পকেট কাটার অর্থনীতি-৫

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৯/২০১০ - ৬:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০৮. স্বর্ণ-হীরা-অলঙ্কার
 
এক নিকটাত্মীয়ের বিয়েতে উপহার দেবার জন্য স্বর্ণের দোকানে গিয়েছিলাম, সেলস্‌ম্যান জিনিষটা প্যাক করার সময় বললেন, “জিনিষটা বদলাতে চাইলে তো আমাদের কাছে আসবেনই, যদি কখনো বিক্রি করার দরকার হয় তাহলেও শুধু আমাদের কাছে আসবেন। আর সব ক্ষেত্রেই সাথে মেমোটা আনবেন। মেমোটা ছাড়া বদলানো বা পুরনো জিনিষ কেনা সম্ভব না”। যেহেতু জিনিষটা উপহার দেয়া হবে তাই তার কথা আমি ...

০৮. স্বর্ণ-হীরা-অলঙ্কার

 

এক নিকটাত্মীয়ের বিয়েতে উপহার দেবার জন্য স্বর্ণের দোকানে গিয়েছিলাম, সেলস্‌ম্যান জিনিষটা প্যাক করার সময় বললেন, “জিনিষটা বদলাতে চাইলে তো আমাদের কাছে আসবেনই, যদি কখনো বিক্রি করার দরকার হয় তাহলেও শুধু আমাদের কাছে আসবেন। আর সব ক্ষেত্রেই সাথে মেমোটা আনবেন। মেমোটা ছাড়া বদলানো বা পুরনো জিনিষ কেনা সম্ভব না”। যেহেতু জিনিষটা উপহার দেয়া হবে তাই তার কথা আমি আর বিশেষ মাথায় নিলাম না। শুধু ভাবলাম বিয়েটা শেষ হবার পর ঐ আত্মীয়কে কোন এক সময় জিজ্ঞেস করতে হবে তিনি জিনিষটা পাল্টাতে চান কিনা, যদি পাল্টাতে চান তাহলে মেমোটা তাকে দিয়ে আসবো। বাসায় ফেরার পর মনে হলো সেলস্‌ম্যান বিক্রি করার ক্ষেত্রে কেন শুধু তাদের কাছেই বিক্রি করার কথা বললেন কেন? এই ব্যাপারে ইনহাউস বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞেস করতে একটা অদ্ভূত তথ্য জানতে পারলাম।

 

অনেক স্বর্ণের দোকানের অলঙ্কারে ঘোষিত পরিমাণ স্বর্ণ থাকেনা। স্বর্ণের মাপের ক্ষেত্রে স্বর্ণকারদের বিশ্বস্ততা কতটুকু তা নিয়ে কিংবদন্তীর গল্প আছে - সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ঐসব বিশেষ দোকানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অলঙ্কারে ঘোষিত পরিমাণের অর্ধেক স্বর্ণও থাকেনা। লোকে যেহেতু সচরাচর স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করতে চাননা তাই তাদের স্বর্ণালঙ্কারের খাঁটিত্ব বা পরিমাণ নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠেনা। কেউ অমন কোন স্বর্ণালঙ্কার ভেঙে নতুন ডিজাইনে গড়তে চাইলে একই দোকানে নিলে সে ব্যাপারে আর কোন প্রশ্ন তোলা হয়না। কিন্তু রামলাল পোদ্দারের দোকান থেকে কেনা জিনিষ শ্যামলাল পোদ্দারের দোকানে নিয়ে ভেঙে নতুন করে গড়তে বা বিক্রি করতে চাইলেই গোলমালটা বাঁধে। যেহেতু রামলালের খাঁদের হিসাবটা শ্যামলাল জানেননা তাই তিনি আপনাকে বার বার রামলালের কাছেই যেতে বলবেন। স্বর্ণের খাঁদ মাপার স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতিগুলোতে আপনার অলঙ্কারটার খাঁদের পরিমান বের করা যাবে, তবে তাতে বিক্রয় মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে আপনার সাথে শ্যামলালের তুমুল ঝগড়া লেগে যাবে। আপনি নিশ্চয়ই ওজনের অর্ধেকের চেয়ে কম দামে অলঙ্কারটা বেচতে চাইবেননা। যেহেতু শ্যামলালও একই ধরণের কাজে জড়িত থাকেন বা এই প্রাকটিসটার কথা জানেন তাই ঝামেলা এড়াতে তিনি আপনাকে রামলালের কাছেই ফেরত পাঠাবেন।

 

এভাবে বস্তুতঃ স্বর্ণের খাঁদকে স্বর্ণের দামে বেচা হয়। খাঁদের পরিমাণ নূন্যতম পর্যায়ে থাকলে এটা নিয়ে ভাবার কিছু ছিলনা। কিন্তু খাঁদের পরিমাণ অর্ধেককে যখন ছাড়িয়ে যায় আর স্বর্ণের ব্রান্ডিং রামলাল-শ্যামলালের নামে হয় তখনই এটা একটা জিজ্ঞাসা হয়ে দাঁড়ায়। বিপুল পরিমাণ খাঁদকে স্বর্ণ হিসাবে বিক্রি করলে প্রথমেই ক্রেতা নগদ ঠকে যাচ্ছেন, আর বিক্রেতা পিতলকে স্বর্ণের দামে বেচে দিতে পারলেন। পুনঃবিক্রয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দোকানদারকে না পেলে বা মেমো হারিয়ে গেলে বিক্রেতাকে বড় ধরণের হয়রানীতে পড়তে হচ্ছে। খাঁদ সংক্রান্ত জটিলতায় বিক্রেতা হয় জিনিষটি বিক্রি করতে পারবেন না অথবা তাকে অনেক ক্ষতি স্বীকার করে বিক্রি করতে হবে। এটি স্রেফ প্রতারণা। এর চক্রে পড়ে একজন ক্রেতা নির্দিষ্ট স্বর্ণালঙ্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার হাতে জিম্মি হয়ে পড়ছেন। এবং ঐ বিক্রেতা নিজে একটি ‘প্যারালাল কারেন্সী সিস্টেম’ ধরনের ব্যবস্থা চালাচ্ছেন।

 

স্বর্ণের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির প্রবনতা ও এর সহজে বিনিময়যোগ্যতার জন্য আমাদের দেশের অনেকেই দুর্দিনের সঞ্চয় হিসাবে স্বর্ণালঙ্কার কেনেন। ব্যাখ্যাটা এই যে, ‘এখন এটা পড়া যাচ্ছে, বিপদে পড়লে এটা বিক্রি করা যাবে’। বাস্তবে এই ‘সঞ্চয় প্রকল্প’ শেষমেশ ‘ক্ষতি প্রকল্প’ হয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটি খুব কৌশলে করা হয় আর খুচরা ক্রেতা পর্যায়ে করা হয় বলে এই ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অভিযোগের কথা শোনা যায়না।
     

 

নিয়মিত অলঙ্কার কেনাকাটা করেন এমন কয়েকজনের সাথে এই ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলে এর সত্যতা জানতে পারলাম। একই সাথে জানতে পারলাম শুধু স্বর্ণই নয় ভালো মানের কাঁচ, কিউবিক জিরকনিয়াম, কোয়ার্টজ্‌ বা লেডেড ক্রিস্টালকেও নাকি কোথাও কোথাও এভাবে হীরা হিসাবে বিক্রি করা হচ্ছে। ‘ডায়মন্ড টেস্টার’কে ম্যানিপুলেট করে এই কাঁচের ব্যবসা চলছে। হীরা কেনা-বেচা করে এমন দোকানের সংখ্যা কম হওয়ায় এই প্রতারণা চালানো আরো সহজ হচ্ছে।
 

 

বলতে পারেন, খাঁদকে স্বর্ণ বা কাঁচকে হীরা বলে বিক্রি করলে ক্ষতিটা কোথায়? ব্যবহারকারী যদি সেটা স্বর্ণ বা হীরা ভেবে আনন্দ পান তাহলে তো আর সমস্যা নেই। কথাটা ততোক্ষণ পর্যন্ত ঠিক, যতক্ষণ না সেটা পুনঃবিক্রয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা হচ্ছে স্বর্ণালঙ্কারের অধিকাংশ এবং হীরার পুরোটাই আমাদেরকে দেশের বাইরে থেকে আমদানী করতে হয়। রামলাল অর্ধেক খাঁদওয়ালা যে স্বর্ণালঙ্কার আমদানী করে সেখানে আমদানী সংক্রান্ত কাগজপত্রে তাকে পুরো দামটাই দেখাতে হয় -ট্যাক্সও পুরোটাই শোধ করতে হয়। কিন্তু সেতো জানে যে জিনিষটার অর্ধেক খাঁদ, সুতরাং বিদেশী বিক্রেতাকে সে পুরো দামটা দেবে না। বিদেশী বিক্রেতা এলসির মাধ্যমে রামলালের কাছ থেকে যে পেমেন্টটা পেলো তার অর্ধেকটা (কিছু বখরা কেটে) সে রামলালের বিদেশী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে দেয়। এভাবে দেশের রিজার্ভ থেকে কিছু বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়ে গেলো। বস্তুতঃ অনেক আমদানী ব্যবসাতেই অর্থ পাচারের এই কৌশলটা কাজে লাগানো হয়, শুধু স্বর্ণের বা হীরার ব্যবসার ক্ষেত্রে স্থানীয় ঝুঁকিটা অনেক কম। ফলে এভাবে অর্থ পাচার তথা দেশের পকেট কাটার ব্যবস্থাটা হয়ে যায়।
   

 

০৯. হাউজী-জুয়া-লটারী

 

শীতকাল আসলেই দেখবেন গ্রামাঞ্চলে যাত্রা-সার্কাস-পুতুল নাচের প্রদর্শনী শুরু হয়ে যায়। শহরাঞ্চলে যাত্রা অল্প-স্বল্প দেখা গেলেও সার্কাস আর পুতুল নাচের দেখা বলতে গেলে পাওয়া যায়ই না। এর বদলে শহরে চলে নানা নামের প্রদর্শনী-মেলা-মীনাবাজার। গ্রাম বলুন আর শহর বলুন, অথবা যাত্রা-সার্কাস-পুতুল নাচ বলুন আর প্রদর্শনী-মেলা-মীনাবাজারই বলুন সবক্ষেত্রে এগুলোর অবধারিত অনুসঙ্গ হিসাবে পাশেই দেখতে পাবেন হাউজীসহ নানা রকম জুয়ার ব্যবস্থা। কোথাও কোথাও জুয়াটাই মুখ্য, প্রদর্শনীগুলো চলে আই ওয়াশ হিসাবে। শীতকালে ঝড়-বৃষ্টির দৌরাত্ব থাকেনা বলে এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষের হাতে তখন নগদ টাকা থাকে বলে এই অরাজকতাটা চলে।

 

এই জুয়ার টার্গেট প্রধানতঃ নিম্ন আয়ের মানুষ - প্রান্তিক কৃষক, ক্ষেতমজুর, জেলে, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এই আয়ের একজন মানুষের একদিনের আয় নিমিষেই জুয়ারীদের পকেটে চলে যায়। শতকরা একজন হয়তো কিছু টাকা বা একটা টেলিভিশন জেতে, বাকি নিরানব্বই জনের কপালে কিছুই জোটেনা। জুয়ার সাথে অবধারিত অনুসঙ্গ হিসাবে নেশার নানা দ্রব্য যোগ হয়। অল্প কিছু জায়গায় সাথে আদিম ব্যবসাটাও যোগ হয়। কোন এলাকায় এমন জুয়া টানা এক মাস চললে ঐ এলাকায় জুয়ার কারণে অর্থ হারানো মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবনতা (বিশেষতঃ চুরি ও ছিনতাই) বেড়ে যায়। কোথাও কোথাও এনিয়ে হৈচৈ হলে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে সত্য, বাস্তবে দেখা যায় দুদিন পর যেই-কে-সেই অবস্থা। কোথাও কোথাও দেখা যায় প্রশাসন এসে যাত্রাপালা বন্ধ করে দিলো কিন্তু হাউজী যথারীতি চলতে থাকলো। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এতে জড়িত থাকে বলে প্রশাসন চাইলেও অনেক কিছুই করতে পারেনা। হাউজী-জুয়া চলতেই থাকে আর নিম্ন আয়ের মানুষদের পকেট ফাঁকা হতে থাকে।

 

শহরাঞ্চলে বিশেষতঃ বড় শহরগুলোতে অনেক ক্লাব আছে যেখানে নিয়মিত হাউজী ও অন্যান্য জুয়ার আয়োজন করা হয়। কিছু কিছু ক্লাব আছে যেখানে প্রতিদিনই জুয়ার আয়োজন করা হয়। ক্লাবগুলোর কোনো কোনোটার সাথে ক্রীড়া বা সংস্কৃতির নাম থাকলেও তাদের আসল কাজ হচ্ছে জুয়া। এইসব নামডাকওয়ালা ক্লাবে কখনোই ‘পুলিশ রেইড’ দিয়ে জুয়া বন্ধ করা হয়না। কারণ, এই ক্লাবগুলোর খুঁটির জোর অনেক শক্ত থাকে। এই ক্লাবগুলোর টার্গেট মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তরা। জুয়ার নেশায় পড়ে অনেক উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তই পরিণামে বিত্তহীনে পরিণত হয়।
   

 

ট্রেন স্টেশন, বাস স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, শপিং মলের বাইরে বা লোক সমাগম হয় এমন যে কোনো জায়গায় গত বিশ বছর ধরে অবধারিতভাবে রিক্‌শা বা ভ্যানে করে লটারীর টিকিট বেচতে দেখা যাচ্ছে। লটারী আগেও ছিলো তবে জাতীয় পর্যায়ে সেটা কয়েক বছরে এক-আধবার হতো। এখন জাতীয় পর্যায়ে বছরে পাঁচ-ছয়টা লটারী চলতে দেখা যায়। এক সময় লটারীর টিকিট ছিল সর্বনিম্ন এক টাকা আর সর্বোচ্চ পুরস্কার ছিল সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা। এখন টিকিট সর্বনিম্ন দশটাকা আর পুরস্কার সর্বোচ্চ ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট বাড়ি বা এক কোটি টাকাতে ঠেকেছে। টিকিটের মূল্যের দশগুণ বৃদ্ধি আর পুরস্কারের মূল্যের একশতগুণ বৃদ্ধি, বছরে পাঁচ-ছয় বার লটারীর আয়োজন থেকে বোঝা যায় লটারী পরিচালনা এখন একটা অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা।

 

লটারী পরিচালনার কার্যক্রম সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালানো হলেও লটারীর উদ্দেশ্য হিসাবে সাধারণতঃ জনসেবার (হাসপাতাল নির্মাণ, উন্নয়ন তহবিল ইত্যাদি) কথা বলা হয়। লটারী যিনি কেনেন তিনি জানেন যে হাতে গোনা কয়েকজন শুধু পুরস্কার পাবেন, আর বাকিরা কিছুই পাবেন না। জনসেবার কথাটা সেজন্যই বলা হয়, যাতে ক্রেতা এই ভেবে সান্ত্বনা পান যে তিনি কোনো পুরস্কার না পেলেও তার অর্থ একটি মহৎ উদ্দেশ্যে ব্যয়িত হবে। বাস্তবে লটারীগুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থের আয়-ব্যয়ের হিসাব কখনোই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় না। উল্লেখিত হাসপাতালটি আদৌ নির্মাণ করা হয়েছে কিনা অথবা উল্লেখিত উন্নয়ন তহবিল কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে সেই ফলোআপ কখনোই করা হয়না। ফলে লটারীর ক্রেতা আদৌ জানতে পারছেন না তার অর্থ আসলে কোন কাজে ব্যয়িত হচ্ছে।

 

একটা উদাহরণ দেয়া যাক, বাংলাদেশে বড় আকারের লটারীর প্রথম উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদ। তাদের “যদি লাইগ্যা যায়” প্রকল্প গত আঠারো বছরে দশ বারের মতো চালানো হয়েছে। আমরা জানি, ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ থাকে। এর বাইরে ফিফা, আইসিসি প্রভৃতি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে নানা প্রকল্পের আওতায় আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে থাকে। সেখানে ক্রীড়া উন্নয়ন তহবিল গঠন কতটুকু নৈতিক ও আইনসঙ্গত? তাহলে কি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও তাদের ব্যয় নির্বাহ বা উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য এমন সব লটারী প্রকল্পে নামবে? ক্রীড়া পরিষদের এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত অর্থে গত আঠারো বছরে ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কী কী উন্নয়ন করা হয়েছে? গত আঠারো বছরে বাংলাদেশের ক্রমাগত উন্নয়ন হয়েছে এমন একটা খেলার নাম মনে হয় আমরা কেউই বলতে পারবোনা। ক্রিকেট-শ্যুটিং-তায়কেন্দো-আর্চারীর বিচ্ছিন্ন সাফল্যগুলোর পিছনে এই তহবিলের কোনো অবদান আছে এমন দাবী শুনিনি।

 

লটারীর বিপণন প্রক্রিয়া থেকেই বোঝা যায় লটারীর টার্গেট নিম্ন আয়ের মানুষ, বড় জোর নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণী। উচ্চবিত্তরা কখনো লটারী কেনে না। লটারী জিতে রাতারাতি ভাগ্য পালটে ফেলেছে এমন গল্প দৈনিক পত্রিকায়, টেলিভিশনের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে, পোস্টারে, বিলবোর্ডে দেখিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের পকেটের টাকা লটারীর উদ্যোক্তাদের পকেটে যায়। এটাও এক রকমের জুয়া, যেটা কোন দক্ষতা দিয়ে জেতা সম্ভব না। লটারীতে কারা জিতে, বিশেষতঃ চতুর্থ থেকে শেষস্থান পর্যন্ত, সেটাও জানা যায় কম। ফলে উদ্যোক্তাদের প্রকৃত লাভের পরিমাণ জানার উপায় থাকেনা। উৎপাদনের সাথে সম্পর্কবিহীন, অস্বচ্ছ এমন একটা ব্যবস্থা সগৌরবে খোলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষের পকেট কেটে যাচ্ছে।
 

    

(চলবে)


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

এটা কী বল্লেন?! আমার তো সখ ছিলো পঞ্চাশ ভরির একটা সীতাহার বানাবো, সেটাতে তাইলে বিশ ভরিও সোনা থাকবে না বলতেসেন? মন খারাপ

ফাজলেমি বাদ দিয়ে বলি - সোনার গয়নার ব্যাপারে এই কথাটা একদমই জানা ছিলো না। মানুষ বড়ই ইনোভেটিভ!

লটারির ব্যাপারটা আমেরিকাতেও এত্তো বেশি প্রচলিত যে কী বলব। আর গ্র্যান্ড প্রাইজ বা ফার্স্ট প্রাইজের টাকার অংক শুনলে আমি অনেক সময় বুঝতেই পারি না ঠিকমতো যে অত টাকা আসলে কতো টাকা!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনি কুরুবংশের মানুষ হয়ে দাশরথীর বউয়ের ডিজাইন করা হার পড়তে চান কেনো? আপনিতো পড়বেন "অম্বাহার"। আর পঞ্চাশ ভরির হার পড়লে আপনার নড়বড়ে ঘাড়টা কি আর আস্ত থাকবে?

ফ্লোরিডা লোটো ধরনের জিনিষে পুরস্কারের যে অঙ্কটা লেখা থাকে সেটা দেখলে আমি একক, দশক, শতক .... এভাবে গোনার চেষ্টা করি কিন্তু খেই হারিয়ে ফেলি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

কামনা করি এদেশে যেনো কখনোই 'সিকিম বাম্পার' বা এইজাতীয় লটারির আবির্ভাব না হয়। বাপরে বাপ, সে কি হুজুগ মানুষের।

রাতঃস্মরণীয়

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কামনা করেন, কিন্তু সেটা ঠেকানো যাবে বলে মনে হয়না। আবর্জনা খুব সহজে চলে আসে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

২০ বছর পর ক্যাপিটালিস্ট সোসাইটির উদাহরণ হিসাবে বাংলাদেশের নাম বইয়ে লেখা হবে।


কাকস্য পরিবেদনা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাংলাদেশ এই ট্রিকগুলোর আবিষ্কারক নয়। অন্য অনেকের থেকে দেখে শুনে বাংলাদেশের কিছু মানুষ এসব করে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রণদীপম বসু এর ছবি

বুঝছি, পাণ্ডব দা জীবনে বহু লটারি কিনছেন, একটাও লাগে নাই ! তাই।।।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দাদা, লটারী কিনে শিখতে হয়না, দেখেই শেখা যায়। যেমন, আমরা সবাই জানি বিষ খেলে মারা যাবো, অথচ আমরা কেউ কখনো বিষ খাইনি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তানভীর এর ছবি

আমেরিকায় অনেকগুলো স্টেটে সরকারীভাবে লটারি পরিচালনা করা হয়। লটারি থেকে আয়কৃত অর্থের সিংহভাগ চলে যায় সেই স্টেটের পাবলিক এডুকেশন সিস্টেমে। কাজেই কেউ লটারি না জিতলেও এর সুফল অন্যভাবে ভোগ করে। আর এখানে পাবলিক রেকর্ডস সবকিছুই ওপেন- চাহিবামাত্র সরকার হিসাব দিতে বাধ্য; প্রাইভেটেই যত লুকোছাপা চলে। সরকারি লটারি নিয়ে তাই কোনো অভিযোগ নাই। লটারি দিয়ে ক্রীড়া তহবিল, হাবিজাবি না করে বাংলাদেশের রুগ্ন শিক্ষাব্যবস্থায় যদি নিয়মিত লটারির অর্থের যোগান দেয়া যেত, তবে শিক্ষকদের বৃহৎ অংশের হয়তো মানবেতর জীবন-যাপন করতে হতো না, শিক্ষা ব্যবস্থা-উপকরণেরও হয়তো উন্নতি হতো।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ঠিক। আচ্ছা, আমেরিকাতে তো প্রায়ই টিভি তে দেখতাম কোন একটা পাবলিশিং হাউজের একটা বিশাআআল চেক নিয়ে লটারিতে জেতা মানুষের দরজায় বেল বাজানো হচ্ছে, এরকম একটা বিজ্ঞাপন। আর তাছাড়া নানান ধরনের সুইপস্টেক - কোন একটা কিছুর মেম্বরশিপ নিলে সুইপস্টেকে নাম ঢোকানো হবে, নাম উঠলে আকর্ষণীয় প্রাইজগুলা হয় টাকায় বা অন্য কোনভাবে দেয়া হবে এই প্রতিশ্রুতি - যেগুলো লটারিই আসলে, সেগুলোর কি কোন জবাবদিহিতা থাকে? না বোধহয়, তাই না?

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

ইয়ে..কলকাতা শহর গড়ে ওঠার পেছনেও লটারির অবদান আছে। তবে, বাংলা নামক দেশটির ক্ষেত্রে সংশয় অবশ্যম্ভাবী। আমি অবশ্য লটারির টিকেট প্রতিষ্ঠান দেখে কিনি, সদকা হিসেবে, যেমন: রেড ক্রিসেন্ট, আহসানিয়া মিশন ইত্যাদি। গীতায় একে 'নিষ্কাম কর্ম' বলা হয়েছে। হো হো হো)

একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে যে, পুরনো গয়না ভাঙিয়ে নতুন গয়না করাতে চাইলে প্রায় ৪০ শতাংশ হিরণ্য বাদ পড়ে। হাউজি খেলি নি, তবে উচ্চপদস্থদের এটা দারুণ বিনোদন বলে শুনি। আমার পরিচিত এক ষাটোর্ধ ভদ্রমহিলা নিয়মিত আমার শহরের অভিজাততম ক্লবে হাউজির ঘোরে বেসামাল!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নিষ্কাম কর্মে আমার আপত্তি নেই। তবে হিসেবটা পরিষ্কার থাকা দরকার। সেটা এখানে কেউ করতে চায়না।

আপনি কি বন্দরনগরীতে থাকেন? ওখানকার এমন একটা গল্প শুনেছিলাম কিনা তাই জিজ্ঞেস করলাম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তানভীর এর ছবি

নানা ধরনের সুইপস্টেক সবই আসলে ঐ বিজ্ঞাপন, কোনো একটা পণ্য বা কোম্পানীর প্রচারের জন্য করা হয়। সুইপস্টেক আদতে লটারির মতো হলেও লটারির সাথে এর মূলগত পার্থক্য হলো লটারির টিকেট আপনাকে টাকা দিয়ে কিনতে হয়, কিন্তু সুইপস্টেকে অংশ নিতে আলাদা করে কোনো টিকেট কিনতে হয় না; অন্তত আইনগতভাবে কোনো কোম্পানী তা পারে না। তারা সুইপস্টেকের বিশাল প্রাইজের লোভ দেখিয়ে আপনার কাছে কোনো পণ্য বেচতে পারে বা কোনো কিছুর সাবস্ত্রিপশন বা মেম্বরশিপের চাঁদা নিতে পারে, কিন্তু সুইপস্টেকের টিকেট বেচতে পার না। লটারি আর সুইপস্টেক তাই এক জিনিস না। আর সুইপস্টেক বিষয়ে পাবলিকের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না থাকলেও এটা নিয়ে এবিউজের ব্যাপারে আইনগত কড়াকড়ি আছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সুইপস্টেক নিয়া একটা পোস্ট দিন। বিস্তারিত জানতে ইচ্ছে করছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ব্যাপারটা অমন হলে আপত্তি ছিলনা। কিন্তু এখানে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহীতার বড়ই অভাব।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অদ্রোহ এর ছবি

লটারি জাতীয় আইওয়াশের সবচেয়ে মোক্ষম ব্যবহারটা হয় বোধহয় ঈদ মৌসুমে। মার্কেটে মার্কেটে যেভাবে র‌্যাফল ড্র এর মচ্ছব চলে, তার মধ্যে যে কতটা শুভঙ্করের ফাঁকি থাকে, সেটাও এখন ওপেন সিক্রেট।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অমনটা আমিও দেখেছি। মার্কেটের সামনে পুরস্কার হিসাবে যে গাড়িটা রাখা হয় ওটা সম্ভবতঃ কেউ পায়না। কারণ, বছর পেরিয়ে গেলেও গাড়িটা সাজানো অবস্থায় ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাবতাছিলাম বিয়ার সময় সোনার আংটি, সোনার বোতাম ইত্যাদি পণ নিমু। এখন দেখছি সোনায় শানাইব না, প্ল্যাটিনাম মাঙতে হইব!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্লাটিনামেও খাঁদ থাকতে পারে। তাই নগদ নেবার কথা ভাবেন। তার আগে পণ দিয়ে বিয়ে করতে রাজী অমন পাত্রী খুঁজে বের করেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

চানক্য এর ছবি

বাংলাদেশে আহসানিয়া মিশন কয়েকবার লটারি'র আয়োজন করে টাকা সংগ্রহ করে তা দিয়ে ক্যান্সার হাসপাতাল বানাচ্ছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।

সব লটারীতো আর ভাই পকেট কাটা না।তবে আপনার চিন্তার সাথে একমত।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আহসানিয়া মিশনের এধরনের উদ্যোগগুলোর ব্যাপারে আমার সমর্থন আছে, তাদের কিছু কাজের ব্যাপারে শ্রদ্ধাও আছে। উনারা চাইলেই একটা লটারীর পর একটা সংবাদ সম্মেলন করে লটারীতে কতো টাকা পাওয়া গেলো, কতো টাকা কী কী খাতে খরচ হয়ে গেছে আর কতো টাকা হাসপাতাল পেলো সেটা জানিয়ে দিতে পারেন। উনাদের ওয়েব সাইটেও এই হিসেবটা ঝুলিয়ে দিতে পারেন। এভাবে তারা অন্যদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তাসনীম এর ছবি

সোনার দোকানের ব্যাপারটা কিছুটা জানা ছিল।

কিন্তু বুঝতে পারছি আস্তে আস্তে অর্থনীতি ব্যাপারটাই মনে হয় পকেট কাটার সাথে সম্পর্কিত মন খারাপ

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্বাধীন এর ছবি

স্বর্ণ কেনা সবসময় আমার কাছে অপচয় মনে হয়। আর খাদের ব্যাপারে যা বললেন সেটাও জানা আছে।

লটারী/জুঁয়া বাহিরে বেশ প্রচলিত, পুরোপুরি লিগ্যাল ভাবেই তারা সেটা চালিয়ে যায়। তবে সুবিধে হচ্ছে যে এদের আয় ব্যায়ের হিসেব থাকে, এবং আমার জানামতে ট্যাক্স সবচেয়ে বেশি। আমি যতটুকু জানি ক্যাসিনোর লাভের টাকা ট্যাক্স দেওয়ার পরেও বেশ ভালো মানের একটা অংশ বিভিন্ন স্কুল, চার্চ, হাসপাতাল, নন-প্রফিটেবল অর্গানাইজেশনে দিতে হয়ে। তবে এই দেওয়াটাও সরাসরি নয়। অদ্ভুত এদের চিন্তা শক্তি। টাকাটি দেওয়া হবে কাজের বিনিময়ে। ধরুন যে স্কুল বা চার্চ বা নন-প্রফিটেবল অর্গানাইজেশন টাকাটা পেতে চায় তাঁরা বছরে একটি দিন বা দু'টি দিন পুরো ক্যাসিনো চালাবে। ক্যাসিনোর লোকেরাই আপনাকে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিবে। এর মাঝে দিয়ে ক্যাসিনো সারা বছর অল্প কিছু লোক দিয়ে চালাতে পারছে, আবার যারা সেখানে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছে তারা নিজের অর্গানাইজেশনের জন্য স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন বলে চিন্তা করছেন। মাঝে দিয়ে অর্গানাইজেশন বেশ ভাল একটি টাকা পায় যা দিয়ে অর্গানাইজেশন স্বচ্ছল ভাবে চলতে পারে। তবে টাকাগুলো কোন খাতে খরচ করা যাবে সেগুলোর কিছু নিয়মও রয়েছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ক্যাসিনো ব্যাপারটিই সমর্থনযোগ্য নয়। এর একাংশ হালাল করার চেষ্টা গরু মেরে জুতা দানের মতো। তবে চার্চের লোকজন ক্যাসিনো চালাচ্ছে এই দৃশ্যটা দেখতে কেমন হবে তা ভাবতেই মজা লাগছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমি না পাণ্ডব'দা, বছর তিনেক আগেও ধারনা করেছিলাম স্বর্ণের ভরি সাড়ে সাত হাজার টাকা (গিনি)! দেঁতো হাসি

কিন্তু ভাইয়ার বিয়ের সময় যখন আমি এ সংক্রান্ত আমার মতামত দিলাম, তখন দেখি বাকি সবার হাসি থামে না। আমি হাসির উৎস জিজ্ঞেস করতেই আমার মা বললো, "তুই আছোস কোন দুনিয়ায়?" বাক্যটা কিঞ্চিৎ অপমানজনক হলেও আমারও বেশ হাসিই পেলো নিজের 'দুনিয়াহীন' আখ্যায়। কী হবে এই সোনাদানা দিয়ে? দুইদিনের দুইন্যা...!

আপনার পোস্ট পড়ে আমি আসলেই সন্দিহান হয়ে পড়লাম। এখানে দেখি স্বর্ণ (হোয়াইট বা গোল্ডেন) এবং হীরার জিনিসপাতি কিনলে একটা সাট্টিফিকেটও দেয়। কিন্তু আমার তো মনে হচ্ছে এই সাট্রিফিকেট আর হযরত মোজেজ এব্রাহিমোভিচ আল এভারেস্টির সাট্টিফিটেকের মধ্যে কোথায় জানি একটা সূক্ষ্ণ মিল আছে!

এই সমস্যা এড়ানোর একটা ভালো আইডিয়া পেলাম অবশ্য আপনার পোস্ট পড়তে পড়তেই। আমরা কেনো না পিতলের দিকে ঝুঁকে যাই! এতো দাম দিয়ে শুধু শুধু খাঁদেখাদিময় নিখাঁদ সোনা-হীরা কেনার চেয়ে পিতলেই সারি না কেনো আমরা নিত্য সব ঔপহারিক কর্ম!
আমার অবশ্য এ সংক্রান্ত ডিসিশন ফাইনাল, এখন শত্রুপক্ষ ট্যাঁ-ফো না করলেই হলো! জয় বাবা পিতলানাথ। শ্রী শ্রী পিতলামিতে ক্তঁ।

ফকিরাপুল-আরামবাগ এলাকায় মোটামুটি একটা লম্বা সময় কাটানোতে দেখেছি মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, ওয়ান্ডারার্স- সহ আশেপাশের সবগুলো ক্লাবই সপ্তাহে (মিনিমাম) একদিন জুয়ার আয়োজন করতো ঘটা করে। এটা তো ওপেন সিক্রেট। পেপার পত্রিকায়ও দেখেছি সেইসব খবর। কিন্তু এগুলো রোধে পদক্ষেপের পরিমান 'কঁচু'টা।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের লটারী দেখেছিলাম দশ টাকায় দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এর পরে আর কিছু মনে পড়ছে না। রেড ক্রিসেন্টও অনুরূপ একটা লটারী চালাতো। দশ টাকায় আরও কম, সম্ভবতঃ ৪-৫ লাখ। ইত্যাদিতে দেখতাম হানিফ সংকেত সাহেব এইসব লটারির প্রথম পুরষ্কার জয়ী ভাগ্যবান-ভাগ্যবতীকে নিয়ে এসে দেখাতেন। আমরা দেখতাম আর স্বপ্ন দেখতাম, এইবার একটা লটারি কিনুমই কিনুম!

এখানেও দেখি লটো-টটোর বিরাট জয়জয়কার। মাঝে মাঝে লাল মার্কি স্ক্রিনে জ্যাকপটের পরিমান দেখে আঙুল গুণে হিসাব করি 'কয় বস্তা টাকা' হবে এতে! পরিচিত অনেকেই দেখি কোনো একটা কিয়স্ক-এ ঢুকে গিয়ে একটা নির্দিষ্ট ফরমে ৬ টা নাম্বারে ক্রস এঁকে জমা দিয়ে আসে। টাকার পরিমানও খুব বেশি না, মোটে পাঁচ সিকে (তবে, ইউরো)। এর আবার রকমভেদ আছে কী কী জানি! আপনি চাইলে বেশি টাকা দিয়েও খেলতে পারবেন। যা-ই খেলেন পুরষ্কার মিস নাই। মানে আপনি চার আনা হলেও পুরষ্কার পাবেন।

আমার কাছে কেনো জানি মনে হয়েছে কিয়স্ক-এ গিয়ে ঘ্যাচ ঘ্যাচ করে ৬টা সংখ্যায় ক্রস এঁকে আসাটাই 'সবকিছু' না, এইখানে অন্য কোনো ব্যাপার আছে। আপাতত সেই ব্যাপারটাই ধরার চেষ্টায় আছি। যেদিন ধরতে পারবো, সেদিন আপনের দোয়া মাথায় নিয়ে আমিও একটা ফরমে ৬টা নাম্বারের সানডে-মানডে কোলোজ করে দিয়ে আসবো। আফটার অল আমার টার্গেট হলো জ্যাকপটের ১২ মিলিয়ন। এই দেড় ট্যাকা পাঁচ সিকা দিয়া আমি কী করবো! হাসি



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. সার্টিফিকেট দিলেই সেটা খাঁটি অমন না ভাবাই বোধহয় ঠিক হবে।

২. পিত্তলনাথের যতোই বন্দনা করুন তাতে লাভ হবেনা। যথাসময়ে শত্রুপক্ষ স্বর্ণের জন্য অশ্রুপাত, সশব্দ রোদন ইত্যাদি ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করে আপনাকে ঘায়েল করে ফেলবে।

৩. এহ্‌হে আপনি দেখি নানা ক্লাবের নাম বলা শুরু করলেন! এসবের কী দরকার ছিল!

৪. কিয়স্কে ঢুকে ছয়টা নাম্বারে ক্রস দেয়া এতদিন যখন ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছেন তাহলে আগামী দিনগুলোতেও পারবেন। আপনার জীবন চলার জন্য যা দরকার সেটা উপার্জনের যোগ্যতা-দক্ষতা আপনার আছে। ১২ মিলিয়ন ইউরো আসলে দরকার নেই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধরা না খাইলে মানুষের জ্ঞান বাড়ে না কথাটা আপানারে দেইখা আবার জানলাম

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনি যদি আমাকে দেখে জানতে পারেন, শিখতে পারেন তাহলে আমিও ধরা না খেয়ে অন্যকে দেখে জানতে ও শিখতে পারি তাইনা?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অচিন পাখি [অতিথি] এর ছবি

স্বর্ন সংক্রান্ত এই পোস্ট পড়ে অনেক জ্ঞান হলো। কিন্তু এই চৌর্যবৃত্তি কিভাবে বন্ধ করা যায়? এটাতো খুবই সিস্টেমেটিক এবং সাসটেইনেবল চুরি। তাহলে কি আমরা ২০ গ্রাম পিতল কিনছি ৩৫ হাজার টাকায়? মেনে নেয়া খুব কষ্টকর।

অতিথি লেখক এর ছবি

এক ভরি সোনার দাম শুনে 'শক্‌ড' হওয়াটা এখনও কেন জানি অভ্যাস হয় নাই। ইদানিং তাই "দ্যাশে সোনার ভরি কত ক দেহি?"- টাইপের প্রশ্নে দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে শকের জন্য রেডি হয়ে যাই।

সোনার দোকানে দেখেছি ক্রেতাদের কোক-পেপ্‌সি দিয়ে 'আপ্যায়ন' করা হয়। এখন ব্যাপারটা 'জবাইয়ের আগে মুরগিকে পানি খাওয়ানো'র মত মনে হয়।

চমৎকার লেখা এবং পর্যবেক্ষণ।

বি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

যে কোনো জায়গায় ফাও খাওয়াতে বা ফ্রি কিছু দিতে দেখলেই বুঝবেন আপনাকে জবাই করার জন্য ছুরি ধার দেয়া হচ্ছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

বলতে পারেন, খাঁদকে স্বর্ণ বা কাঁচকে হীরা বলে বিক্রি করলে ক্ষতিটা কোথায়? ব্যবহারকারী যদি সেটা স্বর্ণ বা হীরা ভেবে আনন্দ পান তাহলে তো আর সমস্যা নেই। কথাটা ততোক্ষণ পর্যন্ত ঠিক, যতক্ষণ না সেটা পুনঃবিক্রয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
দ্বিমত। কারণ ব্যবহারকারী পুনঃবিক্রয় করুক বা না করুক, সে তো একটা নির্দিষ্ট উপাদানের জন্য টাকা দিচ্ছে। ওর বিনিময়ে যথাযথ পরিমাণ স্বর্ণ না পাওয়াটা অন্যায়, অপরাধ। এমনকি ক্রেতা যদি নাও বুঝে তা-ও।

আরেকটা প্রশ্ন: বাংলাদেশ কিছুদিন আগে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনেছে। ওটাতেও কি খাদ থাকার সম্ভাবনা আছে, নাকি এক্কেবারে সলিড? যদি থাকে, তাহলে সেটার মূল্য যথাযথভাবে হিসাব করা হয়েছিল কিনা জানেন?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক কিনেছে স্বর্ণবাট। ওগুলো ২৪ ক্যারটের, অলংকার বানানোর যোগ্য নয়। খাদছাড়া, হায়, গয়না হয় না। আরো বাট চাইলে ফোর্ট নক্সে যোগাযোগ করুন। কিংবা, মাসুদ (পারভেজ) রানার সাথে। ভদ্রলোক একবার জেমস বন্ডজির 'গোল্ডফিঙ্গার' অনুসরণে কাজী আনোয়ার হোসেন ছাহেবের সহযোগিতায় এ্যাকগাদা সোনা চুরা লিয়া। বাবুবাংলার সহায়তাও পেতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি ভূগর্ভস্থ নিরাপত্তাঘর আছে যেখানে সোনারূপা জমা রাখা হয়। বিভিন্ন সময়ে নানান বন্দর থেকে উদ্ধার-করা সোনাদানা (নিজ দায়িত্বে বুঝে পড়বেন) ওখানেই রাখা হয়। ওটির নাম 'বুলিয়ন ভল্ট'। সুতরাং, বিবির গোলামেরা (মতিঝিল আপিস) আক্ষরিক অর্থেই টাকাপয়সা, সোনারূপা পদতলে দলেন।

লাগবেন বাজি?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার ব্যাখ্যার সাথে একমত। তবে বিক্রি করা না পর্যন্ত একটা মেকি সান্ত্বনা পাওয়া যাচ্ছে আরকি।

আমি বেসরকারী মানুষ, এইসব গোপন তথ্য পাবো কোথা থেকে!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ক্রীড়া উন্নয়ন তহবিলের লটারীর টাকাতে ক্রীড়ার কী উন্নয়ন হয়েছে তা জানা নেই, তবে একটা বিশাল ভবন হয়েছে; এনসিসি ভবন। দেখেছেন নিশ্চয়। হতে পারে, খো খো, ব্যাডমিন্টন, ক্যারম জাতীয় ফেডারেশনের পেছনে কিয়ৎপরিমান খরচ হয়েছে এ লটারীর। হাসি

রণদা আর লীলেনভাইয়ের প্রশ্নের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানতে চাই খাইছে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এনএসসি ভবন নির্মাণে বাইরের সহযোগিতার কথা শুনেছিলাম, লটারীর কথা শুনিনি।

রণদা' আর লীলেনকে উত্তর দিয়েছি। উত্তর পছন্দ হলো?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ইশান এর ছবি

খাদ না মেশালে নাকি গয়নার আকৃ্তি দেয়া যায়না।স্বর্নকার ভাইরা আসলে 'দিছি যখন আর কম দেব ক্যান'এই নীতিতে বিশ্বাসী।।

বিঃদ্রঃ স্বর্নকার তার মায়ের নাকফুলেও খাদ দেয়।।

--প্রবাদ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রবাদটা সবাই জানেন বলে ইচ্ছে করেই দেইনি। গয়না বানাতে কিছুটা খাঁদ মেশাতে হয় সত্য, তবে সেটাতো আর অর্ধেকের বেশি না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীলকান্ত এর ছবি

অস্ট্রেলিয়ান এক লটারীর কথা শুনেছিলাম। প্রতি টিকিট মূল্য মাত্র পাঁচ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার!!! প্রাইজ যতদূর মনে পড়ে কয়েক মিলিয়ন ডলার।

প্রতিনিয়ত চিনছি নিজেকে


অলস সময়

শামীম এর ছবি

(গুড়)
এই অর্থনীতি বাদ দিয়া চলন যায় না?!

আমার ট্যাক্স লইয়ারের উপর শ্রদ্ধা বেড়ে গেল ... ....আমার ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নে সম্পত্তির হিসাবে দেখানো আছে যে, স্বর্নালংকার ** ভরি .... মূল্য অজানা!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সব ট্যাক্স ল'ইয়ারই এই ভাষাটা ব্যবহার করেন। এটা মনে হয় তাদের পাঠ্যক্রমে দেয়া আছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মণিকা রশিদ এর ছবি

স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা এইসব নিয়ে কোনদিন মাথা ঘামাইনাই, তারপরেও যা ছিল, গতবছর চোর এসে একেবারেই সব নিয়ে গেছে! এই ব্যাপারে একেবারে ঝাড়া হাত পা।
আর লটারী আমি সারাজীবনে একটাও কিনিনাই, ভাগ্যে বিশ্বাস করিনা বলেই সযতনে এড়িয়ে চলেছি।
সোনার দোকানের বিষয়টা সত্যি কিছু জানা ছিলনা!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার বাসার চুরির কথা গত বছরই শুনেছিলাম। খুব দুঃখ পেয়েছিলাম কিছু স্মৃতি বিজড়িত গহনা চুরি যাওয়ায়। আপনি ব্যাপারটাকে যেভাবে ফেস করেছিলেন সেটা দেখে বেশ অবাকও হয়েছিলাম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নৈষাদ এর ছবি

স্বর্ণের খাঁদের ব্যাপারটা কিছুটা জানা ছিল, কিন্তু এর পরিমান নিয়ে কোন ধারণা ছিল না। একটা জিনিসের কোয়ালিটি নিশ্চিত করার যখন কোন ব্যবস্থা নেই এবং স্বর্ণের ব্যাপারে একধরণের কিংবদন্তী আছে - এটা হবেই হয়ত।

বেশ আগে একবার দুবাইতে স্বর্ণের বাজারে ব্যাপারটা আসলে কী বোঝতে গেছলাম। দাম তখনকার সময়ে বাংলাদেশের প্রায় কাছাকাছিই ছিল। একজন দুবাই স্বর্ণের ইনসাইডারের কাছে জানতে চাইলে সে ব্যাখ্যা করেছিল দুবাইতে নাকি অন্ততপক্ষে স্বর্ণের খাঁটিত্ব নিশ্চিত করা হয় - কোন কম্প্রমাইজ নেই। তাই এমনকী বাংলাদেশে রাম্লাল/শ্যাম্লালের দোকানে দুবাইএর স্বর্ণ গ্রহনযোগ্য।

লটারী নিয়ে বলার আছে - বলছি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এতো দামী একটা পণ্যের ক্ষেত্রে বিএসটিআই বা অমন কোনো প্রতিষ্ঠানের খবরদারী কেনো নেই সেটা চিন্তার বিষয়।

ঢাকার স্বর্ণ দুবাই থেকে আমদানী করা হলে তার দাম দুবাইয়ের সমান হয় কী করে? সেখানে আমদানী ব্যয়, ট্যাক্স, বিক্রেতার লাভ এগুলো যোগ হবার কথা না?

লটারী নিয়ে আপনার কথা শুনতে চাই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বোহেমিয়ান এর ছবি

কি কমু বুঝতাছি না!
এই গুলা কিছুই জানতাম না। খেয়াল ও করতাম না!
চলুক
চলুক
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ফেডের গোল্ড রিজার্ভ সম্পর্কে জানতে চাই। ...

--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এটা কী জিনিষ?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

জাহামজেদ এর ছবি

লটারি নিয়ে একটা মজার কাহিনী বলি। আমি যখন স্কুলে পড়ি সেসময়ে সিলেটে আমার পাশের বাড়ির এক লোক ক্রীড়া উন্নয়নের লটারিতে ৪০ লাখ টাকা জিতে, এরপর থেকে আমার এলাকার লোকজন এত এত পরিমানে ১০ টাকা দামের লটারি কিনতে শুরু করে যা দেখে তখন আমার মনে হয়েছিলো এইসব লটারি সম্ভবত আমাদের এলাকার মানুষদের জন্য করা হয়। পরবর্তীতে যখন আমাদের এলাকার একজন হার্ট ফাউন্ডেশনের লটারিতে ২৫ লাখ টাকা জিতে ফেলে তখন পুরো এলাকার অবস্থা লটারি লটারি। টিভি ম্যাগাজিন ইত্যাদিতেও এদেরকে নিয়ে একটা ক্লিপ দেখানো হয়েছিলো। এরপর থেকে আমাদের এলাকার লোকজন পুরোপুরি লটারি বিশ্বাসী । আমি অবশ্য ৪০ লাখের পর একবার কিনছিলাম, কিন্তু কিছু পাই নাই বলে আর কেনা হয়নি।

সম্প্রতি আমার মেইলে আফ্রিকা দেন কয়েকজন ভদ্রলোক সম্মিলিত ভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লোভ দেখানো অফার করেই যাচ্ছেন। আমি এগুলো কোনোকালেই বিশ্বাস করি না বলে মেইলগুলো পড়ার আগেই কেটে ফেলি। এই বিষয়ে যদি কিছু জানা থাকে তাহলে দয়া করে জানাবেন।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই মেইলওয়ালারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বাইরে আজকাল দক্ষিণ আমেরিকা, ইংল্যান্ড প্রভৃতি জায়গা থেকেও আসছে। এই মেইলগুলোর অ্যাপ্রোচেও অনেক বদল এসেছে। আশ্চর্যের ব্যাপার এই মেইলের ফাঁদে পড়ে একজনকে বিপুল পরিমাণ টাকা খোয়াতেও দেখেছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

বাউলিয়ানা এর ছবি

হীরা বা স্বর্ণের এত কাহিনী জানা ছিলনা। আদ্ভুত লাগল এটা জেনে যে, বিক্রীত স্বর্ণের অর্ধেকও খাঁদ থাকতে পারে! হায় সেলুকাস!!

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আমার কপাল খারাপ তাই লটারী টিকিট কিনি না। হাত পুড়িয়ে খাই
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

বুড়া এর ছবি

সোনা কেনার বিপদ যা বর্ণনা করেছেন তাতে একটি বিষয় বোধগম্য হলো না। সোনার অলংকার কেনা হয় ওজন প্লাস মজুরি দামে। রাম অর্ধেক খাদ মিশিয়েছে, ১০০ গ্রা গয়নার আসল মূল্য ৫০গ্রামের দাম। খরিদ্দার তো তার গয়নার ওজন ভালো করেই জানে। রামের দোকানেই আবার বেচতে গেলে তারতো ৫০গ্রামেরই দাম পাওয়ার কথা। তা সে নেবে কেন? রামই বা তাকে কি করে বোঝাবে যে এই দামই তার প্রাপ্য?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার বর্ণনা আপনার বোঝাতে একটু ভুল হয়েছে। রামলাল ৫০ গ্রাম স্বর্ণের সাথে ৫০ গ্রাম খাদ মিশিয়ে অলঙ্কার বানিয়ে তা ১০০ গ্রাম স্বর্ণের দামে বেচে (প্লাস মজুরী)। সুতরাং সেই অলঙ্কার শ্যামলালের দোকানে বেচতে গেলে আপনি ৫০ গ্রামের দাম পাবেন। কিন্তু মেমোসহ রামলালের দোকানে গেলে কিছু সার্ভিস চার্জ কেটে ১০০ গ্রাম স্বর্ণের দাম পাবেন। কারণ, রামলাল জানে সে আপনার কাছে আসলে কী বেচেছিল।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কামরুল হাসান রাঙা [অতিথি] এর ছবি

আমি ভাবছি, বাংলাদেশ সরকার কিছুদিন আগে যে স্বর্ণ কিনল, তাতে কি পরিমাণ খাদ আছে!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি জানি না। সরকারী পর্যায়ে এই লেনদেনগুলো ঠিকঠাক হবার কথা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হিমু এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধের জন্যে সম্মাননার ক্রেস্টে প্রচুর খাদ ধরা পড়েছে। একটা ভাবনা মাথায় এলো। আমাদের গিন্নিবান্নিদের সোনার গহনা দৈবচয়নের ভিত্তিতে নিয়ে বিএসটিআইতে টেস্ট করে কি দেখা যাবে, সেখানে কতো শতাংশ সোনা আছে? তাহলে সার্বিক পরিস্থিতিটা বোঝা যেতো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।