ভিন্ন, তবে এটা হওয়া যে দরকার সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

যদি ফুলশনারি হবার ব্যাপারে আমাদের দ্বিধা না থাকে, তাহলে চলুন ফুলশনারির খুঁটিনাটি আর কাজের প্রকৃতি নিয়ে কিছু দরকারী কথা সেরে নেই।

কেমন বই চাই?

যারা বাংলা একাডেমির অভিধানগুলো দেখেছেন, তারা জানেন যে বাংলা একাডেমি যে কাজ এক অভিধানেই যা সারা যেত (বানান, উচ্চারন, অর্থ, সমার্থ ইত্যাদি) তা ভিন্ন ভিন্ন অভিধান আকারে বের করেছেন। এটা তাদের পলিসি, আমার বলার কিছু নেই। তবে একজন পাঠককে এতে একটা শব্দ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে চারটা অভিধান খুলতে হয়। ফুলশনারির মত ব্যাপারে এই বর্ধমান হাউস পদ্ধতি অনুসরণ না করলেই মনে হয় ভাল হয়। অর্থাৎ এমন একটা বই চাই যেখানে একটা ফুল সংক্রান্ত দরকারী সবগুলো তথ্য এবং ছবি থাকবে। যেহেতু এটা একটা ই-বুক হবে, তাই এর পৃষ্ঠা সংখ্যা, ছবির সংখ্যা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করবে না।

আমরা জানি, খুব বিরল ব্যতিক্রম বাদ দিলে একটা উদ্ভিদের যা নাম হয়, তার ফুল-ফলের নামও একই হয়। তাই আমরা বলি কমলা গাছ, কমলার ফুল এবং কমলা। অথবা গোলাপের চারা, গোলাপ ইত্যাদি। ফুলটা চিনতে হলে তার গাছটা, পাতাটা চেনাটাও জরুরী। নয়তো গোলাপ উঁচু বৃক্ষে ফোটে নাকি লতানো গাছে হয় এমন প্রশ্ন কিন্তু পাঠকের মনে থেকে যাবে। আবার ফুলের সাইজ, গাছের সাথে তার proportion ইত্যাদি জানা না থাকলে আগে ছবি দেখা থাকলেও ফুল চেনা যাবে না। তাই এই বিশ্বকোষটিতে ফুলের সাথে মূল, কাণ্ড, শাখা, পাতা, ফল, বীজ এগুলোকেও যদি জুড়ে দেয়া যেত তাহলে ঠিকঠাক হত। এসংক্রান্ত আমার স্বপ্নটাও তাই ছিল। আমি জানি তাতে কাজটি মোটামুটি অসম্ভব একটা ব্যাপারে পরিণত হবে। কারণ, এই ধরণের কাজের জন্য একটা গোটা প্রকল্প, কয়েক বৎসর সময়, যথেষ্ঠ অর্থ ইত্যাদি লাগবে - যার কোনটাই আমাদের নেই। তাই গাছ থেকে ফুল ছাড়া আর বাকি অঙ্গ-প্রতঙ্গ ছেঁটে ফেলা ছাড়া কোন গতি দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু তারপরও সর্বোচ্চ পরিমান তথ্য দিতে হবে যাতে বইটি পাঠকদের চোখ জুড়ানোর পাশাপাশি তাদের কাজেও লাগবে।

কী কী তথ্য চাই

ফুল সংক্রান্ত দরকারী তথ্যকে আমরা এই পর্যায়ে দু’টি ভাগে ভাগ করতে পারি। (ক) সাধারণ (খ) অঙ্গসংস্থানিক।

(ক) সাধারণ তথ্যাবলী

১. ফুলের নাম (বাংলা - ল্যাটিন - ইংরেজি)
২. প্রাপ্তিস্থান (প্রধান জেলা বা এলাকাসমূহ - মাটির প্রকৃতি - স্থানের প্রকৃতি - ছায়াযুক্ত/উন্মূক্ত/স্যাঁতস্যাঁতে)
৩. আদি উৎপত্তিস্থল
৪. প্রাপ্তিকাল (বৎসরের কোন সময়)
৫. রঙ প্রকরণ (কী কী রঙের হয় - প্রতিটি রঙের জন্য একটি ছবি থাকা আবশ্যক)
৬. আকার প্রকরণ (কী কী আকার/চেহারার হয় - প্রতিটি আকারের জন্য একটি ছবি থাকা আবশ্যক)
৭. গন্ধ (সুবাসযুক্ত, বাসহীন নাকি দুর্গন্ধযুক্ত - গন্ধের বোধযোগ্য বর্ণনা থাকা আবশ্যক - যেমন, মিষ্টি গন্ধ বললে আসলে কিছুই বোঝায় না)
৮. গাছের বিবরণ (আকার - আকৃতি - প্রকৃতি)
৯. পাতার বিবরণ (আকার - আকৃতি - প্রকৃতি)
১০. ফলের বিবরণ (আকার - আকৃতি - প্রকৃতি)
১১. জনন পদ্ধতি (বীজের মাধ্যমে, নাকি ডালের মাধ্যমে, নাকি শিকড়ের মাধ্যমে, নাকি কলম করে)
১২. প্রথম পুষ্পায়ন কাল (গাছ লাগানোর কতদিন পর প্রথম ফুল পাওয়া যাবে)
১৩. ফুলের স্থায়িত্ব (গাছে থাকলে কতদিন আর ছিঁড়লে কতদিন ফুল টিকে থাকে)
১৪. কাছাকাছি চেহারার অন্যান্য ফুল
১৫. সাবধানতা (কাঁটা, শুঁয়া/আঁশ, বিষ, স্পর্শকাতরতা, কষ/ল্যাটেক্স, কোমলতা, ফুলের নাজুকত্ব, সংলগ্ন পোকা-মাকর, প্রানী ও সরীসৃপ)

(খ) অঙ্গসংস্থানিক তথ্যাবলী (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অঙ্গসমূহের আলাদা আলাদা ছবি, রেখাচিত্র সংযোজন আবশ্যক)

১. বৃন্তের বিবরণ
২. বৃতির বিবরণ
৩. দলের বিবরণ
৪. পুংস্তবকের বিবরণ
৫. স্ত্রীস্তবকের বিবরণ
৬. উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস
৭. বিশেষ অঙ্গসংস্থানিক বৈশিষ্ট্য

তথ্যাবলীতে আরো দরকারী সব তথ্য আসতে পারে। এই মুহূর্তে আমার যেটুকু মনে পড়েছে আমি শুধু সেটুকু বললাম।

কেমন ছবি চাই?

ঢাকার রেষ্টুরেন্টগুলির সাইনবোর্ড লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অধিকাংশের সাইনবোর্ডে একটা অতিকায় রুই/ইলিশ মাছের পাশে একটা মোরগ ও একটা ছাগলের ছবি থাকে। সেখানে দেখবেন মাছের আকার হয় সবচে’ বড়, মোরগ আর ছাগলের সাইজ থাকে এক সমান। এই ছবি দেখে কেউ যদি রুই/ইলিশকে হাঙ্গর মাছের ভাই মনে করেন, বা মোরগকে ছাগলের সাইজের পাখি মনে করেন তবে তাকে দোষ দেয়া যায় না। তাই ফুলশনারির ছবিও এমন হওয়া উচিত যাতে পাঠক ছবি দেখে ফুলটি মোটামুটি চিনে নিতে পারেন। ফুলের ছবি তোলার সময় ফুলকেই টার্গেট করা উচিত। নয়তো ঢাকাই সাংবাদিকদের মত ছবি তুললে ফুলশনারির ছবিতে শুধু নারীকেই পাওয়া যাবে, ফুল আর পাওয়া যাবে না। ছবি তোলার ক্ষেত্রে ফুলের রঙ-ঔজ্জ্বল্য ইত্যাদি পরিবর্তন বা ঘষা-মাজা কাম্য নয়। আবার ছবি হতে হবে এমন অ্যাঙ্গেলে যাতে ফুলটা ঠিকঠাক মতো বোঝা যায়। একটা ফুলের ক্ষেত্রে একটা ক্লোজআপ ছবি আর একটা গাছ-ডাল-পাতাসহ ফুলের ছবি থাকাই যথেষ্ঠ।

ভূক্তিগুলো কীভাবে থাকা উচিত ?

ফুলগুলো বাংলা নামের বর্ণক্রমানুসারেই আসা উচিত। তবে একটা পরিশিষ্ট যোগ করা যেতে পারে যেখানে ইংরেজি এবং ল্যাটিন নাম থেকেও সংশ্লিষ্ট ফুলটাকে খুঁজে নেয়া যাবে। পরিবার অনুসারে ভাগ করলে তা সাধারণ পাঠকের পক্ষে বের করা কঠিন হবে।

বইয়ের সাইজ কেমন হওয়া উচিত?

এই ধরণের বই আকারে ঢাউস হওয়াই বাঞ্ছনীয়। নূন্যতম ৩৫ সেমি লম্বা ও ৩০ সেমি চওড়া হলে ছবি সুন্দর করে দেয়া যাবে। বইটি যেহেতু ছাপানো হচ্ছেনা, তাই কাগজের মাপ নিয়ে কম ভেবে ছবির কোয়ালিটির দিকে মনোযোগ দেয়াই উচিত। বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যাও সীমিত রাখার চেষ্টা না করাই ভাল।

কাজটা কীভাবে শুরু করা যায়?

প্রথমেই যা করতে হবে তা হচ্ছে ফুলগুলোর নাম যোগাড় করে ফেলা। সচল-অচল সকল কামলারা একটা নির্দিষ্ট ঠিকানায় তার জানা ফুলের নামের লিস্ট মুক্ত হস্তে পাঠাবেন। বিস্কু্টিয়াররা সেখান থেকে একটা লিস্ট বানিয়ে পাবলিকলি প্রকাশ করবেন। এতে লিস্টটা পরিবর্তন-পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা সহজ হবে। নামের লিস্ট ফাইনাল হলে প্রাপ্তিস্থান ও প্রাপ্তিকাল অনুযায়ী সেগুলোকে ভাগ করে সবাইকে জানাতে হবে। এরপর ফটুরেরা জানাবেন কে কোন ভাগের ছবি তুলতে (জমা দিতে) চান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফটুরেরা ছবি জমা দেবেন। এরমধ্যে কামলারা অন্যসব তথ্য জোগাড় করতে থাকবেন, বিস্কুটিয়াররা সেগুলো যাচাই করতে থাকবেন। কামলা আর ফটুরেদের কাজ শেষ হলে বিস্কুটিয়াররা প্রাথমিকভাবে বইটার পাণ্ডুলিপি বানিয়ে কারিগরদের দেবেন। এরপর সেখান থেকে কারিগররা বইটা বানিয়ে ফেলবেন। বই বানানো হবার পরও এতে ক্রমাগত সংশোধন ও সংযোজনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এই পর্যায়ে পরিশেষে ........

প্রথম পাণ্ডব উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ে জীববিজ্ঞান (উদ্ভিদবিদ্যা-প্রাণিবিদ্যা) পড়েন নি। তাই তার উদ্ভিদ সংক্রান্ত জ্ঞান গল্প করার মত। জীববিজ্ঞান পড়ে আসা বাকি চার পাণ্ডব যে উদ্ভিদ চেনার ক্ষেত্রে মহাপণ্ডিত এমন ভাবার কোন কারণ নেই। তাই প্রথম পাণ্ডব অজানা যে কোন উদ্ভিদ চেনার বিষয়ে একটা thumb rule বের করেছিলেন যা বাকিরা মেনে নিয়েছিলেন। যদি অজানা গাছটি বৃক্ষজাতীয় হয় তবে তার নাম হচ্ছে “নাগেশ্বর-চাঁপা”, আর অজানা গাছটি লতানো হলে তার নাম “পান”। ফুলশনারিটা এমন হোক যেন এটা পড়ার পর নতুন কোন ফুল দেখলে কারো অবস্থা পাণ্ডবদের মত না হয়।


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বিশাল উদ্যোগ।
এর নেপথ্যে বিরাট সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন। এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলা একাডেমি বা নিদেনপক্ষে কোনো বড় প্রকাশনা সংস্থার ব্যবস্থাপনার হাত না থাকলে স্বেচ্ছাশ্রমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। তবে উইকিপিডিয়া টাইপ যদি কোনো উদ্যোগ নেয়া যায়, তবে হয়তো সুফল পাওয়া যেতে পারে।

একটা সহজ উপায় হতে পারে ফেইসবুকে গ্রুপের সাহায্য নেয়া। আলাদা ওয়েবসাইট করে একটা একটা করে ফুল নিয়ে আগালে অনেক সুবিধা হতো। তথ্যের বিভ্রান্তি হয়তো অন্য পাঠকরা ধরিয়ে দিতেন।

সাধারণ মানুষের পাঠের যোগ্য করে লেখা উচিত। গভীর বৈজ্ঞানিক অতিরিক্ত তথ্যগুলো আলাদা সংরক্ষণ করে রাখা উচিত এবং কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির দরকার পড়লে তাকে সফট কপি দেয়া যেতে পারে। অথবা ই-বুকের ক্ষেত্রে বাড়তি বৈজ্ঞানিক তথ্যের একটা লিংক মূল লেখায় রেখে দিলেই হলো।

নামের বিষয়ে এক পয়সা। পাখি শব্দের খ আর ডিকশনারির ক কাছাকাছি বলে পাখশনারিতে দুই শব্দ যুক্ত হওয়ার ধ্বনিগত মজাটা পাওয়া যায়। ফুলশনারিতে এটা পাওয়া যায় না। অন্য কিছু ভাবা দরকার। বাংলা অভিধান শব্দটা ডিকশনারির চেয়ে সহজ। সেক্ষেত্রে ফুল + অভিধান করে হতে পারে ফুলভিধান বা ফুলধান। ফুলধানী শব্দটা ফুলদানীর সাথে একটা রস তৈরি করে। এরকম কিছু হলে নামটা আকর্ষণীয় হয়।

ফুলটা কত বড় তা বুঝানোর জন্য বা গাছটাকে চেনানোর জন্য প্রতি ফুলের তিনটা ছবি (একটা বড় এবং বাকী দুইটা ছোট) রাখার নিয়ম করা যায়। ছোট দুইটার একটায় সম্পূর্ণ গাছসহ ফুলটার ছবি দেয়া যায় -যেখানে উচ্চতা তুলনা করা যায় এমন কিছু ছবিতে যোগ করা যায় - যেমন মানুষ, মই, পাখি, ইত্যাদি। তৃতীয় ছবিটিতে ফুলটির ভিন্ন রং, জীবনচক্রে ভিন্ন অবস্থা এরকম কিছু ব্যতিক্রমী বিষয়ের ছবি যোগ করা যায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডবকে আগাম অভিনন্দন!!!
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ফুলধানি নামটা তো ভারী ভালো লাগছে...
ফুলের আকৃতি বোঝাতে হাত দিয়ে আলতো করে ফুলটির নিচে ডাঁটায় হাত রেখে ছবিটি তোলা যেতে পারে!
তবে আমার মতে, বড় ফাউন্ডেশনের কাছে না যাওয়াই ভালো। তাহলে বিক্রির ব্যাপারটি চলে আসে। এটি ই-বুক হিসেবে ফ্রি রাখলেই ভালো হবে বোধহয়। আমাদের মুস্তাফিজ ভাই আছেন না? তিনি তো সচল রীতিমতো! আরো অনেকেই আছেন সচল নন, কিন্তু আমাদের পরিচিত। ফুলের কথা বললে যখনই তারা আউটিংয়ে যাবেন, আগ্রহের সঙ্গে তুলে আনবেন এবং যেহেতু এটা গণমানুষের জন্য, তাই তারা কোনো পয়সা নেবেন না। ছবির নিচে স্বীকৃতি হিসেবে তাদের নাম থাকবে।
কেমন হয় ব্যাপারটা?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আমি আরো পাঁচটা নিক নিয়ে আপনাকে আরো পাঁচবার পাঁচতারা দিতে চাই।
দুরন্ত একটি প্রস্তাব। আমার মতো মহামূর্খের জন্য তো খুবই জরুরি। গ্রামেগঞ্জে কম গেছি, ফুলও কম চিনি। কিন্তু চিনতে চাই। কতদিন ভেবেছি, পার্সোনালি বিপ্রদাশ বড়ুয়া বা দ্বিজেন শর্মাকে নিয়ে বেড়াতে চলে যাব সোহরাওয়ার্দি পার্কে, গাছ চিনব, ফুল চিনব...
কিন্তু অলস মানুষের প্ল্যান মাথাতেই থেকে গেছে, আমার মতো লোকজনকে আপনারাই পারেন বাঁচাতে।
বাঁচতে হলে জানতে হবে। আপনারা আমাকে জানান।
ফাজলামি না বস... খুব চমৎকার একটা কাজ হবে। সচলায়তন থেকে এমন একটি জিনিস বেরোলে পরবর্তি চৌদ্দগুষ্টি আপনাদের নাম নেবে...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

স্নিগ্ধা এর ছবি

হ্যা, হ্যা খুবই ভালো উদ্যোগ, জনগণ তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে দিন! শেষ টেষ হলে, দেখে টেখে, আমার মূল্যবান মতামত জানাবো, তার আগে খামোখা আপনাদের বিরক্ত কর্ত্তে চাই না দেঁতো হাসি

পুনশ্চঃ
নয়তো ঢাকাই সাংবাদিকদের মত ছবি তুললে ফুলশনারির ছবিতে শুধু নারীকেই পাওয়া যাবে, ফুল আর পাওয়া যাবে না।
আপনি ছবি তোলেন না কেন? আপনার ফটোগ্রাফিক আই তো মনে হয় অর্জুনের সাথে পাল্লা দিতে পারে দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাম নিয়ে আমার ছোটখাটো কটা অবজেকশন আছে য়্যুরঅনার। ফুল বাংলা আর শনারি হলো আংরেজী। এই দুয়ে মিলে বইয়ের নাম বানালে সেটা বৈদেশিকরা মনে করবে বুঝি 'বোকাদের ঠিকুজি'!

ফুলিবিধান, পুষ্পকোষ, ফুল্যকোষ, পুষ্পবিধান, ফ্লাওশনারি- ইত্যাদি নাম দেওয়া হোক আকীকা সহকারে। তাইলে কোনো অকাট গণ্ডমূর্খ বৈদেশিক বেক্কল নাম নিয়ে নিমরাজী হতে পারবে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পুষ্পকোষ সবচেয়ে পছন্দ হলো।

মূলত পাঠক এর ছবি

ফুলশনারি নিয়ে এই কথাটা আমারও মনে হচ্ছিলো, দু ভাষার মিশেল হলে শব্দদুটো ইউনিক হওয়া দরকার, এমন শব্দ যার অন্য ভাষায় কোনো মানে নেই, যেমন ফিল্মোৎসব।

যাক নাম তো হয়ে যাবে, কাজ শুরু করাটাই আসল। শুরু হয়ে যাক শিগগির।

কীর্তিনাশা এর ছবি

দারুণ একটা উদ্যোগ! খুবই দারুণ হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রণদীপম বসু এর ছবি

খুবই চমৎকার একটা প্রস্তাব ! পাণ্ডব নামটা যথার্থই হয়েছে তা নিশ্চিৎ বলা যায় !

আহা, এবার তাহলে ফুল চেনার একটা উপায় হবে !!

যত দ্রুত উদ্যোগ নেয়া যায় ততই ভালো। কেবল খুনেরা ছাড়া বাকি সবাই যে বললেই ঝাঁপ দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অসুখ কি ছাড়লো পাণ্ডব দা' ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো এবং বিশাল উদ্যোগ। যদি কোনভাবে সহায়তা করতে পারি ধন্য হবো। তবে বলে রাখা ভালো ফুলের ব্যাপারে ভালো জানিনা। বাংলা একাডেমি থেকে জাকিউল হক (বা জাকিউল ইসলাম, নামটা মনে নেই)-এর একটা বই বেরিয়েছিল-- বাংলাদেশের ফুল। হালকা চটি বই।

হিমু এর ছবি

১.
এই প্রকল্পটিকে আর্থিক প্রণোদনা ছাড়াই সামনে এগিয়ে নেয়া যাবে যদি উৎসাহী ফোটোগ্রাফারেরা একবার কাছা মেরে মাঠে নেমে পড়েন। শুধু ফুলের নামের পেছনে তখন আর ছবি ছুটবে না, ছবির পেছনেও ফুলের নাম ছুটবে। অচেনা একটা সুন্দর ফুলের ছবি তুলে আনার পর পুষ্পবিশেষজ্ঞেরা সেটার ঠিকুজি-কুলুজি সন্ধানে নামতে পারবেন।

আর বাংলাদেশে যেভাবে ঋতুর সাথে ফুল পাল্টায়, সারা বছরই এটা ছবি তোলার জন্যে এক দারুণ বিষয় হয়ে থাকবে। পাখির ছবি তোলার জন্যে যেমন ভালো টেলিফোটো লেন্স জরুরি, ফুলের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়, ফুলগাছের মালিক খন্তা তুলে তাড়া না করলে যেমন খুশি তেমন ভাবে যখন তখন ফুলের ছবি তোলা সম্ভব।

কেবল বাংলাদেশের ফুলই নয়, আমরা সারা দুনিয়ার ফুলের ছবিই তোলা শুরু করতে পারি, কারণ ফুল ভূগোল পাল্টায় অহরহ। কাজেই সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ক্যামেরাধারী আর পুষ্পরসিকেরা যাতে এই প্রকল্পে রয়েসয়ে যোগ দিতে পারেন, সেটাও নিশ্চিত করা যায়।

২.
আমরা বইটির প্রস্তাবিত কাঠামো অর্জনের জন্যে তিনটি দশা অবলম্বন করতে পারি। প্রথম দশায় ফুল ও পাতার কয়েকটি ছবি এবং সাধারণ কিছু তথ্য যোগ করে প্রথম সংস্করণ হতে পারে। দ্বিতীয় সংস্করণে যুক্ত হতে পারে আরো কিছু ফুল এবং আরো কিছু তথ্য। তৃতীয় সংস্করণে যুক্ত হতে পারে আরো ফুল, একেবারে কষ্টিপাথরে যাচাই করা ভালো মানের ছবি, আর বিস্তারিত তথ্য।

বাংলা উইকিপিডিয়ার সহায়তা পাওয়া যাবে বলেই অনুমান করছি। নিসর্গ তো আছেই। বইটির ভেতরে প্রতিটি ভুক্তিতে যাঁরা অবদান রাখবেন তাঁদের নাম বইয়ের সংশ্লিষ্ট পাতায় যোগ করা হবে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হিমু এর ছবি

আরো একটি অনুরোধ। ফুল কিভাবে চিনতে হয়, কিভাবে তাকে বর্গ-পরিবারের ছকে ফেলতে হয়, কিভাবে পথে একটি অচেনা ফুল দেখে তার নাম খুঁজে বার করতে হয়, তা নিয়ে একটি লেখা অবশ্য অবশ্য প্রয়োজন। জীববিজ্ঞানে আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ফুরিয়েছে ১৯৯৫ সালে, আমার মতো বায়োলজিমূর্খ কিন্তু পুষ্পানুরাগীদের জন্যে এমন একটি ম্যানুয়াল জরুরি। আমি জানি, পাখির জন্যে ঠিক এমন একটি বৃহদায়তন রচনা পিপিদার পক্ষে লেখা খুবই সম্ভব, কাজেই তিনিও ওরকম একটি ম্যানুয়াল লেখায় হাত দিতে পারেন সময় পেলে, খুবই চমৎকার ও মৌলিক একটি রচনা হবে সেটি, এ ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো উদ্যোগ, আমি হয়তো কিছুটা সহায়তা করতে পারবো, আমাদের বিশাল সৌখিন ফটুরেদের গ্রুপে আবেদন রাখতে পারি ফুলের ছবির জন্য, জানা অজানা সব রকমের ফুল। যারা ফুল চেনেন তারা নাম আর বিবরন ঠিক করে দেবেন কারন ঐ কাজ আমাকে দিয়ে হবেনা।
এছাড়া গাছ চেনেন যারা তাদের সাথেও যোগাযোগ করা যেতে পারে, উনারা খুবই ভালো সোর্স হবেন দূর্লভ প্রজাতির খোঁজ দিতে। একটা উদাহারন দিই, আমি এক ভদ্রলোক কে চিনি, উনাকে নিয়ে একবার আমাদের গ্রামের বাড়ীতে যাবার সময় ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনের সামনে কোন কারনে দাঁড়াতে হয়েছিলো, সে অবস্থায় হঠাৎ উনার চোখ আটকে যায় একটা গাছে, নেমে যেয়ে কাছে থেকে দেখে ফিরে এসে বললেন এটা এক দূর্লভ প্রজাতির গাছ, আমাদের দেশীয় নয়, মজার ব্যাপার হলো একই রকম গাছ উনি আরো ২টা দেখেছেন এবং সেই দুইটাও পুলিশ লাইনে, একটা বগুড়ায় অন্যটা চট্টগ্রামে। হয়তো বৃটিশ আমলে কোন পুলিশ অফিসারের কাজ সেটা।
যাই হোক কথা বেশী বলে ফেললাম, আপনাকে ফুলের শুভেচ্ছা
Dragonfly on Flower

...........................
Every Picture Tells a Story

রাগিব এর ছবি

এইটা করার উপযুক্ত জায়গা বাংলা উইকি। কারণ এর মধ্যেই উইকিতে প্রচুর দেশী ফুলের নিবন্ধ আছে, আর ইংরেজি থেকে ট্যাক্সোনমির তথ্য সরাসরি বাংলাতে নিয়ে আসার সুযোগ আছে। তাছাড়া এখন নিবন্ধ থেকে বই বানাবার সিস্টেমও আছে।

এই ক্যাটেগরির অধীনে অনেকগুলো ফুলের নিবন্ধ এর মধ্যেই শুরু করা আছে। আপনারা ওখান থেকে কাজ শুরু করতে পারেন।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এত সুবিধা উইকিতে থাকলে তো সেখান থেকেই কাজ শুরু করা যায়। অন্যেরা কী বলেন? তবে সেক্ষেত্রে কাজ কতটা এগুবে সে আশংকা থেকেই যায়। অথবা আলাদাভাবে কাজ করে পরে উইকিতে দেয়া যায়। তবে উইকির ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহার করতে পারলে অনেক কাজই সহজে হয়ে যাবে, বিশেষ করে তথ্য সরবরাহ (ইংরেজী নাম জানা থাকলে সহজেই উইকি থেকে ডিটেইলস পাওয়া যাবে), ছবি (নিজের না থাকলে উইকি থেকে নেয়া যাবে), সবাই মিলে এডিট করার সুযোগ ইত্যাদি।

হিমু এর ছবি

হ্যাঁ, উইকিতে কাজের গতি মন্থর হয়ে যায়। বরং কাজ শেষ হবার পর উইকিতে যোগ করা অনেক সহজ।

আমরা প্রাথমিকভাবে এভাবে এগোতে পারি।

১. সচলে একটি ব-e খোলা যেতে পারে। প্রতি পাতা হবে এক একটি ফুলের ওপর।

২. ফ্লিকারের মাধ্যমে ছবি যোগ করা যাবে। এমবেড করে দিয়ে কোডটা লেখায় বা মন্তব্যে জুড়ে দিলেই হয়ে গেলো। এভাবে অগণিত সংখ্যক ফোটোগ্রাফার তাঁদের ছবি যোগ করতে পারবেন।

৩. ফুলের ওপর তথ্যের কয়েকটি ধারা (পয়েন্ট) থাকবে। সেই পয়েন্টে যা জানা আছে তা যোগ করা হবে। পরে সেসব তথ্য মূল পোস্টে যোগ করে দেয়া খুবই সহজ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমিও সেরকমই মনে করি। সচলে শুরু করলে পাবলিক খেলাচ্ছলে ছবি লেখা জমা দিবে। সবাই নতুন কিছু চায় চোখ টিপি উইকিতে ফিনিশ্ড লেখাটা দিলেই হয়ে যাবে।

তবে যাই বলেন, ফুলের ছবি তোলা যতটা সহজ, ফুলের উপর বিস্তারিত লেখাটা কিন্তু কঠিন হবে। বিশেষ করে ফুলের শ্রেণী বিন্যাস-- বাপরে বাপ, বই হাতে নিয়েও বুঝতে মাথা গরম হয়ে যায়।

রাগিব এর ছবি

একটা ব্যাপার একটু বলে রাখি, উইকিতে দিতে হলে ফিনিশড লেখাটা কিন্তু ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন + জিএফডিএল -- এরকম মুক্ত লাইসেন্সে দিতে হবে, অর্থাৎ মোটামুটি সম্প্রদান কারকে। (আগেই পরিষ্কার করে রাখতে চাই)।

এখানে লেখার কাজ শুরু করলে সমস্যা নাই, কিন্তু উইকির সার্চ র‌্যাংকিং ও অন্যান্য সুবিধার কথা খেয়াল রাখবেন, চুড়ান্ত তথ্যগুলো উইকিতে দিলে তা পাবলিকের অনেক বেশি চোখে পড়বে, আর উইকির ওয়েব/মোবাইল/ছাপা এরকম বিভিন্ন সংস্করণে ছড়িয়ে যাবে।

বিশেষ করে ফুলের শ্রেণী বিন্যাস-- বাপরে বাপ, বই হাতে নিয়েও বুঝতে মাথা গরম হয়ে যায়।

উইকিপ্রজাতি সাইটের সাহায্য নিতে পারেন
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একমত এবং অবগত। আমি আজকেই একটা লেখা উইকিতে দিয়ে দিয়েছি সার্চ ড়্যাংকিং আর প্রচারের কথা চিন্তা করেই। তারচে বড় সুবিধা হলো ইচ্ছেমত এডিট করা যাচ্ছে (অবশ্য যেকেউ তা করতে পারে এবং একজনের পরিকল্পনা অন্যজনের পছন্দ নাও হতে পারে)। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি কাজটা উইকিতে করলেই বেশী অর্গানাইজড হবে, আবার এটাও চিন্তা করি উইকিতে নিলে সচলায়তনের বিশাল লেখক-পাঠক গোষ্ঠির একটা বিরাট অংশের কন্ট্রিবিউশনকে হারানোর সম্ভাবনা আছে। যেটা ভালো হয় সেটা করলেই ভালো।

কাজটা একসাথেও করা যেতে পারে। যেমন উইকির লিস্ট ধরে শুরু করে একটু একটু করে দুই পাশেই কনটেন্ট বিল্ডআপ করা যেতে পারে। ছবির ক্ষেত্রে অনেকেরই সহায়তা পাওয়া যাবে, কিন্তু লেখার ক্ষেত্রে আসলে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হবে। সেখানে বেশি হাত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ২/৩ জনে কাজ শুরু করলে অনেকেই উদ্যোগী হবে আশা করি।

আমি যেগুলো লিখব, সেগুলা হয়তো উইকিতে শুরু করবনা, তবে একটু সম্পূর্ণ হলেই সেটা উইকিতে দিয়ে দেব। সচলায়তন সম্ভবতঃ তাতে বাধ সাজবেনা। সেই সাথে নিসর্গেও রাখবো। এটাই আমার ড্রাফট পরিকল্পনা।

সাইয়েদ জামাল এর ছবি

রাগিব ভাই, উইকিবাংলা তে যুক্তাক্ষর গুলো এমন হিজিবিজি দেখায় কেন?

রাগিব এর ছবি

এটা সম্ভবত আপনার ব্রাউজারের সমস্যা। এখান থেকে আই কমপ্লেক্স ব্যবহার করতে পারেন।
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

যুধিষ্ঠির এর ছবি

পুষ্প-বৃক্ষাদি সম্পর্কিত আমার অগাধ জ্ঞানের কথা তো বলেই ফেলেছেন। সেটি তো থাকছেই, তা ছাড়াও যে কোন রকম কায়িক পরিশ্রম দিয়ে সাহায্য করতে পারি।


কেবল বাংলাদেশের ফুলই নয়, আমরা সারা দুনিয়ার ফুলের ছবিই তোলা শুরু করতে পারি, কারণ ফুল ভূগোল পাল্টায় অহরহ।
হিমুর এই প্রস্তাবে যদি রাজি থাকেন, তাহলে আম্রিকা আর ইউরোপের আনাচে কানাচে ভ্রমনের সময় আমার স্ত্রীর তোলা অসংখ্য জানা-অজানা ফুলের ছবি আমাদের সংগ্রহে আছে - ওর এক সময় ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির ব্যাপক শখ ছিলো কি না! তার অনুমতিক্রমে সেগুলো শেয়ার করতে পারি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রস্তাবে জাঝা

দুটো গ্রুপ করা যায়। একদল ছবি তুলে তুলে দিবে, আরেকদল সেই ফুলের তথ্য যোগ করবে।
আমি চেষ্টা করবো যতো বেশি সম্ভব ফুলের ছবি তুলতে।

তবে এটাও মনে রাখা জরুরী যে ফুলের কিন্তু কোনো শেষ নাই। এক গোলাপেরই আছে হাজারটা প্রজাতি। ফুল হিসেবে পাত্তা পায়না, কিন্তু ফল হওয়ার আগে ফুলের রোশনাই কম না, এরকম ফুলও অনেক আছে।

তবে ভয় খাওনের দরকার নাই। কাজ শুরু হউক, হয়ে যাবে। আমি আছি না চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জুলফিকার কবিরজ এর ছবি

দারুন উয্যোগ। আমি আপনাদের পিছন পছিন আছি। যদিও আমার উদ্ভিদ বিদ্যার জ্ঞান ফটোগ্রাফির মতই ০-এর কোঠায়। তবে শ্রমিক হিসেবে একটু ভাল। দুই একটা কবিরাজি ছবি দিয়ে মাঝে মাঝে বেগার দিমু।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দুর্দান্ত উদ্যোগ। কিছু তো করতে পারবো না, শুধু সাধুবাদটুকু জানিয়ে গেলাম।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মাঝে মাঝে 'দুর্দান্ত' টাইপের কিছু উৎসাহব্যঞ্জক কথাবার্তা বললেই হবে হাসি

সচল জাহিদ এর ছবি

চমৎকার উদ্যোগ। আমি দেশে নাই তাই ছবি তুলার দায়িত্ব নিতে পারবনা তবে বই ঘেটে তথ্য সংগ্রহ করে লেখালেখির দায়িত্ব নিতে রাজী।এই অসাধারন উদ্যোগে নিজেকে শামিল করতে পারলে ভাগ্যবান মনে করব।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তানবীরা এর ছবি

আমি হয়তো কিছুই করতে পারবো না কিন্তু করার কিছু থাকলে করতে চাইইইইইই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

টিউলিপের ছবিগুলো বৈজ্ঞানিক বিবরণসহ পাঠিয়ে দিন। চোখ টিপি
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তানবীরা এর ছবি

বৈজ্ঞানিক নাহোক কিন্তু বিবরন পাঠাতে পারব। ইহা একটি টিউলিপ, এর পাঁচটি পাপড়ি আছে, শোনা যায় ওলন্দাজ জলদস্যুরা কোন দেশ থেকে এটিকে চুরি করে এনে এখন নিজেরা হাজার মিলিয়নের ব্যবসা ফেদে বসেছে ...............।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মামুন হক এর ছবি

ভালো উদ্যোগ । সঙ্গে আছি। করা সম্ভব-খুবই সম্ভব। তবে বেবী স্টেপস দিয়া শুরু করলে মনে হয় ভালো হবে। বিদেশি ফুলের পেছনে ছোটার আগে দেশি ফুলের লিস্টিটা বানানো দরকার। খুব বেশী লোকজনকে জড়ানোর দরকার নাই , আল্লাহর নাম নিয়া শুরু করেন , হয়ে যাবে , নজ্রুল ভাই আছেনা!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই পর্যন্ত যারা যারা এই লেখাটি পড়েছেন এবং যারা পড়ে মন্তব্য করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গঃ উদ্যোগটির নাম

ফুলশনারি নামটি হিমুর মন্তব্য-পরামর্শ থেকে নেয়া। এখানে বিশেষ ভাবনা-চিন্তা কাজ করেনি। নতুন কোন শব্দ আবিষ্কার করার চেয়ে “পুষ্পকোষ” বা “ফুলাভিধান” বা “পুষ্পাভিধান” নামগুলোর কোন একটা ব্যবহার করাই ঠিক হবে বলে মনে হয়। এতে যে কোন ধরণের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে বলে মনে করি।

প্রসঙ্গঃ উদ্যোগে বাইরের সহায়তা

এই উদ্যোগ কেন, এই ধরণের যে কোন উদ্যোগে ছোট-বড় কোন সংস্থা বা সদাশয় সরকারের সহায়তা নেবার ঘোরতর বিরোধী আমি। বিগ সি’র এই ধরণের প্রস্তাবে আন্তরিকতাটুকু টের পাওয়া যায়, তবে তিনি এর বিপদের কথা সম্ভবতঃ ভাবেন নি। এর জন্যই আমি আমার স্বপ্নের গাছ থেকে বাকিসব অঙ্গ ছেঁটে ফেলে শুধু ফুলে এসে ঠেকেছি। একটা বহুজাতিক ব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশের মোগল স্থাপত্যর উপর একটা ভালো বই বের হয়েছে। তবে সেই বই আমার মত মানুষরা ছুঁয়েও দেখতে পারেনি। ধনী মানুষের ড্রইং রুম বা স্টাডি সাজানোর জন্য কোন বই বের করার কাজে আমি নেই। আমি এমন উদ্যোগের সাথে থাকতে চাই যারা বিনি পয়সায় বা মুক্তধারার মত স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায় এমন বই লিখবে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের জন্য, বই বানাবে, ডিভিডি বানাবে, ওয়েবসাইট বানাবে।

প্রসঙ্গঃ উইকি-নিসর্গ

আমার মনে হয় আমাদের পক্ষে যেভাবে যতটুকু করা সম্ভব সেভাবে বইটার কাজ শুরু করা উচিত। একটা প্রচলিত প্রবাদ হচ্ছে “ক্ষেতে নামলে বুঝবা কৃষানের ভাও”। অর্থাৎ কাজ একবার শুরু করলে তখন বোঝা যাবে সীমাবদ্ধতাগুলো কী এবং তা কীভাবে অতিক্রম করতে হবে। মোটামুটি একটা কিছু দাঁড়ালে পরে তা সবার জন্য উন্মূক্ত করে দিতে হবে। উইকি তখন সেটাকে নিজের মত করে সাজিয়ে-গুছিয়ে নিতে পারে। আশা করি রাগিব আর তার সহযোগীরা সে’কাজটি ভালভাবেই পারবে। একই কথা নিসর্গ বা এ’ধরণের সব সাইটের জন্য প্রযোজ্য। এমনকি দিন শেষে ই-বুকের পাশাপাশি আমরা এটা নিয়ে একটা আলাদা ওয়েবসাইটের কথাও ভাবতে পারি। তবে সে’চিন্তা আপাততঃ স্থগিত রাখাই মঙ্গল। শুধু খেয়াল রাখতে হবে আমাদের পরিশ্রমের ফসল দিয়ে মতি মিয়াদের মত কেউ যেন ব্যবসা করতে না পারে।

প্রসঙ্গঃ তথ্য সংগ্রহ-জমা-সম্পাদনা

প্রাথমিক পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সচলে সাধারণ নোটিশ দেয়া, ফেসবুকে-ইয়াহুতে গ্রুপ গঠণ করে আহবান জানানো, ভুত-থেকে-ভুতে ই-মেইল পাঠানো (কাউকে বিরক্ত না করে), পরিচিত যারা এ’বিষয়ে জানেন বা ছবি তোলেন তাদের সাথে নাছোড়বান্দা হয়ে লেগে থেকে তথ্য-ছবি সংগ্রহ করতে হবে। কিভাবে কোথায় তথ্য-ছবি রাখলে তা নিরাপদ থাকবে সে ভার মুর্শেদ-আলমগীর-শামীম বা এ’ধরণের কারিগর লোকদের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত। সম্পাদকেরা সময় সময় তাদের কাছ থেকে তথ্য-ছবি নিয়ে বই লেখার কাজ আগিয়ে রাখবেন। তবে লেখার জন্য এক গ্রুপ স্টাফ লেখক থাকা ভাল। কারণ, মোট লেখার পরিমান বিপুল। এবং এখানে তথ্যগত ভুল করার সুযোগ নেই। এ’কথা অবশ্যই ঠিক যে নাম থেকেই শুধু ছবি যোগাড় হবে না, ছবি থেকেও নাম বের হয়ে আসবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে ব্যাপারটা যেন সম্পাদকদের জন্য riddle সমাধাণ করার মত হয়ে না যায়। এতে কাজের গতি শ্লথ হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গঃ ভূক্তির চেহারা

তিনটি ছবি সংক্রান্ত বিগ সি’র প্রস্তাব গ্রহনযোগ্য। প্রকৃত আকার বোঝানোর জন্য পাশে স্কেল ব্যবহার করাই উত্তম। যথেষ্ঠ তথ্য থাকতে হবে তা ঠিক, তবে তা ভাগ ভাগ করে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে সাধারণ পাঠক বুঝতে পারবেন তিনি কতটুকু পড়বেন আর কোথায় স্ক্রল ডাউন করে পরের ভূক্তিতে চলে যাবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে উপস্থাপনা যেন পাঠ্যপুস্তকের মত নিরস বা ঢাকাই ক্রীড়া সাংবাদিকদের বর্ণনার মত স্যুররিয়ালিস্টিক না হয়। ছবির অবস্থান, পাতার আকার, ফন্টের চেহারা, রঙের ব্যবহার এ’সব দিক টুটুল ভাই (আহমেদুর রশীদ)-লীলেনদা’র মত প্রকাশনা বিশেষজ্ঞদের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত।

প্রসঙ্গঃ ছবি তোলা

আমি আগেই বলেছি প্রাপ্তিকাল ও প্রাপ্তিস্থান অনুযায়ী ফুলগুলোকে গ্রুপে ভাগ করে ফেলতে হবে। তাহলে ফটুরেরা বলতে পারবেন কে কোন গ্রুপ নিয়ে কাজ করবেন। এক কাজ একাধিক গ্রুপের করার দরকার নেই। ছবির চেহারা কেমন হবে তার একটা সচিত্র উদাহরণ দিয়ে মুস্তাফিজ ভাই-অরূপ-পিপি এমন কেউ বুঝিয়ে দেবেন। যেন সবাই ছবি তোলার সময় সেই নীতিটা অনুসরণ করতে পারেন। স্টুডেন্ট-আধা বেকার-পূর্ণ বেকার-ছুটিতে থাকা সচল যারা আছেন তারা গ্রুপ ফর্ম করে ছবি তুলতে নেমে পড়তে পারেন। ফটুরে যারা আছেন তাদের পিছনে লেগে থেকে, তাদের অবসর সময়ে হানা দিয়ে তাদের মাথা খারাপ করে ফেলতে পারেন। এতে কাজ যাই হোক না কেন, নিয়মিত সচলাড্ডার স্বাদ ছাড়াও আরো একটা অভিজ্ঞতা পাবেন সেটা যারা স্কাঊট-গার্লস গাইড-এনসিসি জাতীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তারা বুঝবেন।

প্রসঙ্গঃ এক্সপার্ট ওপিনিয়ন

প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ যোগাড় হলেই বের হয়ে আসবে কোন কোন বিষয়ে দ্বিধা-বিতর্ক আছে। তখন প্রয়োজনে দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হওয়া যাবে। তবে এই ধরণের বইয়ের চেহারা কেমন হয়, ছবি কীভাবে দেয়, কী কী তথ্য দেয় সে সব জানা একটু দরকার। যাদের কাছে এই ধরণের বই আছে, বা যাদের বড় ধরণের লাইব্রেরী ব্যবহার করার সুযোগ আছে এ’ব্যাপারে তাদের সাহায্য চাইছি। এই যেমন ধরুন স্নিগ্ধা আলী, ইশতিয়াক রউফ, রিপন (সচল জাহিদ) এদের মত যাদের ছাত্রত্ব এখনো শেষ হয়নি তাদের পক্ষে literature review করা সহজ হবার কথা।

প্রসঙ্গঃ আমি কী জানি

রণ’দা, মৃদুল এমন অনেকের ধারণা তারা ফুল চেনেন না, গাছ চেনেন না। এই ধারণাটা একেবারেই ভুল। একবার কাজে নামুন, দেখতে পাবেন আপনি কত কিছু জানেন। ফুল কীভাবে চিনতে হয় সে সংক্রান্ত একটা সহজ ম্যানুয়াল ধরণের লেখা দেবার চেষ্টা করবো আরো পরে। তাহলে আপনারাও পরিচিত ফুলগুলোকে যেমন দলভূক্ত করতে পারবেন আবার অজানা ফুলগুলোও কোনটা কোন দলের হবে তা বুঝতে পারবেন। মুস্তাফিজ ভাই যেভাবে বিরল প্রজাতির গাছ বের করার কথা বলেছেন সেভাবে পরিচিতদের সাথে এ’নিয়ে গল্প করুন দেখবেন আপনিও অনেক বিরল প্রজাতির গাছের সন্ধান পেয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গঃ কোথা থেকে ফুলের নাম পাবো

এ’সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রকাশনাগুলো হচ্ছে দ্বিজেন শর্মার শ্যামলী নিসর্গ, ফুলগুলো যেন কথা, বাংলা একাডেমি ও শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের ফুল, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের বই। এর বাইরেও বিচ্ছিন্ন কিছু উদ্যোগ মাঝে মাঝে চোখে পড়েছে তবে তা অনুল্লেখযোগ্য। পাঠ্যপুস্তকের ক্ষেত্রে ডঃ আবুল হাসান এবং নটরডেমের সাবেক অধ্যাপক অমরেন্দ্র নাথের বই সবচে’ উত্তম। পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশনার ব্যাপারে সেখানকার অধিবাসী সচলেরা ভালো বলতে পারবেন। তবে যে যেই বই-ই যোগাড় করুন না কেন, তিনি সেই বই নিয়ে কাজ শুরু করলে আগেভাগে ঘোষনা দেবেন যেন আরেকজন একই বই নিয়ে কাজ করা শুরু না করেন।

প্রসঙ্গঃ রমনা-বলধা-কার্জন হল আর অন্য বাগানেরা

ঢাকার সচলদের অনুরোধ করছি দল বেঁধে এই রমনা, বলধা আর কার্জন হল প্রতিটির জন্য কমপক্ষে চার দিন করে সময় দিন। গার্ডেন সিটি বগুড়ার সচলেরা শহরের পার্কগুলো চষে ফেলুন। এমন করে দেশের যে যেখানে আছেন সেখানকার বাগান-নার্সারী-শৌখিন মানুষের ভিলা এ’সব চষে ফেলুন। গৌতম-এনকিদু এমন যাদের পায়ের তলায় সর্ষে আছে তারা ঘর থেকে বের হবার সময় ক্যামেরাটা সাথে নিন। নিজের কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু ফুলের (গাছে ফোটে এমন) খোঁজ করুন। আর শুধু দেশে কেন? দেশের বাইরের বিরাট সংখ্যক সচলেরা যে যেখানেই থাকুন বাংলাদেশেও মেলে এমন গাছ-ফুল পেলে ঝটাপট ছবি তুলে ফেলুন। এক ফুলের বারো রকম চেহারা তের রকম রঙ? কুছ পরোয়া নেই। সবার মূল্য আমাদের কাছে সমান। সবাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করে পাঠিয়ে দিন।

প্রসঙ্গঃ যার যা আছে দিয়ে দিন

হ্যাঁ, আপনার কাছে দেবার মত ছবি, তথ্য যা কিছু আছে নির্দ্বিধায় দিয়ে দিন। যুধিষ্ঠির-জায়ার মত দ্বিধা করার দরকার নেই। আপনার নাম বইয়ে উল্লেখ না করতে চাইলে তা আগেই বলে দিন। আর নিজের নাম দেখতে চাইলে তা কীভাবে দেখতে চান তাও বলে দিন। কোথায় কীভাবে দেবেন তা শীঘ্রই আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গঃ কাজের ধারা

এই পর্যায়ে এক দল নাম যোগাড়ে লেগে যান আর আরেক দল ছবি যোগাড়ে লেগে যান। ই-বুক কীভাবে খুলতে হয় তা কেউ দয়া করে আমাকে বুঝিয়ে দিন। তাহলে আমি ই-বুকটা খুলে বাংলা বর্ণক্রমানুসারে নাম লেখার কাজটা শুরু করে দিতে পারি। এরপর হিমুর পরামর্শ অনুযায়ী কাজের ধারা হবে এমন (সময়ক্রমানুসারে)-

১. নাম লিখে ফেলা ও প্রাথমিক পর্যায়ের ছবি সংগ্রহ (সময় ৬০ দিন)
২. নাম অনুযায়ী ছবি সাজিয়ে ফেলা (সময় ১৫ দিন)
৩. অ্যালবাম ধরণের প্রথম বইটি বের করে ফেলা (সময় ১৫ দিন)
৪. বইয়ে তথ্য যোগ করা, ছবি পরিবর্তন করা, শ্রেণিবিন্যাস করা, দ্বিতীয় পর্যায়ের বইটি বের করা (সময় ৬০ দিন)
৫. তথ্য যাচাই, ছবি যাচাই, কারিগরী ত্রুটি দূর করা (সময় ৩০ দিন)
৬. তৃতীয় পর্যায়ের বইটি বের করা (সময় ১৫ দিন)

এমন হলে শ্রমিক দিবস (১লা মে, ২০০৯) থেকে কাজ শুরু করে বিজয় দিবসে (১৬ই ডিসেম্বর, ২০০৯) আমরা কাজটি মোটামুটি শেষ করতে পারবো।

সবার মতামত-পরামর্শ চাইছি। সুনির্দিষ্ট ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট মতামত দিন। দ্বিমত থাকলে নির্দ্বিধায় প্রকাশ করুন। আমাদের আলোচনাই আমাদেরকে সঠিক পথ দেখাবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মূলত পাঠক এর ছবি

অসাধারণ পরিকল্পনা। বাহবা জানিয়ে শুরু করছি।

ছবি কোথায় পাঠাতে হবে সে মেইল আই ডি দিলেই জনতা পাঠানো শুরু করবে, কাজেই ওটা দিয়েই শুরু হয়ে যাক না!

পশ্চিমবঙ্গের বইয়ের ব্যাপারে বলি, ভিক্ষু বুদ্ধদেবের বইগুলো ভালো, আমার জানার মধ্যে। ভদ্রলোক হর্টিকালচার-বিশেষজ্ঞ। বইগুলো তেমন দামী নয়, আর কিছু রঙিন ও সাদাকালো ফোটো থাকায় বেশ কাজে লাগে।

সচল জাহিদ এর ছবি

কোন কোন ফুলের বর্ননা লিখতে হবে তা আমাদের ভাগ করে করে দিলে কাজটা সহজ হবে। এককালে জীববিজ্ঞান খুব পছন্দের বিষয় ছিল বিশেষত নটরডেমের গাজী আজমল স্যার আর বণিক স্যারের কাছ থেকে এই বিষয়ের উপর ব্যাপক আগ্রহ জেগেছিল। আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ইফতেখার এর ছবি

ইস!!!!! এইরকম একটা স্বপ্ন কত দেখেছি, যদি আমার একটা ডিজিটাল ক্যামেরা থাকত, নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গাছের ছবি তুলতাম। আজ ক্যামেরা আছে, আমি দেশে নাই। সর্বোচ্চ শুভকামনা রইল। গাছপালা বিষয়ে আমার পড়াশুনা আছে, এর সাথে থাকতে পারলে অত্যন্ত গর্ববোধ করব।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বাইচের নৌকায় একজন করে উত্সাহদাতা থাকে। অন্য কোনও কাজ আমাকে দিয়ে হবে না বলে সেই ভূমিকাটি আমি পালন করতে চাই হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রণদীপম বসু এর ছবি

মূর্খতা ঢাকার জন্য দ্বিজেন শর্মা'র 'শ্যামলী নিসর্গ' বইটা এবারই বইমেলায় বাংলা একাডেমী'র বিক্রয় কেন্দ্র থেকে এনেছি। এক লাইন পড়ারও সময় করে ওঠতে পারি নি এখনো। অর্থাৎ এখনো মূর্খ অবস্থায় আছি। সে যাক্ ! ২মেঃ পিঃ মোবাইল ক্যামে ফুলের ছবি ওঠাতে গিয়ে মশকারি হয়ে যাবে না তো ? জানি না। তবে তা হলেও এখন থেকে সুযোগ পেলে মশকারিই শুরু করবো।
কিছু না করার চেয়ে পাগলামীটাও একটা কাজ বৈ কি ! না হয় পাগলই হলাম ! কাম না পারলেও আকাম করতেও পাণ্ডব-বাহিনীতে আছি.....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শ্যামলী নিসর্গের রিপ্রিন্ট বেরিয়েছে নাকি?

রণদীপম বসু এর ছবি

এইটা প্রথম পূনর্মুদ্রণ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমি ফুল এবঙ গাছ দুইয়ের বিষয়েই মূর্খ। আরোও মূর্খতা আছে মাছ টাছ নিয়ে ... যাক সেকথা। এই জিনিস তৈরি হলে আমার বিশাল উপকার হবে।

আমার স্ত্রী ফুলের প্রচুর ছবি তুলেছেন, দেখলেই মনটা স্নিগ্ধ হয়ে যায়, সেগুলোর কিছু কাজে আসলে সে বর্তে যাবে সন্দেহ নাই .. লাগলে বলবেন।

তার তোলা অধিকাংশ ফুলই বিদেশী, তবে দেশীও আছে অনেক, ও ফুল দেখামাত্র সেটার নামও বলে দেয়, এটা কিভাবে সম্ভব আমি জানি না। আমি তো নিজের আত্মীয়স্বজনদের-ই অনেকের নাম বলতে পারি না, ফুল পর্যন্ত আসতে সময় লেগে যাবে, সন্দেহ নাই!

যাহোক কোনওভাবে যদি সহায়তা করা যায়, তাইলে বলবেন।

___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ফুলশনারি/ পাখশনারি দারুন আইডিয়া! হাসি
নিজে যদিও ফুল, পাখি ও ফটোগ্রাফি বিষয়ে একেবারে অজ্ঞ...তার পরেও উদ্যোগটি অসাধারণ!! চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ইমরুল কায়েস এর ছবি

অসাধারণ পরিকল্পনা।
......................................................
পতিত হাওয়া

থার্ড আই এর ছবি

আইডিয়া অন্যন্য। ফুলশনারি নামে সমর্থন দিলাম।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।