পাণ্ডবের চীন দর্শন-১০

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: রবি, ১৪/০৩/২০১০ - ৬:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়

আমরা গাড়ি করে যাচ্ছি। সাপের মত আঁকা-বাঁকা অথচ মসৃন সরু রাস্তা। পথের একপাশে ঝোপঝাড়ে ভরা নিচু জমি, তারপর জলাশয়। জলাশয় বললাম এই জন্য যে সেটা হ্রদ হতে পারে, নদী হতে পারে আবার মূলভূখণ্ডের গভীরে ঢুকে যাওয়া সাগরের খাঁড়ি হতে পারে। কোনটা ঠিক তা আমার জানার কথা নয়। চীনা সহকর্মীকে জিজ্ঞেস করে বিশেষ লাভ হলনা। তিনি সবগুলোতেই সায় দিলেন। কারণ, আমার প্রশ্ন ত...বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়

[justify]আমরা গাড়ি করে যাচ্ছি। সাপের মত আঁকা-বাঁকা অথচ মসৃন সরু রাস্তা। পথের একপাশে ঝোপঝাড়ে ভরা নিচু জমি, তারপর জলাশয়। জলাশয় বললাম এই জন্য যে সেটা হ্রদ হতে পারে, নদী হতে পারে আবার মূলভূখণ্ডের গভীরে ঢুকে যাওয়া সাগরের খাঁড়ি হতে পারে। কোনটা ঠিক তা আমার জানার কথা নয়। চীনা সহকর্মীকে জিজ্ঞেস করে বিশেষ লাভ হলনা। তিনি সবগুলোতেই সায় দিলেন। কারণ, আমার প্রশ্ন তিনি ঠিকমত বোঝেননি অথবা তার উত্তর আমি বুঝিনি। জলাশয়ের পানি শান্ত, কোন জলযান চোখে পড়ছেনা। পথের আরেক ধার ঘেঁষে খাঁড়া, কালো পাথরের দেয়াল উঠে গেছে পাহাড়ের গা বেয়ে। পাহাড়ের উচ্চতা চার-পাঁচশ মিটারের মত। পাথরের দেয়াল একটানা নয়, তবে তিয়ানতাই পর্বতমালার অংশ এই পাহাড়ের সারি দিগন্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। মাঝে মাঝে এক একটা পাহাড়ে বা পর পর তিন-চারটা পাহাড় জুড়ে দেখা যায় পাথুরে এপিটাফে আগা-গোড়া ভর্তি। এবার প্রশ্ন করে নিশ্চিত জানা গেল যে ঐ পাহাড়গুলো কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

পাহাড়ের অমন খাঁড়া ঢালুতে কবর দেয়াটা সহজ ব্যাপার নয়। তবে কবরের সাইজ দেখে বোঝা যায় লাশ খাঁড়া করে অথবা বসানোর মত করে লাশ রাখা হয়েছে। বুঝলাম চীনের ঐ অঞ্চলে কবর দেয়া মানে অন্তিম শয্যায় শয়ান নয় - অন্তিম যাত্রায় দাঁড়ানো অথবা অন্তিম অপেক্ষায় বসা। অবশ্য গোটা চীন জুড়ে এত জাতি-ধর্মের লোক বাস করে যে সেখানে অন্তিম যাত্রার জন্য একটি পদ্ধতি থাকা সম্ভব নয়। বিভিন্ন কায়দায় কবর দেয়া থেকে শুরু করে পোড়ানো, পুড়িয়ে ছাই সংরক্ষণ, কেটে টুকরো টুকরো করে পাখিদের খাওয়ানো, পানিতে ডুবিয়ে দেয়া সবই আছে। এখন অবশ্য স্থানসংকট কাটানোর জন্য পোড়ানো বা পুড়িয়ে ছাই সংরক্ষণ পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করে তোলা হচ্ছে। এতে যে বিশেষ কাজ হচ্ছে তাওনা। যেমন, শিঝ্যাঙের অনেকেই বিশ্বাস করেন মারা যাবার পর কেবল দুরাচারকেই পোড়ানো উচিত। আর ভালো মানুষদের দেহ পাখিকে খাওয়ানো বা নদীতে ডুবিয়ে দেয়াই উত্তম যেন মাছের খাবার হতে পারে। উত্তরের লিয়াওনিঙের কিছু মানুষ আবার এককাঠি উপরে। তারা বড় গাছের কোটরে লাশ রেখে দেয়। এই গাছটাই কবর, মন্দির বা tombstone। এক একটা গাছে অনেকজনকে কবরস্থ করা হয়। আবার কোথাও কোথাও মাটির গভীরে কবর দিয়ে তার উপর গাছ লাগিয়ে দেবার প্রচলনও আছে। তবে ধনীদের মধ্যে কবর দিয়ে মন্দির বানানোর চেষ্টাই জনপ্রিয় - অমর হবার একটা চেষ্টা আরকি। চীনে মমী বানানোর কারিগরও আছেন। অন্ততঃ যারা চেয়ারম্যান মাওয়ের দেহ সংরক্ষণ করছেন তাদের সেই এলেম আছে মানতে হবে।

যথারীতি জীবনের অন্য সব বিষয়ের মত চীনে অন্তিম যাত্রার ব্যবসাও জমজমাট। মৃতদেহ সাজানো, মন্দির বানানো, বিলাপের দল যোগানো, অন্তিম যাত্রায় বাজনা বাজানো, পটকা ফাটানো, মৃতদেহ বা তার ছাই সংরক্ষণ, কবরের বা পোড়ানোর ব্যবস্থা করা, এপিটাফ লেখা, অর্ঘ্য দেয়া সব ধরণের সেবা দেবার জন্যই নানা রকম কোম্পানী/সংস্থা আছে। স্বাভাবিকভাবে এ’নিয়ে নানা রকম প্যাকেজ অফারও আছে। আর দুনিয়ার পাঁচ ভাগের এক ভাগের চেয়েও বেশি মানুষ যে’দেশে আছে সেখানে এই ব্যবসা ভালই চলার কথা।

একবার পূর্বাঞ্চলের এক শহরের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, দেখি আমাদের সামনে একটা খোলা ট্রাক। ট্রাকের যেখানে ড্রাইভার বসেন তার পিছন দিকে একজনের বিশালাকৃতি একটা পোর্ট্রেট, বাঁধানো, ফুলের মালা দেয়া। নিচু গাড়িতে থাকায় কফিন চোখে না পড়লেও বুঝলাম অন্ত্যেষ্টিযাত্রা। ট্রাকে তিন-চার জন মানুষ, তারা কোন শব্দ উচ্চারণ বা মন্ত্রোচ্চারণ করছেন না, তবে একটু পর পর বিকট শব্দে পটকা ফাটাচ্ছেন। কখনো পটকার সিরিজ ফাটানো হচ্ছে। থেকে থেকে আকাশের দিকে রঙমশালও ছুটে যাচ্ছে। ট্রাকের পিছনের তিনধারে লাল রঙের ব্যানারের উপর বড় বড় সাদা হরফে লেখা। কী লেখা তা সহযাত্রীকে জিজ্ঞেস করে সদুত্তর পেলামনা। শুধু জানলাম একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মারা গেছেন। অমন একজন মারা যাওয়াতেও কোন শোকমিছিল নেই, রাস্তা বন্ধ করে শোকপ্রকাশ বা শ্রদ্ধা জানানোর কোন ব্যাপার নেই, দোকান-পাট বন্ধ করে দেবার ব্যাপার নেই, গাড়ির বহর নেই। প্রিয়জনেরা আগেই চলে গেছেন যেখানে শেষকৃত্যানুষ্ঠান হবে। শুধু নেতা একা একা শেষবারের মত নিজের শহরটা ঘুরে যাচ্ছেন।

শহর এলাকায় শেষকৃত্যানুষ্ঠানের অনেক কিছুই করা যায়না সুযোগের অভাবে বা সাধ্যের বাইরে বলে। তাছাড়া বেশিরভাগ মানুষের কোন ধর্ম বিশ্বাস না থাকায় আচার-অনুষ্ঠান বলেও তেমন কিছু নেই। বিদায় যাত্রায় মৃতকে প্রথমে হলুদরঙা কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো হয়, এরপর পরিবারের একজন সদস্য (বিশেষতঃ পুত্র) মৃতের মাথা-মুখ-হাত-পা তুলো দিয়ে ছুঁয়ে দিলে শব কফিনে শোয়ানো হয়। তারপর পরিবারের সদস্যরা মৃতকে বামাবর্তে প্রদক্ষিণ করে একসাথে হাঁটু গেড়ে বসেন। এক টুকরা কাগজে আগুন ধরিয়ে একটা মাটির পাত্রে রাখা হয়। আগুন নিভে গেলে যিনি মৃতকে শেষ ছুঁয়ে ছিলেন তিনি পাত্রটা দুই হাতে মাথার উপরে তুলে আছড়ে ভাঙেন। এই সময় সবাই সমস্বরে মৃতের উদ্দেশ্যে বিদায় বাণী উচ্চারন করেন। মৃতদেহ শশ্মানে পৌঁছুলে সেখানে আবার সবাই মিলে তিনবার বামাবর্তে মৃতকে প্রদক্ষিণ করে চলে আসেন। মৃতের ছাই সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে সেটা কারুকার্য করা চীনামাটির পাত্রে আবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেয়া হয়। ব্যাস, সব শেষ। এর বাইরে কোন অশৌচ নেই, শ্রাদ্ধ-শান্তি-স্বস্ত্যয়ণ নেই, কুলখানি-চেহলাম-ফাতেহা নেই, কাঙালীভোজ নেই।

গ্রামের দিকে বা যেখানে সম্ভব হয় সেখানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এতটা নিরাভরণ নয়। সেখানে মৃতের চারপাশে মোমবাতি, ধূপকাঠি জ্বালানো হয়। গাছের ডাল, ফুল আর বড় বড় কাগজের বল দিয়ে মৃতের ঘর সাজানো হয়। সারা গ্রামের লোকজন পরিবারের সদস্যদের সাথে বিলাপ করেন। প্রতিবেশীরা মৃতের পরিবারের জীবিত সদস্যদের জন্য চালের পিঠা, মিষ্টান্ন আর মদ আনেন। বিদায় যাত্রায় ড্রাগনের মুর্তি নিয়ে নাচ হয়, সবাই বিলাপ সঙ্গীত গান, বড় বড় ঢোল বাজানো হয়। নাচ-গান শেষ হলে ধীর পায়ে মৃতকে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতের শোভাযাত্রা চলাকালে পথচারীদের থেমে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কনিষ্ঠজনেরা সাধারণতঃ হাঁটু মুড়ে মাথা নুইয়ে মৃতকে শেষ শ্রেদ্ধা জানান। কবরস্থ করার পরদিন মৃতের পরিবার গতদিন যারা যারা মৃতকে শ্রেদ্ধা দেখাতে এসেছিলেন তাদেরকে অন্ত্যেষ্টিভোজে আপ্যায়ণ করেন। পরিবারের সদস্যদের শোকপালন চলে আরো সাত সপ্তাহ জুড়ে।

মৃতদের প্রতি বার্ষিক শ্রদ্ধা প্রকাশের উৎসবের নাম “চিঙ মিঙ জায়ে”। এর কথা আগে একবার বলেছিলাম। উত্তরায়ণের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুর তিন দিন “চিঙ মিঙ জায়ে” পালিত হয়। এ’সময় পূর্ব পুরুষদের আত্মা নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরে আসেন বলে তাদের সমাধি পরিষ্কার করা হয়, সমাধিতে মোমবাতি আর ধূপকাঠি জ্বালানো হয়, ভাত আর মদের অর্ঘ্য দেয়া হয়, বাড়িতে পরিবারিক ভোজের আয়োজন করা হয়। আধুনিক চীনাদের অধিকাংশ আত্মার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী বলে “চিঙ মিঙ জায়ে” তাদের কাছে শুধু বিগতজনদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণের অনুষ্ঠানমাত্র।

আনুষ্ঠানিক অন্ত্যষ্টিক্রিয়া হোক বা না হোক, শবদেহ পোড়ানো হোক আর কবরস্থ করা হোক দুনিয়ার সর্বত্র প্রিয়জনের শোকব্যথা সমান মর্মান্তিক। বত্রিশ বছরের ওয়াঙ উঈ যখন দুর্ঘটনায় মারা যান তখন তাঁর পুত্রের বয়স পাঁচও হয়নি। অত অল্পবয়সে পিতাকে চিনে ওঠার আগেই পিতাকে হারানোর গুরুত্বটা পুত্রের বোঝার কথা না। তাই পুত্রকে দেখেছিলাম ঘটনার ঘনঘটায় কখনো হতবিহ্বল, কখনো বিষন্ন। ওয়াঙ উঈয়ের অল্প বয়সী বিধবা স্ত্রীকে দেখেছি বুকফাটা আর্তনাদে ভেঙে পড়তে। এই রকম দৃশ্য নিজেদের দেশে নিজেদের চারপাশে আমরা অগণিতবার দেখেছি। সদ্য পিতা হারানো চীনা যুবক যখন মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বাসায় আসা প্রিয়জনদের সাথে পানপাত্র তুলে ধরে বলেন, “চাই জিয়ান, বাবা!” (বিদায় পিতা) তখনো তার হৃদয়ে রক্তই ঝরে। একই ধরণের ঘটনায় একজন বাঙালী যুবকও সমান কাতরই হন; তার উচ্চারিত শব্দমালা কেবল পালটে যায় - অর্থ একই রকম থাকে। মৃত্যু সবাইকে এক কাতারে এনে দেয়। যে কোন দেশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে আমরা তারই পূনরাবৃত্তি দেখি।


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

মৃত্যু নিয়া লেখা, তারপরও ভালো লাগলো

...........................
Every Picture Tells a Story

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ বস্‌। আমার দেখা চীনের জীবন নিয়ে এই সিরিজ তা আপনি জানেন। তাই মৃত্যু-প্রসঙ্গও স্বাভাবিকভাবেই এসেছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ওডিন এর ছবি

মৃত্যু নিয়ে লেখা- তাই আমার মনে হয় একটু বেশি ভালো লাগলো। সমাপ্তিই একমাত্র সত্য।

... উচ্চারিত শব্দমালা কেবল পালটে যায় - অর্থ একই রকম থাকে।

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মৃত্যু নিয়ে লেখা- তাই আমার মনে হয় একটু বেশি ভালো লাগলো

একি কথা নর্সদেব! সমাপ্তি সত্য ঠিক আছে, কিন্তু তাকি সবসময় ভালো লাগার?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

খুব ভাল লাগলো। কোমল, বিষণ্ন সুন্দর...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মৃত্যু সবাইকে এক কাতারে এনে দেয়।
মৃত্যু সবাইকে এক কাতারে এনে দেয়।
মৃত্যু সবাইকে এক কাতারে এনে দেয়।
মৃত্যু সবাইকে এক কাতারে এনে দেয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শুধু বেঁচে থাকতে সে কথাটা আমাদের মনে থাকেনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পলাশ দত্ত এর ছবি

মৃত্যু সবাইকে এক কাতারে আনে না।

জীবনের অবসান হলো- এই অর্থে বলা যায় মৃত্যু সবাইকে এক কাতারে আনে। তাহলে জন্মলাভ মাত্রই যেমন জীবন পাওয়া যায় সেই অর্থে বলা যায় পৃথিবীতে সব মানুষ সমান (বা এক কাতারে)।

মানুষ মরার পরও সামাজিক ট্রিটমেন্ট থাকে; সেই ট্রিটমেন্ট অনুসরণ করলেই বোঝা যায় মৃত্যু মানেই এক কাতারে যাওয়া নয়।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

মৃত্যু সবাইকে এক কাতারে আনে না।

আলী হোসেন মৃত্যুর পরও তাঁর শ্রেনী ভাঙতে পারেন নি।

-------------------------------------------------------------------
স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

জন্মের সময় মানুষ সমান থাকে এবং মৃত্যুর পর মানুষ আবার সমান হয়ে যায়। মৃতদেহ নিয়ে সামাজিক ট্রিটমেন্ট বা রাজনীতি যা কিছু হয় তা জীবিত মানুষদের কাজ। মৃতের সেখানে কোন ভূমিকা, অনুভব বা প্রাপ্তি থাকেনা। মৃতদেহের শ্রেণীবিভাজন করে জীবিত মানুষ। একজন মৃত আরেকজন মৃতকে ছোট বা বড় বা শ্রদ্ধা বা অপমান করতে পারেনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সহজীয়া [অতিথি] এর ছবি

ভালো লাগলো।

অপূর্ণতাই মূল স্রোত; কারণ পূর্ণতায় সবকিছু খুঁজে পায় চরম মোক্ষ। হয়তোবা তাই মানুষের জন্ম নিছকই মৃত্যুর পূর্ণতার আশায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। তবে মৃত্যুতে মোক্ষলাভ বা পূর্ণতা মনে হয় ঠিকনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক আচার জানা হলো। আমি একটা বিষয়ে অবাক হই, আপনি এত ডিটেইলস জানেন কিভাবে? সেখানে অনেকদিন থেকেছেন এবং দেখেছে বলেই?

লেখাও খুব ঝরঝরে, পড়তে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়না, যেমনটা আমার লেখা পড়ে আমি খাই। শুধু এক জায়গায় খাঁড়া লিখেছেন সেখানে একটু তাল কেটে গিয়েছিল। মনে হয় "খাড়া" হবে হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি চীনে বহুবার গিয়েছি সত্য, তবে কখনোই অনেকদিন করে থাকিনি। আমি কোথাও গেলে সেখানকার মানুষকে দেখার, বোঝার চেষ্টা করি। শুধু সেখানকার মিডিয়ার বা বইয়ের উপর নির্ভর না করে সেখানকার মানুষের সাথে কথা বলে তাদের জীবনযাত্রা বোঝার চেষ্টা করি। এর বাইরে চীনের ক্ষেত্রে, আমার বাঙালী সহকর্মী যাদেরকে নিয়মিত চীন ভ্রমণ করতে হয় বা আমার চীনা সহকর্মী যাদের সাথে নিয়মিত কাজ করতে হয় তাদের সাথে কথা বলে আমার জানার ঘাটতিগুলো পূরণ করার চেষ্টা করি।

হ্যাঁ, আপনি ঠিক। steeper-অর্থে বোঝালে "খাড়া" ঠিক। কারণ, "খাঁড়া" মানে হচ্ছে খড়্গ। পরে সম্পাদনা করে দেব। এত মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তমিজউদদীন লোদী এর ছবি

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং তার এতো বৈচিত্র ও প্রক্রিয়া সত্যি বিস্ময়কর। তথ্য ওঅভিজ্ঞতাভিত্তিক আপনার এ লেখাটি থেকে অনেক কিছু জানা হলো। খুব ভালো লাগলো লেখাটি।

তমিজ উদদীন লোদী

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ কবি। আমাদের দেশেও খোঁজ করে দেখুন দেখবেন কবর দেয়া বা পোড়ানোতেও কত রকমফের আছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বহুদিন পর এলেন মৃত্যু নিয়ে

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শেষ পর্ব ছিল বিয়ে নিয়ে। সেখানে জন্ম (নামকরণ উৎসব) আর মৃত্যুর কথাও ছিল। নামকরণ উৎসবের অভিজ্ঞতা নেই বলে লিখিনি। মৃত্যু নিয়ে লেখাটা বকেয়া ছিল। আপনি জানেন স্যার এই বকেয়াটা শোধ করার কোন ইচ্ছে আমার ছিলনা। হঠাৎ করে লেখাটা (এই পর্ব) শেষ হল বলে এখানে পোস্ট করলাম। সামনে কী হবে জানিনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

যাক, মৃত্যু দিয়ে হলেও এ সিরিজের পুনর্জীবন লাভ হলো। ওয়েলকাম ব্যাক, চায়না।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সিরিজ পূনর্জীবন পেয়েছে কিনা জানিনা। আপনি জানেন ধর্ম্মপুত্র, এর বেঁচে ওঠার কথা ছিলনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রণদীপম বসু এর ছবি

চমৎকার পাণ্ডবীয় পোস্ট !
এবার জিজ্ঞাস্য, 'পাণ্ডবের চীন দর্শন' কবে নাগাদ মলাট-বন্দি অবস্থায় পাবো ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা। আপনি আমার চেয়ে অনেক ভালো করে জানেন যে, বই বের করতে হলে হয় নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় অথবা প্রকাশককে ধরাধরি করতে হয়। খরচ করার মত কড়ি বা ধরাধরি করার মত সময় কোনটাই আমার নেই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মৃত্যু হয়তোবা মিতালি আনে
বিহারের হিন্দু আর নোয়াখালীর মুসলমান
নোয়াখালির হিন্দু আর বিহারের মুসলমান .....

- সমর সেন



অজ্ঞাতবাস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মিতালীটা বেঁচে থাকতে হলেই ভালো। মরে গেলে পরে একদেহে লীন হলেই কী আর না হলেই বা কী।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

লেখাটা পড়ে অনেককিছু জানতে পারলাম। সুলিখিত রচনা, পড়তেও ভালো লাগলো।
অনেকের মতন আমারও জানার ইচ্ছা, পান্ডবের চীন দর্শন বই হয়ে কবে আসছে? এইধরনের বই সংগ্রহে রাখার জিনিস।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ দিদি। বই বের করার ব্যাপারে রণ'দাকে উত্তর দিয়েছি (উপরে দেখুন)। আর বাংলাদেশের বইয়ের বাজারের কথা আমি কিছু কিছু জানি। এটা বই হলে পঞ্চাশজন লোকেও কিনবেনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

মৃত্যূতে সব শেষ এই সত্য মন মানতে চায়না বলেই হয়ত এত পরকাল, স্বর্গ-মর্ত্য, এত আচার, আরেকটু বেঁচে থাকার চেষ্টা কবরের ফলকে, দিন বেঁধে পালন করা শোকে।

চমৎকার লেখা!!

-------------------------------------------------------------------
স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ কল্যাণীয়াসু। ভুতের গল্পের মত এই গল্পগুলো মানুষকে খাওয়াতে পারলে তাদের ঘাড় ভেঙ্গে অনেক কামানো যায়। তাই কিছু মানুষ মৃত্যুর পরের মহিমা কীর্তন করে যায়।

তোমার লেখা কই?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

আমার আবজাব লেখার খোঁজ করছেন, আপনি!!

সেই আনন্দেই লিখব হাসি

-------------------------------------------------------------------
স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়

নৈষাদ এর ছবি

সব সময়ের মতই, চমৎকার লাগল লেখা।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বাউলিয়ানা এর ছবি

ছবির মত সব চোখের সামনে ভেসে উঠল।

সিংগাপুর-মালয়েশিয়াতেও দেখেছি চীনা সম্প্রদায়ের কবরস্থান। একটা জিনিষ ছিল খুব চোখের পড়ার মত, ওদের কবরগুলোর দেয়াল আর গ্রেইভষ্টোনগুলো তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশী কারুকার্যময়।

পরের পর্ব শীঘ্রই পাব নিশ্চয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বিভিন্ন দেশ-জাতি-ধর্মের গ্রেভস্টোন আর এপিটাফ নিয়ে কেউ লিখলে বিশাল বই হয়ে যাবার কথা। আমার দেখা চীনা কবরগুলোর গ্রেভস্টোনগুলোর বেশিরভাগ খুব সাদাসিধা ছিল।

পরের পর্বের আশা করতেই পারেন, পাবেন কিনা জানিনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফকির লালন এর ছবি

মিস হয়ে যাচ্ছিলো। ঝরঝরে। বহুদিন পরে এ কিস্তি, আরো ঘন ঘন হলে ভালো হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ বস্‌। ঘন ঘন দূরে থাক মাঝে-মধ্যে কিস্তি দিতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

...... ...... চীনাদের কবর দেয়া নিয়ে দুর্দান্ত একটা ১০-১২ মিনিটের এনিম দেখেছিলাম। মৃত মা'কে কবরে দেবার সময় দুই ভাইয়ের নানা বিভ্রাট। নামটা মনে পড়ছে না...

_________________________________________

সেরিওজা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ওই এনিম-এর নাম মনে পড়ার দরকার নাই। এই পরীক্ষার সময়ে ব্লগে ঘোরাঘুরি না করে পড়তে বস।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হরফ এর ছবি

আপনার চীনদেশ ভ্রমণের অন্য লিংকগু্লো এখানে দেবেন প্লীজ। ধন্যবাদ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এটা দশম পর্ব, তারমানে এর আগে আরো নয়টা পর্ব আছে। একটু কষ্ট করে আমার ব্লগে ঢুকে বছর খানেক আগের পোস্টগুলো দেখুন তাহলেই পেয়ে যাবেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চীন্দেশের গল্পে মৃত্যু থাকলেই চলবে পাণ্ডব'দা? জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থা থাকতে হবে না! তা না হলে আমাদের কী হবে! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কী কী বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে চান তার লিস্টিটা আমাকে গোপনে মেইল করে দিয়েন। আমার ঝোলায় যদি থাকে তাহলে আমি নামিয়ে দেব। লোকের কষ্টে আমি বড়ই কাতর হই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

জ্ঞানার্জন কইরা কোন লাভ নাই ধুগো। এক সন্তান নীতির কারণে চীন্দেশে কোন শালী নাই।

রণিতা এর ছবি

"এক সন্তান নীতির কারণে চীন্দেশে কোন শালী নাই"-এই তথ্য সম্পূর্ণ সঠিক না। চীনা দম্পতিরা একাধিক সন্তান দত্তক নিতে পারেন আইনানুগ ভাবে। আমার দুই চীনা বন্ধুর ভাই ও বোন আছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধর্ম্মপুত্র, গতকাল আর আজ মিলে তিন জোড়া জমজ বোনের দেখা পেয়েছি (দুই শহরে)। সরকার এখানে যে আইনই করুক জমজ ঠেকানোরতো উপায় নেই তাই ধুগো চীন্দেশেও শালীর আশা করতেই পারেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভালো লাগলো খুব, লেখাটা!

শুধু নেতা একা একা শেষবারের মত নিজের শহরটা ঘুরে যাচ্ছেন।
অসম্ভব বিষণ্ণ এই কথাটা, কিন্তু কী ভীষণ সত্যিও .........

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ। চীনে থাকতে থাকতেই আপনার নজর কাটালাম।

আজও পথে এক জায়গায় বেশ পটকা ফুটতে দেখলাম। দ্রুত চলে যাওয়ায় বুঝলামনা উপলক্ষটা কী ছিল - হয়তো মৃত্যু, হয়তো বিয়ে, হয়তো এমনি মজা করা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

rashid amin এর ছবি

আসলে উৎসবটির নাম হচ্ছে ছিং মিং চিয়ে। ম্যান্দারিণ ভাষায় এভাবেই বলে। তবে আঞ্চলিক ভাষায় আলাদা কিছু থাকতে পারে। লেখাটি ভালো লাগলো।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি চীনা বন্ধুদের কাছ থেকে যেমন উচ্চারণ শুনেছি সেভাবেই লিখেছি। বিশুদ্ধ মান্দারিন উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে। এই উৎসবটা নিয়ে একটা আলাদা পর্ব লিখেছিলাম, পড়ে দেখতে পারেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হাফ সেঞ্চুরি। অনেকদিন পর একটা কোনো হাফ-সেঞ্চুরি কর্লাম। দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।